সংবিধানের নির্লজ্জ অবমাননা
শিবশংকর পাল
গণতন্ত্রের ফল জয় কিংবা পরাজয়। জয়ীর কাজ রাজধর্ম পালন। বিজিতের কাজ জয়ীর সঙ্গে সহযোগ। সহযোগ মানে যুক্তিবুদ্ধি-সমালোচনার সাহায্যে রাজধর্মে গতি আনা ও তাকে সচল রাখা। গণতন্ত্রের এটাই ব্যবহারিক ও শাস্ত্রীয় অনুশীলন।
সদ্য সমাপ্ত পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল দল। এই জয়ের মধ্যে কোনও ধোঁয়াশা নেই। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন নেত্রী। ভোট হয়েছিল অভূতপূর্ব নিরাপত্তায়- প্রয়োজনের অতিরিক্ত আধা-সামরিক বাহিনির তত্ত্বাবধানে। ভোটের দফাতেও ছিল বিশ্ব রেকর্ড- ভারত কেন, যতদূর জানি, বিশ্বের কোথাও আট দফায় কোনওদিন নির্বাচন হয়নি। চৌকিদারের দল কেবল পশ্চিমবঙ্গে নয়, প্রত্যাখ্যাত হয়েছে অসম বাদে বাকি রাজ্যের নির্বাচনগুলিতেও।
এবার নির্বাচন হয়েছে করোনা অতিমারির আবহে। দেশের করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা না করে এতদ বিষয়ক যাবতীয় দায়দায়িত্ব জলাঞ্জলি দিয়ে চৌকিদার ও তাঁর সাগরেদ দিল্লী-কলকাতা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন বিজেপিকে জেতানোর জন্য। তদুপরি ছড়িয়েছেন করোনার মতো অতি সংক্রামক ভাইরাস। তা সত্ত্বেও সমস্ত প্রতিকূলতা জয় করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন, রাজ্যে মন্ত্রীসভা গঠিত হয়েছে। তাঁরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে উঠে পড়ে লেগেছেন। এমনকি ভোট পরবর্তী হিংসা দমনেও সরকার প্রশংসাযোগ্য পদক্ষেপ করেছে। স্বয়ং কলকাতা হাইকোর্ট স্বীকার করেছে সে কথা। এর মধ্যে সমগ্র দেশ জুড়ে করোনার অতিমারি বীভৎস চেহারায় দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গও তার ব্যতিক্রম নয়। এখানেও জয়ী দলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক সহ নাগরিকগণও যথাসম্ভব করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন। জারি হয়েছে লকডাউন।
এইরকম পরিস্থিতিতে আমরা কদিন ধরে দেখছিলাম, মাননীয় রাজ্যপাল মহোদয় অতিমারি আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, সমস্ত রকম সাংবিধানিক নিয়মকানুন ও সৌজন্য বিসর্জন দিয়ে পাড়ার বুথ কমিটির নেতার মতো চললেন শীতলখুচি ও নন্দীগ্রামের হিংসা দেখতে। সম্ভবত ভোট পরবর্তী কালে অদৃশ্য হয়ে পড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও মানুষের দেওয়া অর্থের অপব্যবহার করে স্থিমিত হয়ে যাওয়া হিংসাকে খুঁচিয়ে তুলতে তিনি অতি তৎপর হয়ে উঠলেন। এ ঘটনা ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে নজিরবিহীন। অস্যার্থ, দেশের মানুষকে অক্সিজেন দিতে না পেরে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া বিজেপিকে অক্সিজেন জোগানো।
এদিকে গোটা দেশ জুড়ে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক রকম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। হাসপাতালে বেড নেই, শ্বাস নেবার অক্সিজেন নেই, প্রয়োজনের চিকিৎসা-সরঞ্জাম নেই, ওষুধ নেই; সর্বোপরি দেশবাসীকে সুরক্ষিত রাখার মতো ভ্যাকসিন প্রয়োজনের তুলনায় অতি অপ্রতুল। ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে সরকারি নীতি অতীব বিভ্রান্তিকর; কেবল তাই নয়, সরকারের কাজ ব্যবসা করা নয় বলেও স্বয়ং নিগমপতিদের মতো নেমেছে ব্যবসায়। রাজ্যগুলি পড়েছে আতান্তরে। শুধু কি তাই, দেশে প্রস্তুত ভ্যাকসিন বিদেশে রফতানি করে প্রধান সেবক ভ্যাকসিন গুরু সাজার চেষ্টাও করেছেন। এবং এখন দাবড়ানি খাচ্ছেন দেশ-বিদেশের সংবাদমাধ্যমে।
ইত্যবসরে ভারতবর্ষের মানুষ, বিশেষ করে ডবল ইঞ্জিনের সরকার মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রেদেশের অবস্থা ভয়াবহ। অগণন করোনাক্রান্ত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বিনা চিকিৎসায়, অক্সিজেনের অভাবে মাঠে-ঘাটে-রাস্তায় ধুঁকছেন অসংখ্য করোনা রোগী। সরকারি স্তরে এর ব্যবস্থা করা দূরে থাক, এই ছবি তুলে ধরলে বা এর বিরুদ্ধাচরণ করলে যোগী সরকার তাকে গ্রেফতার করছে, জমি-বাড়ি ক্রোক করার হুমকি দিচ্ছে। সৎকার করার মতো প্রয়োজনীয় কাঠ ও কাঠামোটুকুও আজ আর ওই রাজ্যে নেই। জ্বলছে গণচিতা। গঙ্গা ও অন্যান্য নদীর ধারে চলছে গণহারে মৃতদেহ কবর দেওয়া। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, কবর দেওয়ার জায়গাটুকুও নেই। নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে শ’য়ে শ’য়ে করোনা রোগীর লাশ। সেই লাশ ভেসে আসছে বিহার হয়ে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। রাজ্য সরকার অতি তৎপরতার সঙ্গে এই পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই নিয়েছে।
ভারতের এ হেন অবস্থায় সমগ্র বিশ্বের কাছে মুখ পুড়েছে প্রধান সেবকের। তাঁর চৌকিদারিতে আস্থা চলে গিয়েছে দেশের মানুষের। বিদেশি সংবাদমাধ্যমে ভারত এখন একটি নরকের নাম। দেশের লুটেরা পুঁজিপতির দল পালিয়ে গিয়েছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। দলে দলে পালাচ্ছেন ভারতে আসা বিভিন্ন দেশের মানুষ। আর এদিকে দেশের মানুষের ভ্যাকসিন বিদেশে পাঠানো হল কেন- প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়ার মতো নরম নিরীহ পোস্টার পড়ায় অচানক ভ্যানিশ হয়ে যাওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিল্লী পুলিশ গ্রেফতার করেছে ২৪ জনকে। গণতন্ত্রকে এভাবেই কবর দিচ্ছেন চৌকিদারের লেঠেল বাহিনি।
এইরকম পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের করোনা অতিমারিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে রাস্তায় নেমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। একেবারে সামনের সারিতে এসে তাঁরা স্বাস্থ্য পরিষেবাকে সচল রাখার লড়াই চালাচ্ছেন। মাত্র একদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের ভাই অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় করোনার সঙ্গে লড়াই করে মারা গিয়েছেন। করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে বাংলা সংবাদমাধ্যমের এক নক্ষত্র অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি আবার রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহোদর, গতকাল রাতে অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। খুব স্বাভাবিক কারণে, মমতা ব্যক্তিগতভাবে শোকগ্রস্ত হয়েও রাজ্যের মন্ত্রীসভাকে অগ্রণী যোদ্ধার ভূমিকায় রাস্তায় নামিয়েছেন, তখনই, হ্যাঁ ঠিক তখনই চৌকিদারের লেঠেলের নির্দেশে সিবিআই গ্রেফতার করে রাজ্যের নব নির্বাচিত দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও বর্ষীয়ান সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। সেই সঙ্গে বিধায়ক মদন মিত্র ও বিজেপি দলত্যাগী নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করা হয়। অথচ আশ্চর্য হয়ে রাজ্যবাসী দেখলেন, যে নারদা কাণ্ডের জন্য তাঁদের গ্রেফতার করা হল, সেই নারদা কাণ্ডে জড়িত অন্যতম অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায় ছাড় পেয়ে গেলেন। এ এক বিস্ময়কর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নাটক; যার উপক্রমণিকা করছিলেন মহামান্য রাজ্যপাল; অভিনীত হচ্ছে নির্বাচনোত্তর করোনাক্লান্ত বঙ্গে। এবং এমন একটা সময়ে, যখন মানুষ করোনার কারণে গৃহবন্দী। রাস্তায় নেমে এই গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদ করার সামান্য সুযোগটুকুও নেই।
‘গান্ধারীর আবেদন’ কবিতায় দুর্যোধন বলেছিল, 'জয়, জয় চেয়েছিনু,.../ দীপ্তজ্বালা অগ্নিঢালা সুধা/ জয়রস, ঈর্ষাসিন্ধুমন্থনসঞ্জাত...'। দুর্যোধন ১৮ অক্ষৌহিণী সৈনিকের মৃত্যুর বিনিময়ে জয় চেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু এই সম্প্রীতির বাংলায় ঈর্ষাসিন্ধু মন্থন করেও কর্পোরেট পুজির চৌকিদার-লেঠেলের দল সেই প্রার্থিত জয় পায়নি। এ রাজ্যের বাসিন্দাগণ সাম্প্রদায়িক ঈর্ষা ও সেই ঈর্ষাজাত হিংসার বিরুদ্ধে এক বিরল নজির দ্বিধাহীন রায় দিয়েছেন। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এত রাগ! তাই ভোটের পরেও ঈর্ষার বিষ ঢালার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা। সে প্রচেষ্টাও রুখে দিয়েছেন আপামর বাঙালি। তাই রাগে-ক্ষোভে জ্বলনের অতি তীব্র দহনকে প্রতিহত করতে লেলিয়ে দিয়েছেন এক সাংবিধানিক নেংটি ইঁদুরকে। তাতে কি প্রশমিত হয় হারের দহনজ্বালা?
গুজরাট নিবাসী নাগপুরের হিংসা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিষাক্ত প্রাণিটিকে চোখের সামনে আরও দেখতে হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের ভয়াবহ দুর্দশা, কোনও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার চাদরেও ঢাকা যাচ্ছে না ডবল ইঞ্জিনের মুখ থুবড়ে পড়া। তাই কি পশ্চিমবঙ্গে নেতামন্ত্রীদের জেলে ভরে এ রাজ্যের দুর্দশার মাত্রা বাড়নোর এই অপকৌশল? রবীন্দ্রনাথের পূর্বোক্ত কবিতার দুর্যোধন আরও গুলিয়ে দিয়েছিল এই বলে, 'লোকধর্ম রাজধর্ম এক নহে পিতঃ!' জাতীয় দুর্যোগের সময় লোকধর্মের উপর স্থান পায় রাজধর্ম। সেই রাজধর্ম পালন করেই রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত হয়েছে। তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাজধর্মের মাথায় ঈর্ষাদীর্ণ লোকধর্ম চাপিয়ে দিতেই কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দহনজ্বালা মেটাচ্ছেন?
কেবল জীবনধর্মে নয়, গণতন্ত্র পালনেও স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনাবোধ না থাকাটা অতীব দুঃখের ও আশঙ্কার। দুঃখ এই জন্য যে, যখন সমগ্র জাতি একটা মহামারির সঙ্গে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত ধ্বস্ত মৃত্যুর মুখে পতিত, তখন সর্বাগ্রতা দাবি করে লোকপালনে রাজধর্মকে নিয়োগ করার সদিচ্ছায়। অথচ আমরা দেখছি এর বিপরীত চিত্র। করোনাক্রান্ত ভারতবাসীকে শুশ্রূষা দেওয়ার পরিবর্তে ব্যক্তিগত বা দলীয় উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতেই ব্যস্ত কেন্দ্রীয় সরকার। এ হেন মানসিকতার দল ও নেতৃবর্গ মানবসভ্যতার কাছে দুর্দৈবের এবং আশঙ্কারও বটে! যে দল, দলের যে সব নেতা মানবতার ধর্ম থেকে বিচ্যুত, তাঁদেরকে জীবনের সমস্ত ক্ষেত্র থেকে নির্মূল করাই তখন লোকধর্ম হয়ে হয়ে ওঠে না কি! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীমাহীন ঔদ্ধত্য ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করতে ব্যর্থ হয়ে কেবল রাজধর্মই বলি দিচ্ছেন না, বলিতে চড়াচ্ছেন দেশবাসীকে এবং অবশ্যই রাজ্যবাসীকে। ‘বিসর্জন’ নাটকের বলিপন্থী পুরোহিত রঘুপতি বলেছিলেন, 'বাহুবল রাহুসম/ ব্রহ্মতেজে গ্রাসিবারে চায়- সিংহাসন/ তোলে শির যজ্ঞবেদী-’পরে।'
মুশকিল হল, নাটকের রঘুপতির একটা উজ্জীবন আমরা দেখতে পেয়েছিলাম। তিনি ভেঙে পড়া পাষাণের বুকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন স্নেহঅমৃতময়ী মাটির জননীকে। ঠিক এর উলটো ঘটনা ঘটে চলেছে দেশের বুকে, সম্প্রীত বাংলার বুকে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে যখন মানুষের নির্দ্বিধ রায়ে নির্বাচিত রাজ্য সরকার রাজধর্ম পালনে সমস্ত রকম ভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তখন কেন্দ্রের সরকার আপামর বাঙালির রায়কে বলি দিয়ে ‘সুনার বাংলা’ বানাতে না পারার হিংসা চরিতার্থ করতে বাংলাকে ‘সুনার’ উত্তরপ্রদেশ বানাতে চলেছে- যেখানে থাকবে কেবল না নেভা গণচিতা, নদীতে ভাসবে অগণ্য লাশ, ভুখা পেটে মরবে রোগক্লান্ত দরিদ্র মানুষ। একমাত্র মমতাই পারেন মোদিকে ঠেকাতে- জাতীয় স্তরে এই সম্ভাবনা দেখা দিতেই রাজ্যকে হেনস্থা করার চেষ্টা। অঘোষিত জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি। তাই অতিমারিকালীন সময়ে দেশের স্বরাষ্ট্র দফতরের এই গ্রেফতার-নাটকে আমরা যেন সেই দুর্যোধনের ক্রোধান্ধ সংলাপই শুনতে পাচ্ছি-
নাহি জানে
জাগিয়েছে দুর্যোধন। মূঢ় ভাগ্যহীন!
ঘনায়ে এসেছে আজি তোদের দুর্দিন।
রাজায় প্রজায় আজি হবে পরিচয়
ঘনিষ্ঠ কঠিন। দেখি কতদিন রয়
প্রজার পরম স্পর্ধা- নির্বিষ সর্পের
ব্যর্থ ফণা-আস্ফালন, নিরস্ত্র দর্পের
হুহুংকার।
চৌকিদার ও লেঠেলরা সম্ভবত জানেন না, ইতিহাস কিন্তু রাষ্ট্রক্ষমতার দর্পকে চূর্ণ করার কথাই লিখে চলেছে আবহমান কাল ধরে। অতি দর্পে ধ্বংস হয়েছে লঙ্কা, ধ্বংস হয়েছে কুরুকুল। পতন হবে আজকের দিল্লির অধীশ্বরদেরও। এ শুধু সময়ের অপেক্ষা।
অসামান্য লিখেছেন।
ReplyDeleteরাজ্যপাল ও CBI-কে দিয়ে কেন্দ্রের শাসকদল BJP আজ এই আপৎকালে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের শান্তি বিঘ্নকারী যে অনৈতিক পদক্ষেপ নিল সারা দেশ জুড়ে তার তীব্র প্রতিবাদ হওয়া অত্যন্ত জরুরী। মোদী বাহিনীর এই ঘৃণ্য স্পর্ধার মোকাবিলা করা দরকার দলমত নির্বিশেষে সকল গণতন্ত্র প্রেমী মানুষজনের, 'No vote to BJP' ডাকের আদলে। বাংলার গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষ সাড়া দিয়ে ছিল এতে গত নির্বাচনে।
ReplyDeleteমহাভারত এ দূর্যোধন এর পতন এর অপেক্ষা।।।।
ReplyDeleteদারুন
সুন্দর লেখা, সাথে কবিতার লাইনগুলো আলাদা মাত্রা যোগ করেছে । 👌🏼💐
ReplyDeleteযারা ঘুষ নিয়েছেন তাদের সকলকেই অ্যারেস্ট করা উচিত । দীর্ঘ দিন আগেই অ্যারেস্ট করা উচিত ছিল । কিন্তু অসভ্য রাজনীতির কারণে এতদিন অ্যারেস্ট করা হয়নি । এখন বাংলায় নির্লজ্জ বেহায়া বিজেপি নামক দলটি হেরে যাওয়ার জন্য প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে রাজ্যের তথা দেশের সংকটজনক অবস্থায় বেছে বেছে চারজনকে অ্যারেস্ট করেছে । বিজেপির বেহায়াপনা । কদিন পরেই গ্রেপ্তার করা যেত ।
সিবিআই-এর তো আর মান সম্মান কিছুই থাকলো না বাকি !!!!! এরা কি করবে, না করবে সবই বিজেপি কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে করে অথবা করে না ডোবার ম্যান দের মত ।
ReplyDelete