বাংলাদেশের বিজ্ঞান সৈনিক অভিজিৎ রায়ের ঘাতকদের শাস্তি চাই
অর্ণব ঘোষ
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় হামলার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় দুজনকে। তারা বইমেলা থেকে বেরিয়েছিলেন। মাথায় গুরুতর জখম নিয়ে সঙ্কটাপন্ন অভিজিৎকে সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন। হাসপাতালে উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলীও বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে অভিজিৎ মারা গেছেন।” রাফিদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
অভিজিতের ওপর কারা হামলা চালিয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি কোনো সূত্রে। তবে ঘটনাস্থলে দুটি চাপাতি পাওয়া গেছে। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে একইভাবে চাপাতি দিয়ে লেখক হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলা হয়েছিল। ওই হামলায় জঙ্গিরা জড়িত ছিল বলে পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকেও রাজধানীর মিরপুরে তার বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ওই হত্যাকাণ্ডেও জঙ্গিবাদীদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাত সাড়ে ৯টায় টিএসটি মোড়ে কয়েকজন যুবক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অভিজিৎ ও রাফিদাকে কুপিয়ে আহত করে।
শাহবাগ থানার এসআই সোহেল রানা বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানার চেষ্টা করছে, বিষয়টি কেন ঘটেছে।”
ড. অভিজিৎ রায়ের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'অবিশ্বাসের দর্শন', ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’, ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে’, ‘ভালবাসা কারে কয়’, স্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তি, সমকামিতা : বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান।
No comments:
Post a Comment