Friday, 18 June 2021

কেরালার শিক্ষা

অতিমারির ভয়ে পরীক্ষা বাতিল নয়

শোভনলাল চক্রবর্তী


সারা দেশ যখন এই মহামারি পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক অবহেলার গোলকধাঁধায় পরিণত হয়েছে, শিক্ষার্থী সমাজ যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রগুলির দুঃখজনক পদক্ষেপের জন্য  যন্ত্রণাবিদ্ধ, তখন শিক্ষার প্রতি কেরালা সরকারের মনোযোগ এবং যথাসময়ে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর অফলাইন পরীক্ষা  সুসম্পন্ন করার সাফল্যের কাহিনী অন্যদের উদ্দীপ্ত করার ক্ষমতা রাখে। শুধু পরীক্ষা নেওয়াই নয়, পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে তারা অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে। দশম শ্রেণীর স্তরে উত্তীর্ণের হার ৯৮ শতাংশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে ওই হার ৮৫ শতাংশ। সরকারের পক্ষে জানানো হয়েছে যে তারা সবার উপরে স্বাস্থ্য এবং মানুষের জীবন ও জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়ে আলোর দিশা দেখাতে বদ্ধপরিকর। সত্যিই তাই। এই পরীক্ষা নেওয়া এবং ফল প্রকাশ করা কেরালার মুকুটে নতুন পালক যোগ করল সন্দেহ নেই। 

ভারতে কোভিড মহামারির প্রেক্ষাপটে শিক্ষা নিয়ে আলোচনা এবং বিতর্ক কোনও নির্দিষ্ট দিশা পায়নি, সমাধান সূত্রও মেলেনি। তার ওপর আমাদের দেশে কোভিডের ভয়ঙ্কর দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রেক্ষাপটে শিক্ষাক্ষেত্রের সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য কোনও সুচিন্তিত নীতি এবং গাইডলাইন এখনও গ্রহণ করা হয়নি। সারা দেশের স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অনিশ্চয়তার দোলায় দুলছে। আমাদের রাজ্যেও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বাতিল হয়েছে এবং আজ ঘোষণা হয়েছে কী পদ্ধতিতে নম্বর দিলে পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে! এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই কেরালা দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত নিয়মবিধি কঠোরভাবে মেনে। 

ইতিপূর্বে কেরালা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং শিক্ষার উন্নয়নের অনেকগুলি মডেল দেশকে উপহার দিয়েছে। কেরালা সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলগুলিতে সত্যি সত্যিই ডিজিটাল  বিপ্লব ঘটিয়েছে, তা না হলে এই পরীক্ষাপর্ব সম্পন্ন করা সম্ভব ছিল না। একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার পাশে দাঁড়িয়ে শিক্ষার পূর্ণতা দেওয়ার কাজে কেরালা সরকার প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে হয়ে উঠেছে প্রকৃত অর্থে তাদের অভিভাবক। 

যে সব রাজ্যে শুরু থেকেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কেরালা। কিন্তু কেরালা পরীক্ষামূলক পর্যায় অতিক্রম করেছে অতি সাবধানে। কন্টেইনমেন্ট গাইডলাইনকে মান্যতা দিয়ে সব ক্লাস স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার টেলিভিশন সম্প্রচারকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন শিক্ষার একটি বিকল্প পথ উপস্থাপন করে। মার্চের শেষে যখন অপ্রত্যাশিতভাবে সারা দেশে লকডাউন জারি করা হয়, তখন পরীক্ষা এবং ক্লাস সংক্রান্ত সমস্যাগুলি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কারণ, তখন শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষের পথে। কেরালা সরকার খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে যে তারা দশম এবং দ্বাদশ দুটি স্তরেই, আমাদের যেমন মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক, তেমনই কেরালায় পরীক্ষা দুটির নাম এসএসএলসি, সেই পরীক্ষা নেবে। প্রথম পর্বে সাবধানতা এবং কড়া পর্যবেক্ষণের মধ্যে দশম শ্রেণীর জন্য ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর রাজ্যের তিন হাজার কেন্দ্রে সফলভাবে পরীক্ষা নেওয়া সম্পন্ন করে সরকার। এর জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে কঠোরভাবে কোভিড প্রটোকল মানা হয়েছে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে আলাদা করে হাত ধোওয়ার একাধিক জায়গা এবং স্যানিটাইজার সহ স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের মধ্যে পরিস্থিতির গুরুত্ব সম্পর্কে বহু আগে থেকে শুরু হয়েছিল সরকারি প্রচার। সেই কারণে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক- এই আবহে পরীক্ষা দিতে পিছিয়ে যাননি, বরং এগিয়ে এসেছেন। 

সামাজিক দূরত্ববিধি কঠোরভাবে মানা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য প্রতি পরীক্ষা কেন্দ্রে আলাদা করে লোক নিয়োগ করা হয়েছিল। এছাড়াও প্রতি পরীক্ষা কেন্দ্রে ছিলেন দু'জন করে স্বাস্থ্যকর্মী, যাঁদের কাজ ছিল অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দেহের উষ্ণতা মাপা ও সেটা রেকর্ড করা। শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে ৫ লক্ষ গ্লাভস ও মাস্ক। পরীক্ষা কেন্দ্রে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে সামাজিক দূরত্ববিধি কঠোর ভাবে মেনে। যে সব শিক্ষার্থী কন্টেইনমেন্ট জোন থেকে পরীক্ষা দিতে গিয়েছেন, বা যাঁদের পরিবারের কেউ কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের আলাদা ঘরে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে অন্য শিক্ষার্থীদের থেকে আলাদা করে। যে সব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে আসতে পারেনি তাঁদের জন্য অন্য দিনে পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে একটি শিক্ষাবর্ষ নষ্ট না হয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রচুর পরিমাণে দিনমজুর নিয়োগ করে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে ক্লাসরুম এবং স্কুল চত্বর স্যানিটাইজ করা হয়। একটি ব্যাচ পরীক্ষা দিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ব্যাচ ঢোকার আগে প্রতিটি শিক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটি ঘরে নতুন করে স্যানিটাইজেশন করা হয়। 

কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ কেরালাকেও ভয়াবহ ভাবে প্রভাবিত করেছে। তার জন্য সরকার লকডাউনের পথেও যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও 'শিক্ষা', সব সময়ে সরকারের মূল চিন্তার মধ্যে থেকেছে। এই কারণেই ৮ এপ্রিল থেকে সরকার দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এই পর্বে পরীক্ষা দিয়েছে ৯ লক্ষ শিক্ষার্থী। পরিস্থিতি বুঝে বাড়ানো হয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা। এই পর্বে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৪৯৫১টি। বাড়তি যত্ন ও সাবধানতা অবলম্বন করা হয় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট স্ট্রেনের কথা মাথায় রেখে। দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষায় ত্রিস্তরীয় মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য। সরকার প্রচুর সংখ্যায় স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করেছিল যাঁরা কঠোরভাবে কোভিড প্রটোকল প্রয়োগ করেছেন সর্বত্র। স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন এবং গণ সংগঠনগুলি সামনের সারিতে ছিল এটা নিশ্চিত করতে, যাতে যেভাবেই হোক শিক্ষার্থীরা যেন সময় মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছয়। 

কেরালা যে ভাবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরীক্ষা নিয়েছে তা  সম্ভব হত না সেই রাজ্যের জনগণ এগিয়ে না এলে। সারা ভারতের ১৪টি রাজ্য দশম ও দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করেছে, আরও পাঁচটি রাজ্য এখনও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি। এই অবস্থায় যে রাজ্যটি পরীক্ষা করবে বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, বোঝাই যাচ্ছে তাদের মানসিকতা ভিন্ন হতে বাধ্য। 

এবার একটু আমাদের রাজ্যের দিকে চোখ ফেরানো যাক। লকডাউনের সময়ে স্কুলে শুধু দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষার্থীদের পঠন-পাঠন কতটা হয়েছে তার একটা হিসেব নিতে গেলে আসল ছবিটা ধরা পড়বে। ছবিটা এ ক্ষেত্রে ভীষণ মলিন। প্রথম দিকে সবাই টেলিভিশন চ্যানেলে ক্লাস শুরু করলেও অচিরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। কেরালায় কিন্তু টেলিভিশন চ্যানেলে শিক্ষাদান সফল একটি কার্যক্রম। আমাদের এখানে যে টেলিভিশন চ্যানেলে শিক্ষা চলল না, তার একটা বড় কারণ পরিকল্পনার অভাব; দ্বিতীয়টি হল সরকারি স্তরে এই ধরনের পদক্ষেপের প্রতি অনীহা। কেরালায় যখন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে সরকার পৌঁছে দিচ্ছে টেলিভিশন, ডিশ এন্টেনা, ইন্টারনেট, তখন তার ধারেকাছেও নেই বাংলা। এখানে বেসরকারি উদ্যোগে কিছু সাহায্য গেছে, যা অপ্রতুল। বাংলায় রেডিও মারফতও কিছু ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, কিন্তু কোনওটাই স্থায়ী হয়নি। এরপর সরকারি স্কুলে শিক্ষকরা সারা সপ্তাহে মোবাইলের গ্রূপে একটি করে 'নোট' পাঠানো শুরু করেন, যার পাঠোদ্ধার ছিল অসম্ভব। কলকাতার বুকে হাতে গোনা কয়েকটি সরকারি স্কুল নিজেদের উদ্যোগে অনলাইন ক্লাস শুরু করে, যা প্রযুক্তিগত কারণে মুখ থুবড়ে পড়ে। সারা পশ্চিমবঙ্গে লকডাউনের পর থেকে কটি সরকারি স্কুলে ক্লাস হয়েছে তার উত্তর হাওয়ায় উড়ছে। আমরা যখন অনলাইন ক্লাস কীভাবে সমাজে এক নতুন শ্রেণী বিভাজন ডেকে আনছে তা নিয়ে দিস্তা দিস্তা কাগজ লিখে ভরাচ্ছি, তখন কেরালা কীভাবে অনলাইন ক্লাসে সবাইকে যুক্ত করা যায় তার জন্য ময়দানে নেমে লড়াই করছে। বেসরকারি স্কুলগুলোতে অনলাইনে ক্লাস হয়েছে স্কুলগুলির বেঁচে থাকার তাগিদে। কিন্তু বেসরকারি নামী স্কুলের অধিকাংশ সিবিএসই বা আইএসসি বোর্ডের অধীনে। ফলে, যে শিক্ষার্থীরা পড়লই না (বিশেষ করে দ্বাদশ শ্রেণী), তারা পরীক্ষা দিলে যে কেলেঙ্কারি হত, তা সহজেই অনুমেয়। 

সরকারি শিক্ষক সমিতির অবস্থান এ ক্ষেত্রে চমকপ্রদ। গোটা লকডাউনের সময়ে তারা শিক্ষকদের একবারও অনুরোধ করল না শিক্ষার্থীদের পড়াতে, আর প্রেস ডেকে সরকারকে অনুরোধ করল পরীক্ষা নিতে। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের চেয়ে আর কেউ ভালো করে জানতেন না যে এবার পরীক্ষা নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থীদের কলম ভেঙে যেত। ভোটের দীর্ঘ নির্ঘন্ট পেরিয়ে পরীক্ষা হওয়া শক্ত ছিল। করোনার দ্বিতীয় প্রবাহের পর পরীক্ষা যে হবে না তা আমাদের রাজ্যে একপ্রকার ঠিক হয়েই ছিল। পরীক্ষা বাতিল ছিল সময়ের অপেক্ষা। পরীক্ষা বাতিল হতে এখন সবাই অনেকটা নিশ্চিন্ত। শিক্ষার্থীদের পুরস্কার ঘরে বসে নম্বরের ঝুলি। অভিভাবকরাও নিশ্চিন্ত, আর করোনার ভয় রইল না, পরীক্ষা দিতে গেলে যেটার ভয় ছিল। অতিমারির জুজু দেখিয়ে পরীক্ষা বাতিল আসলে যে একে এড়িয়ে যাওয়ার ছল, তা প্রমাণ করেছে কেরালা। বিদেশের অবস্থা নিয়ে না হয় আর এক নিবন্ধে আলোচনা করা যেতে পারে। আশঙ্কা হয় পরিস্থিতি ঠিক হলে সবাইকে আবার পরীক্ষা কেন্দ্রে টেনে আনা যাবে তো? মানুষ কিন্তু অভ্যাসের দাস।


3 comments:

  1. খুবই গুরুত্বপূরণ আলোচনা করেছেন। এক কথায় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলার শিক্ষার হাল। এগিয়ে বাংলা নয় এগিয়ে কেরল স্বাথ্যের পর শিক্ষায় তা আরেকবার প্রমাণ হলো এই লেখায়।

    ReplyDelete
  2. শোভন বাবুর লেখা তো অসাধারণ !!!!!! 👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼🌹শোভনবাবু মানে 👑শোভনলাল চক্রবর্তী, একক মাত্রা পত্রিকার ব্লগের একজন স্টার ব্লগলেখক (আমাদের পশ্চিমবঙ্গের পুরনো জলশোভন বা নতুন যুগের কলির কৃষ্ণ👫🏻 নন, যিনি পশ্চিমবঙ্গের এক বিরল সম্পদ 😉) । শোভন বাবু তার এই লেখায় খুব সুন্দর ভাবে কেরলে কিভাবে এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে তার বিবরণ দিয়েছেন এবং সাথে সাথে আমাদের এই হতভাগা রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ কেরলের মত একই পথ কি কারণে অনুসরণ করতে পারেনি বা বলা ভালো চায়নি সেগুলো সুন্দর ভাবে তার লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন । ব্রাভো । আসল ব্যাপার হলো, সরকারের কি উদ্দেশ্য । আমাদের রাজ্যের সরকার ভোটে জিততে পারলেই শুধু খুশি কারণ ভোটে জিততে পারলেই ভালোকরে বালি চুরি, মাটিচুরি, রাস্তায় তোলা তোলা এই সমস্ত করা যাবে এবং তা দিয়ে নিজেদের শ্রীবৃদ্ধি হবে । 😈 তো এই রাজ্যের যা অবস্থা সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ব্যাপারে এইরকমই দশা হবে !!!!!! আর সেটাকে মেকআপ করার জন্য যত আজগুবি ব্যবস্থা নেওয়া হবে । 💄🤡 আজ যেমন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এবছরের উচ্চমাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার মূল্যায়নের এক আজব নিয়ম বা পদ্ধতি বাতলেছেন: 1 কাপ চায়ের থেকে x অংশ তুলে নিয়ে তার সাথে আরেক কাপ কফির বা এক বোতল মহুয়ার y অংশ তুলে দুটোকে শিলনোড়ায় বেটে তার সাথে আরেক চামচ ডাটা চচ্চড়ি মিক্স করে একটি বিরল টিভিতে দেখানো সিরিয়ালতুল্য খিচুড়ি (ফলাফল) তৈরির উপায়ের নিদান দিয়েছেন !!!!! কই গান চালা রে টুম্পা সোনা, কদিন বাদেই ইউরো কাপ আর কোপা আমেরিকা কাপ শেষ হওয়ার পরে খেলা উৎসব (আমাদের রাজ্যে সবকিছুই উৎসবের মতো হয়, যেমন-- ভোট উৎসব) হবে তো !!!!! 🦵🏼⚽🦶🏼
    মূলকথা: কেরল সম্পর্কে উল্টোপাল্টা না কথা বলে, সেই রাজ্যের উপর হিংসা না করে, ওদের কি কি ভালো, কি কি অনুসরণযোগ্য সেগুলিকে নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করে কিভাবে নিজেরাও এগিয়ে যেতে পারে সেইসব চিন্তা-ভাবনা না করলে ছাত্র-ছাত্রীদের দশার মত আমাদের রাজ্যের মানুষের এইরকম দশা বা পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আবারও হবে । 🎃😡📿⚰️

    ReplyDelete
  3. কঠোর বাস্তব তুলে ধরা হয়েছে লেখায়। শিক্ষাব্যাবস্থার ভয়াবহ অবনমনের কালে সদিচ্ছা ও সচেতনতা থাকলে ঘুরে যে দাঁড়ান যায়, সেটাও প্রমাণ করেছেন লেখক।

    ReplyDelete