দেখার চোখটাকেই পালটাতে হবে
মালবিকা মিত্র
খবরে প্রকাশ, এ বছর দুর্গাপুজোর অর্থনীতি আনুমানিক ৬৫,০০০ কোটি টাকা ছুঁয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে— যার ৬৫-৭০ শতাংশ অবদান কলকাতার (উৎসবের আগে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হওয়া সত্ত্বেও)। অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরী বলেছেন যে গত বছরের তুলনায় এ বছরের পুজোর সময় অর্থমূল্যের দিক থেকে ব্যবসায়িক লেনদেন কমপক্ষে ৮-১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল দ্বারা ২০১৯ সালে পরিচালিত একটি সমীক্ষা কলকাতার দুর্গাপুজোর অর্থনীতিকে প্রায় ৩৩,০০০ কোটি টাকা হিসেবে ধার্য করেছিল। (টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ৪ অক্টোবর ২০২৫)।
খবরটি পড়ে আমার বান্ধবী শকুন্তলাকে মনে পড়ল। আমি ওকে কুন্তলা বলেই ডাকি। মন প্রাণ দিয়ে হৃদয় ঢেলে শিক্ষকতা করেছে। সেই মন প্রাণ আর আবেগ দিয়েই রাজনীতি-অর্থনীতি সব কিছু বুঝতে চেষ্টা করে। ও বলে, আমি রাজনীতি অর্থনীতির তত্ত্বকথা জানি না, রিকার্ডো, মার্শাল, অ্যাডাম স্মিথ, কেইনস, মার্কস কাউকে চিনি না, আমি বুঝি আমার সাহিত্য শিক্ষা আর বোধবুদ্ধি দিয়ে। ওর মতে, জাতীয় আয় যেমনই হোক না কেন, তা যদি শ্রাবণের ধারার মতো ঝরে না পড়ে, সমস্ত ভূমিকে সিক্ত না করে, কেবলমাত্র কিছু বিশেষ বিশেষ গর্তে জল জমা হয়, তাহলে সামাজিক বৈষম্য বাড়তে থাকে। সামাজিক অস্থিরতা বাড়ে। সামাজিক অপরাধ বৃদ্ধি পায়। সমস্ত বিপত্তির মূলে আছে বন্টনের অসাম্য।
এ পর্যন্ত কুন্তলা যা বলে থাকে সেটা কম বেশি সকলেরই বোধগম্য, খুবই সাদামাটা কথা। কিন্তু এর পরের অংশটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কুন্তলার মতে, সব সময়েই যে সামাজিক আয় একটা শ্রাবণের ধারা হয়ে ঝরবে এমন নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমার দায়িত্ব, মানে আমার মতো সুবিধেভোগী শ্রেণির দায়িত্ব, তার বাড়তি সুবিধার অংশটি চারদিকে সমান ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া। তাহলেই সমস্যা কমে আসে। যেমন, প্রতিটি বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট'এর পর সে কাজের মেয়ের বেতন বাড়ায়। তার প্রাত্যহিক রিকশা চালকের বেতন বাড়ায়। ভিখারি বা সাহায্যপ্রার্থীর বরাদ্দ বাড়ায়। সাধারণভাবে এতদিন যে রিকশা ভাড়া ১০ টাকা দিয়ে এসেছে, এখন সে ১২ বা ১৫ টাকা দেয়। স্কুলের অসহায় দরিদ্র ছাত্রীদের বইপত্র, পোশাক, ডাক্তার খরচ, তাদের বাড়িতে অসুস্থ মা-বাবার পথ্য জোগানো, সব করতে থাকে।
এর জন্য বহু মানুষের কাছে ওকে তো কম গালাগাল শুনতে হয়নি। কারণ, দশ টাকার রিকশা ভাড়াটা প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট আর ডিএ'র সুবাদে বাড়তে বাড়তে ২৫ টাকা হয়েছে। এখন ওই পাড়ায় গেলে রিকশাওয়ালা বলেন, এই বাড়িতে এলে ভাড়া বেশি দেয়। শুনে সওয়ারির রাগ হওয়ারই কথা। কুন্তলার বিশ্বাস, অর্থ যত গতিশীল হবে, মানে বাজারে রোল করবে, তত সকলের মধ্যে তা বিতরিত হবে ও জাতীয় আয় ছড়িয়ে পড়বে। ও দেখেছে, সাধারণভাবে শিক্ষকদের বেতন এখন এতটাই ভদ্রস্থ যে, ইনক্রিমেন্ট বা মহার্ঘ ভাতা বাড়লে জিপিএফ'এ তাঁরা সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। আবার এও দেখা গেছে, সেই বর্ধিত অর্থ অঞ্জলি জুয়েলার্স বা পিসি চন্দ্রে গিয়ে জমা হয়। উইক-এন্ডে বেশি বেশি আনন্দ-ফূর্তি, গাড়ির মডেল পাল্টানো, নিত্যনতুন ধাবায় গমন, এসবের পেছনে ব্যয় হয়। মাঝে মাঝেই বন্ধু-বান্ধবদের ডেকে এনে কিছু আনন্দফূর্তির অনুষ্ঠান, যার পোশাকি নাম পার্টি। এগুলিতেই অর্থ আটকে যায়। তাই ওর ছোট বুদ্ধিতে বুঝেছে, অর্থকে ছড়িয়ে পড়তে হবে, গড়িয়ে যেতে দিতে হবে, তবেই বাজার সচল হয়, সবার হাতে অর্থ পৌঁছয়।
আমফানের পর বা কোভিড লকডাউন পর্বে দেখেছি, সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি আমার বান্ধবী নিজে মানুষের কাছে নানাবিধ সাহায্য পৌঁছে দিয়েছে। সরকার তো চাল ডাল তেল নুন ডিম এসব বিতরণ করেছে। আর আমার বান্ধবী ভিন্ন জাতীয় শুকনো খাবার, বিস্কুট, চিঁড়ে ভাজা, মুড়ি, ছোলা ভাজা, বাদাম ভাজা, গুঁড়ো দুধ এবং সকলের প্রয়োজনীয় ওষুধ যা নিত্য সেবন করতে হয়, সেগুলো বিতরণ করেছে। বাড়ির দুই কাজের মেয়েকে সবেতন ছুটি করে দিয়েছে কোভিড পর্বে। এর ফলে অন্যান্য বাড়িতে যে সব কাজের মহিলারা আসেন, তাঁরাও ছুটির দাবি বা আবদার শুরু করেন, যেটা গৃহকর্ত্রী ও কর্তাদের পক্ষে খুবই অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায়।
ও বলে, আমরা তো ক্লাসে পড়াই কামিনী রায়ের কবিতা 'সুখ': 'আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে/ আসি নাই কেহ অবনী 'পরে,/ সকলের তরে সকলে আমরা,/ প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।' এই কথার অনেক ব্যাখ্যা করেছি ক্লাসে। উদাহরণ দিয়েছি। কিন্তু আমার কাছে পরে জলজ্যান্ত উদাহরণ হিসেবে হাজির হয়েছে স্কুলের ক্লাস লীগের ফুটবল খেলায় মাঠের দৃশ্য। সেখানে ক্লাসের শেষ মেধার ছাত্রটি আর উচ্চ ও মধ্য মেধার ছাত্রটি মিলেমিশে মাঠে বল আদানপ্রদান করে। আর যারা খেলায় অংশ নিতে পারে না, তারাও কি প্রবল উৎসাহে মাঠের বাইরে বন্ধুদের উদ্যম সঞ্চার করে। ওয়াটার বটলে ছোট ছোট স্টোন চিপস ভরে, মুখ আটকে সারা মাঠে ঝনঝন আওয়াজে মুখরিত করে। মাঠে কোনও সহপাঠী খেলোয়াড় আঘাত পেলে, মাঠের বাইরে এনে তাকে কী পরম যত্নে শুশ্রূষা করে। এমনকি যে ছাত্রের বাবা বা মা, ডাক্তার, নার্স ইত্যাদি পেশায় যুক্ত, তারা অতিরিক্ত ফার্স্ট এইড'এর বন্দোবস্ত করে আনে।
শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণের পর বেতনের অর্ধেক হয়ে গেছে পেনশন। প্রশ্ন করেছিলাম, এখন ওই সমস্ত সামাজিক ক্রিয়াকর্ম চালাস কী করে? উত্তরে বলেছে, এখন আর করার সুযোগ কোথায়? স্কুল থেকেই বইপত্র, পোশাকআশাক, দুপুরের আহার সব পায়। এমনকি জুতো সাইকেল সরকারি আবাস প্রকল্প পর্যন্ত; এখন চারিদিকে ছাদের বাড়ি ফলে কোনও ঝড়ঝাপটা হলেই যে বাড়ি মেরামতের জন্য সাহায্য দিতে হত সেটাও লাগে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিয়ের জন্য রূপশ্রী, ছাত্রীদের জন্য কন্যাশ্রী এবং আরও উচ্চ শিক্ষার জন্য ব্যাঙ্কের লোন, এছাড়াও বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, এইসব মিলিয়ে মানুষের হাতে কিছু পয়সা পৌঁছচ্ছে। ফলে, আমি সামান্য সামর্থ্যে যে কাজগুলো করতাম, সেগুলো এখন সরকার নিজেই করে দেয়। তাহলে সেই বিচারে আমার আয় বেড়েছে। পেনশন বেতনের অর্ধেক হয়েছে এটা যেমন সত্য, তেমনই আমার বিরাট পরিমাণ ব্যয়ভার এখন সরকার বহন করে। সেই কারণেই আমি মনে করি, ডিএ না দিলেও সরকার আসলে ডিএ দিচ্ছে। অবশ্যই জিপিএফ'এ কাটানো বা উইক-এন্ডে মস্তি করার জন্য নয় ।
আমি বললাম, চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তো সব হাসপাতালে গ্রহণ করে না। তখন কুন্তলা তার অভিজ্ঞতার কথা বলল। তার এক ছাত্র নিজের জ্যাঠামশাইকে নিয়ে কলকাতার নানা বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরেছে ভর্তির জন্য। অনেক জায়গায় তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই ছাত্র বলেছে, জানেন রেশন কার্ডটা যেমন কাজে লাগে না, কিন্তু একটা জোরের জায়গা আছে, বাজারে চালের দাম কেউ ২০০ টাকা চাইতে পারবে না। কারণ, আমার কাছে বিকল্প আছে রেশনের চাল। এখানেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডটা থাকার ফলে একটা বার্গেনিং ও আর্গুমেন্ট করার ক্ষেত্র আছে। শেষ পর্যন্ত এক জায়গায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ডেই ভর্তি করা হয়েছে। মনে রাখতে হবে, কার্ডটা একটা অধিকার দিয়েছে, কিন্তু এই অধিকারকে আদায় করার অস্ত্র, কৌশল ও নাছোড় প্রচেষ্টা থাকা দরকার। ভাবা যায়, আমার পরিবারে তিনজন রোগীর ওষুধের মোট ব্যয় ছিল এখনকার অর্থমূল্যে ৯০০০ টাকা প্রতি মাসে। সরকারের ফেয়ার প্রাইস শপ'এর কল্যাণে সেই খরচটা এখন লাগে ৩০০০ টাকা। আমার পা ভাঙলো, অপারেশন করতে হল, ইনপ্ল্যান্টস বসানো হল, হাসপাতাল থেকে ছুটির সময় একটি পয়সাও বিল হল না। বরং আমার যাতায়াত বাবদ ২০০ টাকা নগদ হাতে ধরালো। এছাড়াও পাঁচ দিনের ওষুধ দিয়ে দিল।
কুন্তলার কথা শুনে আমি বললাম, তুই যা বলছিস এসব শুনলে তো লোকে তোকে 'চটিচাটা' বলবে। শুনে কুন্তলা বলেছিল, ১৯৮২ সালে আমার বাবার মৃত্যুর পর তাঁর পেনশন পেতে ১৯৯২ সাল হয়ে গিয়েছিল। আমার কত জোড়া চটির সোল ক্ষয়ে গেল তার হিসেব নেই। আর আমি রিটায়ার করার পর জুলাই মাসে শেষ বেতন পেলাম আর অগস্ট মাসে পেনশন চালু হল। একদিনের জন্যও আমাকে বসে থাকতে হয়নি। একদিনের জন্যও ডিআই অফিস যাইনি। পিপিও এসে হাজির, নিয়ম মতো একাউন্টে পেনশন জমা পড়ল। আমার পেনশনটা পেতে গিয়ে কাউকে কোথাও এক কাপ চা-সিগারেট খাওয়াতে হয়নি। এই সত্যটাকে আমি স্বীকার করবই। তার ফলে যদি আমাকে 'চটিচাটা' বলা হয়, আমি সে কথা আনন্দে নতমস্তকে গ্রহণ করব। সরকারের কোষাগার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সরকারি চাকরিজীবীদের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এই কোষাগার আমাকে যেমন মহার্ঘ ভাতা দেবে, বেতন দেবে, তেমনই যে মানুষ চাকরিজীবী নয় তার হাতেও নানা প্রকল্পের মধ্য দিয়ে কিছু অর্থ পৌঁছে দেবে। কারণ, এই কোষাগারটি পূর্ণ করার ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষেরই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান আছে। নানাবিধ 'শ্রী' প্রকল্পকে অনেকে ভিক্ষা বলে বিদ্রূপ করেন; এই ভাতা ভিক্ষা নয়, এগুলি অধিকার।
কুন্তলা তার পাণ্ডিত্য ও মেধা দিয়ে নয়, হৃদয় ও আবেগ দিয়ে সমস্যা বুঝতে চেয়েছে এবং সম্ভবত বুঝতে পেরেছে।
অর্থের এই ছড়িয়ে পড়ার রাজনৈতিক তাগিদ থেকেই দুর্গাপুজোর অর্থনীতির আজকের রমরমা। ফলে, আমাদের প্রত্যক্ষ দায় কমছে, প্রকৃত আয় বাড়ছে। আসলে, অর্থনীতিকে দেখার চোখটাকেই এবার পাল্টে ফেলার সময়। ২০২৪'এ Nobel Memorial Prize in Economic Sciences বিজয়ী দুই অর্থনীতিবিদ James A. Robinson ও Daron Acemoglu রচিত 'Why Nations Fail: The Origins of Power, Prosperity And Poverty' পুস্তকে বলছেন: 'Explaining world inequality still needs economics to understand how different types of policies and social arrangements affect economic incentives and behavior. But it also needs politics.'
পড়লাম, অবশ্যই ভালো লাগলো। কিন্তু অর্থোপেডিক্স সার্জারিতে কাজ দেয় না স্বাস্থ্যসাথী। অনেক দুনম্বরি করে এক্সিডেন্ট দেখিয়ে টিপিএ কে টাকা খাওয়ালে তবে পাওয়া যায়। তবে সরকারি হাসপাতালে হয়। মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে যাওয়া অবশ্যই ভালো।
ReplyDeleteভাই কৃশানু, গত ২০২৪ সালে ২৪ শে মার্চ আমার পা ভাঙার পর নিউ ইউনাইটেড নার্সিংহোমে অপারেশন হয়েছিল। ডাক্তার মনোদীপ দত্ত সার্জারি করেন। ইন প্ল্যান্ট বসানো হয়েছিল। এমনকি আমার জানা ছিল না, ওরাই জানালো, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলে সেটা সঙ্গে আনবেন। আমার এক পয়সাও খরচ হয়নি বরং যাতায়াত ভাড়া ২০০ টাকা দেওয়া হয়েছে।
Deleteঅর্থকে......
ReplyDeleteগড়িয়ে যেতে দিতে হবে, তবেই বাজার সচল হয় ..' ভালো পর্যবেক্ষণ !
আমাদের দুর্গা পুজোয় সাধারণ মানুষের কাছে কিছুটা হলেও অর্থ পৌঁছেছে .....
তবু ভালো ....!!!!
ভালো লেখা । নানাভাবে শুধুই সরকারের সুনাম করা হয়েছে -- খুবই ভালো । কিন্তু সরকারের বদমাইশিগুলো কায়দা করে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে । এইসব আসলেই চটিচাটা চালাকি । আর লেখক বরাবরই এভাবেই চটিচাটা চালাকি ক'রে সর্বদাই আসলে সরকারের হয়ে কথা বলেন, বলে থাকেন । কারো পাওনা টাকা চুরি সেই টাকা বিভিন্ন জায়গায় বিলিয়ে ভোটে জিতে নিজেদের চুরি করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করলে -- ওইভাবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাবেনা কখনোই; মাছের গন্ধ বেরিয়ে পড়বে সহজেই । 🙏🏽
ReplyDeleteমনোজ মিত্র হলে বলতেন -- কথা হচ্ছে সুভাষ বোস নিয়ে। আর ইনি কেবল তক্তপোষ তক্তপোষ করছেন। মোটা বুদ্ধিতে লেখাটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। পলিটিক্যাল ইকোনোমির কঠিন কথা অত্যন্ত সহজে উপস্থাপন করা হয়েছে। মুশকিল হল কেউ কেউ রান্নার প্রসঙ্গ ছেড়ে রাঁধুনীর গায়ের রং, তার মাথার চুল , তার উচ্চারণের ভুল এসব নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসেন।
ReplyDeleteস্বাস্থ্যসাথী নিয়ে গাওনা গাওয়া রাজ্য সরকারকে নিরর্থক তোল্লা দেওয়া বৈ আর কিছু নয়। গ্ৰামগঞ্জের মানুষের তিক্ত অভিজ্ঞতা, বেসরকারি চিকিৎসালয়ে প্রায়শই প্রত্যাখ্যাত হয়ে চলেছে, এ তথ্য আজ আর অবব
ReplyDeleteটাকা যত ছোটো ছোটো মাপে হোক নীচে পৌঁছোলে প্রান্তিক মানুষ অবশ্যই উপকৃত হন। এই সোজা কথাটা মানতেই যাদের অসুবিধা হয় , তাদের মনোবিকার ভালো করো মা ।
ReplyDeleteDA না দিলেও আমার দুক্ষু নাই...সরকার আমায় পেনশন দিচ্ছে... চমৎকার ! ডিএ যেন এর আগে ছিল না এই সরকার চালু করল ! খাসা ! বার্ধক্য ভাতা বিধবা ভাতা বহুদিন থেকে চালু আছে। প্রশাসনের অন্দরের কী হাল সেসব না জেনে পেনশনার যে কেন এমন আলফাল বকেন বুঝি না... কে বলছে এখন স্কুলের পেনশনে উৎকোচ দিতে হয় না ? একজনের অভিজ্ঞতা সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায় ? আপাদমস্তক দুর্নীতির এই রাজ্যে এইসব কলাম লেখা ব্যাঙ্গমারা কোথা থেকে আসেন কে জানে ? জয়তু মিত্র বাবুমশায় !
ReplyDeleteদেখার চোখটাকেই পালটাতে হবে ----- ঠিক ঠিক ঠিক ! শিক্ষা স্বাস্থ্য প্রশাসন ধবংস করার পরেও বলতে হবে 'লা জবাব' ! পুজোর অর্থনীতিই সবাইকে খাওয়াবে... যেসব রাজ্যে এমন পুজো নেই তাঁরা কী করবেন ? জবাব নেই। কুন্তলার কাছে কি উত্তর আছে ? ভাঁড়ামির একটা সীমা থাকা উচিত...
ReplyDeleteবেশ বলেছেন।
Delete