এই ভাবে বেঁচে থাকা?
সঞ্জয় পাঠক
উত্তম দেবনাথকে কেউ চেনে না। আমরাও চিনতাম না। তাঁকে জানলাম তাঁর মৃত্যুর পর। গত ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার বেহালা চন্ডীতলা অঞ্চলের ৩০০ নং মিলের ভিতরের একটি ছোট কারখানার শ্রমিক উত্তম দেবনাথ কর্মরত অবস্থায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে মারা যান। আরেকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। ঐ কারখানায় তিনি ১০-১২ বছর পাউডার কোটিং-এর কাজ করছিলেন। মাসিক বেতন পেতেন চার হাজার টাকা। প্রায় প্রত্যেক রবিবার তাঁর মতো সবাইকে কাজে আসতে হত। এর জন্য কোন ওভারটাইম বা আলাদা কোন আর্থিক ব্যবস্থা ছিল না। এখানে প্রায় সব কারখানায় শ্রমিকদের জীবনের কোন নিরপত্তা নেই। শ্রম আইনকে কলা দেখিয়ে ‘মালিকী রাজ’ চলছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য যে ন্যূনতম নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়, এখানকার মালিকপক্ষ তার তোয়াক্কা করে না। ফলে, ঘটল উত্তমের মর্মান্তিক মৃত্যু। শ্রমিক পরিবারের পক্ষ থেকে FIR করার জন্য বেহালা থানায় গেলে কার্যত তাঁদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এই শ্রমিক পরিবারকে যাতে ক্ষতিপূরণ না দিতে হয়, তার জন্য এখানকার মালিকদের অ্যাসোশিয়েসন ময়দানে নেমে পড়েছে। এর প্রতিবাদে গোটা অঞ্চলে পোস্টার লাগানোর পর কিছু পোস্টার মালিকপক্ষ ভয়ে ছিঁড়ে দেয়। মালিকপক্ষ চেষ্টা করেও বিষয়টিকে চেপে দিতে পারেনি। গতকাল ৩০০ নং মিল সহ কয়েকটি অঞ্চলে দাপিয়ে প্রতিবাদ সভা করে এমকেপি। শ্রমিক পরিবারের লোক এই পথসভায় উপস্থিত ছিলেন। দাবি না মেটা পর্যন্ত লড়াই জারি থাকবে। মালিকপক্ষের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও শ্রমিক পরিবারকে ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে ‘হোক হোক কলরব’।
সঞ্জয় পাঠক
উত্তম দেবনাথকে কেউ চেনে না। আমরাও চিনতাম না। তাঁকে জানলাম তাঁর মৃত্যুর পর। গত ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার বেহালা চন্ডীতলা অঞ্চলের ৩০০ নং মিলের ভিতরের একটি ছোট কারখানার শ্রমিক উত্তম দেবনাথ কর্মরত অবস্থায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে মারা যান। আরেকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। ঐ কারখানায় তিনি ১০-১২ বছর পাউডার কোটিং-এর কাজ করছিলেন। মাসিক বেতন পেতেন চার হাজার টাকা। প্রায় প্রত্যেক রবিবার তাঁর মতো সবাইকে কাজে আসতে হত। এর জন্য কোন ওভারটাইম বা আলাদা কোন আর্থিক ব্যবস্থা ছিল না। এখানে প্রায় সব কারখানায় শ্রমিকদের জীবনের কোন নিরপত্তা নেই। শ্রম আইনকে কলা দেখিয়ে ‘মালিকী রাজ’ চলছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য যে ন্যূনতম নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়, এখানকার মালিকপক্ষ তার তোয়াক্কা করে না। ফলে, ঘটল উত্তমের মর্মান্তিক মৃত্যু। শ্রমিক পরিবারের পক্ষ থেকে FIR করার জন্য বেহালা থানায় গেলে কার্যত তাঁদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এই শ্রমিক পরিবারকে যাতে ক্ষতিপূরণ না দিতে হয়, তার জন্য এখানকার মালিকদের অ্যাসোশিয়েসন ময়দানে নেমে পড়েছে। এর প্রতিবাদে গোটা অঞ্চলে পোস্টার লাগানোর পর কিছু পোস্টার মালিকপক্ষ ভয়ে ছিঁড়ে দেয়। মালিকপক্ষ চেষ্টা করেও বিষয়টিকে চেপে দিতে পারেনি। গতকাল ৩০০ নং মিল সহ কয়েকটি অঞ্চলে দাপিয়ে প্রতিবাদ সভা করে এমকেপি। শ্রমিক পরিবারের লোক এই পথসভায় উপস্থিত ছিলেন। দাবি না মেটা পর্যন্ত লড়াই জারি থাকবে। মালিকপক্ষের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও শ্রমিক পরিবারকে ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে ‘হোক হোক কলরব’।
No comments:
Post a Comment