কী লিখি কেন লিখি
অভিজিৎ রায়
অভিজিৎ রায়
প্রতি মাসে ‘একক মাএা’ দু'বার আলোচনায় বসে তার বন্ধুদের নিয়ে
কলেজ স্ট্রিট ও যাদবপুর কফি হাউসের টেবিলে। ২৬শে সেপ্টেম্বর’এর আলোচনা বসেছিল স্থানিক নিরিবিলি গল্ফ গ্রিনে, 'একক মাত্রা'র অন্যতম এক সম্পাদকের বাসভবনে। আলোচনাসভার বিষয়বস্তু ‘কী লিখি? কেন লিখি?’ পূর্বনির্ধারিত হলেও কেবল তাতেই
সীমাবদ্ধ না থেকে সময় গড়ানোর সাথে নানান প্রসঙ্গ আলোচনায় উঠে আসে। সভায় হাজির
ছিলেন ‘একক মাএা’র সম্পাদক সহ সম্পাদকমন্ডলীর বিশিষ্ঠ সদস্যরা এবং নয়া প্রজন্মের
কয়েকজন।
আলোচনার শুরুতে সভায় উপস্থিত নয়া প্রজন্মের থেকে ‘কী লিখি?
কেন লিখি?’ বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়। তাদের প্রত্যেকের মতামতে উঠে আসে এক
একটি প্রেক্ষিত, ‘একক মাত্রা’য় ইংরেজির ব্যবহার বাড়ানো, প্রবীণ ও নবীনদের লেখার
বিষয়গত ফারাক, ছোট লেখা ‘জেন ওয়াই’দের কাছে চিওাকর্ষক- এইসব নিজস্ব মতপ্রকাশে আলোচনার সুত্রপাত হয়। পরের পর্বে সম্পাদক পএিকার ইতিহাস, লেখা সংগ্রহ নিয়ে একটি আলোচনা
করেন।
সভায় উপস্থিত পএিকার সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সুতনু
ভট্টাচর্য, দীপঙ্কর সিনহার বক্তব্যে একটি প্রশ্ন উদ্ভাসিত হয়ঃ ‘একক মাএা’ কি ধীরে
ধীরে বুদ্ধিজীবীদের পএিকা হয়ে উঠছে? এছাড়াও আরও কিছু প্রশ্ন উঠে আসে, যেমন, ক্রমশ জটিল
ও আকারে বড় হয়ে উঠছে ‘একক মাত্রা'র প্রচ্ছদ বিষয়ের লেখাগুলি! আরও তথ্যকেন্দ্রিক
লেখার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। সম্পাদক মহাশয় প্রশ্নগুলির উত্তরে ব্যাখ্যা করে দেখান, লেখা
তথ্য কেন্দ্রিক থাকছে এবং লেখার আকার বৃহৎ প্রসঙ্গে বলেন, বিভিন্ন লেখকের লেখনির
ধরন ভিন্ন, কেউ ১০০০ শব্দের মধ্যে সীমিত থাকেন আবার কোনও লেখকের ধরন কয়েক হাজার শব্দে।
সুতনু ভট্টচার্য আকারে ছোট ও সম্পূর্ণ তথ্যভিওিক লেখার ওপরে
জোর দেন। তাঁর মতে, মানুষের মধ্যে বড় লেখা পড়ার সময় ও ধৈর্য্ দুটোরই অভাব; ছোট
লেখা যেমন পড়ে ফেলা যায় চট করে তেমনি এই ধরনের লেখার প্রতি পাঠকের আকর্ষণ বেশি। অর্থাৎ, পাঠকের পরিবর্তিত রুচি ও মানসিকতার সঙ্গে তাল রেখে ‘একক মাত্রা’কে এগোতে
হবে। এছাড়াও লেখা, সম্পাদনা প্রসঙ্গে বুড়োশিব দাশগুপ্ত, দেবাশিস চন্দ, তুষার
চক্রবর্তী বিভিন্ন খুঁটিনাটির উপর আলোকপাত করেন।
পরের পর্যায়ে আলোচনায় আসে পএিকার ‘থিম’ কীরকম ধরনের হওয়া
দরকার। পএিকার নয়া প্রজন্মের সদস্যরা ‘নগ্নতা’, ‘সেলফি’কে থিম
করার প্রস্তাব দেয়। ‘ব্লগ/ব্লগার’, ‘তথ্যচিএ’কে থিম করা হলে কী কী বিষয়ে প্রচ্ছদ
করা হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়। ব্লগার থিমে বাংলাদেশ ব্লগার মুভমেন্টকে সামনে রেখে
কী ধরণের লেখা নির্বাচিত করা হবে তা আলোচিত হয়। সে ক্ষেএে ব্লগে কোন বিষয়ে লেখা
হচ্ছে তা যেন পত্রিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার কথা বলা হয়। তথ্যচিএের ব্যবহার, তথ্যচিএের দৃষ্টিভঙ্গি বিষয়ে নয়া প্রজন্মের সদস্যরা বেশ
গুরুত্বপূর্ণ মত পেশ করে।
‘একক মাএা’র সাংগঠনিক দিকটিকে মজবুত করতে আলোচনায় হাজির
থাকা নয়া প্রজন্মের মধ্যে ছোটখাটো দায়িত্ব বন্টন করা হয়। শেষে ‘একক মাএা’র আর্থিক
দিকটি নিয়েও আলোচনা হয়, কিছু অসাধু বিক্রেতা প্রাপ্য না মেটানোয় পএিকা আর্থিক
সংকটের সম্মুখীন। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পএিকাকে আরও আধুনিক করে তোলার প্রস্তাব
আসে নয়া প্রজন্মের সদস্যদের কাছ থেকে। সভায় উস্থাপিত বিষয়গুলি নিয়ে বিবেচনা করে দ্রুত
সমাধান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়।
No comments:
Post a Comment