দক্ষিণপন্থার এত জনপ্রিয়তা কেন!
অনিন্দ্য ভট্টাচার্য
গত এক দশকে প্রায় গোটা বিশ্ব
জুড়েই চরমতম দক্ষিণপন্থার শুধুমাত্র উদয় হয়নি, দক্ষিণপন্থী মতাদর্শ ও তাদের একমেবোদ্বিতীয়ম
নেতাদেরও তুমুল জনপ্রিয়তা লক্ষ করা গেছে। আর সে প্রবণতা যে অচিরেই পুরোপুরি বিদায়
নেওয়ার নয়, তাও বেশ বোঝা যাচ্ছে। ব্রাজিলে সদ্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে চরম
দক্ষিণপন্থী নেতা বোলসোনারো পরাজিত হয়েছেন বটে, কিন্তু তাঁর সঙ্গে বামপন্থী
প্রতিদ্বন্দ্বী লুলা’র ভোট প্রাপ্তির ফারাক ছিল ১ শতাংশেরও কম। গত বছর (অক্টোবর
২০২২) ইতালিতে ফ্যাসিস্টপন্থী দল ‘ব্রাদার্স অফ ইতালি’র নেত্রী জিওর্জিয়া মেলোনি প্রধানমন্ত্রীত্বের
পদে আসীন হয়েছেন। হাঙ্গেরি, সুইডেন, ফ্রান্স, তুরস্ক, রাশিয়া সহ বহু দেশ ও আমাদের
উপমহাদেশেও দক্ষিণপন্থী জনপ্রিয় রাজনীতির এখন রমরমা। উগ্র জাতীয়তাবাদ, ‘বিদেশি’
শনাক্তকরণ, ধর্ম-বর্ণ-জাতি ভিত্তিক বিভাজনের রাজনীতির সহজ গাণিতিক সমীকরণে এর
উত্থান। কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে উগ্র দক্ষিণপন্থা ধাক্কা খেলেও তার বিপদ যে
কেটে গেছে, অথবা, আগামী কোনও নির্বাচনে তারা যে আবার সাফল্য পাবে না, তা বলার
অবকাশ এখনও তৈরি হয়নি।
প্রশ্ন হল, এই উগ্র দক্ষিণপন্থী
রাজনীতির এমনতর আপাত বিপুল সাফল্যের কারণ কী? এ নিয়ে একটি পুস্তক-বোমা ফাটিয়েছেন
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক দর্শনের অধ্যাপক মাইকেল জে স্যান্ডেল। তাঁর
সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থ ‘The Tyranny of Merit’ নিয়ে বেশ হৈচৈ পড়ে
গিয়েছে। যদিও তাঁর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু মূলত ইউরোপ ও আমেরিকার রাজনৈতিক ও
সামাজিক জগৎ, কিন্তু যে কথাগুলি তিনি পেড়েছেন তার প্রাসঙ্গিকতা আমাদের মতো তৃতীয়
বিশ্বের দেশেও সমভাবে প্রযোজ্য।
বলা যেতে পারে, তিনি
‘মেধাতন্ত্রের নিপীড়নের’ বিরুদ্ধে একপ্রকার বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। বিশেষ করে, গত
শতকের ৮০-৯০’এর দশক থেকে বিশ্বায়ন ও উদার অর্থনীতির হাত ধরে যে মেধাতন্ত্রের
উত্থান তা পিছিয়ে-পড়া, তথাকথিত অল্প-শিক্ষিত, দরিদ্র ও বিপন্ন মানুষদের
দক্ষিণপন্থার পিছনে সমবেত করেছে। কারণ, বিশ্বায়নের প্রবক্তারা মনে করেছিলেন,
উদারনৈতিক অর্থনীতির ফলে যে কোনও ব্যক্তি, প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে মেধার মাধ্যমে
নিজ যোগ্যতায় সাফল্য অর্জন করে নিজেকে এবং দেশ ও দশ’কে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম।
শুনতে ও ভাবতে কথাখানি বেশ। কিন্তু তা যে এক নিপীড়নের হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে, সে
ভাবনা হয়তো তখনও মাথায় আসেনি। দেখা গেল, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন এমন এক
মহিমান্বিত স্তরে স্ফীত হয়ে উঠল যে, নামীদামী প্রতিষ্ঠানের একটি উচ্চ ডিগ্রি
শুধুমাত্র অর্থনৈতিক সাফল্যের চাবিকাঠি হল না, তা আত্মগর্ব, সামাজিক সম্মান ও অর্থ
কৌলিন্যেরও এক কঠিন আবহ ও বিভাজন তৈরি করল; যে আবহে তথাকথিত অল্প-শিক্ষিত ও
অসাফল্যদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও উপেক্ষা করা এক সাধারণ প্রবণতা হয়ে দাঁড়াল। মাইকেল
স্যান্ডেল তথ্য দিয়ে দেখাচ্ছেন, বিশ শতক জুড়ে আমেরিকায় মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি
পেয়েছে, কিন্তু ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তা ক্রমেই কমে গেছে। এর কারণ, আত্মহত্যা,
মাদক দ্রব্যের অতিরিক্ত ব্যবহার ও মদ জনিত যকৃতের রোগ। এই প্রবণতাকে কোনও কোনও
সমাজবিজ্ঞানী বলেছেন ‘হতাশাপ্রসূত মৃত্যু’। অর্থাৎ, মেধাতন্ত্রের আগ্রাসনের ফলে
এমন এক তীব্র বিভাজিত সমাজের জন্ম হয়েছে যেখানে অসফল বা ‘অল্প-শিক্ষিতরা’
বিষাদগ্রস্ত হয়ে আত্মবিনাশ বা আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন।
মোদ্দা কথায়, প্রাতিষ্ঠানিক
‘শিক্ষা’ হয়ে দাঁড়াল এমন এক অত্যাবশ্যকীয় অর্জন যা সমাজে যে কোনও ব্যক্তির সাফল্য বা
অসাফল্যকে প্রায় একক ভাবে সূত্রায়িত করার যন্ত্র হয়ে উঠল। ভাবখানা এই, নিজ মেধা
গুণে অর্জিত শিক্ষার জোরে যে সাফল্য-চূড়োয় পৌঁছনো গেল, তার আত্মগর্বী অধিষ্ঠানে
বাকী জনসমাজ (বিশেষত অসফলেরা) আসলে খুড়কুটো। এইভাবে নির্মিত হল এক নতুন বিভাজনের
আখ্যান। ইংল্যান্ডে ব্রেক্সিটের ভোট ও আমেরিকায় ট্রাম্প’এর জয় ছিল এই বিভাজনের বিরুদ্ধে
নিচুতলার বিপন্ন মানুষের সটান জবাব। সে সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে
গেলে সাধারণ মানুষ কতটা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়তে পারেন, তা নিয়ে যখন অর্থনীতিবিদরা
দেশবাসীকে সাবধান করছেন, তখন ব্রেক্সিটপন্থী এক নেতা বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশ
বিশেষজ্ঞদের ভারে যথেষ্ট ক্লান্ত।’
লেখক বলছেন, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী
দেখাচ্ছে, রাজনৈতিক সুবিচারের সক্ষমতার মধ্যে যে অন্তর্দৃষ্টি নিহিত থাকে তার
সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথাগত শিক্ষায় উচ্চ নম্বর পাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
উদাহরণ দিচ্ছেন, আমেরিকার দুই প্রবাদপ্রতিম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটন ও আব্রাহাম
লিঙ্কনের কলেজ-ডিগ্রি পর্যন্ত ছিল না। সম্ভবত তিনি বলতে চেয়েছেন, শিক্ষা, প্রজ্ঞা
ও অন্তর্দৃষ্টিকে শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মোড়কে আবদ্ধ রাখা যায় না। তাঁর
মতে, বিশ শতকে ইউরোপ ও আমেরিকায় সমাজতান্ত্রিক ও সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক দলগুলি
সংসদের গঠনকে বহুল পরিমাণে গণতান্ত্রিক করে তুলেছিল। ১৯২০ থেকে ১৯৫০ সালের মধ্যে
দেখা গেছে, এক-তৃতীয়াংশ থেকে অর্ধেক সাংসদের কোনও কলেজ-ডিগ্রি ছিল না। অথচ, ২০০০
সালে এসে দেখা গেল, সংসদগুলিতে কলেজ-ডিগ্রিহীন সাংসদ একেবারেই আর নেই। যেন,
পুরনোকালের অভিজাত ও সামন্তপ্রভুদের দিন আবার ফিরে এল। ডিগ্রিধারীদের এক নতুন
শ্রেণি এবার দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করল। এই বার্তা ক্রমে গেল রটি, তোমার যথাযথ ডিগ্রি
থাকলে তোমার আরও আরও অর্জন-ক্ষমতা আছে, নচেৎ তুমি ব্রাত্য।
তাহলে কি শংসাপত্রের সামাজিক
ও অর্থনৈতিক দড় বাড়িয়ে এক নতুন ধরনের বৈষম্যধারী সমাজ তৈরি করা হল? চিত্রটা
দাঁড়াল, লেখকের ভাষায়, ‘প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার sorting যন্ত্রকে
অবলম্বন করে যারা উপরে উঠে গেল, তারা নিজেদের ভঙ্গুর আত্ম-অহমিকাকে বজায় রাখতে
ক্রমেই নানাবিধ শঙ্কা, ঠিকঠাক থাকার দুর্বিষহ কসরত ও মেধাকেন্দ্রিক অহংকারে
নিমজ্জিত হল। যাদের পিছনে ফেলে তারা উঠল, তাদের ওপর চাপিয়ে দিল ভয়ঙ্কর অনৈতিক,
এমনকি লজ্জাজনক ব্যর্থতার এক অসহনীয় বোঝা।’
খেয়াল করলে মালুম হবে, ৬০-৭০
দশকের শ্রমজীবী মানুষের উত্তাল বাম আন্দোলন ৮০-৯০’এর দশকের পর থেকে ধীরে ধীরে এলিট
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিন্তার ঘেরাটোপে আবদ্ধ হয়ে ক্রমেই শক্তিক্ষয়ের পথে এগিয়েছে।
বিশ্বায়ন ও উদার অর্থনীতির ধারণাও তখন পাকতে শুরু করেছে। ৯০-এর দশকে তা এক
নির্দিষ্ট গতিপথে এগোতে থেকেছে। নতুন রাজনৈতিক-অর্থনীতির বীজ তখন অঙ্কুরিত হচ্ছে
ইন্টারনেট ও ডিজিটাল বিপ্লবের মধ্য দিয়ে। তথ্য প্রযুক্তির জোয়ার এসেছে। এই নতুন
উত্থানকে পুষ্ট করতে বাড়ছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অসীম গুরুত্ব। উদার অর্থনীতির
প্রবক্তারা এক নতুন মতাদর্শ নিয়ে আসছেন, যেখানে অর্জিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্য
দিয়ে যে কোনও মানুষ নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও অর্থ কৌলিন্য গড়ে নিতে পারে। সেই
দৌড়ে যারা সফল হচ্ছে, তাদের হাতে এসে পড়ছে দুনিয়ার প্রাচুর্য ও অত্যাশ্চর্য বৈভব।
সৃষ্টি হচ্ছে নতুন ধরনের এক তীব্র বৈষম্যমূলক সমাজ।
বাম আন্দোলনে যেহেতু
তাত্ত্বিক চর্চা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিসর, ফলে, বাম মতাদর্শও ঢুকে পড়ছে
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থার মেধাতন্ত্রের জোয়ালে- বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার
কক্ষে তা আলোচিত হচ্ছে, গবেষণাপত্র লেখা হচ্ছে, গবেষক, অধ্যাপকেরা সেই সব বিষয়ে অর্জন
করছেন খ্যাতি, অর্থ ও পুরস্কার। বামেদের দৃষ্টি নিজভূম শ্রমজীবীদের
জীবন-জীবিকা-আন্দোলন থেকে সরে যাচ্ছে পরবাসে মেধাতন্ত্রের সেমিনার কক্ষ ও
গবেষণাপত্রে। শ্রমজীবী মানুষটি কী ভাবছেন, তার থেকেও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে মেধাতান্ত্রিক
গবেষণার ফলাফল। পিকেটি বলছেন, বাম দলগুলি ক্রমেই শ্রমজীবীদের দল থেকে বুদ্ধিজীবী ও
পেশাদার এলিটদের দলে রূপান্তরিত হওয়ার কারণেই সাম্প্রতিক দশকগুলিতে বাড়তে থাকা
বৈষম্যকে তারা মোকাবিলা করতে পারেনি। বামেদের এই ক্রম-বিচ্ছিন্নতা ধীরে ধীরে এমন
এক জমিন বুনেছে যেখানে দাঁড়িয়ে খুব সহজেই যখন মোদি বলেন, ‘হার্ভার্ড নয়, হার্ড
ওয়ার্ক চাই’, অথবা, ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ‘আমেরিকা হল আমেরিকাবাসীদের জন্য’- তাঁদের জনপ্রিয়তার
কারণগুলি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অর্থাৎ, মেধাতন্ত্রের সাফল্য-ক্ষমতা সরাসরি দাঁড়িয়ে
পড়েছে আমজনতার বিপক্ষে। কারণ, মাইকেল স্যান্ডেল’এর মতে, যদিও মেধাতান্ত্রিক সমাজ
পারিবারিক উত্তরাধিকারের অধিকারকে নাকচ করে, কিন্তু তা কখনই বৈষম্যের বিরুদ্ধে নয়,
বরং বৈষম্যকে বৈধতা দেয়; উপরন্তু, মেধাকে সর্বোচ্চ প্রাপ্য দেওয়ার উৎসব পালনের
মধ্য দিয়ে মেধাতন্ত্র বাকী ‘অমেধাবী’দের জঞ্জাল হিসেবে গণ্য করে। শুধু আর্থিক
বৈষম্যই নয়, গত চার দশকে মেধাতন্ত্র মেধাবী ধনী ও সাধারণজীবীদের মধ্যে এতটাই
দূরত্ব নির্মাণ করেছে যে তারা পরস্পরের ধারেকাছেও আর থাকে না- তাদের উভয়ের
বাসস্থান, কাজের এলাকা, দোকানপাট, বিনোদন-স্থান সব আলাদা, এমনকি বাচ্চাদের স্কুলগুলি
পর্যন্ত। অথচ, বাজারে যে কোনও কাজের আর্থিক উচ্চমূল্য কিন্তু সর্বজন হিতায়ে
উদ্দিষ্ট নয়। তা সত্ত্বেও মেধাতন্ত্র প্রচার করে- বাজার যাকে আর্থিক উচ্চমূল্য
দিচ্ছে তার সামাজিক অবদানও অতএব অধিক। লেখকের মতে, তাহলে তো বলতে হয়, অল্প বেতনের
স্কুল শিক্ষকদের থেকে অধিক মুনাফা অর্জনকারী ড্রাগ-ডিলাররা অনেক বেশি সামাজিক হিতে
অবদান রাখেন।
আমাদের চারপাশে তাকালেও মেধাতন্ত্রের
তুমুল দাপট। এদের কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, তাদের দেওয়া করের টাকায় কেন সাধারণজনকে ‘খয়রাতি’
দেওয়া হবে! যেন, সাধারণজনেরা কেউ কর দেন না। তাঁরা জানেন না, আমাদের দেশের মোট কর
আদায়ের ৫০ শতাংশই হল অপ্রত্যক্ষ কর, যা প্রতিটি নাগরিকের পকেট থেকে আদায় হয়। পথের
ধারে চপ-তেলেভাজার দোকান দিলে মালিকের সামাজিক সম্মান থাকে না, কিন্তু সম্মান
হননকারী ব্যক্তিটি যখন ব্র্যান্ডেড চপ-সিঙ্গাড়ার দোকানে চাকরির অফার পান,
হ্যাট-কোট পরে সটান কাজে লেগে যান। বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিক এক সাধারণজনের ইউটিউব
ভিডিও’র ভাষ্য হুবুহু টুকে উত্তর-সম্পাদকীয় লেখে, প্রতিবাদ-পত্র পাঠালেও রা’ কাড়ে
না, বিদ্বজ্জনেরাও জেনেবুঝে চুপ মেরে যান। কারণ, মেধাতন্ত্র বরাবর দুর্বল সাধারণের
ভাবনা-চিন্তাকে হরণ করে এমন কত যে চৌর্যবৃত্তি করেছে, তার ইয়ত্তা নেই। আশার কথা,
আমাদের দেশে বহু রাজ্যে ‘খয়রাতির রাজনীতি’ (অন্য অর্থে, জনকল্যাণমুখি রাজনীতি) জনপ্রিয়তা
পেয়েছে, দুর্বলের ঘরে বেঁচে থাকার সংস্থান পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু আগামী দিনে মেধাতন্ত্র দুর্বলের ওপর এমনতর জিঘাংসা নিয়ে কতদিন সবলে টিকে
থাকবে, তা দেখার।
মাইকেল জে স্যান্ডেল তাঁর
গ্রন্থের শেষের দিকে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রকে উদ্ধৃত করেছেন: ‘আমাদের সমাজকে যদি বেঁচেবর্তে থাকতে হয়, তাহলে জমাদারদের যথাযথ সম্মান ও
মর্যাদা জানাতে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, এই জমাদাররা আমাদের জঞ্জালগুলি পরিষ্কার করে
ডাক্তারদের মতোই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। তাঁরা যদি জঞ্জাল পরিষ্কার না করতেন তাহলে
আমাদের রোগভোগ আরও বাড়ত। সমস্ত শ্রমই মর্যাদাপূর্ণ।’
অভিযোজনবাদের মূল ভিত্তি হলো সময়ের সাথে মানিয়ে নিতে না পারলে কালের নিয়মে হারিয়ে যাবে।
ReplyDeleteখুব চমৎকার লেখা।
ReplyDeleteবইটা কোথায় পাওয়া যাবে?
সজল রায়চৌধুরী
Flipkart/ Amazon থেকে দেখতে পারেন। আমি অনলাইনেই কিনেছি।
ReplyDeleteখুব ভালো লেখা, চিন্তার একটা নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে। এক একটা বই সত্যিই ধাক্কা দিয়ে যায়
ReplyDeleteলেখাটা খুব প্রাসঙ্গিক এবং বিশেষ.প্রয়োজনীয়।Tyranny of merit ব বইটি বিশেষ প্রণিধানযোগ্য।লেখক এই গ্রন্থের মূল সুরটিকে আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষিতের.সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রতিবেদনটিকে সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। গ্রন্থটি পাঠ করার প্রেরণা পেয়েছি।
ReplyDelete