Wednesday, 28 July 2021

ভার্চুয়াল দুনিয়ার বাস্তবতা

এক নতুন ভুবনের দিকে

অনিন্দ্য ভট্টাচার্য

 

একটি তথ্যে (statista.com) দেখা যাচ্ছে, ২০২০ ও ২০২১ এই দু' বছরের জানুয়ারি-মার্চ মাসের তুলনামূলক বিচারে কয়েকটি কর্পোরেট সংস্থা চূড়ান্ত মুনাফা করেছে। আর এই অতি-মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে প্যানডেমিক ও মানুষের গৃহবন্দিত্বের কারণেই। যারা এই মুনাফার শীর্ষবিন্দুতে আছে তারা হল: অ্যাপেল, অ্যালফাবেট, মাইক্রোসফট, ফেসবুক ও অ্যামাজন। উল্লিখিত সময়-ব্যবধানে এদের মধ্যে তিনটি সংস্থার মুনাফা বৃদ্ধির হার: অ্যাপেল (১১০ শতাংশ), অ্যালফাবেট (১৬২ শতাংশ) ও অ্যামাজন (২২০ শতাংশ)। এক বছরে এই অভূতপূর্ব ও অকল্পনীয় মুনাফা বৃদ্ধির হার অতীতে কখনও কোনও বাণিজ্যে বা শিল্পে দেখা যায়নি। বোঝাই যাচ্ছে, এ এক সন্ধিক্ষণের মুহূর্ত। এক বিরল পালাবদলের প্রেক্ষাপট; যা শুধু অর্থনৈতিক বিচারেই ধর্তব্য নয়, এক সুদূর সামাজিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্যেরও ইঙ্গিতবাহী। কারণ, যে সমস্ত সংস্থা এই সুউচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে, তারা কেউই চিরাচরিত ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের বড় বড় কর্পোরেট সংস্থা নয়, বরং কতকটা আনকোরা (যদিও এদের প্রতাপ গত এক দশক ধরে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে) নবতর ডিজিটাল দুনিয়ার এক নতুন আঙ্গিকের শিল্প।

প্রযুক্তির এই যে নবতর আঙ্গিক আজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত রাজনৈতিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনাকে সুগঠিত করছে, সেখানে দস্তুর এই, মহা তথ্যের (বিগ ডাটা) ওপর নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে যে যত ব্যাপক মানুষের ওপর দখলদারি নিতে পারবে সেই এই ভুবনে রাজ করবে। এই দখলদারির অর্থ ব্যক্তি মানুষের মন, মেজাজ ও যাপনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে তাকে নিজ নিয়ন্ত্রণে চালিত করা। অর্থাৎ, বিনিময়ের এমন এক দৃশ্যত সরল-কাঠামো গড়ে তোলা যেখানে প্রযুক্তির দৌলতে অনায়াসে আপনি কর্মী অথবা ক্রেতা অথবা কর্ণধার কিংবা স্বউদ্যোগী এবং আরও যা যা কিছু সম্ভব, সেই সেই রূপে আপনার অর্থনৈতিক ক্রিয়াটিকে সম্পন্ন করতে পারেন। আর আপনার এই অর্থনৈতিক যাপনের মধ্য দিয়েই আপনি সমাজে মূল্য সংযোজন করছেন এবং নিজের মূল্যটুকুও বুঝে নিচ্ছেন (মজুরি অথবা উদ্বৃত্ত)। যেমন, আপনি ঘরে শুয়ে-বসেই আপনার স্মার্ট ফোনে খেলার ছলে আপনার পছন্দের পণ্যটিকে বুক করে দিলেন, যা আপনার বাড়িতে দুই কি তিনদিনের মধ্যে পৌঁছে গেল এবং ডেলিভারি বয় দাম নিয়ে বিদায় নিল। পছন্দ না হলে আপনি সাত দিনের মধ্যে সে পণ্য ফেরত দিয়ে টাকাও পেয়ে যেতে পারেন। অথবা, আপনি অনলাইন মারফতই কোনও কাজে ডাক পেলেন (অথবা আপনার কাজের কোনও চাহিদা তৈরি হল), সে কাজ সেরে আপনার প্রাপ্যটুকু বুঝে নিলেন। নিদেনপক্ষে, ফেসবুকে বিনি পয়সার আপনার অলস বিচরণও কিন্তু আপনার সম্পর্কিত তথ্যগুলিকে তুলে নিয়ে আরেক পক্ষ অন্য কোথাও বেচে দিয়ে কিছু রোজগার সেরে ফেলছে। 

এই যে অভিনব ভার্চুয়াল গতায়াত, তা আপনাকে পণ্যদাসে অথবা নতুন ধরনের মজুরি-দাসত্বে রূপান্তরিত করছে; আর অ্যামাজন, গুগল অথবা ফেসবুক বা অন্য কোনও ডিজিটাল কর্পোরেটকে এক অপরাজেয় বাণিজ্যিক সত্তায় উত্তরণ ঘটাচ্ছে। সারা বিশ্ব জুড়ে এই অভিনব বাণিজ্য প্রক্রিয়া সম্ভব হয়েছে একমাত্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তির মাধ্যমেই। তার যে অপরিসীম গণনা ক্ষমতা, বিস্তৃত বাণিজ্যিক বিশ্লেষণ-ধী ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা এবং সকলের কাছে সমান ভাবে পৌঁছে যাওয়ার কারুকৌশল- তা এই ধরনের বাণিজ্যিক বা শিল্প সংস্থাকে স্বভাবতই এক প্রখর ও দুরন্ত অভিমুখ দিয়েছে।

কিন্তু শুধু এটুকু বললেই নটে গাছটি মুড়োয় না। এই প্রক্রিয়ার অন্দরে এক বিপুল কেন্দ্রীভবনের গল্পও সুপ্ত রয়েছে। অর্থাৎ, এমন এক কেন্দ্রীভবন যা একক আধিপত্যের বিস্তারকে নিশ্চিত করে, যে কেন্দ্রীভবনের জোরে একচেটিয়া মালকিন হয়ে বসার ষোলকলা পূর্ণ হয়। একদিকে ঘরে বসে শপিং করার বাসনা (চাহিদার দিক) আর অন্যদিকে খদ্দেরের দুয়ারে সে চাহিদা মাফিক পণ্য নিমেষে পৌঁছে দেওয়া (জোগানের দিক)- এ শুধুমাত্র সম্ভব এক অতি দক্ষতা সম্পন্ন স্বয়ংক্রিয় শক্তিশালী যন্ত্রব্যবস্থা এবং তদ্ভুত এক তুমুল কেন্দ্রীভূত কারুকৌশলগত ব্যবস্থাপনা দ্বারা। এছাড়াও সমস্ত মানুষকে তাদের হাঁড়ির খবর সহ এক সুতোয় বেঁধে ফেলা এবং তৎপ্রসূত প্রতিটি মানব অস্তিত্বকে বাণিজ্যের জালে জড়িয়ে ফেলে কোনও না কোনও অর্থনৈতিক লেনদেনে যুক্ত করে ফেলা- এও সম্ভব ছিল না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দুরন্ত আন্তর্জাল ছাড়া। 

বাকী যা কিছু স্বাধীন অর্থনৈতিক ক্রিয়াকাণ্ড আছে এখনও, যেমন কৃষিকাজ, ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের উৎপাদন বা অন্যান্য চিরায়ত উৎপাদন-প্রক্রিয়া- সব কিছুকেই কোনও না কোনওভাবে বাধ্যত জুড়ে যেতে হবে এই ডিজিটাল কেন্দ্রীভবনে সঙ্গে। যদি কৃষকেরা এবং ছোট ছোট উদ্যোগপতিরা নিজেদের অধিকার ও অর্থনৈতিক স্বাতন্ত্র্যকে ধরেও রাখতে পারেন, তবুও বাণিজ্যের বড় পরিসরকে ধরতে হলে এইসব ডিজিটাল কর্পোরেটদের প্রযুক্তি-বিন্যাসে তাদের এসে পড়তে হবে। আসছেও। এইভাবে আসলে নির্মিত হচ্ছে এক নতুন রাজনৈতিক ভুবন। যে ভুবনে এতদিনকার সাবেকি ভূ-রাজনৈতিক-সামরিক অবয়বটিকে প্রতিস্থাপন করছে ভার্চুয়াল-প্রযুক্তিবদ্ধ-তথ্যসম্ভার নির্দিষ্ট এক অপার দুনিয়া। রাজনৈতিক-অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে কতিপয় ভার্চুয়াল কর্পোরেটদের হাতে যাদের নিয়ন্ত্রিত পরিসরে জীবনযাপনের সমস্ত উপাদানগুলি আবর্তিত হবে।

শুনতে কিছুটা অবিশ্বাস্য বা বিস্ময়কর হলেও, এই হল পরিবর্তিত দুনিয়ার কঠিন বাস্তবতা। এই মুহূর্তে (জানুয়ারি ২০২১) আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬২.৪ কোটি; ২০২০ থেকে ২০২১'এ এ দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪.৭ কোটি। অন্য একটি তথ্য (statista.com) আবার বলছে, ২০২১ সালে আমাদের দেশের ১৩৭ কোটি জনগণের অর্ধেকই ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। কারণ, বহু পরিবারে দেখা যায়, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী একজন হলেও তাঁর সাহায্যে অন্যেরাও ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ব্যবহারকারীর এই সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক। অর্থাৎ, তথ্য প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরে যদি এত সংখ্যক মানুষ পৌঁছে গিয়ে থাকেন, তাহলে খুব স্বাভাবিক যে তাঁরা তার কারুকৌশল ও ফাংশানালিটির আওতাভুক্ত হয়ে যাচ্ছেন। কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়াই হোক অথবা কৃষকবন্ধু প্রকল্পের অনুদান কিংবা স্টুডেন্ট লোন পাওয়া- সবেতেই ইন্টারনেটের সাহায্য জরুরি। এমনটা করুণার চোখে দেখার কোনও কারণ নেই যে নিরক্ষর অথবা তথাকথিত অশিক্ষিত মানুষেরা কীভাবে এইসব কাজ সম্পন্ন করবেন। অনেকের স্মরণে থাকবে, দু-তিন দশক আগেও শহরের গরিব-নিরক্ষর মজুরেরা তাঁদের অর্জিত মজুরির একটা অংশ মানি-অর্ডার করে দেশের বাড়িতে পাঠাতেন, আর সেই মানি-অর্ডারের ফর্ম সামান্য কিছু পয়সার বিনিময়ে ভরে দিতেন পোস্টাপিসে বসে থাকা কিছু বেকার যুবক। এখনও যারা পারছেন না ইন্টারনেটের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে (বাড়িতেও হয়তো তেমন ইন্টারনেট-দক্ষ কেউ নেই), সামান্য পয়সার বিনিময়ে সে কাজগুলি হয়তো অন্য কেউ উতরে দিচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবতা হল, ইন্টারনেটের দুনিয়া থেকে আপনার মুক্তি নেই।

এই যখন পরিস্থিতি, তখন খুবই স্বাভাবিক যে ইন্টারনেটের অভ্যন্তরে তথ্যের যে দুনিয়া, তার যে কারবার ও বিনিময়, বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলিকে সমন্বয় করে যে প্রযুক্তিগত কৌশল- তার ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে শুধু সেই কর্পোরেট দুনিয়ারই। সেখানে বাইরে থেকে কোনও রাষ্ট্র বা অন্য কোনও সংস্থা কারিগরি অক্ষমতার কারণেই কোনও প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বরং, এইসব প্রযুক্তিদক্ষ কর্পোরেটদের ওপর নিজেদের নানান কাজে রাষ্ট্রকেই প্রায় সর্বাংশে নির্ভর করতে হয়। অতএব, এই দুনিয়ার যা কিছু কার্যকলাপ তাকে বাইরে থেকে প্রত্যক্ষ করার কোনও উপায় নেই। যেমন, সীমান্তে প্রতিবেশী দেশের সৈন্য মোতায়েন অথবা ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পে কর্মপদ্ধতির হাল সরেজমিনে দেখা কিংবা কোথাও বেআইনি ভাবে খাদ্যশস্য বা পণ্য মজুতদারি ঘটলে, রাষ্ট্র চাইলে নজরদারি বা রেইড করতে পারে, তেমন ভাবে ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ার অভ্যন্তর কী চলেছে তা জানার কোনও প্রত্যক্ষ পদ্ধতি কিন্তু কোনও রাষ্ট্রের নেই। সে অর্থে ভার্চুয়াল কর্পোরেটরা রাষ্ট্রের তুল্য শক্তিধর। তারা তাই আগামী দিনে নতুন ধরনের গ্লোবাল রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পথে। আর সে কারণেই দেশে দেশে এইসব ভার্চুয়াল কর্পোরেটদের সঙ্গে সাবেকি রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব ও সংঘাত ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। এ দেশেও ট্যুইটার ও হোয়াটসআপ'এর সঙ্গে ভারত সরকারের সংঘাত  আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

যেমন ধরা যাক, 'পেগাসাস' স্পাইওয়্যারের কথা যা নিয়ে সারা বিশ্ব আজ তোলপাড়। ক্ষমতাশীল রাষ্ট্রনেতারা একে ব্যবহার করছেন তাঁদের রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই ধরনের প্রযুক্তি এমন শক্তিধর ও দুর্ভেদ্য যে তা স্বাধীন ভাবে কোনও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বাণিজ্যিক কারণেও ব্যবহৃত হতে পারে। কোনও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনাকে ঘেঁটে দিয়ে তা বাণিজ্য জগতে আধিপত্য বিস্তারে কোনও কর্পোরেট সংস্থা দ্বারা ব্যবহৃত হতে পারে (হয়তো হচ্ছেও)। যে কারণে, চীনের ৫জি প্রযুক্তিকে আমেরিকার রাষ্ট্রনেতারা নিদারুণ ভয় পাচ্ছেন এই কারণে যে তা সে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের দখল নিয়ে নিতে পারে। অর্থাৎ, দখলদারির খেলাটা বন্দুক আর গোলাগুলির হাত থেকে চলে গেছে প্রযুক্তির দক্ষতা ও অসীম ক্ষমতার হাতে। এই ক্রম-উত্থিত রাজনৈতিক-অর্থনীতিগত ব্যবস্থাই আগামী দিনের নতুন দুনিয়া।

ফলে, ভবিষ্যতে শ্রমজীবী মানুষ কোনও একটি দেশ বা চিরায়ত রাষ্ট্রের অধীনে আর থাকবে না। তারা হয়ে উঠবে বৈশ্বিক এবং নিয়ন্ত্রিত হবে ক্রম উদীয়মান এক সাধারণ বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা দ্বারা। যে ভাবে গুগল, ফেসবুক, হোয়াটসআপ, অ্যামাজন প্রভৃতিরা গোটা বিশ্বের দখল নিয়ে 'একক' এক রাষ্ট্রীয়-সত্তার মতো হয়ে উঠেছে, যে ভাবে 'পেগাসাস' আজ কয়েকটি দেশে (ভারত সহ) দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, যে ভাবে কোভিড-১৯ আজ বিশ্ব-ভাইরাস হয়ে উঠেছে, সে ভাবেই সমস্ত পণ্য (শ্রমশক্তি সহ) ক্রমেই আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল-চরিত্রের হয়ে উঠবে। আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সৈন্য প্রত্যাহার আজ যেমন বাস্তব, ঠিক একই ভাবে বিশ্ব থেকে যুদ্ধ-বিগ্রহ বিদায় নেবে (কিছু ব্যতিক্রম কিছু অঞ্চলে থেকে যেতে পারে), কিন্তু প্রযুক্তির দ্বন্দ্বমুখর কোলাহলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বলয়ে এক নতুন সংঘাত ও রণনীতি নির্মিত হবে। শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে ভার্চুয়াল দুনিয়ার কর্পোরেটদের নতুন দ্বন্দ্ব দেখা দেবে- সেই আমাদের ভবিষ্যৎ।

 

6 comments:

  1. খুব গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ

    ReplyDelete
  2. সময় এসেছে প্রথাগত চিন্তা ভাবনার বিপরীতে সম্পুর্ন নতুন পথে চিন্তার, অনিন্দ্যবাবুর এই লেখাটি সেই পথের অগ্রণী দিশারী হয়ে রইল।

    ReplyDelete
  3. চাঁদ সওদাগর ফিরে এসেছেন প্ল্যাটফর্ম পুঁজির আকারে।

    ReplyDelete
  4. গভীর ভাবনার বিষয়! বাহ্!!

    ReplyDelete
  5. বেশ তো ভালই তো।মন্দ কি! দুয়ারে আমাজন।সত্যিকারের আমাজনে তো কোনদিন পৌঁছতে পারবোনা।আমাজন আসুক দোরগোড়ায়।আর গিগ অর্থনীতি র কল্যাণে শ্রমিক শ্রেণীর দ্রুত অবলুপ্তি ঘটবে।তাই ভার্চুয়াল দুনিয়ার মালিকদের সাথে শ্রমিক শ্রেণীর দ্বন্দ্ব সোনার পাথরের বাটি হয়েই থাকবে

    ReplyDelete
  6. অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক লেখা👍

    ReplyDelete