অনিন্দ্য ভট্টাচার্য
সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডে টিভি চ্যানেলে রাহুল কানওয়াল’এর এক প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর খুব সপ্রতিভ ভাবে জবাব দেন: দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার থেকেও তিনি আরও বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী। এতে স্বভাবতই নড়েচড়ে বসেন প্রশ্নকর্তা এবং বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকেন, সে উচ্চাশাটা কী? প্রতিবারই সে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে প্রশান্ত বলতে থাকেন, আজ নয়, পরে কখনও তিনি এ বিষয়ে বলবেন। এমনতর একটি দুর্লভ উচ্চাশা মনে মনে পোষণের কথা জানিয়েও তিনি সে বিষয়ে আর বিশদে কিছু বলতে চাননি।
তাই বিষয়টি কৌতূহলোদ্দীপক। কিন্তু একেবারে আন্দাজ যে পাওয়া যাচ্ছে না, তাও নয়। বরং, এর আগ মুহূর্তেই প্রশ্নকর্তার অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এমন কিছু বলেছেন যার থেকে তাঁর উচ্চাশার একটা ধরন তো বোঝাই যাচ্ছে। আর তিনি যে বিষয়টিকে একান্তই গোপন রাখতে চাইছেন, তাও নয়। তিনি ইঙ্গিত দিচ্ছেন, কিন্তু এই মুহূর্তে অকপটে বলতে চাইছেন না, বলার মতো আরও খানিকটা আত্মবিশ্বাস অর্জন করে নিতে চাইছেন হয়তো। কারণ, এ উচ্চাশা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ স্রেফ এই কারণেই যে তা প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার থেকেও বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ।
অতএব, এ নিয়ে শূন্যে আলটপকা ঢিল ছুঁড়ে আপাতত কোনও লাভ নেই। বরং, চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে, প্রশান্ত কিশোরের রণকৌশলের ধরনটা কেমন ও তা কেন প্রায় ১০০ শতাংশ সাফল্য এনে দিচ্ছে (একমাত্র ব্যতিক্রম ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের কৌশলী হিসেবে ব্যর্থতা)। ইন্ডিয়া টুডে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত স্পষ্টতই বলেছেন, তাঁর সংস্থার কাজ মোটেই এমন নয় যে, যে দলের জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই তাকেও তারা জিতিয়ে দিতে পারে। মূলত তাদের কাজ নির্দিষ্ট (যে দলের দায়ভার তারা নেয়) দলীয় নীতি ও অনুশীলনের পরিসীমায়, যেখানে দলের জেতার সম্ভাবনা আছে বা মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তারা অবস্থানরত, তার জয়কে তারা নিশ্চিত করতে পারে, দুর্বলতা ও অক্ষমতার জায়গাগুলিকে মেরামতি করে এবং নির্বাচনী প্রচারকৌশলকে আরও আকর্ষণীয়, বাস্তবমুখি ও তীক্ষ্ণ করে। দলের পরিসীমা প্রান্তরে কিছু উপাদান জুগিয়ে ও কৌশল এঁটে কোনও দলের জয়কে সুনিশ্চিত করার এই যে অব্যর্থ বটিকা, তার মূল রহস্যটিকে তাহলে বোঝার চেষ্টা করা যাক। কারণ, সেখানেই প্রশান্ত কিশোরের উচ্চাকাঙ্ক্ষার বীজ হয়তো লুকিয়ে আছে।
এ পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচনগুলিতে প্রশান্ত কিশোরের টিম যে যে দলগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে তারা হল- বিজেপি, জনতা দল (ইউনাইটেড), কংগ্রেস, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, আপ, তৃণমূল ও ডিএমকে। একমাত্র ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বাদে আর কোনও পরামর্শেই তারা এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ হয়নি। তাদের যাত্রা শুরু ২০১২ সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি’র পরামর্শদাতা হিসেবে। ২০১৩ সালের গুজরাত নির্বাচনে সাফল্যের পর তারা Citizens for Accountable Governance (CAG) নামে একটি সংগঠন তৈরি করে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে লোকসভা নির্বাচনে বৈতরণী পার হতে সাহায্য করে। এরপর একের পর এক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে তারা পরামর্শ দিয়েছে, তাদের জন্য রাজনৈতিক রণকৌশল সাজিয়ে দিয়েছে ও জয়ের পথ সুনিশ্চিত করেছে। পরে CAG’কে তারা পুনঃসংগঠিত করে Indian Political Action Committee (I-PAC) গঠন করে। এই আই-প্যাক ধীরে ধীরে হয়ে দাঁড়ায় ভারতীয় রাজনীতিতে এক যুগান্তকারী দিকবদলের কাণ্ডারী। কথাটা এতটা উচ্চরবে বলার কারণ হল, তাদের হস্তক্ষেপ ও পরামর্শের ফলে দেশের রাজনৈতিক-অর্থনীতিতে এক পালাবদলের ইঙ্গিতও বেশ স্পষ্ট হয়েছে। কারণ, পরাজয়ের আশঙ্কায়, অন্যথায় জেতার প্রবল সম্ভাবনাকে নিশ্চিত করতে যে দলগুলি আই-প্যাক’এর দ্বারস্থ হচ্ছে, তাদের অতএব এমন এক রাজনৈতিক অনুশীলনের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে যা অভিনব এবং অবশ্যই ব্যতিক্রমী। নিজেদের আত্মবিশ্বাসে এবং দেয় প্রতিশ্রুতি ও কাজের নিরিখে যদি দলগুলির জেতার ব্যাপারে ষোলআনাই ভরসা থাকত তাহলে তারা কি আর দায়ে পড়ে আই-প্যাক’এর দ্বারস্থ হত? যে মুহূর্তে আই-প্যাক’এর সঙ্গে একটা রফা হল, আই-প্যাক’ও কিন্তু নেমে পড়ল সব থেকে প্রাথমিক কাজটিতে: সমীক্ষা। একেবারে তৃণমূল স্তরে সটান পৌঁছে এমন নিবিড় ও গভীর সমীক্ষা যেখানে ধরা পড়ে যাবে পাণিপ্রার্থী দলটির সমস্যা ও অসুবিধাগুলি কোথায়। এই সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করে মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া এবং এমন ভাবে দলগুলির উপস্থাপনাকে হাজির করা যে মানুষের হারিয়ে যাওয়া আস্থা যেন আবার ফিরে আসতে পারে।
আই-প্যাকের এই অনুশীলনের প্যাটার্ন ও উপলব্ধ প্রজ্ঞা থেকে আমরা দেখতে পাব, এক বিশেষ ধরনের পরামর্শই (যদিও বিভিন্ন রাজ্যের নির্দিষ্ট পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তার কিছু বিশিষ্টতা আছে) আই-প্যাক’এর তরফ থেকে দেওয়া হয়ে থাকে এবং তা দিয়েই বাজিমাত করার প্রচেষ্টা। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, এর অর্থ এই নয় যে শুধুমাত্র কিছু গিমিক দিয়ে বা কারসাজি করে কোনওক্রমে পার পাওয়ার চেষ্টা। এর অন্দরে সুদূরপ্রসারী কিছু বদলেরও অভিসার আছে।
খেয়াল করে দেখুন, ২০১৩ সালের গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নির্বাচনী বরাত নিয়ে ‘চায়ে পে চর্চা’র অভিনব অনুশীলন দিয়ে যার শুরু, আজ পশ্চিমবাংলায় ‘বাংলা তার নিজের মেয়েকেই চায়’ আওয়াজে এসে আপাতত পৌঁছনো। এই শ্লোগান ও প্রেরণার মধ্যে নিছক ফাঁপা আবেদন ও ভাবাবেগ আছে- এমনটা মনে করলে কিন্তু ভুল হবে। এর মধ্যে অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট ধরনের রাজনৈতিক অন্তর্বস্তু ও অনুশীলন আছে যা আই-প্যাক’কে সাফল্য এনে দিচ্ছে। এক কথায় বললে তা হল, শাসনরীতিকে জনমুখি করে তোলা ও হরেক কিসিমের সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প হাতে নেওয়া। প্রত্যেকটি পরামর্শের মধ্যেই কিন্তু এই মোদ্দা সারবস্তুটি অন্তর্লীন হয়ে আছে। অর্থাৎ, এমনটা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, শাসনপ্রণালী ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিকে মানুষের কাছাকাছি নিয়ে আসা ও উপযুক্ত করে তোলার মধ্য দিয়ে যে রাজনৈতিক অনুশীলনটি সাব্যস্ত হয় তাকেই শিরোধার্য করে ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্রে একটি পাকাপোক্ত সড়ক নির্মাণে ব্রতী প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক টিম। যদিও প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য হল যে তিনি আই-প্যাকের কোনও শেয়ারহোল্ডার বা তার মালিক নন এবং এই সংস্থা কোনও বাণিজ্যিক উদ্যোগও নয়। এটা এক ধরনের মিশন। তর্কের খাতিরে প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্যকে গ্রাহ্য করলে এটা পরিষ্কার হয় যে, তারা স্পষ্টতই ভারতীয় ব্যবস্থায় জনকল্যাণমূলক রাজনীতির ব্যাপক সম্প্রসারণ ও অনুশীলনের মধ্য দিয়ে একটি নতুন ধরনের রাজনৈতিক-অর্থনীতির উদ্ভাবন ও প্রসারণ চাইছে। গত সাত-আট বছরে তাদের অভিজ্ঞতার নিরিখে এটা অস্বীকার করা যাবে না যে তারা এ ব্যাপারে নিঃসন্দেহে কতকটা অগ্রসর হয়েছে। আর তার বাস্তব কারণ ও পরিস্থিতিও বিদ্যমান।
গত শতকের নব্বইয়ের দশকে উত্থিত বিশ্বায়নের পরিপ্রেক্ষিতে নব উদারবাদী অর্থনীতির যে আগুয়ান রথ এ দেশ ও সারা বিশ্ব জুড়ে ছুটতে শুরু করেছিল তার প্রথম ধাক্কা আসে ৯০'এর দশকের একেবারে শেষ ভাগে চার এশিয়ান টাইগারের (হংকং, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান) মুখ থুবড়ে পড়ার মধ্য দিয়ে। আর দ্বিতীয় সর্বগ্রাসী মোক্ষম ধাক্কাটি ছিল ২০০৮’এর সাব-প্রাইম সংকট থেকে। ইতিমধ্যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভিনব বিকাশ এসে পৌঁছেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গভীর গহ্বরে যেখানে যন্ত্র প্রায় সর্বাংশেই যে কোনও কাজের দায়িত্ব নিতে সক্ষম, অতএব, মনুষ্য শ্রমের প্রয়োজনীয়তাও প্রথমে আংশিক ও পরে সম্পূর্ণতই কমে আসার শুরু। এই শতকের দ্বিতীয় দশকের গোড়ায় পুরনোকালের ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প যুগের অন্তে এসে আমরা পৌঁছলাম যেখানে দেখা গেল নতুন শিল্প হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছে অনলাইন-ডিজিটাল ভিত্তিক বিকিকিনি ও নব্য বহরে বিস্তৃত এক পরিষেবার জগৎ। যেটুকু কর্মী নিয়োগ তা এই নতুন জগতেই ঘটছে, পুরনো শিল্প জগতে যা অত্যন্ত নগণ্য। জমি অধিগ্রহণ করে বড় বড় শিল্প স্থাপনার যুগও অস্তপ্রায় কারণ অনলাইন শিল্পে বস্তুগত সম্ভারের প্রয়োজন নিতান্তই সামান্য।
এমন এক পরিস্থিতিতে খুব স্বাভাবিক যে পরিকাঠামো বলতে যে আয়োজনের কথা আগে শিল্প মহল থেকে বোঝানো হত, যেমন, আট লেনের রাস্তা কিংবা বড় বড় বিমানবন্দর অথবা সুবিশাল হাইওয়ে বা মস্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ করা– সে সবের কার্যকারিতা ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। কারণ, নতুন অনলাইন-ভিত্তিক শিল্পে গতায়াতটা এখন একেবারেই প্রায়-ভার্চুয়াল, সত্যি সত্যি নয়। সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষের ঘরবন্দী জীবন সে সম্ভাবনাকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। আর এই সুবাদে ‘গিগ’ (স্বল্পস্থায়ী) অর্থনীতির উদ্ভবের ফলে সেভাবে স্থায়ী চাকরির সম্ভাবনাও আর নেই। তাই, জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সাহায্যে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনকে কতকটা ঠেকা দেওয়া ছাড়া শাসকের কাছে আর কোনও পথও খোলা নেই। এই পরিপ্রেক্ষিত থেকেই ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকামের (ইউবিআই) প্রস্তাব সর্বতোভাবে আলোচনায় আসছে; তা এখুনি কার্যকর করা না গেলেও অন্তত আংশিক ইউবিআই’এর কর্মসূচি লাগু হতে শুরু করেছে। এবারের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ইশতেহারে ১.৬ কোটি পরিবারকে মাসিক ৫০০/১০০০ টাকা আয় সরাসরি দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব এই ভাবনাকে মাথায় রেখেই।
বোঝাই যাচ্ছে, যেহেতু ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প-অনুকূল পরিকাঠামো গড়ে তোলার আর তেমন প্রয়োজনীয়তা থাকছে না, তাই সে খাতে অর্থ বরাদ্দ না করে জনকল্যাণমূলক খাতে তা ঘুরিয়ে দিয়ে নতুন এক রাজনৈতিক-অর্থনীতির পথকে প্রশস্ত করাই এখন সাব্যস্ত হচ্ছে। তবে, চরম দক্ষিণপন্থী ও চরম বামপন্থী দলগুলি এই ধরনের কার্যাবলীর বিরুদ্ধে (যদিও এই দুই পক্ষের বিরুদ্ধে থাকার কার্যকারণ একেবারেই বিপরীতমুখি)। চরম দক্ষিণপন্থী দল হিসেবে আজকের বিজেপি’কে দেখে তা বোঝাও যাচ্ছে, যখন চাঁদ সদাগরের বাঁ হাতে মনসা পুজোর মতো করে তারা কিছু জনমুখি যৎসামান্য এটা-সেটা ছুঁড়ে দিচ্ছে বটে কিন্তু তাদের মূল অভিমুখ নির্লজ্জ ভাবে কর্পোরেট কুলের (বিশেষত দুটি হাউজ) স্বার্থ রক্ষা করা। যে কারণে, ২০১৩-১৪ সালে বিজেপি প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ নিয়ে গুজরাত ও কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসীন হলেও ক্রমেই নিজেদের কদর্য চেহারাটাকে আরও উন্মুক্ত করেছে এবং আই-প্যাকের সঙ্গে তাদের মধুচন্দ্রিমারও অবসান হয়েছে। তাদের পক্ষে এই নতুন পথে চলা তাদের মতাদর্শের কারণেই সম্ভব নয়।
বলাই বাহুল্য, প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক নবতর রাজনৈতিক-অর্থনীতির এই জায়গাটিকেই ধরেছে। আর নির্বাচনে একেকটি দলের দায়িত্ব নিয়ে এই পথকে পাথেয় করেই তারা সাফল্য এনে দিচ্ছে। এই যে নতুন এক পথের ধারণা ও তার অনুশীলন, তা আরও কিছু সাফল্য অর্জনের মধ্য দিয়ে আগামী দিনে হয়তো এক দিগদর্শন হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এই মত ও পথের তত্ত্বায়ন ও সাফল্যই সম্ভবত প্রশান্ত কিশোরের উচ্চাকাঙ্ক্ষা। তা কালের বিচারে নিয়মতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রীর পদ অলংকরণ করার থেকেও অনেক পরিব্যাপ্ত, সৃজনশীল এবং অমূলকও কিছু নয়।
লেখাটা পড়লাম। লেখাটা যদি মেনে নিই তাহলে বলতে হয় পিকে খুব দূরদর্শী এবং সময়ে থেকে এগিয়ে ভাবনা চিন্তায়। কিন্তু কর্পোরেট গোষ্ঠী সরকারের বিপুল টাকার কাছে ভোটার বিক্রি হয় নাকি টাকা নেবে ও পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে সেটাই দেখার। পিকে নিশ্চয় তা বুঝতে পারছে।
ReplyDeleteপ্রশান্ত কিশোর মডেল বা ভাতা মডেল কোন দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হতে পারে না। চাকরির সংখ্যা কমে মানুষ বেকার হচ্ছে। সেই জ্বালা থেকেই দেশ ফ্যাসিবাদের দিকে ঢলে পড়েছে। মূল বক্তব্যটা হচ্ছে যে কাজ হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ বিনোদন। ফেসবুক বা টুইটার দিয়ে এই সত্য থেকে বেশিদিন আড়াল করে রাখা যাবে না। ইউনিভার্সাল employment guarantee র দাবি উঠতে শুরু করেছে। ঠেকনা দিয়ে হয়তো আরো কিছু বছর চলবে, কিন্তু পুঁজিবাদের collapse কে আটকানো সম্ভব নয়।
ReplyDelete