পরিবেশ ভাবনা: ভাবের ঘরে চুরি
মৃণাল মুখোপাধ্যায়
প্রীতম কংসবণিক
'পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন; মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীরই কাছে।'
সম্প্রতি
আমরা ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পেরিয়ে এলাম। ২০২১ সালে পরিবেশ দিবসের মূল
ভাবনা হল: ‘বাস্তুতন্ত্রের পুনর্গঠন’। এবারের
পরিবেশ দিবসের মুখ্য আয়োজক আমাদের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। পৃথিবী
জুড়ে মানুষ যখন এই আয়োজনে সামিল হতে চলেছে, আইপিসিসি (২০১৯)'এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পৃথিবীর ৭৫ শতাংশ ভূ-ভাগ এবং ৬৬ শতাংশ সমুদ্র আজ মনুষ্য জাতির
নেতিবাচক আগ্রাসনে বিপর্যস্ত। আনুমানিক ১০ লক্ষ প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি
মূলত তাদের বসতি ধ্বংসের কারণে অবলুপ্তির দোরগোড়ায়। কোভিড-জনিত অতিমারির
প্রেক্ষিতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের (২০২১) গবেষণামূলক তথ্য অনুযায়ী,
মানুষের সংক্রামক রোগের ৭৫ শতাংশ জুনোটিক, অর্থাৎ প্রাণী প্রজাতি থেকে আসা
প্যাথোজেন।
মানুষের নেতিবাচক ভূমিকায় জলবায়ু-পরিবর্তন, বাস্তুতন্ত্রের
ভারসাম্যহীনতা, অবৈধভাবে বন্যপ্রাণীকুলকে খাদ্য হিসেব ব্যবহার এবং বন
ধ্বংসের কারণে মানুষ-বন্যপ্রাণীর অনাকাঙ্ক্ষিত আন্তঃক্রিয়া বৃদ্ধি এই
বিপদের সম্ভাবনাকে বহুলাংশে বাড়িয়ে তুলেছে। অন্যদিকে বিপন্ন হচ্ছে
জৈববৈচিত্র্য। এই সামগ্রিক প্রেক্ষিতে এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল
ভাবনা তাই বিপন্ন ‘বাস্তুতন্ত্রের পুনর্গঠন’।
জাতিসংঘের
তত্ত্বাবধানে ৫ ও ৬ জুন সুইডেন'এর রাজধানী স্টকহোমে ১৯৭২ সালে প্রথম
আন্তর্জাতিক মানব ও পরিবেশ সম্মেলন সংঘটিত হয়েছিল। জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত
অনুসারে ১৯৭৪ সাল থেকে ৫ জুন দিনটি বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে
আসছে। যে পরিবেশকে মানুষ সজ্ঞানে ও অজ্ঞানে বিপন্ন করেছে, তাকে রক্ষা করার
দায় ও দায়িত্ব মানুষকেই নিতে হবে। অজ্ঞতা ও ঔদ্ধত্যের সঙ্গে আমরা আমাদের
আবাসভূমিটিকেই বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছি। তার বিপ্রতীপে পরিবেশ দিবস
উদযাপন হল মানবিক-পরিবেশ চেতনা জাগানোর এক প্রয়াস। এই পৃথিবী মানুষের
সম্পত্তি নয়, বরং আমরা ভুলতে বসেছিলাম মানুষই এই পৃথিবীর একটা ক্ষুদ্র অংশ
মাত্র। কোভিড-১৯ জনিত অতিমারি আমাদের অন্ধকারমুখি স্পর্ধার জয়যাত্রার
সামনে একটা প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে। আমরা ছটফট করছি, কাতরাচ্ছি আমাদের
তথাকথিত স্বাভাবিকতায় ফেরার জন্য। কিন্তু সেই স্বাভাবিকতায় সব কি
স্বাভাবিক ছিল? ন্যায্য ছিল? ন্যায় ছিল? নীতি ছিল? সমান অধিকার ছিল? কেবল
মানুষের নয়, জীবজগতের সকলের ছিল কি? অতিমারির কারণে গোটা পৃথিবী এখনও
কোথাও পূর্ণ, কোথাও আংশিক তালাবন্দি। এই থমকে থাকা আসলে ফিরে দেখবার একটা
সুযোগ। হয় আমরা এই অভিজ্ঞতা থেকে শিখব অথবা প্রজাতি হিসেবে বিলুপ্ত হয়ে
যাওয়ার পথ প্রশস্ত করব।
আমাদের এই প্রিয়
বসুন্ধরার বয়স প্রায় সাড়ে পাঁচশো বিলিয়নেরও কিছু বেশি। মানব প্রজাতিকে
সে বাঁচিয়ে রেখেছে। সম্পদের জোগান দিয়েছে। সমৃদ্ধ করেছে। ডারউইনের
যোগ্যতমের উদবর্তনের পথ ধরে অভিব্যক্তির প্রক্রিয়ায় মানুষ হয়ে উঠেছে
সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজাতি। সম্পদের উপর অধিকার স্থাপন, উদ্বৃত্ত সম্পদের
কেন্দ্রীভবন, পরিবার-গোষ্ঠী থেকে রাষ্ট্রের উত্তরণ। আর উন্নয়নের নামে
‘রাষ্ট্রযন্ত্র’এর এক তাণ্ডব নৃত্য। কখনও অবাধে জ্বলে গিয়েছে লাতিন
আমেরিকার অ্যামাজন, খনিজ সম্পদের লোভে সবুজ আফ্রিকা হয়েছে ধূসর। ভারতবর্ষে
সেই কবে আমাদের মূল নিবাসী আদিবাসী রমণীরা হাতে হাত ধরে গাছকে জড়িয়ে রেখে
বাঁচাতে চেয়েছেন বৃক্ষরাজি। পারেননি। উন্নয়নের নামে উজাড় হয়েছে মাইলের পর
মাইল জঙ্গল, রুদ্ধ হয়েছে নর্মদার গতি, আর যমুনা নদী তো নিছকই একটি
আবর্জনাময় নালা। আর যাকে এত ভক্তি করে পুজো করা হয়, সেই গঙ্গা হয়ে উঠেছে
বহু নর্দমার সমষ্টি মাত্র। ভুলে গেলে হবে না, যখন কোভিড ছিল না তখনও সদ্য
ফেলে আসা শীতে, সাংহাই কি দিল্লিতে বাতাস এমন দূষিত ছিল যে মানুষকে মুখোশে মুখ
ঢাকতে হয়েছিল।
পৃথিবীর ওজোন স্তরে দেখা দিয়েছে ক্ষত। ডানা মেলা
স্পর্ধার উন্নয়নের সঙ্গে সমহারে বেড়েছে গ্রিন হাউজ গ্যাস, বৃদ্ধি পেয়েছে
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা। একদিকে সুউচ্চ পর্বতের হিমবাহ গলে যাচ্ছে আর
অন্যদিকে মেরুপ্রদেশের বরফ গলে চলেছে, ওপরে উঠে আসছে সমুদ্রের জলতল।
বিজ্ঞানের বলে বলীয়ান হয়ে মানুষ যখন দক্ষিণ মেরুর সমুদ্রতলে রেখে আসছে তার
স্পর্ধিত বিজয় পতাকা, জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে এই আধিপত্যের সময়ও পৃথিবীর
প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ নীরবে-নিভৃতে কাঁদছে। খাদ্য নেই, বস্ত্র নেই,
বাসস্থান নেই, শিক্ষা নেই, চিকিৎসা নেই। এ এক অসাম্যের পৃথিবী। অথচ আমাদের
সুস্থায়ী উন্নয়নের পথ ধরেই চলার কথা ছিল। এই 'পৃথিবীকে
শিশুর বাসযোগ্য' করে রেখে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলাম আমরা। পারিনি।
পরিবেশ রক্ষার ছদ্ম অভিনয়ই করে গিয়েছি। প্রতারণা করে গিয়েছি
প্রকৃতির সঙ্গে।
১৯৯২ সালে রিও বসুন্ধরা
সম্মেলনে বিশ্ব পরিবেশ রক্ষার জন্য দ্য ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক
কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি)'এর মূল কাঠামোগত চুক্তিটি
নির্মিত হয়। ১৯৯৫ সালের পর থেকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলি প্রতি বছর পরিবেশ
সংক্রান্ত নীতি নিরূপণ ও প্রয়োগের জন্য বাৎসরিক সভায় মিলিত হতে থাকে যা
কনফারেন্স অফ পার্টিজ (সিওপি) নামে পরিচিত। ২০১৫ সাল অবধি ১৯৭টি দেশ
ইউএনএফসিসিসি'এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই বাৎসরিক সভাগুলি ছাড়াও
কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বৃহৎ কলেবরযোগ্য ‘বিশ্ব-পরিবেশ সম্মেলন’ ইতিমধ্যে
অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষার সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলি ছিল
সামগ্রিকভাবে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা, প্রধানত কার্বন ডাই
অক্সাইডের নির্গমন মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির
প্রবণতাকে কমিয়ে আনা। সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা।
অন্যদিকে ক্লোরিন ব্রোমিন জাতীয় গ্যাস নির্গমনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণের
মাধ্যমে ওজোন স্তরকে রক্ষা করা। আরেকটি উল্লেখযোগ্য অভিমুখ ছিল, ক্রমশ
ভঙ্গুর ক্ষয়িষ্ণু জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করা।
রিও সম্মেলনে গৃহীত এজেন্ডা-একুশ এবং ‘বায়ো ডাইভারসিটি ট্রিটি’র মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়েছিল জীববৈচিত্র্য
রক্ষার রূপরেখা । ১৯৯৭ সালে জাপানের কিয়োটো শহরে রাষ্ট্রগুলি তাদের
কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিয়ন্ত্রণের মাত্রা কমানোর উদ্দেশ্যে একটি কাঠামোগত
চুক্তি প্রস্তুত করে যা ‘কিয়োটো প্রোটোকল’ নামে পরিচিত। যদিও এই আইন
কার্যকর হয় ২০০৫ সালে। এই কিয়োটো প্রোটোকলের লক্ষ্য ছিল ২০১২ সালের মধ্যে
উন্নত দেশগুলি তাদের কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের মাত্রাকে এমনভাবে হ্রাস
করবে যা ১৯৯০ সালের কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নির্গমনের মাত্রার সমান হবে।
উন্নয়নের গতি বজায় রেখে কার্বন-ডাই-অক্সাইড কমিয়ে আনার প্রযুক্তিগত
কৌশলের নাম দেওয়া হয়েছিল 'দ্য ক্লিন ডেভলপমেন্ট মেকানিজম' বা সিডিএম।
তারপর থেকে গঙ্গা, ভলগা, টেমস, হোয়াংহো বা মিসিসিপি দিয়ে অনেক জল
গড়িয়েছে। এই তাবৎ পৃথিবীর মানুষের মনে আশা জেগেছিল, হয়তো ইতিবাচক কিছু
ঘটবে। পৃথিবীর সমস্ত পরাক্রমী রাষ্ট্রনেতা, বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী, পরিবেশ
রক্ষায় কাজ করা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহ বারংবার মিলিত হয়েছে
আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলনে। আমরা পেরিয়ে এসেছি দক্ষিণ আফ্রিকার
জোহানেসবার্গ (২০০২), ইন্দোনেশিয়ার বালি (২০০৭), কোপেনহেগেন (২০০৯) এবং
প্যারিস কনফারেন্স (২০১৫)। এই সময় আইপিসিসি তাদের প্রতি বছরের গবেষণা ও
বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করে চলেছে।
বিপুল
অর্থ খরচ করে এত সভা-সমিতি, এত নীতি নির্ধারণ বাস্তবে আদৌ ফলপ্রসূ হয়েছে কী? পিছন ফিরে দেখলে মনে হয়, এ যেন এক ভাবের ঘরে চুরি। ওইসিডি'এর ২০১৮
সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯০ থেকে ২০১৮- এই দীর্ঘকাল ব্যাপী সময়ে দেখা
যাচ্ছে, কেবলমাত্র ইউরোপের কয়েকটি দেশ ও রাশিয়া বাদ দিলে চীন-জাপান,
ভারত-আমেরিকা সব দেশেই কার্বন-ডাই অক্সাইড'এর নির্গমনের মাত্রা বৃদ্ধি
পেয়েছে। এছাড়াও সামগ্রিকভাবে গোটা বিশ্বে কার্বন-ডাই-অক্সাইড'এর
নির্গমনের মাত্রার হার ঊর্ধ্বমুখি। আইপিসিসি'এর সর্বশেষ প্রতিবেদন
অনুযায়ী, শিল্পায়ন শুরুর পর থেকে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি
সেন্টিগ্রেড বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে যে ২০৩০ থেকে ২০৫০ সালের
মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। উচ্চ
তাপমাত্রায় পর্বতের হিমবাহ গলনে আর মেরুপ্রদেশের বরফ গলনে যে কেবল
সমুদ্রের জলতল ওপরে উঠে আসছে তাই নয়, জনবসতি ধ্বংসের পাশাপাশি এই বরফে
হাজার হাজার বছর ধরে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকা অসংখ্য মারণ ভাইরাস পুনরায় সজীব
পোষক পেয়ে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায়, গভীর
সমুদ্রতল থেকে খনিজ সম্পদ খনন ও উত্তোলনের ফলেও এমন অনেক ভাইরাস নতুন করে
স্থলজ বাস্তুতন্ত্রের সংস্পর্শে চলে আসতে পারে যা কোভিড-১৯ এর থেকেও অনেক
বেশি চ্যলেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে মানবজাতিকে। এই প্রতিবেদনে আরও আশঙ্কা
প্রকাশ করা হয়েছে যে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই প্রবণতা বজায় থাকলে ভূমিক্ষয়,
ঝড়-ঝঞ্ঝার প্রবণতা, শুষ্ক মরু অঞ্চলের বিস্তার এবং মরুঝড়ের প্রবণতাও
বৃদ্ধি পাবে। গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বৃদ্ধির কারণেই
সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়ার মুখে।
ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে ও
হবে। সমুদ্রের কাছাকাছি বিপুল সংখ্যক জনবসতিগুলি ইতিমধ্যে বারংবার
জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত। পৃথিবীর ৫০ শতাংশের বেশি প্রাণী প্রজাতির স্বাভাবিক
বসতি হল চিরহরিৎ বৃক্ষের অরণ্য। অথচ রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনায় মাইলের পর
মাইল ধরে কেটে ফেলা হচ্ছে অ্যামাজনের জঙ্গল। ভারতীয় উপমহাদেশেও ধ্বংস হচ্ছে
চিরহরিৎ অরণ্য। অরণ্যের এই সমস্ত প্রাণী প্রজাতির সঙ্গে মানুষ এবং
অন্যান্য গৃহ পালিত প্রাণীদের নেতিবাচক মিথষ্ক্রিয়া হচ্ছে। ফলে, মানুষ
যেমন প্রজাতি হিসেবে বিপদাপন্ন, তেমনি জৈব বৈচিত্র্য ধ্বংসের সম্মুখীন
হচ্ছে। ডিপ্লোম্যট অনলাইন পত্রিকায় মে মাসে সদ্য প্রকাশিত নিবন্ধে গবেষক
নিকোলাস মুলার এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ২০৫০ সালের মধ্যেই সুন্দরবনের বেশির ভাগ অংশ বিলীন হবে সমুদ্রে এবং ভারতের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ যারা সমুদ্র
উপকুলের কাছে বাস করেন, তাঁদের জীবনহানির আশঙ্কা থাকবে। অন্যদিকে ভূমিক্ষয়,
মিষ্টি জলের সংকট তৈরি হবে। নষ্ট হবে স্বাভাবিক উদ্ভিদ। ব্যাহত হবে শস্য
উৎপাদন, যার অনিবার্যতা হল খাদ্য সংকট। স্থলজ ও জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর
জীববৈচিত্র্য ইতিমধ্যেই সংকটপূর্ণ অবস্থায় আছে, যা আরও বিপন্নতার সম্মুখীন
হবে। আমরা এক ভয়ঙ্করের বিপর্যয়ের মুখোমুখি।
ভালো আলোচনা। লেখক পরিবেশ সমস্যা সমাধানের পথ আলোচনা করলে আরো ভালো হতো।
ReplyDelete🌏🌿🌳
ReplyDeleteপরিবেশ ভাবনা নিয়ে দুজনের যৌথ প্রয়াস বেশ ভালো । 👌🏼👌🏼🌹🌹🌱🌱 পরিবেশ যেরকম দিকে দিকে মানুষের দ্বারা ধ্বংস প্রাপ্ত হচ্ছে সেইরকম মানুষই (সংখ্যায় অল্প হলেও তাঁরা) আবার পরিবেশ বাঁচানোর জন্য বহুবিধ চিন্তাভাবনা করছে এবং পরিবেশ দূষণ কিভাবে রোধ করা যায় তারও যথাসাধ্য চেষ্টা করছে । পরিবেশ রক্ষায় যেসব মানুষ এগিয়ে আসছেন, চেষ্টা করছেন তারা প্রণম্য ।🙏🏼 কিন্তু তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম সত্ত্বেও বহু মানুষের কুকর্ম বা পাপের ফলে প্রতিদিন একটু একটু করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে । এর বিরুদ্ধে বহু বহু প্রচার হচ্ছে, বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে কিন্তু যে হারে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে তার তুলনায় এসব নগণ্য । আসলে এটা যেন অনেকটা উলুবনে মুক্তো ছড়ানোর মতো অথবা বলা যেতে পারে যারা পরিবেশ রক্ষায় প্রাণপাত করছেন তারা মৃতের শহরে আয়না বিক্রি করছেন ‼️ প্রকৃতি হচ্ছে সমাজের আয়না। এর দিকে তাকিয়ে মানুষ যে রকম আচরণ করবে তার বদলে মানুষ সেইরকমই দেখতে পাবে । আসলে মানুষ নিজেই নিজের কবর খুঁড়ে খুঁড়ে চলেছে !!!!! ⛏️⚰️ খুব দরকার না হলে মানুষ যদি প্রকৃতি ধ্বংস কম করে বা না করে তাহলেই অনেকটা কাজ হবে। উন্নয়নের নেশায় মত্ত অহংকারী নির্বোধ মানুষজনের কাছ থেকে এটুকু অন্তত আশা করাই যায়, কিন্তু আশা যতই ছোট হোক নির্বোধ মানুষজনের তাতে কি কোন হেলদোল হবে ??!! তাই অল্প কিছু মানুষজনকে চেষ্টা চালিয়েই যেতে হবে । 🤝🏼🌍🪴🤝🏼
লেখাটি মোটামুটি ভালোই হয়েছে তবে বর্তমানের সংকটগুলি সম্পর্কে আলোকপাতের প্রয়োজন ছিল বিশেষতঃ প্লাস্টিকের বিষময় অবস্থা, জলের সংকট,কৃষির ভয়াবহতার দিকগুলি যাতে গন সচেতনতার পথে আশু কর্তব্য সম্বন্ধে জনমানসে কিছুটা হলেও ধারনা সৃষ্টি করা যায়। কারন আন্তর্জাতিক বিষয় উপস্থাপন তাত্ত্বিক স্তরেই আটকে থাকে বাস্তবের কাছাকাছি পৌছায় না
ReplyDeleteVery informative. Heartfelt thanks to the writers.
ReplyDeleteপ্রশংসনীয়।
ReplyDeleteপ্রশংসনীয় লেখা। বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এখন দেখার বিষয় বিশ্বের রাষ্ট্র নেতারা কি ভাবে সাড়া দেন। এখনো যদি সম্মিলিত ভাবে সঠিক পদক্ষেপ নেয় তবে বিপর্যয়ের থেকে আপাতত রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
ReplyDeleteপ্রসঙ্গ ক্রমে উল্লেখ করি সাড়ে পাঁচশো বিলিয়ন বছর পূর্বে বিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল,এই ধারণা মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এখনো পোষণ করেন। কিন্তু সূর্যের জন্ম ৫০০ কোটি বছর পূর্বে। সূর্য আরও ৫০০ কোটি বছর বেঁচে থাকবে। অবশ্য এর বহু বহু বছর আগেই লাল দানব নক্ষত্রের রূপ ধারণ করে পৃথিবী সহ সৌরজগত কে গিলে খাবে।
ড. রবীন্দ্রনাথ বসু। নৈহাটি।
থ্যাংকু স্যার।
Delete