The most popular blog of our bi-monthly magazine (একক মাত্রা) in Bangla on contemporary socio-economic and cultural issues.. মগজে দিন শান/ নয়তো মিলিয়ে যান... Also visit our online version: https://www.ekakmatra.in
Monday, 24 April 2017
Wednesday, 12 April 2017
ক্যানসার কথা
ক্যানসারের সত্যি মিথ্যে
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ যতীন্দ্রনাথ গোস্বামী স্মরণে আয়োজিত এবারের স্মারক বক্তৃতার বিষয় ছিল 'ক্যানসার: বিজ্ঞান ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া'। বালি সাধারণ গ্রন্থাগার আয়োজিত ৮ এপ্রিলের এই সভায় বিষয়টি সম্পর্কে ক্যানসার চিকিৎসক স্থবির দাশগুপ্ত এবং ক্যানসার অ্যাক্টিভিস্ট যদুনাথ মুখোপাধ্যায়কে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। ঠিক সন্ধ্যা ৬.৩০ মি. সভা সঞ্চালনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন গ্রন্থাগারের সম্পাদক গৌতম দত্ত। আমন্ত্রিত দুই বক্তার সংগে শ্রোতাদের পরিচয় করানো, তাঁদের পুষ্পস্তবক, পুস্তক এবং বিশিষ্ট শিল্পীর ছবি উপহার দেওয়ার পর যতীন্দ্রনাথ সম্পর্কীয় স্মৃতিচারণ করেন গ্রন্থাগারের দুই সন্মাননীয় পদাধিকারী। এর পর মূলপর্ব শুরু হয় প্রয়াত ক্যানসার গবেষক ডাঃ মনু কোঠারির মাত্র চার মিনিটের অনবদ্য একটি বক্তৃতার রেকর্ড বাজিয়ে। রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কের পবিত্রতা রক্ষার তাৎপর্য বোঝানোর জন্য মনুভাই চিকিৎসকদের প্রায় প্রতিটি সভায় এই চার মিনিটের গানটি শোনাতেন । এরপর যদুনাথ মুখোপাধ্যায় তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রচলিত ক্যানসার চিকিৎসার অবৈজ্ঞানিকতাকে আড়াল করার জন্য প্রযুক্তিগত উন্নতির ঢ়োল পেটানোর কথা দিয়ে শুরু করেন।
তিনি বলেন, ঝাঁ-চকচকে প্রযুক্তির জৌলুস সত্ত্বেও গত ৫০ বছরে সামগ্রিকভাবে পৃথিবীর কোথাও ক্যানসারের প্রকোপ বা তার মৃত্যুহার একচুল কমেনি। কেউ এই দাবি করেনি যে ক্যানসার আজকাল দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে, চিকিৎসিত ক্যানসার রোগীরা মধুর জীবনযাপন করছেন। বাস্তব হল, ক্যানসারের কারণে উপসর্গ যখন অনুভূত হতে শুরু হয় তখন ক্যানসারটি তার শিশু অবস্থা অনেক কাল আগেই পার হয়ে গেছে। সেই অনেক কালের অর্থ ৫ থেকে ১৫ বছর হয়ে থাকে। ঘটনা হল, হলিউড অভিনেত্রী জোলি স্তনে BRCA-1 জিনের উপস্থিতির খবর শুনেই তাঁর দুটি স্তন কাটাবার পর ওভারিও কাটিয়ে নিয়ে আসলে এটাই বুঝিয়েছেন যে ক্যানসার হলে চিকিৎসায় লাভ হবে না। বরং, অঙ্গ দুটি না থাকলে ক্যানসার হবে না। অর্থাৎ, ক্যানসার চিকিৎসার প্রতি ঘোর অনাস্থার কারণেই জোলি স্তনোচ্ছেদন করিয়েছেন। সম্ভাব্য ক্যানসারের প্রতি সমাজের সব থেকে বিত্তবানদের এই প্রতিক্রিয়া আধুনিকতম ক্যানসার চিকিৎসার বাস্তবিকতাকে স্পষ্ট করে।
এরপর সভার মুখ্য বক্তা ডাঃ স্থবির দাশগুপ্ত তাঁর দেড় ঘন্টার বক্তৃতায় সভাগৃহে উপস্থিত সুধীজনেদের সামনে ক্যানসার সম্পর্কিত বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণাগুলি তুলে ধরেন। মুখ্যত মিডিয়া বাহিত এই ধারণাগুলির কারণে জনমনে অহেতুক ক্যানসার আতঙ্ক নতুবা তা থেকে মুক্তির মিথ্যা আশ্বাসের জন্ম হয়। অত্যন্ত সহজভাবে তিনি এই সত্যটি তুলে ধরেন যে এই রোগটি হবার জন্য কোনও বাহ্যিক কারণের দরকার পড়ে না। প্রতিটি জনগোষ্ঠীর প্রতি পাঁচ জনের একজন তার জীবদ্দশায় রোগটির শিকার হবেন এটা নিশ্চিত বটে কিন্তু ঐ একজনটি কে হবেন তা বলা সম্ভব নয়, সেটা অনিশ্চিতই থেকে যাবে। ডাঃ দাশগুপ্ত তাঁর দীর্ঘ ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতার ঝুলি খুলে ক্যানসার চিকিৎসার সব থেকে করুণ সমস্যাটি তুলে ধরেন: 'আমরা ক্যানসার চিকিৎসার পরিণতি সম্পর্কিত কোনও ভবিষ্যৎবাণী করতে পারি না। একই বয়সের একইরকমের ক্যানসারের একই ধরনের চিকিৎসার ফল এতটাই ভিন্ন হয় যা ব্যাখ্যা করা যায় না।' তিনি মনে করেন প্রযুক্তিগত অবিশ্বাস্য উন্নতি এবং চিকিৎসাবিধির প্রভূত উন্নতি সত্ত্বেও উল্লিখিত সমস্যার কোনও সমাধান হবার নয়। অথচ উন্নত প্রযুক্তি আর দামি সব ওষুধ প্রয়োগ করে গবেষণাগারে পশুর ক্যানসার ১০০ শতাংশ ঠিক হয়েই চলেছে, আর মিডিয়া সেই সাফল্যের সাতকাহন শুনিয়েই চলেছে। কিন্তু সেই ওষুধ ক্যানসার রোগীর ক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে। কেন? কারণটা হল, আমাদের ক্যানসারটার চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য। পশুর শরীরে যে ক্যানসার তা গবেষকদের সৃষ্ট, যাকে আমরা transplanted cancer বলি। মানুষের ক্যানসার কিন্তু স্ব-উৎপন্ন, সহজাত।
তিনি আরও বলেন, ক্যানসার সম্পর্কে, বিশেষভাবে সচেতনতা অভিযান চালানোর নামে আসলে রোগটি সম্পর্কে আতঙ্কিত করা এবং তা কীভাবে কোথায় গেলে ঠিক হবে, নিরন্তর সেই প্রচার চললেও একবারের জন্যও জনমানুষকে এই সত্যটা জানানো হয় না যে প্রায় ১৪০ প্রকারের ক্যানসার পরিবারের সব কটি এক প্রকারের নয়। এর কয়েকটির চরিত্র ভাল, চিকিৎসায় সাড়া দেয়। অধিকাংশই মন্দ প্রকৃতির, চিকিৎসায় সাময়িক লাভ হয়। কিন্তু এমন কিছু ক্যানসার আছে যাকে কুৎসিত বলা যায়। কোনও চিকিৎসাতেই তা সাড়া দেবে না।
রাত ৯টা পর্যন্ত চলা এই সভায় শ্রোতারা অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে ক্যানসারজনিত প্রশ্নগুলি বোঝার চেষ্টা করছিলেন।
Friday, 31 March 2017
Free the Maruti Workers!
Appeal to observe 4th/5th April as All-India
& International Day of Protest
Comrades,
You are aware of the repression on us by the
nexus of Company management-Police-Government, as 13 MSWU members have been
sentenced to Life Imprisonment and 4 more workers handed 5 years by the Gurgaon
Sessions Court on 18 March 2017 – without a shred of evidence, and solely on
the false witness accounts by the management.
The MSWU body members have been targeted
because they have been the leadership of the struggle since 2011 against illegal
contract worker system and for Trade Union rights and
dignity of labour. It is a ‘class attack’ as in the words of Maruti CEO RC
Bhargava. All workers know that this manifestly unjust verdict is to ‘teach a
lesson’ to us by those in power that we should not fight for our rights and
dignity on the shop-floor and beyond.
But against this repression, thousands of
workers in this industrial belt and across India and world are protesting. On
the evening of the Verdict on 18th May,
30000 workers in Gurgaon-Manesar did tool down strike against the injustice.
The Maruti Suzuki Mazdoor Sangh (MSMS)–the joint platform of Maruti Suzuki
factories–had given a call for Protest on the martyrdom day of Bhagat
Singh-Rajguru-Sukhdev on 23rd March
in Manesar. Despite prohibitory orders of Section 144, thousands of workers
from the industrial belts in Haryana and Rajasthan rallied in protest from
factory after factory in Manesar. A letter from the Jailed workers was read out, and a call given to
intensify the struggle for the release of the Jailed workers. It was also decided
to give economic assistance to families of the Jailed workers.
On this 23rd March Protest program, we already
appealed to all to observe 4th April
as an all-India Day and International of Protest. Preparations for the same
have already begun in various places. Meanwhile, recognized Central Trade
Unions later issued a call to organize all-India Protest in solidarity with the
Maruti Suzuki workers on 5th April.
So, We appeal to all workers and pro-worker
forces to observe 4th/5th April 2017 as all-India and International Days of Protest and show solidarity in whatever
ways possible.
The struggling workers in the
Gurgaon-Manesar-Bawal-Neemrana industrial belt in the states of
Haryana-Rajasthan are showing that they will not relent on their legitimate
rights and strengthen their class unity against the capitalist onslaught. We
have also received great courage and thank the amazing show of solidarity of
workers with the struggle for Justice of Maruti workers. Since the last few days, there have
been protests by lakhs of workers in this and other industrial belts and by
various workers, student-youth, human rights and other democratic organizations
in over 30 cities-towns in the country. We also greatly encouraged and thank
the amazing show of international working class solidarity with protests,
deputations and solidarity positions and actions in over 21
countries. This is a long battle, and only the growing force of the
movement and wider solidarity can take the struggle forward.
Provisional Working Committee,
Maruti Suzuki Workers Union
Contact: 7011865350 (Ramniwas), 9911258717
(Khusiram) on behalf of the PWC, MSWU.
email: marutiworkerstruggle@gmail.com; blog:
marutisuzukiworkersunion.wordpress.com
Monday, 27 March 2017
একক মাত্রা'র আড্ডা ২৫ মার্চ ২০১৭
আড্ডার কথা
অরুণাভ বিশ্বাস
গত ২৫ মার্চ আমার বাড়িতে 'একক মাত্রা'র বন্ধুদের নিয়ে যে আড্ডা বসেছিল তার শুরুটা সামান্য দেরিতে হলেও মৌতাত জমতে দেরি হয় নি।শুরুতে উপস্থিত সকলে নাতিদীর্ঘ আলাপচারিতা সেরে নেন।
অরুণাভ বিশ্বাস
গত ২৫ মার্চ আমার বাড়িতে 'একক মাত্রা'র বন্ধুদের নিয়ে যে আড্ডা বসেছিল তার শুরুটা সামান্য দেরিতে হলেও মৌতাত জমতে দেরি হয় নি।শুরুতে উপস্থিত সকলে নাতিদীর্ঘ আলাপচারিতা সেরে নেন।
প্রধান বক্তা তুষার চক্রবর্তী এরপর মার্চ'১৭ সংখ্যায় গবেষণার রাজনীতি বিষয়ে
প্রকাশিত তাঁর প্রবন্ধটিকে আরও পরিবর্ধিত করে, নানান অচর্চিত তথ্য
সহযোগে, গবেষকের চেতনার জগতে স্বরাজের কথা বলেন।
এরপর বরুণ মুখোপাধ্যায় উক্ত বক্তব্যর উপর ভিন্ন আলোকপাত করেন এবং এ ধরনের প্রবন্ধের প্রাঞ্জলতার উপর জোর দেন। উপস্থিত অন্যান্য কয়েকজন তাঁদের মতামত, সংশয় ও নানা কৌতূহল প্রকাশ করেন।
এরপর বরুণ মুখোপাধ্যায় উক্ত বক্তব্যর উপর ভিন্ন আলোকপাত করেন এবং এ ধরনের প্রবন্ধের প্রাঞ্জলতার উপর জোর দেন। উপস্থিত অন্যান্য কয়েকজন তাঁদের মতামত, সংশয় ও নানা কৌতূহল প্রকাশ করেন।
শেষ ভাগে Jadavpur University-র Dept. of Chemical Engineering এর
গবেষণাগারে প্রথম জন্মানো, সম্পূর্ণ জৈব ও ভৌত উপায়ে তৈরি, ডাবের আইসক্রিম
(ice-candy আসলে) চাখতে চাখতে সকলে অসীম চ্যাটার্জীর মুখ থেকে এই পণ্যটির
ইতিহাস জানতে পারেন।এরপর সম্পাদক অনিন্দ্য ভট্টাচার্য পুরো আড্ডার সারসংক্ষেপ করেন।
সব শেষে আত্মদীপ প্রধান অসামান্য পশ্চিমী ধ্রুপদী গিটার বাদন পরিবেশন করেন।
তার পরিবেশনা ছিল Recuerdos de la Alhambra ( composed by Fransesco
Tarrega, 19th century Spain)। বাড়ি ফেরার আগে বেশ কয়েকজন পত্রিকার পুরোনো
সংখ্যা ও বইপত্র সংগ্ৰহ করেন এবং গ্ৰাহক হন।
Thursday, 16 March 2017
Tuesday, 14 March 2017
উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন
সোজাসাপ্টা দু’ চার কথা
অনিন্দ্য ভট্টাচার্য
এ এক ভারী অদ্ভুত খেলা।
নির্বাচনে পছন্দের দল জিতলে (যত অল্প ব্যবধানেই জিতুক না কেন) সমস্বরে বলা হয়,
জনগণ জনবিরোধী শক্তিকে পরাস্ত করেছে। আর হেরে গেলে, তখন শতকরা হিসেব চলে, আসলে ৪০
শতাংশ ভোট পেয়ে তো জিতল ওরা, সংখ্যাগুরু মানুষই তো ওদের বিরুদ্ধে। তাই কোনও ফলেই সকলে
সন্তুষ্ট নয় কখনও।
এখন প্রশ্ন হল, ধারাবাহিক
ভাবে কোনও দলের পক্ষে বা বিপক্ষে আছেন এমন লোকের সংখ্যা কত? অর্থাৎ, একটি দলের
প্রতি কমিটেড বা একটি দলের প্রতি বিদ্বেষী – এমন মানুষের সংখ্যা একটা সময়পর্বে (ধরুন
দশ কি পনের বছরে) কতটা স্থির থাকে? এই প্রশ্নের উত্তর খুব জটিল। দেখা গেছে, ১৯৫২
থেকে ১৯৬৭ অবধি সারা দেশেই কংগ্রেস একচেটিয়া ভাবে বারবার ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। আবার
১৯৭৭ থেকে ২০১১ ও ১৯৫২ থেকে ১৯৮২ – যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশে শাসকের
বদল হয়নি। তেমনই গত ১৫ বছর ধরে গুজরাতে একই শাসক দল ক্ষমতায় রয়েছে। আবার অন্য অনেক
প্রদেশে বা জাতীয় স্তরে প্রতি বছরই হয় এ দল নয় সে দল ক্ষমতায় পালাবদল ঘটিয়েছে। এখন
এই ক্ষমতায় টিকে থাকা বা ছিটকে যাওয়ার পিছনে অবশ্যই নির্দিষ্ট কারণ আছে। উল্লেখ্য,
গত এক-দু’ দশকে এই বদলের হার আরও দ্রুতগামী হয়েছে।
‘রোটি কাপড়া অউর মকান’ – এই
ছিল আশির দশক পর্যন্ত নির্বাচনের মূল মুদ্দা। নির্বাচনের ময়দানে বা মাঠেঘাটে
ময়দানে দারিদ্র্য, বেকারি, সমাজতন্ত্র এই নিয়েই রাজনৈতিক দলগুলি নানা লড়াইয়ে
মেতেছে, বড় বড় গণ-আন্দোলন বা এমনকি সশস্ত্র লড়াইও সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নতুন
নতুন দলেরও উত্থান হয়েছে এবং নানান রাজ্যে পালাবদল ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের
ক্ষমতায় আসা এমনই এক নতুন নজির ছিল নিঃসন্দেহে। জয়প্রকাশ নারায়ণের ‘সর্বাত্মক
বিপ্লব’এর ডাকও ছিল এই গোটা অনুশীলনপর্বের একটি অনুষঙ্গ। আশির দশকের মাঝামাঝি ও শেষ
থেকে এই অনুশীলনের মোড়টা ঘুরতে থাকে। রাজীব গান্ধী সরকার কর্তৃক পরিত্যক্ত বাবরি
মসজিদের গর্ভগৃহের তালা খুলে দেওয়া ও শাহবানু মামলায় হেরে গিয়ে সংসদে সংখ্যার জোরে
আইন বদল এবং মণ্ডল কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ পাওয়া – মূলত এই তিনটি ঘটনা ভারতীয়
রাজনীতির গতিপথটাকেই অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়। জাতপাত ও সংখ্যালঘুদের কেন্দ্র করে এক
নতুন রাজনীতির মার্গ আত্মপ্রকাশ করে। রামমন্দির-বাবরি মসজিদ ইস্যু ও জাতপাতের বিষয়
হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতির মূল অনুঘটক। আর একে ভর করেই রাজনীতির মূল প্রাঙ্গণে উঠে
আসে বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল ধরনের
দলগুলি। এর পরের ঘটনাগুলি আমরা জানি।
প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল
জাতপাত ও ধর্মীয় ইস্যুগুলিকে তাদের নিজেদের মতো করে কাজে লাগিয়েছে এবং যে যেমন যখন
পেরেছে ভোটের ময়দানে তার ফায়দা তুলেছে। ২০০২ সালে গুজরাতে দাঙ্গা এরকমই এক নৃশংস
ঘটনা যার ফায়দা বিজেপি ষোলআনা নিজের ঘরে তুলেছে। একইভাবে ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর
মৃত্যুর পর কংগ্রেস দেশের বহু জায়গায় শিখদের হত্যা করেছে ও এক নৃশংস জাত্যাভিমানকে
উসকে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ফায়দা উঠিয়েছে। বিজেপি যদি হিন্দু উগ্রবাদকে
নিজেদের কাজ লাগিয়ে থাকে তো অন্য দলগুলি ইসলামি উগ্রবাদ বা জাতপাতের বিভাজনকে
নিজেদের কাজে লাগিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ও বিহার হয়ে ওঠে ধর্মীয় ও জাতপাত ভিত্তিক
রাজনীতির জঘন্যতম উর্বর ক্ষেত্র। পরিচিত মাফিয়া ডনরা তাদের বাহুবল ও অস্ত্রের জোরে
একেকটি পার্টিকে ধরে ব্যাপক
হারে বিধায়ক ও সাংসদ হতে শুরু করে। অর্থ, কালো টাকা ও
সরকারি কোষাগারকে লুঠ করে প্রায় সারা দেশ জুড়েই গণতন্ত্রের নামে রাহাজানি ও মোচ্ছব
এক সাধারণ প্রবণতা হয়ে দাঁড়ায়। এর বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ ও গণরোষও বাড়তে থাকে। পাশাপাশি,
দুর্নীতি এক ব্যাপক ও ভয়ঙ্কর রূপ নেয়।
দিল্লি সহ কিছু কিছু রাজ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমে ব্যাপক মানুষ তাদের ক্ষোভের
জানান দেয়। এই সার্বিক অবস্থায়, রাজনৈতিক দলগুলির তীব্র খেয়োখেয়ির মধ্যে, জাতপাত ও
ধর্মকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাদানুবাদ ও খুন-খারাপির মধ্যে পড়ে সাধারণ মানুষ
চাইছিলেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে। দৈনন্দিন রুটি-রুজির সমস্যা, সরকারি অলিন্দে তীব্র
দুর্নীতির মুখে হেনস্থা হওয়া ও প্রায় সর্বত্র ধর্ম ও জাতপাতের ভিত্তিতে
গরিবদের নিজেদের মধ্যে অবিশ্বাস ও হানাহানি - এই পঙ্কিল রাজনীতির আবর্ত থেকে
নিজেদের বের করে আনার এক দুর্দমনীয় বাসনা সাধারণ মানুষকে পেয়ে বসেছিল। সাম্প্রতিক
কালে তাই, যেখানেই রুটি-রুজির সমস্যাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কোনও দল কিছু বলতে বা করতে
চেয়েছে সেখানেই আমজনতা তাদের ওপর আস্থা রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গে মমতার রাজনীতিতে তেমনই
ডাক ছিল, বিহারে নীতিশজীও তাই বলেছেন, দিল্লিতে কেজরিওয়ালও সেই পথ ধরেই এগিয়েছেন। মানুষ
এই রাজনীতিতে সায় দিয়েছেন।
অর্থাৎ, ‘রোটি
কাপড়া অউর মকান’এর রাজনীতিই চাইছে আবার মূল কেন্দ্র হতে। বিজেপি আপাতত এই
রাজনীতিকেই মূল করে এগোতে চাইছে। ক্লান্ত উত্তরপ্রদেশবাসী জাতপাত ও ধর্মের ক্লিশে
রাজনীতি থেকে মুক্তি চেয়েছেন। জাতপাত, লিঙ্গ, ধর্ম নির্বিশেষে তারা বিজেপিকে এবার
উজাড় করে ভোট দিয়েছেন। অর্থনৈতিক সক্ষমতাই যে অন্যান্য বিভেদ থেকে মুক্তির অনেকটা
সহায়ক তা মানুষ জানেন। বিজেপি যদি ধর্মের জিগির তুলে এই আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিহত করতে
চায় তবে তার পতন আবারও সুনিশ্চিত। কারণ, অন্যান্য দলের মতোই বিজেপিও ধর্মকে কাজে
লাগাতে সিদ্ধহস্ত। মানুষের চাপ ও আকাঙ্ক্ষা এবং ভোটে বদলে দেবার সক্ষমতা মানুষকে
কিছুটা হলেও পরিসর দিয়েছে নিজেদের চারপাশটাকে আংশিক পালটাতে। আর নির্বাচন যেহেতু
এখন বছরওয়ারি মোচ্ছব তাই অশ্বের লাগাম কিছুটা হলেও জনতার হাতে। অবশ্য, ভারতীয়
সংসদীয় ব্যবস্থায় কিছুই হয় না, একে ভেঙ্গে ফেলতে হবে (ফেলে কী হবে কে জানে) - এই
মত পোষণকারীরা দিনে দিনেই সংখ্যালঘুতর হচ্ছেন, তাই তাদের কথার তেমন প্রতিধ্বনি আর
জনতার মধ্যে ওঠে না। নানা ভাবে শাসকের অন্তর্দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের দাবি
আদায়ে আগামী দিনে জনতা শাসকের লাগামটা আরও বেশি করে নিজেদের হাতে নিতে পারবে বলেই
মনে হয়।
Wednesday, 8 March 2017
তর্পণ
কালিকাপ্রসাদ
(১৯৭১ - ২০১৭)
অনিন্দ্য ভট্টাচার্য
আমি তো গানের কিছুই জানি না, শুধু শুনি মন দিয়ে; তা দিয়ে এই পণ্ডিত ব্যক্তি সম্পর্কে কীই বা বলতে পারি! যেটুকু চিনতাম ওকে, যেটুকু শুনেছি, বোঝার চেষ্টা করেছি, তা সবই বোধের আলোকে। কিন্তু তবুও কেন জানি অল্প কিছু বলতে ইচ্ছে হয়েছে - হয়তো মনের ভেতরে জারিত হওয়া অসহ্য কষ্টটাকে খানিক লাঘব করতে।
এতকাল লোকগান তো আমরা শুনেছি শুধু। তার ইতিহাস, তার পরম্পরা, তার আকুল বাঁচার স্পন্দনকে কখনও স্পর্শ করতে চেয়েছি কী? 'কে যাস রে ভাটির গাঙ বাইয়া' - শচীন কর্তার মর্মস্পর্শী গায়কি, নির্মলেন্দুর উদাত্ত গলা শুনে আমরা ভেতরে ভেতরে পুড়েছি, আকুল হয়েছি কিন্তু কখনও জানিনি সেইসব তুলে আনা গানের মর্মকথা, ব্যথা, বেদনা, প্রেমের ইতিকথা। কালিকা শুধু লোকগানের অফুরন্ত ভাণ্ডারকে আমাদের কাছে উজাড় করে দেননি, তার ভেতরের প্রাণভোমরাটিকেও উদ্ধার করেছেন আমাদের জন্য। আমাদের এতাবৎকালের ইতিহাসের পরিচয়টাকেই ক্ষতবিক্ষত করেছেন, নতুন ইতিহাসের আকর আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন শুধু গানে নয়, ইতিহাস বোধে, দেখার দৃষ্টিতে, জীবনের ইতিকথায়, শ্রমের মর্যাদায়। আমাদের অহং ফেলে দিয়ে শ্রদ্ধাশীল মানসিকতায় উত্তরণ ঘটিয়েছেন।
কালিকাকে দেখেছি যত না কাছ থেকে তার থেকেও বেশি দূর থেকে। প্রথম আলাপ ২০০২ সালে 'একক মাত্রা'র একটি আড্ডায়। এসেছিলেন শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সূত্রে। তখন 'দোহার' তৈরি হয়ে গেছে, গান করছেন, দৌড়ে বেড়াচ্ছেন এ পল্লী থেকে সে পল্লী। কাকা অনন্ত ভট্টাচার্যের রেখে যাওয়া লোকগানের আকরকে অমলিন তুলে আনছেন সকলের সামনে। খুব যে সাড়া পাচ্ছেন তাও নয়। আবার অনেকে শুনছেনও। নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে কখনই আপসে যাচ্ছেন না, সাবেকি বাদ্যযন্ত্র ছেড়ে আধুনিক ইলেক্ট্রনিক্স গেজেটে আরও 'আকর্ষণীয়' করার চেষ্টাও করছেন না নিজেদের। নিবিড় ভাবে লোকগানের অতল স্পর্শে পৌঁছচ্ছেন, তাকে স্বমহিমায় তার নিজের জোরেই আধুনিক গানের সমান্তরালে পেশ করে তার স্বাভাবিক অমোঘ টানেই তাকে সন্ধানী, মরমী মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে দিচ্ছেন। এইখানেই তিনি সার্থক। এখানেই তিনি প্রজ্ঞাবান। এইখানেই তিনি দোহার।
তাঁর এই মর্মান্তিক অকালপ্রয়াণে অসম্ভব বিদ্ধ হয়েছি। আরও কষ্ট পেয়েছি, তাঁর এই অর্ধেক পথে রেখে যাওয়া বাকী কাজগুলির কী হবে তা ভেবে। একটা পারিবারিক সূত্রও ছিল তাঁর সঙ্গে। সেটাও জেনেছি আলাপের বেশ পরে। সব কিছু ছাপিয়ে তিনি সাধক। তাঁকে সাধনা করার মধ্যেও জীবনের অনেক ঐশ্বর্যকে পাব, এই বিশ্বাস করি।
Friday, 17 February 2017
A Shocking Letter!
In the Corridors of Big Media
Please read this letter how a big media self-proclaiming as 'watchdog of democracy and freedom of expression' horrifies its staff in its corridors:
https://www.pgurus.com/shocking-letter-from-a-terminated-telegraph-journalist-exposing-media-owners-journalist-leaders/
Please read this letter how a big media self-proclaiming as 'watchdog of democracy and freedom of expression' horrifies its staff in its corridors:
https://www.pgurus.com/shocking-letter-from-a-terminated-telegraph-journalist-exposing-media-owners-journalist-leaders/
Thursday, 29 December 2016
Tuesday, 6 December 2016
মেরে পেয়ারে দেশবাসিয়োঁ......
এই মৃত্যু মিছিলের দায় আপনার প্রধানমন্ত্রীজী
অপূর্ব সাহা
১০ নভেম্বর সকাল সাতটার সূর্য বিশাল মাপের দুটি সরকারি
বিজ্ঞাপনের ছাপান্ন ইঞ্চি ছাতির পাশ দিয়ে যখন কোনোরকমে জায়গা করে প্রকাশিত হওয়ার
চেষ্টা করছে তখন দেওয়ালে দেওয়ালে সাঁটানো ‘শতবর্ষে নভেম্বর বিপ্লব’ পোস্টারের লেনিনের পথ নির্দেশক তর্জনীটি
জানিয়ে দিচ্ছে – ধর্মতলা নয়, ব্রিগেড নয়, দিল্লীও নয়- ব্যাঙ্ক চলো।
ব্যাঙ্কের সামনে লাইনে দাঁড়াতে
হয়েছিল ধর্মেন্দ্র ভার্মাকেও। সাথে ছিল তার চার বছরের মেয়ে। মেয়ের প্রচন্ড জ্বর। তাই
ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে তাকে মেয়ের চিকিৎসা করাতে হবে। দীর্ঘ সর্পিল লাইনে একটু
পিছিয়েই পরেছিল সে। লাইন এগোচ্ছিল খুব ধীর গতিতে। মেয়ের অসুস্থতাও বাড়ছিল। অবশেষে
দীর্ঘ সময় পর যখন সে কাউন্টারে পৌঁছয় তখন দেখে মেয়ে মারা গেছে।
পঁয়ষট্টি বছর বয়সী রমানাথ কুশওয়ারও
লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন টাকা তুলতে। তার গর্ভবতী মেয়ে ভর্তি আছে হাসপাতালে। টাকা তুলে
নিয়েই তাকে ছুটতে হবে হাসপাতালে। খুব ভিড় জমে থাকা ব্যাঙ্কের সামনে দৌড়োদৌড়ি,
হুড়োহুড়িতে মাটিতে পড়ে যান তিনি। হঠাৎ করে তৈরি হওয়া উদ্বিগ্ন পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে
যাওয়া মানুষগুলোর জমায়েতের চাপে জখম হন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা
হয় তাকে।
তিনদিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়েও টাকা
বদলাতে না পারা সিয়ারাম, অনিল ঘোষ, রবীন মুখার্জি, বিশ্বদেব নস্কর কিংবা মেয়ের
বিয়ের জন্য টাকা তুলতে লাইনে দাঁড়ানো বাবুলাল সবারই একই পরিণতি হয়েছে।
দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র
সুরেশ। কয়েকদিন ধরেই তাকে ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছিল কলেজের বার্ষিক পরীক্ষার
ফি’এর টাকা তুলতে। অবশেষে ফি জমা
দেওয়ার শেষদিন এসে যায়। প্রয়োজনীয় টাকা তুলতে না পেরে খুব হতাশ হয়ে যায় সে। যেদিন
পরীক্ষার ফি জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল সেদিন
রাতেই সুরেশ মায়ের শাড়ি গলায় দিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে দেয়
নিজের দেহকে।
ভাগচাষি শিবু মান্ডি, ব্যাবসায়ী
সুখেন দে সরকার, ঠিকাশ্রমিক ত্রিভুবন সুমেসেরা, দিনমজুর গোরা মাঝি, আলুচাষি অমিত
সরকার এরা কেউই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অভিযোজিত করতে পারেনি নিজেরদেরকে। এরা
প্রত্যেকেই এখন মৃত।
মৃত্যুর সংখ্যা ৮৪ পেরিয়ে গেছে।
সবই ৮ নভেম্বর রাত ৮টার ‘মাস্টার স্ট্রোক’এর পরিণতি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরে কাশ্মীরে জনতা এবং সামরিক বাহিনীর যে খন্ডযুদ্ধ চলছিল সেখানে সামরিক বাহিনীর
মেশিনগানের গুলিতে নিহত সাধারণ মানুষের সংখ্যা এর
থেকে কম। তাহলে একটা রাষ্ট্রনীতি মেশিনগানের থেকেও ভয়ঙ্কর এবং ক্ষতিকারক হয়ে
উঠেছে। এইরকম একটা নীতি তার আবির্ভাব মুহুর্তেই এতগুলো প্রাণ কেড়ে নিল। দেশ জুড়ে
কয়েক কোটি গরিব এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার জন্য
লড়াই করছে এই নীতির সাথে।
যে কারখানার শ্রমিক মজুরি না পেয়ে
কারখানার গেটের সামনে বসে থাকছে, যে নির্মাণ শ্রমিক ভিনরাজ্য থেকে খালি হতে ফিরছে,
যে কৃষক ধান বিক্রি করতে না পেরে ভাবছে কিভাবে বীজ আর সার কিনবে, যে দিনমজুর গোটা
দিনই কাটিয়ে দিচ্ছে ব্যাঙ্কের সামনে লাইন দিয়ে, যে বিক্রেতা তার দোকানের জিনিসপত্র
নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষা করছে, যে চা বাগানের কর্মীরা মজুরি না পেয়ে রাস্তায় বসে
থাকছে তাদের কাছে ‘ডিমনেটাইজেশন’ কী ‘আচ্ছে দিন’ এনে দিল? এদের ‘মন কি বাত’ শোনা হবে কখনও? ক্ষুদ্র এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রে অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ছে। অর্থনীতি বিশারদদের মতে এর ফলে আগামী অর্থনীতি
মন্দার কবলে পড়তে পারে।
রাষ্ট্রযন্ত্রের যান্ত্রিক
গোলযোগের শিকার এই মানুষগুলো। আর রাষ্ট্র ধৃতরাষ্ট্র হয়ে ব্যস্ত আলমারির শাড়ির ভাঁজে রাখা টাকা
বা ঘরে ছোট্ট একটা খুঁটিতে জমানো টাকাকেও করায়ত্ত করতে। ‘ডিমনেটাইজেশন’এর চাপে মুম্বাই’এর গোভান্ডিতে সদ্যোজাত যে শিশুটি চিকিৎসা না পেয়ে
মারা গেল বা আম্বুলেন্সকে একশো টাকার নোট দিতে না পারায় হাসপাতালে যাওয়ার আগেই
জয়পুরে যে শিশুটি মারা গেল তার জন্য দায়ী কে? ঘুম থেকে উঠে রোজ দু’ চামচ করে দেশপ্রেমের সিরাপ খাওয়া আরোপিত
জাতীয়তাবাদের নেশায় মাতাল পেটিএম পাব্লিক কি এগুলোর
ব্যাখ্যায় ‘শর্ট টাইম পেইন, লং টাইম গেইন’ তত্ত্ব আওড়াবেন নাকি বলবেন ‘কোল্যাটারাল
ড্যামেজ’? মনে প্রশ্ন জাগছে, এটা কালো টাকার ওপর ‘সার্জিক্যাল
স্ট্রাইক’ নাকি মানুষের জীবনের ওপর?
নির্মিত সাদা কালো আবহাওয়ায়
দেশপ্রেমের হিস্টিরিয়া ওড়ানো ছাপান্ন ইঞ্চি
ছাতির মানুষটিকে যদি কখনও কোনও লাইনে দাঁড়াতে হয় তাহলে তার সামনে পরে থাকবে এই
৮৪টা মৃতদেহ। কর্পোরেটের কার্পেটে হাঁটতে অভ্যস্ত মানুষটিকে এই জেনোসাইড’এর দায় নিতেই হবে।
Subscribe to:
Posts (Atom)