Wednesday, 25 May 2022

দুর্নীতির শিখরে

এক অনড় অচল ব্যবস্থার সন্ধানে

অনিন্দ্য ভট্টাচার্য


 

গত কয়েক দিনে এ রাজ্যে এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি, কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনা ও যুগান্তকারী রায়, অর্জুন সিং’এর দলবদল, নার্স নিয়োগেও যথেচ্ছাচার, বালি পাচার, মাটি পাচার ইত্যাদি বিবিধ দুর্নীতি, অনিয়ম ও পালাবদলে মিডিয়া ও রাজনৈতিক মহল একপ্রকার অগ্নিগর্ভ। এর মধ্যেই জ্ঞানবাপী থেকে কুতুব মিনার- দিকে দিকে প্রায় সমস্ত মসজিদের নিচেই নাকি শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ক্ষমতা দখলের সাতকাহনে দিকবিদিক এখন সরগরম।

যদি কেউ বলেন, দুর্নীতি তো সব সময়ই ছিল, এ আর এমন কী, এসব কীর্তি আগেও ঘটেছে, এইভাবেই তো দেশ চলছে- এসব বলে ভাবের ঘরে খানিক চুরি করা যায় বটে, কিন্তু আদপে তা যে শেষমেশ আমাদের ঘরেই আগুন জ্বালে, তা বোঝার পরিণতমনস্কতা অনেকেরই বোধকরি হয়নি। ‘চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ো ধরা’- আজ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী প্রায় অনেকটাই আপাত ভাবে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেছেন বলে আগে কোনও মন্ত্রীরা চুরি করেননি তেমনটা যেমন যথেষ্ট ভাবে প্রতিপাদ্য হয় না, তদুপরি, ধরা পড়ে যাওয়া ‘বেচারা’রা মন্ত্রীত্বের ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে যে চরম অপরাধ করেছেন, তারও কোনও ক্ষমা হয় না। আইন অবশ্যই আইনের পথে এগোবে এবং যতক্ষণ না পর্যন্ত তদন্তে ও বিচারে তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা বেনিফিট অফ ডাউটও পাবেন, কিন্তু এর জন্য যে সোরগোল ওঠার দরকার ছিল, বিচার ব্যবস্থার যে তৎপরতা ও নিখুঁত রায়ের প্রয়োজন ছিল, তা প্রদান করে বিচারপতিরা অবশ্যই সুকাজ করেছেন।

২০১৯ সালেও একটা বিচার হয়েছিল, তবে তার বিচারক ছিলেন জনগণ। লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তুমুল ভোট দিয়ে তারা দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একপ্রকার সবক শেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। অনুমান, তাতে কাজ হয়েছিল। ব্যাপক ভাবে চল হয়ে যাওয়া কাটমানির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং মুখ খুলেছিলেন, নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরকে এনে সে ভুল শুধরোনোর একটা বাহ্যিক প্রচেষ্টা (সমালোচকদের ধর্তব্যের মধ্যে গণ্য করে) দেখা গিয়েছিল। অবশ্য, কিছু সত্যিকারের পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তা যেন মিলিয়েও মেলায় না, কিছুদিন হয়তো আড়ালে থাকে, আবার তেমন তেমন ‘সুদিন’ এলে দেখা যায় সেই পুরনো ঘোড়ারোগ আবার স্বমহিমায় বহাল হয়েছে। বলার কথা এই, তার অবশ্যই একটা সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আছে।

বর্তমান সরকারের একদম শুরুতেই এসএসসি’র চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মণ্ডল মহাশয়। তাঁর দাবি মোতাবেক, তিনি সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার একটা ব্যবস্থাপনা চালু করেছিলেন, পরীক্ষায় ডুপ্লিকেট ওএমআর শিটের ব্যবস্থা রেখেছিলেন, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা ওএমআর’এর শিটের একটি কপি বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশিত উত্তরপত্রের সঙ্গে নিজেদের দেয় উত্তর মিলিয়ে নিজেরাই বুঝে নিতে পারেন যে তিনি উত্তীর্ণ কিনা। কিন্তু কিছুদিন পরেই ক্ষমতার বিভিন্ন অলিন্দ থেকে তাঁর ওপর চাপ আসতে থাকে, ক্ষমতাবানদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ করার জন্য তাঁর ওপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়। তিনি সে চাপের কাছে নতি স্বীকার না করায় তাঁকে প্রভাবশালী এক দলীয় নেতা পদত্যাগ করতে বলেন। ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে তিনি পদত্যাগ করেন। এই ঘটনার উল্লেখ করলাম এই কারণে যে, ক্ষমতা দখলকে যখন অসৎ উপায়ে ব্যবহার করতে কোনও দল প্রায় দায়বদ্ধ হয়ে পড়ে, তখন স্বভাবতই সজ্জন ব্যক্তি ও নিয়মনিষ্ঠ ব্যবস্থা সেখানে অকেজো সাব্যস্ত হয়।

এই লেখা যখন লিখছি, তখনই খবর পেলাম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা ও তার সপক্ষে কিছু প্রাথমিক প্রমাণ মেলায় পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান তাঁর স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন। অর্থাৎ, প্রায় সারা দেশ জুড়ে দুর্নীতি যখন একটি অন্যতম বৃহৎ ও জ্বলন্ত সমস্যা, তখন এমন একটি পদক্ষেপ এই বার্তাই দেয় যে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক প্রবণতা দেশ জুড়ে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। এর নজির আমরা আগেই দিল্লির রাজ্য সরকারের কার্যক্রমে পেয়েছি। পঞ্জাবেও নতুন সরকার শপথ নেওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান একটি মোবাইল নং চালু করে সকলকে যে কোনও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা চালু করেছেন। অথচ এ রাজ্যে চিত্রটা সম্পূর্ণ উলটো। আদালতের নির্দেশে প্রতিমন্ত্রীর মেয়ের যখন বেআইনি চাকরিটি খোয়া গেছে এবং তিনি নিজেও অভিযুক্ত ও বিচারপতি রঞ্জিত বাগের তদন্ত রিপোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের তথ্য নথিবদ্ধ হয়েছে, তখন দেখা গেল, তিনি তাঁর শহর কোচবিহারে ফিরে গেলে তাঁকে তাঁর দল ধুমধাম করে সম্বর্ধনা দিচ্ছে। এত কিছুর পরেও এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, এ রাজ্যে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের সম্ভবত একটি সামাজিক গ্রাহ্যতা তৈরি হয়েছে।

দুর্নীতি কি আসলে এক ধরনের সন্ত্রাস? অবশ্যই তাই। দুর্নীতি যখন সমাজে নিয়ম হয়ে যায়, তখন তা অতি অবশ্যই যোগ্যতা, মেধা, অধিকার, নাগরিকত্ব, মানবাধিকার এবং সর্বোপরি জীবনের অধিকারকে লঙ্ঘন করে। এটা করা হয় অর্থের জোরে, বলপ্রয়োগে অথবা ক্ষমতার অপব্যবহারে। আমাদের রাজ্য কি এমনতর ব্যবস্থাপনায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে? অর্থাৎ, এমনটাই চলবে? কাজ হাসিল করতে হলে অথবা স্বার্থসিদ্ধির জন্য দুর্নীতি ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা কি আর নেই? আর এই দুর্নীতি যেহেতু নিজেই এক ধরনের অর্থ-সন্ত্রাস, তাই অন্যান্য সন্ত্রাসের যৌক্তিকতাও অতএব মান্যতা পেয়ে যায়, কারণ, প্রতিটি সন্ত্রাস পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত ও একে অপরের জন্য অপরিহার্য; আর এই পরম্পরা আমাদের রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে বহমান। এ প্রসঙ্গে একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন আমাকে বহুদিন ভাবিয়েছে। ভারতের কোনও রাজ্যে তো নির্বাচনী হিংসা হয় না! তা শুধু এ রাজ্যেই হয় কেন (যদিও ত্রিপুরাতেও হয়, অনেকটা পশ্চিমবঙ্গের মতো বাঙালি-প্রধান রাজ্য হওয়ার কারণে)? এবং তা বহুদিন ধরেই। অর্থাৎ, তাহলে কি যে কোনও কারণেই হোক, ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা ও সন্ত্রাস আমাদের জনসমাজের বড় এক অংশের মননে পাকাপাকি ভাবে বসত গেড়ে রয়েছে? আর এই সন্ত্রাসের বাধ্যবাধকতাতেই কি দুর্নীতির অবাধ ও সংগঠিত চক্র সাবলীল ও অনুমোদিত গতিতে এখানে ক্রিয়াশীল? কারণ, যে কোনও সন্ত্রাসের সঙ্গেই অর্থের সম্পর্কটি প্রগাঢ় ভাবে যুক্ত।

মোটামুটি ভাবে দেখা যাবে, সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরি, ঋণ, হাসপাতালে ভর্তি, কলেজে ভর্তি, দোকানঘর, সরকারি টেন্ডার, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ইত্যাদি আদায় করতে দুর্নীতির এক বিস্তৃত চক্র কাজ করে। যদিও গত দু-তিন বছরে ‘দুয়ারে সরকার’ বা ‘পাড়ায় সমাধান’ ধরনের উদ্যোগ মারফত একটা চেষ্টা চলেছে কিছু কিছু সুযোগ-সুবিধাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার। এতে হয়তো কিছু সুরাহা হয়েছে। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে যেহেতু সরকারি চাকরির সুযোগ এ রাজ্যে কম, তাই বহুজনের চেষ্টা থাকে যে করে হোক একটা সরকারি কাজ বাগিয়ে নেওয়ার। নিরাপত্তা ও সময়ে বেতন প্রাপ্তির কারণেই এক বড় অংশের মানুষের এই চাকরির প্রতি দুর্বলতা। আর সেখানেই দুর্নীতির সব থেকে বড় বাস্তুঘুঘুর বাসা। আর এর জন্য প্রয়োজনে মোটা টাকা বিনিয়োগ করতেও অনেকেই রাজী, যদি সোজা পথে তা না জোটে। রাজী এই কারণে যে, যোগ্যতা না থাকলেও এমন পাকা চাকরি স্রেফ অর্থের বিনিময়ে লব্ধ হতে পারে- এর থেকে সহজতর পথ আর কী! অর্থ, ক্ষমতা ও সন্ত্রাসের এ এক অশুভ পরিণয়। আর এই পরিণয়ের অবয়বটা নির্মিত হয় এক বিস্তৃত চক্রজালের মাধ্যমে।

দীর্ঘদিন ধরে এসএসসি কর্মপ্রার্থীদের লাগাতার আন্দোলন, প্যানেল ভুক্ত হয়েও বেনিয়মের কারণে সেখান থেকে ছিটকে যাওয়া ববিতা সরকারের মামলা, প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিত বাগের প্রায় ১৫০০ পাতার তদন্ত রিপোর্ট, আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে এসএসসি’র বিদায়ী চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের পেশ করা বিতর্কিত প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের উল্লেখ, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আপসহীন নির্দেশ- এই সমস্ত মিলে উইয়ের ঢিপির মতো মজবুত সেই দুর্নীতি চক্রে মস্ত আঘাত পড়েছে। হ্যাঁ, আঘাতটা মস্ত ও সুবিপুল, এই কারণেই যে, এর ফলে টাকা খাইয়ে ইতোমধ্যে নিযুক্ত কয়েকশো 'শিক্ষাকর্মী'র (অঙ্কিতা অধিকারীর মতো) চাকরি এবার যেতে বসেছে। প্রশ্ন উঠছে, তারা ওই চাকরি জোটাতে যে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছিল, তার এবার কী হবে। সম্ভবত, এমন একটি পিছুযায়ী অভিঘাতের তরঙ্গ তৈরি হবে যার ফলে ওই চক্রে সামিল প্রায় সকলেরই নাড়ি ধরে টান উঠবে। আর সে হবে ভয়ঙ্কর!

তবে মুশকিল হল, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস যদি আমাদের যাপনে কয়েক দশকের কঠিন অভ্যাস ও পরম্পরার অঙ্গ হয়ে থাকে, তাহলে ওই পিছুযায়ী অভিঘাতের তরঙ্গ দৃশ্যত খুব সুদূরপ্রাসারী নাও হতে পারে। চারপাশে তাকালে, নিয়মিত স্কুলের পাশাপাশি, রীতিমতো আরও বেশি অর্থ ব্যয় করে, সমান্তরাল স্কুলের দৌরাত্ম যখন ঘোর বাস্তব, সরকারি দফতরে পাওনা কাজ আদায় করতে গেলে ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ যখন নিত্য দস্তুর, আদালতে বিচারপতির কক্ষে মামলা ওঠাতে গেলে যখন ‘ঢাকের দায়ে মনসা বিকোয়’ অবস্থা, তখন স্বাভাবিক যে, সুরক্ষিত চাকরি পেতে গেলেও ‘দেখলে হবে খরচা আছে’ নীতিতেই তা কার্যকর হবে। দাতা এবং গ্রহীতা- উভয়েই যদি উর্ধ্বতন শাসকের মদতে এমন একটি বিধিব্যস্থা নিজেরা কায়েম করে তাকে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে সমাজে জনপ্রিয় করে তুলতে পারে, তাহলে এর বিরোধিতা করার জন্য তো অল্প সংখ্যক যোগ্যতর মানুষেরাই পড়ে থাকে! তাদের কথায় আমল দেওয়ার কি আর তেমন প্রয়োজন থাকে?

আমাদের দেশের অবস্থা কতকটা তাই। এ রাজ্যেরও। যখন আমরা বলি, একটা ব্যবস্থা পচে গেছে, তখন তার অর্থ হল, সেই ব্যবস্থাটি আর চলছে না। যদি টাকার জোরে শিক্ষায় পর্যদুস্ত লোকেরা শিক্ষক হয়, হাতুড়ে লোকেরা চিকিৎসক হয়, অদক্ষ লোকেরা প্রযুক্তিবিদ হয়, তাহলে সে দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকের কর্মদক্ষতা কেমনতর হবে তাতে কি আর কোনও সন্দেহ থাকে? এ এক ভয়ঙ্কর অপরাধ। আর এর শিকার হন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষেরাই, যারা অর্থের অভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কার্যকরী শিক্ষা বা চিকিৎসা পেতে অক্ষম। তাই, আখেরে আমরা সকলেই বিপন্ন। যিনি টাকার বিনিময়ে কিছু জুটিয়ে নিয়েছেন, তিনিও। কারণ, তিনিও এই অন্যায্য, নিষ্ঠুর ব্যবস্থার শিকার, অন্যত্র।

 

7 comments:

  1. Mahachorke aural Karcher keno?

    ReplyDelete
    Replies
    1. দুর্নীতির আকার এত বড় এবং দুর্নীতিবাজের চেহারা এতো বেশি যে ভদ্রতার কারণে আড়াল করলেও আড়াল হবে না । 😂😛😁😀🎃

      Delete
  2. " দুর্নীতি কি আসলে এক ধরণের সন্ত্রাস ? অবশ্যই তাই।" এই কথাটা আপনি একদম ঠিক বলেছেন । অনেকেই এটা বুঝতে পারেনা । দুর্নীতি এক প্রকারের সন্ত্রাস বলেই আমি বরাবর দুর্নীতির ব্যাপারে বিভিন্ন ভিডিও, লেখালিখি, তথ্য মানুষকে পাঠাই, বিভিন্ন জায়গায় বলি । এইজন্য অনেকে রেগে যায় কিন্তু আপনি ঠিক জিনিসটা ঠিক মতো ধরতে পেরেছেন বলে খুব ভালো লাগলো । লেখাটা আমার খুব খুব ভালো লেগেছে । দু'বার পড়লাম । প্রতিটি কথা যুক্তিযুক্ত এবং আমিও এই একই মত পোষণ করি । ♥️🤛🏼🌹

    ReplyDelete
  3. ঠিকই ত আগেও চুরি হয়েছে এখনও চুরি, এই কথা বলে এই অমার্জনীয় অপরাধকে সমর্থন করা যায় না। এখন উন্মুক্ত চুরি , হাতে নাতে সব ধরা পরে গেছে। .....তবে অযোগ্যকে যোগ্য নির্বাচন করে তাকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা করার মুন্সিয়ানা ত বামপন্থীদের কাছ থেকে শিখতে হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন তৈরী হওয়ার আগে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতমকে মৌখিক পরীক্ষায় আসতে না দিয়ে অযোগ্যকে নির্বাচনের ভুরি উদাহরণ আছে। ১৯৮৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তোষ ভট্টাচার্য উপাচার্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার সঙ্গে যে সার্বিক অসভ্যতা ও অসহযোগিতা তা ত ইতিহাস।(Red Hammer over Calcutta University Santosh Bhattacharjee-Statesman) সমস্যা ও আপত্তি এখানেই যে এমন একটা ভাবরাজ্যের নির্মাণ চলছে যেন রামরাজ্য থেকে ঘোর কোলিতে এসে পৌঁছেছি , আপত্তি এখানেই।

    ReplyDelete
  4. সন্ত্রাস ও দূর্ণীতিকে বাংলার সমাজের বিরাট একটি অংশ সমর্থন করে মান্যতা দিয়েছেন--- আপনার এই কথাটা মানতে পারলাম না।
    সিপিএমের দীর্ঘ আমলে পার্টিবাজ সিপিএমের অন্যায় দেখে ভয়ে মুখ খুলতে পারে নি। বিরোধী পক্ষ খুব দূর্বল ছিল। তাই অপারগ হয়েও সাধারণ মানুষ বামফ্রন্টকে ভোট দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তার পরিণাম কী হয় তা ১৯১১ সালের ভোট ও ২০২১ সালের ভোট দেখিয়েছে।
    আবার তৃণমূল হত্যা ও সন্ত্রাস এবং ব্যাপক দূর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েও, মুখ্যমন্ত্রীর নানা নানা ডোল দেওয়ার উদ্ভাবনী শক্তি ও ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরের ব্যবস্থাপনা এবং নানা অনৈতিক প্রশ্রয়ের মাধ্যমে মুসলিম ভোট ১০০% নিশ্চিত করার এককাট্টা উদ্যোগ এই গরীব রাজ্যে ভোটে জেতা নিশ্চিত করেছে।
    কিন্তু দূর্ণীতির লাগামছাড়া প্রসার ও ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে হত্যালীলা যেভাবে বাড়ছে এবং বিরোধীদের হত্যা ও নানাভাবে হেনস্তা করতে প্রশাসনকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে -- তা অচিরেই সিপিএমের মতো এই দল বনবাসে যাবে। কারণ এক সময় মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গে।
    *** যা আমাকে সবথেকে পীড়িত করে তা হল দল বা বিশেষ নেতা/নেত্রী প্রিয়তা বাংলার সাধারণ মানুষকে যেভাবে মোহে আবিষ্ট রাখে--তার পরিণাম হল এই অন্যায় ও সন্ত্রাসের রাজত্ব দীর্ঘদিন চলে এই বাংলায়।আর এই বাংলায় নানা দিকে সরকারি স্তরে কর্মসংস্কৃতির ভয়ঙ্কর অভাব ও ঘুষের রমরমা-- যা এক ধরনের সন্ত্রাস।

    ReplyDelete
  5. ভালোই লিখেছিস! তবে এদেশে যে অনুদান ভিক্ষুকের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে, তাই.....

    ReplyDelete
  6. যারা লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে, ঘুষের বিনিময়ে অবৈধভাবে চাকরি নিল তাদেরও কেন শাস্তি হবে না, সেবিষয়ে কিছু বলা উচিত ছিল এই আলোচনায়। যাতে ভবিষ্যতে কেউ ঘুষ দিয়ে চাকরির চেষ্টা না করে, অন্ততঃ দুবার ভাবে!!

    ReplyDelete