ছিল পুণ্যস্নান হয়ে গেল কুম্ভমেলা
মালবিকা মিত্র
সেটা ২০১৬ সাল হবে। বাঁশবেড়িয়া হংসেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছি ঘুরতে। একে দুপুর, তায় সারাদিন ঝিরঝির বৃষ্টি। ছাতা মাথায় ঘুরছি। হঠাৎই এক মহিলার কন্ঠ-
- জারা ইধার শুনিয়ে মাইজি।
- হ্যাঁ বলো কী বলছ?
দেখলাম মহিলা একা নয়, তারা জনা তিন। আমার কাছে জানতে চাইল আমি শিবজীর ভক্ত কিনা। তারপর জানালো, তারা কোনও টাকাপয়সা চায় না। একটা ছোট্ট অফসেট প্রিন্ট করা বর্ণময় লিফলেট দিল। ভাবলাম, এবার নিশ্চয়ই টাকা চাইবে। না, এরপর বলল, সারাদিনের মধ্যে যখনই হোক এটা পড়বেন। বিপদে পড়লে, বিপদে না পড়লেও। মাত্র চার লাইন মন্ত্র।
- সির্ফ পড়নে মে কেয়া তকলীফ হ্যায়, হ্যায় না?
লিফলেটটা ব্যাগে রাখলাম। খানিকটা সময় কাটিয়ে গেলাম দেবানন্দপুরে, লাহিড়ী বাবার আশ্রমে। ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। যেন একই ওষুধ, একই কোম্পানির এমআর ডাক্তারের কাছে ডেমো দিচ্ছেন। এরপরই বিষয়টা আমাকে ভাবালো।
প্রথমত, মহিলাদের দিয়ে মহিলাদের অ্যাপ্রোচ করা। একজন পুরুষকে আপনি যত সহজে এড়াতে পারবেন, একজন মহিলাকে পারবেন না। আর একজন মহিলার মাধ্যমে আপনি একটি গৃহের অন্তঃপুরে একটা লিফলেট পৌঁছে দিলেন। একটু লক্ষ করবেন, একজন মহিলা পথে পাওয়া একটা লিফলেট যত্ন করে ব্যাগে রাখে, ঘরে এসেও সেটা টেবিলে, টিভি বা ফ্রিজের উপর চাপা দিয়ে রাখে। ফেলার হলে ৫/৭ দিন পরে ফেলে। এই কদিনে বাড়িতে অনেকে ওটা খুলবে, দেখবে। ওতেই আসল কাজ সাঙ্গ।
দ্বিতীয়ত, পুরো একভাবে এক বয়ানে ডেমো, এটা সংগঠিত প্রয়াস ছাড়া হতে পারে না। নিশ্চিত করে বলা যায়, একটা কোনও কেন্দ্রীয় কর্মশালার বয়ান। অ্যামওয়ে, টুপারওয়্যার, অরিফ্লেম, মোদিকেয়ার যেমন করে থাকে।
তৃতীয়ত, অত ভালো বর্ণময় লিফলেট খুব বৃহদায়তন সংখ্যক ছাপাতে হবে। না হলে সেটা ব্যয়বহুল হবে। আমি নিশ্চিত ওটা কেন্দ্রীয় ভাবে ছাপানো হয়েছে।
চতুর্থত, আরও অনেক দিন পর কোন্নগরে ভাগওয়া ঝান্ডার একটি মিছিলে 'রাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ' (আরএসএস) ব্যানারে ওই একই লিফলেট বিলি হচ্ছিল। ফলে, আমার ধারণা আরও দৃঢ় হল। এটা একটা কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার ফসল।
এখন তো ২০১৮-১৯'এর পর থেকে দেখছি, দুপুরে, সন্ধ্যায়, রাতে, হর হর মহাদেব, ভোলা রে ভোলা- একটানা একঘেঁয়ে সুরে অষ্টপ্রহর মাইকে বাজছে। মহিলারা একদল ছাড়ল তো শিশু-কিশোরীর দল ধরল। জানেন, শিবরাত্রি ছিল গৃহের উৎসব। গৃহের অভ্যন্তরে ২/৩ বাড়ির মেয়ে বৌ'রা একত্রিত হয়ে রাত্রি জাগত। বড় জোর পরস্পর তিনটি সিনেমা দেখে রাত জাগত। পাড়া তো দূরস্থান, বাড়ির অন্য কারও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটত না। এখন আমার পাশের পাড়ায় মাইকের গম্ভীর শব্দ গর্জন তুলে সারা রাত ধরে জগঝম্প মিউজিকের সঙ্গে লাঠি খেলা, ছোরা খেলা, কুস্তি-ক্যারাটে চলে। আর থাকে আবগারি বিভাগের আশীর্বাদ পুষ্ট অঢেল পানীয়।
এতদিন এই অনুষ্ঠান ছিল হিন্দি ভাষী অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ। হঠাৎই অর্থের বান ডাকল। শিব মন্দির তৈরি হল নতুন নতুন। সাবেক শিববাড়ি, শিবতলা, বাবার থান, ষন্ডেশ্বর মন্দির, আঞ্চলিক বিশ্বাস স্থলও প্রাচীন দর্শনীয় স্থানে পরিণত হল। নতুন শিবের মন্দিরগুলি পাথর টাইলস শোভিত, কাশী-বারাণসী স্টাইলের সাজে পান্ডা পূজারী আর শব্দ তাণ্ডব। নিত্য আছে ভোগের আয়োজন। আর ভাত ছড়ালে কাকের অভাব? বেআইনি চোলাই মদের কারবারি, আমাদের সকলের চেনা, রাতারাতি মন্দিরের পূজারী। অফিস ফেরত যাত্রী, কলেজ ফেরত ছাত্রী, সবাই দাঁড়িয়ে ভক্তি গদগদ হয়ে প্রণাম ও তারপর ভোগ গ্রহণ।
একদা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'এর সাংবাদিক, আমার পরিচিত, আমার কাছে সব শুনে বলল, এই রাজ্যের আরএসএস নেতার মুখে শোনা, রামের প্রভাব এই রাজ্যে অচল না হলেও যৎসামান্য। যারা বিজেপি পার্টি কর্মী তারা মাথামোটা'র মতো জয় শ্রীরাম বলছে বটে, বাংলায় এটা সাড়া পাবে না। উল্টোই ফল হবে। বরং শিব-পার্বতী এখানে ঘরের মেয়ে জামাই। অন্তঃপুরে তাদের স্থান। তাই আরএসএস চায় শিব ও কৃষ্ণকে বাংলায় আইকন করতে। কীর্তন দলগুলো ও কীর্তন সংগঠক দুইই এদের লক্ষ্য। বাঙালি শবযাত্রায় বলে, হরি বোল। সাক্ষাৎ সম্বোধনে বলে হরেকৃষ্ণ, জয় রাধে, জয়গুরু, শুভযাত্রা কামনায় বলে দুর্গা দুর্গা।
ওই সাংবাদিকই বলল, দেখবেন স্থানীয় তৃণমূল দল ও প্রশাসন এগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে তারাই এগুলোর হাল ধরেছে, নেতৃত্বে আছে। বিজেপি সুবিধা করতে পারছে না। তৃণমূল এই কৌশল নিয়ে ভোটের অঙ্কে অনেকাংশে সফল। উৎসব সবার, এই মনোভাব। কিন্তু আরএসএস চায় উৎসব নয়, ধর্ম। আরএসএস'এর এই আদর্শের ক্ষেত্রকে আঘাত দেবার ক্ষমতা তৃণমূলের জনপ্রিয় কর্মসূচির দ্বারা সম্ভব হবে কি?
হুগলি জেলার বাঁশবেড়িয়া পৌরসভা। সেখানে ত্রিবেণীতে ২/৩ বছর ধরে কুম্ভমেলা আয়োজন হচ্ছে। পৌর প্রশাসনের একটা দায়িত্ব থাকেই। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, জনস্বাস্থ্য ইত্যাদি বিভিন্ন প্রশ্ন জড়িত। কিন্তু মেলা কমিটি, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তৃণমূলের পৌরপ্রধান, উপ পৌরপ্রধান ও সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক ঐতিহ্যবাহী কুম্ভমেলা আরও ভালো করে পরিচালনা, স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণ নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দেন। এমনকি আমেরিকা প্রবাসী কাঞ্চন ব্যানার্জীকে তার সক্রিয় উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানান। প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা স্বীকার করছি। কিন্তু সমান্তরাল ভাবে দল কি মানুষকে সজাগ সতর্ক করেছিল? নাকি তৃণমূল দলও মেলার অভিন্ন অঙ্গে পরিণত হয়েছিল। এই কথাগুলো কেন উঠছে সেটা বলি।
বর্ষীয়ান আরএসএস মুখপাত্র মোহিত রায় এই ত্রিবেণী কুম্ভমেলাকে মহিমান্বিত করে বলেছেন, '703 years ago, Zafar Khan Ghazi converted Tribeni’s Vishnu temple into a mosque. The Kumbho bathing and the fair stopped from that time. After 1319, the fair is going to resume this year.' (On 12 February 2022, a day before the inauguration, a Facebook post from the page of the BJP-backed platform Paschimbanger Jonyo)। আরএসএস মেলার শুরু থেকেই মন্দির-মসজিদ প্রসঙ্গ তুলছে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে। তাই শুরু থেকেই তৃণমূলকে দল হিসেবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। অন্যথায় তৃণমূল কর্মীরা বিপথগামী হবে।
মাস্টার প্ল্যানটা ভাবুন একবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে (২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩) ত্রিবেণীতে এই বিশেষ উদ্যোগকে সার্টিফিকেট দিলেন। সেই সঙ্গে উৎসবের মধ্যে বিষ প্রয়োগ করলেন, 'But do you know why it is so special? It is special, since this practice has been revived after 700 years,' said Modi. '... unfortunately this festival which used to take place in Tribeni, Bengal, was stopped 700 years ago. It should have been started after independence, but that too could not happen.' দেশ মুসলমান, খৃস্টানদের অধীনতা মুক্ত হবার পরেও সত্তর বছর স্বাধীনতা পায়নি। মোদিজী এসে স্বাধীনতা দিলেন (হিন্দুদের)। 'অযোধ্যা সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়/ কাশি মথুরা বাকি হ্যায়।' শুধু কাশি মথুরা নয়, সারা দেশে, বিশেষ করে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে মন্দির-মসজিদ ইস্যু অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এই ইস্যু বিজেপি রাজনীতির প্রাণরেখা। সিপিএম ও কংগ্রেস প্রধান কেরলেও আরএসএস সক্রিয়।
The Hindu right-wing effort to ‘revive’ Hindu festivals, whether fictitious or real, near sites where Hindu temples were allegedly razed, is playing out in states beyond West Bengal. For instance, in Left-ruled Kerala, a festival was ‘revived’ in Muslim-majority Malappuram district after an alleged break of 250 years.
সত্যতা থাকুক না থাকুক, তথ্য প্রমাণ না থাকুক, প্রশ্নটা হাওয়ায় ভাসিয়ে দাও। কান প্রস্তুত থাকলে ঠিক ধরা পড়বে কানে। গুজবের তাত্ত্বিক ভিত্তি এটাই। কানাডার গবেষক অ্যালান মরিনিস বাংলার পুজো-পার্বণ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন ত্রিবেণীর প্রাচীন ঘাটের কথা। মকর সংক্রান্তির দিনে এখানে পুণ্য স্নানের কথা উল্লেখ করেছেন, যা এখনও সব গঙ্গার ঘাটে হয়ে থাকে। কিন্তু দুর্জনের ব্যাখ্যায় পুণ্য স্নান হয়ে গেল কুম্ভমেলা। গবেষক মরিনিস 'দ্য টেলিগ্রাফ' (১৮ মে ২০২৩) পত্রিকায় 'মন কি বাত'এ প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। কিন্তু সংঘের ঢক্কানিনাদে তা চাপা পড়ে যায়, যাবেই।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্যবসার বহর বেড়ে গেছে, লাভ হচ্ছে। তৃণমূল নেতা প্রশাসক ভাবছেন, জাতীয় পর্যটন মানচিত্রে ত্রিবেণী স্থায়ী মর্যাদা লাভ করবে। মেলা কমিটির কেউ কেউ ভাবছেন, এই তালে কিছু কামিয়ে নেওয়া যাবে'খন। রথ ভাবে আমি দেব, পথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাবে আমি দেব, হাসে অন্তর্যামী। অন্তর্যামী হাসে আরও শত শত রাম মন্দির, কর সেবক, মসজিদের ধ্বংস ও তান্ডবের স্বপ্ন দেখে। ত্রিবেণী ঘাটের মাত্র কয়েক মিটার দূরত্বে জাফর খান গাজীর দরগা, সম্ভবত বাংলার প্রাচীনতম দরগা। তৃণমূলের ছোট নেতাদের কথায়, আমরা না থাকলে মন্দির-মসজিদ গোলমালটা লাগানোর খেলায় ওয়াক-ওভার দেওয়া হবে। বরং আমরা থাকলে সেই খেলাটা সহজ হবে না। ওরা যত ধর্মকে প্রাধান্য দেবে, আমরা ততই উৎসব, মেলাকে প্রাধান্য দেব। হিন্দু কুম্ভমেলা ও গাজী বাবার দরগার পাশাপাশি সহাবস্থান- এটাই বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্য হিসেবে প্রচার করা যাবে। এছাড়া বিকল্প কী বলুন। এই ফর্মূলা তো ২০২১'এ বিজেপিকে আটকাতে পারল।
আরও কিছু কি ছিল না বিকল্প! একটি বিকল্প হতে পারত শ্রেণি পরিচিতি নির্ভর বামপন্থী আদর্শ। কিন্তু সেই আদর্শের রাজনীতি সরকারি বামেদের কল্যাণে লুপ্ত প্রায়। শ্রেণি আন্দোলনের তরলীকরণ বা বলা ভালো অশুদ্ধিকরণ বহু আগেই সম্পন্ন। তাই আজ অন্য একটি বিকল্প হতে পারে নেহেরু যুগের ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী মতাদর্শ। কংগ্রেস বহুদিন যাবৎ নরম হিন্দুত্বের পথ অনুসরণ করেছে, রাজীব গান্ধী থেকে মনমোহন সিং অবধি। নরম গরম হিন্দুত্বের পিচে বিজেপি অনেক বেশি সাবলীল। আজ রাহুল গান্ধী যখন 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র দ্বিতীয় পর্ব শুরু করতে চলেছেন, নফরত'এর দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে প্যায়ার- ইনসানিয়াৎ'এর সওদার কথা আনছেন, কর্নাটকে বজরং দল নিষিদ্ধ করার কথা বলছেন, আশা করা যায় আদর্শের জমিতে লড়াই আসন্ন। বাংলা-বাঙালিয়ানা দিয়ে তো সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে লড়াই করা যাবে না। তবে আমি বিশ্বাস করি, তামিল ওড়িয়া বাঙালি মারাঠি ঝাড়খণ্ডি অস্মিতা ও পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রীয় ইনসানিয়াৎ'এর সংশ্লেষণের প্রয়াস নিশ্চিত ভাবে সহনশীলতা, যুক্তরাষ্ট্রীয় আদর্শ রক্ষার কার্যকর পথের দিশা দেখাতে পারে।
তৃনমুলের এবিষয়ে যা বক্তব্য তা সহজেই বোঝা যায়। সেটাকে পপুলার কনসেপ্ট বলাই যায়। আর সত্যিই উৎসব যত হবে তত অর্থনৈতিক লাভের সম্ভাবনা বাড়বে অন্তত যারা খুচরো বিক্রেতা এবং উৎসব চলাকালে কিছু বিক্রি করার কথা ভাবেন। এছাড়াও আছেন ভক্তের দল। দেব দাবিতে ভক্তি এদের পরম্পরাগত। আলৌকিকতায় বিশ্বাস এদের পুরোন প্রথা। এখন তিনটে বেসিক যে প্রয়োজনীয়তা অর্থাত শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং চাকরি বা অর্থনৈতিক সুরক্ষা এটার প্রসার সেভাবে হয় নি। বিশেষ করে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য। এই দুটি একমাত্র রাস্তা যেখানে ধর্মীয় উন্মাদনা প্রশমিত করা যেতে পারে। এগুলো বহুল পরিচিত কথা। নতুন নয়। যেটা ভাবার সেটা হলো এখনও বামপন্থীদের মধ্যে সেই শ্রেনী পরিচিতি এবং শ্রেনী সংগ্রাম জাতীয় একটা ধারনা বশংবদ হয়ে রয়েছে। অথচ যখন শ্রমিকশ্রেনী অন্তত কিছুটা নড়াচড়া করেছিল তখন তারা আবার সরকারের কথা ভেবে তাকে সংগ্রামের রাস্তায় না নিয়ে মালিকের সাথে দ্বিপাক্ষিক কথা চালাচ্ছে নিয়ে গেছেন। আজ আর এসব নিয়ে ভেবে কোন লাভ নেই। বরঞ্চ আরএসএস যেভাবে পরিস্থিতিকে কাজে লাগাচ্ছে সেটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে কোন রাস্তা বেড়েই করা উচিত। যতই চেঁচামেচি করুক না কেন আরএসএস আজও দুর্বল। প্রতিষ্ঠিত সরকার ছাড়া তাদের হম্বিতম্বি খুব কাজে আসছে না। বরঞ্চ বামপন্থীদের এই রাজ্যে একটা সামাজিক নির্মাণ ছিল। সেটাকেই ফিরিয়ে নিয়ে আসাটা খুব দরকার। ভোটের রাজনীতির থেকেও তাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার।
ReplyDeleteহিন্দুত্ববাদ বা ব্রাহ্মণ্যবাদ যদি thesis হয় তার একমাত্র antithesis হলো আম্বেদকরবাদ। কিন্তু, মনুবাদি মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই চরম-নরম হিন্দত্ববাদেই শিকড় গেড়ে থাকবে। ফলত, RSS কারুর মা তো কারুর মাসি হিসাবে থেকেই যাবে। দেশের বৃহত্তর বহুজন সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। আর, দেশের বৃহত্তর সমাজের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিয়ে দেশ নিশ্চয়ই এগোতে পারবে না।
ReplyDelete