Monday, 15 July 2019

পড়ার খিদে

'একক মাত্রা' ও আমি
সঞ্জয় মজুমদার
 
'একক মাত্রা'র সাথে চাক্ষুষ পরিচয় বেশ কয়েক বছরের। অলস মধ্যাহ্নে কলকাতা বইমেলায়, বৌদ্ধিক জগতের মণি-মাণিক্যের খোঁজে আমি আর সুনেত্রা (আমার কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপক) ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। কখন যে লিটল ম্যাগাজিন হাটে আমাদের পা চলে এসেছে খেয়াল করিনি। প্রতিটা টেবিল উৎসাহ নিয়ে দেখতে দেখতে 'একক মাত্রা' নামটায় চোখ আটকে গেল। সুনেত্রা বলল, তুই এই পত্রিকা আমাদের কলেজে দেখেছিস, বেশ দু-তিন জন গ্রাহক আছে আমাদের। যাই হোক, একটা সংখ্যা তুলে নিয়ে বেশ খানিকটা পড়েই ফেললাম। এবার চোখের সাথে মনটাও আটকে গেল। বেশ কিছু সংখ্যার বিষয় নির্বাচনের অভিনবত্বে মনটা ছ্যাঁকাও খেল। আর বেশি কিছু ভাবলাম না। টেবিলের ওপারে লক্ষ করলাম এক ভদ্রলোক ভীষণ ঘেমেনেয়ে, 'দেখাশোনা ফ্রি, কেনাকাটা নিজস্ব ব্যাপার' গোছের হাবভাব নিয়ে বসে আছেন। ঠিক বসে নেই, খবরের কাগজের ঠোঙায় একগাদা শুকনো মুড়ি আর তার থেকেও বেশি তেলেভাজা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। চোখাচোখি হতেই ঘাম, মুড়ি, তেলেভাজা সব ভুলে, পরম উৎসাহে, কোন সংখ্যাটি নেওয়া উচিত, কেন নেওয়া উচিত, এই নিয়ে বিস্তারিত বলতে লাগলেন। কথা বলার ধরনে একটা অনায়াস অনাড়ম্বর ঝকঝকে মনোভাব পরিষ্কার ধরা পড়ল।  অনেকদিন পরে জানতে পেরেছিলাম এনার নাম অনিন্দ্য ভট্টাচার্য। তারপর গ্রাহক থেকে আজীবন গ্রাহকে উত্তরণের মাঝে অনেকটা সময় কেটে গেল। পাঠক হিসেবে পত্রিকার সাথে যোগাযোগের মাত্রা বাড়তে লাগল। এরপর একে একে, 'একক মাত্রা' হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য, শনিবারের হাট এবং মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠানে নিয়মিত হাজিরা। এই ছিল আমার 'একক মাত্রা'র সাথে শুরুর কথা।

প্রথম পরিচ্ছেদে শুরুর কথা হলে, মাঝের কথাটাও বলা দরকার। গ্রাহক তো হলাম, কিন্তু 'একক মাত্রা'র সাথে বইমেলায় প্রথম দর্শনে প্রেমের পর, উৎসাহ কি বজায় থাকল? অর্থাৎ, আমি কি 'একক মাত্রা'র প্রতিটি সংখ্যায় পত্রিকা কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রকাশিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ এবং বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক রচনার যথার্থ মূল্যায়ন করতে পারলাম? আরও স্পষ্ট করে বললে, সঞ্জয় মজুমদার কি 'একক মাত্রা'য় প্রকাশিত সংখ্যাগুলি সময় করে, মন দিয়ে পড়ার ধৈর্য দেখাতে পারল? এই প্রশ্নের উত্তরগুলো নিজের কাছে যথাযথ না পেলে একটা পত্রিকার প্রতি সঠিক মূল্যায়ন করা যায় না।

আমার নিজের ক্ষেত্রে এই মূল্যায়ন সঠিকভাবে করতে গেলে, অন্তত ছেলেবেলায় আমাকে ফিরতেই হবে। সেই সময়ে খবরের কাগজ, বই, বইয়ের মধ্যে প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা এসব নিয়মিত পড়ার অভ্যাস যে আমার ছিল, তেমনটা নয়। কিন্তু অভ্যাসটা তৈরি হয়েছিল, আর সেটা হয়েছিল আমার মায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। আমাদের দুই ভাই-বোনকে দুই পাশে রেখে মা পড়ছেন, আবেগ দিয়ে পড়ে চলেছেন  বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাঁদের পাহাড়, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ছোটদের রামায়ণ, মহাভারত, দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ঠাকুরমার ঝুলি, সুকুমার রায়ের হ য ব র ল, হেমেন্দ্রকুমার রায়ের আবার যখের ধন, দেড়শো খোকার কাণ্ড, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের হুকাকাশি, এমন কত কি।  ইচ্ছে করেই ভবিষ্যতে কখনও মায়ের পড়া বইগুলো, মানে আমাদের শুনিয়ে পড়া বইগুলো কিনে পড়িনি। অনুভবে টাটকা হয়ে মরমে বিঁধে আছে সে সব।  বোঝানো যায় না। এখনও চোখ বুঝলে মায়ের গলা শুনতে পাই। প্রত্যেকটা উচ্চারিত শব্দ, বাক্য, অনুচ্ছেদে মায়ের আবেগঘন কণ্ঠস্বরের স্পষ্টতা আজও কানে বাজে।

গতানুগতিক পরীক্ষা পাশের পড়াশোনার চাপ ছিল। মারধর, কানমলা, বকুনি এইসবের ভয়ে সে সব চাপ সহ্য করেছি, আনন্দ পাইনি। ফলাফল যে খুব একটা মন্দ হত এমনটা বলা যায় না। কিন্তু কী পড়ছি, কেনই বা পড়ছি, পরীক্ষা পাস ছাড়া এইসব পড়াশোনার কোনও মূল্য আছে কিনা, তা আমার কাছে খুব রহস্যময় ছিল। অথচ বাড়ির দরজায় কাগজওয়ালা যখন সদ্য প্রকাশিত 'দেশ' পত্রিকা কিংবা 'আনন্দমেলা' ছুঁড়ে দিয়ে চলে যেতেন, তখন আমায় দেখে মনে হত ক্ষুধার্ত পশুর সামনে এক টুকরো মাংস কেউ যেন ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে গেল। সাংঘাতিক অধিকারবোধে পত্রিকা দুটি নিয়ে আমি অদৃশ্য হয়ে যেতাম। নির্জন ঘরে, সদ্য প্রকাশিত পত্রিকার গন্ধে, পড়ার খিদে যেত বেড়ে। এখনও আমার তাই হয়। এটুকু অবুঝ শৈশব আর কৈশোর এখনও সযত্নে বাঁচিয়ে রেখেছি। যাই হোক, তারপর শুরু হত জানার আনন্দে পড়া, বোঝার আনন্দে পড়া, অনাস্বাদিত কিছু পাওয়ার উত্তেজনায় পড়া। পড়তে পড়তে হারিয়ে যাওয়া, হারিয়ে যেতে যেতে পড়তে থাকা। শেষ পাতাটা মনে হত জীবনের শেষ অধ্যায়। পরের সংখ্যা আবার পরের মাসে। সুদীর্ঘ প্রতীক্ষার শুরু। প্রকৃত তাগিদ থেকে কিছু পড়ার, পড়ে বোঝার এই খিদের জন্ম দিয়েছিলেন আমার মা (এখন বয়স প্রায় ৮০)।

এত কিছু গৌরচন্দ্রিকা করার উদ্দেশ্য কিন্তু নিজের মা-বাবাকে একমাত্র মহানুভব এবং সংবেদনশীল প্রমাণ করা নয়। বলার কথা এবং ভাবার কথা এই যে, গতানুগতিক পড়াশোনার বাইরেও, জানার খিদে তৈরি করার বা তৈরি করিয়ে দেওয়ার একটা দায়িত্ব বাড়ির বড়দের থেকেই যায়। পড়া, শোনা এবং সেই সঙ্গে বোঝার ক্ষমতাও যদি জন্ম নেয়, তবেই একটা ভালো লেখার সঠিক মূল্যায়ন করার আশা জাগতে পারে। আমি নিশ্চয়ই ভাগ্যবান, হয়তো এই কারণেই। পৃথিবীর সব শিশুর কিন্তু আমার মতো মা-বাবা জোটে না। অবহেলায় বড় হওয়া শিশুরা আছে, অনাথ শিশুরা আছে, আবার সবাই এবং সবকিছু থেকেও একা একা বড় হওয়া শিশুরাও আছে। এদের অনেকেই ভবিষ্যতে অনেক বড় মানুষও হয়েছেন। কিন্তু দেখা যাবে কোনও বিশেষ ঘটনা বা পারিপার্শ্বিক পরিবেশের প্রভাব এদের প্রত্যেকের জীবনেই আছে। রবীন্দ্রনাথের 'গোরা' আর শরৎচন্দ্রের 'শেষ প্রশ্ন' একটু বড় হয়ে পড়েছি। মা পড়ে শোনাননি। আসলে নিজে থেকে ভালো জিনিস পড়ার খিদে ততদিনে তৈরি হয়ে গেছে। এরপর জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত আর সময়ের সাথে সাথে বয়স যত বাড়তে থেকেছে, ভালো লেখা, সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা, দৈনন্দিন জীবন, প্রকৃতি ও পরিবেশ, বিনোদন ইত্যাদি বহুধা বিস্তৃত বিষয়ে বিশ্লেষণাত্মক লেখা, খাপ-খোলা ধারালো তলোয়ারের মতো লেখা, মগজে শান দেওয়ার মতো লেখা পড়ার খিদে বাড়তেই থেকেছে। ক্রমবর্ধমান এই ক্ষুধা নিরসনের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। পরিবেশ আমাকে একটা সময় ভালো লেখা পড়ার উৎসাহ জুগিয়ে ছিল। উৎসাহের আগুন জ্বালিয়ে রাখার দায়িত্ব, জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ে আমাকেই নিতে হয়েছে। বিভিন্ন ফরম্যাটে ভালো লেখা পড়েছি। লেখা তো শুধু বইয়ের পাতাতেই থাকে না। রেডিওর অনুষ্ঠানে থাকে, টেলিভিশনের পর্দায় থাকে, ফিল্মের রুপোলি পর্দায় থাকে, ব্লগ টুইটার ইনস্টাগ্রাম ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াতেও থাকে। অর্থাৎ, লেখার সব রকম মাধ্যমকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছি। রবি ঠাকুরের যে লেখা নষ্টনীড়ে পড়লাম সেই লেখাই সত্যজিতের চারুলতায় অন্যভাবে পড়লাম। 'রক্তকরবী' ছাপার অক্ষরে পড়লাম আবার শম্ভু মিত্রের নাটকেও প্রত্যক্ষ করলাম। অর্থাৎ, একই লেখা দুই রকম মাধ্যমে, দুই ভাবে পাঠকের মনে ডানা মেলল। স্কুলে পড়তে চার্লি চ্যাপলিনের 'মডার্ন টাইমস' দেখে হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পড়ে গিয়েছিলাম। সেই আমি, পঞ্চাশোর্ধ আজ, একই চলচ্চিত্র দেখে মন ভার করে বসে থাকি, চোখের কোণ চিকচিক করে ওঠে। শরৎচন্দ্রের 'চরিত্রহীন', 'শেষ প্রশ্ন', রবীন্দ্রনাথের 'গোরা', জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে পড়তে গিয়ে একেক রকম অনুভূতি হয়েছে। ছেলেবেলা থেকে, জ্ঞানে বা অজ্ঞানে, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ আমাদের মধ্যে সঠিক মূল্যবোধ তৈরি করে না দিতে পারলে, ভবিষ্যতে ভালো কিছুর মূল্যায়ন করার ক্ষমতা তৈরি হওয়া মুশকিল।

যাই হোক, একক মাত্রার সাথে গত দুই তিন বছর ধরে আমার নিরবচ্ছিন্ন প্রেমের উৎস কিন্তু ভালো লেখা পড়ার খিদে। একক মাত্রা আমার কাছে সাজানো বাগানের ফুলকারি করা গাছ নয়,  জলভর্তি বাক্সে আবদ্ধ মাছ নয়, যেখানে মেপে অক্সিজেন যোগাতে হয়, মাটি আর পাথর দিয়ে তৈরি বাঘ ভাল্লুক নয়। এই পত্রিকা আমার কাছে অবাধ্য ঝরনার মতো, পথের ধারে আপন খেয়ালে গজিয়ে ওঠা গাছের মতো, লোহার প্রাচীর ভেদ করে আসা জলের ধারার মতো, আপন খুশিতে উড়ে চলা পরিযায়ী পাখিদের মতো, বনের মধ্যে সুন্দর বন্যদের মতো, খাপ খোলা ঝলসে ওঠা তলোয়ারের মতো, আপসহীন বিপ্লবীদের মতো।  একক মাত্রার ভেতরের লেখার মূল্য আমার কাছে অসীম, অথচ বাইরের ছাপানো মূল্য দশ-বিশ-ত্রিশ। প্রায় আর্থিক সহায় সম্বলহীন এই পত্রিকা ১৯৯৮ সাল থেকে শুরু করে দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে বিভিন্ন সমসাময়িক ও প্রাসঙ্গিক বিষয় নির্বাচন আর লেখার মাধ্যমে এক আপসহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। সমাজই তার গবেষণাগার। একাডেমিক রোমান্টিসিজমকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া এক ঝাঁক স্ফুলিঙ্গের সংগ্রহ এই পত্রিকার প্রতিটি সংখ্যা: বিশ্বায়নের অর্থনীতি, ভূমি, নদীর খোঁজে, নলেজ ওয়ার্কার: অতি কথা ও বাস্তবতা, পরিবার: অতীত ও ভবিষ্যৎ, বার্তা যোগাযোগ ও সাইবার ভুবন, দুই বাংলার আড্ডা, উপমহাদেশের ধর্ম ও রাজনীতি, নগরায়ন, পঞ্চায়েত ও বিকেন্দ্রীকরণ, মিডিয়ার নতুন মুখ, দক্ষিণ এশিয়ার গণতন্ত্র, বিনোদনের রকমফের, সরকার পোষার দায়, সমাজমানসে সঙ্গীত, ভারতে ধর্ম-দর্শন, তর্কে বিতর্কে এনজিও, তথ্যপ্রযুক্তির ফানুস, প্রকৃতি ও মানুষ, পাগল, আজকের ফ্যাশন, এখন গণতন্ত্র, কবিতার নির্মাণ, শিক্ষার হ য ব র ল, নাগরিক শক্তি, প্রযুক্তির সংস্কৃতি, গ্রামবাংলা, শিল্পায়নের গোলকধাঁধা, উত্তরবঙ্গের কথা, নাটক এখন, বিশ্ব সঙ্কটে উন্নয়ন, রাজনীতির ভাষা, কর্পোরেট কাহিনি, আঞ্চলিকতার বহুরূপ, হলি বলি টলি, বিজ্ঞানের নানা মুখ, বাণিজ্যে বসতে মিডিয়া, মহানগর, আলো-আঁধারে পশ্চিমবঙ্গ, গবেষণার রাজনীতি, কৃষি ও কৃষক, চিত্রকলার চালচিত্র, রাজনীতি ও সন্ত্রাস, ভোটতন্ত্র, দুর্নীতির সাতকাহন, অস্তাচলে জনস্বাস্থ্য,
পরমাণু শক্তি, অন্য রবীন্দ্রনাথ, এখনও গান্ধী, সোশ্যাল মিডিয়া, কারিগরি শিক্ষা কোন পথে, সুশাসন কুশাসন, নগর জীবন, তথ্য নিছক তথ্য নয়, তথ্যের অধিকার, বিজ্ঞাপনের ভাষা, অর্থনৈতিক সংস্কার ও জনস্বার্থ, শিক্ষার নানা কথা,
নাগরিক শক্তি ও রাজনীতি, ভারত পথিক, ওয়েব দুনিয়া, খেলাধুলার অন্দরমহল, একাকিত্ব, সীমান্ত দেশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বাজার অর্থনীতির তাল বেতাল, পরিসংখ্যানের সত্যি মিথ্যে, খাদ্য সার্বভৌমত্ব, বাজারি সাহিত্য, জল: তৃষ্ণার্ত ভুবন, শহরতলি, লোকাল ট্রেন, ধর্মের রাজনীতি, পশ্চিমবঙ্গের হাল হকিকত, জলবায়ুর পরিবর্তন, আমজনতার মিডিয়া, জীবন যাপন, সিন্ডিকেট দুনিয়া, কী পড়ি কেন পড়ি, সেলেব তরজা ইত্যাদি।

যত পড়া যাবে, ততই 'একক মাত্রা'র মূল্যায়নের গভীরতা বাড়বে। এইসব কথা বলার জন্য 'একক মাত্রা' আমাকে এক পয়সাও দেয়নি। শুধু ছোটবেলায়, আমার মায়ের মতো, ভালো লেখা পড়ার (তা সে অন্য পত্রিকাও হতে পারে), বোঝার অফুরান উৎসাহ যুগিয়েই চলেছে। বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন মেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে, পাঠকবর্গকে লেখকে রূপান্তরিত করার সাহস দেখিয়ে, সবাইকে নিয়ে একটা সাসটেইনেবল গ্রোথকে ফলো করছে। অর্থাৎ, নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করছে, অন্যদের অস্তিত্ব বিপন্ন না করে। এটাই আমার, এখন পর্যন্ত, 'একক মাত্রা' সম্পর্কে স্পষ্ট মূল্যায়ন।

No comments:

Post a Comment