রাজীব ভট্টাচার্য
২০০৮ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার পর থেকে কয়েক বছর বাদ দিলে, প্রায় এক দশক ধরেই সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের অভিমুখ ক্রমশ নিম্নগামী। জীবনযাত্রার মান, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা, সামাজিক সুরক্ষা, মানসিক শান্তি, সন্ত্রাস-মুক্ত পরিবেশ, নারী সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন, প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য- প্রতিটি ক্ষেত্রেই অবক্ষয় বা অনুন্নয়ন সত্যিই এক ভীষণ চিন্তার কারণ। তবে করোনা-পূর্ব পরিস্থিতিতে চীন ও ভারত এই দুই রাষ্ট্রকে সর্বাধিক দুই উন্নয়নশীল ও সম্ভাবনাময় রাষ্ট্ররূপে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে গত এক দশকে কতটা উন্নয়ন ঘটেছে তা অতি পরিচিত, নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠিত কিছু আর্থ-সামাজিক সূচকের সাহায্যে পর্যালোচনা করা যেতে পারে।
এ ক্ষেত্রে প্রথমেই শুরু করা যাক সুইডেনের ফ্রিডম হাউস’এর সদ্য প্রকাশিত ২০২১ সালের প্রতিবেদন দিয়ে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারত একটি সম্পূর্ণ 'মুক্ত রাষ্ট্র' হিসেবে গণ্য হলেও ২০২১ সালে 'আংশিক-মুক্ত' রাষ্ট্রের শিরোপা পেয়েছে। এর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভারতে গণতান্ত্রিক পরিবেশের অবক্ষয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা খর্ব হওয়া। এই সূচক যে দুটি প্রধান বিষয়ের উপর নির্ভরশীল: (ক) রাজনৈতিক অধিকার ও (খ) নাগরিক স্বাধীনতা। ২০২১ সালে বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে ৮২টি (৪২.০৫ শতাংশ) দেশ 'সম্পূর্ণ মুক্ত', ৫৯টি (৩০.২৬ শতাংশ) দেশ 'আংশিক-মুক্ত' ও ৫৪টি (২৭.৬৯ শতাংশ) দেশ 'মুক্ত নয়' শিরোপা পেয়েছে।
সমগ্র বিশ্বে ২০০৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্রের ফাঁক (যা নির্ধারিত হয় প্রতি বছর কত সংখ্যক দেশে গণতন্ত্রের উন্নতি ঘটেছে ও কত সংখ্যক দেশে তার অবনতি ঘটেছে তার পার্থক্যের উপর) সমস্ত বছরগুলিতেই ঋণাত্মক (২০০৫ সাল ছাড়া) এবং ২০২০ সালে তা সর্বোচ্চ (-৪৫)। অর্থাৎ, গণতন্ত্রের অবক্ষয় বা নিম্নগতি গোটা বিশ্বেই পরিলক্ষিত। আমাদের দেশের ক্ষেত্রে মানবাধিকার কমিশনের উপর অত্যধিক চাপ, শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকদের ভীতি প্রদর্শন, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার অভাব, বিভেদমূলক নাগরিকত্ব আইন, প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ, কিছু সাম্প্রদায়িক কার্যকলাপ ও গোঁড়া হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদের উত্থানকে দায়ী করা হয়েছে। তাই আজ ভারত সমগ্র বিশ্বে গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শকের জায়গা থেকে বিচ্যুত ও ক্ষুদ্র গোষ্ঠী রাজনীতির বলয়ে পরিবৃত হয়ে মূল্যবোধ ও সাম্যের পথে দিকভ্রান্ত।
এরপর দেখা যাক ২০২১ সালের বিশ্ব সুখ সূচক (World Happiness Index)। এর আগের আটটি World Happiness Report (WHR)’এর মতো বর্তমান নবম রিপোর্টটিরও মূল ভিত্তি হল রাষ্ট্রভিত্তিক সুখ ও সমৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা, যা আসলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের মানদণ্ড। বিষয়গত সমৃদ্ধির পরিমাণ তিনটি মূল বিষয়ের উপর নির্ভরশীল: (ক) জীবনের মূল্যায়ন (খ) ইতিবাচক আবেগ ও (গ) নেতিবাচক আবেগ। ২০২০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী ৯৫টি দেশের মধ্যে জীবনের মূল্যায়নে ভারতের স্থান ছিল ৯২তম। এই সূচক অনুযায়ী ২০১৭-২০১৯’এর মধ্যে ভারতের স্থান ছিল ৯৩তম। ২০১৮-২০২০’তে WHI’এর বিশ্ব সূচক অনুযায়ী ১৪৯টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৩৯তম। সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড, তারপর ডেনমার্ক, সুইৎজারল্যান্ড প্রমূখ। সর্বনিম্নে রয়েছে আফগানিস্তান।
দুর্নীতি বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান দেয় Global Corruption Perception Index (GCPI), অর্থাৎ, দুর্নীতি উপলদ্ধি সূচক। এর ২০২০ সালে প্রকাশিত রিপোর্টে বিশ্বের ১৮০টি দেশকে সরকারি ক্ষেত্রে দুর্নীতি অনুযায়ী ক্রমপর্যায়ে সাজানো হয় নির্দিষ্ট মানের ভিত্তিতে। দেখা যায় যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় অতি সামান্য বা কোনও উন্নতিই পরিলক্ষিত হয়নি। গোটা দশক জুড়ে প্রায় একইরকম ছবি ধরা পড়েছে। প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ দেশের ক্ষেত্রে GCIP’এর মান পঞ্চাশের নিচে। ভারত ২০২০ সালের সূচক অনুযায়ী আরও নিচে নেমে ৮৬তম আসন দখল করেছে এবং এই সূচকের মান ৪০। অর্থাৎ, দুর্নীতি মুক্ত সমাজের ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি খুবই সামান্য।
ভারতের এক বিশাল সংখ্যক মানুষ এখনও দারিদ্র্যের শিকার। এর মূল কারণ বেকারত্ব হারের বৃদ্ধি এবং ফল হল অপুষ্টি জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। তাই এবার আমরা দেখব বিশ্ব ক্ষুধা সূচক বা Global Hunger Index (GHI) আমাদের কী পরিসংখ্যান প্রদান করে। এর মূল লক্ষ্য হল সারা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ও দেশে ক্ষুধা নিবারণের উপায় কতটা সূরাহা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা। এই সূচকটি চারটি মূল বিষয়ের উপর নির্ভরশীল: অপুষ্টি, শিশু নষ্ট হওয়া, শিশুর বৃদ্ধি রোধ ও শিশু মৃত্যুহার। এই GHI-এ মান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ১০০ পয়েন্ট স্কেল ব্যবহার করা হয়। মান 0 হল সর্বোৎকৃষ্ট ক্ষুধাহীন এবং ১০০ হল সবচেয়ে নিকৃষ্ট অবস্থা। কিন্তু বাস্তবে এর মান এই দুই সীমার মাঝে কোথাও হয়ে থাকে। ২০২০ সালে GHI অনুযায়ী, ৪৮টি দেশ নিম্ন GHI (<৯..৯); ২৬টি দেশ মাঝারি GHI (১০-১৯.৯); ৪০টি দেশ খারাপ GHI (২০-৩৪.৯); ১১টি দেশ উদ্বেগজনক GHI (৩৫-৪৯.৯) ও অতি উদ্বেগজনক GHI দেশের সংখ্যা (≥৫০) বর্তমানে শূন্য। এই ১০৭টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ৯৪তম। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ৭৫তম ও পাকিস্তান ৮৮তম। অর্থাৎ, GHI’এর ক্ষেত্রে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অবস্থার উন্নতি ঘটলেও অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থা যথেষ্ট সংকটজনক।
আজ বিশ্ব জুড়ে যার জোর চর্চা সেটি হল বিশ্ব লিঙ্গ ফারাক বা Global Gender Gap (GGP)। ২০০৬ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম দ্বারা এটি প্রথম প্রকাশ পেয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বময় লিঙ্গ সাম্যের অগ্রগতি ও দেশভিত্তিক তারতম্য দূরীকরণ। এটি মূলত চারটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল: অর্থনৈতিক সুযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব। ২০০৬ সালে GGP’তে ভারতের স্থান ছিল ৯৮তম ও তার মান ছিল ০.৬০১। কিন্তু ২০২০ সালে এসে ভারতের স্থান দাঁড়িয়েছে ১৪০ ও তার মান ০.৬২৫। এর মধ্যে অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুযোগের ক্ষেত্রে ভারত নেমে গিয়েছে ১১০তম (২০০৬ সালে) স্থান থেকে ১৫১তম (২০২০ সালে) স্থানে। শিক্ষা অর্জনে ১০২তম স্থান থেকে ১২৯তম স্থানে; স্বাস্থ্য ও জীবনধারণে ১০৩তম স্থান থেকে ১৫৫তম স্থানে ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে ২০তম স্থান থেকে ৫১তম স্থানে অবনমন ঘটেছে ওই একই সময়ে। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়া ছিল পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুযোগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন স্থানে (৩৩.৮ শতাংশ)। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে ভারতের GGP’র আঞ্চলিক স্থান ষষ্ঠ। তাই লিঙ্গ ভারসাম্য রক্ষায় ভারতের উন্নতি মোটেই উল্লেখযোগ্য নয় বরং অবনতির লক্ষণই প্রকট।
এরপর দেখা যাক বিশ্ব প্রতিযোগিতা সূচকের (Global Competitiveness Index, GCI) পরিস্থিতি কীভাবে বদলেছে। ৬৩টি দেশের বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই সূচক নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে প্রধান স্তম্ভ হল: প্রতিষ্ঠান, যথাযথ পরিকাঠামো, স্থায়ী সমষ্টিগত কাঠামো, ভালো স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও ট্রেনিং, দক্ষ পণ্য ও শ্রমের বাজার, উন্নত আর্থিক বাজার ব্যবস্থা, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের বিকাশ, ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার, উদ্ভাবন ক্ষমতার ক্রমবিকাশ প্রভৃতি। ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশের পর থেকে এই সূচকে ভারতের অবনমন ঘটেছে। ১৯৯৭ সালে এই সূচকে ভারতের স্থান ছিল ৪১তম, ২০১৭’তে পৌঁছয় ৪৫তম (তবে ২০১৯ ও ২০২০’তে সামান্য উন্নতি ঘটে তা পৌঁছয় ৪৩তম স্থানে)।
সব শেষে দৃষ্টি দেওয়া যাক মানব উন্নয়ন সূচক বা Human Development Index, (HDI)’এ যা ১৯৯০ সালে UNDP তার প্রথম মানব উন্নয়ন রিপোর্টে প্রথম প্রকাশ করে। HDI তিনটি মূল বিষয়ের উপর নির্ভরশীল: (ক) দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন (যা সম্ভাব্য আয়ুষ্কালের সাহায্যে মাপা হয়); (খ) জ্ঞানের বিকাশ (যা ২৫ বছর ঊর্ধ্বে গড় বিদ্যালয় শিক্ষা এবং শিশুদের প্রত্যাশিত বিদ্যালয় শিক্ষার গড়ের উপর নির্ভরশীল); (গ) শালীন জীবনযাত্রার মান (যা পরিমাপ করা হয় জনপ্রতি সার্বিক জাতীয় আয় দ্বারা)। HDR ২০২০ অনুযায়ী, সারা বিশ্বে ১৮৯টি দেশের মধ্যে ভারতের HDI’তে স্থান ১৩১তম এবং তার মান ০.৬৪৫। ১৯৯০ সালে এর মান ছিল ০.৪২৯, অর্থাৎ, প্রায় ৫০.৩ শতাংশের পরিবর্তন। ২০১৯ সালে ভারতের স্থান ছিল ১২৯তম, অর্থাৎ, সেখান থেকে দু’ ধাপ অবনমন ঘটেছে। বৈষম্য নিয়ন্ত্রিত HDI’এর মান ০.৪৭৫। ভারত মধ্য মানব উন্নয়ন দেশভুক্ত। এর মূল কারণ মাথাপিছু GNI কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এই দুই দিক থেকেই ভারতের অবস্থা ভীষণভাবে শোচনীয়।
তাই উপরের আলোচনা একটি কথা স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, কাগজে-কলমে সম্ভাবনাময় উদীয়মান বাজার অর্থনীতির তকমা পেলেও দীর্ঘকালীন স্থায়ী উন্নয়নের মাপকাঠিতে ভারত পৃথিবীর উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের চেয়ে যথেষ্ট পিছিয়ে। এছাড়া সার্বিক জাতীয় উৎপাদনের দ্রুত হ্রাস, বেকারত্বের অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, গণতান্ত্রিক পরিবেশের অবক্ষয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, শিল্পের অধোগতি, সরকারি রাজকোষের ঘাটতি বৃদ্ধি, উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং সর্বোপরি সামাজিক ক্ষেত্রে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের করুণ পরিস্থিতি আমাদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।
সুপাঠ্য নয়।
ReplyDeleteকষ্ট করে বুঝতে হবে।
অত্যন্ত ভাল লেখা
ReplyDeleteমানব উন্নয়ন সূচক হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের মান কিন্তু ভারতবর্ষের গড়ের নীচে 0.641(2019-র হিসাব)। আজ আমাদের সঙ্গী বিমারু রাজ্যগুলি। ব্যাপারটা বড় পীড়াদায়ক। আমরা যেন এই বিষয়টা বোঝার ও পরিবর্তনের চেষ্টা করি।
ReplyDeleteপরিসংখ্যান সম্বলিত একটি সমৃদ্ধ আলোচনা
ReplyDeleteবিভিন্ন সূচকের ভিত্তিতে করা আলোচনাটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ যা পাঠককে নতুন করে ভাবাবে.....গনতান্ত্রিক পরিবেশের অবক্ষয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা খর্ব হওয়াটা দুশ্চিন্তার....লেখার শেষ স্তবকে বলা প্রতিটি সত্যের সামনা সামনি হতে গিয়ে একটাই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে, এর থেকে মুক্তির উপায় কী.... আশা রাখছি পরবর্তী অংশে লেখক এ বিষয়ে আলোকপাত করবেন... আমরা আরো সমৃদ্ধ হব
ReplyDeleteউন্নয়নের জন্য গনতন্ত্র কতটা জরুরি?
ReplyDeleteদেখা যাচ্ছে চিন এর জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬.৫%।
অথচ গনতন্ত্রের নামে গন্ধ নেই।
জনগনের রাজনৈতিক স্বাধীনতা নেই।
সুতরাং এই সব মানদন্ডের মুল্য কতটা?
উন্নত দেশের তুলনায় ভারত সেই ১৯৪৭ থেকেই পিছিয়ে।
এটা নিয়ে ভারতের সবাই একমত।
বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই আলোচনাটি করা হয়েছে বলে মনে হয় এবং বর্তমান দেশের জাতীয় আয়ের সূচক- এর অবস্থা থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রে যে উন্নয়নের ধারা চলছে তার প্রতি লেখক এর দৃষ্টিভঙ্গি স্বচ্ছ নয় বলে আমার মনে হয়েছে। একটা লাইনের উপরে দৃষ্টিপাত করা যেতে পারে, যেমন- 'কিছু সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদ' এখানে ও কিন্তু পক্ষপাতমূলক মতাদর্শে প্রকাশ ঘটেছে, যেটা কখনোই সমর্থন যোগ্য নয়।
ReplyDeleteআমার মতে প্রবন্ধ নিরপেক্ষ মূলক হওয়া উচিত।
যুগোপযোগী লেখা, তবে সবার পছন্দ নাও হতে পারে।
ReplyDeleteএটাতো ঠিক প্রতিদিন টিভিতে সিবিআই ইডি তাদের তদন্তের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে তা আমাদেরই ট্যাক্সের টাকা কিন্তু কোন অপরাধী ধরা পড়ছে না শুধু লুকোচুরি খেলা হচ্ছে। ধর্মীয় মেরুকরণের আফিং এ মানুষকে বিভাজিত করে মানুষের ঐক্য বদ্ধ সংগ্রাম তাকে দুর্বল করা হচ্ছে ।সর্বত্র লুটেরাদের রমরমা ব্যবসা ।সাধারণমানুষ ভরসা রাখে সরকারের উপর, ভরসা রাখে বিচার ব্যবস্থার উপর কিন্তু আমরা আজ অসহায় এবং হতাশাগ্রস্থ ।জানিনা এর শেষ পরিণতি কোথায়।
ReplyDeleteসূচক দিয়ে সব কিছু না হলেও এই সূচক গুলো প্রমাণ করে যে কতটা মিথ্যার মায়াজালে আমরা রয়েছি।
khub valo, tathya samridhya lekha
ReplyDeleteManab unnyan suchok o aro onek suchok er prkshite Prithibi te Bharat er obostan bichere eta ekta tothyo somriddho alochona.Tobe lekha ta pokshopat bihin noi.Kebol somossar ullekh kora hoyeche ,kono somadhan sutrer ullekh nei.Asa kori poro borti lekhai se gulo thakbe.Tobe valo prochesta.
ReplyDeleteরাজনৈতিক পক্ষপাতী দুষ্ট লেখা, শিক্ষণীয় নয়। শিক্ষণীয় ক্ষেত্রে গ্রহিত না হতে পারে আপনার লেখাটি। আসলেই শিক্ষণীয় কিছু নেই। বর্তমান এ দুঃখজনক যে শিক্ষক দের মান ও রাজনীতি ভিত্তিক।
ReplyDeleteনিজের বিশ্বাস বা আদর্শের সঙ্গে মিলছে না বলে লেখা টিকে পক্ষপাত দুষ্ট বা রাজনৈতিক আখ্যা দেওয়া অনৈতিক।
ReplyDeleteশিক্ষকদের মানের কথাটি অপ্রাসঙ্গিক। কারা এই মান বিচার করবে? আর জেল থেকে তো সেটা করাই যাবে না!
সবজান্তাদের কাছে "শিক্ষণীয়" কিছু থাকে না।
সম্পূর্ণ তথ্যভিত্তিক এই লেখাটিতে বাস্তব অবস্থা প্রতিফলিত হয়েছে। রাজীবকে ধন্যবাদ।