Monday, 4 December 2023

ক্ষীণদৃষ্টির পরাজয়

আঞ্চলিক দলগুলিকে মর্যাদা না দিলে বিপদ

প্রশান্ত ভট্টাচার্য 



২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের পর হিন্দি বলয়ে আর কোনও আসন কি বিজেপি-বিরোধী শক্তি জিততে পারবে? বিশেষ করে নরম হিন্দুত্বে আস্থা রাখা কংগ্রেস? বিন্ধ্য পর্বতের ওপারে যেমন বিজেপি খাপ খুলতে পারছে না, তেমনই উত্তর ও পশ্চিম ভারতে কংগ্রেসও আর কলকে পাচ্ছে না। যদিও হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে বিজেপির এই বিপুল জয়কে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির সাফল্য না বলে কংগ্রেসের ব্যর্থতা বলতে চাইছে। প্রায় একই ভাষায় কথা বলেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা কিরণময় নন্দ। তাঁর বক্তব্য, 'কংগ্রেসের অহমিকা ও ব্যর্থতার কারণেই আজ বিজেপির এই উত্থান।' বলবেই বা না কেন? মধ্যপ্রদেশে মাত্র ছ’টি আসন চেয়েছিলেন ‘ইন্ডিয়া’র শরিক সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা দিতে রাজি হননি রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গেরা। তাঁদের মধ্যপ্রদেশ সংস্করণ কমলনাথের উক্তি, 'অখিলেশ-টখিলেশ আবার কে?' এই তাচ্ছিল্য যে কতটা ভুল মানসিকতা থেকে, তা হয়তো রবিবার ফল বেরবার পর হাড়ে হাড়ে মালুম হচ্ছে কমলনাথের। 

কংগ্রেসের উপেক্ষার পর, ৭১টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ও আরও ৯টি আসনে ছোট দলগুলিকে সমর্থন করে অখিলেশ ঘোষণা করেছিলেন, কংগ্রেসের ‘বেইমানির’ জবাব তিনি দেবেন। ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া বুন্দেলখণ্ড-বাঘেলখণ্ডের পাশাপাশি বিন্ধ্য অঞ্চলেও কংগ্রেসের ভোট কেটেছেন সমাজবাদী প্রার্থীরা। ইন্ডিয়া জোটের স্বঘোষিত ক্যাপটেন কংগ্রেস এই ভোটে জাত ভিত্তিক জনগণনার সওয়াল করে গেল সবচেয়ে বেশি, কিন্তু তারা হিসেবেই আনেনি যে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র একটি আসনে জিতলেও মধ্যপ্রদেশে ৪ শতাংশের বেশি যাদব ভোটার। সামগ্রিক ভাবে ওবিসি জনগোষ্ঠীগুলির ভোট ৫০ শতাংশের বেশি। এই জাত ভিত্তিক সমীকরণটি কংগ্রেস নেতৃত্ব কার্যত মাথায় না রেখে উলটে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন। 

শুধু মধ্যপ্রদেশ নয়, হিন্দি বলয়ের অন্য দুই রাজ্য ছত্তিশগড় ও রাজস্থানেও কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের পাত্তা দেয়নি। যে সিপিআই(এম) রাজস্থানে গতবারের নির্বাচনে দু'টি আসন জিতেছিল, তাকেও আসন ছাড়তে রাজি হয়নি। রাজস্থানে 'একলা চলো' করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, বিএসপি এবং সিপিআই(এম) সহ অন্যান্য ছোট ছোট দল যেখানে গতবার মোট ২৭টা আসন পেয়েছিল, সেখানে এবার তা নেমে এসে দাঁড়িয়েছে ১৪'তে। ফলে, বাকি ১৩টি আসন গিয়েছে বিজেপির দখলে। ছত্তিশগড়েও অন্যান্যরা যেখানে ৬টি আসন পেয়েছিল এবার সে সংখ্যাটি ১। 'একলা চলো’র প্রবণতার পাশাপাশি রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের ভরাডুবির ‘কারণ’ হিসাবেও উঠে আসছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তবে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে আমার স্পষ্ট কথা, ওটা কংগ্রেসের কনজেনিটাল প্রবলেম। কংগ্রেসের বয়স যত, গোষ্ঠদ্বন্দ্বেরও বয়স তত। ফলে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে সামনে নিয়ে এলে আসল ত্রুটিটা আড়ালে চলে যায়। আড়ালে চলে যায় সাংগঠনিক দুর্বলতা, প্রচারে দিশাহীনতা। 

সমস্ত রকম অতীত তিক্ততা ভুলে ২৮টি বিজেপি-বিরোধী দল মুম্বইয়ে জোটের বৈঠকে হাজির হল, তা কাউন্টই করল না রাহুল গান্ধীর দল। যে বলিষ্ঠতা নিয়ে এই সেমিফাইনালে ইন্ডিয়া'র নেতৃত্ব দেওয়া উচিত ছিল কংগ্রেসের, গোটা দেশের কাছে চব্বিশের আগে জোটকে তুলে ধরা দরকার ছিল, তা করল না তারা। উলটে, সাধারণ মানুষের কাছে জোটের বিশ্বাসযোগ্যতা রইল না। সব দলই চায় নিজের শক্তি বাড়াতে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে। রাহুল গান্ধীও তা চাইছেন। কিন্তু এটাও বাস্তব, গত চার দশক ধরে একার জোরে সারা দেশে বিরাজ করার মুরদ কংগ্রেসের নেই। এমনকী, গত প্রায় ২০ বছর ধরে রাহুল গান্ধী চেষ্টা করেও সফল হচ্ছেন না। কেউ যদি বলেন, কর্নাটক ও সদ্য জেতা তেলেঙ্গানাতে তো কংগ্রেস দেখিয়েছে! আমি বলব, সেটা যতটা কংগ্রেসের সাংগঠনিক কৃতিত্ব, তার চেয়ে অনেক বেশি রামের। হ্যাঁ, রামের। রামায়ণকারের পুরুষোত্তম রামের প্রভাব কোনওদিনই বিন্ধ্য পর্বত ডিঙোতে পারেনি। সেই ট্রাডিশন সমানে চলেছে। ২০১৯-এ বিজেপি একা ৩০৩টি আসন পেলেও দক্ষিণ ভারতের ১৩০টি লোকসভা আসনের মধ্যে মাত্র ২০টি জিতেছিল মোদী ম্যাজিকে। তাই তেলেঙ্গানা বিজয় দিয়ে কংগ্রেসের তেমন করে লাফানোর কিছু নেই। আর মনে রাখতে হবে, পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য তৈরিতে সনিয়া গান্ধীর একটা বড় ভূমিকা আছে। অন্ধ্রের কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গিয়েই সনিয়া এ কাজটি করেছিলেন। ওই রাজ্যের মানুষ সনিয়াকে 'আম্মা' বলেই মনে করেন। এছাড়া, কেসিআর'এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী টিডিপি এবারের নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি, ফলে সেই ভোটটা কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে। দক্ষিণের এই রাজ্যেও কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেনি। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি তেলঙ্গানার মানুষ। তিনিও কংগ্রেসের দাদাগিরিতে ক্ষুদ্ধ হয়ে আলাদা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দেশের বৃহত্তম বামপন্থী দলটি সে রাজ্যের ১১৯টি আসনের মধ্যে মাত্র তিনটি চেয়েছিল, তা দিতেও রাজি হয়নি রাহুল অ্যান্ড কোম্পানি। 

এই প্রেক্ষিতেই সোমবার দুপুরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও মুখ খুলেছেন। ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য কংগ্রেসের সরাসরি সমালোচনা না করে পরোক্ষে তাদের 'একলা চলো’ নীতিকে দুষে ভুল সংশোধনের বার্তা দিলেন। তিনি বলেন, 'যাঁরা জয়ী, তাঁদের শুভেচ্ছা। পরাজিতদের বলব, ভুল শুধরে নিয়ে পরবর্তী সময়ে আরও শক্তিশালী হয়ে লড়াই করতে হবে। আমাদের হাতে সময় অনেক কম। সময় অপচয় না করে সকলের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। প্রথম দিন থেকে বলছি, যে যেখানে শক্তিশালী তাকে সেখানে লড়তে দেওয়া হোক। সেটা করলেই হয়তো এই বিপর্যয় হত না।' তবে ইন্ডিয়া জোটের শরিক হিসেবে তৃণমূল যে এই জয়কে সেমিফাইনাল বলতে নারাজ, তা অভিষেকের কথায় উঠে এসেছে। আমিও ব্যক্তিগতভাবে তাই মনে করি। সেমিফাইনাল ব্র্যান্ড দেওয়াটা হয়তো পলিটিকাল চর্চার অঙ্গ কিন্তু ফলিত রাজনীতি তা বলে না। 

উল্লেখ্য, ২০১৯'এর লোকসভা ভোটের আগে ২০১৮ সালে এই ৩ রাজ্যেই হেরেছিল বিজেপি। ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের ভোটে কংগ্রেস জিতেছিল। তখন তো বিজেপি নেতারা বলেননি এটা মোদীর হার। বরং তখন বলা হয়েছিল, রাজ্যের ভোটের সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। আবার যদি ২০০৪-এ ফিরে যাই দেখব আরেক ন্যারেটিভ। ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে ২০০৩-এ হিন্দি বলয়ের এই ৩ রাজ্যে ভোটে জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু লোকসভা ভোটে দেখা যায় ডাহা হেরে যায় গেরুয়া দল। ভরাডুবি হয় এনডিএ জোটেরও। রবিবার তিন রাজ্যে গেরুয়া ঝড় উঠতেই বিজেপি একটা ধারণা তৈরি করতে চাইছে যে নরেন্দ্র মোদী অপ্রতিরোধ্য। গোটা দেশে তাঁর সমর্থনে হাওয়া বইছে। রাজনীতি আসলে পার্সেপশনের খেলা। কে কী গ্রহণযোগ্য আখ্যান তৈরি করতে পারছে, তার ওপরেই নির্ভর করে অনেক কিছু। বিজেপির এই আখ্যানের পালটা আখ্যান নিয়েই ইন্ডিয়া জোটকে দ্রুত কৌশল তৈরি করতে হবে। 

পাঁচ রাজ্যের ভোটের মধ্যেই নীতীশ কুমার প্রশ্ন তুলেছিলেন, নেতৃত্বের ব্যাটন হাতে নিয়েও কংগ্রেস নেতারা কেন গুটিয়ে গেলেন। জেডিইউ প্রধানের বক্তব্য ছিল, এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে চার রাজ্যের বিধানসভা ভোট কংগ্রেসের কাছে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছে দিল্লির মোদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে। ভারতের সংহতি ও সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে রক্ষা করাই জোটের আসল লক্ষ্য। কংগ্রেস বিধানসভা ভোটের জন্য লোকসভার লড়াইকে সাইড লাইনে বসিয়ে রাখতে পারে না।

নীতীশ কুমারের ওই বক্তব্যের জবাবে কংগ্রেস নেতৃত্ব হিরণ্ময় নীরবতা রক্ষা করেছে।  এখন মহাবিপর্যয়ের পর কংগ্রেস হাই কমান্ডের টনক নড়েছে। নিজেদের জয় নিশ্চিত ভেবে নিয়ে হাত শিবিরের প্রাদেশিক নেতারা জোটধর্ম বিসর্জন দিয়ে ভোটে প্রার্থী দেওয়া ও প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলোকে একটা-দুটো আসন ছেড়ে দিয়ে, আগামী দিনের জন্য বড় বার্তা দেওয়া যেত, তা ভেবে দেখেননি। উলটে, বিজেপিকে যে ভাষায় আক্রমণ করেছে, শরিক দলগুলোকেও তেমন ভাষায় আক্রমণ করেছে। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস ধরতেই পারেনি, নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর দল যত লড়াইয়ের মাঠটাকে বড় করে জাতীয় রাজনীতির অংশ করে নিচ্ছে, কংগ্রেস ততই প্রাদেশিক করে তুলেছে ভোটযুদ্ধকে। অথচ কংগ্রেস খেয়াল রাখেনি, ২০১২ সাল থেকে হিন্দি বলয়ে ক্রমেই গেরুয়া শিবির বড় হয়েছে আর কংগ্রেস জমি হারিয়েছে৷ আর এই জমি হারিয়েছে নরম হিন্দুত্ব করতে গিয়ে। রাম লালা বনাম রাম গমন পথ করতে গিয়ে এবার জমি হারালো মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে। রামই পথ- এই যদি কট্টর হিন্দুত্ব হয়, তবে সেই মাঠে রামের গমন পথ নিয়ে কত দূর লড়তে পারে কমলনাথ-মার্কা কংগ্রেস-হিন্দু নেতারা! 

অথচ মধ্যপ্রদেশে বিজেপির মসনদ ধরে রাখার লড়াই সহজ ছিল না। রাজ্যে ২০ বছরের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা। সেখানে নরেন্দ্র মোদী শিবরাজ সিং চৌহানকে সামনে ঠেলে না দিয়ে নিজেই এগিয়ে গেলেন। নিজেকে মধ্যপ্রদেশবাসীর কাছে গ্যারান্টার করে তুলে ধরলেন। পাশে ছত্তিশগড়ে মুখ্যমন্ত্রীর জনকল্যাণমুখি প্রকল্পের জনপ্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করতে না পেরে সামনে নিয়ে আসা হল 'মহাদেব' অ্যাপ কেলেঙ্কারি। আরেক রাজ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তিই তার জয়ের যেমন কাণ্ডারী হতে পারত, তেমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও ছিঁড়ে খেল কংগ্রেসকে। জাদুকরের ভূমিকা হল, পথে বসা। তিন রাজ্যে এই  আলাদা আলাদা চ্যালেঞ্জ ছিল বিজেপির সামনে। তিন চ্যালেঞ্জেই একেবারে দাপটের সঙ্গে উতরে গেল বিজেপি। সৌজন্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা মোদী ম্যাজিক। কার্যত 'ব্র্যান্ড মোদী' বনাম 'ব্র্যান্ড রাহুল' খেলায় কংগ্রেস কুপোকাত। 

এখনও সময় আছে। আমার বিবেচনায়, জোটধর্ম যথাযথ পালন হলে লোকসভা ভোটে এই তথাকথিত সেমিফাইনালের প্রভাব পড়বে না। INDIA জোটের প্রভাব থাকবে। দেশে বিজেপিকে হারানোর লড়াইতে নেতৃত্ব শুধু কংগ্রেসের একার দেওয়ার কম্মো নয়, আঞ্চলিক দলগুলিকে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে সামনে রেখে কংগ্রেসকে পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করতে হবে।


4 comments:

  1. হিন্দি বলয় আর অ- হিন্দি ভাষী বলয় দুই ভাগে দেশ ভাগ হয়ে যাবে এভাবে চলতে থাকলে।

    ReplyDelete
  2. ভালো বিশ্লেষণ

    ReplyDelete
  3. দক্ষিণ ভারতের নেতৃত্বে এগিয়ে চলুক দেশ।

    ReplyDelete
  4. ভালো বিশ্লেষণ, ধন্যবাদ। আসলে কংগ্রেস একটা গ‍্যাম্বল বা জুয়ার দান খেলে ঠকে গেছে। ভেবেছিল এখানের সাফল্য নিয়ে তেসরা ডিসেম্বরের পর ইনডিয়া জোটে কড়া বারগেনিং করবে। খুব বাজে পরিকল্পনা।লোকসানের দিকটা হিসেব করেনি। বিজেপির বিরুদ্ধে অলআউট লড়তে হবে এটা ভুলে গেছিল। অথচ, যৌথ আক্রমণের খুব দরকার ছিল। অখিলেশ রাহুল একমঞ্চে ডাকলে তবেই যাদব ভোট কংগ্রেসের ঝুলিতে আসবে, রাহুল একা জাতি জনগণনা বললেই কাজ শেষ হয় না। এমনকি ছত্তিশগড়ে মধ‍্যপ্রদেশে হেমন্ত সরেনকেও নিয়ে আসা উচিৎ ছিল। চন্দ্রশেখর আজাদ রাবণকেও আনা দরকার ছিল।
    যাক, এই পর্ব হয়ে গেছে ভেবে লাভ নেই - কংগ্রেসের পাওনা তেলেঙ্গানা আর এরকম ভুলের পরেও চল্লিশ শতাংশ ভোট ধরে রাখা, এবং ভুল শুধরে নেওয়া জরুরী সেটা বোঝা গেল। নাহলে লোকসভাতেও এই ভুল করলে বেশিক্ষতি হত।

    ReplyDelete