সমাজ মাধ্যমের গোলকধাঁধায়
অনিন্দ্য ভট্টাচার্য
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে ‘The Social Dilemma’ বলে একটি দেড় ঘন্টার তথ্যচিত্র প্রভূত সাড়া ফেলেছে। বহুদিন পর এত লম্বা কোনও তথ্যচিত্র হামলে পড়ে বিশ্ব জুড়ে নানান ধরনের মানুষ দেখেছে। টান টান হয়ে দেখার মতো এ ছবি, যেখানে অদৃশ্য এক কঠিন নাগপাশে বাঁধা পড়ে যাওয়া মানুষ দেখছে তার বন্দীত্বের সকরুণ অসহায়তা ও চরম বিপন্নতা। দৈত্যপুরীর মায়ালোকে রূপ-মোহের গন্ধে পথ হারানো মানুষ যেন অবলোকন করছে তার তলিয়ে যাওয়া, হারিয়ে যাওয়ার নেশাতুর দৃশ্যান্তর। যেখানে সে এক পণ্যমাত্র, যাকে উপস্থিত ও কাটাছেঁড়া করে গড়ে উঠছে এক অপার মুনাফা-লোভী, স্বার্থগন্ধী ভার্চুয়াল-সাম্রাজ্য। হ্যাঁ, সোশ্যাল মিডিয়া বা ‘সমাজ মাধ্যম’ নিয়ে এই তথ্যচিত্রটি উন্মোচন করেছে আমার-আপনার বিলীন হয়ে যাওয়ার সেই গল্পগাথা। তা কেমন, বুঝতে, জানতে তথ্যচিত্রটি দেখে নিতে হবে। আর এ নিয়ে আমিও নানা ভাবে, নানা স্থানে বলে বা লিখে চলেছি। তাই এ ছবি দেখে মনটাও অস্থির হল এই ভেবে যে, আরও অনেকে এ বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন এবং আজকের সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ‘সমাজ মাধ্যম’এর খেলাঘর যে আধুনিক রাজনৈতিক-অর্থনীতির অন্যতম কাণ্ডারী তা আরও বহুজনের কাছে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।
বলাই বাহুল্য, ‘সমাজ মাধ্যম’এর সঙ্গে ব্যক্তি মানুষের এই উন্মত্ত যোগাযোগ আজ এক অভাবিত মাত্রায় পৌঁছে গেছে। এক নতুন ভুবন নির্মাণের দিকে তার দ্রুত এগিয়ে চলা। তাই, এই সংযোগের ব্যাপ্তিকে আগে সম্যক ভাবে বোঝা দরকার। মানুষের কী বিপুল সময় এই ‘সমাজ মাধ্যম’এ ব্যয়িত হয় তা এক ঝলক দেখে নেওয়া যাক। সম্প্রতি একটি তথ্যে দেখা যাচ্ছে, প্রতি মিনিটে ‘সমাজ মাধ্যম’এর বিবিধ পরিসরে মানুষ কত সময় ব্যয় করে। যেমন,
প্রতি মিনিটে,
৪৪.৯৭ লক্ষের বেশি গুগল সার্চ হয়ে চলেছে;
৪৫ লক্ষেরও বেশি ইউটিউব ভিডিও দেখা হয়;
৫ লক্ষের ওপর ট্যুইট হয়;
১৮ কোটির ওপর ইমেল পাঠানো হয়;
৬.৯৪ লক্ষ ভিডিও স্ট্রিমিং হয় নেটফ্লিক্সে;
৩.৯ লক্ষ অ্যাপস ডাউনলোড হয়
এবং আরও বহু কিছু।
বোঝাই যাচ্ছে, এমন এক অসীমলোকের নাগাল পাওয়া কি চাট্টিখানি কথা! আর একে উপেক্ষা করে পুরনো রাজনীতি-অর্থনীতির কথা আওড়ে চলে কোন সাবেকি জনে? তারা দক্ষিণ বা বাম, যে কোনও ধারাপাতেরই হোক না কেন, রাজনৈতিক-অর্থনীতির নতুন পাঠ না হলে লবডঙ্কা! কোভিড পরিস্থিতি এই ভার্চুয়াল ব্রহ্মাণ্ডকে আরও বৃহৎ ও অবশ্যম্ভাবী করেছে। ‘ভূলোক ছেদিয়া’ এই সর্বগ্রাসী উত্থান ঘিরে ফেলেছে মানবজাতি ও তার সমগ্র কর্মকাণ্ডকে। এই অসীম সাগর মানুষকে আড়াল দিয়েছে, তার নিজের মায়ালোক গড়ে তোলারও অবকাশ দিয়েছে, কিন্তু বিনিময়ে আদায় করে নিয়েছে তার সমগ্র অস্তিত্বের বয়ান। তাই মানুষও এই মায়াজগতে জড়িয়ে পড়ে নিজের সর্বস্ব উজাড় করেছে। সে অর্থে নিজেকেও চিনেছে। বলা ভালো, ‘সমাজ মাধ্যম’কে নিজের সখা ভেবে মনের আপন কথাগুলোকে উন্মুক্ত করে আরাম পেতে চেয়েছে। আর সেভাবেই এক নতুন আত্মঘাতী ও একই সঙ্গে পরঘাতী সত্তায় তার আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।
একজন বাস্তব মানুষ, চারপাশে যখন হাঁটছে, কথা বলছে, মিশছে, মতামত জানাচ্ছে, তখন সে একরকম; আবার সেই মানুষটিই যখন ভার্চুয়াল দুনিয়ায় পরিব্যাপ্ত তখন সে অন্য কোনও জন। যেমন, হঠাৎ করে কেউ যখন নিজের অতি পরিচিত পরিসর ছেড়ে পাড়ি দেয় কোনও অজানা, অস্থায়ী, মুক্ত ভূমিতে। সে যা নয়, অথবা সে যা হতে চায়, কিংবা সে যা প্রত্যক্ষ করে চারপাশে- সেইসব অভিঘাতে তার যাপনের মোড় ঘুরতে থাকে এক অনালোকিত, অনাস্বাদিত দিকচক্রবালে। এক বাস্তব, শরীরী মানুষের বিপ্রতীপে তার ছায়া দিয়ে গড়া যে ভার্চুয়াল মানুষ জন্ম নেয়, তার আবার নতুন করে বেড়ে ওঠা থাকে, নতুন অবয়ব ও বিশ্বাসে সে ধরা দিতে চায়, অথবা বলা যাক, তার অকথিত বিশ্বাস ও বাচন নিয়ে, তার কিছুটা গোপন ‘অপর’কে নিয়ে সে আরেক মানুষের পরিচয়ে উদ্ভাসিত হতে চায়। আর যে স্বভাব-লাজুক, তার তো বাঁধন ছেঁড়ার আকুলতা আরও প্রবল। এইভাবে আসলে দেখা যায়, তার দুটি সত্তা, সে একই সময়ে দুটি চৈতন্যলোকে বিরাজ করে।
এই বিভাজন সমাজকে তীব্র দ্বন্দ্বে আড়াআড়ি ভাবে দু-টুকরো করে দিচ্ছে। শরীরী মানুষটি ক্রমান্বয়ে আরও প্রান্তিক ও কোণঠাসা হয়ে তার নিজের ভার্চুয়াল সত্তার কাছে বিকিয়ে যাচ্ছে। অথবা এইভাবেও বলা যায়, সামাজিক, সংশয়াদীর্ণ ও অপ্রকট মানুষটি ক্রমেই তার ভার্চুয়াল সত্তায় হয়ে উঠছে অহংসম্পন্ন, কতকটা আক্রমণমুখি ও প্রায় পূর্ণ প্রকটিত এক নতুন মানুষ, যেখানে তার হাতের আঙ্গুলের সামান্য কারসাজিতে ওলটপালট হয়ে যেতে পারে তার জানা যাবতীয় পরিসর ও পরিজন। এ যেন এক যুদ্ধ যুদ্ধ আয়োজন, যেখানে ‘মারি অরি পারি যে কৌশলে’ হল নিতান্তই আঙ্গুলের এক মামুলি খেলামাত্র। ‘সমাজ মাধ্যম’ না এলে আমরা এক-মানুষের এই দ্বিতীয় পরিচয়টি সেভাবে জানতেই পারতাম না। কখনও কখনও কবি-লেখকেরা সে মানুষের দ্বিতীয় কি তৃতীয় সত্তা খুঁজে পেয়েছেন, সে অন্য কথা। কিন্তু একজন ব্যক্তি নিজেকেই দেখতে পাচ্ছেন আরেক রূপে, সে কম্মটি ‘সমাজ মাধ্যম’ না এলে হয়তো অধরাই থেকে যেত।
এখন প্রশ্ন হল, এই নব-নির্মিত মানুষটি কে? সে কি তার নিজেরই অন্তঃসত্তা, নাকি সমাজ-অর্থনীতি নির্মিত এক সামাজিক-অর্থনৈতিক মানুষ? ঠিক যেমনটি চাওয়া হচ্ছে। কে চাইছে? যে এই গোটা কর্মকাণ্ডটিকে নিপুণ প্রকৌশলে চালনা করছে: এক অপরিমেয় প্রাযুক্তিক-পুঁজিবাদী ব্যবস্থা, গোড়া থেকেই যে যন্ত্র-নির্ভরশীল ও যন্ত্রের ক্রমউন্নত মন্ত্রেই যার মূলগত অভিযোজন। সেই যন্ত্রের অভিমুখ যে এমন এক ছায়া-দুনিয়ায় এসে পৌঁছবে তার নির্দিষ্ট রূপ সম্পর্কে নিশ্চয়ই স্পষ্ট ধারণা কারওরই ছিল না। উপরন্তু, সেই ছায়া-দুনিয়া (বা ভার্চুয়াল পরিসর) যে এক বাস্তব কর্মজগৎ হয়ে উঠতে পারে, তেমন ধারণা আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগেও খুব জোরালো ভাবে করা যেত কী? মহামতী কেইনস’ও তাঁর জীবৎকালের প্রযুক্তির অভাবনীয় বিকাশকে অনুমান করতে পারেননি বলে কবুল করেছেন। অথচ, সেই বাস্তব ভার্চুয়াল জগৎ যখন দেখা দিল, শুধু দেখা দিল নয়, সৃজনে, কর্মে, ফলাফলে এক অতুলনীয় রত্নগর্ভাও হয়ে উঠল, তখন তো টনক নড়ারই পালা। কিন্তু, তার সঙ্গে আরও এক কীর্তি সে রেখে গেল। সে ছাড়া তার উপায় ছিল না! কারণ, সেই কর্মভুবনে কাজ করবে কে? সাবেকি অফিসে, আদালতে, কারখানায়, মাঠেঘাটে এতদিনের কাজ করা সেই পুরনো মানুষগুলোই কী? নৈব নৈব চ! চাই নতুন ভার্চুয়াল মানুষ। শারীরিক কিছু ক্রিয়াবৃত্তি (খাওয়া, ঘুম ইত্যাদি) বাদে যার যাপন পড়ে থাকে ভার্চুয়াল দুনিয়ার প্রসারিত গহ্বরে। নিত্য কাজের বাইরে যেখানে তার চাই তেমনই এক ভার্চুয়াল সমাজ, বিনোদন ও অন্যান্য জাগতিক সুখ। অতএব, ‘সমাজ মাধ্যম’, অনলাইন যাপন বা আর যা কিছু সহ ভার্চুয়াল সুখের নিপাট আয়োজন। এই আয়োজনে হারিয়ে যাওয়া ও ফিরে আসা, দুইই তাই অবধারিত। কিন্তু যে ফিরে এল এবং টিকে গেল, সে এক নতুন অবয়ব, অন্যভাবে বললে, নতুন ভার্চুয়াল-মানব।
‘সমাজ মাধ্যম’ নির্মিত এই নতুন ভার্চুয়াল-মানব ও তার যাবতীয় অস্তিত্বের বয়ানকে ভিত্তি করেই আজকের অর্থনীতি ও রাজনীতির পথ চলা। মানব চেতনকে ছাপিয়ে উঠছে অ্যালগরিদমের যুক্তিনিষ্ঠা, ব্যক্তির চিন্তাসূত্রকে ভেঙে তছনছ করে দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ডাটা অ্যানালিটিক্স’এর গভীর আঙ্কিক বিন্যাস, আমার-আপনার স্বজাত পছন্দের নানা অভ্যাসকে মাড়িয়ে দিয়ে হাজির হচ্ছে মেশিন লার্নিং নির্গত কোনও ‘আপনার’-চয়ন। আপনার চৈতন্য কার্যত পরাজিত হচ্ছে যন্ত্রের অ্যালগরিদমের কাছে। ক্রমেই আমরা চিরায়ত ভূ-রাজনৈতিক-সামরিক ব্যবস্থা থেকে এক ভার্চুয়াল-তথ্যকেন্দ্রিক-প্রাযুক্তিক ব্যবস্থাপনার দিকে চলেছি। এই যাত্রাপথ অতীব জটিল, এক সূক্ষ্মতর রূপান্তর ও মানব চৈতন্যের সঙ্গে যান্ত্রিক অ্যালগরিদমের বৌদ্ধিক লড়াই। একে তথ্য যুগ না বলে, কেউ কেউ বলছেন, মিথ্যা ও গুজবের যুগ। কিন্তু, এই এখন রাজনৈতিক-অর্থনীতির মূল বয়ান।
শুরু হচ্ছে আইপিএল। মহামারি বিধ্বস্ত অর্থনীতিতে
কাজ হারানো কোটি কোটি মানুষের অসহায় যাপনের ওপরেই বাঁধা হচ্ছে উল্লাস-মঞ্চ। উপচে
পড়তে চলেছে অনলাইন ফ্যান্টাসি গেমিং’এর বাজার। অনুমান, এবারের আইপিএল’এ এই বাজার
গিয়ে দাঁড়াবে ৭০০০ থেকে ১০,০০০ কোটি টাকার মূল্যে। ফুলে ফেঁপে উঠছে সিলিকন ভ্যালি’র
কতিপয় সংস্থা। মূর্তিমান Surveillance Capitalism’এর জাঁতাকলে অসহায়, নিঃস্ব, বিধ্বস্ত মানুষ কোন নতুন চৈতন্যের আলোকে
নিজেকে পুনঃআবিষ্কার করতে পারে, তাই এখন দেখার।
চমৎকার লেখা। দিশাহীন বা অন্ধকার ময়, অজানা অস্পষ্ট ভবিষ্যৎ কে স্পষ্ট ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের আগামী বিপন্ন ভবিষ্যৎ তুলে ধরা হয়েছে। সমাধানের পথ অজানা,লেখকের ও আলোর দিশা কি ভাবে,কোন পথে তা জানা নেই। লেখক উৎকণ্ঠা ভরা ভবিষ্যৎ কে , আমাদের কাছে তুলে ধরেছে। বর্তমান সংকট কালে, সেটা কম প্রয়োজনীয় নয়। সচেতনতা র পথ ধরেই একদিন হয়তো আলোর সন্ধান জুটবে। এক ভাবে , উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলা যায়, আশা তে ই চাষার বাসা,সে চাষা করে, হাজার অনিশ্চয়তা জেনেও, কোনো গভীর আশায় । আমাদের ভবিষ্যতের টিকে থাকার লড়াই , তেমন ই কিছু গভীর সদর্থক বিশ্বাস এর পথ ধরে। লেখক কে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
ReplyDeleteআন্দাজ মাস দুয়েক আগে য়ুভাল নোয়া হারারিকে একটা সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এই অতিমারি আমাদের জীবনযাত্রায় যে বিরাট পরিবর্তন এনে দিল, আশা করা যায় সেসব সাময়িক। কিন্তু এমন কিছু পরিবর্তন কি আমাদের ব্যাবস্থা বা অভ্যেসে হতে পারে যা পাকাপাকি থেকে যাবে?
ReplyDeleteহারারির তৎক্ষণাৎ জবাব, surveillance - একজন মানুষ কোথায় যাবেন, কীভাবে যাবেন, কতজন যাবেন, কবে যাবেন বা যাবেন না, কর্মস্থল খুলবেন কি খুলবেন না, পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠান করতে পারবেন কি পারবেন না প্রভৃতি সমস্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে রাষ্ট্রের নজরদারি, প্রযুক্তির প্রয়োগ অতিমারি প্রতিরোধের নামে যেভাবে মান্যতা পেয়ে যাচ্ছে তা করোনার চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হবে বলেই মনে হয়।
শুধু রাষ্ট্র নয়, প্রযুক্তির হাত ধরে বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলো যেভাবে আমাদের অন্দরতম মহলে ঢুকে পড়ে প্রতি মুহূর্তে নিবিড়তম অনুভূতি, ভাল লাগা, ঘৃণা, বিদ্বেষ সমস্ত কিছু নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে চলেছে তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে উচ্চ কন্ঠে উদ্বেগ জানিয়ে আসছেন যে হারারি, তিনি সম্প্রতি The Social Dillema নামক তথ্যচিত্র টি দেখার পরামর্শ দিয়েছেন।
বৈদ্যুতিন সামাজিক মাধ্যমের সমস্যা আরো ত্বরান্বিত করে দিল এই অতিমারি। এই নেশার শিকার সবচেয়ে বেশি কমবয়সীরা। অতিমারির ধাক্কায় মোবাইল বা ল্যাপটপ হয়ে উঠল পঠনপাঠনের প্রধান মাধ্যম। স্বল্পবিত্ত অভিভাবক ও নতুন বা পুরোন হোক, ধার কর্জ করে হোক বাড়ি ছাত্র বা ছাত্রী টির হাতে তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন ইন্টারনেট সহ স্মার্টফোন। যে ছেলেমেয়েদের কাছে আগেই ছিল তারাও পেয়ে গেল সর্বসময় এই ফোন নিয়ে কাটানোর অবাধ ছাড়পত্র। এর পরিণাম অচিরে কী সর্বনাশা হতে চলেছে ভাবলে শিউড়ে উঠতে হয়।
Dilemma শব্দ টা ভুল টাইপ করার জন্য দুঃখিত।
Deleteলেখাটি আগ্রহ সহকারে পড়লাম। লেখার ভাষা, বিষয়, সমসাময়িকতা, তথ্য, বিশ্লেষণ, মূল উদ্বেগ, অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক-সামাজিক প্রভাব ও জনমানসে প্রতিফলন ইত্যাদি সকল উৎকর্ষতাই লেখার স্বল্প পরিসরের মধ্যেই উপলব্ধ। এই বিষয়ে জনসাধারন যত সত্বর অবগত হন ততই সবার মঙ্গল।
ReplyDeleteলেখক বেশ অনেককাল হলো এই বিষয়ে গবেষণা ও লেখালিখি করে চলেছেন ও সবার কাছে সঙ্গত কারনে ধন্যবাদার্ঘ হয়ে উঠেছেন। আগামী দিনগুলিতে এবিষয়ে লেখকের আরো লেখা ও আলোকপাতের আশায় থাকলাম।
প্রসঙ্গতঃ লেখাটিতে প্রদত্ত পরিসংখ্যানে,বহুল ব্যবহৃত, হোয়াসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মেসেজের উল্লেখ থাকলে আরএকটু ভাল হতো। একটি সূত্রে জানতে পারলাম যে গত এপ্রিল মাসে প্রতি মিনিটে হোয়াসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মেসেজের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪১৬.৬৬ লক্ষ ও ১.৫ লক্ষ। প্রায় ১০ লক্ষ মার্কিনী ডলার মূল্যে ঐ মাসে অন লাইনে নানা ভোগ্যপণ্য বিক্রী হয়েছে প্রতি মিনিটে, এছাড়া 'সমাজ মাধ্যমের' আরো অনেক প্ল্যাটফর্ম তো আছেই, লেখক যা অবশ্য ইত্যাদিভুক্ত করেছেন।