Thursday, 6 October 2022

সংঘর্ষ ও নির্মাণ

ধর্মীয় হানাহানি বনাম প্রকৃত আয় বৃদ্ধি

অনিন্দ্য ভট্টাচার্য


 

একটি ইউটিউব চ্যানেলের পক্ষ থেকে আগত গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন সম্পর্কে সেই রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে চলমান মানুষজনের মতামত সংগ্রহ করা চলছিল। প্রকাশিত সেই ভিডিও’তে দেখলাম, একজন শ্রমজীবী মানুষ বলছেন, ‘আমরা শুধু চাই, শিক্ষা আর স্বাস্থ্যটা সরকার ফ্রি করে দিক, তাহলে মাসে কোনওরকমে যে দশ হাজার টাকা রোজগার করি, তাতেই আমাদের ভালোমতো চলে যাবে। দিল্লিতে আপ সরকার এই কাজটা করেছে, তাই আমরা আপ’কেই এবার ভোট দেব।’ কথাটি অসম্ভব তাৎপর্যপূর্ণ। বলা যেতে পারে, আজকের আমূল পরিবর্তিত রাজনৈতিক-অর্থনীতিতে এক দিকনির্দেশ।

আমাদের দেশে খাওয়া-পরা বাদ দিলে সাধারণ মানুষের আয়ের বাকী বড় অংশটাই শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের পিছনে খরচ হয়। যতই বিনামূল্যে সর্বজনীন শিক্ষা, মিড-ডে মিলের কথা বড় মুখে বলা হোক না কেন, বাস্তবতা হল, প্রাইভেট স্কুল ও টিউশনির চাপে সে গুড়ে বালি। দিনের শেষে, ফেল কড়ি মাখো তেল। ছেলেমেয়েদের শিক্ষার খরচ টানতে বাবা-মায়ের নাভিশ্বাস। News18.com'এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় (২০২২) উল্লেখযোগ্য ভাবে দেখা যাচ্ছে, আমাদের দেশে সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের ৫৬ শতাংশ অভিভাবকেরা স্কুল-অতিরিক্ত খরচ, যেমন, প্রাইভেট টিউশন, কোচিং ক্লাস ইত্যাদির পিছনে বছরে গড়ে প্রতি সন্তান পিছু বাড়তি ১৪,০০০ টাকারও বেশি ব্যয় করে। তার ওপর সরকারি স্কুলগুলির দৈন্য দশায় গরিবের লেখাপড়া মাথায় ওঠে। কিন্তু শিক্ষা বড় বালাই। বড় বড় পাশ না দিলে কাঙ্ক্ষিত চাকরিও জোটে না, আধুনিক বাণিজ্য জগতেও পেরে ওঠা যায় না, গরিবের ছেলে গরিবই থাকে। কথা হল, দিল্লির আপ সরকার এই পটটাকেই আমূল বদলে দিয়েছে। সেখানে সরকারি স্কুলগুলি এতটাই উন্নত ও পারদর্শী হয়েছে যে এমনকি অবস্থাপন্ন অভিভাবকেরাও প্রাইভেট স্কুল থেকে সন্তান-সন্ততিদের ছাড়িয়ে এনে সরকারি স্কুলে ভর্তি করিয়েছে। আলাদা করে প্রাইভেট কোচিং’এরও কোনও দরকার নেই। ছাত্রের সমস্ত দায়-দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষের। স্বাভাবিক, সে খবর ছড়িয়ে পড়েছে দেশের কোণে কোণে। বলাই বাহুল্য, গরিবের কান ও মন দুইই খোলা থাকে। তাই, গুজরাতের পথেঘাটেও সে বার্তা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।

শুধু তাই নয়। দিল্লিতে মহল্লায় মহল্লায় (প্রতি এক কিলোমিটার দূরত্বে) বিনামূল্যে সরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিক নিত্য রোগভোগের হাত থেকে গরিবদের তো বাঁচিয়েইছে, তাদের কর্মক্ষমতাকে অটুট রাখতেও সমান হাত বাড়িয়েছে। এক কথায়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রকল্প দিল্লির গরিব শ্রমজীবী মানুষ ও তাদের পরিবারের জীবনে আমূল পরিবর্তন এনেছে- এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিনামূল্যে পানীয় জল, ২০০ ইউনিট অবধি বিদ্যুৎ ফ্রি, বাসে মহিলাদের ফ্রি সফর। একই ব্যবস্থাপনা পঞ্জাব সরকারও শুরু করেছে।

এই পরিবর্তনের সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক তাৎপর্যকে অনুধাবন না করতে পারলে মুশকিল আছে। গরিবের মন যেহেতু উদার থাকে, তাই তাঁরা সহজেই ধরে ফেলেছেন, কেজরিওয়াল সরকারের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে যুগল অভিসারে আসলে তাঁদের প্রকৃত আয়টাই বেড়ে গেছে। কারণ, এই দুই ক্ষেত্রে তাঁদের আগে যে ব্যয় হত তার যথেষ্ট সাশ্রয় হওয়াতে তাঁদের হাতে বাড়তি কিছু টাকা থাকছে (অথবা বাজার থেকে ঋণ করতে হচ্ছে না), ফলে, তাঁরা অনেক বেশি পুষ্টিকর খাবার ও অর্থ সঞ্চয়ের দিকে মুখ ফেরাতে পারছেন। এই সহজ সত্যটিই উপরে উল্লিখিত গুজরাতের ওই শ্রমজীবী মানুষের কথায় প্রতিফলিত হয়েছে।

এই বিষয়টা চর্চা করার আগে এর রাজনৈতিক অভিযোজন নিয়ে দু-এক কথা বলে নেওয়া প্রয়োজন। আজ থেকে ত্রিশ-চল্লিশ বছর আগে এ দেশে গরিবের রাজনীতি বলতে মূলত বোঝাত, রাস্তায় নেমে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দাবি আদায় করা। সেই আন্দোলনে সমাজ বদলের অভিমুখও স্পষ্ট ছিল। স্বাধীনতা উত্তরকালে অন্তত ৯০’এর দশক অবধি এই ধারাই কম বেশি শক্তিশালী ছিল, একবিংশ শতকের প্রথম দশকেও তা কোথাও কোথাও কার্যকরী ভাবে প্রবল ছিল। কোনও কোনও ধারা গরিব কৃষক ও আদিবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করে এমনকি সুবিস্তৃত সশস্ত্র সংগ্রামও গড়ে তুলেছিল। যেমন, নকশালপন্থীদের বিভিন্ন উদ্যোগ। তাছাড়া আরও কিছু তেজস্বী স্রোত ছিল যা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও সুষ্ঠু জীবনযাপনের পক্ষে ঐতিহাসিক সব ধারাবাহিক লড়াইয়ের ঐতিহ্য তৈরি করে। এদের মধ্যে সবিশেষ উল্লেখ্য, তেভাগার কৃষক আন্দোলন, ধানবাদে এ কে রায়ের নেতৃত্বাধীন এমসিসি সংগঠনের শ্রমিকদের লড়াই, মুম্বাইয়ে দত্ত সামন্তের নেতৃত্বে ট্রেড ইউনিয়ন সংগ্রাম, বিহারে সিপিআই(এমএল) লিবারেশন’এর উদ্যোগে দলিত ও পিছড়ে বর্গের মানুষের লাগাতার সংগ্রাম, শঙ্কর গুহ নিয়োগীর নেতৃত্বে ছত্তিশগড়ে শ্রমজীবী মানুষের সংঘর্ষ ও নির্মাণ এবং আরও এমনতর বহুবিধ ছোট-বড় সংগ্রামের ধারা।

মূলত ২০০০ সালের পর একটা ধীর পট পরিবর্তন দেখা দেয়। ক্রমেই ওয়েব দুনিয়ার সর্বগ্রাসী হয়ে ওঠা, শনৈ শনৈ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আবাহন ও রাজনৈতিক অর্থনীতির আঙ্গিকে এক সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন আসতে থাকায় সংগ্রামের গতিধারায় কিছু অন্যতর বাঁকের দেখা মেলে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্তরে একদলীয় শাসনপ্রথা দুর্বল হয়ে পড়া ও রাজ্যে রাজ্যে বহু নতুন নতুন দলের উত্থানের ফলে বিভিন্ন দলের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে টাগ-অফ-ওয়ার’টা প্রবল হয়ে ওঠে। ফলে, ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসার অভিলাষে বিভিন্ন দল 'জনমোহিনী' নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিতে শুরু করে। তা তো একপ্রকার জনতারই জিত! কারণ, জনতার বৃহৎ অংশটি এটা বোঝে যে, কোনও একটি দলের প্রতি চির-আনুগত্য বজায় রাখলে তাদের কোনও লাভ নেই। বরং, একটা দর-কষাকষির মতো করে এই দল সেই দলের মধ্যে যদি সমর্থনটাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নাচানো যায়, তাহলে দলগুলিও নিজেদের জনপ্রিয়তা অটুট রাখার তাড়নায় আরও এটা-সেটা জনপ্রকল্প বা সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে পারে। বাস্তবেও তাই ঘটল। প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই দেখা গেল, সেই দলের সরকারগুলিই নির্বাচনে ভাল ফল করছে যারা আরও বেশি বেশি জনহিতকর প্রকল্প লাগু করছে। অর্থাৎ, জন-আকর্ষণটা লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে গেল ‘কু’ ও ‘সু’ শাসনের তারতম্যের বিচারের দিকে। যেন, একটা নতুন সরকার এলে গরিবের কিছু সুরাহা হতে পারে; অথবা তেমন দলকেই ভোট দেওয়া যেতে পারে, যে দল গরিবের জন্য কিছু করেছে বা করতে পারে।

এইসব ডামাডোলের মধ্যেই ২০১২ সাল থেকে বিজেপি’র প্রবল উত্থান। যে জনহিতকর রাজনীতির সরল প্রক্রিয়াটার সূত্রপাত হয়েছিল ২০০০ সালের পর থেকে, সেখানে এবার একটা বিচ্যুতি ঘটল। কারণ, বিজেপি এসে গরিবের রুটি-রুজির আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নকে এবং সেই সুবাদে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যকার আকচাআকচিকে জনতার দিক থেকে ব্যবহার করার সক্ষমতাকে, ভেস্তে দিল হিন্দু-মুসলমানের বিভাজন করে। গরিব মানুষদের অনেকেই ভেবে বসলেন, হিন্দু-মুসলমান সংঘাতই বোধহয় তাদের বেঁচেবর্তে থাকার প্রধান সমস্যা। কয়েকটা বছর এই করে কাটল। সম্ভবত, দিল্লির সীমান্তে এক বছর ধরে চলমান কৃষক আন্দোলন বিজেপি’র এই ভয়ঙ্কর ভাগাভাগির রাজনীতিতে সবল আঘাত হানল। কিন্তু তা বলে, রুটি-রুজি বনাম সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস- গরিব মানুষ কোন পক্ষে থাকবে তা নিয়ে বিভ্রান্তি এখনও কাটেনি। কিন্তু কাটছে। যে কারণে, গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কায় বিজেপি ‘রেউড়ি রাজনীতি’র বাপ-বাপান্ত করেও এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তীব্র অর্থ সংকটকে স্বীকার করে নিয়েও ডিসেম্বর অবধি (আরও তিন মাস বাড়িয়ে) ‘প্রধানমন্ত্রী অন্ন যোজনা’র অধীন ‘ফ্রি রেশন’ ব্যবস্থাকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে। সোজা কথায়, হিন্দু-মুসলমান বিভাজনের রাজনীতিতে আর চিঁড়ে যে তেমন ভিজছে না, তা তাদেরও বেশ মালুম হচ্ছে। এখন দেখার, আগামী দু-এক বছরে সারা দেশের রাজনীতি শেষাবধি কোন অভিমুখে বহমান হয়- ধর্মীয় পরিচয় নাকি রোটি কাপড় অউর মকান।

তবে, জনহিতকর প্রকল্প বা জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি বলতে কোনগুলিকে দীর্ঘমেয়াদে ফলদায়ক বলে অভিহিত করা যাবে তা নিয়ে বিতর্ক আছে। এ বিষয়ে স্পষ্টত দুটি ভিন্নতর প্রবণতা প্রতীয়মান:

এক) গরিব মানুষের হাতে সরাসরি কিছু অর্থ বা খাদ্যশস্য তুলে দাও যা দিয়ে তাদের অন্তত দিন গুজরান হতে পারে। সর্বজনীন ন্যূনতম আয় প্রকল্প ধারণার সঙ্গে এর অনেকটাই মিল আছে। এই ধরনের প্রকল্প বিভিন্ন রাজ্যে চালু আছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারও অল্প কিছু ক্ষেত্রে চালু করেছে।

দুই) সরাসরি এইভাবে অর্থ না দিয়ে সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচগুলিকে যদি সরকারি উদ্যোগ ও সাহায্যের মাধ্যমে কমানো যায় তাহলে গরিব মানুষের প্রকৃত আয় বাড়ে। শুধু তাই নয়, এর মধ্য দিয়ে এমন কিছু আবশ্যিক সরকারি উদ্যোগ গড়ে উঠতে পারে যা এক সবল সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিকাঠামো হিসেবে দক্ষ ও উৎপাদনশীল মানবসম্পদ নির্মাণ করতে সক্ষম। যেমন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্র। সরকারি উদ্যোগে বিনামূল্যে যদি সত্যি সত্যিই এক অনুকূল পরিবেশে উন্নত শিক্ষা প্রদান করা যায়, তা যেমন সমাজের সমস্ত শিশু, কিশোর ও যুবকদের কাছে শিক্ষার অধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে, পাশাপাশি, একটি গরিব ঘরের মেয়ে অর্থের অভাবে সেই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় না; বরং সে আরও সক্ষম হয়ে ওঠে তার ভবিষ্যৎ আত্মপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।

কতকটা দ্বিতীয় এই ভাবনার আদলেই শঙ্কর গুহ নিয়োগীর নেতৃত্বে ছত্তিশগড় মুক্তি মোর্চা সংঘর্ষ ও নির্মাণের এমন এক মডেল গত শতকের ৭০-৮০’র দশকে বাস্তবত দল্লি-রাজহরার বুকে গড়ে তুলেছিল। আর তার জন্যই শিল্পপতিদের মাফিয়ার হাতে তাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আমরা জানি, শ্রমিকদের অনুদানে গড়ে ওঠা ‘শহীদ হাসপাতাল’ ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্যচিত্রটিকেই আমূল বদলে দিয়েছিল। ১৯৮৩ সালে মাত্র ১৫টি বেড নিয়ে শুরু হওয়া ওই হাসপাতাল পরে আরও বড় একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয় যেখানে নিঃস্বার্থ চিকিৎসকেরা নিরলস কাজ করে অঞ্চলটির চেহারাই পালটে দিয়েছিলেন। ডাঃ নর্মান বেথুন ও ডাঃ দ্বারকানাথ কোটনিসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কলকাতা থেকেও এক দল চিকিৎসক ছত্তিশগড়ে পৌছে 'শহীদ হাসপাতালের' পাশে দাঁড়িয়ে এই স্বাস্থ্য আন্দোলনকে আরও উন্নত স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন। একদিকে শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকার লড়াই, অন্যদিকে সুস্থ সমাজের ভিত নির্মাণ- এই ছিল শঙ্কর গুহ নিয়োগীর ‘সংঘর্ষ ও নির্মাণের’ দর্শন।

শহীদ হাসপাতাল

আজকের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে সেই দর্শনের বাস্তব রূপায়ন অনেকটাই সম্ভব। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, বিদ্যুৎ- এইসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিষেবা ও পরিকাঠামো যদি যথাযথ ও সুষ্ঠু ভাবে প্রদান করা যায়, তা একদিকে যেমন গরিব মানুষের প্রকৃত আয় বাড়াতে সাহায্য করে, অন্যদিকে ভবিষ্যতের জন্য এক কর্মক্ষম, দক্ষ, শিক্ষিত মানবসম্পদও নির্মাণ করতে পারে। রাজনীতির এই ধারাটাই আজ সর্বত্র আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে। সাধারণজনের চৈতন্য ও মননে সেই আকাঙ্ক্ষারই অনুরণন। যে রাজনৈতিক দল তা উপলব্ধি ও অনুশীলন করবে, মানুষ ধীরে ধীরে তাকেই সমর্থন দেবে। সম্ভবত এই কারণেই সর্বত্র আপ’এর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে।

এখন প্রশ্ন হল, আপনি কোনদিকে? ধর্মীয় হানাহানি-জাতপাতের রাজনীতি নাকি প্রকৃত আয় বৃদ্ধির রাজনৈতিক-অর্থনীতি? সাধারণ মানুষকে আজ এই দুই পক্ষের কোনও একদিকে এসে দাঁড়াতে হবে! 

  

3 comments:

  1. পড়লাম এর জন্য দীর্ঘস্থায়ী অনুশীলন প্রয়োজন। যদি সরকারি এই দান খয়রাতি প্রকৃত প্রোডাক্টিভ কাজে ব্যাবহার হত। একবার এক একান্ত আলাপচারিতায় আমি অমিত ভাদুড়ি কে জিগেস করেছিলাম ১০০ দিনের কাজ জমি একলপ্তিকরন করে কাজে লাগালে যৌথ চাষে ফসলের দাম কমতো। এমন ভাবনা কি ভাবা যায়? উনি তখন কোন উত্তর দেননি। দান খয়রাতি আদতে কর্মনাশা। এর সঠিক ব্যনহার প্রয়োজন। শিক্ষা স্বাস্থ্যে এই খরচ রাষ্ট্রের দায়িত্ব হওয়া উচিত। ভোট যদি এই বাধ্যতার জন্ম দিতে পারে তা সংঘর্ষের প্রতিরুপ।

    ReplyDelete
  2. প্রদ‍্যুম্ন বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়6 October 2022 at 21:07

    ভালো লাগলো লেখা টা।আপ এর নতুন ধরনের রাজনীতি চর্চা আর এর পাশাপাশি দেশে র না না প্রান্তের ভিন্ন ভিন্ন স্থানীয় অজানা উদ‍্যোগগুলি প্রচার করা জরুরি।ছত্রিশগ ড়ে র ব‍্যাতিক্রমী ঘটনা বলীর উল্লেখ তুমি করলে।আশ্চর্য সেইসব দিনগুলি র মত আরো কিছু কিছু উদ‍্যোগ অজানা থেকেই যায়।কারনটা জানা। সিলেবাসে নেই।আর এগুলো প্রচার করলে পৈসা নেই।একেবারে প্রান্তে অবস্থান করা এই সমস্ত ঘটনাবলি তুলে আনা জরুরি।আমাদের জন‍্য।গরীবগুরবো দের জন‍্য।

    ReplyDelete
  3. মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা নাথাকাই ফ্রি আপাওয়ার অধিকারটি জড়িত।
    লেখটি সহজ করে বলা হয়েছে।
    এখন নির্বাচন কমিশন দিয়ে সংস্কারের নামে আপের মতো বিরোধী দ্লকে আটকাতে উদ্দ্যোগী।
    অসিত রায়

    ReplyDelete