বিজেপি পেরে উঠবে না
অশোকেন্দু সেনগুপ্ত
ঘাড়ের ওপর এসে পড়েছে কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচন। সারা দেশের মূল আকর্ষণ দক্ষিণ ভারতের কেরালা ও তামিলনাডু আর পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ আর অসম নির্বাচন। শুধু আকর্ষণ নয়, আশঙ্কাও। বিজেপি এখন অসমের তখতে, বাকি কোথাও নেই, অন্য রাজ্যে সে যা পাবে তাই তার লাভ। এর মধ্যে তার সম্ভবত বিশেষ লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ।
তা রাজনৈতিক দল তো চাইবেই তার প্রভাব বাড়াতে, কতটা বাড়বে সেটাই প্রশ্ন। আর বিজেপি বিরোধী শক্তির আশঙ্কা প্রধানত দুটো: ১) বিজেপি কি আরও শক্তি বাড়াবে এই দেশে অন্য কোনও মন্ত্রে; ২) কংগ্রেস দলটা কি ধুয়ে-মুছে যাবে?
বিজেপি যদি শক্তি বাড়ায় ক্ষতি কী? ক্ষতি অনেক। এই সেই দল যা সংবিধান মানে না, টাকা আর ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়। তবু দেশে গণতন্ত্র আছে, ক্রমাগত পিছিয়ে পড়লেও অর্থনীতি তার বেশ পোক্ত আজও।
'ওরা রাজ্যে রাজ্যে 'ডবল ইঞ্জিন' সরকার প্রতিষ্ঠা করলে সব ভণিতা ত্যাগ করে নাকি দেশে রাম রাজত্বের নামে আধুনিক ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করবেই।' আজ যারা এসব বলছে বা আজ যারা তাদের অপছন্দ করে তাদের একাংশ কিন্তু এই সেদিনও বিজেপির পাশে ছিল, সে দলটিকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে কেন্দ্রের সিংহাসনে বসিয়েছে। তারা এখন যেন বুঝেছে এই দলটির চলনে বলনে হিটলারি তথা নাৎসি বাহিনির ছায়া। এরা দেখছে বিজেপি যেন সেই শক্তি হয়ে উঠেছে যার মন্ত্র: 'যার শিল যার নোড়া, তারই ভাঙ্গি দাঁতের গোড়া'! ওই দলের নাগরিকত্ব নিয়ে হম্বিতম্বি যেন সে কথাই বলে চলেছে। ওরা আরএসএস'কে পাশে নিয়ে চাইছে একটা হিন্দু রাষ্ট্র। ওরা রামমন্দির বানাবে আর মুসলিমদের দেশছাড়া করবে।
অসমে যে ডিটেনশন ক্যাম্প তা আরও মনে করাচ্ছে নাৎসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের কথা। নাগরিকত্ব হারাতে বসেছে হিন্দুরাও, এবং কী আশ্চর্য, তারাই সংখ্যায় বেশি! অনেক অনেক বেশি। এরপরও অসমে ওরা জিতবে?
উত্তর ভারতের ভীত, সন্ত্রস্ত কৃষকরা রাস্তায় নেমে পড়েছেন আর কোনও রাস্তা না পেয়ে। তিনটি কৃষি আইন তাঁদের রুটি কেড়ে নেবার ভয় দেখাচ্ছে। ওঁদের সামনে বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচন নেই, আছে স্থানীয় নির্বাচন। তাই সই। আর দেশ তো একটাই, বিজেপি দেশদ্রোহী বলে তো বলুক। ওই কৃষকরা সারা দেশের নির্বাচকমণ্ডলীর কাছে বলে চলেছেন: 'No Vote to BJP'। ওদের ধাক্কায় উত্তর ভারতে টলমল বিজেপি।
এদিকে, সারা দেশ, বিশেষত তামিলরা চিন্তিত জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে। যার আড়ালে ফণা তুলে রয়েছে 'হিন্দি আগ্রাসন'। রয়েছে সরস্বতী বিদ্যামন্দিরের 'সুশিক্ষা'। কেরালাও সুখে নেই। তাদের স্মৃতিতে আছে হিটলারি কায়দা যা প্রাণ কেড়েছে ইহুদি আর কম্যুনিস্টদের। আমার বাংলাও তো সুখে নেই নিশ্চয়। নানা কৌশলে বিজেপি নামের দলটি বাংলা ভাষা আর সংস্কৃতির মূলোচ্ছেদ করতে উদ্যত - অনেকের তেমন আশঙ্কা।
কৃষকদের আন্দোলন শুরু হবার আগেই তারা পেয়েছে ত্রিপুরা আর বিহার। বাংলা না পেলে আর অসম খোয়ালে আয়ারাম-গয়ারামের এই দেশে বিহার কি থাকবে বিজেপি-ছায়ায়? তাই বাংলা তার চাইই। প্রয়োজন হলে এখানেও ঘোড়া কেনাবেচা হবে। তাই বিজেপির জয়রথ থামাতে এখানে বিজেপিকে গো-হারা হারাতে হবে। দেখতে হবে যেন ওরা ঘোড়া কেনাবেচারও সুযোগ না পায়।
কে পারে ওই দলকে তেমনভাবে হারাতে? অসমে কংগ্রেস আছে, তামিলনাডুতে ডিএমকে আছে, কেরালায় বামপন্থীরা আছে, কিন্তু এই বাংলায় কে ঠেকাবে ওদের। যেন আমাদের বাস জলে কুমির আর ডাঙ্গায় বাঘ নিয়ে। কোনদিকে যাব? ওদের রথ থামাতে এগোব না পিছোব? এই প্রশ্নটি বিবেচনার আগে বিবেচনা করি ফেলে আসা অন্য প্রশ্নটি - এই দেশ থেকে কংগ্রেস দলটা কি ধুয়ে-মুছে যাবে?
এই দলটি কম অপরাধ করেনি। তারাও ধর্ম নিয়ে বিস্তর খেলেছে। উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব বা কর্মসংস্থান নিয়ে তারা কম খেলেনি। আজও যে দেশে নিরক্ষর রয়েছে, আছে দারিদ্র তার দায় ওরা অস্বীকার করতে পারে না। বিচারব্যবস্থাকে সম্মান দেখালেও বিচারক নিয়োগে তারা কম কৌশল করেনি। তবু তারা মুছে যায়নি, যাবার নয়। এবং তা যে হবার নয় উত্তর ভারতে বিজেপির কুশাসন তা বুঝিয়ে দিচ্ছে। বুঝিয়ে দিচ্ছে বিকল্প কংগ্রেসই। অসমে, কেরালাতেও তাই। আর, মনে হচ্ছে, তামিলনাডু তার ট্রাডিশন মেনে এবার ডিএমকে দলটিকে শাসন করার অধিকার দেবে। কিন্তু এই রাজ্যের কী হবে?
এখানে বহুদিনই কার্যত কংগ্রেস নেই। তবে কংগ্রেস ঘরানার দল তৃণমূল কংগ্রেস আছে। তারা কি পারবে বিজেপিকে ঠেকাতে? চেষ্টা করছে তারা খুব। তবু প্রশ্ন জাগে - তারা একাই পারবে, না কারও হাত ধরতে হবে। এমন নয় যে তারা কখনও কারও হাত ধরেনি। অন্যের হাত ধরেছে বারবার - বাম, ডান, সাম্যবাদী বা জাতীয়তাবাদী - কখনও ব্যক্তি, কখনও দল পাশে নিয়ে তারা লড়েছে। এবার তারা কার্যত একা লড়ছে। একা কি পারবে একালের ওই ফ্যাসিবাদী দলটির রথের চাকা রুখে দিতে? পারবে এই ভরসা নিয়েই তারা লড়ছে। তবু, বিশেষত শহরাঞ্চলের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের দুঃশ্চিন্তা দূর হয় না। যদি না পারে? তারা বিজেপির হাত ধরবে না তো! নাকি হাত বাড়াবে অন্যদের দিকে? মমতা-নিন্দায় রত বামশক্তি তখন কী করবে?
রাজ্যের তথা দেশের বামশক্তির সামনে এ এক জটিল প্রশ্ন। ১৯-এর নির্বাচনে প্রধান বিরোধী বাম দল সিপিএম নাকি ভেবেছিল 'এবার রাম' হলে 'পরের বার বাম' নিশ্চিত। তেমনটা ঘটেনি, ঘটার নয়, সোনার পাথরবাটি হয় না। সাধারণের আশা, অন্তত এবার তারা তা বুঝেছে। তবে, তারা রাজ্যপাট হারানোর শোক এখনও ভুলতে পারেনি। তাই, এরপরও তারা আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে জোট গড়তে ব্যস্ত হয়েছে, কোলে টেনেছে চিরশত্রু কংগ্রেস আর সিদ্দিকীর সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকেও। তবু হাত মেলায়নি তৃণমূলের সঙ্গে। ভালো করল কী? মন্দ নয় বলার উপায় নেই যদি কারও চোখ থাকে কেবল মসনদে। সিপিএম নিজেকে বামপন্থী দল বলে দাবি করে অথচ তারও নজর সেই সিংহাসনের দিকেই! তাই তারা গালমন্দ, কুৎসা, সমালোচনায় ভরিয়ে তুলছে রাজ্যের বর্তমান শাসক দলকে। এরা তার হাত ধরতে পারে না। ফল ঘোষণার পরেও না? বিজেপি নিশ্চয় তাদের দিকে হাত বাড়াবে না, বাড়াতে পারে তৃণমূল। বাড়াবে তেমন প্রয়োজন হলে। রাজনীতিতে সবই সম্ভব, খেলা যে এখনও অনেক বাকি। তবে, তেমন প্রয়োজন হবে কী? সেটাই তো লাখ বা কোটি টাকার প্রশ্ন।
এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার দায় নেই সাধারণ নির্বাচকদের। তাদের একটাই প্রার্থনা- যেন ঘোড়া কেনাবেচার নোংরা খেলাটা তাদের না দেখতে হয়। এই ফাঁকে একবার দেখে নি' বাকি দলগুলির অবস্থান।
কংগ্রেস:
আগেই বলেছি, এই রাজ্যে কার্যত বহুদিনই কংগ্রেস নেই। তাদের প্রভাব রয়েছে মাত্র দুটি জেলায় - মুর্শিদাবাদ ও মালদা। অল্পস্বল্প তারা আছে উত্তর দিনাজপুর আর পুরুলিয়ার কিছু পকেটে। ব্যস। বাকিটুকু চলে গেছে তৃণমূলে। এখন তৃণমূল এই রাজ্যে হয়ে উঠেছে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, তারা তাই মনে করে (নির্বাচকরা যা ভাবে ভাবুক)। ওদিকে তৃণমূলও চায় ওদের যেখানে যেটুকু জমি আছে তা কেড়ে নিতে। এই নিয়েই প্রধানত তৃণমূল আর কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দও আছে।
সিপিএম তথা সংযুক্ত মোর্চা:
ব্যক্তির অপছন্দও আছে বলেই এখনও সংযুক্ত মোর্চা জোট দানা বাঁধতে পারেনি। মহঃ সেলিম দলটাকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করতে সিদ্দিকীর সঙ্গে গলাগলি করতে চান এবং তাতে যদি বাধা হয় অধীরের মতো কেউ তো তার পরোয়া তিনি করেন না।
সিপিএম দলের আরও কিছু সমস্যা আছে। তারা বাধ্য হয়ে ফেলে আসা বদ-অভ্যাসগুলি ভুলতে পারে না আজও। ভুলতে পারে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অগণতান্ত্রিক উপায়ে পঞ্চায়েত দখলের কেরামতি। অক্ষম তারা আজ শূন্যে হাত-পা ছোড়ে। অথচ তারা দিব্যি ভুলেছে নিজেদের অপকীর্তি। যে পথে মমতা হেঁটেছেন সে পথ যে তাদেরই গড়া তা ভুলে মমতাকে তারা প্রধান শত্রু বলে দেগে দিয়েছেন। এতে যে নিজেদের ক্ষতি সর্বাধিক তা তারা দেখেও দেখছেন না, বিজ্ঞ বা অভিজ্ঞজনের কথা শুনেও শুনছেন না।
তবু সে জোট ভোট বা জনসমর্থন পাবে। কারণ অনেক। প্রথম কারণ কৃষক সমর্থন, দ্বিতীয় বিজেপি নামক শাসক দলটির প্রতি ঘৃণা, তৃতীয় কারণ গণ-আন্দোলনে পুলিসের মারে হত (তর্ক সাপেক্ষ) যুবকের মুখ। তাছাড়া বাঙালি স্বভাবত বামপন্থী, আর একদল (সংখ্যায় তারা কম নয়) মুখোশ পরা সাম্প্রদায়িক (আইএসএফ তাদের বিজেপি সমর্থক হওয়া ঠেকাবে)। এই অঙ্কেই মমতা ও বিজেপিকে পরাস্ত করতে বামপন্থীরা সাম্প্রদায়িক ও তথাকথিত জাতীয়তবাদীদের সাথে হাত মেলাতে দ্বিধা করছে না। তবে ক্ষমতার ভাগ পেতে, তেমন সুযোগ এলে অন্তত আইএসএফ নৌকা বদলাতেই পারে। তবে তেমন সুযোগ তারা পাবে কী? পেতে পারে যদি কোনও দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়। তবে সে ক্ষেত্রে একা আইএসএফ নয়, আয়ারাম থেকে গয়ারাম হবে কে কে তা বলা শক্ত। কয়েকজন ছাড়া বাকি সবাই তো বিক্রি হবার জন্য সেজেগুজে তৈরি থাকবে।
তৃণমূল:
এই সব সমস্যা ও সম্ভাবনা তৃণমূলের জানা। তাই, তাদের চেষ্টা একক ভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের। তারা একইসাথে বিজেপি আর জোটকে আক্রমণ করে চলেছে। তবু তাদের সংশয় যায় না। পাবে কি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা?
মানুষের জন্য এত কাজ করেছে যে দল তাকেও ভাবতে হচ্ছে। এই তো গণতন্ত্র বা নির্বাচনের মজা। কন্যাশ্রী থেকে স্বাস্থ্যসাথী, দুয়ারে সরকার - পিছিয়ে পড়া মানুষের মঙ্গলের জন্য কী করেনি এই দলের সরকার? কিন্তু এই সরকার তো নিশ্চয়ই অগণতান্ত্রিক পথেও হেঁটেছে - সামান্য কার্টুন আঁকার জন্য শাস্তি দিয়েছে, জোর করে দখল নিয়েছে পঞ্চায়েত ও পুরসভার। এই সরকারই তো দল ভাঙ্গার খেলা খেলেছে (সিপিএম'এর দেখানো পথে)।
তবু মানুষ ভুলতে পারে না যে এই দল কখনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবাজদের প্রশ্রয় দেয়নি, নারীদের সম্মানরক্ষায় এগিয়ে গেছে, আদানি-আম্বানিদের হাতে সঁপে দেয়নি রাজ্যটাকে, চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি কর্মসংস্থানের। কৃষক আন্দোলন থেকে শাহিনবাগ (এখানে পার্কসার্কাস ময়দান) - প্রতি ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সমর্থন মিলেছে। এই সরকারের ভুল পদক্ষেপও মানুষের নজরে আছে বৈকি। মানুষ তো দেখেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো শিকড়হীন উদ্ধত নেতাদের কুপরামর্শে শিক্ষা ক্ষেত্রে অরাজক অবস্থা ও সিপিএমপন্থীদের দাপাদাপি, দেখেছে নিজ কর্মচারীদের প্রতি সরকারের অবহেলা ও অবজ্ঞা।
সব থেকে দুর্বল বা হাস্যকর অবস্থা সংযুক্ত জোটের। ওটা জোট নাকি নিছক আসন সমঝোতা তাই বোঝা গেল না এখনও। তবু তাদের কিছু আসন জুটবে, অবাক হব না যদি এই জোট বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। এ পর্যন্ত যত বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছেন বা যত সমীক্ষা হয়েছে কেউই সে কথা বলেনি। তাদের অনুমান পুরো কাল্পনিক এমনও বলছি না। অন্তত এটুকু মানতে দ্বিধা নেই যে তৃণমূল কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল রূপে আবার ফিরছে শাসকের আসনে। তবে এমন হবে না যে তারা আগের মতো জনসমর্থন পাবে বা তাদের আসন সংখ্যা ২০০ পেরবে। ভোট শতাংশে তারা বিজেপির মতোই কিছুটা পিছু হটবে। তবু, তারা হয়তো ১৭০-১৮০'তে থামবে।
তৃণমূল কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল রূপে আবার ফিরছে এটা যেমন সত্য তেমনই সত্য যে এই রাজ্যে অন্যান্য দলের ক্ষমতা দখলের কোনও সম্ভাবনা নেই। তারা সাকুল্যে ৪-৫ টি আসন পেতে পারে। লড়াই হবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নিয়ে। গোষ্ঠী কোন্দলে দীর্ণ বিজেপি ৪৫-৫০টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থান পেতে পারে বলে আমার অনুমান। নির্বাচনের মুখে সব দলের অন্তরের কম-বেশি ক্ষোভ বাইরে আসে। ওসব কিছু নয় সাধারণভাবে। তবে, বিজেপির অন্তর্কলহ সাধারণ বা সামান্য নয়। তাই সম্ভবত তাদের তৃতীয় হতে হবে। ৫০-৫৫টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকতে পারে জোট যদি তারা জোটধর্ম পালন করে। যদি বামেরা তাদের রামপ্রীতি ত্যাগ করে।
এখনও খেলা অনেক বাকি। গোঁজ প্রার্থীদের খেলা, ইভিএমের খেলা, টাকার খেলা, কাদা ও বোমা নিয়ে সব পক্ষের খেলা, সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনির খেলা (যার মধ্যে কেন্দ্রের ও রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও আছে)! তবে সব বিবেচনায় রেখেই অনুমান প্রকাশ করেছি। মে মাসের গোড়ায় দেখব কতটা মিলল এই হিসেব।
No comments:
Post a Comment