স্কুলের লাস্ট বেঞ্চ অথবা 'ছিন্ন খঞ্জনা'
মালবিকা মিত্র
- হ্যালো, স্যার? আমি আপনার ছাত্র দেবাঞ্জন বলছি। মনে পড়ছে স্যার?
- মনে করতে চেষ্টা করছি। একজন দেবাঞ্জন ছিল সাদামাটা সুবোধ বালক। সাত চড়েও মুখে রা' ছিল না। বন্ধুরা টিফিন খেয়ে নিলেও কোনওদিন নালিশ করেনি। আর একজন ছিল ভালো ফুটবল প্লেয়ার। আর তৃতীয় জন ছিল সকলের ত্রাস, কি ছাত্র কি শিক্ষক। সব পিরিয়ডে মনিটরের খাতায় নাম উঠত।
- হ্যাঁ স্যার, আমি সেই তৃতীয় অধম। টিসি চাওয়া দেবাঞ্জন। টিসি পাওয়া ছাত্র দেখেছেন, কিন্তু টিসি চাওয়া এই একজনই। কেমন আছেন স্যার? ফেসবুকে জানলাম, বন্ধুরা বলল, আপনি কোভিড সেকেন্ড ওয়েভে মারাত্মক আক্রান্ত হয়েছিলেন! ঘাবড়াবেন না স্যার, আমরা সব দাবার ঘুঁটি, মারা অত সহজ নয়, একটি আছে অপর একটির জোরে।
- ৬৩/৬৪ বছর বয়স হল। হার্ট লাং রেনাল সমস্যা। এত কো-মর্বিডিটি সত্ত্বেও যখন আছি- ভালোই আছি। তুই কেমন, কোথায় আছিস?
- আমি তো স্যার এখন সুইডেনে।
- সু - ই - ডে - ন!
শিক্ষক অনিমেষবাবুকে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি। বর্ষে বর্ষে দলে দলে'র ভীড়ে তাঁর স্মৃতির অ্যালবামে অধিকাংশই নামহীন ছবি। তবুও তারই মধ্যে স্পষ্ট দেবাঞ্জন। ক্লাশ সিক্স থেকে মনে আছে। খুব ডানপিটে ছেলে। টিসি চাওয়ার গল্পটা আগে বলি।
সব ক্লাশে মনিটরের খাতায় দেবাঞ্জনের নাম উঠত। বেসামাল হয়ে অনিমেষবাবু অবশেষে বললেন-
- আগামী তিন দিন যদি নাম না ওঠে তো বেঁচে গেলে। উঠলে, কেসটা আমার হাতে থাকবে না। সোজা হেড স্যারের কাছে চলে যাবে। ভয়ঙ্কর শাস্তি হবে তোমার।
- স্যার, কী শাস্তি? কী শাস্তি? সমস্বরে দেবাঞ্জনের বন্ধুদের উৎসুক দৃষ্টি ও প্রশ্ন।
হবে নাই বা কেন? সিক্স 'এ' সেকশনে একজনও বাদ যায়নি দেবাঞ্জনের পীড়ন থেকে। সবার আগ্রহ দেবাঞ্জনের শাস্তি নিয়ে। কিন্তু কাকে ভয় দেখাবেন স্যার, সে ছেলে ভয় পেলে তবে তো। 'ভয় কারে কয় নাইকো জানা।'
তিন দিন পর ক্লাশে ঢুকতে না ঢুকতে ছাত্ররা সমস্বরে, 'স্যার, তিন দিনই দেবুর নাম উঠেছে'। অনিমেষবাবু যতটা সম্ভব গাম্ভীর্য বজায় রেখে বললেন, 'এবার আর আমার হাতে কিছু থাকল না। যা করার হেডস্যার করবেন।' সবার জিজ্ঞাসা কী শাস্তি হতে পারে।
'হুমম, হয়তো টিসি দিতে পারেন হেডস্যার', স্যারের বিমর্ষ জবাব। এরপরই আসল ত্রাসের শুরু। টিফিনে টিচার্স রুমের বাইরে অপেক্ষমান সে, 'স্যার, হেডস্যারের কাছে নিয়ে চলুন। টিসি দেবেন বলেছিলেন'। এ কাজ ও কাজ দেখিয়ে, পরে যাওয়া যাবে বলে এড়িয়ে গেছেন অনিমেষবাবু। অবশেষে বোঝালেন, 'এই স্কুল না, কোনও স্কুল না, কোথাও তুমি ভর্তি হতে পারবে না। টিসি'র মানে বুঝতে পারছ? ট্রান্সফার সার্টিফিকেট। তুমি বরং হেড স্যারকে লিখে জানাও, 'আর কখনও অন্যায় করব না। এবারের মতো ক্ষমা করে দিন।' কোনওমতে আত্মরক্ষা, নিজেকে বাঁচানোর ব্যবস্থা। এমন সরল শিশু, শাস্তি সম্পর্কে যার কোনও ধারণাই নেই। তিরস্কারকে পুরস্কার বলে বরণ করতে ব্যস্ত। 'শিকল চরণে তার হয়েছে নূপুর।'
এই সেই দেবাঞ্জন। সুইডেনে কী করছে ও, অনিমেষবাবু হতবাক। ও স্কুল ছাড়ার পরেও বহু বার পথে মুখোমুখি হয়েছে। একমুখ নিষ্পাপ হাসি, নানান কথা; শুধু পড়াশোনা বা এখন কী করছিস, এসব কথা এড়িয়ে যেত। 'ছাড়ুন তো ওসব কথা। ওগুলো জিজ্ঞেস করে ভালো উত্তর পাবার মতো অসংখ্য ছাত্র আছে আমাদের স্কুলে।' দেবাঞ্জনের আলোচ্য বিষয় থাকত কোন স্যার, কোন ছাত্র, কার পেছনে কীভাবে লাগা হত সেই সব দুষ্টুমির কথা। সেই সব স্যারের খোঁজ, আর প্রাণখোলা হাঃ হাঃ হাসি। 'কী করছিস' ওর কাছে অস্বস্তিকর প্রশ্ন।
সেই দেবাঞ্জনকে আজ প্রশ্ন করলেন অনিমেষবাবু, 'সুইডেনে কী কাজ করছিস?'
- দেখুন স্যার, আমাদের নামী স্কুলের বেশিরভাগ ছাত্রই ইউরোপ আমেরিকায় থাকে। আমিই বা কেন দেশে থাকি। আমার যোগ্যতা অনুযায়ী একটা কাজের সন্ধানে এ দেশে এসেছি স্যার।
দেবাঞ্জনের কাছে জানা গেল, সুইডেনকে বাছাই করার কারণ হল, প্রথমত, সুইডেনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার (-)২। অর্থাৎ, কাজের তুলনায় শ্রম সরবরাহ কম। ফলে, বেতন ও কাজের সুযোগ বেশি। দ্বিতীয়ত, ও গিয়েছিল ডেনমার্কের ঠিকানায়। ডেনমার্ক আর সুইডেনের মাঝে ১১৮ কিলোমিটার লম্বা একটা প্রণালী আছে, যার নাম Oresund। Ore শব্দের অর্থ সমুদ্র সৈকত, আর Sund শব্দের অর্থ প্রণালী। এই প্রণালীর একদিকে ডেনমার্ক অন্যদিকে সুইডেন। প্রণালীর সবচেয়ে প্রশস্ত অংশটি ২৮ কিলোমিটার, আর সবচেয়ে অপ্রশস্ত সরু অংশটি ৪ কিলোমিটার। দেবাঞ্জনের কথায়, 'অনেকটা স্যার আমাদের ব্যান্ডেল-গরিফার মতো।' প্রায় আট কিলোমিটার একটা সেতু ও টানেল আছে। দেবাঞ্জন ডেনমার্কে নিকটাত্মীয়ের ঠিকানায় গেছে, কিন্তু সুইডেনে একটি হোটেলে কাজ করে, ওখানেই থাকে।
অনিমেষবাবু শুনেছিলেন, সুইডেনে যখন দীর্ঘায়িত রাত্রি চলে তখন এদিক থেকে যাওয়া মানুষেরা মানাতে পারে না। মানসিক অসুস্থতা দেখা দেয়। শরীরের নানাবিধ ভিটামিন হরমোন এনজাইম একদম ঘেঁটে যায়। এর জন্য পয়সা খরচ করে কৃত্রিম রোদ পোহাতে হয় লাইট রুমে। জন্মের পর যেমন নবজাতককে অনেক সময় রাখা হয় ফটো থেরাপিতে। এর জন্য অনেক ফটো থেরাপি ক্লিনিক আছে সে দেশে। এসবই ওই দেশে পড়াশোনা ও চাকরি করা ছাত্রদের কাছে শোনা। দেবাঞ্জনকে এ কথা বলতেই ও বলল, 'ওসব বড়লোকের বিলাস স্যার। আচ্ছা স্যার, আমাদের দেশে কজন মানুষ কোল্ড ক্রিম, ময়েশ্চারাইজার মাখে শীতকালে? আমাদের দেশে পার্লারে স্পা করতে যায় কজন? সারাদিন হোটেলে কাজ করি। তারপর নিজের রান্না খাওয়া, সুইডিশ ভাষা শেখা। আইনের চোখ এড়িয়ে, চারটে বছর কাটিয়ে, সুইডিশটা ভালো করে শিখলে সিটিজেনশিপ পাওয়া যাবে। সেটাই এখন প্রধান লক্ষ্য।'
- কী খাওয়াদাওয়া করিস? ওদের ওখানে হোটেলের খাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে গেছিস?
- না না না, ভাত-সবজি-ডাল সব সেদ্ধ, আর বাটার। সস্তা এবং সহজ পাচ্য সব দেশে। এদের খাওয়ায় অনেক খরচ বেশি। টিফিনে বান রুটির মতো, ওপরে চকলেটের প্রলেপ, সেটাই সস্তা খাবার। আর মাঝে মাঝে ডিম খাই। আমাদের দেশে কার্বোহাইড্রেট প্রধানত আসে ভাত থেকে। এখানে এদের ময়দা আর আলু থেকে। কেজি কেজি আলু কেনে এরা।
যে ছেলেটা ভালো করে বাংলা, ইংরেজি ক্লাশে মন বসাতে পারত না, সেই ছেলে সুইডিশ শিখছে সিরিয়াসলি। আবার বলছে, ডেনমার্ক তো পাশের বাড়ি। আস্তে আস্তে ডেনিস শিখে নেব। ওটা জানা খুব প্রয়োজন। নাকি, আমাদের হিন্দি জানার মতোই। আবার সাশ্রয়ী হয়েছে। ছেলে এত সিরিয়াস হল কবে। অবাক হয়েছেন অনিমেষবাবু। আরও অবাক ওর বিশ্লেষণ শুনে। বলে কিনা, 'স্যার, স্কুলে ইংরেজিটা শিখতে গিয়ে সব শেখাটাই পন্ড হল, অথচ ইউরোপে এসে দেখি ইংরেজি শিখে কোনও লাভ হয় না। এটা একটা কলোনিয়াল লিগ্যাসি। বৃটিশ প্রভু যে সব দেশ শাসন করেছে শুধুমাত্র সেখানে ইংরেজি ভাষা চলে। আর কোথাও দাম নেই। ফ্রান্স-স্পেন-জার্মানি-সুইডেন-ডেনমার্ক-হল্যান্ড কোত্থাও না। এখন ভাবলে হাসি পায় স্যার, ভাবতাম ইংরেজি না শিখলে জীবন বৃথা।'
এইসব বলছে, স্কুলে ক্লাশের লাস্ট বেঞ্চের বেয়াড়া ছাত্র। বেড়ালের ডাক, কুকুরের ডাক, শিক্ষকদের মুদ্রাদোষ অনুকরণ, এই করেই স্কুল জীবন সাঙ্গ। তাহলে আজকের জীবনে সার্থক অভিযোজন করার শিক্ষা ও পেল কোথায়? নিশ্চিত ভাবে বিদ্যালয়ে নয়। জীবন থেকে শেখা নাকি আগেও স্কুল জীবনে ওর মধ্যে এই বোধ ছিল, টিচারদের নজরে আসেনি। অনিমেষবাবু এইসব কথা ভাবছিলেন। এখানে খবরের কাগজে পড়ে তিনি ওকে বলেছেন, 'হ্যাঁরে, কাগজে পড়লাম, সুুুইডেনে কোভিডের বাড়াবাড়ি নেই, লকডাউনের বিধিনিষেধের কড়াকড়ি নেই।'
দেবাঞ্জন শুনে বলল, 'প্রথমত, সাধারণ ভাবে ফ্লু জাতীয় ভাইরাসের প্রকোপ ট্রপিক্যাল কান্ট্রিতে বেশি। সেই বিচারে সুইডেনে প্রকোপ কম হওয়াই স্বাভাবিক স্যার। দ্বিতীয়ত, যে ফিজিক্যাল ডিসট্যান্স বজায় রাখার জন্য লকডাউন, এ দেশে জন ঘনত্ব এতই কম যে ফিজিক্যাল ডিসট্যান্স স্বাভাবিকভাবেই বজায় থাকে।' খুব তাৎক্ষণিক ভাবে এই ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ বুঝিয়ে দিল জীবন সম্পর্কে ওর গভীর বোধের পরিচয়।
আচ্ছা, স্কুলে থাকতে এই বোধ আমরা কি খুঁজে ছিলাম কখনও? ও কি কোনও আভাস ইঙ্গিত দেয়নি? অনিমেষবাবু স্মৃতি হাতড়াতে থাকেন- ফিরে দেখা, পেছনে, আরও পেছনে। হ্যাঁ, একবার ক্লাশ সেভেনে, হাফ-ইয়ারলি পরীক্ষার বাংলা খাতায় ও কোনও উত্তর লেখেনি। শুধু একটা রচনা লিখেছিল, 'বিদ্যালয়ে তোমার একটি স্মরণীয় দিন'। মন ঢেলে লিখেছিল। ঘটনা নির্বাচন, তার উপস্থাপনা কৌশল, বাক্যের গঠন, বর্ণনায় বর্তমান ও অতীত বিচরণ, সবই ছিল অভিনব। সপ্তম ক ও খ সেকশনের বাংলা শিক্ষক একত্রে সিদ্ধান্ত করে রচনায় দশের মধ্যে দশ দিয়েছিলেন ওকে। সেদিনই তো দেবাঞ্জন আমাদের নজরে আসা উচিত ছিল।
একদিন ক্লাশে শাস্তি পেয়ে ক্লাশের বাইরে দেবাঞ্জন। অতঃপর সে পায়ে পায়ে স্কুলের মাঠে, বাগানে। নির্জন দুপুর, দেবাঞ্জন নিরীক্ষণ করছিল বাগানের দুটি পাখি। ঠিক এই সময়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক বাসুদেববাবুর আবির্ভাব। ভয়ঙ্কর গম্ভীর আর রাগী। কিন্তু তিনি দেবাঞ্জনকে বকলেন না। বরং, কেন এখন ক্লাশের বাইরে, কেন ক্লাশ ভালো লাগে না, বাড়ির কথা, নিজের ছাত্র জীবন, এইসব গল্প করলেন। আপাত কাঠিন্যের মধ্যে এমন কোমল স্বভাব ও স্নেহপ্রবণ মানুষকে খুঁজে পেয়ে ওই দিনটাই দেবাঞ্জনের স্মরণীয় দিন হয়ে গেল। দেবাঞ্জনের ওই রচনায় একটা গুরুত্বপূর্ণ কথার উল্লেখ ছিল: দেখছিলাম নির্জন দুপুরে অপূর্ব সুন্দর একজোড়া পাখি। 'এর নাম খঞ্জনা', এএইচএম স্যার বললেন, 'এরা স্ত্রী ও পুরুষ পাখি জোড়ায় জোড়ায় থাকে।' স্যারের কথায় সেদিন স্পষ্ট হয়েছিল, স্বর্গে বেহুলার নৃত্যকে কেন জীবনানন্দ দাশ 'ছিন্ন খঞ্জনার মতো' বলে তুলনা করেছেন পাঠ্য কবিতায়। লখীন্দর বিনা বেহুলা যেন 'ছিন্ন খঞ্জনা'। এক অবিস্মরণীয় দিন। এক প্রকৃতি পাঠ।
পরীক্ষা হলে এই একটি রচনা মন প্রাণ ঢেলে লিখেছিল দেবাঞ্জন। সেই দিনই ওকে আবিষ্কার করা উচিত ছিল, ভাবলেন অনিমেষবাবু। এমন পরিণত ও সিরিয়াস ছেলে। অনিমেষবাবু ফোনে ওকে বললেন, জার্মানি, হল্যান্ড, সুইডেনে উঁচু উঁচু পদে আমাদের ছাত্ররা আছে। ফোন নম্বর দিয়ে দেব। যোগাযোগ রাখবি, বিদেশ বিভূঁয়ে বিপদে আপদে কখনও কাজে লাগতে পারে। স্যারের সেই কথা শোনার পর ও বলল, স্যার, ওরা পন্ডিত, গবেষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। আর আমি হলাম মুজতবা আলীর 'নোনা জল' গল্পের সমীরুদ্দীন। ওরাও আমাকে নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়বে, আমারও বিড়ম্বনা বাড়বে। ফোন নম্বর রাখলাম, কিন্তু নেহাত বাধ্য না হলে যোগাযোগ করব না।'
অনিমেষবাবু বিস্মিত। মুজতবা আলী, জীবনানন্দ দাশের ব্যবহার সবই ওর বাংলা সিলেবাস থেকে ।
- জানেন স্যার, পশ্চিমা দেশে ছোট কাজ, বড় কাজে ভেদ নেই, সবাই জানি। কথাটা মিথ্যে নয়। কিন্তু অর্থ ও বিত্তের ভেদাভেদ আছে। ও দেশের একজন অধ্যাপক আর একজন নাপিতের কাজে অসম্মান নেই, শর্ত হল নাপিতকে বিত্তশালী হতে হবে। পূর্ণ পুঁজিবাদী সমাজে বিত্তই কৌলিন্যের মাপকাঠি।
অনিমেষবাবু দেবাঞ্জনের চিন্তাভাবনার থই পাচ্ছেন না। আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষা যে কতই অপ্রাসঙ্গিক, তা ভেবে তিনি অবাক হচ্ছেন। দেবাঞ্জনের পুরো শিক্ষাই পৃথিবীর পাঠশালায়, জীবন থেকে প্রাপ্ত। আমরা শিক্ষকরা নাকি মানুষ গড়ার কারিগর! লক্ষাধিক টাকার বেতনভোগী!