Thursday, 17 June 2021

মানুষই গড়েন

ভারতের প্রাণভোমরা রাক্ষসের নখে 

শিবশংকর পাল 


ভারত অভিনব দেশ। এ দেশের মাটি, মানুষ, প্রকৃতি, ফসল, ফলন এত বিবিধতার সমাহারে সমৃদ্ধ- বিশ্বের আর কোনও দেশে এমন আছে কিনা জানা নেই। একদিকে চির মেঘবালিকার চরে বেড়াবার মেঘালয় তো অন্য প্রান্তে শুধুই মরুবালির ধুধু। দক্ষিণে সমুদ্রের জলে পা ছড়িয়ে খেলা তো উত্তরে তুষারের মুকুট পরে সম্রাজ্ঞী হিমালয়। এমন দেশের মানুষের চেহারায় হাবেভাবে তো বিভিন্নতাই স্বাভাবিক। কতরকমের পোশাক, নানা স্বাদের নানা পাকের খাবার; আর বহু ভাষা ও বহু ধর্ম তো এ দেশের সংস্কৃতিকে সব দিক দিয়েই ভরিয়ে তুলেছে।

কেবল আজ নয়, বহু কাল ধরে আমরা ঝগড়াঝাটি করেছি, মারপিট করেছি, তারপর আবার ‘আয় তবে সহচরী’ নেচে গেয়ে এক সঙ্গে থেকেছি। বিয়ে-থা, ধম্মকম্ম সবেতেই আমরা আলাদা হয়েও মিলেছি এক সুরে। শক হুন দল পাঠান মোগল— না, কোনও রণরক্ত নয়, বরং ‘আমার সকল রসের ধারা’ হয়ে সেই সুর মিশেছে আমাদের ধমনীতে। এমন দেশটি সত্যি কোথাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ভারতবর্ষের যাপনধর্মের এটাই প্রাণভোমরা। এই প্রাণভোমরাটির রাজনৈতিক পরিভাষা হল ধর্মনিরপেক্ষতা। আর তার গলা টিপে ধরেছে দেশের দুই হুজুর। দুই হুজুরের একজন অতি নাটুকে- বিপাকে পড়লে কেঁদে ভাসান, মৌনী হয়ে গুহায় ঢোকেন, বেলাগাম হয়ে নির্বাচনের ময়দানে মুখর হন। কখনও সৈনিক সাজেন তো ভোটের বাজারে বাঙালিকে ভজাতে রবীন্দ্রনাথ সাজেন। এক্কেবারে জাত বহুরূপী। অন্যজন তো একশো ভাগ ষড়যন্ত্রী। দাঙ্গা লাগিয়ে কার্যোদ্ধার করায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। সে গুজরাট দাঙ্গা হোক বা শাহীনবাগের আন্দোলন ভাঙতে দিল্লী দাঙ্গা। যখনই দেশের মানুষ গুরুতর সমস্যায় পড়েন তখন তার থেকে চোখ ঘোরাতে এই দুই হুজুর শুরু করে দেন নানা নৌটঙ্কী- দাঙ্গাফ্যাসাদ থেকে শুরু করে এনআরসি-সিএএ অথবা সীমান্তে যুদ্ধ- এসবই এর হাতেগরম উদাহরণ।   

যেমন, দেশ যখন করোনা অতিমারীতে মৃত্যুপুরীতে পরিণত, তখন এ দেশে ভ্যাকসিনের আকাল।  জিএসটি চাপছে করোনা চিকিৎসার যাবতীয় সরঞ্জামে। দুরন্ত গতিতে বাড়ছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। যখন সমস্ত নজর ও চিকিৎসার আয়োজন নিয়ে দেশের মানুষের শুশ্রূষা করা দরকার ঠিক তখন বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেল যে, ভারত বাংলাদেশ আফগানিস্তান থেকে যাঁরা এ দেশে রয়েছেন তাঁদের মধ্যে মুসলমান ব্যতিরেকে বাকি পাঁচটি ধর্মের লোকেদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অভিজ্ঞজনেরা প্রশ্ন তুলছেন, এ কীরকম কথা? এখনও তো নয়া নাগরিকত্ব আইন (CAA-2019)-এর নিয়ম-কানুনই তৈরি হল না, নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রশ্ন উঠছে কেন? দুই হুজুর ও পারিষদবর্গ অমনি বলে উঠলেন, না, না, এটা তো ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে আশ্রিত ও আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে। অভিজ্ঞ নিন্দুকেরা সংবিধান আঁতিপাঁতি করে খুঁজে দেখলেন, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের কোথাও ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান নেই। আসলে, এ হচ্ছে ভারতকে অমুসলমান করার কুটনো কোটার কাজ। এরপর যে ভারত রান্না হবে তার রঙ রস ভাষা ধর্ম এক্কেবারে এক হয়ে যাবে। এক দেশ এক রেশন কার্ড, এক দেশ এক আইন, এক দেশ এক ধর্ম, এক দেশ এক ভাষা- হিন্দুর হিন্দুস্তান! আসলে এই দুই হুজুর মিলে দেশের আসল প্রাণভোমরাটিকে নিকেশ করতে চাইছে। ভারত যতদিন ধর্মনিরপেক্ষ থাকবে, ততদিন সাধের হিন্দুরাষ্ট্র গড়া না-মুমকিন। এটা জানে বলেই নাগরিকত্ব নিয়ে দুই হুজুরের এত তাড়াহুড়ো, তৎপরতা, আকুলিবিকুলি। 

অথচ আমরা জানি, ভারত বহুকাল ধরে তার এই প্রাণভোমরাটিকে আগলে রেখেছে। শুধু যদি বাঙালির কথা বলি সেও অমৃত সমান। আসুন, বাঙালির ধর্মনিরপেক্ষতার রসরক্তসফলতা কোথায়- তার একটু শেকড়বাকড়ের সন্ধান করা যাক। আমাদের চৈতন্য গোঁসাই সেই কবেই ৫২০-২৫ বছর আগেই প্রেমধর্মই যে সেরা ধর্ম তা প্রচার করেছিলেন। প্রেমে মজলে দ্বিজ-চণ্ডাল এক আত্মা হয়ে যায়। প্রেম বিনে ব্রাহ্মণও ব্রাহ্মণ নন, আবার প্রেমভক্তিতে চণ্ডাল-যবনও ব্রাহ্মণ হয়ে যান। তিনি কাজীদের জয় করলেন প্রেম দিয়েই; গলায় জড়িয়ে ধরলেন যবন হরিদাসকে। ব্যাস, শুরু হয়ে গেল সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার লড়াই; ভারতের প্রথম নবজাগরণ। 

প্রসঙ্গ যখন উঠলই তখন যবন হরিদাসের কথাও হোক। তিনি ছিলেন চৈতন্যদেবের চেয়েও বিনয়ী ও ক্ষমাশীল। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ পুরীতে গিয়েও তিনি জগন্নাথ দর্শন করেননি। কারণ, 'হরিদাস কহে মুঞি নীচ জাতি ছার।/ মন্দির নিকট যাইতে নাহি অধিকার।।' স্বয়ং চৈতন্যদেবের জোরাজুরিতেও নয়। কাজীর নির্দেশে নির্মম পীড়নে জর্জরিত হয়েও তাঁর ক্ষমাশীলতা যিশু খ্রিস্টের তুলনায় কোনও অংশে কম ছিল না। তো পুরীতে এ হেন ভক্তের জগন্নাথ দর্শন না করা ও মন্দির থেকে দূরে থাকার ব্যবস্থা রুখতে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত চৈতন্যদেব তাঁকে কাশী মিশ্রের ফুলের বাগানে ভালোভাবেই মাথা গোঁজার একটা ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু হরিদাস নাছোড়। তিনি ঝড় জল রোদ বৃষ্টি শীত গ্রীষ্ম কোনও ছাদের নিচে আশ্রয় নেবেন না। নেনওনি। এখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হরিনাম জপ ছাড়া তিনি আর কিছু করতেন না। জপের মালা গুণে নাম জপ করা, হরিবোল ধ্বনি ও হরির লুট দেওয়া- এসবই তাঁর প্রবর্তনা। এমনকি মৃত্যুর পর হরিধ্বনি দিয়ে কীর্তন সহকারে শবদেহ বহন করে নিয়ে গিয়ে সমুদ্রে বা নদীতে স্নান করিয়ে সমাধি দেওয়া বা দাহ করা এবং মহাপ্রসাদ সহযোগে শ্রাদ্ধশান্তির আয়োজন- এসবের রেওয়াজটি চালু হয়েছিল তাঁরই শবদেহ সৎকারকে কেন্দ্র করেই। পুরীতে এই কাজটি করেছিলেন স্বয়ং চৈতন্যদেব। পরবর্তীকালে মৃতের আত্মার শান্তি কামনায় এই শ্রাদ্ধশান্তি করার প্রথা সমগ্র ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। 

আশ্চর্যের কথা এই যে, প্রেমধর্মের আগেই খাদ্য সংস্কৃতির মতো বাঙালির বসন সংস্কৃতিও উদার হয়ে উঠেছিল তুর্কি শাসনের পর থেকেই। অসীবিত এক কাপড়ের বাঙালির গায়ে উঠছে সেলাই করা জোব্বা, কাবা, কুরতা, কাফতান, চোগা, চাপকান, কামিজ, পায়জামা, আলখা(খে)ল্লা, আচকান, জামা, পিরানের মতো সুদূর পূর্ব ও মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামি আচ্ছাদন। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, পঞ্চদশ-ষোড়শ শতকের বাংলা ভাষায় তেমনভাবে কিন্তু আরবি-ফারসি-তুর্কি শব্দের প্রয়োগ ঘটেনি। কিন্তু এর পরের শতক থেকে বাংলা ভাষায় দেদার আরবি-ফারসি শব্দের প্রবেশ ঘটতে থাকে, রাষ্ট্রীয় কারণে অনেকটা, কিছুটা ভাষার নিজস্ব প্রবণতার জন্য। খেয়াল করলে দেখা যাবে, বেশ কিছু বিশিষ্ট ও মৌলিক তদ্ভব শব্দের ব্যবহার পুরোপুরি উঠে গিয়ে সেখানে  ফারসি (আরবি বা তুর্কি মাধ্যমে) শব্দ প্রচলন হতে লাগল। 

ভাষার মতো পোশাকের ক্ষেত্রেও ষোড়শ-সপ্তদশ শতকই হয়ে উঠেছিল ইসলামি বসন গ্রহণ করার কাল। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে এবং বিজয়গুপ্তের কাব্যে সেলাই করা কাঁচুলির কথা আছে। অর্থাৎ, পঞ্চদশ শতকে হিন্দু পোশাকের ইসলামিকরণ শুরু হলেও পরবর্তী দুটি শতকে তা ‘ট্রেন্ড’ হয়ে উঠেছিল। সেই যে আঠেরো জন তুর্কি বাংলার অন্দরমহলে ঢুকে পড়েছিল, আর তার পিছনে পিছনে বহু দর্জিও কি ঢুকে পড়েছিল না সুচ-সুতো-কাঁচি হাতে, সেইসঙ্গে অনুসারী শিল্পের কারিগর হিসেবে কাপড় রঙ করার রঙরেজির দল! তাছাড়া কাপড় কেটে সেলাই করার সংস্কৃতি হিন্দুদের নয়, তুর্কি বিজয় পরবর্তীকালের ইসলামি সংস্কৃতির অঙ্গ। বিজয়গুপ্তের মনসামঙ্গল তুর্কি বিজয়ের বেশ কিছু পরে রচিত হয়েছে বলে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস সূত্র আমাদের হাতে এসেছে। 

বাঙালির ধর্মনিরপেক্ষ যাপনের প্রসঙ্গে একটু কবিকঙ্কণের কথা বলি। চণ্ডীমঙ্গলের কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী নিজে উদ্বাস্তু হয়েছিলেন মুসলমান শাসনের ফলে। ডিহিদার মামুদ শরিফের অত্যাচারে দামুন্যার চাষি কবিকে ভিটেমাটি ছেড়ে সুদূর প্রান্তের বাঁকুড়া রায়ের আশ্রয় নিতে হয়েছিল। দেশত্যাগের কালে পথকষ্ট ও শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিতে না পারার কষ্টও তিনি গোপন করেননি। কিন্তু সে-ই তিনিই যখন কাব্যের নায়ক কালকেতুকে রাশাসনে বসালেন, একটি আদর্শ শাসনব্যবস্থার গোড়াপত্তন হল কালকেতুর হাত ধরে। কালকেতু গুজরাট নগর গড়ে তুলছেন প্রথমেই ভর্তুকি দিয়ে, ‘আমার নগরে বৈস যত খুসি চাষ চস্য/ তিন সন বহি দিও কর’। আজকের শাসকরা তো কেবলই শুল্ক বসিয়ে চলেছেন। বিভিন্ন জীবিকার মানুষকে জমিজায়গা দিচ্ছেন কালকেতু। বাদ যাচ্ছেন না বৃহত্তর মুসলমান সমাজের মানুষও। নইলে ষোড়শ শতকের গণজীবনের অন্যতম রূপকার মুকুন্দ চক্রবর্তী এত নিপুণভাবে গুজরাট নগরপত্তনের বর্ণনায় মুসলমান সমাজের অন্তরঙ্গ ছবি বিশেষ করে দর্জি রঙরেজি কসাই মৌলবীদেরদের কথা এত ঘটা করে বলতেন না।  

বাঙালির সমন্বয়ী সংস্কৃতির অন্যতম অভিজ্ঞান বাঙালির পরনের কাপড়চোপড়। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ এ বিষয়ে সচেতন ছিলেন খুব। বাঙালির জাতীয় পোশাক এবং বাঙালি পোশাকের বিবর্তন বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ চমৎকার কিছু কথা বলেছেন। ‘সমাজ’ নামের একগুচ্ছ প্রবন্ধের একটি নিবন্ধ ‘কোট বা চাপকান’-এ তিনি লিখেছেন:

'মুসলমানদের সহিত বসনভূষণ শিল্পসাহিত্যে আমাদের এমন ঘনিষ্ঠ আদানপ্রদান হইয়া গেছে যে, উহার মধ্যে কতটা কার, তাহার সীমা নির্ধারণ করা কঠিন। চাপকান হিন্দু মুসলমানের মিলিত বস্ত্র। উহা যে-সকল পরিবর্তনের মধ্য দিয়া বর্তমান আকারে পরিণত হইয়াছে, তাহাতে হিন্দু মুসলমান উভয়েই সহায়তা করিয়াছে। এখনো পশ্চিমে ভিন্ন ভিন্ন রাজাধিকারে চাপকানের অনেক বৈচিত্র্য দেখা যায়; সে-বৈচিত্র্যে যে একমাত্র মুসলমানের কর্তৃত্ব তাহা নহে, তাহার মধ্যে হিন্দুরও স্বাধীনতা আছে। 

'যেমন আমাদের ভারতবর্ষীয় সঙ্গীত মুসলমানেরও বটে হিন্দুরও বটে, তাহাতে উভয়জাতীয় গুণীরই হাত আছে; যেমন মুসলমান রাজ্যপ্রণালীতে হিন্দু মুসলমান উভয়েরই স্বাধীন ঐক্য ছিল।

'তাহা না হইয়া যায় না। কারণ মুসলমানগণ ভারতবর্ষের অধিবাসী ছিল। তাঁহাদের শিল্পবিলাস ও নীতিপদ্ধতির আদর্শ ভারতবর্ষ হইতে সুদূরে থাকিয়া আপন আদিমতা রক্ষা করে নাই; এবং মুসলমান যেমন বলের দ্বারা ভারতবর্ষকে আপনার করিয়া লইয়াছিল, ভারতবর্ষও তেমনই স্বভাবের অমোঘ নিয়মে কেবল আপন বিপুলতা আপন নিগূঢ় প্রাণশক্তি দ্বারা মুসলমানকে আপনার করিয়া লইয়াছিল। চিত্র, স্থাপত্য, বস্ত্রবয়ন, সূচিশিল্প, ধাতুদ্রব্য-নির্মাণ, দন্ত্যকার্য, নৃত্য, গীত, এবং রাজকার্য, মুসলমানের আমলে ইহার কোনোটাই একমাত্র মুসলমান বা হিন্দুর দ্বারা হয় নাই; উভয়ে পাশাপাশি বসিয়া হইয়াছে। তখন ভারতবর্ষের যে একটি বাহ্যাবরণ নির্মিত হইতেছিল, তাহাতে হিন্দু ও মুসলমান ভারতবর্ষের ডান হাত ও বাম হাত হইয়া টানা ও পোড়েন বুনিতেছিল।'

শাসকরা একদিকে যখন কেবল ভাঙতে থাকেন, তখন মানুষই আবার অন্য দিক দিয়ে তা গড়ে তোলেন। এভাবেই সংস্কৃতির ধারাজল নিজস্ব গতিতে এগোয়। বাইরে থেকে ঝড়ঝাপটা এলেও তার তরঙ্গ খুব একটা ভঙ্গ হয় না। বাঙালির, শুধু বাঙালির কেন, সমগ্র ভারতের খাদ্যাখাদ্য, পোশাকআশাক, ধর্মাধর্ম, মেলাখেলা- সব মিলিয়ে ভারতীয় সংস্কৃতির ভুবনে বহুত্ববাদী যাপনকলাটি কখনই খুব বেশি কেউ ভাঙতে পারেনি। তবু নিশ্চেষ্টতার ফল স্খলন। তাই, দেশের শাসক দলের দুই হুজুর যেভাবে দেশের প্রাণভোমরাটির গলা টিপে ধরছে তাতে আর চুপ থাকা যায় না। আমরা যদি এখনই এ বিষয়ে সচেতন না হই তাহলে আমাদের কপালে দীর্ঘকালীন দুর্ভোগ অপেক্ষা করে আছে।


2 comments:

  1. সমৃদ্ধ হলাম, সঙ্গে আশ্বস্তও, তথ্যসমৃদ্ধ বিশ্লেষণে। ধর্মনিরপেক্ষ জীবনযাপনের নিরন্তর অনুশীলন সিংহভাগ বাঙালি সচেতন ভাবেই করে এসেছেন। কাজেই গেরুয়া কেন, কোনো পক্ষপাতদুষ্ট শিবিরের পক্ষেই এর মূলচ্ছেদ করা চূড়ান্ত ভ্রান্তিবিলাস।

    ReplyDelete
  2. সমন্বয় ভারতবর্ষের চিরন্তন ঐতিহ্য। একে রক্ষার দায় আমাদের। এ সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকলে আমরা গভীর খাদে পড়ব। সঙ্গবদ্ধ প্রতিবাদের প্রয়োজন।

    ReplyDelete