এক নতুন সম্ভাবনার দিকে
অনিন্দ্য ভট্টাচার্য
ভারতবর্ষ সম্পর্কে উৎসুক রম্যা রল্যাঁ’কে রবীন্দ্রনাথ একবার বলেছিলেন, ‘ভারতকে
জানতে হলে বিবেকানন্দকে জানুন।’ কারণ, উনবিংশ ও বিংশ শতকে যে দুজন ব্যক্তিত্ব
কার্যত পায়ে হেঁটে প্রায় সমগ্র ভারতবর্ষকে চষে বেড়িয়েছিলেন, তাঁদের অন্যতম ছিলেন
স্বামী বিবেকানন্দ। অন্যজন মহাত্মা গান্ধী। এই বিশাল ভূখণ্ডে কত শত মত, বিশ্বাস-অবিশ্বাস,
কুসংস্কার, অন্ধতা, প্রজ্ঞা ও মানবিকতার যে বিবিধ যাপনধারা নানাবিধ ভাষা, ধর্ম ও
জাতির সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে বহমান, তা এই দুজনই মর্মে মর্মে প্রত্যক্ষত উপলব্ধি করার
চেষ্টা করেছিলেন। তাই আমরা বলি, ‘বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।’
সেই দেশকে কি ‘এক দেশ এক ধর্ম এক জাতি এক ভাষা’র দাপট দিয়ে রুদ্ধ করা যায়? একটা সময়ের পর এই প্রশ্ন উঠেছিল। সর্বত্র। যে রামমন্দিরের রণহুঙ্কারে এক বিশাল অংশের সহনাগরিকের রাতের ঘুম ছুটে গিয়েছিল, সেই মন্দির এলাকাতেই পর্যুদস্ত হয়েছে ‘এক দেশ এক ধর্মের’ উন্মত্ত মানসিকতা। ফৈজাবাদ লোকসভা কেন্দ্র, যার অন্তর্গত অযোধ্যা ও রামমন্দির, সেখানে পরাজিত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। এই হল ভারতবর্ষ। যাঁরা রামকে আরাধ্য দেবতা মনে করেন, তাঁরাও রামের নামে মাস্তানিকে মেনে নিতে পারেন না। এই হল ভারতবর্ষ। হিন্দুত্বের স্বঘোষিত আইকন নরেন্দ্র মোদির নিজের কেন্দ্রে (বারাণসী) গতবারের নির্বাচনে তাঁর জয়ের ব্যবধান ৪ লক্ষ থেকে এবারে নেমে এসেছে ১.৫ লক্ষে। এই হল ভারতবর্ষ। যাঁরা মনেপ্রাণে হিন্দু, প্রবল ভাবে ধর্মবিশ্বাসী, তাঁদেরও অধিকাংশজন চান না ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার নামে অন্য ধর্মমতে বিশ্বাসীদের ওপর তরবারির কোপ পড়ুক। এই হল ভারতবর্ষ। স্বামী বিবেকানন্দ ও মহাত্মা গান্ধী এই ভারতবর্ষকেই প্রত্যক্ষ করেছিলেন।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে জনতা রায় দিয়েছে ভারতবর্ষের বিবিধতা ও বৈচিত্র্যের পক্ষে, ক্রমশ অসহ্য ও নির্মম হয়ে ওঠা এককেন্দ্রিকতার বিপক্ষে। কিন্তু এই রায় সর্বত্র সমান হয়নি। তার কারণও আছে। মানুষের বিচারবুদ্ধি অসীম। তারা একত্রে ভারসাম্য নির্মাণ করতে জানে। তারা শাসক ও বিরোধী, দু’ পক্ষেরই তুল্যমূল্য বিচারে পারদর্শী। কিন্তু কীভাবে করে, কেউ বলতে পারবে না। অতীতে ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করে রেহাই পাননি। আবার তার বিপ্রতীপে প্রতিষ্ঠিত জনতা পার্টির সরকারও দু’-আড়াই বছরের বেশি টেকেনি। পরের নির্বাচনে আবারও ইন্দিরা গান্ধী প্রত্যাবর্তন করেন। তাই, নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল এই নির্বাচনে জোর ধাক্কা খেলেও একেবারে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়নি। নতুন সরকার গঠনেও তেমন আঙ্কিক গোলযোগ নেই। কিন্তু সেই সরকারের স্থায়িত্ব ও দাপট কতটা হবে তা নিয়ে সংশয় আছে। বারাণসীতে যথেচ্ছ পুজোপাঠ দিয়ে, নিজেকে পরমাত্মার সরাসরি প্রেরিত দূত হিসেবে চিহ্নিত করে ও নির্বাচনের দিন কন্যাকুমারীতে বিশাল ক্যামেরা সেটিং’এর সামনে ধ্যানের ফটো-শ্যুটিং করেও, দেখা যাচ্ছে, তিনি পরমাত্মার আকাঙ্ক্ষিত ‘আশীর্বাদ’ ও জনগণের কাম্য ভোট, কোনওটাই পাননি।
অতএব, এবারের নির্বাচনের ফলাফল কতকগুলি জোরালো বার্তা দিতে চাইছে। তার গোটা পাঁচেক’কে না হয় খানিক বোঝার চেষ্টা করা যাক:
বার্তা এক: মৌলবাদী ও ঘৃণার রাজনীতি এ দেশে অচল। শাসন ও শোষণের জন্য শাসকেরা মানুষের মধ্যে বিভাজনের বীজ ছড়িয়ে নিজেদের অকুন্ঠ শাসনকে বজায় রাখতে চায়। ধর্মের বিভাজন এ ক্ষেত্রে একেবারে মোক্ষম। আমরা জানি, সমাজের সর্বস্তরে আপস ও দ্বন্দ্ব, অন্য কথায়, সহাবস্থান ও ঠোকাঠুকি, দুইই কতকটা সমভাবে বহমান। কিন্তু ঠোকাঠুকিটাকে যদি কেউ হাতিয়ার করে এবং তৎপ্রসূত রেষারেষি ও হিংসার রাজনীতিকে প্রধান অক্ষ করে রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে ও রাখতে চায়, তাহলে তার ভয়ঙ্কর ফলাফল কী হতে পারে আমরা গত কয়েক বছরে প্রত্যক্ষ করেছি। একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি নিয়মিত বিষোদগার, তা ব্যতিরেকে খাওয়া-দাওয়া, পোশাক-আশাক, ব্যক্তিগত জীবন, নারীদের চলাচল, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এইসব নিয়ে যদি ফতোয়া দেওয়া হতে থাকে এবং তা না মানলে তার ভয়ঙ্কর পরিণতির আশঙ্কা থাকে, স্বভাবতই এই মৌলবাদী ও ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষ এবারের নির্বাচনে অঞ্চল-বিশেষে ইতিবাচক রায় দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। উপরন্তু, অন্যান্য সন্ত্রাসের (যেমন, রাজনৈতিক, জাতপাত ভিত্তিক, গোষ্ঠী ভিত্তিক) বিরুদ্ধেও সতর্কবার্তা এই রায়ে নিহিত আছে। তা একেক রাজ্যে একেকরকম ফল দেখে অনুমান করা যাচ্ছে।
বার্তা দুই: ইদানীং জনকল্যাণের রাজনীতি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মূল এজেন্ডায় চলে এলেও এবং তা নিয়ে শত শত প্রকল্প চালু হলেও কোনও সরকার যে শুধুমাত্র সেগুলির ওপর নির্ভর করেই জনতার ইতিবাচক রায় লাগাতার আদায় করে নিতে পারবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যায় যথাক্রমে জগন রেড্ডি ও নবীন পট্টনায়েক সরকারের পতন তাহলে হত না। এই দুই সরকারই তাদের মেয়াদকালে যথেষ্ট জনকল্যাণ প্রকল্পের কাজ করেছে কিন্তু তবুও নির্বাচনে হেরেছে মূলত দুটি কারণে: ১) অন্ধ্রে বেহিসেবি টাকা খরচের ফলে সরকারি কোষাগারে সংকট ও ২) উড়িষ্যায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ ও ‘উন্নয়নের’ নামে বিভিন্ন এলাকায় গরিব মানুষের উপর স্টিমরোলার চালানো ও তাদের উচ্ছেদ। ফলে, এই লোকসভা নির্বাচন যদিচ কেন্দ্রে ফ্যাসিবাদী সরকার গঠনের সম্ভাবনাকে নির্মূল করার ভোট, তথাপি স্থানীয় সরকারের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি বা ব্যর্থতার বিরুদ্ধে রায় দেওয়ারও কিছু বাধ্যবাধকতা ছিল। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এই বহুমাত্রিক জটিলতাকে সবসময়েই মাথায় রাখতে হবে।
বার্তা তিন: উত্তরপ্রদেশে যোগী রাজের যে মাহাত্ম্য প্রচার করা হয়, যার অন্যতম উপাদান ‘বুলডোজার রাজ’- তার বিরুদ্ধে প্রবল বিতৃষ্ণায় মানুষ বিরুদ্ধপক্ষকে (ইন্ডিয়া জোট) ঢেলে ভোট দিয়েছে। কার্যত, রাজ্যওয়ারি ফলাফলের বিচারে বিজেপি সেখানে পরাজিত। কারণ, সমগ্র উত্তরপ্রদেশ জুড়েই নারী নিরাপত্তার অভাব, সংখ্যালঘু মানুষের আতঙ্কে দিন কাটানো, বুলডোজারের ভয়ে গরিব মানুষের দৈনিক ত্রাস, ব্রিজভূষণ ধরনের রাজনৈতিক নেতাদের সন্ত্রাস ইত্যাদি বিবিধ কারণে সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। পরন্তু, সেখানে বিরোধীরা কার্যত একটি পাকাপোক্ত জোটও গড়ে তুলতে পেরেছিল। এই ধরনের জোট গড়ে উঠলে বিজেপি যে খড়কুটোর মতো উড়ে যেতে পারে তার আরও একবার প্রমাণ পাওয়া গেল।
বার্তা চার: এবারে সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষত ইউটিউব চ্যানেলের সঞ্চালক ও বিশ্লেষকেরা এক মিডিয়া বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছেন। লাখে লাখে মানুষ টিভি চ্যানেল ও খবরের কাগজ থেকে মুখ ফিরিয়ে ইউটিউব ও নানা বিকল্প ডিজিটাল মিডিয়ার দিকে মনোনিবেশ করেছে যেখানে সংবাদ ও ঘটনাক্রম বিশ্লেষণের এক যুগান্তকারী বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। এই প্রবণতা বেশ কিছু বছর ধরেই সংহত হচ্ছিল কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে তা যেন বিস্ফোরণের রূপ নিল। রাভিস কুমার, সাক্ষী মালিক, অজিত অঞ্জুম, আকাশ ব্যানার্জি, ভগৎরাম, বং নিউজ, এনকে ডিজিটাল, এনটিটি ইত্যাদিদের ইউটিউব চ্যানেলগুলি যেন আগুনের মতো গোটা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল। আর তারই মাঝে হাইড্রোজেন বোমার মতো আছড়ে পড়ল ধ্রুব রাঠি’র ‘মোদি ডিক্টেটর’ শীর্ষক ইউটিউব প্রতিবেদনটি। কোটি কোটি লোকের কাছে মোদিরাজের আসল চেহারা উন্মোচিত হল। মোবাইল থেকে মোবাইলে কোটি কোটি মানুষের কাছে বাহিত হল সে চেহারা। মহল্লায় মহল্লায় স্ক্রিন খাটিয়ে ধ্রুব রাঠি’র প্রতিবেদন হাজার হাজার মানুষকে দেখানো হল। হিন্দি বলয় জুড়ে তা এক তীব্র অভিঘাত তৈরি করল। এরপর আরও আরও এইরকম ইউটিউব ভিডিও দেশ জুড়ে মশাল জ্বাললো। এই প্রবল জনোচ্ছ্বাসের কাছে ভেসে গেল একনায়কের সব ক্ষমতা ও দম্ভ। জনতার এই ‘মিডিয়া ক্ষমতা’ নিঃসন্দেহে এক নতুন রাজনৈতিক যুগের প্রবর্তন। বার্তা হল, এই ধারা আরও শক্তিশালী হয়ে এক উন্নত রাজনৈতিক পরিসর নির্মাণ করবে।
বার্তা পাঁচ: নির্বাচনের ফলাফল বিজেপিকে প্রবল ধাক্কায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের সংখ্যা থেকে অনেকটা নিচে নামিয়ে দিল বটে কিন্তু তাদের জোট এনডিকে’এ সামান্য বেশি আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিল। এরকমটাই যেন হওয়ার ছিল। এক প্রবল উচ্চাকাঙ্ক্ষী, মেগালোম্যানিয়াক স্বৈরাচারীকে যখন শাসন চালানোর জন্য নির্ভর করতে হবে ছোট ছোট দলগুলির মতামতের উপরে, তখনই তাঁর আসল যন্ত্রণাপর্ব শুরু হবে। তিনি প্রতিদিন দগ্ধ হবেন, চাপের কাছে অহরহ মাথা নিচু করবেন, তবুও ক্ষমতা ছাড়তে পারবেন না; আশায় থাকবেন, এই বুঝি পরমাত্মা তাঁকে সুযোগ করে দেবেন একচ্ছত্র অধিপতি হওয়ার। কিন্তু ভারতীয় গণতন্ত্রের বনিয়াদ যে বড্ড শক্ত, আর দেশের মানুষগুলোও সাত সেয়ানার এক সেয়ানা; তাঁরা যথার্থই জানেন, কখন ঢিল দিতে হয় আর কখন টান। এই টানাপোড়েনেই সম্ভবত বিশ্বগুরুর বয়সও বাড়তে থাকবে, সঙ্গে ক্লান্তি আর তীব্র হবে হাল ছেড়ে দেওয়ার মানসিকতা। সেই হাল তিনি ধৈর্যচ্যুতিতে ছাড়বেন নাকি শেষবিন্দু অবধি যুঝে, তা আপাতত দেখার।
অন্তত এটুকু আশ্বস্ত হওয়া গেছে, সাধারণ মানুষের ওপর যে ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্টিমরোলার চলছিল, ব্যক্তিগত জীবনের পছন্দ-অপছন্দ ও যাপনরীতির ওপর হুমকির বাতাবরণ তৈরি হচ্ছিল, মতপ্রকাশের অধিকারের ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়নে এক অঘোষিত জরুরি অবস্থাকাল বিরাজ করছিল, তার হয়তো কিছুটা বিরতি হবে। কারণ, শাহেনশাহ এখন আর একা সবকিছু করতে পারবেন না। তাঁর হাত-পা বাঁধা। তাঁর দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
খুব ভালো লাগলো এই প্রতিবেদন l বিশেষ করে "আর দেশের মানুষগুলোও সাত সেয়ানার এক সেয়ানা; তাঁরা যথার্থই জানেন, কখন ঢিল দিতে হয় আর কখন টান। " so aptly said...
ReplyDeleteভালো বিশ্লেষণ। আমি এর অতিরিক্ত যে কথাগুলো যোগ করতে চাই: প্রথমত, উড়িষ্যায় নবীন পট্টনায়ক নিজের অবস্থানকে রাজ্যবাসীর কাছে স্পষ্ট করতে পারেননি। যেখানে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন একই দিনে হচ্ছে সেখানে লোকসভায় এনডিএকে সমর্থন আর বিধানসভায় রেষারেষি সেটা রাজ্যবাসী ভালো করে অনুধাবন করতে পারেনি। দ্বিতীয়ত, জগন্নাথ মন্দিরেরের রত্নভাণ্ডারের হারানো চাবি নিয়ে বিজেপির প্রচারের পাল্টা কিছু খাড়া করা হয়নি। তৃতীয়ত, তামিল পাণ্ডিয়ানকে নিজের উত্তরসূরি করাটা রাজ্যবাসী মেনে নিতে পারেনি। অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট পেলেও এবারে কতটা তা আদায় করতে পারেন সেটা দেখার।
ReplyDeleteযথার্থ বিশ্লেষণ, আগামী দিনে গতি প্রকৃতি কোন দিকে প্রবাহিত হয় দেখার।
ReplyDeleteসহজবোধ্য ভাষায় সঠিক বিশ্লেষণ। একটু যোগ করি - দম্ভ, দুর্নীতি, ঘৃণা (বিশেষ করে ধর্মভিত্তিক ঘৃণা), ব্যক্তিপূজা, এককেন্দ্রিক শাসন, আর সরকারের অপকারী নীতির ফলে বর্ধমান আর্থিক অসাম্য। শেষের পয়েন্টটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে নোটবন্দী, অগ্নিবীর, এমএসপি, ক্ষুদ্রশিল্প ইত্যাদি।
ReplyDeleteতবে যেটা এড়িয়ে গেছেন সেটা হল মনুবাদী ব্রহ্মণ্যবাদীদের মুখোশ খুলে গেছে, তথাকথিত 'হিন্দু' নিজের অধিকার, ভালমন্দ বুঝে নিতে চাইছে।
যথাযথ বিশ্লেষণ করেছেন।
ReplyDelete