মেয়েরা যখন রাতের রাস্তা দখলের ডাক দিল
মহাশ্বেতা সমাজদার
জীবনের এক অভূতপূর্ব সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। এমন পবিত্র জাগরণ কে কবে দেখেছে? নিশুতি রাতের দখল নিতে পথে নেমেছেন (১৪ অগস্ট ২০২৪) সব বয়সের নারী। তাদের পাশে পাশেই হাতে রামধনু পতাকা নিয়ে হেঁটে আসছেন প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষেরা। অল্প দূরেই আছেন পুরুষরা, যাঁরা মানেন, নারীর যথার্থ স্বাধীনতা এখনও সুদূরপরাহত। এমনকী সে রাতে পুরো ঘরবন্দি ছিলেন না তাঁরাও, যাঁদের বিরুদ্ধেও এই স্বাধীনতার লড়াই। তাঁরাও ঘরের মা-বোনেদের একা রাতে ছাড়তে না পেরে পিছু পিছু এসে জুটে গেছেন বিপুল জনস্রোতে। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, শোকের ক্রোধের দ্রোহের সে এক বিপুল জনপ্লাবন।
শুরুটা সবার জানা। আরজিকরের ডাক্তার-ছাত্রীর নৃশংস ধর্ষণ-মৃত্যুর খবরে, নিজেরই কর্মক্ষেত্রে মৃতার শেষ মুহূর্তের অসহায়তাটি স্পর্শ করেছিল সকলকেই। এক সর্বব্যাপী শোকের মধ্যেই সবাই নিজের নিজের মতো করে বুঝে নিচ্ছিলেন সবটুকু। কারও বুকে কাঁপন ধরেছিল নিজের সন্তানের মুখটি মনে পড়ে, কারও চোয়াল শক্ত হয়ে উঠেছিল একটি জীবন ও তার স্বপ্নের এমন নিষ্ঠুর ভয়াবহ পরিণতিতে।কারও কাছে অপমানের বেদনাটি বড় চেনা লেগেছিল।
ঘটনার অব্যবহিত পরেই শোনা গেল হাসপাতালের অধ্যক্ষের উক্তি: 'ও ওখানে কী করছিল?' অর্থাৎ, প্রতিষ্ঠানের সব ভালোমন্দের দায়িত্ব যার স্কন্ধে, তিনি অবলীলায় মৃত্যু ও ধর্ষণের যাবতীয় দায়িত্ব তুলে দিলেন মৃতা-নির্যাতিতা-ধর্ষিতা ছাত্রীর উপর। জুনিয়র ডাক্তাররা অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও ঘটনার ন্যায্য বিচার চেয়ে আন্দোলন শুরু করে দিলেন। আর অধ্যক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীন উক্তি এক অদৃষ্টপূর্ব মেঘ ঘনিয়ে আনল এ রাজ্যের আকাশে। অগ্নিতে ঘৃতাহুতি পড়ল অধ্যক্ষের পদত্যাগের চার ঘন্টার মধ্যেই অন্য একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে তাঁকে নিযুক্ত হতে দেখে।
তাই মেয়েরা যখন রাতের রাস্তা দখলের ডাক দিল, তখন সে ডাকে সাড়া পড়ে গেল ঘরে ঘরে। সে ডাকেই গলা মেলালেন ট্রান্স ক্যুইয়ার মানুষেরাও। সে ডাক শহর কলকাতাকে ছাপিয়ে ভেসে গেল সারা রাজ্যের শহর শহরতলি মফস্সল গ্রামে-গ্রামান্তরে। ছাড়িয়ে গেল রাজ্য আর দেশের সীমানাও। বিদেশেরও নানা জায়গা থেকে শোনা গেল 'জাস্টিস ফর আরজিকর'।
দিকে দিকে গড়ে উঠতে লাগল মানববন্ধন। প্রতিদিন মিছিলে শ্লোগানে প্রতিবাদে শহরের আকাশে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'। জাস্টিস ফর আরজিকর। জুনিয়র ডাক্তাররা ন্যায়ের দাবিতে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন তার সমান্তরালে আন্দোলন গড়ে উঠল নাগরিক সমাজেও। কোথাও সঙ্গীতশিল্পীরা, কোথাও বাচিকশিল্পীরা, কোথাও সিনিয়র ডাক্তাররা, অভিনয় ও কলাকুশলীরা, কবি লেখকরা, বেসরকারি হাসপাতালের সবাই, শহরের আবাসনে আবাসনে, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রাক্তনীরা, অনলাইন অ্যাপ ডেলিভারি কর্মীরা, যে যেখানে ছিল পা মেলাল, গলা মেলাল মিছিলে, শ্লোগানে। কলকাতার খেলার মাঠের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান যখন পরস্পরের চিরবৈরিতা ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আওয়াজ তুলল, আমাদের বোনের বিচার চাই, আর তাদের পাশেই এসে দাঁড়াল মহামেডান স্পোর্টিংও, সেদিন শহর সবিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করল এক অভূতপূর্ব দ্রোহ।
ইতিমধ্যে, কলকাতা পুলিসের থেকে তদন্তের ভার গেছে সিবিআই'এর কাছে। ঘটনার স্বতঃস্ফূর্ত শুনানি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
জুনিয়র ডাক্তাররা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে যেতে চাইলে মাঝরাস্তায় পুলিশ তাদের ব্যারিকেড করে থামিয়ে দেয়। তাঁরা সেখানেই বসে পড়েন ও তাঁদের দাবিতে অনড় থাকেন। সারা শহর ঝাঁপিয়ে পড়ে হবু ডাক্তারদের দেখভালে। খুলে যায় ইতিউতি দোকান প্রেস বাড়ির বাথরুমগুলি। ইতিমধ্যে কেউ এসে চলমান শৌচালয় বসিয়ে দিয়ে গেছে। জুনিয়ররা সারা রাত অপেক্ষা করে আছে একটি সুসজ্জিত শিরদাঁড়া নিয়ে। পুলিশ কমিশনারের তো সেটারই বড় অভাব। ইতিমধ্যে রাত পেরিয়ে ভোর হয়। চা-বিস্কুট স্যান্ডউইচ পৌঁছে যায় আন্দোলনকারীদের কাছে। রোদ ওঠে, গরম বাড়ে । শহর এসে ত্রিপল টাঙিয়ে দেয়। ছায়া আসে। শহর বলে ওদের অভুক্ত তৃষ্ণার্ত থাকতে দেব না। চলে আসে গ্লুকন-ডি জল দুপুরের খাবার। সারা শহর উদ্গ্রীব হয়ে জানতে চায়, আর কিছু কি লাগবে ওদের ?
শহর কলকাতার বুকের ভিতরে যে প্রাণের ধুকপুকুনিটুকু থেমে যায়নি, তা দেখে ভরসা জাগে। বুকের ভিতর কান্না চেপে আন্দোলন কঠিন হয়ে ওঠে। এদিকের এদের অনড়তায় ওদিকের ওদের কাঁপন বাড়ে। খবর আসে ব্যারিকেড খোলা হবে। ২২ ঘন্টা অপেক্ষার পর ২২ জন জুনিয়র ডাক্তার ঢুকলেন লালবাজার। পুলিস কমিশনারকে একটি গোলাপ ফুল সজ্জিত মেরুদণ্ড উপহার দিয়ে তাঁরই ইস্তফা বিষয়ক স্মারকলিপি তাঁরই হাতে জমা দিয়ে তাঁরা আবার ফিরে গেলেন তাঁদের আন্দোলনের মঞ্চে।
রাত দখলের মেয়ে-ট্রান্স-ক্যুইয়াররা ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় আর শহর কলকাতায় একের পর এক মিছিল করেছে। মানববন্ধন গড়েছে। রাস্তার ধারের গৃহস্থরা সেই মিছিলকে দু' হাত তুলে সমর্থন জানিয়েছেন, শ্লোগানে গলা মিলিয়েছেন। মিছিলে আটকে পড়া ট্রাম থেকে যাত্রীরা নেমে এসেছেন মিছিলে। কবিতা গানে নাটকে পথচিত্রে স্লোগানে, পোস্টারে ভরে উঠেছে শহরের রাস্তা।
এ যেন সেই সারা শহর উথালপাথাল ভীষণ রাগে যুদ্ধ চলছে।
প্রতি মুহূর্তের জীবনযাপনের মধ্যেও ভোলা যাচ্ছে না সেই মেয়ের কথা, সম্ভবত যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছে। সম্ভবত তাকে এমনভাবে যন্ত্রণা নিয়ে চলে যেতে হয়েছে, সম্ভবত এমন ভাবে তার মৃতদেহকে ফেলে রাখা হয়েছে, যাতে তা ভয়ের সৃষ্টি করে তাদের বুকে, যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কথা মনে মনেও ভেবেছে কখনও, বা ভবিষ্যতে ভাবতেও পারে।
এর সঙ্গে ক্ষোভ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, যখন জানা যাচ্ছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঠিক কেমন ব্যবহার করেছিল তাঁর মা-বাবার সঙ্গে। কী ভাবে মেয়ের মৃত্যুসংবাদ দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। মেয়ের মৃতদেহ কীভাবে তড়িঘড়ি দাহ করা হয়। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও'য় দেখা গেছে নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে প্রভাবশালী কর্তাব্যক্তিরা মৃতদেহের কাছে ভিড় করে আছেন। প্রমাণ লোপাটের বিবিধ ব্যবস্থা সাধারণ মানুষ সাধারণ বুদ্ধিতেই বুঝতে পারছেন। এমনকী সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই এ কথা স্বীকারও করেছে, যে যথাযথ সংরক্ষিত হয়নি তথ্যপ্রমাণ।
এ যেন সেই মৃত্যু যা জাগিয়ে দিয়ে গেল গোটা সমাজকে। এ জাগরণ এমনই যে অন্যায়ের মূল পর্যন্ত না উপড়ে এ যেন থামবে না। যেহেতু মানুষের ক্রোধের লক্ষ্য রাজ্যের সরকার, তাই সেই রাগের আগুনকে নিজের কাজে লাগাতে যথাসাধ্য তৎপর হয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কিন্তু আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা এবং রাত দখলের মেয়ে ট্রান্স ক্যুইয়াররা সমাজকে পলে পলে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, নারীর প্রতি অনাচার অত্যাচারে বিজেপির স্থান দেশে এক নম্বরে। বিলকিস বানো, উন্নাও, কাঠুয়া, হাথরাস, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিজেপি ধর্ষকের সমর্থক। তাই এই দ্রোহকালে বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া যাবে না।
মানুষ রাগে ক্ষোভে ফুঁসতে ফুঁসতে অন্যায়ের শেষ দেখার অপেক্ষা করছে। চারের রাতের পথের দখলের পোস্টারে লেখা হল, বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, রাত জাগছে সেই জনতা। চারের বিকেলে যখন ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে সন্ধের মানব বন্ধনের স্থানের তালিকা, জানা যাচ্ছে আরজিকরের প্রাক্তনীরাও রাত এগারোটা থেকে শহরের কোনও কোনও স্থানে রাত দখল করবেন, তখনই খবর পাওয়া গেল, ৫ সেপ্টে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি স্থগিত। কিন্তু এক মুহূর্তও আন্দোলনের গতিতে কোনও বিরাম এল না। শুধু বোঝা গেল লড়াই আরও দীর্ঘ হবে, কিন্তু অন্যায়ের শেষ না দেখে এ লড়াই থামবে না।
চারের রাতে রাজ্য জুড়ে শত শত মানব বন্ধন আর রাত দখল থেকে আওয়াজ উঠল, বিচার যত পিছোবে, মিছিল তত এগোবে। এই সর্বব্যাপী আন্দোলনের অমোঘ বার্তা, মানুষ আর ভয় পাচ্ছে না। যে মানুষ দুদিন আগেও নিজের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আন্দোলনে পা মেলায়নি, একটি মৃত্যু তার চোখের সামনে থেকে ভয়ের পর্দাটা যেন একটানে নামিয়ে দিয়েছে। আর এটাই হৃৎকম্প সৃষ্টি করছে শাসকের বুকে। তাই ইতস্তত চলছে আন্দোলনে অংশ নেওয়া মেয়েদের ভয় দেখানো। থেমে নেই পুলিশি জুলুম।
কিন্তু যারা একবার পথে নেমে পড়ার সাহস পেয়েছে, নিজেদের অধিকার অর্জনের লড়াইয়ে সামিল হয়েছে, তারা শুধু আরজিকরের ঘটনার অপরাধীর শাস্তি দেখেই শান্ত হবে না। তারা মূল সুদ্ধ উপড়ে ফেলতে নেমেছে এই গোটা দুষ্টচক্রটিকেই। তারা পালটে দিতে নেমেছে মেয়ে ট্রান্স ক্যুইয়ারদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিটিকেও। তারা আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে এসে দাঁড়িয়েছে। তাদের ভুলিয়ে ভালিয়ে আর ঘরে ঢোকানো যাবে না।
সময়ের সংক্ষিপ্ত দলিল। ভালো লিখেছো।
ReplyDeleteখুব ভাল লেখা
ReplyDeleteঅপূর্ব বলবো না। কারণ এমন প্রশংসা শোনার মন নেই এখন। সংক্ষিপ্ত সব কিছু ছুঁয়ে যাওয়া পাণ্ডুলিপি না এই দ্রোহের ও রাষ্ট্রের শোকের দলিল।
ReplyDeleteআরও একবার কাঁদলাম। অসাধারণ লেখা।
ReplyDeleteএই উপলব্ধি আমাদের আশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।
ReplyDeleteখুব ভালো লেখা। যথার্থ! এরকম স্বতঃস্ফূর্ত, সামগ্রিক জনজাগরণ আগে দেখিনি। হয়তো বঙ্গভঙ্গ বা এমন ধরনের কোনও ইস্যুতে এরকম সর্বাত্মক আন্দোলন হয়েছিল। জানি না।
ReplyDeleteযাঁরা বলছেন দুর্নীতির তদন্তে ওই নৃশংস ধর্ষণ-খুনের তদন্ত পিছনে চলে যাচ্ছে, তাঁরা ঘোলা জল আরও ঘুলিয়ে দিতে চাইছেন। এই দুই ঘটনা সম্পৃক্ত। ওই ভয়াবহ ধর্ষণ কোনও নরাধমের হঠাৎ জেগে ওঠা বিকৃত কামনার ফল নয়। বরং, দুর্নীতির প্রতিবাদ রুখতেই ওই ভয়াবহ দৃষ্টান্ত স্থাপনের চেষ্টা বলে মনে হয়, যাতে ভবিষ্যতে কেউ— নারী-পুরুষ নির্বিশেষে— মুখ খুলতে সাহস না করে। যেভাবে ১৫ই আগস্টের প্যারেড প্রস্তুতির উদ্ভট অজুহাতে, হয়তো ব্যাকডেটে, অন্য মেডিক্যাল কলেজের জনাকয়েক জুনিয়র বা পিজিটিকে ওই রাতে বা ভোরে ওখানে থাকার অ্যালিবাই তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, সন্দেহ না হওয়াই স্বাভাবিক। সবকিছুই সন্দেহজনক, স্বাভাবিক রিঅ্যাকশন বা পদক্ষেপ কিছুই দেখিনি। একের পর এক কাঁচা ভুল, প্রশাসনের নী-জার্ক রিঅ্যাকশন, অস্বচ্ছতা, কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা।
সর্বত্র অযোগ্যদের ভিড়। অভীক-বিরূপাক্ষ মেডিক্যাল কাউন্সিলেরও এথিক্যাল কমিটির কেষ্টবিষ্টু, যাদের নিজেদেরই এথিক্স বোধের পিতামাতা নেই (সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের 'শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি'-র চেয়ারম্যান না কী ছিলেন, সেরকম)। রাজ্যে কয়েকশো বা হাজার পিজিটি/ সিনিয়র রেসিডেন্টের মধ্যে এই কয়েকটি মুখই সর্বত্র কেন?
বিজেপির কথা কম বলাই ভালো। কোনও রাজনৈতিক দল নয়, বরং নাগরিক সমাজ এককাট্টা হলে তবেই পরিবর্তন ও সার্বিক স্বৈরাচারের অবসান সম্ভব। তা না হলে, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই রাজ্যে ইতিবাচক কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। কিন্তু, নেতৃত্ববিহীন আন্দোলন কতদিন সাসটেইন করবে, সেটাই চিন্তার। দমনপীড়ন শুরু হয়ে গেছে। এই তদন্ত ও বিচারের ফল অচিরে পাওয়া যাবে না, অন্তত বছর ঘুরবে। আমাদের আইনের মারপ্যাঁচ আর দীর্ঘসূত্রিতার ঐতিহ্য মনে রেখেই বলছি। ততদিন চোয়াল চেপে থাকতে পারব তো? ভুলব না তো?
নাড়া দেওয়া লেখা। 🙏
ReplyDelete