বাংলাদেশ এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে
শাহেদ শুভো
এই লেখাটি যখন লিখছি সেই মুহুর্তে আমার নিউজ স্ক্রলে দেখছি ইজরায়েল ফিলিস্তিনিতে হামলা চালিয়ে নির্বিচারে হত্যা করছে! নেতানাহু যুদ্ধ বিরতিকে অস্বীকার করেছেন! দুর্নীতিবাজ নেতানেহু তাঁর দেশে চরম অজনপ্রিয়, তাঁকে ক্ষমতায় থাকতে হলে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে অন্যায্য হামলা চালিয়ে যেতে হবে, যেমন ভারতে স্রেফ একটা চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দলগুলি মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের কবর ধংস করতে চায়! কী অদ্ভুত মিল-- আমাদের এখানে পীর-ওলিদের মাজার ভাঙছে ইস্লামিস্ট চরমপন্থীরা! গত সাত মাসে ৮০'র অধিক মাজার ভেঙ্গে ফেলেছে তারা! পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের সাধারণ নাগরিকদের উপর যখন একদল নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে, তখন অন্য কেউ ৩০০ থেকে ৪০০ বছর আগের কোনও মোঘল শাসকের কবর উপড়ে ফেলে ইতিহাস মুছে ফেলতে চায়; আবার আমার দেশেই তৌহিদী জনতার বেশে মাজারে অ-ইসলামিক কর্মকাণ্ডের ধুয়ো তুলে সেগুলিকে ধংস করা হচ্ছে।
আছিয়া নামে এক শিশুকে নারকীয় ভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে তারই স্বজনেরা! কী অমানবিক এই সমাজ! এর প্রতিবাদে যখন সারা দেশের মানুষ, রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠন রাজপথে, গণজাগরণ মঞ্চের সাবেক ও বর্তমান সিপিবি নেতা লাকি আক্তার তাঁর অবস্থান থেকে এই আন্দোলনে যুক্ত হন, সেইদিন পুলিশ বামেদের উপর হামলা চালায়। ইউটিউবার পিনাকী ভট্টাচার্য সহ ইসলামপন্থী একটা অংশ প্রচার করে যে, বামেদের এই আন্দোলন থেকে মূলত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের আয়োজন করা হয়েছে। পিনাকীবাবু ভিডিও বানায় এবং সিপিবি অফিস দখল নিতে বলে। শাপলা-শাহবাগ'এর বাইনারি হাজির করে তারা! ন্যারেটিভ, পালটা ন্যারেটিভ, বাইনারি, কালচারাল ওয়ার, মব লিঞ্চিং, মব জাস্টিস, তৌহিদী জনতা, সংস্কার, কবর দেওয়ার হুমকি (যা কিছু আমার পছন্দ নয়), ফার রাইট, নয়া বন্দোবস্ত এগুলো এখন আমাদের অ্যালগরিদম স্ক্রল ফিড আর নিউজ ফিডের স্ক্রিনিং। যা ঘটছে অথবা দৃশ্যমান, সেগুলোই কি সত্য? সাধারণ মানুষের কি এতে কোনও যোগ আছে? নাকি প্রপাগান্ডা চালানো একটা অংশ এমন ভাবে দেখাচ্ছে যেন বাংলাদেশের রাস্তায় জঙ্গিরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে! বাংলাদেশ কি পরবর্তী আফগানিস্তান? আমরা ভয় পাচ্ছি, সাম্রাজ্যবাদী চক্র কি 'ওয়ার অন টেরর'এর ক্ষেত্র বানাচ্ছে বাংলাদেশকে?
বাংলাদেশের এই মুহুর্তে বৃহত্তম দল বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চাইছে। বেশ কিছু জরিপ থেকেও তেমন একটা ছবি ধরা পড়েছে। তাদের সঙ্গে সংযুক্ত প্রায় সমমনা দলগুলিও দ্রুত নির্বাচন চাইছে। অবশ্য, জনমনে এবং ফেসবুকের ষড়যন্ত্র তত্ত্বে অনেক খবর ঘুরে বেড়ায় যার সত্য-মিথ্যা সাধারণজনেরা জানে না। প্রশ্ন হল, অন্তর্বর্তী সরকার কি নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তরিক? শেখ হাসিনাও নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার হাত বদল চায়নি এবং বাংলাদেশের সংকটের শুরু এই 'পাওয়ার ট্রান্সফার'এর অনীহা থেকেই! অভ্যুত্থান পরবর্তী লেখায় আমি বেশ কিছু সংশয়ের কথা বলেছিলাম। হাসিনা পতনের অন্যতম কারণ ১৫ বছর জোর করে অসৎ পদ্ধতিতে তাঁর ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং এক অলিগার্ক বাহিনী গড়ে সমস্তরকম অন্যায় করে যাওয়া। ২০২৪'এর জুলাই ছিল হাসিনা বাহিনীর চরম নৃশংসতার বহিঃপ্রকাশ। ফলে, সাধারণ মানুষ, ছাত্র আর রাজনৈতিক দলগুলো এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছিল সকল বিভেদ ভুলে; দেশের অধিকাংশ মানুষের একটাই লক্ষ্য ছিল: হাসিনার পতন!
হাসিনা উচ্ছেদের পর প্রশ্ন উঠেছে, তাঁকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা ছাড়া বাংলাদেশের মানুষের সামনে কি কোনও বিকল্প রাজনীতির উপস্থিতি ছিল? বাস্তব এটাই যে, কোনও রাজনৈতিক দল একক ভাবে হাসিনা পতনে ভূমিকা রাখেনি, অনেক অনুঘটকও ছিল, হয়তো কিছু ষড়যন্ত্রও ছিল। কিন্তু কোনওটাই প্রাসাদ ষড়যন্ত্র নয়; তা ছিল বাংলাদেশের অধিংকাংশ মানুষের চরম ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণি যারা ২০২৪'এর আগে অবধি বিএনপি'র গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক আন্দোলন থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে, এমনকি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও অনেককেই সেই সময় সক্রিয় দেখা যায়নি। তাই সেই গণতন্ত্র বা ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন স্রেফ বিএনপি'র দলগত আন্দোলনে পরিণতি পায়। যখন হাসিনার দুর্বৃত্ত পেটোয়া বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত নগরবাসী দেখে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তখনই তারা প্রবলভাবে হাসিনার বিরুদ্ধাচারণ করে, ফলত হাসিনার পতন হয়। হাসিনা'র পতনের পর প্রায় তিনদিন যখন দেশে কোনও কার্যকর সরকার ছিল না তখন কিন্তু ছাত্রজনতা ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে বাংলাদেশের সেই সময়ের সার্বিক পরিস্থিতি সামলে ছিল, হাসিনা পরবর্তী বড় ধরনের গণহত্যা হওয়া থেকে বাংলাদেশ রক্ষা পেয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নানা জনে এখন অভ্যুত্থানের ক্রেডিট সংগ্রহে ব্যস্ত। অথচ জনগণের অভিপ্রায় না থাকলে এই সামগ্রিক লড়াই হত কিনা তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।
রাজনৈতিক সংস্কার বা নয়া বন্দোবস্তের প্রশ্ন সবই এখন আলাপে আসছে যদিও হাসিনার পতনের আগে তা সেভাবে কেউ ভেবে দেখেনি। একজন ভাইরাল কবি লিখেছেন, 'জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে কেন সংস্কার করতে হবে, জনগণ শুধু ভোটের মালিক!' আবার একজন সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার বলেছেন ভোটকে ব্যান করে দিতে! কী অদ্ভুত! এরাই আমাদের জেন-জি সম্প্রদায়ের আইডল! এদের কারও অঙ্গুলি হেলন ও উত্তেজনায় ৩২ নম্বর গুড়িয়ে দেওয়া হয়! ১৯৭১ না ২০২৪-- এখন অ্যালগরিদমের স্ক্রলের আলাপ, আপনি ২৪'এর নির্বিচার হত্যাকে স্বীকার করে নিবেন! আবার ৭১'এ বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পূর্বে যে গণহত্যা চালানো হয়েছিল সেই বিষয় প্রশ্ন তৈরি করবেন মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে! এইসব কিছু দেখে অনেকে ধারণা করছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মূলত মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সক্রিয় রাজনৈতিক অংশই কি ২৪'এর হাসিনা পতনের আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে?
রাজনৈতিক দলগুলি, বিশেষ করে বিএনপি'র মতো জনমুখি শক্তিশালী সংগঠনগুলো, যাদের মূল অংশ এক ধরনের উদার গণতান্ত্রিক চরিত্রের এবং অনেকগুলো উদারপন্থী বাম দল এই সরকার এবং এদের সঙ্গে থাকা ছাত্র নেতৃত্বকে নিয়ে সন্দিহান, কারণ, এই ছাত্ররা প্রথম থেকেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র রাজনীতির নামে 'অরাজনৈতিক' পরিচয়ের কথা বললেও এদের অধিকাংশই জামাতের ছাত্র সংগঠন 'শিবির'এর বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মী! আবার যে 'জাতীয় নাগরিক কমিটি' করা হয়েছিল সেখানে অনেক সংগঠকের পরিচয় ছিল প্রাক্তন 'শিবির'। শিবির বা জামায়াত হওয়াটা অবশ্যই দোষের নয় কিন্তু জনমানসের বৃহৎ অংশের মধ্যে এখনও তাদের মুক্তিযুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, যদিও তাদের অনেকেই বলছে তারা স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে। কিন্তু তাদের বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধিকাংশের মধ্যে আমরা কি আদৌ দেখতে পেয়েছি বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে পরিষ্কার কোনও অবস্থান? এই নেতৃত্বদানকারী অংশ এই মুহূর্তে নির্বাচনে আগ্রহী নয়! তারা হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার, দ্বিতীয় রিপাবলিকের গণপরিষদ নির্বাচন, ৭২'এর সংবিধান ছুড়ে ফেলে দেওয়া, এই আলাপেই ব্যস্ত। কাকতালীয় ভাবে, জামাত সহ তাদের আরেক মিত্র শক্তি এবি পার্টিও ছাত্রদের এই সুরেই অনেকটা কথা বলছে। মানুষের মধ্যে প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে, নির্বাচন কি আদৌ হবে? এর মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা সরকারকে জুলাই গণহত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছে। তৎসত্ত্বেও আওয়ামী লীগের সমর্থকরা কি বিশ্বাস করে যে তারা কী ভয়াবহ নৃশংসতা চালিয়েছে এই দেশের জনগণের উপর? বিন্দুমাত্র অনুশোচনা অনুভব না করা এই দলের সমর্থকরা তো শেখ হাসিনা ও তাঁর দলবলের মতো পালিয়ে যেতে পারেনি। তাদের কী অবস্থা হবে?
এসবের মধ্যেই তরুণদের রাজনৈতিক দলের অভিষেক হল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি' নামে। ব্যাপক আয়োজনে এই দলের অভিষেকে বর্তমান সরকারে তাদের সংযুক্ত থাকার খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই তাদের 'কিংস পার্টি' বলছে। এই দল শুরু থেকেই বিতর্ক জারি রেখেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি'র নেতা যিনি বর্তমান সরকারে তথ্য উপদেষ্টা ছিলেন, তিনি দেশের আইনশৃঙ্খলা এখন সুখকর না তাই নির্বাচন পেছনোর পক্ষে মত দিয়েছিলেন, যদিও পরে তাঁর ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন; আবার সংগঠনের অর্থ বিষয় প্রশ্ন করা হলে দলের অর্থদাতাদের বিষয়ে তথ্য দিতে অপারগতা দেখিয়েছেন। এই দলের অর্থ সহ নানা প্রসঙ্গে অনেক প্রশ্ন জনপরিসরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, এই দলের মতাদর্শ কী? শুধু বিগত রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধবাদিতার রাজনীতি কি দীর্ঘমেয়াদে কার্যকরী থাকবে?
আরও প্রশ্ন উঠছে-- দেশের তৃণমূল স্তরে শক্তিশালী দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি'র দ্বিদলীয় রাজনীতির যুগ কি শেষ হবে? কারণ, আওয়ামী লীগের মতো বিএনপি'র তৃণমূল স্তরে নেতাকর্মীরাও চাঁদাবাজি ও দখলের কর্মকাণ্ড শুরু করে দিয়েছে। আবার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি কি এই সরকারের সঙ্গে যুক্ত নতুন রাজনৈতিক দল অস্বীকার করতে পারে? গত শনিবার (২২ মার্চ) মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব সফিকুল আলম জানিয়েছেন যে দেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আইনশৃঙ্খলার সমস্যা।
গোটা বাংলাদেশটা ঢাকা অথবা ঢাবির ক্যাম্পাস নয়। এখনও গ্রামে সামন্ত চিন্তার সমাজ সক্রিয়! জাতীয় পুঁজির নামে হাসিনা লুটেরা পুঁজি নির্মাণ করেছে, আবার গার্মেন্টস'এ গত সাত মাসে কয়েক হাজার শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে, আন্দোলনরত শ্রমিকের রক্তে লাল হয়েছে এই সরকারের হাত। এই প্রশ্নও আছে, প্রবাসে যে মানুষগুলো সস্তা শ্রম বেচে তাদের নাগরিক সত্তা কী? এমন অনেক প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে। মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা তরুণরা নতুন রাজনীতি নির্মাণ করবে নাকি বিগত দিনের মতোই বৃহত্তম দল হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় আরেকটা এলিটোক্রেসির কাঠামো তৈরি করবে? চারপাশের পরিস্থিতি আমাদেরও ভাবিয়ে তোলে-- বাংলাদেশ কি ভবিষ্যতের গাজা হয়ে উঠছে? সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্ত আর আমাদের বিভ্রান্ত রাজনীতি এই ব-দ্বীপকে কোন প্রশ্নের সামনে দাঁড় করাবে?
লেখাটি পড়ে যে ভাবনাটি আসছে সাধারন মানুষের জন্য কোন দল কিছুই বলছেনা নতুন ছাত্রদের দল তারা দেশের মানুষের জন্য কিছু বলে না , বিচার প্রয়োজন আছে , ভাল লেখা হয়েছে জনগনের মনের প্রশ্ন গুলি সহজে
ReplyDeleteতুলে ধরেছেন, আরো বেশী বেশী লেখা চাই, ধন্যবাদ
বর্তমান সময়ের প্রক্ষাপটে লেখাটি অনেক প্রাসাঙ্গিক। দিন যত গড়াচ্ছে জনমনে প্রশ্নের সংখ্যা বাড়ছে। যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ এই কথাটি মিথ্যা প্রমান করার মানুষের দল এদেশে কবে তৈরি হবে জানানেই। প্রজাতন্ত্রের প্রজাগন মনে করেছিলো শান্তি তে নোবেলজয়ী ড. ইউনুস এর হাত ধরে দেশে শান্তি ফিরে আসবে। কিন্তু বিধিবাম দেশ এখন দুইভাগে বিভক্ত হচ্ছে চেতনা ৭১ ও চেতনা ২৪। জুলাই আন্দোলনের একটি বড় অংশের দাবিদার জামাত শিবির ৭১ এর পরাজিত শক্তি। তারা এই সরকারের আমলে পূর্ণ ক্সমতা উপভোগকারী দল।তারা কোনোভাবে চাইবেনা দ্রুতসময়ের মধ্যে নির্বাচন হোক তাহলে তারা ক্ষমতা হারিয়ে ষড়যন্ত্রের ফলাফল আর ভোগ করতে পারবেনা। আর ছাত্রদের অবস্থা হচ্চে তারা মেঘ না চাইতে অতিবৃষ্টি পেয়ে ভিজে পুরাই ত্যানাত্যানা অবস্থা। তারা মনে করেছিলো এই বৃষ্টিতে সব বৈষম্য ধুয়ে দেশ পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে তানা হয়ে বরং বৈষম্যের কাদায় তারা মাখামাখি হয়ে বিচ্ছিরি চেহারা ধারণ করছে।
ReplyDeleteএমতাবস্থায় বৃহত্তম দল বি এন পি তার নেতা কর্মিদের সামলে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। রাজনৈতিক শিষ্টাচার ভুলে পালাতক আওয়ামী লীগের মত মাঠ দখলের লড়ায়ে জনগনের চাওয়ার বিপরীতে নিজেদের লিপ্ত রাখছে। ফলে জনসাধারনের সমর্থন দিনেদিনে হ্রাস পাচ্ছে বি এন পির প্রতি। আর এই সুযোগে জামাতে ইসলামী তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের পাকিস্তানি প্রভুদের কালোহাতের ছায়ার অন্ধকারে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে।
সাধারণ মানুষ যে ভোটের অধিকারের জন্য
রাস্তায় নেমে এসেছিলো সংস্কারের দোহাই দিয়ে তাদের সে অধিকার থেকে দুরে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সংস্কারের দোহাই দিয়ে বর্তমান অনির্বাচিত তত্বাবধায়ক সরকার তাদের ক্ষমতার লালসাকে দীর্ঘায়িত করছে। এই সুযোগে অপরাধপ্রবন মানুষগুলো তাদের অনৈতিক ইচ্ছা গুলো চরিতার্থ করার অবাধ সুযোগ তৈরী করছে।ফলে খুন, ধর্ষন, চাদাবাজী, ছিনতাই, দখলদারত্বের মত অপরাধের মাত্র বেড়েই চলেছে।
আর আওয়ামী লীগের বৃহৎ সমর্থকগোষ্ঠী সোসালমিডিয়ায় ব্যাপক হাততালি দিচ্ছে যা সাধারনের মনে ব্যাপক বিরক্তির উদ্যেগ তৈরি হচ্ছে।
Nowadays, in Bangladesh’s intellectual sphere, so-called "critical thinkers" are crafting their own narratives, shaping discourse with their self-proclaimed intellectual authority. Their disciples, gathered in exclusive circles—certainly devoid of liquor and courtesans, since their revered "critical thinking" sees intoxication as a metaphor for manipulation—eagerly applaud, showering them with blind praise.
ReplyDeleteSheikh Hasina and her regime have long monopolized the narratives of the Liberation War and independence, molding history to serve their political interests. However, their manufactured version of history has never resonated with the common people. Sensing this disconnect, these self-styled critical thinkers have seized the opportunity, infiltrating the new Bengali elite—Generation Z—who now find themselves as part of the ruling establishment. The triumph of the critical thinkers is complete! Or so it seems.
But in reality, was the Liberation War merely an urban "Color Revolution"? Absolutely not. It was not a mere intellectual rebellion or a product of elite discourse—it was a people's war, a direct and indirect struggle of the masses, a full-fledged armed revolution. And that is why any attempt to equate 1971 with other historical events triggers deep emotional resistance among ordinary Bangladeshis. Do these critical thinkers lack the insight to grasp this reality? That is the fundamental question.