Monday, 6 September 2021

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন

কী ভাবছে বাংলাদেশ?

বিধান চন্দ্র পাল

 


আমরা জানি, থেকে ১২ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো শহরে (স্কটল্যান্ড) জাতিসংঘ আয়োজিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ (কনফারেন্স অফ দ্য পার্টি: জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ২৬তম সম্মেলন) অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলনের ওয়েবসাইটে মূলত চারটি অভীষ্ট অর্জনের কথা বলা হয়েছে:

১) চলতি শতকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন নিট শূন্য (নির্গমন শোষণের পরিমাণ একই রাখা) করা প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা . ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা এর জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি, বিশেষ করে কয়লা ব্যবহার বন্ধ করে সবুজ শক্তিতে দ্রুত স্থানান্তরিত হওয়া, বন ধ্বংস হ্রাস করা, বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়েছে;

২) মানুষ প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা করা এই অভীষ্ট অর্জনের জন্য বাস্তুতন্ত্র রক্ষা পুনরুদ্ধার, বন্যা প্রতিরক্ষা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সহ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো ঝুঁকি হ্রাসের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে;

৩) অর্থায়নের ব্যবস্থা করা এর জন্য উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদান করার প্রতিশ্রুতি পালনের প্রয়োজন বলে বলা হয়েছে;

৪) একত্রে কাজ করা প্যারিস রুল-বুক চূড়ান্তকরণ, সরকার, ব্যবসায়ী সুধী সমাজকে একত্রে কাজ করার মাধ্যমেই বর্ণিত অভীষ্ট অর্জন সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে

শুধু করোনার কারণে বিশ্ব তোলপাড় হচ্ছে তাই নয়, তোলপাড় হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও কারণ, জলবায়ুর অতি সামান্য যে পরিবর্তন ইতোমধ্যে লক্ষ করা গেছে, তার প্রাথমিক ক্ষতিকর প্রভাব পৃথিবীর মানুষকে সত্যিই চমকে দিয়েছে এমন একটি সময়ে কপ-২৬ আয়োজন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ যদিও ধরনের সম্মেলন নতুন কিছু নয় কপ-২৬ মঞ্চে সব পক্ষকে কিছু ছাড় দিয়ে উল্লিখিত চারটি অভীষ্ট অর্জনে ইতিবাচক মনোভাবের পরিচয় দিতে হবে আর সেই সাথে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করার দিকটিতে তা না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ পরিণতি মূলতঃ মানবজাতিকেই ভোগ করতে হবে

প্রায় প্রতিদিনই আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব দেখতে পাচ্ছি সাম্প্রতিক সময়ে ( সেপ্টেম্বর ২০২১) জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুসারে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে গত ৫০ বছরে বিশ্বে পাঁচ গুণ মৃত্যু বেড়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বন্যা দাবদাহের ফলে বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ২০ লাখ মানুষের এই কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে লাখ ৬৪ হাজার কোটি ডলার এছাড়া গত জানুয়ারিতে (২০২১) ১২ লাখ মানুষের ওপর চালানো জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড'এর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কিত একটি সমীক্ষায় উল্লিখিত হয়েছে যে, করোনা মহামারির চেয়েও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি এখন বেশি তাৎপর্যপূর্ণ

গ্লোবাল ক্লাইমেট ইনডেক্স অনুসারে ১৯৯৮-২০২১ সালে আবহাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এছাড়া জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে অথচ করোনা মহামারির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের আলোচনা যেন অনেকটাই চাপা পড়ে গিয়েছিল তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার প্রয়াসে আগামী দিনগুলো সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ

মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের পরিণতিতে অতীতের যে কোনও সময়ের চেয়ে এখন দ্রুত হারে সাগর-পৃষ্টের উচ্চতা বাড়ছে এবং বরফ গলছে সেই সাথে জীবজন্তুর বিভিন্ন প্রজাতি তাদের আবাসস্থল বদলাচ্ছে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে বরফের আচ্ছাদন বিলীন হয়ে যাচ্ছে যার ফলে, পরিস্থিতি দিনকে দিন বিপজ্জনক হয়ে পড়ছে (সূত্র: বিবিসি ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯) ফলে আরও অনেক আগেই (২০১৯ সালে) পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে জাতিসংঘ 'রেড-অ্যালার্টজারি করেছিল  

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা প্রতিনিয়ত আবহাওয়ার আচরণ পাল্টাতে দেখছি আবহাওয়াটা কেমন যেন অস্থির- ঘন ঘন নিম্নচাপ হচ্ছে, আমরা মুখোমুখি হচ্ছি ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি, বজ্রপাত আর বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম, জনজীবন, অর্থনীতি সহ কম-বেশি সব কিছুই গড় উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রাথমিক অবস্থা বর্তমান প্রজন্ম যেমন প্রত্যক্ষ করছে, তেমনি ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক প্রজন্ম জলবায়ুর কারণে পৃথিবীর ব্যাপক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করবে নিঃসন্দেহে, জলবায়ু পরিবর্তন এক বৈশ্বিক সমস্যা বিষয়ে স্থানীয়, জাতীয় পর্যায়ে কিংবা রাষ্ট্রীয় ভাবে যেমন অনেক কিছুই হয়েছে, তেমনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে আন্তর্জাতিকভাবেও। যেমন: প্যারিস চুক্তি, কিয়োটো প্রোটোকল ইত্যাদি কিন্তু এত কিছুর পরও আমরা তরুণ সমাজের সচেতনতা এ ক্ষেত্রে বৃদ্ধি করতে পারিনি, তাদের আওয়াজ শোনার খুব একটা তাগিদ আমরা অনুভব করিনি এবং সবচেয়ে বড় কথা, এইসব কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ তেমনভাবে নিশ্চিত করতে পারিনি

সাধারণভাবে জলবায়ু বলতে আমরা বুঝি, কোনও অঞ্চলে বিশ থেকে ত্রিশ বছরের আবহাওয়ার গড়কে আবহাওয়ার মতো জলবায়ুরও অন্যতম উপাদান হল তাপমাত্রা, বায়ুর চাপ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি দুটি ছোট অঞ্চলের জলবায়ু একেবারে একরকম না হলেও তাদের মধ্যে সামঞ্জস্য লক্ষ করা যায় একই ধরনের জলবায়ুর এলাকাগুলোকে অভিন্ন শ্রেণির আওতায় আনা হয় তাপ, চাপ, আর্দ্রতা বায়ুপ্রবাহের ওপর নির্ভর করে পৃথিবীকে কয়েকটি জলবায়ুতে ভাগ করা হয় এর মধ্যে আমরা জানি বাংলাদেশ হল মৌসুমী জলবায়ুর দেশ

খুব সাম্প্রতিক সময়ে এর সাথে আরও একটি নতুন তথ্য যুক্ত হয়েছে- ক্ষতিকর মিথেন গ্যাস উৎপাদনে প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভূমিকা পালন বলা হয়ে থাকে, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং’এর ক্ষেত্রে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের থেকেও মারাত্মক মিথেন বাংলাদেশ এই গ্যাস উৎপাদনে শীর্ষে অবস্থান করছে এমনটাই আমরা নির্ভরযোগ্য মিডিয়ার খবরে জেনেছি প্যারিসভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষক সংস্থা কেরোস এসএএস স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে জলবায়ুর পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণার আওতায় এই তথ্যটি সাম্প্রতিক সময়ে (এপ্রিল ২০২১) প্রকাশ করেছে ফলে, অন্যভাবে বলতে গেলে, এইসব কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা, বায়ুচাপ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি সব কিছুই পরিবর্তিত হচ্ছে

যদিও সারা বিশ্বের অধিকাংশ গ্রিন হাউস গ্যাসই উৎপাদন করছে শিল্পোন্নত রাষ্ট্র সমূহ, বাংলাদেশের দায় সেখানে খুবই নগণ্য অথচ বাংলাদেশ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দুর্যোগের সর্বোচ্চ ক্ষতি-ভোগের দেশ ফলে, নিজেদের ক্ষতিকর গ্যাস উৎপাদনের বিষয়ে বিশেষভাবে নজর না দিলে বর্তমান ভোগান্তির পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন সংকট আরও গভীরতর হবে তাই আমাদের সচেতন পদক্ষেপ নিতে হবে, সব দিক থেকেই সতর্ক থাকতে হবে   

জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় যে সকল অর্থ সাহায্য আসছে এবং আসবে, সে সবের স্বচ্ছ, জনস্বার্থমূলক ব্যবহার; উন্নত দেশ সমূহের কাছে থেকে আর্থিক, প্রযুক্তিগত ব্যবসায়িক অভিযোজন সহায়তা গ্রহণ; পরিবেশ স্বার্থ বিবেচনায় দূষণকারীদের নয়, জনগণের সর্বোচ্চ অধিকার; ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় মানুষকে পূর্ণ পরিমাণের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া তাদের পুনর্বাসন; বাংলাদেশের নদী নেটওয়ার্ক পুনরুজ্জীবনে উন্নত বিশ্বকে নির্দিষ্ট আর্থিক প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান ইত্যাদি নিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হবে জাতিসংঘের উদ্যোগে বাংলাদেশে একটি অভিযোজন গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা তাৎপর্যপূর্ণ আরেকটি পদক্ষেপ হতে পারে একইসাথে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন মোকাবিলায় জাতিসংঘের উদ্যোগকে জোরদার করে তা অব্যাহত রাখতে হবে বাংলাদেশকে তার সকল আভ্যন্তরীণ নীতিমালার প্রকৃতিবান্ধব সংস্কার সে সবের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করাটাও খুবই জরুরি।

পরিশেষে, যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি তৈরিতে সহায়তা করেছিল, যার মাধ্যমে বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করতে এবং ‘বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প স্তরের উপরে ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে’ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত ৪৬তম ধরিত্রী সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছিলেন, ‘আজ আমরা ভবিষ্যতের এক নতুন অঙ্গীকারনামায় সই করছি প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতের সব প্রজন্মের জীবন সুন্দরভাবে চালিত হবে, যা এখন ঝুঁকির মুখোমুখি আমরা ইতোমধ্যে জানি যে, প্যারিস চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র আবার ফিরে এসেছে এবং এর বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন প্রেসিডেন্ট বিশেষভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ যা সবার মনেই আবার নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে

অন্যদিকে এটাও আশার কথা যে, বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) ভালনারেবল টোয়েন্টি (ভি২০) গ্রুপের চেয়ার হিসেবে বর্তমানে কাজ করছে কপ-২৬ সামনে রেখে কোভিড-১৯-এর মধ্যেও বাংলাদেশ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: থিমেটিক অ্যামবাসাডর নিয়োগ, গ্লোবাল সেন্টার অফ অ্যাডাপটেশনের (জিসিএ) দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক অফিস স্থাপন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে জলবায়ু বিষয়ক ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ, ভি-২০ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফিন্যান্স প্রথম সামিট সম্পন্নকরণ, ‘দ্য জুলাই মিনিস্ট্রিয়াল অংশগ্রহণ ইত্যাদি এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা মোকাবিলা সবুজ উন্নয়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধি অর্জনের জন্যমুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানতৈরি করা হয়েছে

জাতিসংঘ আয়োজিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬' বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিভিন্ন প্রেক্ষিত বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সার্বিক দৃষ্টিকোণ (যেমন, সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ব্যবস্থার সক্ষমতা ইত্যাদি ) থেকে তরুণ সমাজকে যুক্ত করাটা এখন সব চাইতে জরুরি হবে কারণ, ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যা পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে সব দেশেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠী রয়েছে বাংলাদেশেও মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই তরুণ আর এই তরুণরাই অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও ইতিহাস সৃষ্টি থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনন্য অবদান রেখে আসছে ফলে, তাদেরকে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করার দিকটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্মেলনে আলোচিত হবে এবং সেই লক্ষ্যে প্রতিটি দেশ উপযুক্ত বাস্তবসম্মত কর্ম-পরিকল্পনা তৈরি করবে- সেটাও আমি আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করব তাহলেই প্রকৃত অর্থে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী সফলতার মুখ দেখবে বলে বিশ্বাস করি

 

1 comment:

  1. অসম্ভব ভালো একটি লেখা, অত্যন্ত প্রয়োজনীয়ও বটে । বিধান বাবুকে ধন্যবাদ । শেয়ার করছি । 🌹👌🏼💚👏🏼

    ReplyDelete