ঠিক কী বলতে চাইছেন তিনি?
অনিন্দ্য ভট্টাচার্য
গত ২৮ অক্টোবর হরিয়ানার সূরযখণ্ডে রাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকগুলির এক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সদম্ভে ঘোষণা দিয়েছেন যে, শুধু ‘বন্দুকধারী নকশালদের’ নয়, এবার ‘কলমধারী নকশালদের’ও উপড়ে ফেলতে হবে।
আশ্চর্যের কথা হল, হঠাৎ এই বিষোদগার কেন? কারণ, মাওবাদী বলে যাদের চিহ্নিত করা হয়, গত কয়েক বছরে তাদের কার্যকলাপ অনেকটাই স্তিমিত; ছত্তিশগড় ও সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে তাদের কিছু ভিত্তি আছে, কিন্তু সেখানে বড়সড় ‘গেরিলা অ্যাকশন’ ধরনের কোনও ঘটনাক্রম ইদানীং চোখে পড়েনি; উপরন্তু, তাদের সংগঠনের বহু নেতা এখন জেলে, কেউ কেউ আত্মসমর্পণও করেছেন। দেশের কোনও কোনও অঞ্চলে শোনা যায় তাদের সংগঠন বিস্তৃতির প্রচেষ্টা রয়েছে, কিন্তু তা গণআন্দোলন ও আইনি লড়াইয়ের স্তরেই সীমাবদ্ধ। এই মুহূর্তে দেশ জুড়ে মাওবাদীদের প্রবল প্রতাপ আছে বলে সরকারের তরফেও কোনও রিপোর্ট দাখিল হয়নি। মাওবাদী ব্যতীত অন্যান্য নকশালপন্থীদের যে কার্যকলাপ তা মূলত সংসদীয় গণতন্ত্রের চৌহদ্দির মধ্যেই সীমাবদ্ধ- বিহার ও ঝাড়খণ্ডে সিপিআইএমএল (লিবারেশন)’এর যথাক্রমে ১২ ও ১ জন এমএলএ পর্যন্ত রয়েছে। তাই, কোনওভাবে এ কথা সাব্যস্ত হচ্ছে না যে নকশালপন্থীরা বন্দুকের ভাষায় কথা বলছে। বরং উল্টোদিকে, শান্তিপূর্ণ ও আইনি পথে বিবিধ গণ আন্দোলনের ওপর কেন্দ্রীয় সরকার আইন প্রণয়ন করে অথবা ইউএপিএ ধরনের আইন প্রয়োগ করে কিংবা সশস্ত্র পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনী নামিয়ে দমন করে চলেছে। বন্দুকটা বরং শাসকের হাতেই গর্জাচ্ছে।
তাই স্বাভাবিক, প্রশ্ন উঠবে, তবুও মোদিজী ‘বন্দুকধারী নকশাল’দের বিপদ সম্পর্কে এতটা ‘উৎকণ্ঠা’ প্রকাশ করলেন কেন? আর সেই সঙ্গে ‘কলমধারী নকশাল’দের কথাও পাড়লেন। তারা কারা? এতদিন তিনি ‘শহুরে নকশাল’ বলে কাউকে কাউকে দাগিয়ে দিতেন। এবার ‘শহুরে নকশাল’ না বলে তিনি ‘কলমধারী নকশাল’ বললেন। ‘শহুরে নকশাল’ আর ‘কলমধারী নকশাল’ কি একই বস্তু? নাকি, ‘শহুরে নকশাল’ বললে পরিধিটা একটু খাটো হচ্ছিল, ‘কলমধারী নকশাল’ বলে তিনি পরিসরটাকে আরও বৃহৎ করলেন। এখানেই সম্ভবত আসল রহস্যটা লুকিয়ে আছে। আরও গভীরে গেলে প্রশ্নটা হবে, আসলে তিনি কোথায় বা কাদের ভয় পাচ্ছেন?
বোঝাই যাচ্ছে, ‘নকশাল’ ব্যাপারটা ছুতো মাত্র। যে ভাবে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বা ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে কাউকে দেগে দিলে তা প্রমাণ করা অথবা গণতান্ত্রিক আচার-বিচারের কোনও দায় থাকে না, তেমনই কাউকে ‘নকশাল’ বলে চিহ্নিত করতে পারলে তাকে স্রেফ নিকেশ করারও আর কোনও বাধা থাকে না। কিন্তু ‘নকশালপন্থা’ কি একটি রাজনৈতিক মতাদর্শ নয়? কাশ্মীরের কোনও জঙ্গীকে ধরে কি নকশাল বলে চালানো যাবে? না, তা হাস্যকর হবে। একই কারণে অসমের ‘আলফা’র কোনও জঙ্গীকে ধরেও নকশাল বলে চালাতে অসুবিধা আছে। একই সমস্যা হবে, আল-কায়দা’র কোনও জঙ্গী মডিউলকে ধরে নকশাল বলে ছাপ মারতে। এদের মধ্যকার মতাদর্শগত ও উদ্দেশ্যগত ফারাকগুলি মোদি সাহেব বোঝেন। কারণ, আরএসএস’এর শিবিরে তাঁর প্রশিক্ষণ নেওয়া আছে। তিনি ভালমতোই জানেন, ‘নকশালপন্থা’ হল এমন এক মতাদর্শ যা শ্রমজীবী মানুষের স্বাধিকার ও আত্মমর্যাদার কথা বলে, তাদের পথ ও মত নিয়ে যতই বাদ-বিবাদ থাকুক না কেন! এও বাস্তব, নকশালপন্থীদের বড় একটা অংশ আজ সংসদীয় গণতন্ত্রের অংশীদার এবং দেশ জুড়ে নির্বাচনী ময়দানে তারা বিজেপি’র কোনও বড়সড় প্রতিদ্বন্দ্বীও নয় (বিহার বা অন্যান্য রাজ্যের অল্প কিছু অঞ্চল ছাড়া)। তবুও আজ মোদিকে তাদের নামেই হুঙ্কার ছাড়তে হচ্ছে। আশ্চর্যের হলেও এটাই আজকের কঠোর বাস্তব। কারণ, নকশালপন্থীরা সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়লেও তাদের মৌলিক মতাদর্শটি আজ দেশ জুড়ে বিজেপি’র সামনে বিপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে। আর সেই মতাদর্শটি হল, শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের লড়াই, বিশেষ ভাবে আজকের পরিস্থিতিতে, যখন বিজেপি উত্থাপিত হিন্দু-মুসলমানের বিভাজনের রাজনীতি ও হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার তাদের খোয়াব শ্রমজীবী মানুষকে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে ভ্রাতৃঘাতী অনাচার ও দাঙ্গায়।
গত এক দশক ধরে বিদ্বেষ ও বিভাজনের যে রাজনীতি সাধারণ মানুষকে ছত্রভঙ্গ করেছে, নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে প্ররোচিত করেছে ও তাদের রুটি-রুজির সমস্যাকে তীব্রতর করেছে, তার থেকে মুক্তির পথ খুঁজছে দিশাহীন মানুষ। একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে নিকেশ করে ও কর্পোরেটদের হাতে অর্থনীতিকে সঁপে দিয়ে রাষ্ট্রকে প্রায়-সম্পূর্ণ ভাবে জনগণের দায় মুক্ত করে হিন্দু-হিন্দি রাষ্ট্র স্থাপনের যে প্রবল মতাদর্শটিকে আরএসএস-বিজেপি আজ হাতিয়ার করে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে, তার বিরুদ্ধে রুটি-রুজির দাবিতে গরিব-মেহনতি মানুষের বৈচিত্র্যের মধ্যে সার্বিক ঐক্য ও রাজনৈতিক অধিকারের আওয়াজই যে হতে পারে প্রকৃত শান্তিকামী বিকল্প- তা ধীরে ধীরে হলেও সাধারণজনেরা তো বুঝছেনই, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকেও নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে বিকল্পের এই বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিতে হচ্ছে। অতএব, এই বিকল্প রাজনীতি প্রকাশ পাচ্ছে বিভিন্ন মাত্রায়, এমনকি বিরোধী দলগুলির রাজনৈতিক অনুশীলনেও। এখানেই মোদি-শাহ জুটির তীব্র আশঙ্কা ও ভয়। তাই, নিজেদের হিন্দু-প্রকল্পকে সচল রাখতে ‘নকশালপন্থা’ই হল সেই শব্দবন্ধ যা দেগে দিয়ে বিরোধীদের মনে ভয় ধরানো ও তাদের ওপর নিপীড়ন নামিয়ে আনা যায়।
আর ‘কলমধারী নকশালপন্থীরা’ হলেন সেই সব অজস্র লেখক ও সাধারণজন যারা বিজেপি’র জনবিরোধী রাজনীতির বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় ও বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ায় অনবরত লিখে তাদের পর্দা ফাঁস করে চলেছেন। একসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি’র আইটি সেলের যে রমরমা ও একচেটিয়া আধিপত্য ছিল তা আজ অনেকটাই চূর্ণবিচূর্ণ। বরং, বিরোধী মতাবলম্বীরা সেখানে আজ যথেষ্ট দৃশ্যমান ও শক্তিশালী। আর সে কারণেই কেন্দ্রীয় তথ্য মন্ত্রক থেকে এই হুমকিও দেওয়া হয়েছে- ইউটিউব, ফেসবুক, ট্যুইটার ধরনের সামাজিক মাধ্যমগুলিকে ভারত সরকারের তীব্র নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকতে হবে যেখানে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কোন অ্যাকাউন্ট বা পোস্ট বাতিল হবে বা থাকবে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যটি পরিষ্কার।
হুমকিগুলি আসছে ঠিক গুজরাত নির্বাচনের প্রাক্কালে, যখন সেখানে বিজেপি-বিরোধী একটা তীব্র হাওয়া বইছে বলে কেউ কেউ দাবি করছেন। গুজরাতে নতুন শক্তি হলেও আম আদমি পার্টি (আপ) তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্য-বিদ্যুৎ মডেল নিয়ে প্রচারে একটা ঝড় তুলেছে বলে অনেকের অভিমত। এই প্রচার বিজেপির হিন্দুত্বের রাজনীতিকে ধাক্কা দিয়ে জনমানসে ধর্ম-জাতপাত-জাতি নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার প্রশ্নটিকে জোরালো ভাবে সামনে নিয়ে আসছে। আর ঠিক সে কারণেই কয়েকদিন আগে মোদি সাহেব গুজরাতে গিয়ে ‘নকশালপন্থা’কে আরেক প্রস্থ গালাগাল দিয়ে এসেছেন। শুধু তাই নয়, প্রকারান্তরে কেজরিওয়াল ও তাঁর দলবলকে ‘শহুরে নকশাল’ বলে দেগে দিতে চেয়েছেন। এখন কেউ কেউ বলছেন (অভয় দুবে), মোদির এই বিভ্রান্তিকর প্রচারের জবাবে কেজরিওয়াল একটি গুগলি খেলে দিয়েছেন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে টাকার নোটের ওপর লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপানোর আর্তি। আসলে, দেশের অর্থনীতির যে হাল মোদি সাহেব তৈরি করেছেন, তা থেকে ভক্তদের উদ্ধার ভগবান ছাড়া আর কেই বা করবেন! এর মধ্য দিয়ে যেন একটা হেঁয়ালি ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে, যা বুঝতে বুঝতেই মোদি সাহেবের দিন পার। আর যেই আঁচ করেছেন ব্যাপারটা, তখন আরও বিভ্রান্ত হয়ে প্রায়-সকলকে ‘নকশালপন্থা’র বস্তায় পুরে সূরযকাণ্ড থেকে গোলাটা ছুঁড়েছেন। এদিকে ভূতের মুখে রামনাম হলেও বেবাক এই দৃশ্যটাও পাশাপাশি দেখা গেল- গোদি মিডিয়া ও বিজেপি’র নেতারা একযোগে বলতে শুরু করেছেন ‘আমাদের দেশ ধর্ম-নিরপেক্ষ’। কার বোঝা কে বয়!
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কর্ণের রথের চাকা যখন বসে গিয়েছিল, নীতিনিষ্ঠ ও দ্বিধান্বিত অর্জুন অস্ত্র সংবরণ করেছিলেন। কারণ, নিরস্ত্র যোদ্ধার ওপর অস্ত্র চালানো যায় না। কিন্তু সারথী কৃষ্ণ অর্জুনকে বুঝিয়েছিলেন, এই হল উপযুক্ত সময়, এখনই কর্ণকে বধ করো; মনে করে দেখ, কর্ণ কীভাবে তোমার পুত্র বালক অভিমন্যুকে নিরস্ত্র অবস্থায় বধ করেছিল।
জানি না, মোদি-শাহজী'র রথের চাকা মাটিতে বসে গিয়েছে কিনা। তবে ‘কলমধারী নকশাল’দের উপড়ে ফেলতে হবে বলে তিনি যে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তা এক নিদারুণ ভয় থেকে। ভয়টা নকশালদের নয়, নকশালপন্থার মতাদর্শকে, যা গত শতকের ৬০-৭০ ও ৮০’র দশকে দেশের রাজনীতির মোড়টাকেই ঘুরিয়ে দিয়েছিল রোটি-কাপড়া অউর মকানের দিকে। আজ আবারও বাধ্যত সেইদিকে ঘুরছে দেশের রাজনৈতিক মানস- নানা প্রান্তে জল-জঙ্গল-জমি রক্ষার লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে, কর্পোরেটদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী কৃষক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, এমনকি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তথাকথিত ‘রেউড়ি’ রাজনীতির অনুশীলনেও। হ্যাঁ, ধর্ম-জাতপাত-ভাষার হানাহানিতে মদত দেওয়া নয়, রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকের শিক্ষা-স্বাস্থ্যের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়া, গরিব মানুষের কর্মক্ষমতার সুযোগ সৃষ্টি করা, সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে তাদের দৈনন্দিন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচগুলিতে রাশ টানা এবং আর যা এমত কিছু। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বারবার কর্পোরেট করে ছাড়, কর্পোরেট ঋণ মকুব, ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে দেওয়া ইত্যাদির মধ্য দিয়ে বড় বড় ধনকুবেরদের যে বিশাল মূল্যের ‘রেউড়ি’ দেওয়া হচ্ছে, তার বিপ্রতীপে বিভিন্ন স্তরের সরকারি দুর্নীতি বন্ধ করে গরিব মানুষের মধ্যে ‘রেউড়ি’ দেওয়াটাই আজকের প্রকৃত রাজনৈতিক-অর্থনীতি যা দেশের বিকাশের পক্ষে অপরিহার্য।
আসলে, লড়াইটা দুই রাজনৈতিক-অর্থনীতির পথের মধ্যে। কর্পোরেট বনাম শ্রমজীবী
মানুষ। মোদিজী এই লড়াইয়েরই পোশাকি নাম দিয়েছেন: হিন্দুত্ব বনাম
নকশালপন্থা। আর সেখানে কলমের জোর তো বন্দুকের থেকে বেশিই। তাই, কলমধারীদের নিশানা!
সঠিক কথা।
ReplyDeleteমোদি ডর গিয়া।
এখন ওর মরণ দশা।
কেজরিওয়ালের চালে ওর ধর্ম ফেঁসেছে।
এখন গলার ফাঁস পরাতে হবে। আম আদমি তাই করছে।
অসিত রায়
কলমে বড় ভয়, কলম যে সত্যি কথা বলে
ReplyDeletePen is mighter than buldozer 😂
ReplyDeleteআর সব বিষয়ে একমত, কেবল আম আদমির হিন্দুত্ববাদে উত্তরণকে বিজেপি খুব ভয় পাচ্ছে, এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে। বরং আরও একটা মতাদর্শহীন নির্বাচন সর্বস্ব দল অবশেষে হিন্দুত্ববাদকে অস্ত্র করতে বাধ্য হচ্ছে দেখে তাদের তো খুশি হবারই কথা।
ReplyDeleteঅনিন্দ্য তাঁর স্বভাবসিদ্ধ প্রাঞ্জল কথনশৈলীতে মোদীজীর এই বন্দুকবাজ ও কলমবাজ নকশালদের বিরূদ্ধে সহসা আক্রমণের কারণ বিশ্লেষণ করেছেন।আমি অনিন্দ্যর বক্তব্যের প্রতি পূর্ণ সহমত জানাচ্ছি। অভিনন্দন অনিন্দ্য!
ReplyDeleteপৰিচ্ছন্ন লেখা ।
ReplyDeleteকেজরিওয়ালের গুগলি অংশটির সাথে শুধু সহমত নই, বাকি অংশ খুব ভালো। 👌🏼👌🏼👌🏼🌹🌟
ReplyDeleteখুবই সময় উপযোগী এবং প্রাসঙ্গিক
ReplyDeleteকেজিওয়াল এর "চাল" ব্যাপার টা কষ্ট কল্পিত । এবং পশ্চাদ মুখী। কিন্তু ভাবতে ভালো লাগে
ReplyDelete