চীনে ভারতের মেডিক্যাল মিশনকে কেই বা মনে রাখল?
প্রদ্যুম্ন বন্দ্যোপাধ্যায়
আজীবন পুঁথি চর্চাকারী সংস্কৃত পণ্ডিত চিন্তাহরণ চক্রবর্তী একবার ‘Indoctrination'এর বাংলা করেছিলেন ‘কর্নেজপন’। এই পরিভাষা চালু করার সপক্ষে তিনি জোরদার সওয়াল করলেও তা হালে পানি পায়নি। তবে সুভাষচন্দ্রের জন্মদিনকে ‘জাতীয় পরাক্রম’ দিবস ঘোষণা আর এই অমোঘ উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে দেশের সমস্ত তল্লাট জুড়ে একশো মিডিয়ায় ওৎ পেতে থাকা কাঙসকন্ঠি ভাষণবিদদের এই নিয়ে কানের কাছে অবিরাম নামতা পাঠ হারিয়ে যাওয়া, সেই শব্দবন্ধের মোক্ষম উদাহরণ।
রাষ্ট্রীয় পরাক্রমের জমাট প্রকাশ আমরা লক্ষ করছি বেশ কয়েক বছর। জালিয়ানওয়ালাবাগ অথবা সবরমতি আশ্রমের সেই গভীর নির্জন স্মৃতি-উদ্রেককারী পরিবেশের উৎপাটন ঘটেছে সশব্দে। সৈনিকের কড়া পোশাক পরিহিত সুভাষচন্দ্রের মূর্তি এই কর্মসূচিরই প্রকাশ। দেশ জুড়ে দৃশ্য-তাণ্ডবের এই আয়োজন জল, জমি, জঙ্গলের মতো স্মৃতিরও উচ্ছেদ ঘটিয়েই চলে নিঃশব্দে। এই বিপুল প্রচার কাণ্ডের ব্যূহচক্রের মধ্যে ধ্বস্ত হতে হতে পুরোপুরি নিঃস্ব হবার আগে সুভাষচন্দ্র আর তাঁর সময়ের কিছু স্মৃতি ফেরানো বোধহয় জরুরি, বিশেষ করে চূড়ান্ত 'দুর্ভাবনাময় জটিল সাম্প্রতিক' এই সময়ে।দোর্দন্ডপ্রতাপ রাষ্ট্রের সুভাষচন্দ্র আর অন্যান্য নির্মাণের আড়ালে চলে যায় আজাদ হিন্দ ফৌজ গড়ে ওঠার সেই আশ্চর্য আখ্যান। উপমহাদেশের নানা প্রান্ত থেকে রঙ্গিবিরঙ্গি মানুষজনের স্বাদেশিকতার টানে ফৌজে সামিল হওয়া, স্বেচ্ছায় চূড়ান্ত অনিশ্চিত অজানা পথ বেছে নেওয়া- ঐতিহাসিক মুকুল কেশভনের কথা ধার করে বলা যায়, আজাদ হিন্দ ফৌজ যেন বাইবেল কথিত নোয়ার আর্ক, যেখানে সমস্ত ভারতীয় ধর্মগোষ্ঠী আর ভাষাভাষি মানুষজনের ঠাঁই মেলে অবাধে।
ভারতীয় রাষ্ট্র নির্মাণের মনমতো পরাক্রমী সুভাষচন্দ্রকে তুলে ধরার সশব্দ অভিসন্ধির সযত্ন আড়ালে চলে যায় জাপানি আক্রমণে বিধ্বস্ত চীনে সুভাষচন্দ্র এবং নেহেরুর উদ্যোগে মেডিক্যাল মিশন পাঠানোর স্নিগ্ধ অনুপম স্মৃতি। সরকারে বিমুগ্ধ অগুন্তি প্রচারযন্ত্রের ‘অন্তবিহীন ফ্যাক্টরি ক্রেনের’ কর্নেজপন, ধ্বংসকারী জেসিবি যন্ত্রেরই কথ্যরূপ। সরকারি প্রচারযন্ত্রের ঘনীভূত রূপ জেসিবি'র উপকারিতা যোগী রাজ্যে বারবার প্রমাণিত।
ঘটনাটি দীর্ঘদিন ধরে চলা বিশ শতকের তিরিশের দশকের। জাপানি আক্রমণে বিধ্বস্ত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা চু' তে নেহেরুকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেন ভারতীয় চিকিৎসক দল পাঠাতে।প্রায় এক দশক জুড়ে লাগাতার জাপানি আক্রমণে বিপর্যস্ত চীনে রণাঙ্গনে আহত মৃত্যুপথযাত্রী সৈনিকদের চিকিৎসায় সহায়তা করার জন্য এই অনুরোধ চীনা নেতৃবৃন্দ করেন। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি সুভাষচন্দ্র এবং নেহেরু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সারা দেশ জুড়ে চীনের সাহায্যার্থে জনমত গড়ে তোলেন। হরিপুরা অধিবেশনে (১৯৩৮) এই মর্মে প্রস্তাবও নেওয়া হয়। পাঁচজন ভারতীয় ডাক্তার চীনের রণাঙ্গনে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে সাড়া দেওয়া ডাক্তারদের মধ্যে ছিলেন ডাঃ মদন মোহনলাল অটল, মোরেশ্বর রামচন্দ্র চোলকার, দ্বারকানাথ কোটনিস, বিজয় কুমার বসু ও দেবেশ চন্দ্র মুখার্জী। ১৯৩৮ সালের সেপ্টেম্বরে বোম্বাই থেকে তাঁরা চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বিদায়কালে সেখানে হাজির ছিলেন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ। কলকাতায় উপস্থিত ছিলেন সুভাষচন্দ্র।
চীনে জাপানের ধ্বংসলীলার বিরুদ্ধে উপমহাদেশে জনমত গড়ে ওঠে। কংগ্রেস অধিবেশনে জাপানি পণ্য বর্জনের দাবি ওঠে। অথচ এর কিছুদিন আগে পর্যন্ত জাপানের উত্থান নিয়ে উপমহাদেশে ছিল তুমুল উদ্দীপনা। পশ্চিমী আধিপত্যের বিরুদ্ধে এশিয় দেশ জাপানের জাগরণ গোটা মহাদেশের কাছে স্বাধীনতার বার্তা নিয়ে আসে। সুভাষচন্দ্রের কাছেও আদর্শ আবাস ভূমি জাপান। তাঁর কাছে জাপানের জাগরণ পশ্চিমী সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির অনন্ত অপরাজেয়তায় একটা ছেদ। কিন্তু দূরপ্রাচ্যে ইউরোপীয়দের অপসারণে জাপানের ভূমিকার পেছনে সাম্রাজ্যবাদী অভিসন্ধিও সক্রিয় ছিল। প্রাচীন সভ্যতার চারণভূমি চীনকে তাঁবে আনাই ছিল জাপানি সমরনায়কদের উদ্দেশ্য। ১৯৩৭'এর অক্টোবরে 'মডার্ন রিভিউ' পত্রিকায় প্রকাশিত একটি লেখায় সুভাষচন্দ্র এশিয়বাসীর জাগরণে জাপানের ভূমিকাকে স্বীকার করলেও, তিনি দ্বিধাহীন যে তাঁর হৃদয় কিন্তু জাপানি আক্রমণে পর্যুদস্ত চীনা মানুষজনের সঙ্গেই একান্তভাবে রয়েছে। চীনে জাপানের ধ্বংসলীলার বিরুদ্ধে ভারতীয়দের তৎকালীন মনোভাব ধরা পড়ে সরলাদেবী চৌধুরাণীর অনুপম স্মৃতিচারণ ‘জীবনের ঝরাপাতা’ বই'য়ে। সুভাষ মুখোপাধ্যায় লেখেন 'চীন -উনিশশো আটত্রিস' কবিতা। সুভাষচন্দ্র আর তাঁর সতীর্থরা কল্পভূমি জাপানের সাম্রাজ্যবাদী কীর্তিকলাপের সমালোচনা করেই ক্ষান্ত হন না। ভারতীয় ডাক্তারদের তাঁরা পাঠান সুদূর চীন দেশের রণক্ষেত্রে আহত চীনাদের সেবাশুশ্রূষার জন্যে। এই ভূমিকা বাম মতাদর্শী দলগুলির কাছে শিক্ষণীয় আজও।
ভারতীয় মেডিক্যাল মিশনের সদস্যরা প্রথমে উহান শহরে যান (সেই উহান)। সেখান থেকে তাঁদের পাঠানো হয় ইয়েনানে, যে ইয়েনান ছিল চীন বিপ্লবের কেন্দ্র। রণক্ষেত্রে ভারতীয় চিকিৎসকরা গড়ে তোলেন চলমান চিকিৎসা কেন্দ্র। চিকিৎসার সরঞ্জাম, ওষুধপত্রের অপ্রতুলতা সত্ত্বেও তাঁদের অদম্য মনোভাব কিন্তু ভেঙে পড়েনি বা রণক্ষেত্র থেকে তাঁরা পালিয়েও আসেননি।
তারপর একদিন তো যুদ্ধ শেষ হল। ভারতীয় চিকিৎসকদের এবার দেশে ফেরার পালা। সবাই ফিরলেও ডাঃ কোটনিস কিন্তু তাঁর পূর্বসূরি ডাঃ নর্মান বেথুনের নামাঙ্কিত 'ইন্টারন্যাশন্যাল পিস হাসপাতাল'এ অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়ে সেখানেই রয়ে গেলেন। চীনা সহকর্মীকে বিয়েও করেন। মারা যান বত্রিশ বছর বয়সে। রণক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী গেরিলাযুদ্ধের পাশাপাশি কোটনিস এবং তাঁর সহকর্মীরা একই কায়দায় চিকিৎসা চালু রাখেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গ্রামগুলিতে স্থানীয় মানুষজন ধ্বংসস্তুপের মধ্যেও গড়ে তুলতেন চিকিৎসাকেন্দ্র। অনবরত এই কেন্দ্রগুলিকে গড়তে হত, কারণ, খুব বেশিদিন এগুলি স্থায়ী হতে পারত না। কোটনিসের সেবাপরায়ণতায় অভিভূত আহত সৈনিকরা তাঁর নামকরণ করেন ’ব্ল্যাক মাদার’। ভারতে সাম্প্রতিক বাম আন্দোলনে সুদূর কিউবার গণচিকিৎসায় সাফল্য, বিশেষ করে আর্জেন্টিনার চিকিৎসক বিপ্লবী চে গেভারা আজ যতখানি জায়গা নেয় সেখানে কোটনিস বা তাঁর সহকর্মীদের ঠাঁই মেলে না। অথচ কোটনিসের মৃত্যুর কয়েক বছরের মধ্যেই কিন্তু তাঁর জীবন নিয়ে ভি শান্তারাম সিনেমা তৈরি করবেন। তাহলে কি মেডিক্যাল মিশনের সদস্যরা চে বা নর্মান বেথুনের মতো যথেষ্ট আন্তর্জাতিকতাবাদী হতে পারলেন না। গেঁয়ো যোগী, তাই বোধহয় তাঁদের 'আন্তর্জাতিকতাবাদ কম পড়িতেছে' বলে মনে হল। অথচ মিশনের নেতা ডাঃ অটল স্পেনের গৃহযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, সেখানকার অভিজ্ঞতা দেশে প্রচার করেন। স্পেন থেকে ফিরেই তিনি চীনের রণাঙ্গনে যেতে প্রস্তুত হন। তিনি জানতেন যে চীনের লড়াই স্পেনের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন। কারণ, স্পেনের গৃহযুদ্ধ ছিল মূলত ট্রেঞ্চের লড়াই। অন্যদিকে চীনা রণাঙ্গন ছিল সচল আর দীর্ঘস্থায়ী। নাগপুরবাসী ডাঃ চোলকার ছিলেন আদ্যন্ত গান্ধীর অনুগামী আর সদস্যদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ। তাঁর বয়স তখন আটান্ন ছুঁয়েছে। প্রায় বাণপ্রস্থে যাবার বদলে বাকী চিকিৎসকদের সঙ্গে তিনি চীনে যান। সমানতালে চিকিৎসাও চালান।
স্বাধীনতার আগে এবং পরে নানা উচ্চকিত কোলাহলে এই কজন আশ্চর্য মানুষজনের ততোধিক আশ্চর্য ভূমিকা চলে গেছে বিস্মৃতির গহ্বরে। স্মৃতির উচ্ছেদ ঘটেছে। সুভাষচন্দ্র ও তাঁর সতীর্থদের এই উদ্যোগ এবং মিশনের চিকিৎসকদের বিরল, ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ড কিন্তু উপমহাদেশের জনস্মৃতির অঙ্গ হয়নি। জাতীয় আন্দোলনের নানা ছন্দের মধ্যে অন্যতম বিরল এই ছন্দের উত্থান ঘটানো ছিল জরুরি। জাতীয় গণ আন্দোলন আর কিংবদন্তি হয়ে ওঠা গণনায়কদের নিয়ে উদ্দীপনা কিন্তু আজও সাদামাটা লোকায়ত জীবনের বৈশিষ্ট্য। কেতাবী ভাষায় ‘ন্যাশনাল পপুলার'। মূলধারার বাম রাজনীতির নাগালের বাইরেই রয়ে গেল জনজীবনে বয়ে চলা এই তরঙ্গগুলি। গণপ্রতিরোধের গভীরতর সম্ভাবনা কিন্তু এখানেই রয়ে গেছে আজও।
জাপানি আক্রমণে বিধ্বস্ত চীনে ভারতীয় চিকিৎসকরা মানববেদনাকে অনুভব করতেন নির্জনে। বিপন্ন মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁরা বিষণ্ণ হন। আর্তের সেবায় ব্যস্ত কোটনিস পিতার মৃত্যুসংবাদ পেলেও স্বদেশে ফিরতে পারেন না। করুণা যে কোন পথ দিয়ে তাঁদের হৃদয়ে ছায়া ফেলে তা বোঝা দুষ্কর।
এসবই এখন অলীক। মানুষজনের হৃদয় এখন কঠিন থেকে কঠিনতর। কর্পোরেট বাহিত চিকিৎসার সুযোগ এখন অনির্বচনীয় কিছু উঁচু লোকের হাতে, সকলের জন্য নয়। গরিবগুর্বো মানুষজন হেমন্তের পাতার মতো ভেসে যেতে যেতে এখনও ভরসা খোঁজেন এখানে ওখানে মানববেদনাকে অনুভব করা বিষন্ন কিছু চিকিৎসকের মধ্যে। এই আকালেও তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যান মানুষের ভেসে যাওয়া আটকাতে। এঁদেরই দেখা মেলে দেশের নানা প্রান্তে ঘটে চলা ঘোষিত, অঘোষিত রণক্ষেত্রে। ভোপালে গ্যাসপীড়িতদের পাশে অচিরে হাজির হন দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা ডাক্তাররা। নন্দীগ্রামে আক্রান্ত মানুষজনের পাশেও হাজির তাঁরা। ভারতের গহনতম প্রান্তে নিঃস্ব মানুষজনের চিকিৎসা বজায় রাখেন বিনায়ক সেন ও তাঁর সহযোগীরা। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকারও হন তাঁরা। সাধারণ মানুষজনের জন্য চিকিৎসাকে সহজলভ্য করতে নিঃশব্দে গড়ে ওঠে 'শ্রমজীবী হাসপাতাল'।
এই তো ক' মাস আগে প্রয়াত হলেন বালি উত্তরপাড়ার পাঁচ টাকা দক্ষিণা নেওয়া চিকিৎসক শ্যামল চট্টোপাধ্যায়। কালনা শহরের ডাক্তার গৌরাঙ্গ গোস্বামীও সদ্য চলে গেলেন চিরকালের মতো। তাঁরও ভিজিট ছিল পাঁচ টাকা। এঁদের মতো ভিন্ন গ্রহের অধিবাসীরা দেশের নানা প্রান্তে রয়ে গেছেন আজও। আসলে, সুভাষচন্দ্র, তাঁর সহযোগীরা আর মেডিক্যাল মিশনের সদস্যদের উত্তরাধিকার থেকে যায় কোনও কোনও মানবের হাতে।
খুব ভালো তথ্য চিন্তার বিষয়। সময়োপযোগী।
ReplyDeleteঅসিত
অনালোচিত অধ্যায় উন্মোচন করেছেন। অজস্র ধন্যবাদ। পার্থ
ReplyDeleteচীনে মেডিকেল মিশন পাঠানোর ব্যাপারে কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে সুভাষচন্দ্রের অবদান ভুলে যাওয়ার যে উল্লেখ এই লেখাটিতে করা হয়েছে, তা যথাযথ। এ বিষয়ে সুভাষচন্দ্রের উদ্যোগকে ভাবীকালের চোখে মসীলিপ্ত করার ও ধামাচাপা দেওয়ার ব্যাপারে জওহরলাল নেহেরুর ভূমিকা উল্লেখ করার মতো। 'ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া' গ্রন্থে তিনি চিনে মেডিকেল মিশন পাঠানো সম্পর্কে সুভাষচন্দ্রের আন্তরিকতার অভাব ছিল বলে ইঙ্গিত করে তিনি লিখেছেন যে, জাপান সম্পর্কে প্রতি সুভাষচন্দ্রের দুর্বলতা ও সহানুভূতি থাকায় কংগ্রেসে জাপানের বিরুদ্ধে কার্যকর কিছু প্রস্তাব নেওয়া হোক, এটা তিনি চাইতেন না। কিন্তু কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের জাপানবিরোধী মনোভাবের জন্য সুভাষচন্দ্র নাকি মেডিকেল মিশন পাঠানোতে সম্মতি দিতে বাধ্য হন।
ReplyDeleteঅবশ্য ওই মেডিকেল মিশন পাঠানোর ব্যাপারে সমর্থন সংগ্রহের জন্য বক্তৃতা, চীনকে সাহায্যের জন্য অর্থসংগ্রহের আবেদন করে বিবৃতি, চিন দিবস পালনের আহ্বান ইত্যাদি ব্যাপারে সুভাষচন্দ্রের বিভিন্ন স্বতঃপ্রবৃত্ত উদ্যোগের যে ইতিহাস পাওয়া যায় সেই সব তথ্য থেকে নেহেরুর অভিযোগের অসারতা বুঝতে পারা যায়।
পরবর্তীকালে জাপানের সামরিক সহায়তায় আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করার পরেও সুভাষচন্দ্র অসংকোচে স্বীকার করেছিলেন যে, ১৯৩৮ সালে তিনি জাপানের বিরুদ্ধে চীনের সাহায্যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে, এশিয়ার দেশগুলির প্রতি জাপানের সেসময়কার ভূমিকার পরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে।
A very heart-rending & thought-provoking writing for the young generation.
ReplyDeleteভীষণ ভালো লেখা I অন্তর স্পর্শ করেছে I
ReplyDeleteখুব খুব ভালো লাগলো লেখাটি পড়ে তথ্যসমৃদ্ধ লেখা, এসব চর্চা এখন বিলুপ্তপ্রায়... । ব্যক্তির অতি পরিচিত ছবিটাই সব নয়, তার বাইরেও অনেক পরিচিতি অনালোচিত থেকে যায়, ঢাকা পড়ে যায় । আর কোটনিস , চে কিংবা বেথুন কোনোদিন ভাবেননি তাদের কাজের মূল্যায়ন কে কিভাবে করবে, অন্তরের টানে করে গেছেন। তাঁদের প্রতি আমাদের সে টান, শ্রদ্ধা অন্তত মনে রাখার কথাও যেন মনে করিয়ে দিতে হয়। আর আমাদের ওই এক রোগ... গেঁয়ো যোগীকে ....
ReplyDelete