শিক্ষার সুযোগ কতটুকু?
অশোকেন্দু সেনগুপ্ত
করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপর্যস্ত শিক্ষা ও শিক্ষার্থী জীবন। তবে মানুষ তো, তাই আশা রাখি যে একদিন আমরা যুদ্ধজয়ের হাসি হাসব। তা, শিক্ষার সমস্যা আছে করোনা-তাণ্ডবের ও তাণ্ডবহীন দিনগুলিতেও। তাই, এদিন আর ওদিন মিলিয়ে যে সমস্যাগুলি তার পুরো ছবিটা দেখার ও সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছি কিছুটা। তবে, 'একা কি কবির নহে তো গান'। আপনারা যারা এই লেখাটার আগের অংশ পড়েছেন ও এই অংশ পড়বেন তারাও ভাবুন।আগের অংশটি পড়ে একজন জানতে চেয়েছেন, প্রান্তিক মানুষজনের ছেলেপুলে যারা স্কুল শিক্ষার সাথে মিড ডে মিল থেকে বঞ্চিত তারা এই সময়ে কী করবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা সম্পর্কিত আলোচনায় ইতি টানব। জানি আরও প্রশ্ন উঠতেই পারে, নিছক তাত্ত্বিক প্রশ্ন নয়, কিছু বাস্তব সমস্যাও রয়েছে। তবে যাদের জন্য লেখা তারা সে সব সমস্যার উপযুক্ত সমাধান নিজেরাই খুঁজে নেবে এমনটা আশা করা বুঝি ভুল হবে না। তাই আপাতত কেবল ঐ একটি প্রশ্নের জবাবই খুঁজি।
প্রান্তিক মানুষের সন্তানেরও প্রাথমিক শিক্ষায় সমান অধিকার, সমান অধিকার মিড ডে মিলের- এ যে তত্ত্ব কথা তা কে না জানে! তবে ভুলি কেমনে যে, তত্ত্বও হাতিয়ার হতে পারে। বাস্তবে, অধিকার তো ছিনিয়েও নিতে হয় বেশ কিছু ক্ষেত্রে। না চাইলে মা'ও নাকি তার সন্তানকে দুধ দেয় না। এই রীতি যেন ভুলে না যাই। কিছু রাজ্য কিছু শিশুর জন্য মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু প্রাপ্য অথচ পায়নি এমন শিশুও তো আছে। তারা নিজেদের অধিকার আদায়ে নিজেরা লড়বে এমনটা আশা করা যায় না। তাদের হয়ে আমাদের সবাইকে লড়তে হবে- এটা আমাদের সামাজিক দায়। যারা পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভাবছেন, তাদের কাছে অনুরোধ: পরিযায়ী শিশুদের শিক্ষার সমস্যাও ভাবুন।
এবার আসুন সাধারণ স্রোতের শিক্ষার্থীদের কথায়। এই পর্ব শুরু করি উচ্চপ্রাথমিক তথা নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায় দিয়ে, অর্থাৎ, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার ভূত-ভবিষ্যৎ বিবেচনায়। এখানে মূল বিবেচনার বিষয় শিক্ষার্থীর দায় এবং সে দায় মেটাতে অন্যদের ভূমিকা কী হতে পারে বা হওয়া উচিত।
এই পর্যায়ে কেবল সুশিক্ষা নয়, আমাদের চিন্তা তাদের কার্যকর শিক্ষায় শিক্ষিত করা। প্রাথমিক পর্যায় পার হয়ে আসা শিক্ষার্থীর জানা আছে যে তার লক্ষ্য সুনাগরিক হওয়া। এই পর্যায়ে এসে সুনাগরিক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান তাকে ঝালিয়ে নিতে হবে। এবং ঝালিয়ে নেবার অবসরে তাকে স্পষ্ট বুঝে নিতে হবে তার দেশ কোনটা ও কেন? নিজ দেশের ভূগোল, ইতিহাস এবং অবশ্যই তার পরিবেশ জানতে হবে। দেশ বলতে এখনও আমরা যেমন বুঝি আমাদের নিজ গ্রাম বা শহর ও তার আশপাশের কিছু অংশ। এই স্তরের শিক্ষার্থীরাও যদি সেটুকু মেনে এগোয় তা যথেষ্ট নয় কী? যথেষ্ট তো বটেই বরং নানা কারণে তা ভালো। এটাই তার হোক, বা হতে পারে, প্রধান কাজের ক্ষেত্র। চাকরি খোঁজা নয়। সে শিক্ষার্থী যখন নিজের গ্রাম, শহর ও তার পরিপার্শ্ব এবং সে সবের ভূগোল-ইতিহাস-পরিবেশ সম্পর্কে স্পষ্ট, স্বচ্ছ, নির্ভুল ধারণা পাবে তখনই সে প্রকৃত অর্থে সুনাগরিক হওয়ার পথে বেশ কিছূটা এগিয়ে যাবে। তাকে দিতে হবে আত্মরক্ষার পাঠও।
কিছু কিছু প্রাণী আছে সংসারে যারা সুযোগ পেলেই নিজ শিশু সন্তানও খেয়ে ফেলে। মনুষ্যজাতি তেমন নয় আজও (সুযোগ পেলে বা বাধ্য হলে মানুষ কী না করতে পারে)। তবে তারা তেমন সুযোগ যাতে না পায় তারই জন্য কিছু সুশিক্ষার প্রয়োজন। বই পড়ে বা ব্যায়ামাগারে মুগুর ভেজে বা ব্রতচারী গেয়ে সে শিক্ষা মিলবে না (তার কোনওটাই কিন্তু খারাপ নয়, এবং ক্ষেত্র বিশেষে তা চর্চার প্রয়োজনও আছে)। তেমন শিক্ষা মিলতে পরে নিজ বাড়িতে, সমাজে, পাড়ায়, আপনজনেদের কাছ থেকে, সরকারের কাছ থেকে ( যদি সরকার আপনজন হয়ে উঠতে পারে)। এই পর্যায়ে শিশুকে মাতৃভাষার অতিরিক্ত একটি ভাষা চর্চার সুযোগ দিতে হবে। আর দিতে হবে গণিতের প্রাথমিক পাঠ। প্রাথমিকে আর প্রাক-প্রাথমিকে শিশুর সংখ্যার সঙ্গে পরিচয় হওয়াই যথেষ্ট, কোনও শিশুর যেন সে পর্যায়ে গণিত-ভীতি না জন্মায় তা দেখতে হবে। দায়িত্ব কেবল শিক্ষার্থীদের নয়, দায় শিক্ষা নিয়ামক, পরিদর্শক, সমাজ, শিক্ষক সকলেরই। তারাই তো শিক্ষার আয়োজক।
এবার উঁকি মারি মাধ্যমিক স্তরে (নবম- দশম)। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে হবে কোনও শিশুপাঠ্য গ্রন্থের (শিশুদের রামায়ণ, মহাভারত ইত্যাদি) সাহায্যে, কম্পিউটার ও বিজ্ঞানের প্রাথমিক পাঠ দিতে হবে যাতে বিজ্ঞানে তাদের আগ্রহ জন্মায়, বৈজ্ঞানিক মানসিকতা সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্য নিয়ে, শেখাতে হবে অন্তত একটি হাতের কাজ।
এ কথা ভুললে চলবে না যে সব তো অনলাইনে হবার নয়। এসব শেখাতে এবং উপযুক্ত বই নির্বাচনে চাই যোগ্য সমাজকর্মী, চাই গুণী ও অভিজ্ঞ শিক্ষক। এই পর্যায়ে শিক্ষার্থী নিম্নমাধ্যমিকে চর্চিত ভাষায় সাহিত্যপাঠ ও অনুশীলন করবে এমন আয়োজন চাই। আর, অন্তত তিনটি এমন বিষয় থাকা দরকার যেখানে শিক্ষার্থীকে বিষয়মুখি প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে যাতে সে বাক্যে মনের ভাব প্রকাশ করতে শেখে। (কেবল টিক দিয়ে নম্বর তোলা নয়। কৃপণের মতো নম্বর দেওয়া যেমন ভালো নয়, তেমন ভালো নয় নম্বরের দানছত্র খোলা। এই বিষয়ে আরও কিছু কথা বলছি পরে)। বিষয় নির্বাচনে বিদ্যালয় ও শিক্ষকমণ্ডলী শিক্ষার্থীদের সাহায্য করবে, পথ দেখাবে।
এই লকডাউন পর্বে শিক্ষার্থীদের প্রধান এক সমস্যা সারাদিন গৃহবন্দী থাকা। তাদের বয়সটাও বিবেচনা করতে হয়। এখন তারা যদি কেবল 'সামাজিক দূরত্বের' পাঠ নেয় তবে একে অন্যের পাশে থাকার পাঠ নেবে কবে? আর এক সমস্যা বইপত্র হাতে না থাকা। অনলাইন লেখাপড়া উচ্চমানের হলেও
বইপত্র হাতে না থাকার সমস্যা মেটে না। যেমন শিক্ষকের বিকল্প হয় না, তেমন বইয়ের বিকল্পও হয় না। দুঃখের হলেও সত্য যে, সরকার অত্যাবশ্যক পণ্য তালিকায় বইপত্র রাখেনি। এর জন্য কেবল সরকার নয়, সমাজও দায়ী। সমাজ কী চেয়েছে বইপত্র থাক অত্যাবশ্যক পণ্য তালিকায়? GER বা NER শিক্ষার সঙ্গে সমাজের সম্পর্কের ধারণা স্পষ্ট করে না, এই সত্যকে মানতে হবে। মাধ্যমিক পর্যায় শেষে কেউ কেউ প্রথাগত শিক্ষার রাস্তা ছেড়ে চাইতে পারে বৃত্তিমূলক শিক্ষা চর্চার পথ। কেউ কেউ আগেও যেতে চাইতে পারে, তাদের থামাতে পারে সমাজ ও শিক্ষক, ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানে। অনলাইনে এই টান তৈরি হতেই পারে না। কে কোন পথে যেতে চায় তা বুঝে নিয়ে বিদ্যালয় ও শিক্ষকমণ্ডলী শিক্ষার্থীদের সাহায্য করবে যথাসাধ্য এটাই প্রার্থনীয়।
শিক্ষার মান
তখন স্নাতকোত্তরে পাঠরত। একটা আন্দোলন করি: কেন আমরা ১০০ তে ১০০ পাই না (প্র্যাকটিক্যালেও), শিক্ষকরাই বলুন কী করলে তা পাওয়া সম্ভব? শিক্ষকরা বলতে পারেননি। পরে নিজে শিক্ষকতা করতে এসে বুঝেছি, এটা বলা কোনও শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব নয়। অথচ, তখনও একটা কথা খুব চালু ছিল- অন্য রাজ্যের সম বা নিম্নমানের ছেলেমেয়েরাও আমাদের ছেলেমেয়েদের তুলনায় অনেক বেশি বেশি নম্বর পায়। নম্বরের গুরুত্ব বাড়তেই থাকে বিভিন্ন প্রবেশিকা তথা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়, চাকরির ক্ষেত্রে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে। এর বেশ কয়েক বছর পর প্রধান পরীক্ষক মহাশয়রা বলতে শুরু করলেন, বেশি বেশি নম্বর দাও, হাত খুলে নম্বর দাও।
পরিস্থিতি আজ এমন দাঁড়িয়েছে যে কিছু ছাত্রী বা ছাত্র ১০০ বা তার কাছাকাছি নম্বর পেয়ে মেধা তালিকার শীর্ষে উঠে পড়ছে এবং আরও দুঃখের কথা এই যে তেমন ছাত্রী বা ছাত্রকেও স্নাতক স্তরে এসে শুনতে হচ্ছে, কিছুই তো শিখে আসনি দেখছি! অন্যদিকে ASER-এর মতো মূল্যায়ন সংস্থাগুলি বলে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষার মান নিম্নগামী। তারা না বললেও এই কথার সত্যতা নিয়ে সংশয় জাগত না। শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত (শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, সমাজ, অভিভাবক) সকলেই মানছে যে, সারা দেশের মতোই নিম্নগামী আমাদের রাজ্যের শিক্ষার সামগ্রিক মান ( কেবল প্রাথমিক শিক্ষা নয়)। বিশেষত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার মান আজ কাঠগড়ায়। কিন্তু, কেন? শিক্ষার মান বাড়াতে কত কী করা হয়েছে ও হচ্ছে- এখন যে কেউ চাইলেই একটা পাঠশালা খুলে ফেলতে পারে না, যে কেউ কোনও প্রাথমিক/মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারে না। শিক্ষক হতে গেলে চাই ট্রেনিং, শিক্ষক হলেও নিয়মিত যথাযথ ট্রেনিং তার চাই, কত কী ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও সুশিক্ষার জন্য শিক্ষা অধিকার আইনেই কতশত ধারা-উপধারা! শিক্ষা এখন সকলের অধিকার- যেমন তেমন শিক্ষা নয়, ভালো মানের কাজের শিক্ষা!
অনেকের ধারণা পাশ-ফেল প্রথা উঠে যাওয়াতেই শিক্ষার মান পড়েছে। এমন ধারণা যাদের সমাজে তাদের যথেষ্ট প্রভাব আছে, তারা চাপ দেওয়াতেই নিয়ম বদলাতে শুরু করেছে। ব্যক্তিগত ভাবে আমার ধারণা যে পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা আর এক অবিমৃশ্যকারিতার নিদর্শন। আমার কেন এমন ধারণা হল সে কারণগুলি বলি সংক্ষেপে: পাশ-ফেল প্রথা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন নয়। শিক্ষা মূল্যায়নের পদ্ধতি বদলাতে চাওয়া হয়েছে শিক্ষা অধিকার আইনে। এখন নিয়মিত মূল্যায়নের কথা, তার জন্য আছে summative, cognitive ইত্যাদি টেস্ট। সে সবে নিশ্চয় কিছু সমস্যা আছে, কিন্তু পাশ-ফেলে কী মানসিক-সামাজিক-আর্থিক সমস্যা কম? বিষয়টি দেখার আর এক গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, এই দেশের কয়েক প্রজন্মের অশিক্ষার সমস্যা। একটা বিষয় সকলে মানেন যে শিক্ষা ক্ষেত্রে ঘন ঘন পরিবর্তন কাঙ্ক্ষিত নয়। শিক্ষা-অধিকার আইনের বয়স হল মোটে দশ।
বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ ও ব্যাপ্তি
কয়েক বছর আগের কথা। উত্তরবঙ্গের নিমতা চা-বাগান লাগোয়া একটি বিদ্যালয় উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান শাখা খোলার অনুমতি পেয়েও বিজ্ঞান শাখা খুলতে গড়িমসি করছে।
- কেন? আপনার স্কুলে জায়গা আছে, বইপত্র আছে, আগ্রহী পড়ুয়া আছে.....
হেডমাস্টারমশাই আমাকে থামিয়ে বললেন, কিন্তু স্যার, আসল জিনিসটাই তো নেই।
- কী?
- শিক্ষক নেই।
এরপর তিনি আরও কিছু দুঃখের কথা বললেন। জানা গেল, তিনি বিজ্ঞান শাখার তিনটি বিষয়ের জন্য মাত্র তিনজন শিক্ষক চেয়েছিলেন, অনুমোদনও পেয়েছেন তিনজনের। তবে অনুমোদন পাওয়া বিষয়গুলি ভিন্ন ( রাষ্ট্রবিজ্ঞান, তর্কবিজ্ঞান আর ইতিহাস) এই যা। কয়েক মাস আগে সুন্দরবন অঞ্চলে গিয়ে শুনলাম সেখানকার অধিকাংশ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে শিক্ষকের অভাবে।
এমন দেশে বিজ্ঞান-সচেতনতার অভাব। দোষ দেবেন কাকে? এক প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশের মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান-চেতনার উন্মেষ ঘটবে, আর এক প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন বাদ্যি বাজিয়ে করোনা বিদায় করতে পারবেন! সত্য সেলুকাস!
কয়েক বছর আগে প্রতীচী ইন্সটিটিউট আমার একটি ক্ষুদ্র পুস্তিকা প্রকাশ করে (Science Education and the Privilege Divide: A Case of West Bengal) যা অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের প্রশংসাধন্য। সেখানে দেখিয়েছিলাম এ দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগই কত সীমিত। এমন দেশে গোমূত্র পানে করোনা মুক্তির কথা তো শুনতেই হবে। দুঃখের কথা এই যে, এমন কথা বিশ্বাস করেন দেশের কর্ণধাররাও! তাঁরা শিক্ষা নিয়েই চিন্তিত নন তো বিজ্ঞান শিক্ষা!
দু'টি লেখাই সময়ের নিরিখে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।শিক্ষা-সমস্যার সমাধানসূত্র হিসেবে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা কথাগুলো হয়তো নতুন কিছু নয়,কিন্তু উত্তরণের চিরায়ত অব্যর্থ পথ নির্দেশ। যা আমাদের ভাবনার পরিসরকে প্রশস্ত করে। আপনাকে নমস্কার,
ReplyDelete____________________________
প্রশান্ত কুমার মারিক। 9874973047 ।