'রোজ কত কী ঘটে যাহা-তাহা'
কৌশিক চিনা
চাবিতালা
বেড়াতে গিয়েছিলাম চুইখিম। হিমালয়ের কোলে এক আশ্চর্য গ্রাম। নদী আর পাখির সঙ্গে গাছেরা সেখানে গল্প করে।
আশ্চর্য সেখানকার মানুষও। দূষণমুক্ত পরিবেশের মতোই!
হোমস্টে'তে যখন অবিশ্বাসের অভ্যাসে সুটকেসে চাবিতালা দিচ্ছি, তখন পার্বত্য অধিবাসীরা তাদের ঘর আমাদের উন্মুক্ত করেছে 'অতিথিদেব ভব' জ্ঞানে।
চুইখিমে ফোনের টাওয়ার পাওয়া যায় না।
অপ্রয়োজনীয় বলে পাওয়া যায় না চাবিতালাও।
অরণ্য মানব
অসমের ব্রহ্মপুত্র নদের দ্বীপ মাজুলিতে ছেলেটার ঘর। একদিন বন্যায় ভেসে গেল। মারা গেল মানুষ, গবাদি পশু, পাখি, প্রজাপতিও।
ছেলেটা খুঁজেছিল প্রকৃতিকে শান্ত করার পথ। পেয়েও ছিল। গাছ, গাছ আর গাছ। বাঁচার একমাত্র পথ। প্রতিদিন বীজ বপন আর চারা রোপণ। একটাই কাজ।
মরুভূমি আজ অভয়ারণ্য।
মরুবিজয়ের কেতন ওড়ানা মানুষটি- যাদবমোলাই পায়েং।
প্রায়শ্চিত্ত
অটো থেকে নেমেই সুজনবাবু দেখলেন স্টেশন থেকে ন'টা কুড়ির ট্রেনটা ছেড়ে যাচ্ছে। পড়িমরি করে দৌড়ে কামরায় উঠলেন। পুজোর ছুটির পর আজ প্রথম দিন স্কুল খুলবে। মান্থলিও শেষ। টিকিটও কাটা হল না। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে চোরের মতো স্টেশন পার হলেন।
স্কুলেও পড়ানোতে মন ছিল না।
ফেরার পথে সুজনবাবু দুটো টিকিট কেটে স্বস্তির শ্বাস ফেললেন।
ন্যাড়া
ক্যান্সার আক্রান্ত বিদিশা কেমোথেরাপি শেষে স্কুলে আসবে। মাথায় চুল নেই।
'ন্যাড়া - ন্যাড়া - ন্যাড়া
বেঞ্চের উপর দাঁড়া।
বেঞ্চ গেল নড়ে
ন্যাড়া গেল পড়ে।'
বিদিশা স্কুলে এলেই সহপাঠীরা এই ছড়া ব'লে পরিহাস করবে। খুব কষ্ট পাবে বিদিশা।
অভিন্নহৃদয় বন্ধু সুনন্দা পার্লারে গিয়ে ন্যাড়া হয়ে এল। সুনন্দা'র থেকে বিদিশা পেল প্রকৃত বন্ধুর সহমর্মিতা।
কেন?
ছেলেটা লাজুক আর মুখচোরা। মিশতে বা খেলাধুলা করতে পারে না সমবয়সী বন্ধুদের সঙ্গে। মন নেই লেখাপড়াতেও।
ঘরকুনো ছেলেটা জন্মদিনে কাকার থেকে উপহার পেল একটা কম্পাস। কিমাশ্চর্যম! যতই ঘোরাও কম্পাসের কাঁটা যে সব সময় উত্তরে-দক্ষিণে!
'কেন?'
এই ছোট্ট প্রশ্নের উত্তর সন্ধানে মাথামোটা ছেলেটা চঞ্চল হয়ে উঠল।
জন্ম হল বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের।
দুর্দান্ত লাগলো কৌশিকদা । 👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼👌🏼🌹❣️👍🏼🤝🏼
ReplyDeleteভালো লাগলো
ReplyDeleteবাহ্! খুব সুন্দর উপস্থাপনা!
ReplyDeleteপ্রত্যেকটা গল্পই (নাকি সত্য ঘটনা, শেষেরটিতো বটেই) একেকটি জেম। কৌশিক মশাইকে ধন্যবাদ। 👍👍
ReplyDeleteঅন্য স্বাদ
ReplyDelete