Friday, 5 December 2025

কিছু 'অমানবিক' সংলাপ!

রাখালের গরুর পালে বাঘ পড়ার গপ্পে 

আর কারও বিশ্বাস নেই

মালবিকা মিত্র



ক বাবু: বিকাশবাবু একজন আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়েছেন। সেই মামলায় তিনি জিততে বা হারতে পারেন। বিকাশবাবু তো এ যাবৎ কত হাজার মামলা লড়েছেন। বহু জিতেছেন, কিছু হেরেছেন। কিন্তু এমন ভাবে বাজারে একটা রব তোলা হচ্ছে যে এটা বিকাশবাবুর পরাজয়। সেই সঙ্গে একই পঙক্তিতে উচ্চারিত হচ্ছে তৎকালীন বিচারক অভিজিৎ গাঙ্গুলির নাম। এটা সম্পূর্ণই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভাবটা যেন সিপিএমের পরাজয়, বিজেপির পরাজয়। 

খ বাবু: তোমার কথাটা মানতে পারছি না। প্রথমত, ওই বিচারপতি নিজেই টিভি চ্যানেলে সোৎসাহে বলেছিলেন তিনি নাকি বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের পায়ের কাছে বসে আইন শিখেছেন। এই উক্তি থেকেই ডিরাইভেশন সূত্র অনুযায়ী বলা চলে, বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির রায়ের প্রতিটি ছত্র বিকাশ রঞ্জনের মুখনিঃসৃত। মনে পড়ছে, অভিজিৎবাবু সরাসরি যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের স্টেজে হাজির হয়েছিলেন, বিকাশ রঞ্জন থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী সবাই গিয়েছিলেন। ওই সময়কার ভিডিওগুলো একবার দেখ, অভিজিৎ, বিকাশ রঞ্জন, শুভেন্দু এদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজটা দেখ। প্রায় সব জয় করে ফেলেছেন। শুরুতে যা ছিল এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, পরবর্তীকালে সেখানেই উঠে এল গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি, তারপর টেনে আনা হল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি, ২০১১ সালের পর সব নিয়োগেই নাকি বেনিয়ম। এরপরেই পৌরসভাগুলিতে নিয়োগ নিয়ে নাড়াচড়া শুরু হল। এই সমস্ত ক্রিয়াকর্মগুলো কি অরাজনৈতিক ছিল? সেদিন যদি এগুলি রাজনৈতিক হয়ে থাকে, আজ প্রতিক্রিয়াগুলোও রাজনৈতিক হয়েই প্রকাশ পাচ্ছে।

: দেখ, প্রশ্নটা যেখানে দুর্নীতির, সেখানে মানবিকতার খাতিরে অনেকের শাস্তি মকুব হল। বিকাশবাবু বলেছেন, আবেগের হাওয়ায় এই রায়। এতে দুর্নীতি যারা করে তারা উৎসাহিত হবে। আর অভিজিৎ গাঙ্গুলি বলেছেন, চাকরি বহাল রাখার যুক্তিগুলি কোনও গ্রাউন্ড হতে পারে না। 

: তোমাকে কে বলেছে যে রায়টা মানবিকতার খাতিরে দেওয়া হয়েছে? মানবিক কারণের কথা রায়ের শেষে একটু উল্লেখ আছে মাত্র। বাকি পুরোটার ছত্রে ছত্রে 'প্রমাণের অভাব', 'আদালতের এক্তিয়ারের বাইরে', 'শিরস্ত্রাণ পরে Knight সেজে ঘুরে বেড়ানো'-- এইসব বলা হয়েছে। রায়ের যে অংশটা বিচারকের নিজস্ব বক্তব্য, সেটা (অনুচ্ছেদ ১৮৮ থেকে ১৯১ পর্যন্ত) মোটামুটি এইরকম:

'এটা ঠিক যে আদালতকে জনসেবায় ন্যায়পরায়ণতা, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার প্রশ্নকে গুরুত্ব দিতে হবে। যদি কোনও ব্যবস্থাগত অনিয়ম পরীক্ষা প্রক্রিয়ার সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করে, তবে আদালত পুরো পরীক্ষা বাতিল করাকে সমর্থন করতে পারে। ব্যবস্থাগত অনিয়ম মানে কোনও ব্যবস্থা, প্রক্রিয়া, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ব্যাপক ত্রুটি বা অসদাচরণ, নকল করা ও প্রতারণা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। ব্যাপক মাত্রার অনিয়ম— বিশেষত যেগুলো সমমানের প্রার্থীদের সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে— প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো গুরুতর সমস্যা। কিন্তু আদালতের কাছ থেকে এটা আদৌ প্রত্যাশিত নয় যে তারা এইসব অভিযোগের সম্ভাব্য ব্যাখ্যা বা বিকল্প সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিতে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত অনুসন্ধানে জড়িয়ে পড়বে। বোর্ড পরীক্ষায় কোনও প্রমাণিত গণটোকাটুকির ঘটনা এবং ভিত্তিহীন অপ্রমাণিত দুর্নীতির অভিযোগ— এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। যখন এই মর্মে চাকরি বাতিল করা হয় যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দুর্নীতিকে সহায়তা বা প্রশ্রয় দিয়েছে, তখন আদালতকে আত্মবিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হতে হবে যে এই সিদ্ধান্তের উপযুক্ত ভিত্তি আছে কিনা।'

: ২০১৬ সালের ওই প্যানেলে চিহ্নিত ২৬৪ জন বেনিয়ম করেছে, মানে এদের পদ্ধতিগত ত্রুটি আছে। এছাড়াও ৯৬ জন ছিল পরীক্ষায় অকৃতকার্য। যারা কোয়ালিফাই করেইনি, তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। এটাই তো সম্পূর্ণ বেআইনি ও দুর্নীতির প্রমাণ। এদের অনিয়ম নিয়ে তো কোনও প্রশ্নই ওঠে না। অনিয়ম এ ক্ষেত্রে প্রমাণিত সত্য। 

: তদন্তে সিবিআই নিশ্চিত করেছিল যে ২৬৪ জন প্রার্থীর ক্ষেত্রে অনিয়ম ছিল— যাদের গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল এবং শনাক্ত করা হয়েছে। অতিরিক্তভাবে ৯৬ জন প্রার্থী, যারা উত্তীর্ণ নম্বর পায়নি, তারাও নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিল এবং তাদেরও শনাক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে ওই ৯৬ জন প্রার্থীকে বরখাস্ত করা হয়, কিন্তু মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশে তাঁরা এখনও চাকরিতে বহাল আছেন। অনিয়মে অভিযুক্ত ওই যে ২৬৪ জন, তারা তো তালিকার বাইরেই আছেন। আর ৯৬ জন সুপ্রিম কোর্টের আদেশে চাকরিতে বহাল আছেন। একবার সাধারণ বুদ্ধিতে বলো দেখি, ২৬৪ জনকে নিয়ে যে সমস্যা তার জন্য ৩২ হাজার মানুষের ভাগ্য ওই ২৬৪ জনের সঙ্গে জড়িয়ে যাবে কেন? মড়াই'এর মধ্যে সাপ ঢুকেছে শুনে, যদি সাপ না বের করতে পারি, তাহলে গোটা মড়াই আগুন জ্বালিয়ে দেব? এ তো পাগলামি। এসএসসি'র ক্ষেত্রে এই পাগলামি হয়েছে, ৪-৫ হাজারের জন্য ২৬ হাজারের ভাগ্য বিপর্যস্ত। এ ক্ষেত্রে সেই অন্যায় ঘটেনি। ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী যে 'ন্যাচারাল জাস্টিস' পাননি, ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক সেই জাস্টিস পেয়েছেন।

: ইতিপূর্বে যে রায়টা দেওয়া হয়েছিল সেটাও কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট থেকে দেওয়া। ওই রায়ের পেছনে কিছু যুক্তিগত ভিত্তি তো ছিল। রায়টা তো আকাশ থেকে পড়েনি। আনকোরা কোনও আইন বিষয়ে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ব্যক্তি দেননি। 

: হ্যাঁ, কলকাতা হাইকোর্টেরই রায় ছিল। যিনি দিয়েছিলেন তিনি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। যিনি নিজে বলেছেন, তিনি বিকাশবাবুর পায়ের কাছে বসতেন। তিনি নিজে বলেছেন, অমিত শাহ'র সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের যোগাযোগ। তিনি নিজে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি দলে যোগ দিয়ে পরে সাংসদ হয়েছেন। এমনকি দূরদর্শনের সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথাও বলেন যে, তাঁর খুব ইচ্ছে আদালতে পিসি-ভাইপোকে হাজির করা। এমনকি সিবিআই'এর কাছে তিনি নিজেই আগ বাড়িয়ে জানতে চান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তারা কি হেফাজতে নিতে চায়? আগ্রহটা সিবিআই'এর চেয়ে অভিজিৎবাবুরই বেশি ছিল। 

রিট আবেদনে উত্থাপিত অনিয়মের অভিযোগ মূলত টেট ২০১৪-কে কেন্দ্র করে, যার মাধ্যমে প্রার্থীরা সাক্ষাৎকার/ অ্যাপটিটিউড টেস্টে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। উত্থাপিত প্রশ্নের নিষ্পত্তি করতে গিয়ে আদালত (অভিজিৎ গাঙ্গুলির এজলাস) মূল বক্তব্যের সীমা অতিক্রম করেছিল এবং কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়নি, এই অসমর্থিত ধারণার ভিত্তিতে সমস্ত নিয়োগকে বাতিল করেছিল। রায় প্রদানের ক্ষেত্রে আদালত মনের আনন্দে নিজের ইচ্ছেমতো উদ্ভাবন করতে পারে না। আদালত ‘সৌন্দর্য বা নৈতিকতার নিজস্ব আদর্শের সন্ধানে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ানো এক Knight’এর ভূমিকাও নিতে পারে না। বরং সর্বদা আদালতের প্রত্যাশা থাকে যে তারা ‘পবিত্র নীতিমালা থেকে প্রেরণা নেবে।’  (Benjamin Cardozo, The Nature of Judicial Process)। মাননীয় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর কথা অনুযায়ী অভিজিৎবাবু (নাম না করে) সীমা অতিক্রম করেছেন। যাকে আইনের ভাষায় বলা হয়, Judicial excess, more commonly referred to as judicial overreach, describes a situation where the judiciary exceeds its constitutional authority and encroaches upon the functions of the legislative or executive branches of government.

: সবই বুঝলাম। কিন্তু কোথাও একটা প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী যেভাবে একতরফা রায় ঘোষণা করলেন, কোথায় যেন সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। 

: থেকে যাচ্ছে, কারণ তুমি এবং তোমরা ধরেই নিয়েছিলে এসএসসি'র মতো আর একটা চাকরিখেকো রায় বের হবে। একবার খেয়েছিলে, দারুন স্বাদ, মুখে লেগে রয়েছে। যেমন ভেবেছিলে আরজিকর কাণ্ডের সময়। ঠিক এখানেই রাজনীতির প্রশ্ন। মোদিজী যেমন নেহরু যুগকে মুছে ফেলতে চায়, ঠিক তেমনই সিপিএমের লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে সমস্ত নিয়োগ আদালতের মাধ্যমে বাতিল করতে। এই কাজে যথাযথ সঙ্গত দিতে প্রস্তুত অভিজিৎ গাঙ্গুলি। সমস্যা হল, অভিজিৎবাবু ধৈর্য রাখতে পারলেন না।

সমস্ত নিয়োগ বাতিল করার জন্য ব্যাপক বা ব্যবস্থাগত অনিয়মের স্পষ্ট প্রমাণ অপরিহার্য। পুরো পরীক্ষা বাতিল করতে হলে নথিপত্রে প্রতিফলিত এমন উপাদান থাকতে হবে, যা কোনও ব্যবস্থাগত দুর্নীতি বা ত্রুটির সম্ভাবনা নির্দেশ করে। তদন্তকারী সংস্থার মূল্যায়নে এমন কোনও ব্যবস্থাগত নকল বা অনিয়মের ইঙ্গিত পাওয়া যায় না। এটাও উল্লেখযোগ্য যে, আপিলকারীরা যতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের সততা বা দক্ষতা সম্পর্কে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। পরীক্ষকদের বেশি নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এমন কোনও তথ্য নেই; কিংবা টাকা প্রদানকারী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারে বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে, এমন প্রমাণও নেই। অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নিয়েই নিয়োগ করা হয়েছে, মূলত এই অভিযোগেই চাকরি বাতিল করেছিল তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি'র সিঙ্গল বেঞ্চ। কিন্তু অ্যাপটিটিউড টেস্ট যে হয়নি, সেই প্রমাণ পায়নি ডিভিশন বেঞ্চ। পুরো ব্যবস্থাটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার সুযোগ একদল অসফল প্রার্থীকে দেওয়া যায় না, বিশেষত যখন এটাও অস্বীকার করা যায় না যে, নিরপরাধ শিক্ষকরাও অপমান ও কলঙ্কের শিকার হয়েছেন। কেবলমাত্র কোনও চলমান ফৌজদারি মামলার ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিও বাতিল করা যায় না।

: আমি বিশ্বাস রাখি, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায় স্থায়ী হবে না। সুপ্রিম কোর্টে এই রায় খারিজ হবে। আজকেই সংবাদে দেখলাম, ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়কে যদি চ্যালেঞ্জ করে মামলাকারীরা সুপ্রিম কোর্টে যান, তা হলে শীর্ষ আদালতে তাঁদের হয়ে আইনি লড়াই লড়বেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। বিকাশের কথায়, 'যদি মামলাকারীরা সুপ্রিম কোর্টে যান, তা হলে নিশ্চয়ই লড়ব।'

: হ্যাঁ, লড়াই করেই বাঁচতে চাই। গঙ্গারাম উনিশটিবার ম্যাট্রিকে ফেল করে ঘায়েল হয়ে থামল শেষে। আমাদের এই গঙ্গারাম কখন থামে দেখা যাক। তবে আমি ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে বলতে পারি, একটা কোনও ঘটে যাওয়া অপরাধের শাস্তি কখনই পূর্বাবস্থাকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে না। কারণ, সময় বহু কিছুই পাল্টে দেয় ও সঙ্গে করে নিয়ে যায়। তাই পূর্ব অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায় না। আদালত স্পষ্ট ঘোষণা করেছে, কোনও পদক্ষেপের প্রভাব-ই নির্ধারণ করে দেয় যে কোন্‌ ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত। এই পর্যায়ে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার কোনও নির্দেশ প্রার্থীদের ওপর ভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলবে। এমন কোনও নির্দেশ ন্যায়সঙ্গত আচরণ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হবে। প্রায় নয় বছর চাকরি করার পর যদি কারও চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে আপিলকারীদের জন্য অসীম দুর্ভোগ ডেকে আনবে এবং তাদের ও তাদের পরিবারের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে। এ অবস্থায় এবং প্রভাবের ব্যাপকতা বিবেচনা করে, আমরা দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালনকারী ৩২,০০০ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলকে সমর্থন করতে আগ্রহী নই। 

ইউরোপের ইতিহাসে অস্ট্রিয়ার হাবসবার্গ সাম্রাজ্যের চ্যান্সেলর প্রিন্স মেটারনিক ইউরোপকে প্রাক-নেপোলিয়ন যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেছিলেন। ঐতিহাসিকরা যাকে বিদ্রুপ করে বলেছেন-- Putting the clock back.। ঘড়ির কাঁটাকে পেছনে ফিরিয়ে দিয়ে সময়কে ফিরিয়ে আনা যায় না।