Sunday 24 September 2023

'জওয়ান'এর সত্যি-মিথ্যে

ফ্যান্টাসির জগতে কিছু সাহসী বাচন

সৌভিক দত্ত



জয়, রাজ, সোম আর দীপেন- চার বন্ধু এই রবিবার দুপুরে গিয়েছিল 'জ‌ওয়ান' দেখতে। জয়ের ফ্ল্যাটটা আইনক্সের কাছেই। ওই বলল, চল আমার ওখানে একটু আড্ডা মেরে তারপর যাবি। চার বন্ধু আর জয়ের স্ত্রী পৃথার আড্ডায় কান পাততে হল 'একক মাত্রা'র জন্যে।

সোম- এই নিয়ে তোর কবার হল জয়?

জয়- মাত্র ছ' বার।

সোম- তোর মতো পাগলরাই ছবিটাকে হিট করে দিবি।

জয়- ওরে এটা অর্ডিনারি হিট না বুঝলি, প্রথম ১৭ দিনে জ‌ওয়ান শুধু ইন্ডিয়াতে ৫৪৫ কোটি টাকার বিজনেস করেছে আর গোটা বিশ্বে ধরলে হাজার কোটির কাছাকাছি। ধারেকাছে কেউ নেই রে! এটা শুধু আমার মতো কয়েকজন করতে পারে?

রাজ- এটা কিন্তু ঠিক। শাহরুখের কমিটেড ফ্যানবেস এই মেগাহিট দিতে পারত না। সিনেমাটা কিন্তু শাহরুখ ফ্যানদের বাইরেও একটা সাড়া ফেলেছে। 

পৃথা- তা তো ফেলেইছে। ফর দ্যাট ম্যাটার, আমি তো সেভাবে শাহরুখ ফ্যান না, কিন্তু আমার তো খুব ভালো লেগেছে। আমিও জয়ের সাথে দুবার দেখেছি।

রাজ- সে কি, শাহরুখ তো মেয়ে মহলেই বেশি পপুলার!

পৃথা- কম বয়সে আমিও ছিলাম তো, কিন্তু ওর ম্যানারিজম একটা সময় থেকে একটু একঘেয়ে লাগতে শুরু করে।

সোম- বেশ, পৃথা একসময় ফ্যান থাকলেও এখন তো আর নেই, তবু তোমার এই মুভিটা কেন ভালো লাগল একটু বলো!

পৃথা- দেখুন, আমার কাছে গোটা ফিল্মটা ভালো লেগেছে। শাহরুখের ফিল্ম বলে না। আইডিয়াটা বেশ ভালো। এই যে রিয়েল লাইফ সমস্যাগুলোকে সিনেমায় তুলে আনা- এটা বেশ নতুন। 

সোম- নতুন বলা যায় কী? রাজকুমার হিরানির 'লগে রহো মুন্নাভাই', 'থ্রি ইডিয়টস', নীরজ পান্ডের 'এ ওয়েডনেসডে', রাকেশ মেহেরার 'রং দে বাসন্তী' এগুলোও তো রিয়েল লাইফ প্রবলেমের ওপর দাঁড়িয়ে তৈরি করা।

পৃথা- এটাতে কিন্তু একটা নয়, একের পর এক বার্নিং ইস্যু তুলে আনা হয়েছে- কৃষি ঋণ জনিত কারণে কৃষক আত্মহত্যা, হাসপাতালের দুরবস্থা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পল্যুশন, কর্পোরেট ফান্ডিং- আজকের ভারতের প্রতিটা বড় সমস্যাকে হাইলাইট করা হয়েছে। ধ্রুব রাঠি নামে একটি ছেলের ইউটিউব চ্যানেল আছে। ওটাতে 'জ‌ওয়ান' নিয়ে এপিসোডটা একবার দেখবেন (https://www.youtube.com/watch?v=HodJLhRV7gY)। ও আলোচনা করেছে, জ‌ওয়ানের প্রতিটা ইস্যু কোন কোন সত্যি ঘটনার ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

সোম- আচ্ছা পৃথা, এই সমস্যাগুলো যে আছে তা কি আমরা একটা সিনেমা দেখে জানব? নাকি একটা হিট ছবিতে দেখলে তবে তা নিয়ে ভাবতে শুরু করব?

পৃথা- তা নিশ্চয়ই নয় সোমদা। যারা আপনার মতো সচেতন মানুষ, দেশের হালহকিকতের খবর রাখেন তাঁদের কথা তো হচ্ছে না, আমি বলছি দেশের আমজনতার কথা। যারা বিবিসি নিউজ চ্যানেল দেখে না, ব্লুমবার্গ বা হিনডেনবার্গ কী তা জানে না, তাদের কাছে তো এইসব খবর পৌঁছে দেওয়ার দরকার আছে!

রাজ- আলবাত আছে। বিশেষ করে আজকের মোডিফায়েড ইন্ডিয়ায় আরও বেশি দরকার আছে। দেশি মিডিয়াকে তো পুরো পকেটে পুরে ফেলেছে। কেউ একটা ট্যাঁফোঁ করতে সাহস পায় না। করলেই ইডি সিবিআই লেলিয়ে দেবে। অঘোষিত এমার্জেন্সি!

জয়- আর এই জামানায় এরকম একটা ফিল্ম বানানোর মতো বাপের ব্যাটা একজন‌ই আছে- বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান! মাইরি দম আছে লোকটার। আর এটা তো ওর বাবার প্রতি একটা ট্রিবিউট। ওঁর বাবা তো ফ্রিডম ফাইটার ছিলেন। ওর ধমনীতে সেই ফাইটারের রক্ত ব‌ইছে। যত‌ই সাকসেস পাক, ওর পা'টা এখনও মাটিতে। ওর মধ্যে একটা রেবেল বেঁচে আছে!

পৃথা- শাহরুখ যে কারণেই করে থাকুক, আমার মতে, কতকগুলো ভাইটাল ইস্যুকে একাডেমিক আর ইন্টেলেকচুয়ালদের চার দেওয়ালের বাইরে টেনে একদম পাবলিক ডোমেইনের বড় রাস্তায় এনে ফেলেছে। 

রাজ- আর সে জন্যই দিল্লি আর নাগপুরে ধুকপুকুনি শুরু হয়েছে। আমি তো বলব, ওই INDIA জোটের চেয়েও এটা বড় ধাক্কা। ওই জোট ঘোঁটের খেলায় বিজেপি ওস্তাদ খেলোয়াড়। সেটা ওদের চেনা মাঠ। কিন্তু এই খেলায় তেমন প্লেয়ার ওদের হাতে নেই। ওই বিবেক অগ্নিহোত্রী, অনুপম খের আর কঙ্গনা রানাওয়াত'এর কাদা ছোড়াছুড়ি দিয়ে এই ঢেউকে সামলানো যাবে না। 

জয়- ইয়েস! শাহরুখের সামনে এইসব চুনোপুঁটিরা জাস্ট ভেসে যাবে! আরে, অন্য কেউ বানালে এই ছবি রিলিজ করতেই দিত না । নেহাৎ বেতাজ বাদশাহ শাহরুখ বলে সাহস পায়নি। সারা দুনিয়ায় মুখ পুড়ত।

পৃথা- তাছাড়া আজকের নেট দুনিয়ায় ছবি ব্যান করে দেখা আটকানো যায় নাকি? বরং নিষিদ্ধ হলে লোকে আরও গোগ্রাসে গিলত!

সোম- আরে, গোমাতার সন্তানরা অতশত ভাবে না। আসল কথা হল, শাহরুখ-গৌরী, অ্যাটলি'রা বুদ্ধি করে ফিল্মটাতে কয়েক ফোঁটা দেশপ্রেমের জোলাপ‌ও মিশিয়ে দিয়েছে! তাকে ব্যান করলে তো সেমসাইড হয়ে যাবে না?

সোম- নামটাই ধর। সেটার মধ্যেই এই ন্যাশনালিস্ট সেন্টিমেন্টকে ধরার চেষ্টা আছে। গল্পের যা প্লট তাতে এই নামটা খুব obvious choice নয়। আর যে ইস্যুগুলো তোলা হয়েছে বলে তোরা সবাই এত উত্তেজিত, সেগুলো যে রিয়েল তা নিয়ে কারও মনে কোনও সন্দেহই নেই। কিন্তু সেগুলোর যে অ্যাবসার্ড সল্যুশন দেখানো হয়েছে সেটা তো ইস্যুগুলোকে ডাইলিউট করে দেয়। কৃষি ঋণ সমস্যার সমাধান হচ্ছে মেট্রো রেল হাইজ্যাক করে। হাসপাতালের হাল ফেরানো হচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বুকে গুলি চালিয়ে তাকে কিডন্যাপ করে। এই ট্রিভিয়ালাইজেশন‌ও এক ধরনের সাবভার্সন। এর থেকে লোকের মনে এই ধারণা বদ্ধমূল হবে যে এই সমস্যাগুলো নিয়ে বড়জোর আকাশকুসুম কল্পনা করা যায়। কিন্তু কোনও প্র্যাক্টিকাল সলিউশন খুঁজতে যাওয়া বৃথা। দ্য সলিউশনস আর ওনলি ইন দ্য রিলম অফ চাইল্ডিস ফ্যান্টাসি।

রাজ- আরে ভাই, তুই কি এক্সপেক্ট করছিস শাহরুখ খান লেনিনের মতো 'What is to be done' গোছের ব‌ই লিখবে? কেন ভুলে যাচ্ছিস যে এটা একটা মেনস্ট্রিম কমার্শিয়াল মুভি! এর প্রধান উদ্দেশ্য হল ব্যবসা আর এন্টারটেইনমেন্ট। 

জয়- আর সেই কাজে শাহরুখ টু হান্ড্রেড পার্সেন্ট সাকসেসফুল!

সোম- পথে এসো বাছারা। তোমরাই তো বাবা 'জ‌ওয়ান'কে এমন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিলে যেন এটা একটা কাউন্টার হেজিমনি মুভমেন্ট সূচনা করেছে। শাহরুখ খান যেন চে গুয়েভারা! বরং আমার মনে হয়, এটা একটা কমপ্লেক্স লেভেলের পারসুয়েসিভ হেজিমনির উদাহরণ। ক্ষমতা তার ক্ষতস্থানগুলো দেখানো ও সেগুলো নিরাময়ের মন ভোলানো কিন্তু আষাঢ়ে গল্প শোনানোর প্রকল্পটাও নিজেই আত্মসাৎ করবে। 

জয়- সে তুমি হেজিমনি হেজিমনি বলে যত‌ই হেজাও, মেন কথা হচ্ছে যে পাবলিক খাচ্ছে- একেবারে চেটেপুটে খাচ্ছে। আর গণতন্ত্রে পাবলিকই হল শেষ কথা!

পৃথা- হয়তো পাবলিকের মধ্যেও এই ইস্যুগুলো চাপা ছিল, কিন্তু তাদের বলার কোনও ফোরাম পাচ্ছিল না। একজন হিরো তাঁদের কথাগুলো বলছে দেখে তাঁরা এরকম স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিচ্ছে আর সেটাই টিকিটের লাইনে রিফ্লেক্টেড হচ্ছে।

রাজ- শুধু টিকিটের লাইনে না, ভোটের লাইনেও হবে। সত্যজিৎ রায় তো রিয়েলিস্টিক ছবি করতেন। 'হীরক রাজার দেশে' উনিও দেখিয়েছিলেন যে 'দড়ি ধরে মারো টান রাজা হবে খান খান'। বাস্তবে কি আর ওইভাবে রাজতন্ত্রের পতন হয়? এগুলো হলো সিম্বলিক। কাউ-ডাং খোরগুলো এবার বিদেয় হবে। সিস্টেমকে এই জোর ধাক্কা দেওয়াটা খুব জরুরি ছিল। ধাক্কা খেয়ে যদি একটু ঠিকঠাক হয়।

সোম- আমি কিন্তু কিছুতেই ওইরকম অপটিমিস্ট হতে পারছি না। সিস্টেমকে ধাক্কা দেওয়া কি এতই সোজা? বিশেষ করে সেই সিস্টেমের একজন তল্পিবাহকের পক্ষে? তোরা যেগুলো রিয়েল ইস্যু বলছিস, সেই ঋণখেলাপি বা ভেঙে পড়া জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা- এগুলো হচ্ছে রিয়েল ইস্যু'র এক একটা উপসর্গ। আর রিয়েল ইস্যুকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য ক্ষমতা যে অসংখ্য মনোরঞ্জনমূলক জুমলার আয়োজন করে থাকে এই উপমহাদেশে তার প্রধান দুটো হল সিনেমা আর ক্রিকেট। আইপিএল'এ শাহরুখের মালিকানাধীন যে 'রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট' একটা অন্যতম বড় ফ্রাঞ্চাইজি সেটাই এই ছবির প্রযোজক। আমার মজা লাগছে এই দেখে, যে লোকটা এই সিস্টেমের একজন প্রধান বেনিফিশিয়ারি তাকেই তোরা এটা ভাঙ্গার জন্য মসীহ ঠাওরেছিস। রাজ আর জয় তোরা আসলে একটা ফিক্সড ধারণার প্রিজনার হয়ে গেছিস।

পৃথা- আমিও কিন্তু কোনও মৌলিক বা বড় পরিবর্তন আশা করছি না। 

দীপেন- আচ্ছা রাত কিন্তু অনেক হল, আমার মনে হয় এবার বেরতে হবে।

জয়- না, ওই কচুরিগুলো শেষ না করে উঠতে দেব না। আর দীপেন এতো চুপচাপ কেন? তুই ও তো 'জ‌ওয়ান' দেখলি, তোর কি কিছুই বলার নেই? 

দীপেন- না আসলে, জানিস‌ই তো আমি একটু কনফিউজড মানুষ। তোদের সবার মতো এত সিওর হয়ে কিছু বলতে পারি না। 

পৃথা- বেশ একটু আনসিওর হয়েই বলুন না কী মনে হয়!

দীপেন- হয়তো আমি ভুল বলছি, কিন্তু আমার মনে হয় যে সিস্টেম বদলানোর ব্যাপারে বা ক্ষমতা বলতে আমরা যে মূলত রাষ্ট্রকেই বোঝাই, এটা হয়তো পুরোপুরি ঠিক নয়। মানে, রাষ্ট্রই ক্ষমতার একমাত্র কেন্দ্র নয়, আরও অনেক কেন্দ্র আছে।

সোম- জিও গুরু, গুটিগুটি মিশেল ফুকোর দিকে এগোচ্ছে মনে হচ্ছে ...

পৃথা- সোমদা প্লিজ, দীপেনদা এতক্ষণ একটা কথাও বলেননি, একটু বলতে দিন না।

দীপেন- দেখ সোম, আমি তোর মতো অত পড়াশোনা করিনি, বিশেষ করে পোস্ট-মডার্নিজম এসব একেবারেই জানি না। ফুকো-টুকো আমার সিলেবাসের বাইরে। সাধারণ বুদ্ধিতে যা মনে হয় তাই বলছি। আমার ধারণা, সব বিষয়ে আমাদের চিন্তা বড় বেশি রাষ্ট্র নির্ভর। আমরা আদর্শ রাষ্ট্র আশা করি, কিন্তু সমাজের কুৎসিত বিশ্বাস ও ব্যবস্থা দূর করার চেষ্টা করি না। আমরা আমাদের পারিবারিক কুপ্রথাগুলো সংশোধন করার কোনও উদ্যোগ নিই না। নিজেদের বা সন্তানদের মানুষ হিসেবে উন্নত করে তোলার বিষয়ে আমাদের কোনও উৎসাহ নেই। আর সে জন্য আমরা সমস্যাগুলোর সমাধান হিসেবে আমাদের ম্যাজিক দেখতে ভালো লাগে। যেরকম ম্যাজিক শাহরুখরা দেখিয়েছেন 'জ‌ওয়ান' ছবিতে। 

রাজ- সামাজিক আর পারিবারিক কুপ্রথা বলতে কি তুই জাতপাত এসব বোঝাচ্ছিস?

দীপেন- সেগুলো তো অনেক বড় সমস্যা। ছোটখাটো অনেক কিছু আছে যা আমাদের হাতের মধ্যে। সে সব নিয়েও কি আমরা কিছু করি? যেমন ধর, বিয়ে শাদী উপলক্ষে যে বিরাট অপচয়ের একটা বিচ্ছিরি খেলায় আমরা মেতে উঠি আমাদের মতো দেশে, যেখানে এত দারিদ্র্য, এত অনাহার তেমন দেশ বা সমাজের পক্ষে কি তা মানানস‌ই? আজ যদি আমি টুকুনের বিয়ে দিই- অন্তত পঞ্চাশ লাখ টাকার বাজেট নিয়ে নামতে হবে। ন‌ইলে সোসাইটিতে আমাদের তথাকথিত প্রেস্টিজ থাকবে না। আমি তোদের পঞ্চব্যঞ্জনে আপ্যায়ন করব আর তোরাও অহেতুক দামী দামী উপহার নিয়ে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাবি।  পুরো অনুষ্ঠানটা ঘিরে যে কোটি টাকার মতো উড়ে যাবে, যার বেশিরভাগই গয়নাগাটির পেছনে, সেটার কিন্তু অনেক ভালো বিকল্প ব্যবহার হতে পারত। এবং লাখ দুয়েক খরচ করেই একটা যথেষ্ট সুন্দর ছিমছাম বিয়ের ব্যবস্থা করা যেত। কিন্তু সেটা কিছুতেই হবার নয়। কেউ আমাদের বাধ্য করবে না অথচ আমরা নিদারুণ অসহায়। আমি নিজের দিকে যখন তাকাই তখন ওই বড় বড় সমস্যা নিয়ে লম্বা চ‌ওড়া কথা বলতে নিজের কানেই বাজে।

জয়- যাহ্ টুকুনের বিয়েতে খুব হুল্লোড় করব, কব্জি ডুবিয়ে খাব ভাবছিলাম কিন্তু এখন তো হাওয়া সুবিধের ঠেকছে না। 

রাজ- বিয়েবাড়ি কী, তোরা আজই যা খাইয়েছিস জয়, আমার পেটটা কেমন আইঢাই করছে। পৃথা, বাড়িতে জোয়ানের আরক জাতীয় কিছু আছে?

সোম- আরে জোয়ানের আরক টারক কিছু লাগবে না। আজ 'জ‌ওয়ান'এর আরকের যা ডোজ পড়েছে, চল হেঁটে ফিরি পেট হাল্কা হাল্কা হয়ে যাবে।

জয় আর পৃথাকে বিদায় জানিয়ে তিন বন্ধু হাসতে হাসতে বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়।


3 comments:

  1. খুব ভালো লেখা। মধ্যবিত্ত চিত্ত উপস্থনা।

    ReplyDelete
  2. আমি তো জানতাম ফিল্ম আসলে সিনেমা পরিচালকের শিল্প। কখনো কখনো অভিনেতা বিরাট ভূমিকা নেয়। তাই বলে তাকেই সর্বস্ব বলাটা কি ঠিক?

    ReplyDelete
    Replies
    1. এখানে যিনি নায়ক বকলমে তিনিই প্রযোজক। এবং গোটা ছবিটি শাহরুখ ময়। তাই তাঁর কথাই বেশি এসেছে। তবে এটা আপনি ঠিকই বলেছেন যে ফিল্মে পরিচালকের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে এটলি কুমারের গল্প এবং পরিচালনা ও অত্যন্ত স্মার্ট, ঝকঝকে। তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এবং আপনার সমালোচনা সঙ্গত ও স্বীকার্য।
      সৌভিক দত্ত।

      Delete