Monday, 10 May 2021

বাংলার জয়

কী এল কী গেল

অনিন্দ্য ভট্টাচার্য

 

বিশ্বখ্যাত মেডিকেল জার্নাল 'ল্যানসেট'এ চাঁচাছোলা ভাষায় এই বলে ভর্ৎসনা করা হয়েছে যে, এক অপদার্থ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন কেন্দ্রীয় সরকারের কবলে পড়ে আমরা কোভিড জনিত জাতীয় বিপর্যয়ে নিমজ্জিত হয়েছি। বাংলাতেও এই কুলাঙ্গারদের অঙ্গুলিনির্দেশে নির্বাচন কমিশন এক দীর্ঘায়ত নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের অথৈ জলে ফেলে চম্পট দিয়েছে। আমাদের এই দিশেহারা অবস্থায়, আলোর রেখা এই মুহূর্তে এইটুকুই যে, বাংলায় বিজেপি ও উগ্র হিন্দুত্বের জবরদস্ত পরাজয় ঘটেছে। নচেৎ, বিহার-উত্তরপ্রদেশের মতো এখানেও গঙ্গায় মৃত মানুষের লাশ ভেসে বেড়াত।

এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় কথা- ইতিহাসের কারিগর যে শেষ বিচারে মানুষ- তা তো মালুম হয়েইছে, কিন্তু একই সঙ্গে দেখতে পাচ্ছি কিছু অন্যতর দিকনির্দেশও, যেগুলি আলোচনায় না তুললে মূল্যায়ন যেন যথার্থ হল না বলে মনের কন্দরে অপরাধবোধ কাজ করছে। তাই যা দেখলাম, তেমন গুটিকয়েক প্রবণতা নিয়ে অল্প কিছু অবতারণা করা যাক; এর থেকে আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে এবারের নির্বাচনে কী এল আর কী গেল।

স্বউদ্যোগে স্বউদ্ভাসিত তারুণ্য

প্রথমেই স্বীকার করে নেওয়া ভাল, এবারের নির্বাচনে রাশটা অনেকাংশেই ছিল তরুণ প্রজন্মের হাতে। তৃণমূল দল ছেড়ে যখন একে একে রথী-মহারথীরা বিজেপি’তে যোগ দিচ্ছেন, ফলত আপাতদৃষ্টিতে প্রচারের বহরে মনে হচ্ছে এবার দলটাই বুঝি হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ল বলে, ঠিক তখনই ২০ থেকে ৩০’এর বয়সের কোটায় কিছু তরুণ তুর্কিকে দেখা গেল কতকটা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দলের হাল ধরতে।

কিছুটা কুঁকড়ে যাওয়া তৃণমূল নেতারা (ব্যতিক্রম কুণাল ঘোষ) সে সময় টিভি চ্যানেলে আসতেও সংকোচ বোধ করছেন। আর ঠিক তখনই মাত্র ২৫ বছরের দেবাংশু ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির হলেন মাত্র কুড়ি মিনিটের প্রস্তুতিতে কোচবিহারে বসে লিখে ফেলা তাঁর ‘খেলা হবে’র কথা ও ভিডিও নিয়ে। তৃণমূলের পক্ষে সেই অসহায় সময়ে ‘খেলা হবে’ নিছক একটি শব্দবন্ধ মাত্র ছিল না, দেবাংশু তাতে যোগ করেছিলেন সংবেদনশীল রাজনৈতিক মর্মবস্তু (যারা পুরো রচনাটি শুনেছেন তাঁরা এর তাৎপর্য নিশ্চয়ই বুঝেছেন)। যেন মোচড় দিয়ে ঝড় উঠল। আর সে ঝড়ে দেখা গেল, মাঠে-ময়দানে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দেবাংশু’র পাশাপাশি সুদীপ রাহা, সুপ্রিয় চন্দ, শতাব্দী ভট্টাচার্য প্রমুখ কিছু স্বউদ্ভাসিত তরুণ মুখ। এঁরা দলের তেমন কেউকেটাও কেউ নন, এঁদের কেউ নির্দেশ দিয়ে বা ডেকে এনে প্রচারে নামায়নি; এঁরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে, দলের সব থেকে দুঃসময়ে নিতান্তই এক তাগিদ থেকে নিজেদের বোধবুদ্ধি নিয়ে ঝড়ের বেগে ময়দানে নেমে পড়েছিলেন।

আর সেই সঙ্গে অন্য প্রান্তরে দৃঢ়বদ্ধ ভাবে ছিলেন ‘নো ভোট টু বিজেপি’ প্রচারের উদ্দীপ্ত তরুণ দল, যারা সারা রাজ্য চষে, অলিতে গলিতে ঘুরে, সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় করে সকাতরে মানুষের কাছে আবেদন করেছেন, যাকে খুশি ভোট দিন কিন্তু ভুলে বিজেপি’কে একেবারেই নয়। সে প্রচারও রাজ্য জুড়ে ঝড় তুলেছে। যতটা না ফেস্টুন-ব্যানারে, তার অধিক মনের অন্তরে।

ভদ্রলোকের অস্বস্তি

এতদিন দেখেছি, কিছু পত্র-পত্রিকা, টিভি চ্যানেল, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, বিলেত-ফেরত পণ্ডিত, শহরের বাবু ভদ্রলোকের কথন-বলন, আচার-বিচার, শলা-পরামর্শের ওপর জনমত কতকটা এদিক সেদিক করত। তারাও সাত সেয়ানার একজন, নিজেদের স্বার্থগন্ধ বেশ টুকিটাকি বুঝে নিয়ে মতামত দিত। এবার সে সব পাতেই পড়েনি। ভিজে বেড়াল মিডিয়ার কচকচি ও ভদ্রলোকের আঁক কষা প্রতিবেদন কিংবা নিজের কোলে ঝোল টেনে নিদান দেওয়ার কোনও ফন্দি এবারের নির্বাচনে কোনও কাজেই আসেনি। গরিব-গুর্বো মানুষগুলান এক্কেবারে পাক্কা নিজের হিসেবটুকু বুঝে ইভিএম’এ বোতাম টিপেছেন। কারণ, এবারের ‘বাবু ভদ্রলোক’ আর মিডিয়ার এক বড় অংশের মধ্যে যে উগ্র হিন্দুয়ানার সুরসুরি জেগেছিল তা কি আর হাভাতে গরিব জনতা বুঝতে পারেননি?

জনতার স্বর

গত কুড়ি বছর ধরেই ‘উন্নয়ন কাহারে কয়’ এ বিষয়ে বিতর্ক উঠে, তা নিয়ে প্রভূত হৈ-হট্টগোল হয়ে, অতঃপর পচে গিয়ে, আমরা মোটা দাগে এমনতর এক সমাধানে এসে পৌঁছেছিলাম যে, জল-জঙ্গল-জমিকে জোরজবরদস্তি দখল করে, হাজার হাজার মানুষকে কর্মচ্যুত ও উচ্ছেদ করে বড় বড় প্রকল্প (কারখানা, আবাসন বা শহর যাই হোক) বানাবার যে কর্পোরেট স্বার্থবাহিত কলকাঠি, তা অবশেষে অচল ও বাতিল প্রতিপন্ন হয়েছে। সে প্রয়াস থেকে আধুনিক রাষ্ট্রও এখন সরে এসেছে। জনগণও তা বুঝে গেছেন। কিন্তু পুরনোপন্থী সেকেলে রাজনৈতিক মতালম্বীরা সেই ঘুরেফিরে ওই পথেই ফিরে যেতে চান। কত ভাবে আলোচনা হয়েছে যে (এমনকি আমাদের দেশের শীর্ষ আদালতের রায়েও আছে), এক বড় সংখ্যক কর্মজীবী মানুষকে উচ্ছেদ করে স্বল্প সংখ্যক মানুষের জন্য আধুনিক কর্মসংস্থানের যে প্রকল্প তা সার্বিক বিচারে আসলে এক কর্মচ্যুতির প্রকল্প। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে পুরনো শোক উথলে ওঠে। বোঝে না যে এ হল মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজকে দেখা। এতে গরিব জনতা সাথ দিচ্ছেন না। কারণ, তাঁরা বোঝেন, সামান্য কয়েকটি মধ্যবিত্ত চাকরির জন্য গরিব মানুষকে আর উদ্বাস্তু বানানো অত সহজ নয় মোটে।

এত অনাস্থা কেন শ্রমজীবী মানুষের ওপর? তাঁরা তো বোঝেন, তাঁদের কীসে ভাল কীসে মন্দ। তাঁরা হয়তো জনবিরোধী সরকারি নীতির সঙ্গে অনেক সময়ে পেরে ওঠেন না; কিন্তু তাঁরা বোঝেন না, এই ঔদ্ধত্য কোথা থেকে এল? সেই ভালমন্দের বিচার এবার ভোটের ফলে প্রতিফলিত হয়েছে। তবুও ভদ্রলোকেদের কেউ কেউ বলেছেন, কর্মক্ষম ব্যক্তি হওয়ার চেয়ে মানুষ ‘ভিক্ষার ঝুলি’ পছন্দ করেছেন- সেও তো ওই ‘আঙুর ফল টক’এর মতো ভোট না পাওয়ার আক্ষেপ থেকে জনচেতনাকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখার মনোভঙ্গি।

নব উত্থানে বাম?

বামেদের মধ্যে এবারে দুটি পরিষ্কার বিভাজন ছিল। একদিকে বামফ্রন্টের ‘তৃণমূল ও বিজেপির সমান বিরোধিতা’ ('বিজেমূল'), অন্যদিকে সিপিআইএমএল-লিবারেশন, অন্যান্য ছোট ছোট বাম দল ও দলহীন বামপন্থীদের ‘বিজেপিই প্রধান শত্রু (তৃণমূল ও বিজেপি এক গোত্রের নয়)’- এই দুই প্রকোষ্ঠে বাম শিবির ভাগ হয়ে গিয়েছিল। ফলের বিচারে দেখাই গেল, দ্বিতীয়োক্ত বাম শিবিরের ‘নো ভোট টু বিজেপি’ প্রচার আখেরে কাজে দিয়েছে এবং ফলত বিজেপির হিন্দু ভোট সংহতকরণের এজেন্ডা মুখ থুবড়ে পড়েছে। তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাঠেঘাটে চষে বেড়িয়ে এই সারসত্যটি বুঝেছেন ও বারবার লিবারেশনের নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য ও ‘নো ভোট টু বিজেপি’র অগ্রণী সাথীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। অন্যদিকে, বামফ্রন্টের ঝুলিতে একটি আসনও আসেনি। প্রকৃত প্রস্তাবে, তাঁরা যে বাস্তব পরিস্থিতিকে অনুধাবন করতে পারেননি, তা তাঁদের তাবড় নেতারাও এখন কেউ কেউ প্রকাশ্যে বা আড়ালে আবডালে স্বীকার করছেন।

সারাংশ হল, এই নির্বাচন বামেদের সামনে এক নতুন পথে এগোবার বার্তা দিয়েছে। সে বার্তা যারা পড়তে পারবেন তাঁরাই আগামী দিনে নতুন করে বাম শক্তির পুনরুত্থানের উদযাপক হবেন। সে পথ হল, আমূল পরিবর্তিত রাজনৈতিক-অর্থনীতির পরিসরকে নতুন ভাবে অধ্যয়ন ও বিশ্লেষণ করে আজকের জাতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে এ রাজ্যে উপযুক্ত রাজনৈতিক দাবিদাওয়া ও আন্দোলনের ভূমিকে প্রসারিত করা।

বুদ্ধিজীবী কি কম পড়িয়াছে?

এ রাজ্যে এই প্রথম এমন একটি নির্বাচন দেখা গেল, যেখানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের দৃশ্যত তেমন কোনও ভূমিকা নেই। অবশ্যই নাগরিক সমাজের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো (‘নো ভোট টু বিজেপি’ যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ) কিন্তু তেমন কোনও পণ্ডিত বা বিদ্বজ্জনের (যারা বাজারে খ্যাত) এবারে যেন দেখা মেলেনি। টিভি চ্যানেলগুলোও তাঁদের ডাকেনি আর সভা-সমিতিতেও রাজনৈতিক দলগুলি তাদের নিজেদের লোক দিয়েই কাজ চালিয়ে নিয়েছে। তবে সেলেব’দের কদর ছিল (সেটা হতে পারে তাদের জনপরিচিতি ও অভিনয়ে রোল মডেলের জন্য, যদিও কেউ কেউ তাঁদেরও বুদ্ধিজীবী বলে থাকেন)। মোটমাট, বুদ্ধিজীবীদের অনুপস্থিতি এবারে বেশ উল্লেখযোগ্য একটি প্রবণতা।

এর কারণ সম্ভবত এই যে, রাজনৈতিক দলগুলি তাদের নিবিড় অনুশীলনের মধ্য দিয়ে রাজনীতি ও অর্থনীতির মর্মকথা বুঝতে বেশ সক্ষম হয়ে উঠেছে এবং জনগণের আলাপ-আলোচনা, প্রতিক্রিয়া থেকেই তারা নিজ নিজ রাজনৈতিক পথ নির্ধারণ করতে যথেষ্ট পারদর্শী। অতএব, আলাদা করে বুদ্ধিজীবীদের সাহায্যে পাশ্চাত্য চোখ দিয়ে দেশকে দেখার সীমাবদ্ধতা ও হীনম্মন্যতাকে তারা সপারিষদে দিব্য কাটিয়ে উঠেছে। এতে আখেরে ভালই হচ্ছে। আর পণ্ডিতদের প্রতিবেদন যা সব পড়ি, সেখানে বরং ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নানারকম হচ্ছে (তার একাডেমিক প্রয়োজনীয়তাও থাকতে পারে) কিন্তু আগাম কেউ কিছুই বলতে পারেন না দেখি। বরং চিন্তাগত দূরদর্শিতায় রাজনৈতিক দলের নেতারা আজ অনেক এগিয়ে। এ ব্যাপারে একেক দলের নেতারা অপর দলের নেতাদের টেক্কাও দিচ্ছেন বেশ। চাইলে, বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের থেকে আপাত রসদ নিতে পারেন।

সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ ব্যর্থ

বাংলার নির্বাচন সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের সমস্ত অপচেষ্টাকে সমূলে গুড়িয়ে দিয়েছে। নানা ভাবে চেষ্টা হয়েছিল, হিন্দু ভোটকে সংহত করে রাজ্যে বিদ্বেষের রাজনীতির চাষ করা, যাতে মানুষের মিলেমিশে নিত্য যাপনের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নগুলি চিরতরে হারিয়ে যায়। উল্টোদিকে, সদ্য গঠিত একটি দল থেকেও সংখ্যালঘু ভোটগুলিকে এক জায়গায় নিয়ে আসার প্রবল উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হিন্দু-মুসলমান, বাঙালি-অবাঙালি নির্বিশেষে শ্রমজীবী ও সংবেদনশীল মানুষ সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের সমস্ত কার্যাবলীকে যথাযথ ও উচিত শিক্ষা দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রেও ‘বাবু ভদ্রলোক’এর সুপ্ত মুসলমান বিদ্বেষ ও ‘ছোটলোক’দের প্রতি লুক্কায়িত ঘৃণা কোনও কাজে আসেনি।

হরেদরে, এই ভোট শুধু বাংলাকে বাঁচায়নি, গোটা দেশকে ভরসা দিয়েছে। অতএব, যারা আরও বেশি জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় এলেন, তাঁদেরও তাই দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। তা হল, এ রাজ্যকে ফুলে-ফলে-সম্পদে আরও সমৃদ্ধশালী করে তোলা ও দেশের বর্তমান বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে এক দিকনির্দেশকারী ভূমিকা রাখা। দেশের মানুষই বুঝে নেবেন আগামী দিনের কর্তব্যকর্ম। আর যা কিছু ভুল-অন্যায় হয়েছে বা হয়ে এসেছে তার বিলোপ সাধন করা। দলে দলে হানাহানি, যাতে গরিব মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হয় সবচেয়ে বেশি, তা বন্ধ হোক। বাংলার মানুষ কিন্তু সেই জনাদেশই দিয়েছেন।

জয় বাংলা

          

12 comments:

  1. সঠিক এবং সময়োপযোগী বিশ্লেষণ। চিন্তার রসদ। এরসাথে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর কার্যকারিতা নিয়েও জোরালো বিশ্লেষণ প্রয়োজন।‌

    ReplyDelete
  2. একদম সময়োপযোগী লেখা। এই বছরের ভোটে অনেক অতি সাধারণ মানুষেরা পথে নেমেছিলো যারা ফ্যাসিস্ট শক্তি থেকে বাংলা কে মুক্ত রাখতে চেয়েছিল। এবছর বাংলা প্রমাণ করেছে তারা কুসংস্কারে নয় মানবতায় বিশ্বাসী।

    ReplyDelete
  3. একদম ঠিক জায়গা গুলো ধরে কথা বলা হয়েছে।খুব ভালো বিশ্লেষন, চোখ খুলে দিল

    ReplyDelete
  4. লেখাটি অনেক অংশ সঠিক।
    যে বিষয়টি অনুচ্চারিত তাহলো বামেদের ঐক্য।
    এটি এখন সময়ের দাবি।
    প্রকৃত ও ভন্ডদের চিনে নেওয়ার।
    তৃণমূলের ভূল গুলোকে চিহ্নিত করে জনতার কাছে রাখা।

    ReplyDelete
  5. অত্যন্ত সময়োপযোগী লেখা।শেষ পর্যায়গুলো তে সার্বিক কোভিড পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা,এন আর সি নিয়ে শঙ্কিত মতুয়াদের ভোট ভাগ-স্বল্প হলেও এইগুলোর ভূমিকা থাকতে পাতে।

    ReplyDelete
  6. এই বঙ্গের যুবকযুবতীরা এই বঙ্গেই কাজ পাবে তো? নাকি বঙ্গের বাইরে দৌড়তে হবে? আর উচ্চ মানের উচ্চশিক্ষা? আমার অভিজ্ঞতা আমাকে আশাবাদী করে না |

    ReplyDelete
  7. আপাতত এইটুকু বলি, ভালো লেখা । বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যবেক্ষণ করে ভাবনাগুলির সুন্দরভাবে রূপ দিয়েছেন । তবে লেখাটি আমাকে আরো দু-চার বার পড়তে হবে, ভাবতে হবে । 👍🏼💐

    ReplyDelete
  8. খুব ভালো বিশ্লেষণ। ভালো লাগলো লেখাটা।

    ReplyDelete
  9. রাজনৈতিকশাস্ত্রবিদরা নির্বাচনের আগে ঘনীভূত পরিস্থিতির ব্যাখা দিতে পারছেন না, দূরদর্শী নয় ,অন্যদিকে রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা দূরদর্শিতা দেখাচ্ছে ও তাদের বিশ্লেষণ বাস্তবসম্মত এই বক্তব্য সঠিক নয়। তা যদি সঠিক হত তাহলে যেসব স্বঘোষিত বড় ছোট নেতা নির্বাচনের আগে দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে তারা নির্বাচনোত্তর সময়ের ফলাফল কি আন্দাজ করতে পেরেছিল? স্থানীয় এলাকার মানুষের মনোভাব বুঝতে পেরেছিল? যদি দূরদর্শী হত তাহলে এইভাবে হারতে হতনা। আমাদের দূর্ভাগ্য আমরা এতদিন এই অদূরদর্শী, দলবদলু নেতাদের দ্বারা শাসিত হয়ে এসেছি। এবার হয়ত সেটা হবে না।

    ReplyDelete
  10. রাজনৈতিক,আর্থ-সামাজিক,মানবিক-
    বক্তব‍্যে প্রায় সবদিকের একটা পথ-নির্দেশক আলোচনা এবং বিশ্লেষণ করেছেন।
    কিন্তু এই কাজটি, আপনারা যারা সুন্দর ভাবে করতে পারেন আপনাদের মনন ও চিন্তায়--
    সেটা যদি ভোটের আগেই করতেন,তাহলে সেটা তো জনগনের একটা পথের নির্দেশ হতে পারতো।
    আমার কাছে এটা মনে হয় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতামতের মতো।
    খেলার ফলাফল জানার পর বিশ্লেষণ-
    কি করা উচিৎ ছিলো আর কি নয়!
    তাই নয় কি?

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমাদের ব্লগে আগের লেখাগুলো দেখুন না। ধারাবাহিক ভাবেই তো মতামত ও বিশ্লেষণ রাখা হয়েছে।

      Delete