কচ্ছপের দৌড় আয়ত্ত করুন
মালবিকা মিত্র
অবশেষে সিপিএম সংবাদপত্রে ঘোষণা করল, রাজ্যপাল ওভার স্টেপ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে এই কথাটা বহু আগেই বলা উচিত ছিল। এর আগে গত ২০২০'তে অমিত মিত্র বলেছিলেন, ত্রাণ চাই না, জিএসটি'র বকেয়া অর্থটা দিন। সঙ্গে সঙ্গে সুজন চক্রবর্তী, আব্দুল মান্নান সাহেবের টিপ্পনি। অথচ ওই একই সময়ে কেরলের টমাস আইজ্যাক বকেয়া জিএসটি'র দাবি করেছেন। ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষার প্রশ্নটা গুরুত্ব পেল না।
মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে ভোটে দাঁড়াবেন জানা গেল। দিলীপ ঘোষ বলতেই পারেন, 'ভবানীপুরে দিদিমণি হারবেন, তাই ঝুঁকি নিচ্ছেন না'। তাই বলে আব্দুল মান্নান বলবেন? নিজের চাঁপদানি'তে যিনি চার নম্বর। সুজন চক্রবর্তী- বাংলার কোনও আসন যার নিরাপদ নয়। এখানে বাকসংযম প্রয়োজন ছিল। আসলে এই ২০২১ অবধি সমালোচনার লক্ষ্যই যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- তখন কে বলছে, কী বলছে না দেখেই ঘি ঢালো, হাওয়া দাও, আগুন জ্বালো। এখন দেখছে ভাঁড়ারে ঘি শেষ, হাওয়া, দম শেষ। ভেবেছিল খুব ভিত খুঁড়ছে। খুঁড়েই গেছে এতদিন। এখন দেখা গেল ছাদ খু্ঁড়েছে। মাথার উপর ছাদটাই লোপাট। ভাইজান একমাত্র সম্বল।
একাধিক সরকারি জেলা স্কুলে শিক্ষকতার সুবাদে আমার নিজের একটা শিক্ষা লাভ হয়েছে। একটু অ্যাডভান্স শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে। তাদের প্রায় সবাই জয়েন্ট, ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আইএসআই, আইসার, আইআইএসসি, আইআইটি এইসব স্বপ্ন মনের মধ্যে পোষণ করে। ফলে, বিদ্যালয়ের মধ্য ও নিম্ন মেধার শিক্ষার্থীরা ওই বন্ধুদের প্রভাবে, এইসব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার আঙিনায় নিজেদের সামর্থ্যের বাইরে, অজান্তেই ঢুকে পড়ে। আর পিতৃ-মাতৃকুল যদি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার অধ্যাপক গবেষক হন, অনিবার্য ফল স্বপ্নভঙ্গ ও অন্ধকার ভবিষ্যৎ। অথচ এদের যারা নিজেদের সামর্থ্যের বাইরে না গিয়ে নিজেদের সীমায় বা তার কাছাকাছি স্বপ্ন দেখেছে, তারা সীমা অতিক্রম করেছে। একটু খুলে বলি। যে শিক্ষার্থী গণিতে ২০/২৫ পায় না, সে যদি অন্য সহপাঠীর অনুকরণে ৯৫/১০০ লাভের প্রস্তুতি নেয়, কপালে জুটবে ১৫/২০; কিন্তু যদি সে ৪০/৪৫ লাভের স্বপ্ন দেখে, সহজেই ৫০/৬০ পেয়ে থাকে। টার্গেট অভিমুখ নির্দিষ্ট করাটাই জরুরি শর্ত।
কাজের কথায় আসি। গত ২০১৯'এর লোকসভায় বাংলায় একটি আসন (যাদবপুর) ছাড়া প্রত্যেক আসনে সিপিএমের জামানত জব্দ হয়। কয়েক মাস ধরে চলল ড্যামেজ কন্ট্রোল। কংগ্রেসের সাথে সিপিএম জোট করল। রাজপথে পূর্ণ শক্তি নিয়ে সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হল। তিনটি বিধানসভার উপনির্বাচনে এই জোট আরও শোচনীয় ভাবে হারল। করিমপুরে পাঁচ মাস আগে লোকসভা ভোটে কংগ্রেস (২২০৯৭) + সিপিএম (১৭৬০৯), জোট বাঁধার পর ভোট দাঁড়াল (১৮৬২৭)। কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রে লোকসভা ভোটে কংগ্রেস (১৮৫৬১) + সিপিএম (১৯২৪০), জোট বাঁধার পর দাঁড়াল (১৮৮৫৪) । কেন এটা হল? কোনও পাটিগাণিতিক হিসেবে থই মেলে না।
সিপিএম দলটা দীর্ঘ ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর এখন ক্ষমতার বাইরে থেকে কার্যত ডাঙায় তোলা মাছ। ফলে ক্ষমতার ক্ষুধা তীব্র। ধৈর্য হারাচ্ছে। যে কোনও ইস্যু বা নন-ইস্যুকে ক্ষমতায় আসীন হওয়ার সোপান ভাবছে। ভাবটা যেন 'টি টোয়েন্টি ম্যাচ' খেলছে। সব বলেই মারতে চাইছে, রান চাইছে। যে কোনও প্রস্তাবনায় 'দিদি আর মোদী'কে এক বন্ধনীতে ফেলে কার্যত নিজেরাই ক্রমাগত আণুবীক্ষণিক হয়ে চলেছে। অথচ এটাকে যদি টেস্ট ম্যাচ হিসেবে দেখত, যদি সব বল না মেরে ধৈর্য ধরে ধীরে ধীরে এগোনোর পরিকল্পনা করত, যদি পার্টিকে পশ্চিমবাংলায় যথার্থ সদর্থক বিরোধী দলের আসনে বসাতে পারত, তাহলে আজ তৃতীয়-চতুর্থ স্থানে অবস্থান করত না। সিপিএম দলকে আগে দ্বিতীয় স্থান অধিকারের লক্ষ্যে এগোতে হবে। তবেই বিজেপির বিরুদ্ধে যথার্থ লড়াই গড়ে তোলা সম্ভব। সিপিএম যদি সিঙ্গল ফেয়ারে ডাবল জার্নির শর্ট-কাট রাস্তা খোঁজে, তাহলে সাফল্য অধরা থাকবে আর তার হতাশ কর্মী-সমর্থকেরা একে একে সরে যাবে, গেছেও।
কেরলের সিপিএমের কাছে শিক্ষণীয়- কতবার রাজ্যের ক্ষমতা হারিয়েছে, কিন্তু দিশা হারায়নি। পার্টি সেখানে বিরোধী আসনে বসার ফলে 'ডাঙায় তোলা মাছের দশা' হয়নি। কখনই দ্বিতীয় স্থান থেকে চ্যুত হয়নি। এমনকি, আজকের কঠিন মুহূর্তে প্রথম স্থানাধিকারী সিপিএম নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের হাত ধরতেও দ্বিধাগ্রস্ত নয়। আর পশ্চিমবাংলার সিপিএম বিজেপি বিরোধিতা করতে গিয়েও মুহূর্তের জন্য তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়ছে না। আর কে না জানে, তৃণমূলের বিরোধিতা করার কাজে সিপিএম'এর চেয়ে বিজেপি অনেক বেশি কম্পিটেন্ট। অতএব, পশ্চিমবাংলায় সিপিএমের রাহুর দশা কাটার সম্ভাবনা নেই। ফলে, বিজেপি দ্বিতীয় স্থান থেকে প্রথম স্থানে উঠে আসার স্বপ্ন দেখবেই। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হল প্রধান বিরোধী দল হিসেবে।
কী বিচিত্র ভাবে মমতা বিরোধী প্রতিটি কেন্দ্রীয় পদক্ষেপে সুজন চক্রবর্তী, আব্দুল মান্নানরা মজা দেখেছেন। জগদীপ ধনখড় বাড়াবাড়ি করছেন, অথচ সুজন-মান্নান নৈতিক ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আক্রমণ না করে মজা দেখছেন। রাজ্য সরকার যখন জিএসটি'র বকেয়া পাওনা নিয়ে সরব, সিপিএমের মুখে কুলুপ। অথচ একই দাবিতে সরব কেরলের অর্থমন্ত্রী টমাস আইজাক। তাদের একমাত্র লক্ষ্য মমতার পরাজয়। ফলে পালে বাতাস নেই, সেই বাতাস পৌঁছে যাচ্ছে বিজেপির পালে।
আমার বাড়ির একদিকে চাঁপদানি, অন্যদিকে সিঙ্গুর আর আমি চন্দননগর বিধানসভার অন্তর্গত। বিজেপি বিরোধিতা, কৃষি আইন, সিএএ-এনআরসি বিরোধিতা, লাভজনক সরকারি ক্ষেত্র বেসরকারি হাতে বিক্রি করার বিরুদ্ধে, এক দেশ এক আইন, এক ধর্ম এক দল এক নেতা ঝোঁকের বিরুদ্ধে কোনও প্রচার নেই। আছে টেট, এসএসসি, সিঙ্গুরের শিল্প, কাটমানি, ঘুষ, সারদা, তোলাবাজি ইত্যাদির বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রচার। সংযুক্ত কিষান মোর্চা এল, মেধা পাটেকর, রাকেশ টিকায়েত এলেন। শ্লোগান উঠলো 'নো ভোট টু বিজেপি'। সিপিএমের আগ্রহ নেই। কিন্তু সিঙ্গুরে দেখলাম, মঞ্চে নয় বেচারাম মান্না রাস্তায় সবার মাঝে ভিড় ট্রাফিক সামলাচ্ছেন। কোথাও হান্নান মোল্লাকেও পাওয়া গেল না। এতটাই সংকীর্ণ ক্ষমতার লোভ। কোথাও মানিক সরকারকে আনা হল না। কারণ, তিনি বিজেপি বিরোধী মুখ। এভাবেই ১৮৫টি কেন্দ্রে জোটের ভোট ২০১৯'এর চেয়েও কমল। ১৪৪টি কেন্দ্রে বিজেপির ভোট কমল। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কমল মাত্র ২৯টি কেন্দ্রে। যদিও তৃণমূলের মোট ভোট ও মোট আসন বাড়ল অনেক বেশি।
এই অবস্থায় জানাই ছিল আত্মঘাতী সিপিএম আরও ক্ষুদ্র হবে। কিন্তু একটা অন্য ভরসা মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল- ক্ষমতা হারানোর পরবর্তী নতুন বাম ছাত্র-যুবরা বিজেপিকে ওয়াক-ওভার দেবে না। বাস্তবিকই অশোক ভট্টাচার্য, মহঃ সেলিম, তন্ময় ভট্টাচার্যের ভোটের সাথে তুলনা করলে আকালের বাজারে সৃজিত, দীপ্সিতা, ঐশী, সায়নদীপ, শতরূপ ভালোই লড়েছে, দলের বয়স্ক নেতাদের একাংশ সরাসরি বিজেপিকে ভোট দিতে বলার পরেও। রাজ্য নেতারা যে হারে রক্তক্ষরণ ঘটিয়ে চলেছেন তাতে এরা এর বেশি কী আর করতে পারত। এদের ওপরেই ভরসা রাখা যায়। প্রসঙ্গত মীনাক্ষী মুখার্জীর কথা আসবেই। মাত্র ৬২৬৭ ভোট বুঝিয়ে দিচ্ছে রক্তক্ষরণ নয়, ওখানে মীনাক্ষী মুখার্জীর অজ্ঞাতেই সরাসরি বিষক্রিয়া ঘটেছে। কারণ, খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর সুযোগ বলে কথা। একেই বলে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ। এই কারণে বেশ কিছু বাম ভোট বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে এসেছে। ফলে, ফ্যাসিস্ট বিজেপিকে এত বিপুল ভাবে আঘাত হানা সম্ভব হল।
সুতরাং, আজকের জরুরি পার্টি সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত- সার্বিক ভাবে সিপিএম ও কংগ্রেস জোটকে বিজেপি বিরোধী সংগ্রামে আন্তরিক হতে হবে। এর মধ্য দিয়ে গণভিত্তি অর্জন করতে হবে, বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। তবেই এই জোটের দ্বিতীয় স্থানে উত্তরণ ঘটা সম্ভব। সিপিএমের যে হতাশ ভোট বিজেপির ঘরে গেছে তাকে আগে ফিরিয়ে আনতে হবে তীব্র বিজেপি বিরোধী কর্মসূচির মাধ্যমে। একমাত্র তখনই সিপিএম-কংগ্রেস জোট নিজেদের তৃণমূলের বিকল্প বলে দাবি করতে পারবে। শর্ট-কাট রাস্তা খোঁজা নয়। আগে হারানো ভোটের আস্থা ফিরে পেতে হবে। নিজেদের দ্বিতীয় স্থানে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। চোখের সামনে তৃণমূল নেত্রীর উদাহরণ আছে। দীর্ঘ লড়াইয়ের ঐতিহ্য তাঁর। এমনকি ২০০৪ সালে একজন মাত্র সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও কখনই লড়াইয়ের ময়দানে প্রথম স্থান ও গুরুত্বের বিচারে দ্বিতীয় স্থান থেকে চ্যুত হননি। এখানেই সাফল্যের সূত্র। বাম জোটকে বাংলার বিজেপিকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে হবে। রাজ্যপালের অতি সক্রিয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষা, তিন কৃষি আইন বাতিল, এনআরসি-সিএএ বাতিল, ভারতের বহুস্বর রক্ষা, বহুদলীয় বহুমত পরিচর্যা এই ইস্যুগুলির মধ্যে দিয়ে বামেরা উঠে আসুক এই বাংলার দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে। বিজেপি থাকুক একদা জনসংঘের মতো বিষ্ণুকান্ত শাস্ত্রী, হরিপদ ভারতী, প্রভাত পালিত এমন অল্প কয়েকজনের মাঝে।
আগামী পাঁচ বছর সিপিএমের এ রাজ্যে ক্ষমতা দখল করার সুযোগ নেই। প্রতি বলে রান তোলা নয়। ধৈর্য ধরে একটি ভিন্ন স্বর তৈরি করুন। এই প্রচলিত ব্যবস্থায় ইঁদুরের উৎপাত থাকবে, আবার পাশাপাশি বিড়ালের লম্ফঝম্পও থাকবে। তাই বলে ইঁদুর তাড়াতে কে কবে সাপ পুষেছি জানি না। সাপটা তাড়াতেই হবে। এই ঐতিহাসিক কর্তব্য বিস্মৃত হলে, মনে পড়ছে, ১৯৭৮ সালে হুগলিতে সিপিএমের জুলাই সংকট আলোচনা চলছে। বলা হল, মোরারজী দেশাই সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার ভুল ছিল। ভুল স্বীকার করতে কমিউনিস্টরা দ্বিধা করে না। প্রতিটি ভুল হল সাফল্যের পিলার। ঠিক তখনই উত্তরপাড়ার কমরেড নিখিলেশ গুহর উক্তি, 'কমরেড, সাকসেস'এর পিলারে পিলারে ঘর যে ভ্যইরা গ্যাসে, অহন খাড়াইবার জায়গা নাই।' সত্যিই জায়গা থাকবে না। সাধু সাবধান।
ভালো লিখেছেন। মুশকিল হলো কমরেডগণ এর একমাত্র লক্ষ্য মমতার পতন। আপনার যুক্তিতে কর্ণপাত তো করবেই না,উল্টে গালি দেবে।
ReplyDeleteখুবই গুরুত্বপূর্ণ লেখা। সিপিআইএম -এর কোনদিন শিক্ষা হবে না।
ReplyDeleteএকেবারেই একপেশে লেখা।
ReplyDeleteসিপিআইএম প্রকৃত কমিউনিস্ট পার্টি যদি হয়ে থাকে তবে ভোটে জেতা হারার উপর ভিত্তি করে দল চলবে না। সমাজ পরিবর্তন করার লড়াই লড়ে কমিউনিস্ট পার্টি, সেখানে চলার পথে ব্যর্থতা আসতেই পারে। মোদ্দা কথা হচ্ছে নির্বাচনে হারা জেতার জন্য কমিউনিস্ট পার্টি উঠে যাবে না, পৃথিবীর কোনো জায়গায় উঠে যায়ও নি। বরং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হয়ত নির্বাচনে অংশ নেওয়া বন্ধ করে শ্রেণী ভিত্তিক আন্দোলন ও রাজনীতি করা উচিত। আর একটা ব্যাপার, সারা দেশে বিজেপির উত্থানের জন্য গুজরাট উন্নয়নের মডেল এর প্রতি মানুষের অন্ধ মোহই আসল কারণ। শুণ্য হওয়া দলকে দুষে 70 বছরে ভারতীয় শাসকশ্রেণীর ব্যর্থতাকে আড়াল করা যাবে না।
"...অনিবার্য ফল স্বপ্নভঙ্গ ও অন্ধকার ভবিষ্যৎ। অথচ এদের যারা নিজেদের সামর্থ্যের বাইরে না গিয়ে নিজেদের সীমায় বা তার কাছাকাছি স্বপ্ন দেখেছে, তারা সীমা অতিক্রম করেছে।" পথ কঠিন হলেও স্বপ্ন দেখা উচিত ও দরকার। সুভাষ বোস poorly trained মিলিশিয়া নিয়ে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিলেন, স্বপ্ন না দেখলে INA এর বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস রচিত হতো না, নৌ বিদ্রোহ ও হতো না এবং স্বাধীনতাও আসতো না। ভিয়েতনামের যুদ্ধের ইতিহাসও তাই, কৃষিজীবী অনুন্নত দেশের অসীম শক্তিধর আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করা।
🖋️ ভালো লেখা । বিশ্লেষণ বেশ ভালো, ঝরঝরে গদ্য ও পেটানো । 👌🏼🌹 লেখিকা বামপন্থী বা সিপিআইএমের দোষ ত্রুটি নিয়ে আলোকপাত করেছেন, তারা কিভাবে উপরে উঠে আসতে পারবে তার একটা রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছেন কিন্তু তারা যেন দ্বিতীয়তে থাকলেই তিনি খুশি মানে একে তৃণমূল থাকুক, দুয়ে সিপিআইএম বা বামপন্থীরা বা বামজোট বসলে ভালো আর তিনে বা চারে বিজেপি থাকলে সেটাই যেন সঠিক ক্রম বা তাহলেই যেন তিনি খুশি !!!!! বর্তমান সিপিআইএম বা বামপন্থীদের হাজারো একটা দোষ তিনি খুঁজে পাবেন বা পেয়েছেন কিন্তু তৃণমূলের তোলাবাজি করা, বিভিন্ন খাতের টাকা নয়ছয় করা, চাকরিপ্রার্থী দের অন্ধকার ভবিষ্যৎ এর দিকে ঠেলে দেওয়া এবং আরো আরো কুকীর্তিগুলো তার কাছে গৌণ মনে হয়েছে যেন । সিপিআইএম দুয়ে উঠে আসলে ভালো, তবে তোলাবাজ-চোরেদের সরকার তৃণমূল একেই 🥇 থাকে যেন । ইচ্ছা !!!!!!! 💁🏻♀️😄
ReplyDelete• ঘরে দু'/একটা ইঁদুর থাকলে অসুবিধা নেই, কিন্তু সেগুলো বিভিন্ন জিনিস ফুটো করতে থাকলে বা কাটতে থাকলে মানে ক্ষতি করতে থাকলে সেগুলোকেও পিটিয়ে বা অন্য উপায়ে মারতে হয় । 🐀🔨🩴
Baam pantha mane cpm noy bikalpo baam kivabe uthe aste pare ba tara byartho keno?ei prosnata kakhonoi alochita hoy na? Sei byarthotar bisoytar opor alochona hok, cpm pachansil party take ventilation theke baar kore ana jabe na.bikalpo communist andolon kivabe abar gore uthbe sei pathe egote habe
ReplyDeleteঠিক । 👍👊
Deleteমনে রাখা ভালো 2011তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরোধিতা নয় শুধুমাত্র রাজ্যের বিরুদ্ধে জঙ্গি আন্দোলন করে ক্ষমতায় এসেছিল। দুর্ভাগ্য কিছু বামপন্থী সেদিনের সর্বনাশা আন্দোলনে সাধ দিয়েছিল এবং তারাই আজ সমালোচনা করছে আসলে গোপন প্রেম এরা কিছুতেই ভুলতে পারছে না। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সর্বদা চুপ।
ReplyDeleteহাতি কাদায় পড়লে মশা যেমন লাথি মারে ঠিক তেমনি সুযোগ বুঝে বামেদের বিরূদ্ধাচরণ ছাড়া এ লেখার বেশিরভাগ অংশের কোন সারবত্তা নেই। মান্নান চতুর্থ বলে বা সুজন নিরাপদ নয় বলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলবে না?? বাক সংযম রাখবে। অহেতুক যুক্তি কোন প্রতিবাদী মানুষ মেনে নেবে না। "যে শিক্ষার্থী গণিতে ২০/২৫ পায় না, সে যদি অন্য সহপাঠীর অনুকরণে ৯৫/১০০ লাভের প্রস্তুতি নেয়, কপালে জুটবে ১৫/২০; কিন্তু যদি সে ৪০/৪৫ লাভের স্বপ্ন দেখে, সহজেই ৫০/৬০ পেয়ে থাকে। টার্গেট অভিমুখ নির্দিষ্ট করাটাই জরুরি শর্ত"---- সম্পূর্ণ অমনোবৈজ্ঞানিক। স্বপ্ন বড়ো দেখতে না শিখলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। আগে থাকতে হেরে যাব ধরে নিলে জয় কখনোই সম্ভব নয়। পরিশেষে বলি তীব্র সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ যার বীজ বপনকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা সংখ্যালঘু শ্রেণীর মানুষ এবারের নির্বাচনে বোঝেনি বা বামপন্থীরা বোঝাতে পারেনি তাই বিজেপি ঠেকাতে বিজেপির লালন পালনকারী তৃণমূলেকে ভরসা করেছে। জোট বা তৃণমূল বিরোধিতা বিপর্যয়ের কারণ হতে পারেনা।
সম্পূর্ণ সহমত। আর একজন 20 পাওয়া ছাত্র 95 পাওয়ার চেষ্টা করলে তার নম্বর 70 এ গিয়ে পৌঁছাবে। 40 পাওয়ার চেষ্টা করলে 15 বা 20 পাবে। এটাই চিরকাল দেখে আসছি।
Delete