ভারতবর্ষ কোন পথে
সমর বাগচী
সম্প্রতি ‘স্বরাজ ইন্ডিয়া’ পার্টির প্রধান যোগেন্দ্র যাদব বিহারে নীতিশ কুমার বিজেপি পার্টির জোট ছেড়ে নতুন সরকার গঠন করার পর আমায় এবং অনেককেই এক চিঠিতে ২০২৪’এর লোকসভা ভোটে বিজেপি হারবে বলে ভবিষ্যৎবাণী করেন।
আমি তাঁকে একটা চিঠি দিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম, যদি তাই হয়, তাহলে বিহার এবং ভারতের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের মডেল কী হবে? পশ্চিমবঙ্গের গত বিধানসভা ভোটে টিএমসি’র বিরুদ্ধে প্রচুর দুর্নীতি ইত্যাদির বিরুদ্ধে বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের বিপুল প্রচার স্বত্ত্বেও, যা বহুলাংশে সত্যি, বিজেপিকে ভালভাবে হারিয়ে টিএমসি তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসে। যে বামফ্রন্ট ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল সেই ফ্রন্ট এবং কংগ্রেস বিধানসভায় শূন্য হয়ে যায়। এইরকম যে হবে তা আমি ভাবতে পারিনি। টিএমসি’র জেতার কারণ পরে ভেবে দেখেছি তিনটি। প্রথম দুটি প্রধান।
এক) টিএমসির গ্রামের মানুষের জন্য উন্নয়নের কাজ; যা আমার গ্রামে শিক্ষা নিয়ে কাজ করার ও গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলার এবং দু-একটা এনডিটিভি’র মতো চ্যানেলের গ্রামের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎকার থেকে বুঝেছি;
দুই) গ্রামের মহিলাদের ক্ষমতায়ন;
তিন) মোদি, অমিত শাহ এবং বহিরাগত বিজেপি নেতাদের বাঙালিদের অস্মিতার ওপর আক্রমণ।
কিন্তু প্রশ্ন হল, কী দাঁড়াল ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর পশ্চিমি মডেলে উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে? প্রায় ৭ কোটি মানুষ এই উন্নয়নের যূপকাষ্ঠে ঘরছাড়া হয়েছে। এইসব কিছু মানুষদের আমি দেখেছি আশির দশকে, যখন পুরুলিয়াতে বিজ্ঞান মিউজিয়াম নির্মাণ করছি, পাঞ্চেত বাঁধে ঘরছাড়া হয়ে বসবাসকারী বাঁধের পাশে বাঘমারা ও শিউলিবাড়ি গ্রামে। সে এক অবর্ণনীয় দুর্দশার জীবন। নব্বইয়ের দশকে মেধা পাটকার আমায় অনুরোধ করেন কলকাতার ডিভিসি-র প্রধান অফিসে গিয়ে ডিভিসি থেকে উচ্ছেদ হওয়া মানুষদের সম্বন্ধে কোনও খবর পাওয়া যায় কিনা দেখতে। গিয়ে জানি যে ওদের কোন আর্কাইভ নেই। আমি ডিভিসি লাইব্রেরিতে দু-তিন দিন কাজ করি এবং ডিভিসি'র প্রথম অ্যানুয়াল রিপোর্টে পাঞ্চেত বাঁধের উদ্বোধনের খবর পড়ি। জহরলাল নেহেরু বুধনি শবরকে দিয়ে ঐ বাঁধের উদ্বোধন করান। ঐ অনুষ্ঠানে জলমন্ত্রী তাঁর জ্বালাময়ী বক্তৃতায় বলেছিলেন, পাঞ্চেত বাঁধ হওয়ায় বাঁধের পাশের গ্রামের মানুষদের জীবন পাল্টে যাবে। হ্যাঁ, সত্যিই পাল্টে গেছে। তা আমি দেখে এসেছি ২০০৮ সাল নাগাদ যখন পাঞ্চেতের কাছে গড়পঞ্চকোটে বেড়াতে যাই। তখনও আগের মতো ঐ একই অবস্থায় দেখে এসেছি বাঘমাড়া ও শিউলিবাড়ি গ্রামের মানুষদের।
গত ২০ বছরে ১০ থেকে ১২ কোটি মানুষ কর্মপ্রযুক্ত হয়েছে। কাজ পেয়েছে মাত্র ৩০ লক্ষ। কিন্তু কোটিপতিদের সম্পদ বেড়েছে ১১২ গুণ। আজকের শিল্প কারখানা চলে উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে। চালু হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিক্স। খুব কমই দক্ষ কর্মী লাগবে। তাই, শিল্প-কারখানা নির্মাণ করে ভারতের ১৩৯ কোটি লোকের দেশে চাকরি দেওয়া যাবে না। ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম’ প্রকাশিত ২০২২ সালের ‘ওয়ার্ল্ড ইনইকুইলিটি রিপোর্ট’ জানাচ্ছে যে, ভারতের জনসংখ্যার ওপরের ১০ শতাংশ মানুষ দেশের ৬৫ শতাংশ সম্পদ দখল করে আছে। ২০২১ সালে গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ ইন্ডেক্স-এ ১৫৬টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৪০। FAO-এর রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে ২০১৯-২০২১ সালের হিসেবে ২২.৪৩ কোটি লোক অপুষ্টিতে ভুগছে। ২০২০ সালে ১০,৬৭৭ জন চাষি আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে প্রকৃতি ভেঙ্গে পড়ছে। শুধু জলবায়ু পরিবর্তনই নয়, পৃথিবীর অরণ্য, জীববৈচিত্র, জল, মাটি শেষ হয়ে যাচ্ছে। জমির বন্ধ্যাকরণ হচ্ছে এবং মরুভূমি এগিয়ে আসছে, উত্তর-দক্ষিণ মেরু ও গ্রিনল্যান্ডের বরফ এবং পৃথিবীর সমস্ত হিমবাহ গলে যাচ্ছে, ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হচ্ছে, সমুদ্র দুষিত হয়ে সামুদ্রিক প্রাণী বিপন্ন হচ্ছে। সমুদ্রতল উঁচু হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতেই চেন্নাই, মুম্বাইয়ের মতো সমুদ্রতটবর্তী শহর ও গ্রাম জলের তলায় তলিয়ে যাবে। সারা পৃথিবী জুড়ে বর্জ্যের পাহাড় তৈরি হচ্ছে যার এক বড় অংশ বিপজ্জনক। দ্রুত হারে বিভিন্ন ধাতু শেষ হয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর মানুষ ও অন্যান্য জীবপ্রজাতি আজ অস্তিত্বের সংকটে। স্ট্যানফোর্ড, প্রিন্সটন ও বার্কলের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যে, পৃথিবীর মানুষরা যদি একইরকমের জীবন যাপন করে তাহলে ষষ্ঠ গণবিলুপ্তি আসন্ন। তাহলে যে প্রজাতি সব থেকে আগে বিলুপ্ত হবে তা হচ্ছে মনুষ্য প্রজাতি। পৃথিবীর এই আগামী বিপর্যয়ের সময়ে আমরা ভারতের উন্নয়নের কথা ভাবছি।
কেন আজ এই অবস্থা? এর মূল কারণ, পৃথিবীর ধনী মানুষদের ক্রমান্বয়ে ভোগবাদের বৃদ্ধি। এই ধনীদের মধ্যে যেমন পশ্চিমের উন্নত দেশের মানুষ আছে, তেমনই তৃতীয় বিশ্বের ধনী ও উচ্চ মধ্যবিত্তরাও আছে। ১৭৬০ থেকে ১৮৩০ সালের মধ্যে শিল্প বিপ্লব সম্পন্ন হয় এবং শিল্প-পুঁজিবাদ শুরু হয়। ১৮০০ সালে যখন একজন আমেরিকান বাজারে যেত, সে প্রায় ১৫০০ বর্গ ফুট বাজারে ৩০০ রকমের জিনিস কেনাকাটার সুযোগ পেত। আর ২০০০ সালে এক লক্ষ লোক বাস করে এমন এক শহরে যখন একজন আমেরিকান বাজারে যায় সে ১০ লক্ষ রকমের জিনিস বাছাই করে কেনাকাটার সুযোগ পায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ বর্গ ফুট বাজারে। গত কুড়ি-তিরিশ বছরে কলকাতা এবং ভারতের যে কোনও শহরে শপিং মলের বাড়বাড়ন্ত থেকে ভোগবাদের বৃদ্ধি আমরা বুঝতে পারি। সেইসব মলে আমরা বঙ্কিমের হুসেন শেখ বা রামা কৈবর্তকে দেখতে পাই না। এই আগ্রাসী ভোগবাদই আজ পৃথিবীকে ধ্বংসের কিনারায় এনে ফেলেছে। আমেরিকান লেখক মার্ক টোয়েন তাই লেখেন, ‘Civilization is a limitless multiplication of unnecessary necessities.’।
রবীন্দ্রনাথ ১৯০৫ সালে ‘বিলাসের ফাঁস’ প্রবন্ধে লিখছেন, ‘এখনকার দিনে ব্যক্তিগত ভোগের আদর্শ বাড়িয়া উঠিয়াছে। এইজন্য বাহবার শ্রোত সেই মুখেই ফিরিয়াছে। এখন পরিচ্ছদ, বাড়ি, গাড়ি, জুড়ি, আসবাবপত্র দ্বারা লোকে আপন মাহাত্ম্য ঘোষণা করিতেছে। ধনীতে ধনীতে এখন এই লইয়া প্রতিযোগিতা। ইহাতে যে কেবল তাহাদেরই চাল বাড়িয়া যাইতেছে তাহা নহে, যাহারা অশক্ত তাহাদেরও বাড়িতেছে।’ ইতালির তুরিন শহরে ‘City and Civilization’ বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথ বলছেন, ‘অতীব ভোগবাদী জীবনযাপনের আকাঙ্ক্ষা, যা জনসাধারণের খুব এক ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর মধ্যে সীমিত, তা বহুদা বিস্তৃত হচ্ছে। এই যে ক্রমবর্ধমান বোঝা তা যে কোনও সভ্যতার পক্ষে মারাত্মক… বিরাট সম্পত্তির অধিকারী হওয়া এবং বিলাসবহুল জীবন পাহাড়ের মতো বিচ্ছিন্নতার দেওয়াল তোলে যা প্রাকৃতিক পাঁচিলের মতো উঁচু… পশ্চিমে যাকে গণতন্ত্র বলা হয় তা একটি সমাজে কখনও সত্যি হতে পারে না যেখানে লোভ লাগামছাড়া হয়। জনসাধারণ তাকে শুধু উৎসাহিতই করে না প্রশংসাও করে।’ ১৯৩০ সালের ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে রাণী মহলানবিশকে রবীন্দ্রনাথ লিখছেন, ‘এমন সময়ে আমেরিকায় এসে চোখে পড়ল মানুষ কতই অনাবশ্যক ব্যর্থতায় সমাজকে ঝাঁঝরা করে তুলেছে, আবর্জনাকে ঐশ্বর্যের সাড়ম্বরে সাজিয়েছে, আর তার পেছনে দিনরাত্রি নিযুক্ত হয়ে আছে... পৃথিবীর ওপর কি অভ্রভেদী বোঝা চাপিয়েছে।’
এই বোঝা আমেরিকাকে কোথায় এনে ফেলেছে তা দেখুন আমেরিকার এক চিন্তকের বক্তৃতায়। পৃথিবীর মিউজিয়ামের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আছে যার নাম ইন্টারন্যাশানাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম (ICOM)। সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতি তিন বছর অন্তর একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়। ১৯৮৯ সালে হল্যান্ডের দেন হাগ শহরে তেমন এক সম্মেলনে আমি উপস্থিত ছিলাম। সম্মেলনের মুখ্য বক্তা ছিলেন আমেরিকার এক চিন্তক নিল পোস্টম্যান; উনি আমেরিকার সমাজ সম্বন্ধে বলছেন, ‘যতরকমের প্রযুক্তিগত উন্নতি হচ্ছে তা ব্যবহার করার জন্য আমাদের সমাজকে আমরা প্রস্তুত করেছি। আমরা পাগলের মতো, স্বইচ্ছায়, কিছু চিন্তা না করে তার যে কী পরিণাম হতে পারে তা না ভেবে তাকে অবহেলা করেছি। এবং যেহেতু প্রযুক্তির তা প্রয়োজন তাই আমরা ধর্ম, পরিবার, শিশু, ইতিহাস এবং শিক্ষা থেকে আমাদের মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি। আমরা যা করেছি তার জন্য আমেরিকান সভ্যতা ধ্বসে পড়ছে। সবাই জানে যে এটি সত্যি কিন্তু তার মোকাবিলা করবার জন্য তারা শক্তিহীন। আমাদের প্রযুক্তির স্বপ্নের একটি আংশিক বিবরণ দিই। ১৯৯৫ সালের মধ্যে আমাদের শিশুরা হয় মা নয় বাবার কাছে থাকবে (অর্থাৎ, বিবাহ বিচ্ছেদ হবে)। আমাদের বড় বড় শহরে ৫০ শতাংশের কম ছাত্র হাই স্কুলের দরজা পেরয়। এটি ঘটছে এমন একটি সংস্কৃতিতে যা সাধারণের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের চিন্তা আবিষ্কার করেছে... আমাদের জনসাধারণের এক-চতুর্থাংশ, অর্থাৎ ছয় কোটি মানুষ নিরক্ষর। প্রতি বছর চার কোটি লোক বাড়ি বদল করে এবং বহু লক্ষ মানুষের কোনও গৃহ নেই, রাস্তায় কিংবা সাবওয়েতে বাস করে। ১৯৫৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত (অর্থাৎ ১৯৮৯) হিংসাত্মক অপরাধ ১১,০০০ শতাংশ বেড়ে গেছে। প্রতি দশজন আমেরিকানের মধ্যে দুজন তাদের জীবনের কিছু সময় মানসিক প্রতিষ্ঠানে কাটাবে। আমাদের শহরগুলো ট্রাফিক জ্যামে আটকে যাচ্ছে; আমাদের পানীয় জল সীসা ও মেডিক্যাল বর্জ্য দ্বারা বিষাক্ত; আমাদের বৃষ্টিতে অ্যাসিড; পৃথিবীর অন্য যে কোনও দেশের চেয়ে আমাদের দেশের মানুষ মাথাপিছু সবচেয়ে বেশি অ্যাস্পিরিন খায়; পশ্চিম দেশের মধ্যে আমাদের দেশে শিশু মৃত্যুর হার সর্বাধিক এবং আমাদের কিশোর-কিশোরীরা তাদের মাথা ড্রাগ দিয়ে ভাজছে।’
এই হছে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশের অবস্থা। সেই দেশে আমাদের শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা, বেশির ভাগ উচ্চবিত্ত, যাদের শিক্ষিত করবার জন্য দেশ কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে, দেশ ছেড়ে সেই দেশে পাড়ি দিচ্ছে ভোগবাদী জীবন যাপন করার জন্য। তাদের বেশির ভাগ কাজ করছে এমন সব কর্পোরেট সংস্থায় যারা তৃতীয় বিশ্বকে শোষণ করছে নানা উপায়ে। তাদের মধ্যে খুব কম জনই আছে যারা উচ্চপর্যায়ের জ্ঞানের ক্ষেত্রে নতুন অবদান রাখার কাজ করছে।
ক্রমাগত অর্থনৈতিক বৃদ্ধি শিল্প-পুঁজিবাদের ধর্ম। গান্ধী বলছেন, ‘আমি ভীত যে শিল্পবাদ মানুষের পক্ষে অভিশাপ হবে। একটি দেশ অন্য দেশকে শোষণ করবে তা চিরদিন চলতে পারে না। শিল্পবাদ নির্ভর করে বিদেশি বাজারকে শোষণ করা এবং প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতির ওপর।’ তাই গান্ধী ভারতবাসীকে সাবধান করছেন, ‘ঈশ্বর করুন ভারত যেন কোনওদিন পশ্চিমের মতো শিল্পায়ন না করে। একটি ছোট্ট দ্বীপ-দেশ আজ সমস্ত পৃথিবীকে শৃঙ্খলিত করেছে। আজ যদি ৩০ কোটির সমস্ত দেশ (অর্থাৎ, ভারত) একইরকম অর্থনৈতিক শোষণ করে তাহলে সমস্ত পৃথিবী পঙ্গপাল পড়ার মতো নিঃস্ব হয়ে যাবে।’
ক্রমশ...
এই লেখার দ্বিতীয় ভাগ পড়তে এখানে ক্লিক করুন:
https://ekakmatra2013.blogspot.com/2022/09/blog-post_25.html
বহুদিন পর সমরদার মতো বিদগ্ধ মানুষের লেখা পড়লাম। পরের কিস্তির আশায় রইলাম।
ReplyDeleteবক্তব্যের আবেদন বিরাট। সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। সকলে মিলে। নানা মত, নানা বিদ্যার সমন্বয়ে।
ReplyDeleteপরের অংশের অপেক্ষায় রইলাম। সমস্ত লেখাটি একত্রে পেলে বহুল প্রচার সম্ভব। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে শিক্ষার সঙ্গে সরল অনাঢ়ম্বর জীবন যাপনের শিক্ষা যুক্ত করা একান্ত প্রয়োজন।
ReplyDeleteসমরদার এই লেখা ভোগবাদীদের ভাবাতে পারলেই সার্থক হবে। অপূর্ব এক রচনা।
ReplyDeleteAsadharon laglo lekhata.Amader aro somridhya KORUN PORER lekhata diye.
ReplyDeleteভয়ঙ্কর সময়োপযোগী লেখা... কিন্তু শুনছে কে....ভাবছে কে...একদল জণগণতান্ত্রিক না জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব কোনটা ঠিক এখনো ঠিক করে উঠতে পারলেন না ..আর একদল অনুদান না অন্যকিছু তাই নিয়ে সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন অনুক্ষণ...প্রত্যেকদিন বন্ধু পাল্টানো হচ্ছে অন্তর্বাস পাল্টানোর মতো....কাল যে ছিল প্রগতিশীল আজ সে প্রতিক্রিয়াশীল...কাল যে ছিল সাম্প্রদায়িক আজ সে রামধনু...সব গুলিয়ে যাচ্ছে...সব নাকি পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য... অবশেষে জণগণের হাতে রইল পেন্সিল... তবুও এইসব লেখা আর মানুষজনের জন্য গাইতে ইচ্ছে করে ... একদিন আসবে ভোর...
ReplyDeleteঅনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ সমরবাবুকে, পরের সংখ্যার লেখাটি পড়ে আশাকরি আরও সমৃদ্ধ হবে। ভোগবাদী জীবনযাত্রা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সম্মিলিত প্রয়াস চাই, বলে মনে করি।
ReplyDelete