অনিন্দ্য ভট্টাচার্য
এই কথাটা গত পাঁচ বছরে বার বার বলার চেষ্টা করেছি যে, ডিজিটাল ভুবন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদয়ে গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক-অর্থনীতির পটভূমিতে এক আমুল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। তার প্রতিফলন যে শুধু কর্মজগৎ ও শ্রমের আঙ্গিক পরিবর্তনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তাই নয়, রাজনৈতিক ক্রিয়া-প্রক্রিয়ার মধ্যেও অতীব সুস্পষ্ট। সাবেক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও রাজনীতির টানাপড়েন আজ এক নতুন ভূমিতে পৌঁছতে চাইছে। তার ওপর ব্লকচেইন প্রযুক্তি ও ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্রম-রমরমা আমাদের চারপাশের খোলনলচেটাকেই এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিতে উদ্যত।
লক্ষণীয়, প্রায় সারা বিশ্বে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের জন্ম ও অচিরে তাদের ক্ষমতা লাভ অথবা একটি শক্তিশালী প্রবণতা হিসেবে উত্থান, রাজনীতির সাবেক মডেলটিকে চ্য্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশেষ করে, ২০০৮ সালের সাব-প্রাইম সংকটের পর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর যে নতুন দুনিয়ার আবির্ভাব ঘটল, তা পুরনো দলসমূহ ও তাদের ভাবনাচিন্তাকে সেকেলে সাব্যস্ত করে দিল। ফলে, কোনও কোনও দেশে উগ্র নয়া জাতীয়তাবাদী শক্তির যেমন উত্থান দেখা গেল, আবার কোথাও আরও খোলামেলা ও উদারপন্থী শক্তিরও উদয় হল। যেমন, নয়া বাম শক্তি হিসেবে স্পেনে পোডেমস বা আইসল্যান্ডে পাইরেট পার্টিকে নতুন ভাবে উঠে আসতে দেখা গেল, অনুরূপ, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডে যথাক্রমে এএফডি ও পার্টি ফর ফ্রিডমকে চরমতম রক্ষণশীল দল হিসেবে পাওয়া গেল। আমাদের দেশেও দেখা গেল, গত দশকে একদিকে উগ্র-দক্ষিণ চরমপন্থী দল হিসেবে বিজেপি’র নতুনতর অভিষেক (মোদী-শাহ’র নেতৃত্বে), অন্যদিকে, বেশ কিছু আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে সঙ্গে আপ’এর মতো একটি জাতীয় চরিত্রের নতুন ধরনের রাজনৈতিক শক্তির জন্ম ও দ্রুত বিকাশ।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে নানা ধরনের আঞ্চলিক শক্তি রাজ্যওয়ারি আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলিকে সম্বল করে ও কোনও জনপ্রিয় ব্যক্তি-নেতৃত্বের ছায়ায় সেই সেই রাজ্যে শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রবণতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। যেমন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে, অন্ধ্রপ্রদেশে ওয়াইএসআর, তেলেঙ্গানায় টিআরএস, ঊড়িষ্যায় বিজেডি অথবা দিল্লি ও পঞ্জাবে আপ। এই দলগুলির মধ্যে নানান রকমফের আছে, কিন্তু একটি ব্যাপারে তারা সকলে এক সূত্রে বাঁধা। তা হল, জনপ্রিয় জনপ্রকল্প নির্মাণে এরা প্রত্যকেই বেশ দক্ষ এবং রাজনীতির মূল অক্ষরেখা হিসেবে জনবাদী প্রকল্পের রাজনীতিকেই তারা একপ্রকার মতাদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছে। এই যে এক সুরে এতগুলি দল একটা পথকে সাব্যস্ত করেছে, তাতে রাজনীতি ও অর্থনীতির জগতে একটা প্যারাডাইম শিফট হয়ে চলেছে- রাজনীতির গতিমুখ আজ অনেকাংশে ঘুরে গেছে ‘জনমুখি প্রশাসনি রাজনীতি’র দিকে। অর্থাৎ, কোন দল কতটা গভর্নেন্স বা প্রকৃত জনমুখি সুশাসন প্রদান করতে সক্ষম, সেই মাপকাঠিতেই আজ রাজনীতির ভাল-মন্দের বিচার এসে ঠেকেছে।
কিন্তু কেন এমনটা হল? কেন অতীতের মতাদর্শগত তর্ক-বিতর্কগুলোকে শিকেয় তুলে জনবাদী প্রকল্পগুলিকে ঘিরে রাজনৈতিক কার্যকলাপের বাতায়ন তৈরি হচ্ছে? এই প্রশ্নটিকে বুঝতে হলে পরিবর্তিত রাজনৈতিক-অর্থনীতির গতিপ্রকৃতিকে ঠিকঠাক ভাবে বুঝতে হবে। উল্লেখ্য, শ্রম ও কর্মজগতের সুদূরপ্রসারী পুনর্বিন্যাসের ফলে দুটি লক্ষণীয় পরিবর্তন গত দশ-বারো বছরে ধীরে ধীরে দানা বেঁধেছে:
এক) প্রযুক্তির অভাবনীয় ও গুণগত উত্তরণের ফলে কাজের নির্দিষ্ট রীতি ও স্থায়িত্বের অবসান হয়েছে। অর্থাৎ, আগে কাজের কোনও রীতি ও আঙ্গিক যে দীর্ঘ সময় ধরে বহমান থাকত (যেমন একটা কর্মস্থল বহুদিন ধরে অটুট থাকত), সে জমানা ফুরিয়েছে। আজ যে কাজ আছে, কাল সে কাজ বহুলাংশে নাও থাকতে পারে; অথবা কাজের রীতি-বিন্যাস সম্পূর্ণত বদলে যেতে পারে। ফলে, কর্মীদের স্থায়িত্বও স্বল্প সময়ের হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকায় আজকাল বলা হয় ‘at-will’ employment- কর্মী বা সংস্থা উভয় উভয়কে যখন-তখন পরিত্যাগ করতে পারে। এই সম্পর্কটা উভয় তরফই কার্যত মেনে নিয়েছে।
দুই) কাজের জোগান ও কর্মলাভের সম্ভাবনা আগের থেকে বহু গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও সে সব কাজ অধিকাংশই অস্থায়ী চরিত্রের, তবুও একটি কাজ ছেড়ে আরেকটির প্রাপ্তির সম্ভাবনা এখন আগের থেকে অধিক। কিন্তু সে কাজে মজুরি কতটা যথাযথ অথবা কাজের নির্ঘন্ট কতটা সহনীয়, সে সব প্রশ্ন প্রবলভাবে উপস্থিত। এক কথায়, মানুষের কাজ বেড়েছে কিন্তু সোয়াস্তি কমেছে। মজুরি-দাসত্ব আজ নতুন রূপে অন্য ভাবে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
ফলে, আজকের রাজনৈতিক-অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে কতকগুলি সমস্যা ও জটিলতা নতুন ভাবে হাজির হয়েছে। যেমন, ট্রেড ইউনিয়ন চেতনা আজ অনেকটাই বিলীয়মান। যেখানে কাজই অস্থায়ী, কাজের আঙ্গিক বিকেন্দ্রীকৃত ও এক কর্মস্থলে টিকে থাকার মানসিকতা ক্রমঅপসৃয়মান, সেখানে স্বভাবতই ইউনিয়ন গঠনের বাসনা ও যূথবদ্ধতার প্রয়োজনীয়তাও লুপ্ত হবে। কিন্তু তা বলে আত্মমর্যাদা ও সুস্থায়ী জীবনযাপনের আকাঙ্ক্ষা তো মরে যাবে না! সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে তাহলে কীভাবে পৌঁছনো? কার সঙ্গেই বা জীবনসংগ্রাম ও দর কষাকষি? এই প্রশ্ন ও তার উত্তরই নতুন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও মতাদর্শের জন্ম দিচ্ছে।
মার্কস সাহেব তাঁর ‘পুঁজি’ গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে বলেছিলেন, পুঁজিবাদ শুধুমাত্র পণ্য ও উদ্বৃত্ত মূল্য উৎপাদন করে না, পুঁজিবাদী সম্পর্ককেও পুনরুৎপাদন করে- একদিকে পুঁজিপতি ও অন্যদিকে মজুরি-শ্রম। এই ভয়ানক সত্যকে যদি আত্মস্থ করা যায়, তাহলে এমনটা ভাবতে আর কোনও অসুবিধা থাকে না যে, পুঁজিবাদ নিজের চাকাকে নিজেই গড়িয়ে নিয়ে চলে। আর তা এই অর্থে যে, এই ব্যবস্থায় সকলেই স্বপ্ন দেখতে পারে পুঁজিপতি হয়ে ওঠার (ছোট-বড় যে মাপেরই হোক না কেন)! উনিশ ও বিশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত পুঁজিবাদ যতদিন ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের আধারে চলেছে, ততদিন পর্যন্ত একই কারখানার ছাদের তলায় হাজার হাজার শ্রমিকের যূথবদ্ধ কাজের মধ্য দিয়ে এমন একটা স্থায়ীকৃত বন্দোবস্ত ছিল যে পুঁজি ও শ্রম, আরও নির্দিষ্ট করে বললে, পুঁজিপতি ও শ্রমিক প্রায় সম্মুখ সমরে যুদ্ধংদেহী মনোভাবে দণ্ডায়মান ছিল। শ্রমিক ছাঁটাই, মজুরি ছাঁটাই, লক-আউট, লে-অফ ইত্যাদির বিরুদ্ধে তখন শ্রমিকের হাতিয়ার ছিল দর কষাকষি, মিছিল, মিটিং, ধর্মঘট। রাতারাতি কারখানা বন্ধ করে পুঁজি নিয়ে চম্পট দেওয়ার বিধিব্যবস্থা বা নমনীয়তা কোনওটাই তখন পুঁজির হাতে ছিল না। তাই, কর্মস্থলের বিরোধ ও সংঘাতও দীর্ঘস্থায়ী ছিল। সেই ব্যবস্থাপনার মধ্যেই আপস-মীমাংসা অথবা আপস নয়- দুই পথেই দু’ পক্ষকে অবস্থা-বিশেষে চলতে হয়েছে। ফলে, রাজনীতির অ্যাজেন্ডা ও আঙ্গিকও ছিল সেই অনুসারী।
এই অবস্থাটার বদল আসতে শুরু করে আধুনিক প্রযুক্তির আবাহনে পুঁজির গতায়াত যখন অত্যন্ত সহজ ও মসৃণ হয়ে উঠল এবং ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প ছাড়িয়ে পরিষেবা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে মুনাফার হারকে উর্ধ্বগামী করা গেল। শনৈই শনৈই তা তথ্য প্রযুক্তি, ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন, ক্রিপ্টোকারেন্সি ইত্যাদির গুনফলে আজ এক দৈত্যাকার ডিজিটাল ভুবনের রূপ পেয়েছে যেখানে পুরনো আঙ্গিকের পুঁজি-শ্রমের দ্বন্দ্ব এমন এক অবয়বে এসে দাঁড়িয়েছে যে তাকে যথাযথ ভাবে উপলব্ধি না করতে পারলে রাজনীতির ময়দান থেকে স্রেফ ছিটকে যেতে হবে। এই ভিত্তিভূমিই আজ নতুন রাজনীতির উৎস। যে কারণে, গত দু-তিন বছরে, বিশেষত কোভিড অতিমারির পর, ইউরোপ জুড়ে ‘নয়া বামপন্থী’দের জনপ্রিয় উদয়। যেমন, নরওয়ে’তে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ‘নয়া বামেরা’ এক নতুনতর পথ ধরেছে।
এই পথটা কেমন? গড়পড়তায় ধরলে, তা সামাজিক সুরক্ষা মিশ্রিত জনবাদী জনপ্রকল্প গ্রহণের পথ। কেন এই পথ? অস্থায়ী কর্মজগৎ, প্রগাঢ় অনিশ্চিয়তায় ভরপুর আজকের পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় এমনতর জনবাদী প্রকল্প ব্যতিরেকে দুর্বল মানুষ তো স্রেফ ভয়, আতঙ্ক ও গ্লানিতেই মরে যাবে! সে মৃত্যু দারিদ্র্য, অভুক্তাবস্থা বা অপুষ্টি জনিত হতে পারে অথবা আত্মহনন কিংবা প্রতিহংসামূলক হত্যাতেও ঘটতে পারে। জনপ্রকল্পগুলি চালু থাকলে যে এইসব আশঙ্কা থাকবে না তা নয়, কিন্তু চূড়ান্ত অসময় ও ধ্বস্ত পরিস্থিতিতে তা কিছুটা হয়তো ঠেকা দিতে সক্ষম! বর্তমানে ভয়াবহ মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ও অসম্মানজনক মজুরিতে কাজ করেও যে রাস্তায় পড়ে পড়ে এখনও লোকে মরছে না, তার কারণ গুচ্ছ গুচ্ছ নানাবিধ জনপ্রকল্প কমবেশি বহমান আছে। তাতে অন্তত ঘরে বসেও দু’ মুঠো কোনওক্রমে জুটে যাচ্ছে। আর ডিজিটাল ভুবনের সূত্রে কাজেরও এত রকমারি ও অফুরন্ত জোগান হয়েছে যে, কোনও না কোনও সময়ে কিছু না হোক কাজও জুটে যাচ্ছে। এইরকম যাদুময় কর্মজগৎ ও প্রযুক্তির দুরন্ত কর্মক্ষমতা আগে কখনও ছিল না। এই দ্বন্দ্বমুখর অভিনব রাজনৈতিক-অর্থনীতির দুনিয়াই আজ জনবাদী প্রকল্পের রাজনীতির এক নতুন ধারার উন্মেষ ঘটিয়েছে যা গত কয়েক বছরে মাথাচাড়া দেওয়া সম্প্রদায়গত ও জাতিগত বিদ্বেষের চরমপন্থী আদিম রাজনীতিকে পিছু ঠেলছে।
তাই বলা যায়, রাজনীতির এখন দুটি মূল ধারা বহমান। এক, চরম দক্ষিণপন্থী বিভাজনের রাজনীতি যা প্রতিহিংসা উসকে সমাজের এক অংশের মানুষের সঙ্গে আরেক অংশের মানুষের হানাহানি লাগিয়ে দিতে পটু; দুই, মানুষের দারিদ্র্য ও বিপন্নতা মোকাবিলায় জনবাদী জনপ্রকল্পের রাজনীতি যা আজকের চরম অনিশ্চয়তা, দারিদ্র্য ও দুর্ভোগের মধ্যে কিছুটা হলেও সুরাহা দিতে উপযোগী। গত দশকে প্রথম কিসিমের রাজনীতির বেশ রমরমা হয়েছিল। বহু মানুষ ভেবেছিলেন, জনতার অপর এক অংশকে শায়েস্তা করেই মন ও শরীরের জ্বালা জুড়োবে। তা তো হয় না। উপরন্তু, নিজেদেরও মরতে হয়। অতএব, দ্বিতীয় পথকেই বহুজনের নিরাপদ ও আপাত স্বস্তির মনে হচ্ছে। অতএব, আমাদের দেশেও আগামী কয়েক বছরে দ্বিতীয় পথের জনবাদী রাজনীতিই প্রধান ধারা হিসেবে বিরাজমান থাকবে।
লেখাটি বহুবার উত্থাপিত হলেও বার বার বলার প্রয়োছনীয়তা আছে।
ReplyDeleteকিন্তু আমার চোখে দুটো বিষয় মোটা দাগে অনুপস্থিত।
১) আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ধারণা, যা প্রযুক্তি নির্ভর যেমন তেমনি মানব সম্পদ বিকাশশের বিবিধ ধারা গুলোকে সূত্রায়িত করতে না পারা।
দ্বিতীয়ত সমাজতন্ত্র প্রশ্নে বামপন্থার ক্রম পশ্চাদপদ যাত্রা বিষয়ে উহ্য এই লেখা।
মার্কসের সময় ছিল পুঁজির অবাধ প্রতিযোগিতার যুগ ও শিল্প পুঁজির যুগ, লেনিনের সময় ছিল একচেটিয়া হযতে ফিনান্স পুঁজিতে যাওয়ার যুগ। যে ফিনান্স পুঁজি হচ্ছে, শিল্প পুঁজি ও ব্যঙ্কিং পুঁজির মেলবন্ধনে গঠিত এক উপরিকাঠামো। আর আজকের ফিনান্স পুঁজি হচ্ছে ব্যঙ্ক পুঁজির মিলনের এক আন্কাতঠাম
ReplyDeleteআন্তর্জাতিক কাঠামো। যার অধীনে শিল্প পুঁজিকে বিশ্বব্যাপী ঠুকরো করা হয়েছে। কমিউনিস্ট আন্দোলন 1943 তেই আন্তর্জাতিকতা ভেঙে দিয়েছে,1944 এ ফিনান্স পুঁজি imf wb gatt এর ভিতর দিয়ে আন্তর্জাতিক কাঠামো গঠন করে নেয়। ফলে কমিউনিস্টরা শিল্প পুঁজি ও জাতীয়তাবাদী পথেই অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। আজ সেই কাঠামো
ReplyDeleteভেঙে দিয়েছে বলে আর কোন পথ খুঁজে পাচ্ছে না কমিউনিস্টরা। আসলে আজকের যে political economy তাকে সামনে এনে সমালোচনা করতে হবে সেটাই অনুপস্থিত। ফলে অন্ধকারে হাত পা ছোঁড়া ছাড়া কিছু হবে না।
আজকের ফিনান্স পুঁজি হচ্ছে বাজার ও ব্যাংকের মিলনে গঠিত যার অধীনে শিল্পকে টুকরো করা হচ্ছে।
ReplyDelete