Friday, 28 August 2015

Will India Gain?

China Slows India Grows?
Anindya Bhattacharya

The recent slowdown in the Chinese economy is being poised as a cheer for India! The ruling elite of our country seems to be applauding that whatever negative is happening in China will be positive for us. They have already started banging that as the macro fundamentals of our country are strong enough, especially the foreign reserve, the problems erupting in China would actually create a scope for us to come up in the deserted space.

In fact, this is true to some extent. The capital market in the Indian economy would certainly gain in some sense. The relative macro-economic stability of our country would pave the way for the international capital to intrude into our economy and the market would be boosted eventually. But does that imply any betterment for the entire population of our country?

When the business magazines, the mainstream media and the international fund bodies talk about economics, they mean either boom or crash of the capital market. They talk of ‘growth’, ‘rate of growth’ and ‘GDP’. Yes, these categories have some implications to the entrepreneurs but in the long run carry no sense to the commoners. We need to understand that India is basically a labour market where the 3/4th of its population are cheap labourers. The paradox is: when you have 3/4th of the population as labour, the remaining 1/4th would be the consumers who thrive on this cheap labour. And India being a vast country with 1.21 billion population, about 0.3 billion consumers are fair enough for the international capital to cash in. Therefore, the Wall Street Journal is always there to approve!

Somebody may wish, well, if capital market boosts then the wage cost would rise as well. But that has always been proved as a wishful thinking! With a rise in average wage in the 3/4th segment of the population the consumer market cannot flourish. You would have to sustain a low wage mechanism in the labour market to have a higher growth rate in the capital and consumer market. So, when China is slipping, Indian capital market can rejoice but not the majority countrymen!

Wednesday, 26 August 2015

মাতৃভূমি বনাম পিতৃভূমি?

একটি সেক্সিস্ট ও এপলজিস্ট লেখা
পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় 

বছর দুয়েক হল রাতের ট্রেনে মহিলা কামরায় পুলিশ দেওয়া হচ্ছে। তার আগেকার ছবির সামান্য বর্ণনা দেওয়া যাক।

রাত সাড়ে নটার আপ গেদে লোকাল শিয়ালদহ থেকে ছাড়ে। স্বাভাবিকভাবেই মহিলা কামরা বেশ ফাঁকা। অনেক সিট খালি। সাধারণ কামরাগুলোও ফাঁকা, সেখানেও কিছু সিট খালি। ট্রেন ছাড়ে। গড়িয়ে গড়িয়ে বিধাননগর ষ্টেশনে ঢোকামাত্র মহিলা যাত্রীরা মহিলা কামরায় ওঠার পরই তাদের পেছন পেছন এক দঙ্গল পুরুষ যাত্রী উঠে পড়ে। খালি সিট দখল করে বসে বিড়ি ধরিয়ে খৈনি ডলতে ডলতে তাসের জুয়ার আসর বসায়। এই যাত্রীদের মধ্যে মাড়োয়াড়ি গদির কর্মচারি আছে, সব্জি-ফল বিক্রেতা আছে, আবার কিছু সাদা কলারের বাবুও আছে। এমনিতে এরা কেউই মহিলা যাত্রীদের হেনস্তা করে না। কিন্তু কখনো কোনও মহিলা তাদের মহিলা কামরায় ওঠার প্রতিবাদ করলে, বেশ বুক চিতিয়ে গলা ফাটিয়ে তারা জানিয়ে দেয় যে তারা প্রতিদিনই এমনটা করেই অভ্যস্ত এবং কোনও মহিলার অসুবিধে হলে নেমে যেতে পারেন অথবা 'যা পারেন করে' নিতে পারেন। সাধারণ কামরা রাতে বেশ ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও এমনটা করার কারণ কী জানতে চাইলে তারা অম্লানবদনে বলে, সাধারণ কামরা ফাঁকা থাকলেও যেহেতু সেখানে সিট পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই, তাই তারা মহিলা কামরায় ওঠে।

এরপর শিয়ালদহ মেইন শাখার পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টেছে। রাত নটার পর সমস্ত আপ ট্রেনে পুলিশ থাকছে, অতএব পুরুষ যাত্রীরা আর কেউই ওঠার রিস্ক নেয় না। মাতৃভূমি লোকাল চালু হবার পর মহিলা যাত্রীদের সুখের ভাগ বাড়ে। জুলজুল করে তাকিয়ে থাকা পুরুষদের সামনে দিয়ে মহিলাদের নিয়ে হুশ করে বেরিয়ে যায় লেডিজ স্পেশাল ট্রেন। প্রথমে লেডিজ স্পেশালের ভেন্ডর কামরায় ছেলেদের ওঠার অনুমতি থাকলেও পরে তাও বন্ধ কর দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। লেডিজ স্পেশাল নিয়েও বিতর্ক চলতে থাকে। বিকেল পাঁচটা পাঁচের আপ মাতৃভূমি লোকাল শিয়ালদহ থেকে বস্তুত খালিই ছাড়ে। মহিলা যাত্রীরাও মনে করেন এমন বাজে সময়ে লেডিজ স্পেশাল দেওয়া সম্পদের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। অথচ এর পরে আর লাইন এবং ষ্টেশন লেডিজ স্পেশালের জন্য খালি করা সম্ভব নয়। এর পরের লেডিজ স্পেশাল ছাড়ে বিকেল পাঁচটা পঞ্চাশ - শিয়ালদহ মেইন শাখার শেষ আপ লেডিজ স্পেশাল ট্রেন। এর পরের ট্রেনগুলোয় নারীপুরুষ নির্বিশেষে বাদুড় ঝুলে যাতায়াত।

এদিকে ট্রেন চলাচলের গোটা ব্যাপারটাকে খুব দক্ষভাবে একটা প্রহসনের পর্যায় নিয়ে যেতে পেরেছে রেল কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন প্রত্যেকটা ট্রেনই তার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশ খানিকটা দেরিতে চলে। সামান্য ঝড়জল হলেই কোথাও জল জমে কোথাও গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে ট্রেন চলাচল। ছুতোয়‍নাতায় অবরোধ, ট্রেনে গুন্ডাদের মারামারির জেরে বোমাবাজি, বিষধর সাপের কামড়ে যাত্রীর আহত হওয়া, এসব তো আছেই। স্বাভাবিকভাবেই তাই রেলের ওপর বিন্দুমাত্র ভরসা করার সুযোগ রেল পুরুষ-মহিলা কোনও যাত্রীকেই দিয়ে উঠতে পারেনি। আর তাই, যেই জানানো হলো লেডিজ স্পেশালের কিছু কামরায় পুরুষদের ওঠার সুযোগ দেওয়া হবে, মহিলা যাত্রীরা ক্ষেপে গেলেন। অথচ যদি ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখি, একটা ন' কামরা ট্রেনের প্রথম অথবা শেষ দুটো কামরা যদি পুরুষদের জন্য খুলে দেওয়া হয় এবং বাকি প্রতিটা কামরায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়, কোনও পুরুষ যাত্রী আর মহিলা কামরায় ওঠার সাহস দেখাতে পারবে না। ঘটনার আকস্মিকতায় মহিলা যাত্রীরা না পেরেছেন তলিয়ে ভাবতে, না পেরেছেন রেলের ওপর ভরসা করতে। তাই এই বিবৃতি শুনেই তাদের মনে হয়েছে, এবারে মাতৃভূমি লোকাল বুঝি পুরুষদেরই দখলে চলে গেল। এছাড়া প্রিভিলেজড ক্লাস যে কখনওই তা চট করে ছাড়তে রাজি হয় না এ তো জানা কথাই।

এত ঘটা করে খবরের কাগজে বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে রেল যদি এই ঘোষণা ষ্টেশনের মাইকে ট্রেন ছাড়ার কিছু আগে করত, এত বড় ঝামেলা এড়ানো যেত। কিছুদিন জল মেপে নিয়ে তারপর না হয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো যেত। বাস্তবের সঙ্গে ক্ষীণ যোগাযোগ এবং প্রশাসনিক হঠকারিতার কারণেই মাতৃভূমি লোকাল নিয়ে অহেতুক খানিক তিক্ততা তৈরি হল, যার রেশ পুরুষ-নারীর সম অধিকারের লড়াইকেও বেশ কয়েক পা পিছিয়ে দিতে সক্ষম।

Thursday, 20 August 2015

স্বাস্থ্যের বাণিজ্য



স্বাস্থ্য পরিষেবায় কদর্য বাণিজ্য  
অভিজিৎ রায়

স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রটির সঙ্গে প্রত্যেক নাগরিকের জীবন জড়িত। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে স্ব-স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, এই ক্ষেএটিতে রাষ্ট্রীয় সদিচ্ছা ও অংশগ্রহণ একান্ত কাম্য। অথচ আমাদের দেশে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রটির প্রতি এই সদিচ্ছা নৈব নৈব চ। গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র হোক বা সরকারি সুপার স্পেসালিটি্ হাসপাতাল, স্বাস্থ্যর প্রতি সরকারি অবহেলা দৃশ্যমান। সরকারি হাসপাতালে 'কল্যাণময় মানসিকতা' এতটাই প্রবল যে মানুষ ও সারমেয় ফারাকের সারটুকু নেই। সরকারি হাসপাতালের সারমর্ম হল- চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব, হাসপাতালে শয্যার অভাব, মেঝেতে ঠাঁই মিললেও অন্য রোগ সংক্রমণের ভয়। এইসবের সঙ্গে উপরি হল প্রাণ নিয়ে সরকারি হাসপাতালের চৌহাদ্দি থেকে বেরিয়ে আসা।

সম্প্রতি বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশিত পরিসংখ্যান তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, ভারতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ২০১২ সালে ১.৩৪ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। ২০১০ সালে যা ছিল ১.০৪ শতাংশ। এ ক্ষেএে স্রেফ পরিসংখ্যান থেকেই ছবিটা স্বচ্ছ হয়ে ওঠে। অপরাপর দেশগুলির তুলনায় ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল বেহাল। ভারতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যয় ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিন আফ্রিকার তুলনায় কম।
Country
Total Health Exp(% of GDP)
Pub.Health Exp.(% of total health Exp)
Pub.Health Exp.(% of total GDP)
Brazil
9.3
46.4
4.32
Russia
6.3
61
3.84
India
4.05
33
1.34
China
5.4
56
3.02
South africa
8.8
47.9
4.22









(World bank Statistic for 2012)

সমসাময়িক কালে স্বাস্থ্য বলয়ের মধ্যে বাণিজ্যিক মানসিকতা আরও প্রকট হয়েছে। আগে যে ছিল না তা নয়। বেসরকারি হাসপাতাল চিরাচরিত চরিত্র স্বভাবে দামের হাঁক ছেড়েছে, সরকারি হাসপাতালগুলো প্যাথোলজিক্যাল্ সেন্টারগুলির এজেন্টদের অবাধ বিচরণ ক্ষেএ হয়ে উঠেছে। এর নেপথ্যে কাজ করছে আর্থিক সুযোগসুবিধা। সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামোর মধ্যেও বাণিজ্যিক স্বার্থ প্রবেশ করেছে।

অ্যাপলো হাসপাতাল ১৯৮৩ সালে ১৫০টি শয্যা নিয়ে হাসপাতাল পরিষেবা শুরু করলেও ২০১৫ সালে তা বেড়ে ৮,৩১৩টি শয্যা হয়েছে। আবার ম্যাক্স হাসাপাতালে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই শয্যা সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় দুই হাজারে। বেসরকারি হাসপাতালের পরিষেবা পরিধির বৃদ্ধি ঘটলেও চিকিৎসার নামে সংকীর্ণ ব্যবসায়িক অভিসন্ধি কাজ করে - এক প্রকার টাকা দিয়ে রোগী কিনে নেয় প্রাইভেট হাসপাতালগুলি

বৃহত্তর বাজার ব্যবস্থায় টিকে থাকতে প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থে বিভিন্ন ‘মার্কেট স্ট্র্যাটেজি’ অবলম্বন করে। প্রাইভেট হাসপাতলগুলি স্রেফ নিজেদের মুনাফা বৃদ্ধির তাগিদে এক ধরনের নয়া স্কিম্ বাজারে এনেছে যার পোশাকি নাম ‘কাট্ প্র্যাকটিস্’। অর্থাৎ, রোগীকে প্রাইভেট হাসপাতালে রেফার করলে তার বিনিময়ে আর্থিক সুবিধে পাবেন ডাক্তারবাবুরা।

ভারতের প্রাইভেট হাসপাতালে শহুরে অঞ্চলে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ৪০ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা হত, ২০০৪ সালে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৬২ শতাংশে। গ্রাম্য ক্ষেত্রের পরিসংখ্যানটি ১৯৮৬ সালের ৪০ শতাংশ থেকে ২০০৪ সালে ৫৮ শতাংশ পৌঁছে গেছে। IBEF 2015’র রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে যেখানে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সরকারি অংশীদারিত্ব ১৯ শতাংশ সেখানে প্রাইভেট অংশীদারিত্ব ৮১ শতাংশ। এই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪’র পর প্রাইভেট হাসপাতালের ‘মার্কেট’ ৫৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে।

প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান বাজারে নিজের প্রতিপত্তির প্রসার ঘটাতে ভিন্ন ভিন্ন ‘মার্কেট স্ট্র্যাটিজি’ অবলম্বন করে। প্রাইভেট হাসপাতালগুলি স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে বাণিজ্যিক কৌশলকে নিপুণভাবে ব্যবহার করছে। এই স্ট্র্যাটেজির অন্যতম ভিওি হল - ডাক্তারবাবুরা ‘কাট্ প্র্যাকটিস্’ স্কীম অনুযায়ী রোগীকে রেফার করবেন প্রাইভেট হাসপাতালে। যেমন, গত বছরের মাঝামাঝি KOKILABEN DHIRUBHAI AMBANI HOSPITAL (KDAH) ‘কাট্ প্র্যাকটিস্’ স্কিম তৈরি করে এবং ‘Elite Forum for Doctors’ গঠিত হয় যারা ‘কাট্ প্র্যাকটিস্’ স্কিম অনুযায়ী যে ডাক্তারা রোগী রেফার করছেন তাঁদের আর্থিক সুবিধে দেওয়ার ব্যবস্থা করে কিন্তু ডাক্তারা তাদের নৈতিকতাকে জলাঞ্জলি দিয়ে ‘হিপ্পোক্রেটিক ওথ্’ ভুলে কীভাবে এ কাজ করেন? এখানেও দক্ষ বাণিজ্যিক মস্তিস্ক ব্যবহৃত হয়েছে - তুলনায় ছোট হাসপাতাল ও ডিসপেনসারিতে প্র্যাকটিস্ করা ডাক্তারদের ব্যবহার করা হয় পেশেন্ট তুলতে। সেই সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের অংকটাও মন্দ না - বছরে ৪০টি রোগী ভর্তির বিনিময়ে ১ লক্ষ টাকা, ৫০টি রোগীর বিনিময়ে ১.৫ লক্ষ টাকা আর ৭৫টি রোগীর জন্য ২.৫ লক্ষ টাকা। প্রেসক্রিপসনেও ডাক্তারা সেইসব ঔষুধের নাম বেশি লেখেন যেগুলির কোম্পানি থেকে তারা বেশি সুবিধে পান

British Medical Journal’এ জনৈক চিকিৎসক ভারতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, ভারতীয় ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলি ‘অনৈতিকতার বৃত্তে’ অবস্থান করছে। অর্থ ও অন্য সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে রোগী রেফার করা ডাক্তারদের ‘সততা’কে কালিমালিপ্ত করেছে তাদের উপর মানুষের প্রত্যয়ের অবনমন হয়েছে।

নয়া উদারবাদী ও মুক্ত বাজার ব্যবস্থা দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রটিকে একটি মুক্ত বাণিজ্য ক্ষেএে পরিণত করেছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার যে ‘বাজারিকরণ’ ঘটেছে তা চিকিৎসা শাস্ত্রের নৈতিকতা বিরোধী তো বটেই, এর সামাজিক বৈধতাও আজ প্রশ্নের মুখে। একদল অর্থপিপাসু পেশাদার চিকিৎসার নীতিশাস্ত্রকে অধঃপতনে পাঠিয়ে একটি অর্থ লোলুপ স্বাস্থ্য পরিষেবার বাজার গড়ে তুলেছে।

স্বাস্থ্যের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তুলতে রাষ্ট্র ব্যর্থ কী না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক কিছু নয়। রাষ্ট্রের এই ব্যর্থতার নেপথ্যে অনীহা থাকতে পারে কারণ তাতে প্রাইভেট হাসপাতালগুলির মুনাফা বৃদ্ধির পথ সুগম হয়। যে কোনও ক্ষেএে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধার অর্থ কম খরচে পরিষেবা পাওয়া আর যা আমাদের মতো দেশে আবশ্যিক কিন্তু তেমনটি হলে প্রাইভেট হাসপাতালগুলির ব্যবসা লাটে উঠবে।

‘কাট্ প্র্যাকটিস্’র মতো বেআইনি স্কিমের বিরুদ্ধেও রাষ্ট্র নীরব থাকে। MAHARASTRA MEDICAL COUNCIL মারফত BRIHANMUMBAI MUNICIPAL CORPORATION (BMC)’কে KDAH’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বললে প্রত্যুক্তিতে BMC জানায় লাইসেন্স দেওয়ার অধিকার তাদের থাকলেও মিউনিসিপ্যাল নিয়মে হাসপাতালের এই ধরনের অনৈতিক কাজের জন্য তারা ব্যবস্থা নিতে অক্ষম।

Support for Advocacy and Training to Health Initiatives (SATHI) ডাক্তারদের মধ্যে গবেষণা করে তাদের প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে দেখিয়েছে প্রাইভেট হাসপাতালে কীভাবে ডাক্তারদের কর্পোরেট কোম্পানির মতো ‘টার্গেট’ দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সংখ্যক সার্জারি বা রোগীকে বেশি দিন হাসপাতালে আটকে রাখা - সবটাই হাসপাতালের মুনাফা বৃদ্ধির তাগিদে।

স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেএটিতে সরকারি সদিচ্ছা একান্ত কাম্য, তাতে প্রাইভেট হাসপাতালের পরিষেবার নামে অর্থনৈতিক স্বার্থ কমবে। কিন্তু অনুশীলন ও তত্ত্বের মধ্যে ফারাক বিদ্যমান। সাধারণ মানুষের পক্ষে চিকিৎসকের পরামর্শ এড়িয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঝুকিঁর কাজ, কোনও মুমূর্ষু রোগীর বাড়ির লোকের পক্ষে ডাক্তারের রেফার্ উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। পূর্বেকার ‘ডাক্তার কাকারা’ পরিবারের একজন সদস্য হয়ে উঠতেন, রাত দুপুরে ইমারজেন্সি কেসে পাড়ার ‘ডাক্তার কাকুরা’ ছিলেন, পেশেন্ট আর ডাক্তারের গণ্ডি ছাড়িয়ে অনাত্মীয় থেকে আত্মীয় হয়ে ওঠা। কিন্তু আজকের দিনে সেই হৃদ্যতাপূর্ণ সহোদর সম্পর্কের এই অনুপস্থিতি সামাজিক অবক্ষয়কে আরও পরিস্ফুট করেছে।

References:
 1 .EPW July 25th, 2015 ‘Business of Hospitals’
2. EPW July 18th, 2015 ‘Murky waters of Medical Practice in India’
3. Pal, Somita www.dnaindia.com/ “BMC says it can’t act against Ambani hospital for cut practice”
4. Times of India 8th March, 2015 and Ananda Bazar Patrika.



'একক মাত্রা'র আড্ডা

প্রতি মাসের প্রথম ও তৃতীয় বুধবার 'একক মাত্রা'র বন্ধুরা বসছে যথাক্রমে কলেজ স্ট্রিট ও যাদবপুর কফি হাউসে
গত ১৯ অগাস্ট ২০১৫ অনেকে এসেছিল যাদবপুর কফি হাউসে