Tuesday, 22 October 2024

লাদাখের লড়াই

কর্পোরেট আগ্রাসন বনাম সোনম ওয়াংচুক

প্রশান্ত ভট্টাচার্য 



টানা ১৬ দিন অনশনে থাকার পর কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আগামী ৩ ডিসেম্বর বৈঠকে বসার প্রতিশ্রুতি পেয়ে গত ২১ অক্টোবর দিল্লিতে সোনম ওয়াংচুক অনশন ভঙ্গ করেন। কিন্তু কেন এই অনশন? কোন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের বিরুদ্ধে ও কীসের দাবিতে লাদাখের এই ব্যাপক জন আন্দোলন যার অন্যতম নেতা সোনম ওয়াংচুকের এই দীর্ঘ লড়াই? দেশের এক প্রত্যন্ত অঞ্চল লাদাখের এই সমস্যাকে বুঝতে আমাদের কিছুটা পিছিয়ে যেতে হবে।

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ার সুবাদে খুশি হয়েছিলেন লাদাখের মানুষ। জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আনন্দে হাত ধুয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন লাদাখবাসী। সেই তাঁরাই আজ ক্ষুব্ধ! কেন? 

অনেকের মনে আছে, লাদাখের সাংসদ বিজেপির জামিয়াঙ্গ শেরিং নামগিয়াল লাদাখের জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়া আর ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত ভাষণ দিয়েছিলেন সংসদে। কিন্তু তারপর সবটাই কেমন বদলে গেল! বিজেপির বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ তুলে আর কর্পোরেট আগ্রাসনের প্রতিবাদে সোনম ওয়াংচুকদের লড়াইয়ে বরফে মোড়া লাদাখ আজ ক্রমেই তপ্ত হচ্ছে। কেন? সব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে সোনম ওয়াংচুক ও লাদাখবাসীদের প্রতিটি পদক্ষেপে। লাদাখ আর সোনম ওয়াংচুক আজ সমার্থক। চলতি বছরে ২১ দিন টানা অনশন করার পর ২৬ মার্চ অনশন প্রত্যাহার করলেও সোনম ওয়াংচুক জানিয়ে দিয়েছিলেন, লড়াই চলবে। লড়াই চলছে, যা আজ পৌঁছে গিয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লিতে।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর থেকে কলকাতার ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেন ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার। পরে  অনশনে যোগ দেওয়া আন্দোলনকারী ডাক্তারদের সংখ্যা বেড়েছে। পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের তরফে বারবার অনশন তুলে নেওয়ার জন্য ডাক্তারদের কাছে অনুরোধও করা হয়েছে। কিন্তু তাদের উপর কোনও জোরজবরদস্তি হয়নি। অথচ, দিল্লিতে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল না থাকলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ লাদাখের পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুক-সহ ২০ জনকে জোরজবরদস্তি অনশনস্থল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটক করে।

দিল্লির লাদাখ ভবনের কাছে আলাদা রাজ্যের দাবিতে অনশন চালাচ্ছিলেন জলবায়ু আন্দোলন কর্মী সোনম ওয়াংচুক। তাঁর সঙ্গে এই একই দাবিতে আন্দোলনে ছিলেন আরও ২০-২৫ জন। ১৩ অক্টোবর রবিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সাফাই দিয়ে সোনম-সহ ২০ জনকে লাদাখ ভবনের সামনে থেকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের এই ভূমিকার তীব্র বিরোধিতা করে সোনম ওয়াংচুক জানান, 'এটা সত্যিই খুব দুঃখের যে গণতান্ত্রিক পরিবেশে মানুষ নিজের মতামতও প্রকাশ করতে পারছে না। লাদাখ ভবনের সামনে আমরা যখন নীরব অনশন শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন ওখানে অনশনে যোগ দেবে বলে অনেকে জড়ো হয়েছিলেন। আমাদের বলা হয়েছিল কোনও স্লোগান দিতে পারব না। আমরা তাও মেনে নিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও আমাদের জোর করে তুলে দিল পুলিশ। পুলিশের বাসে চাপিয়ে আমাদের আটক করা হল। আমাদের বলা হল, এখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এটা শুধু আমাদের জন্য দুঃখজনক নয়, গণতন্ত্রের পক্ষেও লজ্জার। ভারতের জন্য আমাদের দুঃখ হচ্ছে।' লজ্জার হচ্ছে, এ নিয়ে বাংলার প্রধান সংবাদমাধ্যমের কোনও হেলদোল নেই। ভাবটা এমন, কে সোনম ওয়াংচুক! অথচ এই প্রযুক্তিবিদ যখন পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে ম্যাগসেসাই পুরস্কার পান, তখন ধন্য ধন্য করেছিল এই সংবাদমাধ্যমগুলিই। আসল কথাটি হচ্ছে, কর্পোরেট বিরোধী কোনও আন্দোলনের খবর করতে নারাজ এখানকার সরকার বাড়ি।

লাদাখকে রাজ্যর মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছেন বাস্তবের 'র‍্যাঞ্চো' সোনম ওয়াংচুক। তাঁর দাবি, লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতাভুক্ত করে পূর্ণ রাজ্যর মর্যাদা দেওয়া হোক। লাদাখের জন্য একটি পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন ও লে আর কার্গিলের জন্য আলাদা লোকসভা আসনের বন্দোবস্ত করা হোক। এমনই সমস্ত দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের পাশাপাশি ফের অনশনে বসেন সোনম। শুধু নুন আর জল পান করেছেন। ফলে, শরীর হয়ে পড়েছিল দুর্বল। প্রথমে দিল্লির যন্তর মন্তরের সামনে ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু অনুমতি না মেলায় দিল্লির লাদাখ ভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেন। শাহমন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত দিল্লি পুলিশের বক্তব্য, 'আন্দোলনকারীরা যন্তর মন্তরের সামনে অনশনে বসার অনুমতি চেয়েছিলেন। সেই অনুমতিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাদাখ ভবনের সামনে এভাবে অনশনে বসার কোনও অনুমতি ছিল না তাঁদের কাছে। আমরা কয়েকজনকে আটক করেছি। ছেড়ে দেওয়া হবে।' লে থেকে দীর্ঘ ৩০ দিন পথ পায়ে হেঁটে দিল্লিতে এসেছেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁদের দিল্লির সিঙঘু সীমানার কাছে আটক করা হয়েছিল। পরে সোনম-সহ বাকিদের ২ অক্টোবর ছেড়ে দেওয়া হয়। 

লাদাখে কর্পোরেট আগ্রাসন নিয়ে কোনও সমঝোতায় আসতে নারাজ সোনমরা। সোনমের স্পষ্ট কথা,  লাদাখে এখন না আছে স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষণ, না আছে গণতান্ত্রিক কাঠামো। এখানে বিধানসভা নেই, নির্বাচিত নেতা নেই। দিল্লি থেকে নিয়ন্ত্রিত একটি আমলাতান্ত্রিক শাসন চলছে লাদাখে। ফলে, এক কালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চেয়ে আসা মানুষেরই আজ মোহভঙ্গ হয়েছে। লাদাখি সেনাদেরও মনোবল একই কারণে ভেঙে গিয়েছে বলে দাবি করেন সোনম। তিনি অকপটে বলেন, ‘ওঁরা শুধু ভোটের কথা আর কতগুলো আসন জেতা যেতে পারে, সেই কথা ভাবেন। কিন্তু মানুষের কথা ভুলে যান। আমরা কেন্দ্রের কাছে এই নিশ্চয়তা চাই যে, ভবিষ্যতে তারা এ ভাবে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবে না।’ কেন্দ্রের সঙ্গে একটি বহুপাক্ষিক আইনি চুক্তিই তাঁরা চাইছেন বলে সোনম জানিয়েছেন। তাঁদের লক্ষ্য, ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্তি তো বটেই, সেই সঙ্গে পূর্ণ রাজ্যর মর্যাদাও।

চলতি বছরের গোড়ায়, লাদাখের ওই হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় আমরা দেখেছি, গায়ে একটা কম্বল জড়ানো, অনশনক্লিষ্ট শীর্ণ কালি পড়া মুখ ‘বাস্তবের র‌্যাঞ্চো’ সোনম ওয়াংচুককে। টিভি সাক্ষাৎকারে অকম্পিত তাঁর গলা। কোনও শীতল-জড়তা ছাড়াই লাদাখের পরিবেশ আন্দোলনের অদম্য প্রহরী বলে গেলেন, ‘লোকে আজ জানতে চাইছে, আমাদের পাহাড়গুলোকে বিভিন্ন শিল্প আর খনি সংস্থার কাছে বেচে দেওয়াটাই লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার আসল উদ্দেশ্য নয় তো?’ এক্কেবারে গোড়া ধরে নাড়া দিয়েছেন সোনম। তাঁর উচ্চারিত এই লোকরা কারা? সোনম জানাচ্ছেন, এঁরা লাদাখবাসী, কেন্দ্রীয় শাসক দলের নেতাদের প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছে যাঁদের; রোজ যাঁরা সোনমের সঙ্গে খোলা আকাশের নীচে মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে হাড়জমানো শীতে রাত কাটিয়েছেন। সংখ্যায় এঁরা অন্তত আড়াইশো। এ ছাড়া রোজ সারা দিনে ভিড় জমাচ্ছিলেন আরও দুই থেকে পাঁচ হাজার মানুষ। অনশনরত সোনমের মুখে সেদিনও শোনা গিয়েছিল, ‘আমরা বিদায়ী সরকারকে মনে করাতে চাই, তারা লাদাখের মানুষকে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিভিন্ন বৈঠকে, ১৯'এর লোকসভা ভোট এবং ২০'র পার্বত্য পরিষদের নির্বাচনে তারা বলেছিল, লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের রক্ষাকবচ দেওয়া হবে। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই তারা বিপুল ভোটে জেতে। কিন্তু তারপর থেকে টালবাহানাই চলেছে। গত ৪ মার্চ তারা পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, ষষ্ঠ তফসিল হবে না।’

সোনম অনশনে বসার আগেই পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা এবং ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে লাদাখে বিক্ষোভ ও বন্‌ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই সময়ে কার্গিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স বা কেডিএ এবং লে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের ছ' সদস্যর একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠক করেন। জানা যায়, সেই বৈঠকে জমি, চাকরি এবং সংস্কৃতি নিয়ে লাদাখবাসীদের উদ্বেগ দূর করার লক্ষ্যে সংবিধানের ৩৭১ ধারার মতো রক্ষাকবচের আশ্বাস দিয়েছিলেন শাহ। তবে এ-ও জানিয়ে দিয়েছিলেন, ষষ্ঠ তফসিলে লাদাখের অন্তর্ভুক্তি আর পৃথক আইনসভার দাবি মানা সম্ভব নয়। সোনমের অনশন আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে কেডিএ লাদাখে অর্ধদিবস ধর্মঘটের ডাকও দিয়েছিল। এই লড়াই-সংগ্রামগুলো প্রমাণ করে সোনমের পাশে আছে বৃহত্তর লাদাখ। 

কর্পোরেট সমাজের সীমাহীন লোভ যে হিমালয়ের পরিবেশকে নানাভাবে বিপন্ন করে তুলছে, তার নমুনা আমরা বিভিন্ন সময় পাচ্ছি। হরিদ্বার-ঋষীকেশ বা চারধামের মতো তীর্থস্থানে এই বিপন্নতার ছবি স্পষ্ট বোঝা গেছে। তা নিয়ে বারবার কথা উঠেছে, পর্যটনের সঙ্গে এর যে ভয়াবহ সম্পর্ক আছে তাও সুবিদিত। অথচ কোনওরকম তোয়াক্কা না করে এক  বিরাট প্রযুক্তিগত কেরামতি চালানো হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থার অস্বাভাবিক উন্নতির জন্য। এর দুঃসহ পরিণাম সবাই দেখছেন। যোশী মঠের মানুষের হাহাকার গেরুয়া শিবিরের কার কার হৃদয়ে পৌঁছেছে জানা নেই, তবে নির্মাণ শ্রমিকদের সুড়ঙ্গে আটকে পড়া এবং হাড় হিম করা উদ্ধারকার্য আমরা গিলেছি রিয়েলিটি শো দেখার বিনোদনে। আহা! কী টান টান উত্তেজনা। 

‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবির নায়ক ফুংসুক ওয়াংডুর মধ্যে সোনমেরই ছায়া একসময় যারা দেখেছিল, সেই সংবাদমাধ্যম কী নিষ্ঠুর উদাসীন! তাই একুশ দিন ধরে ভারতের এক প্রান্তে অনশন করা সোনম ওয়াংচুকের কথা মূলধারার সংবাদমাধ্যমে উপেক্ষিত। সোনম কিন্তু কোনও এলিতেলি নন। আদ্যন্ত অহিংস ভাবনায় হিমালয়ের পরিবেশ এবং এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকার সুরক্ষা নিয়েই তাঁর কাজকর্ম। তিনি এক ব্যতিক্রমী প্রযুক্তিবিদ ও শিক্ষক, যিনি বিজ্ঞানকে প্রকৃত অর্থে হাতেকলমে নেড়েচেড়ে মানুষের কাজে লাগিয়েছেন। তাঁর বরফ-স্তূপ লাদাখের মানুষের জল সমস্যা মেটানোর এক অভিনব প্রক্রিয়া। তাঁর উদ্ভাবনী শক্তির ফলেই ভারতের এই সংবেদনশীল সীমাঞ্চলে প্রবল ঠাণ্ডায় থাকা সৈনিকদের জন্য সৌর তাঁবু তৈরি করা গেছে। প্রকৃতির শৌর্য ও শক্তির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে থাকায় আজ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট ও হিমালয়ের সম্ভাব্য বিপর্যয়ের দিকে খেয়াল রেখে তিনি একের পর এক উদ্ভাবনের কথা ভেবেছেন এবং সকলের সহযোগিতায় এক বিকল্প পথের সন্ধান করে চলেছেন। এমন মানুষকে যখন বিশ্ব স্বীকৃতি দেয়, তখন তাঁর ওপর রাষ্ট্র এবং গোদী মিডিয়া চটে কেন? কারণ একটাই, যে কর্পোরেটের সেবা করার দায় রাষ্ট্র ও তার পেটোয়া চতুর্থ স্তম্ভের, সেই কর্পোরেটের বিরুদ্ধেই সরব সোনমরা। তাঁদের আন্দোলন হিমালয়ের পরিবেশ ধ্বংসের মতো বিষয়কে সরাসরি কর্পোরেট আগ্রাসনের সঙ্গে যুক্ত করে দেখিয়ে দিচ্ছে। আর সে কারণেই লাদাখবাসীর এই আন্দোলনকে মূলধারার রাজনীতি ও সমাজমাধ্যম নির্লজ্জভাবে অগ্রাহ্য করে চলেছে।‌ মুনাফাবাজরা তার ধারেকাছেও যাবে না। তাদের কাছে মাটির ওপরে বা নীচে যা যা পাওয়া যায় সমস্তই পণ্য, তা লুঠে নিয়েই তারা মুনাফার পাহাড় গড়বে। 

এই অবস্থায় লাদাখ ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত হলে কী হবে? হবে, কিছুটা সুরাহা হবে। যেহেতু লাদাখের জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত, তাই খানিকটা সুরক্ষা পাওয়া যাবে। স্থানীয় মানুষের ভাবনাও তেমনই। তফসিলি জনজাতির জাতীয় কমিশন থেকেও সেই সুপারিশ করা হয়েছে। সোনমদের আন্দোলনও তাই অব্যাহত।


1 comment:

  1. খুব সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন লেখক।

    ReplyDelete