সদর দফতরে কামান দাগো?
অনিন্দ্য ভট্টাচার্য
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরনোর কিছুদিন পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে এক
উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকেন। সেই বৈঠকে কিছু উষ্মা প্রকাশের পর আবারও ২৪ জুন তিনি
আরেকটি এমনতর বৈঠক ডেকে প্রায় রুদ্র মূর্তি ধারণ করে নিজ দল, সরকার, আমলা, পুলিশ কাউকেই
রেয়াত না করে কতকগুলি অপ্রত্যাশিত কথা বলেন ও নির্দেশ দেন। প্রকারান্তরে, তিনিই
বিরোধীপক্ষের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং সরকার-বিরোধীরা যে কথাগুলি প্রায়ই বলে থাকেন,
সেগুলির অনেকাংশকে তিনিও অবলীলায় মান্যতা দিয়ে প্রশাসনকে দ্রুত বিহিতের নির্দেশ
জারি করেন।
নিঃসন্দেহে এ এক অভিনব ঘটনা এবং বিরোধীরা এমত পরিস্থিতিতে ‘কী কর্তব্যম’ বুঝে
উঠতে না উঠতেই পরের পর প্রশাসনিক স্তরে নির্দেশানুযায়ী অ্যাকশন শুরু হয়ে যায়। হাওড়ায়
নথিভুক্ত বেআইনি বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার পাশাপাশি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে সরকারি
জমি হস্তগত করে ব্যবসা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি।
তারাতলায় সরকারি জমি ও বেহালা ম্যানটনে রাস্তার ওপর যথাক্রমে বিজেপি ও তৃণমূলের
পার্টি অফিস বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, সারা রাজ্য জুড়েই রাস্তা ও
ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে ব্যাপক পুলিশি অভিযান শুরু হয়। দেখা যায়, পুলিশ কিছু কিছু
জায়গায় বুলডোজার দিয়ে অস্থায়ী দোকান ভেঙে ফুটপাথ ও রাস্তাকে দখলমুক্ত করে।
অন্যত্র, হকারি আইন মেনে রাস্তার অংশ দখল না করে ফুটপাথের এক-তৃতীয়াংশে যাতে
হকাররা সীমাবদ্ধ থাকেন, তার জন্য পুলিশ মাইকিং ও পুশব্যাক করে। বুলডোজার চালানোর
ঘটনা অনভিপ্রেত ছিল এবং তা নিয়ে হকার সংগঠনগুলি সোচ্চার হলে মুখ্যমন্ত্রীও সমস্ত
ঘটনাক্রমকে ফের পর্যালোচনার জন্য ২৭ জুন আবার নবান্নে বৈঠক ডাকেন। এবারের বৈঠকে
হকার ইউনিয়নের প্রতিনিধিদেরও উপস্থিত থাকতে বলা হয়।
২৭ জুনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পুলিশ ও নেতারা পয়সা খেয়ে
হকার বসাবে তারপর আবার বুলডোজার দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করবে, তা চলতে পারে না। তিনি
আশ্বাস দেন, কিছু কিছু হকার যারা উচ্ছেদ হয়েছেন তাদের আবারও নিয়ম মেনে বসার অনুমতি
দেওয়া হবে। হকার ইউনিয়নগুলির আবেদনে তিনি তাদের ও প্রত্যক হকারকে এক মাস সময় দেন
যাতে তারা ফুটপাথে তাদের পসরা নিয়ে আইন মোতাবেক এক-তৃতীয়াংশেই তাদের হকিং’কে
সীমাবদ্ধ রাখেন এবং কোনও অবস্থাতেই রাস্তার ওপর নেমে না আসেন। এই বিধি কার্যকর
করার জন্য তিনি একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করে দেন যেখানে হকার ইউনিয়নের
প্রতিনিধিদেরও রাখা হয়। এক মাস পর তিনি পুরো বিষয়টা আবার পর্যালোচনা করে দেখবেন
কোথাকার জল কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে।
ইতিমধ্যে গোদি মিডিয়া ও একশ্রেণির অন্ধ বিরোধীরা অতি উল্লাসে ‘হকারদের উচ্ছেদ
করা হচ্ছে’ বলে বাজারে রোমহর্ষক সব বয়ান ছাড়তে শুরু করেন (অল্প কিছু জায়গায় অবশ্য
উচ্ছেদ হয়), যা হকারেরাই বিনা দ্বিধায় বাতিল করে দিয়েছেন। পুলিশের অনাবশ্যক অতি-সক্রিয়তায়
কিছু জায়গায় বুলডোজার চালানোর ঘটনাকে হাতিয়ার করে তারা এই রব তুলে সর্বত্র যে অতি-নাটক
তৈরি করতে চেয়েছিল তা তেমন কাজে আসেনি। যেখানে যেটুকু বুলডোজার চলেছে তা অন্যায়
এবং নিঃসন্দেহে বাড়াবাড়ি। ২৭ জুনের বৈঠকে তা পরিষ্কার করে দেওয়া হয় এবং তারপর আর
তেমন ঘটনা দেখা যায়নি।
গত তিন-চারদিন তথাকথিত হকার উচ্ছেদের ডামাডোলে ২৪ জুনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর যে রুদ্র রূপ প্রত্যক্ষ করা গিয়েছিল এবং তিনি যে সমস্ত সমস্যা ও সে সবের নিদানের কথা পেড়েছিলেন, তা যেন কতকটা চাপা পড়ে যায়! তিনি শুধু হকার সমস্যা বা ফুটপাথ ও রাস্তা দখল নিয়ে কথা বলেননি। আরও ভয়ঙ্কর সব সমস্যার কথা বলেছিলেন যা রাজ্যকে জেরবার করে দিচ্ছে। তিনি বলেছিলেন বালি মাফিয়া, কয়লা মাফিয়া, জমি মাফিয়া, পৌরসভার পরিষেবায় ঘাটতি, নেতা ও পুলিশের তোলা আদায়, বেআইনি নির্মাণ, সরকারি জমি দখল, জনপ্রতিনিধিদের উন্নাসিকতা ও টাকা কামানো, কাটমানি ইত্যাদি ইত্যাদি হরেক সমস্যা নিয়ে, যা জনমানসে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে। মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে প্রশ্নটা ছিল, জনপ্রকল্পের এত সুবিধা দিয়েও এবং রাজ্যের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানারকম উন্নতি সত্ত্বেও কেন দুর্নীতি ও নেতাগিরি এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার কালিমা বয়ে বেড়াতে হবে! নিঃসন্দেহে, নিজের সরকার ও দলের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্বেগ, উষ্মা ও প্রতিবাদ, পরিপ্রেক্ষিত ও মতাদর্শগত ভিন্নতা থাকলেও, আমাদের মনে করাতে পারে ১৯৬৬ সালের ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লবের’ সেই অমোঘ রণধ্বনিটি: সদর দফতরে কামান দাগো!
বলাই বাহুল্য, এবারের লোকসভা নির্বাচন তৃণমূল দলের পক্ষে কঠিন লড়াই ছিল। দুর্নীতির
অভিযোগে জেরবার, ইডি-সিবিআই’এর খানা তল্লাসি ও নেতাদের গ্রেফতারি বা নিত্য তলব,
আদালতে ক্রমাগত হেনস্থা (ইচ্ছাকৃত) বা হার (আইন মোতাবেক), নেতাদের মাস্তানি (সন্দেশখালি),
গোদি মিডিয়ার চিল-চীৎকার— এইসব নানাবিধ সাঁড়াশি আক্রমণের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষে
লড়াই দেওয়াটা অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তবুও তারা আশাতীত ভাবে উতরে গেল
বিশেষ দুটি কারণের জন্য- এক) ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী
ইত্যাদি সরকারি জনপ্রকল্পগুলি মানুষের জীবন-জীবিকার পক্ষে ছিল এবং দুই) সরকারের
সার্বিক অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যও মন্দ কিছু ছিল না। নীতি আয়োগ’এর দারিদ্র্য সংক্রান্ত
একটি তালিকায় দেখা যাচ্ছে, multi-dimensional poverty সূচকের
(২০২৩) নিচে সারা দেশে বসবাসকারী জনসংখ্যার শতকরা ভাগ যেখানে ১১.২৮, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে
তা ৮.৬ শতাংশ; উন্নয়নের এত ঢাকঢোল পিটিয়েও গুজরাতে তা ৯.০৩ শতাংশ। অর্থাৎ,
পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে গুজরাতে দারিদ্র্য বেশি। উপরন্তু, পশ্চিমবঙ্গের জিএসডিপি (বা
রাজ্যের আয়) বাড়ছে এবং ঋণ ও আয়ের অনুপাত সহনশীল অবস্থায় এসে পৌঁছেছে, যদিও বিপদ
একেবারে কেটে গেছে তা বলা যাবে না।
তবুও, রাজ্যে মোটামুটি শক্তপোক্ত একটা অর্থনৈতিক ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এবং সৃজনশীল
জনপ্রকল্পগুলির কার্যকারিতা ও জনপ্রসার সত্ত্বেও শহরাঞ্চলে তৃণমূলের ভোট তেমন
আশাপ্রদ নয় কেন? এই প্রশ্নটি তৃণমূল নেতৃত্বকে ভাবিয়েছে। প্রথমত, ধর্মান্ধগত কারণে উচ্চবিত্ত
ও উচ্চবর্ণের ভদ্দরলোকেদের একটা অংশ এবারে বিজেপি’কে ভোট দেওয়ার কথা ভেবেছিল। তা
ব্যতিরেকে, দ্বিতীয়ত, শহরাঞ্চলের আরেকটি বড় অংশ এবারে তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে
নিয়েছিল মূলত দুর্নীতি, নেতাদের দাদাগিরি ও পৌরসভাগুলির নানারকমের ব্যর্থতার
কারণে। শিক্ষায় চূড়ান্ত ও ব্যাপ্ত দুর্নীতি এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্য শিক্ষকদের
দিনের পর দিন রাস্তায় বসে থাকা ও হয়রানি, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের মানুষের মধ্যে
ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। তার ওপর বহু স্থানীয় নেতাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া থেকে তাদের
ঔদ্ধত্য ও দাদাগিরি সাধারণ মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি। সেই সঙ্গে রাস্তাঘাট, আলো,
নিকাশি, পানীয় জল সরবরাহ সহ নানারকম পরিষেবায় ঘাটতি এবং প্রোমোটারদের তাণ্ডব
ক্রমেই বেড়ে ওঠায় মানুষের একটা বড় অংশ বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। দুর্নীতি ও জনপরিষেবায়
অবহেলা যে পার্টির বিপুল ক্ষতি করছে তা তৃণমূল নেতৃত্ব দেরিতে হলেও বুঝতে সক্ষম
হয়েছেন। আর সেই উপলব্ধি থেকেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজ দল ও সরকারের বিরুদ্ধেই কামান
দেগেছেন, যা এক অর্থে হয়তো যথার্থ। তৃণমূলের আরেক নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই
জানিয়ে দিয়েছিলেন-- perform or perish।
এখন প্রশ্ন হল, রোগটাকে তো ধরা গেল! ইলাজ হবে কী? এই প্রশ্নের দুটো
পরিপ্রেক্ষিত আছে। বলা ভাল, দুটি বিপরীতধর্মী মত প্রবহমান। প্রথমটি হল, তৃণমূল দল
ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একবারেই না দল, না মনুষ্য পদবাচ্য বলে গণ্য করা। কট্টর
একদল স্বঘোষিত পণ্ডিত, বোদ্ধা ও অত্যন্ত ‘নিপাট’ ভদ্দরলোক ধরনের কিছু মানুষ আছেন
যারা এই মতে অন্ধ-বিশ্বাসী এবং মমতা কীভাবে তিন মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রিত্বের কাল সত্যি
সত্যিই পূর্ণ করতে চলেছেন, তা ভেবে ভির্মি যান। তারা শয়নে-স্বপনে মমতা-ফোবিয়াতে
ত্রস্ত। এরা ক্রমেই সংখ্যালঘু ও অপাংক্তেয়। কিন্তু দ্বিতীয় মতটি নানারকম। মমতা-ভক্ত একদল আছেন, তাদের কথা সরিয়ে রাখলে এই মতের গোত্রে আরেকটি বেশ জোরালো প্রবাহ
আছে যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অত্যন্ত শক্তিশালী ও পরিণত রাজনৈতিক নেত্রী বলে
গণ্য করেন। কেউ কেউ বলেন, তিনি এ রাজ্যে শুধু নন, গোটা দেশেই এক নতুন
রাজনৈতিক-অর্থনীতির ধারা প্রবর্তন করেছেন। ব্রাত্য বসুর মতো নেতারা মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাতিন আমেরিকার বাম ঘরানার নেতৃত্বের সঙ্গে তুলনায় রাখতে চান। আজ
‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’এর অনুসরণে দেশের অন্যত্র ‘লাডলি বহিন’, ‘মহালক্ষ্মীর ভাণ্ডার’
ইত্যাদির চল হয়েছে। অবশ্য, তার মানে এই নয় যে তিনি সমালোচনার উর্ধ্বে। দেখা গেছে, রাজ্যে
গণতন্ত্রের প্রশ্নে বা বিরোধী মতামত প্রকাশের প্রতি তাঁর দল ততটা উদার নয়। এতদিন
দুর্নীতির প্রশ্নেও তাঁর দল দায়ে না পড়লে নীরব থাকারই পথ নিয়েছিল। আজ হয়তো
নির্বাচনের ফলাফলে কিছুটা ধাক্কা খেয়ে তারা নিজেদের সংশোধন করে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
সেও ভাল কথা! ভোটের ফলাফল যদি রাজনৈতিক দলগুলিকে সদর্থক করে তুলতে পারে, তার থেকে
ভাল জিনিস আর কী হতে পারে!
এখন দেখার, নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী যে কামান দেগেছেন তার গোলাগুলি সত্যি
সত্যিই রাজ্যের অনাচার-অপকর্মকে বিধ্বস্ত করতে পারে কিনা! আশা ও নিরাশা দুইই রইল!
আমরাও অপেক্ষায় রইলাম সত্যি কতটা হয় দেখার জন্য।
ReplyDeleteগুজরাটের সাথে তুলনা করলে গুজরাট ভালো জায়গায় আছে। সুতরাং এতে তথ্যগত ভুল আছে
ReplyDeletehttps://www.niti.gov.in/sites/default/files/2023-08/India-National-Multidimentional-Poverty-Index-2023.pdf
ReplyDeleteশহুরে মধ্যবিত্তের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিরোধীতা জাগ্রত হয়েছে, লড়াকু নেত্রী ভালো করে জানেন। সেই উপলব্ধি থেকে কোলকাতাবাসীর মুখপাত্র হতে চেষ্টা চালিয়েছেন। শেষের দিকে বামফ্রন্ট সরকারও মধ্যবিত্তের এই ক্ষোভ প্রশমনে নির্বাচনের পূর্বে জ্যোতি বসুকে সরিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কে মুখ্যমন্ত্রী করে।
ReplyDeleteরাজনীতিবিদ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিচক্ষণ এবং ইতিবাচক মনোভাবের অধিকারী। ব্যক্তি মানুষ তিনি কেমন, সেটা বড় কথা নয়। প্রশাসক হিসেবে দক্ষ। লোকসভা নির্বাচনের জয়লাভের পর তিনি যে সিদ্ধান্ত গুলো নিচ্ছেন, সেটা সেটা যেদিকে ইঙ্গিত দেয়, তাই এরকম যে, তিনি তার দলে লোকজনের প্রতিটি কাজকর্মের হাল হকিকত জানেন। ২০০০ সালে একজন পুলিশকর্তা বলেছিলেন, সিস্টেমের মাথা হিসেবে কেউ সৎ নয়। তিনি যদি তার অধস্তনদের দুর্নীতি সম্পর্কে ওআকিবহাল না হন, সেটা তার ইন্টেলিজেন্স ফেলিওর। আর যদি জেনে চুপ করে থাকেন তাহলে সেটা তার দুর্নীতি। এই সমস্ত পদক্ষেপ গুলো থেকে বোঝা যায় যে তিনি যা চলছে সবটাই দেখেন, জানেন। কর্ণেন পশ্যতি রাজা তিনি নন। এই perception এর জায়গায় দাঁড়িয়ে অনিন্দ্যর ভট্টাচার্যের মূল্যায়ন যথাযথ বলেই মনে হল। তিনি অন্তত মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে পড়তে সক্ষম হয়েছেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং মিডিয়ার মতো হাউই জ্বালানোর কাজে ব্যস্ত হননি।
ReplyDeleteএছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেহনতি মানুষ আর মধ্যবিত্তের যোগসূত্রটাকে কেটে দিতে সফল হয়েছেন। মধ্যবিত্ত এখন মধ্যবিত্তেরই প্রতিনিধি। তারা আর সমগ্রের কথা বলে না।
ReplyDeleteডি এ মামলা এবং আরো নানাবিধ বিষয় নিয়ে যখন অবস্থান চলছে , তখন একজন রিক্সাচালক বললেন, (তাকে আমি চিনি না এই অঞ্চলে সবসময় চালান না বোধ হয়) হাজার হাজার টাকা মাইনে পেয়েও সাধ মেটে না। কাজ ফাঁকি দিয়ে রাস্তায় গিয়ে বসে থাকে, আর আমাদের দুই টাকা ভাড়া বাড়াতে হলে গালাগালি দেয়। আমরাও যুদ্ধের জন্য তৈরি, দেখে নেব। আমার বাড়ির কাজের লোক বলেছিল তোমাদের ডি এ বাড়লে আমার ৫০০ টাকা মাইনে বাড়িয়ো। সব বাড়িতেই বলে দিয়েছি।