প্রতিবেশ, শ্রমজীবী হাসপাতাল ও এই সময়
কৃশানু মিত্র
প্রথম যখন করোনা আসে তখন আমার বাবা হাসপাতালে। একই সঙ্গে আমার বন্ধুর কন্যাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাবার অসুখের নাম হিমাচুরিয়া। বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালে বাবাকে ভর্তি করতে পেরেছিলাম। বন্ধুর কন্যাকে রেলের হাসপাতালে ভর্তি করতে হিমশিম খেতে হয়েছিল। কারণ, ওর গায়ে জ্বর ছিল। সাটল ককের মতো একবার লিলুয়া হাসপাতাল একবার বিআরসিং, আবার লিলুয়া, অবশেষে পুনর্বার বিআরসিং হাসপাতালে ভর্তি করা গিয়েছিল। ডাক্তারবাবুরা ওকে ফেলে রেখে দিয়েছিলেন, কোনও চিকিৎসা না করে। ম্যানেনজাইটিসের চিকিৎসা না পেয়ে শেষমেশ ২২ বছর বয়সী মেয়েটি মারা গেল। ঘটনাচক্রে ১ এপ্রিল ২০২০ আমার বাবাও একই দিনে মারা গেলেন।
মুখোশের আড়ালে ভয়ের আবহ নিয়ে করোনা আমাদের কাছে হাজির হল। ইতোমধ্যে বেলুড় শ্রমজীবী ও শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালকে রাজ্য সরকার করোনা চিকিৎসার জন্য মনোনীত করেছে। প্রাথমিক জড়তা কাটিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তাররা ঝাঁপিয়ে পড়লেন করোনা চিকিৎসার পরিষেবায়। মাস ছয়েক চিকিৎসার পর আমি 'মন্থন সাময়িকী'র হয়ে ডাক্তারবাবু, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সংগঠকদের একটা ইন্টারভিউ নিই। সেই সময় বাড়ির মানুষজনদের বাধা পেরিয়ে হাসপাতালের কাজে যোগ দিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের খুবই বেগ পেতে হচ্ছিল। শ্রমজীবী বিদ্যালয়ে পড়া একটি ছেলে ফকির মাঝি- সে এখন একজন স্বাস্থ্যকর্মী; বাঁকুড়ায় থাকে সিমলাপাল গ্রামে। প্রথম ঢেউয়ের সাথে সাথে যখন সবাই পালাতে ব্যস্ত তখন ওর মা ওকে বলেছিলেন, 'দুঃসময়ে হাসপাতালকে ছেড়ে চলে আসবে না। এই হাসপাতাল তোমায় ছোটবেলা থেকে লেখাপড়া শিখিয়েছে, দেখভাল করেছে।' ধীরে ধীরে মানসিকতা পাল্টাতে থাকে। ডাক্তারবাবুদের প্রত্যক্ষ মদতে স্বাস্থ্যকর্মীরা ধীরে ধীরে মানসিক জোর ফিরে পান।
সেবিকা মৌসুমী দাসের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তার কথায় বুঝতে পারি, অসুস্থ রোগী যখন কম স্যাচুরেশন নিয়ে হাজির হয়, তখন প্রোটোকল মানতে গেলে বিপত্তি; রোগীকে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দেওয়া যায় না। এমনও হয়েছে বহুবার- রোগীর মুখমণ্ডল থেকে শ্বাসবায়ু, বমি আমাদের উন্মুক্ত মাস্কহীন মুখমণ্ডল ছুঁয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, 'তোরা কি ভ্যাকসিন নিয়েছিস?' বেশিরভাগের মুখ থেকেই 'না' উত্তরটি এসেছিল।
আমাদের যে সমস্ত ডাক্তারবাবু কোভিডের চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ডাঃ কুণাল দত্ত অত্যন্ত নিবিড় ভাবে প্রোটোকল মানা লোক। করোনা শুরুর প্রাক্কালে তিনি জানিয়েছিলেন, আমার এখন একমাত্র কাজ এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করা। তারুণ্যে বলিয়ান ৭০ ঊর্ধ্ব এই বৃদ্ধ ওনার বরাবরের রোগীদের বলেছিলেন, 'আপনারা আমাকে টেলিফোনে যোগাযোগ করে আপনাদের অন্য অসুখের দাওয়াই জেনে নেবেন। এখন আমি কেবলই মহামারির সঙ্গে লড়াই করব।' দ্বিতীয়জন যার সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম তিনি ডাঃ অনিল সাহা; যাকে অচেনা কেউ বাইরে থেকে মনে করবেন একজন দুর্বল চরিত্রের মানুষ। তিনি অতশত প্রোটোকলের ধার ধারেননি। নিরলস ছ' ঘণ্টা স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে প্রতিদিন ওয়ার্ডে থাকতেন। তিনি আজও ভ্যাকসিনের ধারকাছ দিয়ে যাননি। সরকার মনোনীত চিকিৎসা ব্যবস্থায় সামিল হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাক্সিনেটেড হয়। বছরখানেক এই পরিষেবার মধ্যে জড়িত থেকে আমাদের মধ্যে জনা ৪০/৫০ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা হওয়ায় কোনওরকম দুর্ঘটনা ঘটেনি।
অনলাইন পড়াশোনার মতো অনলাইন রোগী দেখার যে সংস্কৃতি পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হল, তার থেকে বহু দূর হেঁটে শ্রমজীবী বেলুড় হাসপাতাল এই সময় অন্য রোগীদের পরিষেবা চালিয়ে গেল। সারা পৃথিবী যখন বারণ করছে তখন ডাঃ অদিত দে বলছেন, 'হ্যাঁ, আমি একজন ইডিয়ট, আমি এই সময়ে অপারেশন করব।' ডাঃ অনিল সাহা আমাকে বলতেন, 'করোনার মধ্যে থাকলেই করোনার কাছ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। বাঁচার আর কোনও উপায় নাই।' এর মানে আমি করেছিলাম- রাস্তাঘাটে বেরিয়ে চলাচল করতে হবে, লকডাউনের বাঁধনে পড়ে থাকলে বাঁচা যাবে না।
আরেক ডাক্তার গৌতম দাসকে পেলাম আমার মাসিমার চিকিৎসার প্রয়োজনে। তখন দ্বিতীয় ঢেউ সবেমাত্র এসেছে, মাসিমা ভর্তি নিউ আলিপুরের এক নার্সিংহোমে যেখানে গৌতম দাস চিকিৎসারত। বেআব্রু এই চিকিৎসককে দেখে আমার বোন অবাক হয়ে গিয়েছিল। উপসর্গ সহ অনিল সাহাকে এই রোগ না ধরলেও গৌতম দাসের কিন্তু করোনা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে উনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।
আমফান-যশের ধাক্কায় যখন সুন্দরবন বেহাল, আমাদের বহুবার সুন্দরবন যেতে হয়েছিল। প্রথম যেদিন রাজারহাট পেরিয়ে ভোজেরহাটে বাসন্তী হাইওয়েতে পড়ি, বেআব্রু বাজার-হাট, রাস্তাঘাট দেখে মনে হয়েছিল- করোনা রোগের কোনও অস্তিত্ব এখানে নেই। আবার বালি দ্বীপে দেখেছি, গ্রামের এক প্রান্তিক জায়গায় গ্রামের উপপ্রধান পরিযায়ী শ্রমিকদের সুন্দর ব্যবস্থাপনায় রেখেছেন। নদী টপকাতে টপকাতে আমরা ছোট মোল্লাখালির পথে। জঙ্গলের সীমান্তে হঠাৎ আমাদের রাস্তা আটকে দাঁড়িয়েছে ঝোঁপঝাড়ের ব্যারিকেড। বুঝতে না পেরে এদিক-ওদিক চেয়ে দেখি, একটি ছোট্ট কুঁড়ে ঘরের সামনে বাঁশের বেঞ্চে বসে আছেন কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। তাঁদের রক্তচক্ষু আমাদের দিকে তাকিয়ে বলে, 'এটা পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকার জায়গা, আপনারা এসেছেন কেন?' সত্যিই এই অঞ্চল জনমানবহীন, খাঁ খাঁ করছিল। এর থেকে বোঝা যায়, পরিযায়ী শ্রমিকরা যে করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর, এই আবহ তৈরি করতে পেরেছিল গণমাধ্যমগুলো। কুলতলি, পাথরপ্রতিমা প্রভৃতি সব অঞ্চলগুলোয় একইরকম দেখা গেছে। যশের সময় গ্রামকে গ্রাম মানুষ জ্বরজ্বালায় আক্রান্ত। চিকিৎসার অভাবে মারাও গেছেন কেউ কেউ।
আমার মনে হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে যে সব স্বাস্থ্যকর্মীরা মারা গেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই রোগটাকে অমর্যাদা করেছেন। তথাকথিত বিপ্লবীদের অপপ্রচার এখানে সত্যি সত্যিই খুব খারাপ পরিণতি নিয়ে এসেছিল। ডাঃ কুণাল দত্ত 'দুর্বার' সংস্থার প্রধানকে বলেছিলেন, 'যদি অক্সিজেন সাপোর্ট তুমি না নাও তাহলে আমাদের চিকিৎসায় তোমায় রাখব না।' আমার নিজের জামাইবাবুকে গ্রামে ফিরে গিয়েও বেঘোরে প্রাণ হারাতে হল চিকিৎসার অভাবে। প্রথম পাঁচ দিন উনি বুঝতেই পারেননি শারীরিক কষ্ট। রুবি হাসপাতালে আনার পর আরএমও দেখেই বললেন, 'উনি বাঁচবেন না।' অথচ তখনও উনি বহিরাবরণে রীতিমত ভালো।
পাড়া-প্রতিবেশী ও বেশ কিছু কম বয়স্ক মানুষকে চলে যেতে দেখলাম রোগটাকে অবহেলা করে। এদের প্রায় বেশির ভাগই হাসপাতালে ভর্তির দুদিনের মধ্যে মারা গেছেন। বেশির ভাগ বয়স্ক মানুষ যারা ঘরে নির্বাসিত ছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই রোগ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল। বাইরে থেকে কেউ ঘরে বয়ে এনেছেন সে রোগ, বহমানতার সাক্ষী হিসেবে বয়োজ্যেষ্ঠ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে মাস্ক, সাবান ও টিকাকরণ এল। তথাকথিত বিপ্লবীরা বললেন, মাস্ক'এর ভেতর দিয়ে ন্যানো পার্টিকেল আটকানো যাবে না। তথাকথিত প্রতিবিপ্লবীরা এর সঠিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে পারলেন না। এক পদার্থবিদের কাছে খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম, ছেঁদার ডাইমেনশনের উপর এটা অংশত নির্ভর করে, বাকিটা নির্ভর করে স্ট্যাটিক ইলেকট্রিসিটির উপরে। তরল সর্দি বা বায়ু বাহিত ভাইরাস স্ট্যাটিক ইলেকট্রিসিটির কারণে আকর্ষিত হয়ে অংশত মাস্কে আটকে যাবে। অর্থাৎ, কিছুটা শরীরে যাবে। এই কিছুটা, ইনফেকশন রেটের চেয়ে কম হলে তা অটো-ইমিউনিটি দেবে শরীরকে (ইনফেকশন রেট হল মিনিটে বা সেকেন্ডে যত ভাইরাস গেলে শরীর আক্রান্ত হতে পারে তার পরিমাণ)। অন্য অর্থে, মাস্ক এক ধরনের ভ্যাকসিনেশন। যেমন, কোনও ভাড়াটিয়া চায় না তার বাড়িওয়ালাকে মেরে ফেলতে। সে মনে মনে বাড়িটা দখল করে সারা জীবন থেকে যাওয়ার আশা পোষণ করে। বিজ্ঞানের চলমানতা যতটুকু বুঝি, ভাইরাস সেইরকমই ভাড়াটিয়া, শরীর থেকে যেতে চায় না। অর্থাৎ, নিজের মারণ ক্ষমতা কমিয়ে নিজেকে দুর্বল করে সে শরীরে থেকে যেতে চাইবে। যেমন, ওমিক্রন। তাই প্রাথমিক ভাবে বুঝে নেবার জন্য লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও নিরন্তর লকডাউনের কোনও মানে হয় বলে সাধারণ বুদ্ধিতে আমার মনে হয় না।
একটা উদাহরণ দিই। অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড মাটির তলায় পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য গবেষণা চলছে। এর জন্য বহু অর্থ খরচ করছে উন্নত দেশের বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। পরিবেশবিদরা চান, কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপাদন কমিয়ে ফেলা হোক। তাহলে এখন উপায় কী? কমিয়ে দাও বললেই তো কমিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, যেখানে রাষ্ট্রশক্তিগুলো পুঁজিবাদের দখলে। অতএব, গবেষণা চলছে, যদি কার্বন ডাইঅক্সাইড ম্যানেজমেন্টে আপাতত একটা ব্যবস্থা আনা যায় যা ওজোন স্তরের ফাটল রোধ করতে পারে। সেই ব্যবস্থা বা আয়োজন চলুক। একই সঙ্গে চলুক প্রতিবাদী আন্দোলন যাতে কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া যায় ভবিষ্যতে। অনেকটা করোনার ভ্যাক্সিনেশনকে প্রাথমিক কাজে লাগানোর মতো। কিন্তু পুঁজিবাদ লাগামছাড়া, নিরন্তর বুস্টার ডোজ নির্মাণ করে চলেছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় তাদের দালালরা বসে আছে। ওমিক্রন ঠেকাতে বুস্টার আসলে মশা মারতে কামান দাগা, যদি না ফের বিজ্ঞানের উল্টো দিকে হেঁটে করোনা ভাইরাস নিজের চরিত্র পরিবর্তন করে।
লেখকের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে অনেককিছু জানা গেল। মহামারী/অতিমারীর একমাত্র ও চূড়ান্ত উপায় প্রাকৃতিক পন্হায় সামুদায়িক প্রতিরোধী ব্যবস্হার উত্থান, বোধহয় এমনটা উনিও বলতে চেয়েছেন। কিন্তু লেখাটিতে বিষয়টি সেভাবে স্পষ্টতা ফুটে ওঠেনি। মাস্ক, টীকাকরণ ও আনুসাঙ্গিক কোভিড বিধি অনুসরনের কথাও বলেছেন এবং একইসাথে এইসবকে বর্জন করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য্যকর্মীরা অবলীলায় পরিষেবা দিয়ে গেছেন কোনো বিঘটনের মুখোমুখী না হয়েও, এমনটাও উনি উল্লেখ করেছেন। ফলে শেষ বিচারে লেখাটির মূল প্রতিপাদ্য সম্পর্কে একটা অস্পষ্টতা থেকেই যাচ্ছে!
ReplyDeleteআসলে ডাক্তার অনিল সাহার নিজে সাহসী হয়ে অন্যদের লড়াইয়ে টেনে এনেছিলেন। ওঁর করোনা হয়নি কিন্তু ডাক্তার গৌতম দাসের হয়েছে তাহলে কী প্রমান হয়? প্রমান হয় প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিতে হবে। অনিল সাহা যদি সাহসী না হতেন তাহলে করোনা চিকিৎসায় শ্রমজীবী অগ্রগন্য ভুমিকা নিতে পারত না। মাস্ক কিভাবে ইমিউনিটি তৈরী করে তার পরিস্কার ব্যখ্যা দেওয়া আছে। দু'দল ডাক্তারের বিরুদ্ধ অবস্থানই লেখার বিষয়বস্তু। এতে সাধারন মানুষ বিভ্রান্ত হয়।
Deleteকি বলতে চেয়েছেন বুঝলাম না।
ReplyDeleteড.অদিত দে কি নরেন্দ্রপুরের'78 মাধ্যমিক ব্যাচ ?
ReplyDeleteঠিক ধরেছেন।
Deleteলেখাটি পড়লাম । লেখকের অনেক অভিজ্ঞতার প্রতিফলন রয়েছে এ লেখায় । এটুকুই পাওনা । এর বেশি কিছু নয় । লেখাটি এরকম যেন এই পক্ষকে 2 দিলাম তো অন্য পক্ষকে 1 + 1 দিলাম, আবার অন্যপক্ষে 3 দিলাম তো তার প্রতিপক্ষকে 2 প্লাস 1 দিলাম-- এইরকম । আমার এরকমই মনে হয়েছে । ☹️
ReplyDeleteআদতে আমি চেয়েছিলাম 3 -3 সমান শুন্য এই অংক বুঝে সাধারণ মানুষ খেটে যাতে ঘ না হয়ে যান। তিন যোগ দুই সমান পাঁচ অথবা দুই যোগ দুই সমান চার এই বোধে উন্নীত হয়ে সাধারণ মানুষ যেন জ্ঞান অর্জন করেন।
ReplyDelete