Thursday, 27 November 2025

মধ্যযুগীয় পুনরুত্থান!

এক নতুন পরিস্থিতি

অনিন্দ্য ভট্টাচার্য



শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশ আজ এক মধ্যযুগীয় পুনরুত্থানের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। বিহারে অভূতপূর্ব এক নির্বাচনী ফ্যাসিবাদ কায়েম করে, প্রায় সারা দেশ জুড়ে SIR’এর প্রাণঘাতী স্টিম রোলার চালিয়ে, অযোধ্যার নবনির্মিত মন্দিরে ধর্ম-ধ্বজা উড়িয়ে এবং সংসদে ‘বন্দেমাতরম’ ও ‘জয় হিন্দ’ উচ্চারণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সেই পুনরুত্থানের সংকেত-ধ্বনি আকাশে-বাতাসে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সংকেতের মধ্যে যুদ্ধের আবাহন আছে, অতএব, পক্ষ-বিপক্ষ নির্ণয় আছে ও নিজ চারপাশে শত্রু-মিত্রকে চিনে নেওয়ারও আকুল আর্জি আছে।

লোকসভা নির্বাচনে যখন একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা গেল না, এমনকি অযোধ্যা লোকসভা কেন্দ্রে রামও কোনও সহায়তা করলেন না, ক্ষমতাচ্যুত হতে হতে কোনওক্রমে দুই ক্রাচে (চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশকুমার) ভর দিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠনের পর্ব খানিক উতরনো গেল, তখন পরবর্তী ধাপে অগতির গতি রাজীব কুমার ও আরও ধুরন্ধর জ্ঞানেশ কুমার ছাড়া আর উপায়ই বা কী! ফয়সালা হল, এবার আগে ভোটারদের নির্বাচিত করা হবে, তারপর সেই সিলেক্টিভ ভোটাররা জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচন করবে। হার-জিতের আর টেনশন থাকবে না, শুধুই জিৎ। 

শুরুতে রাজীবকুমার মহারাষ্ট্র, দিল্লি আর হরিয়ানাতে ভোটার তালিকায় জল মিশিয়ে মোটা দাগে কাজটা সারলেন। খালি চোখেই সেই জালিয়াতি ধরা পড়ে গেল। ফলে, ১৯ ফেব্রুয়ারি (২০২৫) আরও চোস্ত ও আরএসএস-দীক্ষিত জ্ঞানেশ কুমার প্রধান নির্বাচনী কমিশনারের দায়িত্ব নিয়েই একটি গভীর খেলার গুটি সাজালেন— SIR। আর সে খেলা এতই দ্রুততর ও একপক্ষীয় যে তা শুরু হতে না হতেই শেষ। কারণ, খেলার বাঁশি, খেলোয়াড়, মাঠ, খেলার নিয়ম, খেলার সময় সব নির্বাচন কমিশনের হাতে, বিপক্ষদের শুধু জার্সি পরে মাঠে নেমে দৌড়নোর কথা। বিহারে তাই হল! এক মাসের মধ্যে সাড়ে সাত কোটি মানুষের SIR শুরু করে শেষ করে দেওয়া হল, বিরোধীরা খেলার নিয়ম বুঝে উঠতে না উঠতে খেলা শেষ। সঙ্গে সঙ্গে বাঁশি বাজিয়ে নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হয়ে গেল, পড়িমরি করে বিরোধীরা ছুটলেন প্রার্থী ঠিক করতে ও মনোনয়ন জমা দিতে, তারপর প্রচারে; ইতিমধ্যে ভোটার তালিকার কারসাজি সব সম্পূর্ণ। ধর্ম, জাতপাত, কেন্দ্র ও বুথ ধরে ধরে শাসক ও নির্বাচন কমিশনের অপছন্দের ভোটারদের এক বড় অংশ তালিকা থেকে গায়েব। ফল যা হবার তাই হল, বেশ বাড়াবাড়ি রকমেরই ‘জয়’ হল। বিহারের মহল্লায় সাধারণ বিজেপি’র কর্মীরাও পড়লেন বেশ লজ্জায়! তবে শুধু ভোটার তালিকা দিয়েই কেল্লা ফতে নয়, নির্বাচনের গোটা পর্ব জুড়ে খেপে খেপে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাটকা ১০ হাজার টাকা জমা পড়াটাও ভোট কেনার ‘মন্ত্র’ ছিল, যা আগে পার্টির তরফে দেওয়া হত তা এবারে সরকারি খাজানা থেকেই চুকোনো গেল (জ্ঞানেশ কুমার সে ব্যবস্থাও সিদ্ধ করলেন)। এও এক নতুন কৌশল।

এবার লক্ষ্য বাংলা। শুধুমাত্র একটি ভৌগোলিক অঞ্চল হিসেবে নয়, একটি মতাদর্শগত স্তম্ভ হিসেবেও একে দখলে নেওয়াটা আজকের উগ্র হিন্দুবাদীদের প্রধান উদ্দেশ্য। কারণ, তারা জানে, যা কিছু আধুনিক, যৌক্তিক, বৌদ্ধিক, উদার, মেলবন্ধন তা এই বঙ্গভূমি থেকেই প্রবাহিত; যা কিছু অন্ধত্ব, বিদ্বেষ, ঘৃণা তার বিরুদ্ধ প্রাচীর এই বঙ্গভূমিই। এই ভূমিতেই দ্বাদশ শতকে বল্লাল সেনের নৃশংস কৌলিন্য প্রথার বিরুদ্ধে ষোড়শ শতকের গোড়ার দিকে নবদ্বীপে চৈতন্যদেব জাতপাতের বেড়া ভেঙে যে বিশাল মশাল-মিছিল সহযোগে নগর সংকীর্তন করেছিলেন, সেটাই ছিল আধুনিক বাংলার উদার ও যুক্তিবাদী রাজনীতির অঙ্কুরোদ্গম। উচ্চবর্ণ-উচ্চবিত্ত প্রসূত বর্ণবাদী ব্যবস্থার সঙ্গে সে লড়াই আজও অব্যাহত।

একটা সময় ছিল, যখন ইসলামি সুফিতন্ত্র, বাংলার সুলতান ও নবাবদের উদার মনোভাব, চৈতন্যদেবের ভক্তি আন্দোলন, লালন ফকিরের বাউল সাধনা একযোগে মিলেমিশে ব্রাহ্মণ্যবাদের কঠোর অনুশাসনের বিরুদ্ধে নিম্নবর্ণ-গরিব মানুষদের বেঁচেবর্তে থাকার একটা পরিসর নির্মাণ করেছিল। পরবর্তীকালে, বিশেষ করে উনিশ শতকে বাংলার ভাবধারায় রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, কাঙাল হরিনাথের প্রভাবে এক উদার ও বর্ণময় যাপন-প্রক্রিয়া গড়ে উঠতে থাকে, যা মনুবাদী বর্ণাশ্রম ভিত্তিক মানসিকতাকে ক্রমেই পিছনে ঠেলে দেয়। বিশ শতকে যেন এক প্লাবন আসে। স্বাধীনতার লড়াই, কৃষক জাগরণ, গান্ধীর রাজনীতি, বাম আন্দোলন, ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টি, নেতাজীর আজাদ হিন্দ ফৌজ সবটা মিলিয়ে তখন ধর্ম-বর্ণ-জাতপাতের উর্ধ্বে উঠে প্রকটিত হতে থাকে এক আধুনিক ও যৌক্তিকতার উজ্জ্বল বলয়। তবে দুর্ভাগ্য, এতদ্‌সত্ত্বেও আমাদের স্বাধীনতা প্রাপ্তি কলঙ্কিত হয় বাংলা ভাগ ও নৃশংসতম দাঙ্গার এক পরিকল্পিত ডিজাইনের মধ্য দিয়ে যার কারিগর ছিল ধূর্ত ইংরেজ শাসক ও এ দেশে তাদের সহযোগী ধর্ম-উন্মাদেরা। তাই, আজও আমরা বলতে পারি না, আমাদের বিপদ কেটে গেছে, অথবা উচ্চবর্ণ-প্রসূত ধর্মান্ধতা কখনই আর প্রভাব বিস্তার করবে না। আজকের সময় এই ইঙ্গিতই দিচ্ছে যে তা পূর্ণ উদ্যমে আবারও অতি সক্রিয় বাংলার মাটিতে।

আর ঠিক এই আবহেই বাংলায় চলছে SIR প্রক্রিয়া। যোগেন্দ্র যাদব যাকে বলেছেন, বাংলাই এর লক্ষ্য, বিহার ছিল পরীক্ষাগার। হাজার হাজার ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়া ভরিয়ে তোলা হচ্ছে ঘৃণা আর বিদ্বেষে। পাশাপাশি, সুপ্ত হয়ে থাকা উচ্চবর্ণ-উচ্চবিত্ত মানসিকতা চাগিয়ে উঠেছে এই নর্দমা-উচ্ছ্বাসে। Condominium ও বড়লোক পাড়াগুলির উচ্চবর্ণ-উচ্চবিত্তরা, সঙ্গে কিছু উচ্চবর্ণ-মধ্যবিত্তরাও জুটেছে, যাদের উচ্চবর্ণ-শ্লাঘাতে জোর গৌরববোধ ও ক্ষমতার দৌড় জাগরিত হচ্ছে কোনও এক অলীক কৌলিন্য প্রথার পুনরুত্থানের স্বপ্নদৌড়ে। তীব্র ঘৃণা ও হিংসা ফেটে পড়ছে মুসলমানদের প্রতি। সজোরে বলা হচ্ছে, মুসলমান ও রোহিঙ্গা ‘অনুপ্রবেশে’ বাংলা নাকি থিকথিক করছে। অথচ তারা কোথায় থাকে কেউ জানে না। ‘ধেড়ে আনন্দ’র ক্যামেরাম্যানরা এদিক-ওদিক দৌড়ে যে দু-চার পিস নিতান্তই গরিব-গুর্বো, কাগজ-কুড়ানি ‘অনুপ্রবেশকারী’ আবিষ্কার করছে, দেখা যাচ্ছে, আদপে তারা তেমন কিছু নয়, বরং কেউ কেউ আবার হিন্দুও। নাড়ুগোপাল সুমনের ঘাড়ে কেউ যদি ক্যামেরা নিয়ে উঠে বলে, কাগজ দ্যাখা, তুই যে রোহিঙ্গা নস তার প্রমাণ কী? তখন সেটা আখ্যায়িত হবে ব্যক্তি-পরিসরের ওপর আক্রমণ বলে! অথচ, গরিব মানুষ তায় মুসলমান কিংবা নিম্নজাতি, তাদের আবার ব্যক্তি-পরিসর কী?

বলাই বাহুল্য, বাংলা ও বাঙালিকে চেপে ধরা হয়েছে। বিজেপি-শাসিত রাজ্যে পরিযায়ী বাঙালি শ্রমিকদের ধরে ধরে প্রশাসন জেলে পুরছে, ঠেঙাচ্ছে, বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে, রাজ্যে মুসলমানদের নিদান দিচ্ছে বেনাগরিক করে দেওয়ার, মতুয়া ও অন্যান্য নিম্নবর্ণদের বাধ্য করছে নিজেদের ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার, নরমে-গরমে চলছে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের হুমকিও। এমন এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে SIR’এর কাজের চাপে ও তার অভিঘাতের আতঙ্কে কিছু বিএলও ও বহু সাধারণ নাগরিক আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন অথবা টেনশনে মারা যাচ্ছেন। শুধু এ রাজ্যেই নয়, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরলেও বেশ কিছু বিএলও আত্মহত্যা করেছেন।

তবে বাংলা বরাবরই স্বাতন্ত্র্যের পরিচায়ক। বিহারে যতটা বোকা বানিয়ে তড়িঘড়ি SIR সেরে ফেলে কাজ হাসিল করা গেছে তা বাংলায় অত সহজে করা যাবে না। এখানে SIR শুরুর লগ্ন থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি (বিশেষত তৃণমূল) জোঁকের মতো বুথ ধরে ধরে বিএলও’দের পিছনে পড়ে আছে। ভোটাররাও নিজেদের অধিকার সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন। তাঁরাও ছেড়ে কথা বলছেন না। ফলে, এখানে কর্পূরের মতো ভারতীয় নাগরিকদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়াটা কষ্টকর। তবুও এখুনি নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় আদতে কী ঘটতে চলেছে। ৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ পেলে তবে একটা আন্দাজ পাওয়া যাবে। তবে যে সমস্ত ভোটারের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই (কেন নেই তা নির্বাচন কমিশনই বলতে পারবে, কারণ, বহু ভোটার তারপরেও সেই বুথে বা কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন), তারা সম্ভবত খসড়া ভোটার তালিকায় বাদ পড়বেন। অনেকের চাকরিতে বদলি অথবা বাড়ি বদলের কারণেও ভোট কেন্দ্রের পরিবর্তন হয়েছে। সেইসব ভোটারদের নামও ২০০২ সালের তালিকায় নাও পাওয়া যেতে পারে, কারণ, নির্বাচন কমিশন বরাবরই এক অকর্মণ্য সংস্থা যেখানে নাম বাদ দেওয়া বা অন্তর্ভুক্ত করা, দুইই বেশ পরিশ্রমসাধ্য ও দুঃসাধ্য প্রক্রিয়া।

আমরা জানি না কাল কী ঘটবে। বাংলা দখলে মরীয়া আজকের বর্গীরা আর অন্য কী ফন্দি এঁটেছে, তাও আমাদের অজানা। তবে বাংলার মাটিতে এক রণংদেহী বাতাবরণ তৈরি হয়েছে যেখানে মধ্যযুগীয় কৌলিন্য প্রথাকে আজকের আবহে নতুন ভাবে ফিরিয়ে আনতে উচ্চবর্ণ-উচ্চবিত্ত মানসিকতাকে প্রধান হাতিয়ার করে মুসলমান ও নিম্নবর্ণদের প্রতি এমন এক ঘৃণার পরিবেশ নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে মূলত দুটি পক্ষ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়েছে। আশ্চর্যের হলেও সত্যি, এক সময়ের মধ্যবিত্ত ভদ্দরজনেদের বহুজনেই যারা ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাম মতাদর্শের প্রতি আস্থা হেতু উদারতা ও সাম্য মতবাদে অনুরক্ত হয়েছিলেন (বাহ্যত?), আজ তাদেরই এক অংশ কার্যত অনুরণন তুলছেন সেই মধ্যযুগীয় বর্বরতার আস্ফালনে যা গোষ্ঠী ভিত্তিক হিংসা ও নির্মূলিকরণের পক্ষে ওকালতি করে। সে অর্থে আজকের লড়াই মানুষ চেনারও পাঠ। সম্পূর্ণ এক নতুন পরিস্থিতি!

                

8 comments:

  1. ভালো লেখা। বাংলা কার্যতঃ দক্ষিণ পন্থার দখলে। বিজেপি চায় জঙ্গল রাজ।
    বামদল অসংলগ্ন অপ্রাসঙ্গিক।
    গণ অভ্যূত্থান ছাড়া পথ নেই।

    ReplyDelete
  2. ভীষণ ভাল লেখা, উচ্চবর্ণ বা উচ্চবিত্ত যারা কর্পোরেট চাকরি করে বিলাসবহুল অভিজাত এলাকায় নিশ্চিত জীবন যাপন করছেন, তাদের প্রচ্ছন্ন মদতে ই আজ এ ই ফ্যাসিবাদী শাসকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে, যেমন অরুনধ্তী রায় বলেছেন যে আমরা নিজেরাই জানতে পারলাম না আমাদের মধ্যেই কিভাবে নাৎসী বাহিনীর জন্ম হচ্ছে, এবং আমরা নিজেদের ঘর পুড়াচ্ছি , শিক্ষিত মানুষ একযোগে প্রতিবাদ করা ছাড়া আর উপায় নেই

    ReplyDelete
  3. সংক্ষেপে সবটা। শুধু এক জায়গায় সন্দ। এই তিণু কতটা সৎ? ওদের দিনে জোচ্চুরি। ছাগল দিয়ে ধান কখনই মাড়ানো যায়না।

    ReplyDelete
  4. দিনে নয় জিনে / DNA তে

    ReplyDelete
  5. ভীষণ ভাল লেখা। এটা সর্বত্র প্রচারিত হোক। বাম শক্তির পুনরুত্থানে সিপিআইএমএল লিবারেশন ভাবছে হয়তো , কিন্তু তাদেরকেও বড় দাদা হিসেবে অকেজো করে দেবে সিপিএম এই বাংলায়। এটা বড়ই চিন্তার। সিপিএম নতুন নামকরণ করেছে নয়া ফ্যাসিবাদ। এরও কারণ আছে । কারণ তৃণমূলকে ব্রাকেটে নিতে হবে। তৃণমূল চোর , দুর্নীতি বাজ হতে পারে কিন্তু তার এক হাজার গুণ চোর ও দুর্নীতি বাজ হলো বিজেপি। তার উপর তারা একেবারে ফ্যাসিস্ট। এটা সিপিএম এর খেলা যে ওদের ফ্যাসিস্ট না বলে নয়া ফ্যাসিবাদের উত্থান বলবো। কেন? তৃণমূল এই নয়া ফ্যাসিবাদের সঙ্গী। তৃণমূলের বিরোধীতা থেকে ওরা কিছুতেই সরে আসবে না ,কারণ ওদের ৩৪ বছরের রাজ্যপাট নষ্ট করেছে, ওদের আরামের জৌলুস ছারখার করেছে তৃণমূল। তাই ওদের কাছে আগে রাম, পরে বাম।

    ReplyDelete
  6. লেখাটি অসাধারণ। বাঙালি ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে সন্নিবদ্ধ ভাবে এখানে ধরা হয়েছে। এ লেখাটিকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া যাক।

    ReplyDelete
  7. সুশান্ত কর29 November 2025 at 01:42

    বাংলার ঔদার্যের কথা বলি বটে, কিন্তু এই বাংলার থেকেই যাত্রা শুরু করে নব্য হিন্দু ভারতীয় জাতীয়তাবাদ। এটাও বড়ো বেদনার।

    ReplyDelete
  8. যথাযথ লিখেছেন। তবে বাংলা নিয়ে আমার বিশ্বাস চিড় খেয়েছে অনেকটাই। সব বাঙলি রামমোহন বিদ্যাসাগরের অনুসারী হননি। যুগের তালে তাল দিয়েছিলেন মাত্র। সময় সুযোগ মতো গোঁড়ামির পালে গেরুয়া হাওয়া লেগেছে।

    ReplyDelete