Sunday 28 April 2024

নাগরিকত্বের টোপ

জুমলাবাজি ও দখলদারির রাজনীতি

শিবশংকর পাল



মনোবিজ্ঞানের অন্যতম বিদ্যায়তনিক পাঠবস্তু হল সমাজ মনোবিজ্ঞান। মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক চার্লস স্টেনগার তাঁর অন্যতম গ্রন্থ 'সোশ্যাল সাইকোলজি প্রিন্সিপলস'-এ সমাজের মানসিক বিন্যাসের উপর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন। এই গবেষণার জন্য আমেরিকার সাইকোলজিক্যাল সোসাইটির চার্টার ফেলো নির্বাচিত হন তিনি। তাঁর তত্ত্ব বিশ্ব জুড়ে মান্যতা পেয়েছে। তিনি দেখিয়েছেন, সমাজের মনকে নানাভাবে গড়েপিটে নেওয়া যায়, ভেঙেচুরে দেওয়া যায় পছন্দমাফিক। 

বৃহত্তর সমাজের গভীরতর প্রদেশে কোনও সত্যি/মিথ্যে ধারণা গড়ে তুলতে এতদিন সাধারণত দু' ভাবে প্রচেষ্টা চালানো হত: ১) তীব্র দেশপ্রেমের নামে উগ্র রাষ্ট্রপ্রেমের জন্ম দেওয়া ও ২) ক্রমাগত অনৃতভাষণের সাহায্যে 'সফেদ ঝুট'কে ‘নিছক’ সত্যে পরিণত করা। এর ধ্রপদি ব্যবহার একদা হিটলার করেছিলেন। এখনও এই অস্ত্রের বহুল প্রয়োগ আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের দেশে।

সম্প্রতি ভারতবর্ষের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকালে চার্লস স্টেনগার-এর তত্ত্বগুলির প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োগ স্পষ্টভাবে চোখে পড়বে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন বহু কারণে জাতীয় স্তরে অত্যন্ত গুরুত্ব পেয়েছিল। বিজেপির হিন্দুরাষ্ট্র গঠনের প্রধান বাধা ছিল পশ্চিমবঙ্গ এবং এখনও এই বাধা তাদের দুশ্চিন্তার কারণ। ভারতের যে অংশকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আর্যাবর্ত বা গো-বলয় অথবা হিন্দিবলয় হিসেবে গণ্য করে থাকেন সেখানকার 'লোক'-এর মানসিকতা প্রায় বিজেপির অনুকূল। ‘হিন্দু খতরে মে হ্যাঁয়’ আর তার কারণ ‘মুসলমানদের বাড়বৃদ্ধি’— এই সোশ্যাল সাইকি দিয়ে গুজরাত দাঙ্গা করে ২০১৪-য় ‘মোদী-শাহের’ গোদিয়ান হওয়া এবং অতঃপর ক্রমাগত ‘হিন্দুত্ব’কে সারজল দিয়ে চাষ করে তার ফসল ঘরে তোলার চেষ্টা অধিকাংশতই সফল। পশ্চিমবঙ্গেও তাঁরা নানা নামে সংগঠন গড়ে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন বহুকাল, সেই বাম আমল থেকেই। বাঙালির মেধা-মনন ও দ্রোহাত্মক বাম মনোভাব সেই প্রচারের একটা বড় বাধা ছিল এতদিন। বাংলার মাটিতে প্রেম-কবিতা-দ্রোহ-বিপ্লব-- এই সংস্কৃতিকে সমূলে উৎপাটন করতে না পারলে হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্তান প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে, ‘মোদী-শাহ’ এটা ভালো করেই জানেন। তাই মোদীর মুখে তীব্র ঘৃণাভাষণ; নির্বাচন কমিশন ‘স্নেহান্ধ’ ধৃতরাষ্ট্র। আরএসএস ও তার ভাবপোষ্য বিশ্বস্ত দল বিজেপি বুঝেছে হিন্দুরাষ্ট্র গঠনের এটাই তাদের শেষ সুযোগ। 

কেন্দ্রীয় সরকারে একক দল হিসেবে বিজেপি তৃতীয়বার নিরঙ্কুশ সাংখ্যাগরিষ্ঠ না হলে তাদের একশো বছরের ‘সংগ্রাম’-এর জলাঞ্জলি হবে। বিফলে যাবে রামমন্দির নির্মাণ, ৩৭০ ধারা বিলোপ ও এনআরসি করার খাতা। তাই দরকার 'অব কি বার চারশ পার' করার  শপথপূরণ। বিগত পাঁচ বছরে বিপুল গরিষ্ঠতার বাহানায় করোনার মতো অতিমারীর ‘সুযোগ’ নিয়ে তারা একের পর এক এমন সব বিল পাশ করিয়েছে, যার সাহায্যে একদিকে দেশের যাবতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রগুলি সহ সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ কতিপয় পুঁজিপতিদের হাতে হস্তান্তরিত হয়েছে, শ্রম আইনে শ্রমিকের অধিকার বিপুলভাবে সঙ্কুচিত হয়েছে। কৃষি ও শিক্ষার দায় সরকারের কাঁধ থেকে নামিয়ে দেওয়ার ফিকির আজ আর গোপন নেই।  সেই সঙ্গে আরও অধিক মুনাফার জন্য প্রয়োজন সস্তা মজুর; তাই প্রায় রাতারাতি অতি তৎপরতার সঙ্গে এনআরসি আনার চেষ্টা  চলছে। অন্যদিকে দাদন দেওয়ার টোপ দিয়ে কৃষিকে শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আনা হয়েছিল নতুন কৃষি আইন। শ্রমকোড আইনে এমন বদল আনা হয়েছে যে, মজুরদের অবস্থান মে-দিবসের আগের জমানায় পৌঁছে গিয়েছে। এবং সর্বোপরি নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন করা হয়েছে। এগুলি মূলত একই উদ্দেশ্যের 'ক্রোনোলজি'। 

কথা হল, এই আইনগুলি এত কর্কশ ও তীব্রভাবে জনবিরোধী যে, এর একটাও বিজেপির দলীয় ইশতাহারে ঘোষণা না করে গ্যাসের দামে একশো টাকা ছাড়ের মতো কিছু আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছে; যার অধিকাংশই তৃণমূলের ইশতেহার থেকে ফেলু ছাত্রের মতো টুকে নেওয়া। বিজেপি খুব ভালো করেই জানে, পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি (বিহার, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ) জিততে হলে যা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে হিন্দু ভোটের সত্তর থেকে আশি শতাংশের উপর। এই সত্তর-আশির মধ্যে একটা বড় অংশ তফশিলি জাতি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ; বাংলায় এঁদের অধিকাংশ মতুয়া, নমঃশূদ্র, রাজবংশী সম্প্রদায়ের। এঁদের আবার সকলেই ৭১-পূর্ব ও পরে ভারতে এসেছেন। দীর্ঘকাল ভারতে বাস করে রেশন কার্ড থেকে আধার ও ভোটের পরিচয় পত্র প্রায় সবই অর্জিত হয়েছে। অনেকেই সরকারি চাকরিবাকরি করছেন। বছর বছর নানা কিসিমের ভোটে নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তারপরেও নাগরিকত্বের জন্য এঁদের এক অংশের হীনম্মন্য আবদার আর সেই বাঞ্ছা মেটানোর জন্য অমিত শাহের প্রতিশ্রুতি বিলোনো দেখে চার্লস স্টেনগার-এর তত্ত্বগুলোর কথা মনে পড়বেই।  

বাংলা জেতার জন্য মোদী-শাহ্‌ কেন্দ্রীয় সরকারের সব কাজ ফেলে প্রায় গোটা ক্যাবিনেট নিয়ে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছিলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে। এবার বোধহয় তাঁরা জনসংযোগের তোয়াক্কা করবেন না। বরং পাগলা কুকুরের মতো সরাসরি ইডি-সিবিআই-আইটি-আদালত লেলিয়ে দিয়ে কাজ সারবেন। ঝাড়খণ্ড ও দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে জেলে পুরে এবং কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে প্রায় বিরোধী শূন্য ময়দান প্রস্তুত। বাংলায়ও ইডি-সিবিআই লেলিয়ে দেওয়া চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এখনও চার্জশিট দিতে না পারায় উচ্চ আদালতের বকুনিও চলছে। এদিকে হাইকোর্ট পাঁচ হাজারের দুর্নীতির জন্য প্রায় ছাব্বিশ হাজারের চাকরি খেয়ে ভোটের ময়দানে বিজেপির পক্ষে একটা ‘সোর মাচানো’ বল তৃণমূলের কোর্টে ঠেলে দিয়েছে। এর পাশাপাশি নিয়ম করে প্রায় প্রতিটি সভায় বিজেপির সব স্তরের নেতানেত্রী ক্রমাগত চরম মিথ্যে ও ঘৃণ্য ভাষণ দিয়ে চলেছেন। অমিত শাহ আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, একজনও 'ঘুসপেটিয়া'কে (বাঙালিকে এঁরা উইপোকা বলেই মনে করেন) ভারতে থাকতে দেওয়া হবে না। সিএএ আইন পাশের চার বছর পর লোকসভা ভোটের আগে এর নিয়মকানুন প্রকাশিত হয়েছে। এবার সমস্ত মতুয়া ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই সংবাদে উক্ত সম্প্রদায়ের অনেকেই উদ্বাহু হয়ে ধেই ধেই নাচছেন। 

তাঁরা কি ভেবে দেখেছেন, নাগরিকত্ব যদি দিতেই হয় তবে নিঃশর্তে নয় কেন? অন্য দেশের আক্রান্ত মুসলমানরা সেই তালিকায় কেন থাকবে না? নাগরিকত্ব দানের আইনটি তা হলে সংবিধান বিরোধী নয় কি? এই আইনটি কি আদৌ সকলে খুঁটিয়ে পড়েছেন? একবার আবেদন করলেই তিনি ঘোষিতভাবে বে-নাগরিক হয়ে যাবেন জেনেও আবেদন করবেন? অন্য দেশে ধর্মীয় কারণে আক্রান্ত হওয়ার বা সেই দেশের নাগরিকত্বের কোনও তমসুক বা কাগজপত্র আপনার আছে তো? 'ঘুসপেটিয়া' বলতে অমিত শাহ্‌ কাদের বোঝাচ্ছেন? হিন্দুদের, নাকি মুসলমানদের? মুক্তিযুদ্ধের পরে ওপার বাংলা থেকে আসা মুসলমানদের সংখ্যা নেহাতই নগণ্য। ওপার থেকে আসা ৯৮ শতাংশই হিন্দু। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি ‘ঘুসপেটিয়া’ বলে হিন্দুদেরই অপমান করছেন না? মতুয়ারা কেন সেই অপমান সহ্য করছেন? দেশভাগের জন্য মূলত দায়ী স্বাধীনতা পূর্বকালের নেতৃবৃন্দ, বিশেষত জনসংঘের জনক শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় স্বয়ং। তাঁর কৃতকর্মের দায় কেন মতুয়ারা নেবেন? প্রায় সকল মতুয়াই বিগত নির্বাচনগুলিতে অংশ নিয়ে নাগরিকের দায়িত্ব পালন করেছেন; পাশাপাশি রেশন ও নানা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে নাগরিকত্ব পাকা করেছেন। যদি তাঁরা নাগরিক না-ই হন তাহলে তাঁদের দেওয়া ভোটে নির্বাচিত কেন্দ্র-রাজ্য উভয় সরকারই কি অবৈধ হয়ে যায় না? সেই ‘অবৈধ’ সরকারের ফরমান কেন একজন স্বাধীন নাগরিক মানবেন? 

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য যে মুহূর্তে সরকারি পোর্টালে বা ‘গোলাপি কাগজে’ কেউ লিখিত আবেদন জানাবেন সেই মুহূর্তে সিএএ অনুযায়ী তাঁর নাগরিকত্ব ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যাবে। তাঁর যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও চাকরি-ব্যবসা ‘সিজ’ করা হবে। এবং তাঁকে লিখিত প্রমাণ দিতে হবে যে, তিনি বাংলাদেশে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। বাংলাদেশের পুলিশ কি আজ কোনও মতুয়াকে উক্ত মর্মে জেনারেল ডায়েরি বা এফআইআর করতে দেবে? যদি দেয়ও তবু আপনার মামলার নিষ্পত্তি হতে হতে এক দশক থেকে দেড় দশক কেটে যাবে। ঐ সময় আপনি জেলে বা ডিটেনশন ক্যাম্পে অন্তরীণ থাকবেন। সিএএ-তে কোনও নিঃশর্ত নাগরিকতা দেওয়ার কথা নেই। ইতিপূর্বে যে ৩২ হাজার জন আবেদনকারী উপরোক্ত বয়ানে ভারতের নাগরিক হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন, তার সঙ্গে মতুয়া-নমঃশূদ্রদের কোনও সম্পর্ক নেই। সিএএ আসলে খুড়োর কলের একটি গাজর। যা কোনওদিন মতুয়াদের নাগালে আসবে না। 

এই পর্যন্ত পড়ে হয়তো আমরা সবাই ভাবছি, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি এত বড় ‘ঢপ’ দিতে পারেন? এ যে দিন-দহারে সমুদ্রসমান মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। মনে রাখুন, 'না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা' বলে 'বন্ড-ই-ভারত'-এর চুরিবিদ্যা ও তোলাবাজি কিন্তু এই দুই হুজুরেরই মগজপ্রসূত যা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হিসেবে চিহ্নিত। এইখানে চার্লস স্টেনগার-কে স্মরণ করব। তিনি জানিয়েছেন, যে-প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা প্রায় অসম্ভব সেই প্রতিশ্রুতি বারবার দিলে সাধারণের মনে একটা ইতিবাচক আগ্রহ তৈরি হয়। এই মনোভাব আরও গভীর হয় গোষ্ঠীভুক্ত মানুষদের উদ্দেশে পুনঃপ্রচারিত হলে। খেয়াল করে দেখুন, চার্লস স্টেনগার-এর তত্ত্ব অনুযায়ী বিজেপি পাকিস্তানকে আমাদের কল্পিত শত্রু বানিয়ে রেখেছে, মাঝে মাঝে কিছু জওয়ানকে ‘বলি’ দিয়ে সীমান্তে যুদ্ধজিগির জাগিয়ে রেখেছে। দ্বিতীয়ত, হিন্দুদের বিকাশের পথে প্রধান বাধা হিসেবে মুসলমানদের প্রতিপক্ষও বানিয়ে ছেড়েছে। ইতিহাস থেকে 'হাপিস' করে দেওয়া হয়েছে একটা গোটা মোগল যুগ। 

সরকারি তথ্য পরিসংখ্যানকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে তাঁরা দিনের পর দিন প্রচার করে চলেছেন, মুসলমানদের  চারটে পাঁচটা করে বিয়ে; চোদ্দ-পনেরোটা করে কাচ্চাবাচ্চা। আগামী দশ-বিশ বছরেই 'ওরা' নাকি ভারতের দখল নিয়ে নেবে। ১৪ শতাংশ ৮৬ শতাংশকে এইভাবে নাকি গিলে নেবে। বিজেপি-আরএসএস এবং এদের আইটি সেল নিরন্তর এই মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সারা ভারত জুড়ে সংখ্যালঘু মানুষ জঘন্য হিংসার শিকার হচ্ছেন। এবং বিজেপির দলীয় উদ্যোগে তা সামাজিক মান্যতা পাচ্ছে। সংখ্যালঘু এলাকায় চলেছে হাড়হিম ত্রাসের রাজত্ব। ভোটের এই হিংসাত্মক আবহে অমিত শাহের মিথ্যা প্রচারের ফাঁদে পা দিয়ে মতুয়ারা বোধহয় ভুলে যাচ্ছেন অসমের হাতেগরম অভিজ্ঞতার কথা। বিজেপিকে ভোট দিয়ে মতুয়ারা যদি জেতান, তবে সবার আগে কিন্তু তাঁরাই ডিটেনশন ক্যাম্পে যাবেন। মাকড়সার জাল যত সুন্দর কারুকার্যমণ্ডিত হোক না কেন, খাদ্য সংগ্রহই তার একমাত্র উদ্দেশ্য। কয়েক লক্ষ মতুয়া বাঙালিকে বসিয়ে খাওয়ানোর জন্য অসমে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হয়নি। জেনে রাখুন, সিএএ আম্বানি-আদানিদের সস্তার মজুর সাপ্লাই দেওয়ার জন্য একটি ছলনাজাল মাত্র।


No comments:

Post a Comment