Friday, 1 May 2020

শিক্ষার্থীদের কথা

আজ কাল পরশুর গল্প
অশোকেন্দু  সেনগুপ্ত

মানুষ এখন করোনা তাণ্ডবে গৃহবন্দী। কবে শেষ হবে এই গৃহবন্দী দশা তা আমরা কেউই জানি না। তবে এটুকু জানি যে শত্রুর শেষ রাখতে নেই যেমন, তেমন করোনা নামের দানবকে সম্পূর্ণ পরাস্ত  না করে আমরা থামব না, থামা উচিত হবে না। তাই ধরে নিচ্ছি যে এই যুদ্ধ চলবে আরও বহুদিন। এই দীর্ঘ অবসরে এবং তারপরে আমাদের শিশুরা, শিশু পড়ুয়ারা কী করবে তা ভাবতে হবে আমাদের। নতুন করে ভাবতে হবে। কিছু ব্যবস্থা হয়েছে অনলাইন পড়াশোনায়। কিন্তু, তা কি যথেষ্ট বা যথাযথ?

স্মরণ  করি সেই প্রবাদ: চোখ-কান-মন/ বই পড়ে তিনজন। কোন তিনজন? আমি, আমার সন্তান আর আমার সমাজ তথা রাষ্ট্র। সবাই মিলে ভাবতেই পারেন তবে। আমরা আমাদের আলোচনার সুবিধার্থে বেছে নিচ্ছি তিনজনকে, সহযোগী এক-দুজনকে পাশে রাখতে পারি। একই সঙ্গে 'অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট' প্রবাদটিকে স্মরণে রাখতে হবে। আমরা আমাদের ভাবনা মতো কাজগুলো তো চিহ্নিত করি, তারই পাশাপাশি  ভাবি কে কোন কাজের দায়িত্ব নিতে পারে। তবে, আবারও বলি, এমন ভাবনা কেবল সাময়িক সমস্যা সমাধানে নয়, ভাবতে হবে শিক্ষার সামগ্রিক রূপ নিয়ে যাতে তুফান, মহামারী,  ভূমিকম্প, মন্বন্তর যাই আসুক, আমাদের শিক্ষা তরী ডুববে না, আমরা পৌঁছতে পারব আমাদের লক্ষ্যে।

শুরু করা যাক প্রাথমিক আর প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিশুদের দিকে তাকিয়ে। গণ্ডি ছাপিয়ে অন্য স্তরও এই আলোচনায় ঠাই নিতে পারে বা এই আলোচনা টেনে নিয়ে যেতে পারি আমরা অন্য স্তরের আলোচনাতেও।

প্রাথমিক আর প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা-

১) শিক্ষক ও শিক্ষক  সংগঠনগুলির দায়:

এই বিষয়ে কিছু বলার আগে শিক্ষার কিছু আদর্শ সত্য বলে মেনে নিতেই হবে যা নীচে বলার চেষ্টা করেছি:

প্রথম কাজ সুনাগরিক রূপে শিশুদের গড়ে তোলা। বলা সহজ, কাজটা মোটেই সহজ নয়। এ কাজে সর্বাগ্রে বুঝতে হবে  সুনাগরিক কাকে বলে। এর ব্যাখ্যা নিয়ে পণ্ডিতে পণ্ডিতে তর্কের শেষ নেই, কিন্তু এ কথায় কোনও মতভেদ নেই যে সুনাগরিককে দেশের ভালোর জন্য কাজ করতে হবে। অর্থাৎ, বৃক্ষের পরিচয় নেব তার ফল দেখে।

এবার আসুন ভাবি দেশের ভালো বলতে কী বুঝি? নিজেরা বুঝলে তবে তো বোঝাব শিশুদের। তাহলে সামনে এসে পড়ে প্রথমেই, দেশ কী, এই প্রশ্নটা। এর উত্তর কিন্তু খুব সোজাসরল নয়, তাই তা শিশুদের বোধগম্য না হতে পারে। না হলে? সে কথা বলার আগে আর এক জরুরি কথা সেরেনি। শিশুদের নির্বোধ ভাববেন না দয়া করে। তারা অনেক কিছু বোঝে, অনেক কিছু আমার বা আপনার চেয়ে ভালো বোঝে। যেমন তারা নিশ্চয় বোঝে দুধ আর পিটুলিগোলা জলের তফাত, বোঝে মোটা হওয়া মানে সুস্বাস্থ্য  নয়, বোঝে জনস্বাস্থ্য কী, সংস্কার তথা সংস্কৃতির ভালো-মন্দ। তারা জাতপাত বা ধর্মের ভেদাভেদ বোঝে না। তাই ব্রুস লি-ও তাদের গুরু হতে পারে, গুরু হতে পারে শাহরুখ খান বা মেরি কম।

আমাদের সুবিধা এই যে আমরা বেশ কিছু  মানুষ পেয়েছি যারা আমাদের এই কাজে (শিশুদের চরিত্র গঠনের কাজে) পথ দেখাতে পারেন। যেমন, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, মহসিন, রামকৃষ্ণ, সিস্টার নিবেদিতা প্রভৃতি। কেউ তত্ত্বকথায়, কেউ কর্ম দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন আমাদের। এদের জীবনী পাঠে উপকৃত হবে শিশুরা। কিন্তু, আগের মতো গড়্গড়িয়ে পড়ালে চলবে না, তাদের জীবনের গল্প শোনাতে হবে। শোনাতে হবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে, অশিক্ষার বিরুদ্ধে, অহং-এর বিরুদ্ধে মানুষের লড়াইয়ের গল্প। শিশুরা গল্প ভালবাসে। তাদের বাছাই করা কিছু গল্প শোনাতে হবে। বাছাইটা করবে কে? তারা কোনও কিছু না বুঝলে তা মনের কোণে জমিয়ে রাখে। তাই নিশ্চিন্তে তাদের গল্প বলুন। কোনও কিছু সরল করে বোঝাতে অলিগলিতে ঘুরবেন না। মনে রাখবেন, তাদের মানসিক পুষ্টিতে ভেজাল যেন না যোগ হয়।

এবার বলি, বাছাই করার কাজটা করতেই পারে শিক্ষকরা ও তাদের সংগঠনগুলি। কেবল সদস্য বাড়ানো বা তাদের আর্থিক দাবি মেটাতে আন্দোলন সমিতি/সংগঠনের একমাত্র কাজ নয়। সদস্যদের দায়িত্ববান রূপে গড়ে তোলাও তাদের কাজ। সমাজ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা নেবে শিক্ষক এটাই কাম্য, কিন্তু সুশিক্ষক তৈরিতে শিক্ষক-সংগঠন পাশে না থাকলে সরকার তো পারবেই না, সমাজের পক্ষেও কাজটা সহজ হবে না।

২) আধিকারিকদের দায় ও দায়িত্ব:

সমাজ তার শিক্ষাভাবনা রূপায়নের দায়িত্ব দেয় রাষ্ট তথা সমাজ নির্বাচিত যন্ত্র সরকারকে। সরকার দায়িত্ব দেয় আধিকারিকদের।

সরকার কেবল দেয় এমন তো নয়, সে চায়ও অনেক কিছু। চায় সমাজের হয়ে, সমাজের ভালোর জন্য। সরকার জিনিসটাই তো তাই, সমাজের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের যন্ত্র। সেই সমাজের হয়ে সরকার কিছু আধিকারিক নিয়োগ করে। শিক্ষাক্ষেত্রেও এমন আধিকারিক নিযুক্ত হন চাহিদা মতো  সমাজের প্রাপ্য বুঝে নিতে। সমাজের এক ও প্রধান চাহিদা সুশিক্ষা যা সমাজকে দেবে সুনাগরিক। আধিকারিকের কাজ হল সমাজের এই স্বপ্নপূরণে যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচন করা। মনে রাখতে হয় যে, প্রতিটি মানুষই যোগ্য কোনও না কোনও  কাজের জন্য। কিন্তু, শিক্ষক হবার যোগ্য মানুষ সব দেশে সব কালেই কম। সকলেই শিক্ষক নন, কেউ কেউ শিক্ষক। আধিকারিককে এরই মধ্যে বাছতে হবে শিক্ষাদানের যোগ্য ব্যক্তি। কাজটা  মোটেই সহজ নয়। আর, কে না জানে, কোনও বিদ্যালয়ের চৌহদ্দিতে কেবল শিক্ষকের বাস এমন নয়। তিনি শিক্ষায়তনের বাইরে থাকলেও তার ও অন্য সব শিক্ষকের অবস্থান নির্ণয় শিক্ষা আধিকারিকের প্রধান কাজ। আরও যা তাকে দেখতে হবে তা হল  ভালো মানের শিক্ষায়তন ও তার পরিবেশ নির্মাণে সরকারি ও সামাজিক সাহায্য নিশ্চিত করা। আধিকারিকদের অন্যতম কাজ সমাজ ও সরকারের সেতুবন্ধন।

সরকার অনেক সময় তথ্যের কৌশলে সত্য আড়াল করে নিজ ব্যর্থতা ঢাকতে। শিক্ষাক্ষেত্রে এই কৌশল যেমন সরকারের বিপদ বাড়ায় তেমন বিপদ বাড়ায় সমাজের। তাই শিক্ষা এমন এক ক্ষেত্র যেখানে কণামাত্র মিথ্যার ঠাই হবার নয়। আধিকারিকদের এও এক কাজ- সরকার তথা শিক্ষানিয়ামকদের নিয়মিত মিথ্যা তথ্য থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা। শিক্ষার পরিবেশ ও আয়োজন দিয়ে, শিক্ষকের প্রাপ্য সম্মান ও পারিশ্রমিক দিয়ে সেই মন্দিরের প্রধান অছি সরকারি শিক্ষা-আধিকারিক এরপর উদ্যোগ নেন সমাজের মূল লক্ষ্য পূরণে। এর জন্য জানা দরকার, কী পড়াব?
এ দেশে নিরক্ষরতা দূর করতে পারাটাই মস্ত এক চ্যালেঞ্জ। কিন্তু তা যে সব নয়। আমরা যে চাই সুশিক্ষা। তাই গুরুত্বপূর্ণ কী পড়াব, কখন, কাকে, কীভাবে? এই কাজগুলোই এ দেশের আধিকারিকরা করে থাকেন, মানতেই চান না যে এগুলি আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া তাদের কাজ নয়। স্বাধীন দেশের সরকারেরও নয়। স্বাধীন দেশের আধিকারিকদের কাজ শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক  ও শিক্ষক সংগঠন সবাইকে নিয়ে দেশ তথা সমাজের চাহিদা বুঝে স্থান ও সময় ভিত্তিক  সিলেবাস বানানো। এর জন্য তাদেরও স্বতন্ত্র শিক্ষণ প্রয়োজন।

৩) অভিভাবকদের দায়িত্ব:

দেশটা যখন ব্রিটিশ শাসনমুক্ত হল তখন সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ১৮ শতাংশের মতো। এই দেশ তো এখন আর উপনিবেশ নয়। তাই ধর্ম নিয়ে বিভেদের খেলা থেকে আমাদের দূরে থাকতেই হবে। আবার, আমাদের দূরে থাকতেই হবে জাতপাতের  লড়াই ও কুসংস্কার থেকে, কারণ আমরা চাই বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক গণতান্ত্রিক সমাজ।

এই সবের জন্য সবার আগে চাই সাক্ষরতা।  চাই এমন সাক্ষরতা যা আমাদের সকলকে (আমি ও আমার নারী-পুরুষ নির্বিশেষ সমস্ত স্বজনবন্ধুকে) নিশ্চিত নিরাপত্তা দেবে। নিরক্ষরতার সুযোগ নিয়ে তো ঠকায় সুদখোর মহাজন থেকে সরকারি আধিকারিক। সার্বজনীন সাক্ষরতা যেন তঞ্চকদের বাধা দিতে পারে কিছুটা হলেও। কিন্তু সাক্ষরতাই সব নয়। নিজেদের মধ্যে বাস করে কত কুপ্রথা, কুসংস্কার। সবার সঙ্গে লড়তে হবে তো। পশ্চিমবঙ্গে বাল্যবিবাহের হার অত্যন্ত বেশি। এর অন্যতম কারণ তো কুপ্রথায় আস্থা। এসবের বিরুদ্ধে লড়তে হবে- ছেলে-মেয়ে-বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবাইকে নিয়ে  একসাথে। তার জন্য চাই সুশিক্ষা।

রাষ্ট্র বয়স্ক শিক্ষার আয়োজন করেছে বটে, কিন্তু তা আদৌ যথেষ্ট নয়। আবারও সেই কথা বলতে হয় যে, সরকার সব করে দিতে পারে না, করবেও না। টলস্টয় একদা বলেছিলেন, রাষ্ট্র শিক্ষার দায় নেয় কিন্তু সে চায় না প্রতিটি নাগরিকের জীবনে সুশিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে। সুশিক্ষার আয়োজন তো রাষ্ট্র করবেই না। তাহলে উপায়? আপাতত উপায় হল সুশিক্ষিত সন্তানদের হাত ধরে এগোনো। এখানেই এসে পড়ছে অভিভাবকদের দায়িত্ব। তাদেরই দেখতে হবে যে বিদ্যালয় তথা সরকার, এমনকি বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থা, যে শিক্ষার আয়োজন করেছে তাতে সুশিক্ষা পাওয়া সম্ভব কিনা।
যদি সংশয় থাকে তবে তা বলতে হবে সংশ্লিষ্ট সব্বাইকে। জানা থাকলে, সংশোধনের পথও বাতলাতে হবে। জানা না থাকলে সবাই মিলে সংশোধনের পথ খুঁজতে হবে। দেখতে হবে যে স্কুল যেন নিছক খিচুড়ি স্কুল (এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, যদিও শিশুদের পুষ্টির জন্য, তাদের জাতপাতের বেড়া ডিঙ্গোনোর জন্য মধ্যাহ্নকালীন আহারের আয়োজন নিঃসন্দেহে এক বড় পদক্ষেপ) না হয়ে ওঠে, বা কারণে-অকারণে শিক্ষা-বহির্ভূত কাজে শিক্ষকদের জুড়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা পাবার মৌলিক অধিকার যেন কেড়ে না নেওয়া হয়। এই নজরদারির কাজটা অভিভাবকদেরই করতে হবে।

নিয়ম মতো ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত সবাই শিশু।  তাদের শিক্ষা ছাড়াও কিছু অধিকার আছে। তাদের শিক্ষা-সহ সব অধিকার সুরক্ষিত হচ্ছে কিনা তা দেখার দায় অবশ্যই শিশু আয়োগের। কিন্তু তারা সে দায়পালনে প্রকৃতই আন্তরিক কিনা তা দেখবে কে? নিশ্চয় সে কাজটাও অভিভাবকদের স্বেচ্ছায় করতে হবে, সুসন্তান গড়তে, শক্তিশালী সমাজ গড়তে। অভিভাবকদের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। তা হল, শিক্ষার্থীদের  প্রশ্ন করায় উৎসাহিত করা।

৪) শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব:

শিক্ষার্থীদের মূল কাজ হল শিক্ষা আহরণ করা। সে কাজে বাধা বিস্তর। প্রথম বাধা তাদের বয়স। এই বয়সে তারা হাসবে, খেলবে এটাই স্বাভাবিক। তাতে বাধা দেয় তার ক্ষুধা, তার পরিবেশ। এই বাধা দূর করতে সবাই তার পাশে থাকলে তবেই তো সে পারবে। পড়াশুনা যেন তার বোঝা না হয়ে ওঠে সেটা দেখা আমাদের কর্তব্য। অনেক অভিভাবক ভাবেন যেন তার সন্তান ভালো চাকরি পায়, যেন প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বা তেমন কিছু হয়। তা হলে তো ভালোই, কিন্তু সন্তান যদি ভালো চিত্রকর বা লেখক হয় তাই বা মন্দ কিসে? তারা যে যা হতে চায়, যে যে পথে এগোতে চায় সেই পথেই তাকে যেতে দেওয়া ভালো, তাই না? নিজের স্বপ্ন সন্তানের মগজে ঢুকিয়ে দিয়ে তার বোঝা বাড়ানো ঠিক নয়। অথচ, সেই কাজটাই হচ্ছে ও হয়ে চলেছে। কেবল স্কুলব্যাগের বোঝা নয়, তাকে বইতে হয় অভিভাবকদের স্বপ্নের বোঝা এবং তার ভার যে অনেক অনেক বেশি।

করোনা তাণ্ডবে স্কুল-কলেজ বন্ধ। তবে কী বন্ধ থাকবে তাদের পড়াশুনা? থাকলে ক্ষতি কী? প্রাক-প্রাথমিক থেকে প্রাথমিক স্তরের প্রথম বছর দুই পড়ানোর চেয়ে ভালো তাদের দেখানো ও শোনানো। তারা দেখুক ভালো চলচ্চিত্র, ছবি, মন্দির-মসজিদ-গির্জা। শুনুক ভালো গান, কবিতা, গল্প। এরই ফাঁকে বা এই পর্বশেষে তাদের শেখানো দরকার অক্ষর ও বর্ণ।

তাদের পড়াশুনা যাতে বন্ধ না হয় একেবারে তার জন্য সরকার এগিয়ে এসেছে, ডিজিটাল মঞ্চ ব্যবহারের আয়োজন  করেছে। অর্থাৎ, শুরু হয়েছে অনলাইন লেখাপড়ার আসর। কিন্তু তাতে কী সমস্যা মিটছে? শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণের ইচ্ছা পূর্ণ হচ্ছে? তারা কি যেমন খুশি প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাচ্ছে? তা তো হচ্ছে না, হওয়া সম্ভব নয়। আর ক্লাসরুমের মজাও তারা পাচ্ছে না। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করার অন্য কিছু সমস্যা আগেই অন্যত্র বলেছি। সেগুলি আর বলছি না। তবে, সে সব ক্লাসের কিছু নমুনা (মাধ্যমিক স্তরের) দেখে মনে হচ্ছে শিক্ষক /শিক্ষিকারা পড়ানোর সময় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন সিলেবাসে আর শেখানোর চেষ্টা করছেন ভালো নম্বর তোলার নানা কৌশল। এতে কি সুশিক্ষার শর্ত লংঘিত হচ্ছে না? এতে কী সুনাগরিক গড়ার কাজটা এগোচ্ছে?  আশা করব, প্রাথমিক, প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ডিজিটাল মঞ্চ ব্যবহারে আমরা সতর্ক থাকব।

এসবই অবশ্য সাময়িক ব্যবস্থা, দুর্যোগ কাটলে আবার শিক্ষার স্বাভাবিক আবহ ফিরবে, তখন যেন আমরা সুশিক্ষার আয়োজন করতে গড়িমসি না করি।

1 comment: