Friday, 19 July 2024

কুর্নিশ তোমার ছাত্রদের

ভালো থেকো বাংলা

শ্রীপর্ণা চক্রবর্তী



'বাংলার ধনুকের ছিলায় ছিলায় যত টান 

তীরের ফলায় তবু বিষ নয় লালনের গান।' 

পুলিশের সামনেও হয়তো সেই ভরসাতেই ছেলেটি দাঁড়িয়ে রইল প্রথম গুলিটা এসে লাগার পরও, দু' বাহু প্রসারিত করে দ্বিতীয় গুলিটাকে সে জাপ্টে নিল চেনা বলিউডি কায়দায়, তারপর ধীরে ধীরে জমিনে লুটিয়ে পড়ল। নাহ, সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে চলা দৃশ্যটা কোনও সাম্প্রতিক চলচ্চিত্র থেকে তুলে আনা নয়, দৃশ্যটা বড়ই টাটকা এবং বাস্তব। স্থান রংপুর, বাংলাদেশ-- চলমান আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ। সম্পূর্ণ নিরস্ত্র অবস্থায় তাকে রাষ্ট্রযন্ত্র খুন করল। আবু সাঈদের পরে সে তালিকায় যুক্ত হয়ে চলেছে আরও নাম-- আসিফ, রাফি, ওয়াসিম, আদনান, সাব্বির... 

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাবির একদল ছাত্র প্রথম সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। সেই সময়ে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ পদ সংরক্ষিত ছিল। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জেলার জন্য ১০ শতাংশ, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ। তাদের এই সাহসী উদ্যোগ দ্রুতই দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। সারা দেশের ছাত্ররা এক কাতারে এসে দাঁড়ায়, দাবি করে ন্যায়বিচারের। 'মেধার ভিত্তিতে চাকরি চাই, বৈষম্যের অবসান চাই'— রাজপথ থেকে সামাজিক মাধ্যম স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে। আন্দোলন ক্রমে ব্যাপক আকার নিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনজাতি এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য থাকা সংরক্ষণ বজায় রেখে বাকি সবরকমের সংরক্ষণ বাতিলের নির্দেশ দিতে কার্যত বাধ্য হন এবং তখনকার মতো আন্দোলন স্থগিত হয়। বলা যেতে পারে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত ছিল আন্দোলনের সফলতার প্রাথমিক স্বীকৃতি। 

কিন্তু পরবর্তীতে ২০২১-এ সাত জন মুক্তিযোদ্ধার স্বজনের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে এই নির্দেশনামার বিপক্ষে আপিলের প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন পূর্বের সংরক্ষণ পদ্ধতির পুনর্বহালের পক্ষে রায় ঘোষণা হয়। এর পরই ছাত্র আন্দোলন পুনরায় শুরু হয় এবং তা দ্রুত ব্যাপক আকার ধারণ করে প্রায় সারা দেশের ছাত্র যুবদের স্বতঃস্ফূর্ততায়। যদিও পূর্ব সিদ্ধান্ত বহাল রাখার জন্য সরকার ইতিমধ্যেই উচ্চ আদালতে আবেদন করেছে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গত ১০ জুলাই এক মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে বলেছে, হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ আদালত।

যে প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে তা হল, আদালতের স্থগিতাদেশ এবং বর্তমান সরকারের নীতি সবই যখন ছাত্র যুবদের মূল দাবির বিরুদ্ধে নয় তবে আন্দোলন এই ভয়াবহতা ধারণ করল কীভাবে? যখন ছাত্র লীগ, যুব লীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের আক্রমণে আহত শতাধিক শিক্ষার্থী, দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ, সড়ক বন্ধ, আন্তর্জালিক পরিষেবা নিয়ন্ত্রিত ভাবে ব্যাহত, নিরস্ত্র ছাত্রের মৃত্যুর সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে থামবে তার উত্তরও অজানা, তখন রাষ্ট্রের ভূমিকা কী? এভাবে অস্ত্র দিয়ে ছাত্র আন্দোলন দমন কতটা প্রয়োজনীয় ছিল? 

আন্দাজ করা যেতে পারে, এক অনপনেয় হতাশা সে দেশের ছাত্র-যুব সমাজকে গ্রাস করেছে। পরিসংখ্যানের হিসেবে, ১৮-২৪ বছর বয়সীর মধ্যে ১৮.৮৭ শতাংশ বা প্রতি ৫ জনে ১ জন কোনওরকম শিক্ষাক্ষেত্র বা কর্মক্ষেত্রের আওতায় নেই। আনুমানিক ৩.২ কোটি শিক্ষিত বেকার। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে প্রতি ৩ জনে ১ জন মুক্তিযোদ্ধার স্বজন অর্থাৎ সংরক্ষিত আসনের আওতায়। বিশেষ করে যখন মেধা ও প্রাপ্যতার প্রশ্ন ওঠে, তখন এই পদ্ধতি অসাম্য ও বৈষম্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। এর সাথে যোগ হয় সাম্প্রতিক কালের দুর্নীতিতে ক্ষমতাসীন দলের ভূমিকা। এছাড়াও সরকারি দাবি অনুযায়ী, এই আন্দোলনে জামাত এবং অন্যান্য বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলির ইন্ধন রয়েছে। তারা এই আন্দোলনকে ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। যদিও রাজনৈতিক ময়দানে তা অত্যন্ত 'স্বাভাবিক পদক্ষেপ'।

ভারতীয় উপমহাদেশে ইদানিংকালে বারবার চোখে পড়েছে প্রতিস্পর্ধী অবস্থান গ্রহণের মূল্য কিভাবে দিতে হয়। কন্নড় সাহিত্যিক এম এম কালবুর্গি, সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ, সমাজকর্মী গোবিন্দ পানসারে ও নরেন্দ্র দাভোলকরের হত্যাকাণ্ড যদি না আমরা ইতিমধ্যেই বিস্মৃত হয়ে থাকি। আর তাই বিরুদ্ধ স্বরকে 'দেশদ্রোহীর' তকমা লাগিয়ে দেওয়া হোক কিংবা ভারত বন্ধু হাসিনার আন্দোলনকারীদের 'রাজাকার' হিসেবে চিহ্নিত করা-- সবই যেন সর্বাধিপত্যকামী শাসন প্রতিষ্ঠার ভাষা। অর্থাৎ, বিরোধীর কথা বলার পরিসরটিকেই না রাখা, এই তাদের একমাত্র পন্থা। দেখলে অবাক লাগে না-- পশ্চিমবাংলার মানুষ মৌলবাদী-একনায়কতন্ত্রী দল আর আপাত ভাবে কম একনায়কতন্ত্রী দলের মধ্যে দ্বিতীয় জনকে বেছে নেয় মন্দের ভালো হিসেবে। কিন্তু সংশয় হয়, ভারতীয় আগ্রাসন ও হিন্দুত্ববাদের ফলে যে পরিমাণ ঘৃণা বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণের মনে ভারত তথা ভারতীয়দের প্রতি দানা বাঁধছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে সে দেশে সম্পূর্ণভাবে মৌলবাদ প্রতিষ্ঠিত হতে দেখলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। 

কিন্তু বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ রাষ্ট্র মেরামতের যে স্বপ্ন দেখতে পারে, দেখাতে পারে, আমরা কি তা দেখতে ভুলে গিয়েছি? তা গত শতাব্দীর শেষের দিকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন (১৯৮০-১৯৯০) কিংবা সাম্প্রতিক কালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (২০১৮) এবং সব শেষে সংরক্ষণ সংস্কার আন্দোলন (২০২৪)-- সব কটি ক্ষেত্রেই ছাত্রসমাজই মুখ্য পরিচালক থেকেছে। তারা হারিয়ে যায়নি, আপস করেনি, বিফল হয়নি। 

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশের তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবৈধভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। ১৯৮৩/ ১৯৮৪ সালে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ছাত্র সংগ্রাম বা গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু হয় এবং সেই লাগাতার আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর। উল্লেখ্য, সে সময়ে ২৪টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে তৈরি হওয়া 'সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য' গঠনের আগে জোটে থাকা মূল দুটি ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল ও বাংলাদেশ ছাত্র লীগ আলাদাভাবে বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিল। এরপরই এরশাদ সরকারের পতন এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার স্থাপন। 

২০১৮ সালের ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাস ধাক্কায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে ও দ্রুত সারা দেশে তা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা পথে নেমে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ শুরু করে, চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করে এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি আটকায়। দেশ জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তোলে এই আন্দোলন এবং সরকারকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে। আন্দোলনের চাপে সরকার দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইনের খসড়া প্রণয়ন করে তা পাশ করায়। আগেই বলা হয়েছে, চলমান আন্দোলনটির সূত্রপাতও সেই ২০১৮ সালে। এই ছাত্র আন্দোলনগুলো পর পর লক্ষ করলে বোঝা যায়, তাদের একতা এবং আন্দোলনের মাঝপথে খেই হারিয়ে না ফেলা-- এ দুটো পন্থা আন্দোলনে সফল হতে তাদের বড় সহায়ক থেকেছে।

আমাদের দেশে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে এ দেশের ছাত্র-যুবদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলেও কোনওভাবেই তা ছাত্র আন্দোলন বা নিদেনপক্ষে ছাত্রসমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠদের আন্দোলন, এমনটা বলা যায় না। এ দেশ শেষ কবে কোনও সামাজিক বিষয়ে ছাত্র আন্দোলন দেখেছে তা সহজে মনে পড়ে না। শুধু দেশের কিছু তথাকথিত 'এলিট' শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আন্দোলনই আবর্তিত হতে থেকেছে সামাজিক মাধ্যমের পাতায় পাতায়। যেহেতু ভারতের বর্তমান ছাত্র আন্দোলনগুলো মূলত বামপন্থী রাজনীতির দ্বারা জোরালো ভাবে প্রভাবিত, তাই যা কিছু অনুজ্জ্বল তা কোনওদিনই সেভাবে আন্দোলনের বিষয়বস্তু হয়ে উঠতে পারেনি। সেই কারণেই হয়তো আইআইটি খড়্গপুরে মারা যাওয়া ফাইজান আহমেদের জন্য এ দেশে কলরব ওঠে না। এর সঙ্গে আছে ঐক্যবদ্ধ না হওয়ার তীব্র চেষ্টা যা কখনও সরাসরি দলীয় রাজনীতির (যা সবসময়ই মানুষের থেকে বড় হয়ে দাঁড়ায়) বেশে, কখনও নীতি আদর্শের নামে, আর্থ-সামাজিক শ্রেণির পার্থক্যে, ধর্মীয় বিশ্বাস-অবিশ্বাসের গেরোয় আটকে পড়ে। তাই, ক্ষমতাতন্ত্রের সাফল্য আসতে দেরি হয় না, একনায়কের জয়ও আসে সহজে। 

এরই পাশাপাশি বলতে হয়, এই উপমহাদেশের সংরক্ষণের কথাও। খুব সম্ভবত ১৮৮২'তে উইলিয়াম হান্টার এবং জ্যোতিরাও ফুলের উদ্যোগে প্রথম সংরক্ষণের পরিকল্পনা হয়, যার পেছনে ছিল জাতপ্রথা, অস্পৃশ্যতার মতো নিকৃষ্ট সামাজিক ব্যাধি। তবে বর্তমানে যে সংরক্ষণ ব্যবস্থা ভারতে চালু রয়েছে তার প্রতিষ্ঠা ১৯৩৩'এ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রামসে ম্যাকডোনাল্ডের ‘কম্যুনাল অ্যাওয়ার্ড’ এর হাত ধরে। গান্ধী এবং আম্বেদকরের ‘পুনা চুক্তি’ স্বাক্ষরও এ ক্ষেত্রে বহু আলোচিত। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই ভারতীয় সংবিধান অনুসারে (অনু: ১৫, ১৬) জাতের ভিত্তিতে বৈষম্য নিষিদ্ধ হয়, তবে সেই তালিকায় ছিল শুধুমাত্র তফসিলি জাতি ও জনজাতি। ১৯৯১ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অন্যান্য অনগ্রসর জাতি (অনুচ্ছেদ: ৩৪০)। অতএব বলা চলে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংরক্ষণের বয়স কমপক্ষে সাত দশক উত্তীর্ণ।

অথচ, বৈষম্য আদৌ মোছা গেল কিনা, এ প্রশ্ন আমাদের মাথায় আসে না। আলোচনা পর্যালোচনা চলতে থাকে, সংরক্ষিত সমাজের সবচেয়ে ওপরতলার একদল আজন্ম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পর তার পরবর্তী প্রজন্মও সেই সুবিধা ভোগ করতে থাকে। শ্রেণির বাকি অংশের কাছে সে সুযোগ আজও পৌঁছতে পারে না, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা সে কথা ভুলেও তোলেন না, পাছে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয় সে ভয়ে। সাধারণ জনগণ-- অসংরক্ষিত আসনের জনগণ-- কাগজে-কলমে সংরক্ষণের অধিকারী অথচ সুবিধা-বঞ্চিত জনগণ প্রশ্ন করে না, কারণ, তারা প্রশ্ন করার জায়গাতেই কখনও পৌঁছতে পারে না। বৈষম্য জিইয়ে রাখাই যেন নেতাদের সুযোগ করে দেয় বৈষম্য দূরীকরণের পক্ষে রাজনীতি করার; সংরক্ষণ ব্যবস্থার তাই অবসান হয় না। নির্বাচন ব্যবস্থাটিও ক্রমে শুধুই জাত-ধর্মের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। 

প্রতিবেশী দেশের ছাত্রদের সমাজের প্রতি এই দায় থেকে আমরা কতটা শিখব তা ভবিষ্যৎ বলবে। জানা নেই এ মৃত্যু মিছিল কবে থামবে, রাষ্ট্র কবে শিখবে অস্ত্র দিয়ে জোর দেখিয়ে সাময়িক আগুন নিভলেও তা সুদূরপ্রসারী হয় না। সুমনের গান ধার করে আবার বলি, 'স্মৃতিতে এখনও শুনি বঙ্গবন্ধুর আহ্বান, পূবের আকাশ ছোঁয় শান্তিতে ভোরের আজান'। এই বিশ্বাসটুকু অটুট থাকুক। ভালো থেকো বাংলা, কুর্নিশ তোমার ছাত্রদের।


6 comments:

  1. চমৎকার বিশ্লেষণ। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের চলমান ছাত্র আন্দোলনের উপর পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দলের লেজুড়বৃত্তি করা ছাত্রলীগের বর্বর আক্রমণের নিন্দা জানানোর মতো ভাষা নেই। আশা করবো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দ্রুত শুভবুদ্ধি উদয় হবে ও হিংসা থেকে বিরত হবে।

    ReplyDelete
  2. লেখাটিতে শাহবাগ আন্দোলনের
    এবং তার বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলাম বিএনপি, জামায়াতের
    সাম্প্রদায়িক শক্তির নিরন্তর প্রচার
    উহ্য থেকে গেছে।

    ReplyDelete
  3. Urmi Bhattacharjee19 July 2024 at 16:09

    খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক একটি লেখা

    ReplyDelete
  4. লেখাটি পড়লাম! খুবই ভালো লেখা! অনেকটা ডিটেলে জানলাম! এমন একটি প্রতিবেদনই খুঁজছিলাম! ভালো হল! আপনাকে অভিনন্দন ধন্যবাদ এমনো একটি বিষয়কে আমাদের সামনে আলোচনা করার জন্য!

    ReplyDelete
  5. লেখাটি পড়ে অনেক অজানা বিষয়ে জানলাম
    তথ্যনির্ভর ঘটনাবহুল এই লেখা উপমহাদেশ সহ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অনেককেই সমৃদ্ধ করবে আশাবাদী...

    ReplyDelete