Sunday, 23 May 2021

মনুষ্য-সৃষ্ট?

কোভিড-১৯ ভাইরাসের উৎপত্তি

শোভনলাল চক্রবর্তী


করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে গত ১৫ মাসে আলোচনা নেহাত কম হয়নি। ভাইরোলজিস্ট, বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান লেখক, চিকিৎসক থেকে শুরু করে বহু সাধারণ মানুষ এই ভাইরাসের উৎপত্তির বিষয়ে তাঁদের নিজস্ব মত দিয়েছেন। সেই সব মত নানা মাধ্যমে আমরা দেখেছি বা পড়েছি। বিভিন্ন মতের মধ্যে পাওয়া গেছে প্রধানত তিনটি মতের সংখ্যাগরিষ্ঠতা। প্রথমত, এই ভাইরাস প্রাকৃতিক। প্রকৃতির এ এক নিদারুণ প্রতিশোধ, মানুষের প্রকৃতির প্রতি অবহেলার যোগ্য জবাব। দ্বিতীয়ত, এই ভাইরাস কোনও এক পরীক্ষার ভুলত্রুটির কারণে নেহাতই দুর্ঘটনাবশত ল্যাবরেটরির বাইরে বেরিয়ে এসেছে। তৃতীয়ত, এই ভাইরাস একটি জীব-বৈজ্ঞানিক অস্ত্র , যার সাহায্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা হ্রাস করা হবে এবং এটা একটা বিরাট ষড়যন্ত্রের অংশ, যার সাহায্যে দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠা করা হবে 'ওয়ান ওয়ার্ল্ড, ওয়ান অর্ডার'। 

এসব ক্ষেত্রে সাধারণত যা হয় তা হল, যখন সাধারণ মানুষের সামনে কোনও ঘটনা ঘটার একাধিক ব্যাখ্যা থাকে তখন প্রবৃত্তিবশত মানুষ সবচেয়ে সহজ ব্যাখ্যাটিকে মেনে নেয়। এর একটি বৈজ্ঞানিক পরিভাষা আছে তাকে বলে 'Occum's razor' (ওখামের নরুণ)। এ ক্ষেত্রে মানুষ যে ব্যাখ্যাটি মেনে নিয়েছিলেন, সেটি হল বাদুড় থেকে ভাইরাসটি উহানের ওয়েট মার্কেটের কোনও প্রাণীর মাধ্যমে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়। বিজ্ঞানের ভাষায় সংক্রমণটি জুওনটিক, অর্থাৎ প্রাণী থেকে মানব দেহে সংক্রমিত। 

মানুষের মনে এই ধারণাটি বদ্ধমূল হয়েছিল একাধিক কারণে। যার প্রথমটি হল, করোনা-১৯ ছড়িয়ে পড়ার শুরুতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর পক্ষে যে আধিকারিক ও চিকিৎসক দল চিনের উহানে গিয়ে এই ভাইরাসের উৎপত্তি সম্পর্কে অনুসন্ধান চালান, তাঁদের ক্লিন চিট। তাঁরা চিনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন যে ভাইরাসটি সম্পর্কে চিন যে বিশ্ববাসীকে আগাম সতর্ক করেছে এবং ভাইরাসটি যাতে উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য তাঁরা যে সব ব্যবস্থা নিয়েছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে এবং এর জন্য তাদের ধন্যবাদ প্রাপ্য। প্রসঙ্গত এটা জানিয়ে রাখা দরকার যে, উহানে অবস্থিত উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকেই এই ভাইরাসটির উৎপত্তি- এই তত্ত্বের বিরুদ্ধে চিন এবং হু দুই তরফই প্রবলভাবে আপত্তি জানায়, যে যার নিজের মতো করে। 

চিনে যে চক্ষু বিশারদ প্রথম সবাইকে ই-মেল করে জানান যে একটি অজানা ভাইরাসের প্রকোপে উহানে প্রচুর মানুষ শ্বাসকষ্ট জনিত অসুখে ভুগছেন এবং মারা যাচ্ছেন, তাঁকে পত্রপাট জেলে বন্দি করা হয় এবং সেখানেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। তবে ওই ই-মেল প্রকাশ্যে আশায় চিন বাধ্য হয় করোনা-১৯ ভাইরাসের কথা স্বীকার করতে। সেই সময় হু পৃথিবীর ভাইরোলজিস্টদের অনুরোধ করে এ ব্যাপারে কিছু জানাতে। সেই অনুরোধ লুফে নেন আমেরিকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাইরোলজিস্ট পিটার ডেসড্যাগ। তিনিই উদ্যোগী হয়ে পৃথিবীর সব বড় বড় ভাইরোলজিস্টকে যুক্ত করে একটি চিঠির বয়ান তৈরি করেন এবং সেই চিঠি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রকাশিত হয় ল্যানসেট পত্রিকায়। সেখানে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয় যে ভাইরাসটি প্রাকৃতিক এবং জুওনটিক। এর সঙ্গে উহানের ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিকে যুক্ত করে দেখার কোনও কারণ নেই। 

এর ঠিক পরেই ১৭ মার্চ ২০২০ তারিখে আমেরিকার আর এক বিখ্যাত ইমিউনোলজিস্ট ক্রিস্টিয়ান এন্ডারসন ও তাঁর সহ-গবেষকদের লেখা একটি চিঠি প্রকাশিত হয় নেচার পত্রিকায়, যেখানে তাঁরা স্পষ্ট করে জানান যে কোভিড-১৯-এর গঠনতন্ত্রই প্রমাণ করে যে এই ভাইরাসটি ল্যাবরেটরিজাত হতেই পারে না। ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের মনে প্রাকৃতিক ভাইরাস তত্ত্বটি প্রতিষ্ঠা পায়। 

এরপর আসতে শুরু করে হু-এর নানাবিধ সতর্ক বার্তা, যা অনেক সময় ছিল স্ববিরোধী। তবে বিজ্ঞান তো এই ভাবেই এগোয়, ভুল করতে করতে সে নিজেকে শোধরায়। কিছুকাল পরে এল করোনা বায়ুবাহিত তার প্রমাণ, বিজ্ঞানী জেনেথ টুথেচ্চি সেই কাজ করলেন। হু এরপরই মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করে। সবই ঠিক ছিল, কিন্তু বাধ সাধল কয়েক সপ্তাহ আগে বিজ্ঞানের একেবারে ওপরের দিকে যারা ওপরে, এমন একটি পত্রিকা 'বুলেটিন অফ দ্য এটমিক সায়েনটিস্ট' পত্রিকায় নিকোলাস ওয়েড-এর একটি দীর্ঘ প্রায় রহস্য উপন্যাস-সম করোনা-১৯ সম্বন্ধীয় প্রবন্ধ। নিকোলাস ওয়েড ২০১২ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস'এর বিজ্ঞান সম্পাদক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শেষ করেন। তাঁকে সারা বিশ্ব চেনে বিজ্ঞান সাংবাদিকতার জনক হিসাবে। বর্তমানে নিকোলাসের বয়স ৮০, তিনি লেখেন খুব কম, কিন্তু যখন লেখেন তখন সারা বিশ্ব গোগ্রাসে গিলে ফেলে তাঁর লেখা। সাম্প্রতিক প্রবন্ধটিতে তিনি যে শুধু করোনার উৎস সন্ধান করেছেন তাইই নয়, প্রায় পাকা গোয়েন্দার মতো জোড়া দিয়েছেন করোনা সংক্রান্ত জিগ-স পাজেলের বিভিন্ন অংশগুলি, যেগুলি জোড়া লাগিয়ে পাওয়া সম্ভব একটি স্পষ্ট ধারণা। 

নিকোলাস শুরুতেই একটি সঙ্গত প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, আজ যখন বিজ্ঞান এতটা অগ্রসর হয়েছে, তখন কোন প্রাণী থেকে কোভিড মানব দেহে সংক্রমিত হল, সেই প্রাণীটিকে আজ ১৫ মাস পরেও খুঁজে পাওয়া গেল না কেন? সার্স-১'এর ক্ষেত্রে ৪ মাসের মধ্যেই বলে দেওয়া হয়েছিল যে বাদুড় থেকে সিভেট জাতীয় এক বন্য প্রাণী (যা দেখতে বেড়ালের চেয়ে একটু বড় এবং চিনেরা সিভেটের মাংস খান) থেকে এই সংক্রমণ মানুষের শরীরে এসেছে। মার্সের ক্ষেত্রে ৯ মাসের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল যে বাদুড় থেকে উটের মাধ্যমে এই ভাইরাসটি মানুষকে সংক্রমিত করেছে। কিন্তু কোভিডের ক্ষেত্রে প্রাণীটি কী? এরপর তিনি লিখেছেন যে কারা এই প্রচার করছেন যে ভাইরাসটি প্রাকৃতিক? পিটার ডেসড্যাগ? (একটু স্মরণ করাই, ইনিই সেই যিনি দলবদ্ধ ভাবে ল্যানসেট'এ পত্র পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন যে ভাইরাসটি প্রাকৃতিক) যিনি আমেরিকার ইকো হেলথ আলাইন্স-এর প্রেসিডেন্ট, যাঁদের অর্থে চলে উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি। এতেই থেমে থাকেননি নিকোলাস, তিনি ডেসড্যাগের ২০১৯-এর ৯ ডিসেম্বরের একটি সাক্ষাৎকারের উল্লেখ করেছেন যেখানে ডেসড্যাগ বলেছেন যে তাঁরা উহানে করোনা ভাইরাস ল্যাবরেটরিতে তৈরি করেছেন। যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে, এই ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তায় তৈরি ভাইরাস কতটা বিপদজনক, তখন ডেসড্যাগ এক লম্বা বক্তব্য পেশ করেন যার মূল প্রতিপাদ্য দুটি। এক, মানুষকে যদি প্রকৃতিকে জয় করতে হয় তবে একটু রিস্ক তো নিতেই হবে। দুই, যাঁরা অর্থ জোগাচ্ছেন তাঁদের একটা চাহিদা থাকে। এই ভাইরাসটি তাঁদের সার্সের কোনও দ্বিতীয় ঢেউ এলে সাহায্য করবে সবার আগে ভ্যাকসিন তৈরি করতে। আজ যদি প্রমাণিত হয় ওই ল্যাবরেটরি থেকেই করোনা ছড়িয়েছে তবে সেটা ডেসড্যাগ'এর জন্য মোটেই সুখের হবে না। স্পষ্টতই ডেসড্যাগ'এর স্বার্থ ছিল করোনা প্রাকৃতিক এটা প্রমাণ করার। 

ডেসড্যাগ'এর পর নিকোলাস লিখেছেন এন্ডারসনকে নিয়ে, যে এন্ডারসন নেচার পত্রিকায় করোনার গঠনতন্ত্রের উল্লেখ করে বলেছিলেন যে করোনা প্রাকৃতিক। এন্ডারসনের যুক্তি ছিল দুটি: প্রথমত, মানুষ যদি তৈরি করত এই ভাইরাস তবে ওই ভাইরাসের যে তীরের মুখ (স্পাইক) তার মাপ আর কোষের মধ্যে যে খাঁজে এই তীরের মুখ ঢুকছে তার মাপ এক হত। কিন্তু সেই মাপ আলাদা। দ্বিতীয়ত, এই ভাইরাস আরএনএ ভাইরাস, যা ক্ষণস্থায়ী হওয়ায় ল্যাবরেটরিতে তৈরি সম্ভব নয়, ডিএনএ হলে তাও হতে পারত। এই দুটি যুক্তিকেই নির্মমভাবে খণ্ডন করেছেন নিকোলাস। তিনি লিখেছেন, এন্ডারসন প্রভাবশালী বিজ্ঞানী, তাঁর কাজের ও মুখের দিকে টাকার থলে নিয়ে তাকিয়ে থাকেন ফার্মা কোম্পানিরা। এন্ডারসন একজন বিজ্ঞান মাফিয়া। তাই  তিনি ভাবছেন, তিনি যা বোঝাবেন, তাঁর বশংবদরা তাতেই সায় দেবেন। তা হয়তো দিতে পারেন তাঁরা, কিন্তু বিজ্ঞানের কোনও দায় নেই এন্ডারসনকে মেনে নেওয়ার। নিকোলাস পাল্টা লিখেছেন মানুষের তৈরি বলেই খাঁজের মাপের অমিল রয়েছে। কারণ, প্রতিসাম্য (সিমেট্রি) প্রকৃতির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। এছাড়া এই তীরের মুখে যে দুটি প্রোটিন আছে এস- ১ এবং এস- ২, তারা গিয়ে যে খাঁজে (ফুরিন ক্লিভেজ) পড়ে কোষের পর্দা ছিঁড়ে ফেলে সেই প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা হয়ে গিয়েছে ১৯৯২ সালে এবং ফুরিন ক্লিভেজ প্রাকৃতিক ভাইরাসে থাকা সম্ভব নয়। সুতরাং, নতুন বা অজানা কিছুই নয়। দ্বিতীয় বিষয়টি নিয়ে (আরএনএ-ডিএনএ) নিকোলাস লিখেছেন যে এন্ডারসন ডাহা মিথ্যা বলছেন। তিনি সব জানেন, জেনেশুনে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। 

এরপর যা লিখেছেন নিকোলাস তা বিস্ফোরক। তিনি লিখেছেন, আজ থেকে কুড়ি বছর আগে হল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিতে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত পরীক্ষা করা হয়। আর আজ আরএনএ'কে ডিএনএ বা উল্টোটা করা কাট-পেস্ট প্রযুক্তিতে ছেলেখেলা। এই যে সারা দুনিয়া জুড়ে কোভিডের জন্য রিয়েল টাইম পিসিআর পরীক্ষা হচ্ছে সেখানে নাক এবং গলা থেকে আরএনএ সংগ্রহ করে এনজাইমের মধ্যে ডিএনএ-তে রূপান্তর করে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় এনে দেখা হয় আরএন-এর পরিমাণ। বিগত বছরগুলোতে ১৯১৮-এর ফ্লু নিয়ে বা পোলিও ভাইরাস নিয়ে পরীক্ষায় এই আরএনএ- ডিএনএ রূপান্তর করা হয়েছে। নিকোলাস আবেদন করেছেন, বিজ্ঞানীরা অতঃপর মানুষকে ভুল বোঝানো বন্ধ করে মনোযোগ দিয়ে দেখুন যে উহানে, যেখানে এই ভাইরাসের নতুন রূপ নিয়ে পরীক্ষা চলছিল, সেরকম একটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তার (স্টেজ ফোর) ল্যাবরেটরি থেকে ভাইরাস বাইরে এল কী করে। 

নিকোলাস যে বিজ্ঞানের দুনিয়ায় একটি বোমা ফেলেছেন, তা বলাই বাহুল্য। এখন অনেকেই বলছেন, তাঁরা ডেসড্যাগ বা এন্ডারসনকে চটাতে চাননি। তাই তাঁরা সব জেনেও মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন, কারণ, ওই দুজনের হাতে প্রচুর প্রজেক্ট, প্রচুর গ্রান্ট। যাঁরা মুখ খুলেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন করোনা বায়ুবাহিত প্রমাণ করেছিলেন যিনি, সেই জেনেথ টুথেচ্চি। তিনি একাধিক টুইটে জানিয়েছেন, এক্ষুনি এই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে কাজ শুরু হোক। মুখ খুলেছেন চিনের সেই মহিলা বিজ্ঞানী হি জেঙ লি যাঁকে 'ব্যাড লেডি' বলে তকমা মেরে দিয়েছে সারা দুনিয়া। তিনি কার্যত নিকোলাসের সঙ্গে সহমত হয়ে জানিয়েছেন, কারুর ক্ষতি করার জন্য তিনি কিছু করেননি। নিকোলাসের সঙ্গে একশো শতাংশ সহমত হয়েছেন ১৯৭৫ সালের চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেলজয়ী বিখ্যাত বিজ্ঞানী ক্যালটেকের ডেভিড ব্যলটিমোর। তিনি লিখেছেন, নিকোলাস একটি যুগান্তকারী কাজ করেছেন। তিনি করোনা ভাইরাসের উপর থেকে তুলে দিলেন প্রযুক্তি ও গোপনীয়তার পর্দা। তিনি নিশ্চিতরূপে জানিয়েছেন যে ভাইরাসের ভাইরাল সিকোয়েন্স-এ ফুরিন ক্লিভেজ-এর উপস্থিতি প্রমাণ করে যে করোনা-১৯ প্রকৃতির তৈরি নয়, কোনও ল্যাবরেটরিতে তৈরি। 

ডেভিড নব্বই দশকের গোড়ায় ভারতে এসেছিলেন। একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, আগামী দিনের পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করবে জীববিজ্ঞান, তাঁর সেই ভবিষ্যৎবাণী হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি আমরা।

তথ্যসূত্র: বুলেটিন অফ দ্য এটমিক সায়েন্টিস্ট, নেচার ও সায়েন্স পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যা।


3 comments:

  1. ♥️
    ওয়াও ‼️‼️‼️‼️‼️ লেখাটা এইমাত্র পড়লাম । খুব ভালো লাগল । আমি আগেই একদিন বলেছিলাম, শোভনলাল চক্রবর্তীর লেখা আমার খুব ভালো লাগে । এত সুন্দর ভাবে তিনি তার বক্তব্যকে সাজান, এত সহজ করে কোন বিষয়কে বুঝিয়ে বুঝিয়ে বলেন যে তাতে কঠিন বিষয়ও বুঝতে খুব সুবিধা হয় । এই লেখাটিও সেই রকমই অসাধারণ । করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি সম্পর্কিত বেশ কিছু লেখা আমি দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকা থেকে পড়ছিলাম । আমি সাহিত্যের ছাত্র । বিজ্ঞান সম্পর্কিত বহু লেখা তাই বিজ্ঞানের ছাত্রদের মতো বুঝতে পারিনা, বোঝা সম্ভবও নয় । কিন্তু বিজ্ঞানের লেখা পেলেই আমি গোগ্রাসে তা পড়ে ফেলি । এই লেখাটিও খুব মনোযোগ সহকারে ধীরে ধীরে বুঝে বুঝে পড়লাম । দারুণ লাগলো । লেখাটিও যেন দুর্দান্ত রহস্য গল্পের মত । শোভনলাল মহাশয়কে অসংখ্য ধন্যবাদ । আর এককমাত্রা যে কাজ করে দেখাচ্ছে তাতে তাদেরকে কতবার আর প্রশংসা করবো !!!!!!!!!!!! 👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼🙏🏼🌹😘

    ReplyDelete
  2. নিকোলাস ওয়েডের প্রবন্ধ ---

    https://thebulletin.org/2021/05/the-origin-of-covid-did-people-or-nature-open-pandoras-box-at-wuhan/

    ReplyDelete
  3. The origin of COVID: Did people or nature open Pandora’s box at Wuhan? - Bulletin of the Atomic Scientists
    If the case that SARS2 originated in a lab is so substantial, why isn’t this more widely known? As is now obvious, there are many people who have reason not to talk about it.

    thebulletin.org

    ReplyDelete