শ্রমিক ও নাগরিকদের যৌথ উদ্যোগে বৃহত্তর লড়াই গড়ে তোলার আহ্বান
সঞ্জয় পাঠক
বেঙ্গল ল্যাম্প ১৯৮৯-এ বন্ধ হওয়ার পর যাদবপুর কফি হাউসের পাশে কান্তিদার চায়ের দোকানের পত্তন। আমৃত্যু তিনি বকেয়া বেতন, পিএফ কিছুই পাননি। বেণী ইন্জিনিয়ারিং-র মানু এলাকার বামপন্থী আন্দোলনের কর্মী। কারখানা বন্ধের পর তেমন কোন কাজ জোটেনি। মেয়ের অ্যানিমিয়া, পয়সার অভাবে লেখাপড়া বন্ধ। এরকম হাজার হাজার মর্মান্তিক চিত্র এই বঙ্গে ছড়িয়ে আছে সর্বত্র। হাইড রোড, গার্ডেনরীচ, তারাতলা রোডের মেটাল বক্স, পোদ্দার প্রজেক্টস, বেঙ্গল ইনগট, কার্ড বোর্ড, দেবিকে, আরকো, সিদ্ধার্থ অ্যাপারেলস্, কেশোরাম কটন। হাওড়া-উলুবেড়িয়ায় বাউড়িয়া কটন, ফুলেশ্বর কটন, গেস্টকিন উইলিয়াম। ব্যারাকপুর বঙ্গদয় কটন মিল, ডানলপ সহ বিটি রোডের দু'পাশের বন্ধ কারখানার কবর। প:বঙ্গে বন্ধ কারখানা ২৫,০৮০, রুগ্ন শিল্প ৫০,৫৯৭টি। সরকারি খাতায় ভাতাপ্রাপ্ত শ্রমিক সংখ্যা কমছে প্রতি বছর, সংস্থা কমছে, অথচ বন্ধ কারখানা খুলছেনা। গত কয়েক মাসে ২০-২২টি জুটমিল বন্ধ হয়ে আছে। বন্ধ হয়েছে হিন্দমোটরের মতো ঐতিহ্যশালী কারখানা। শ্রমিকদের দুর্দশার সুযোগ নিয়ে কারখানায় কারখানায় চলছে চরম নৈরাজ্য। চলো পাল্টাই বলে নির্বাচন হয়েছে, শাসক বদলেছে, শ্রমিকদের জীবনের বদল ঘটেনি। শ্রমিকদেরকে বাঁচাবার যে ন্যূনতম আইন আছে, রাজ্য সরকার কার্যত তাকে লাগু করছে না। আজ বন্ধ কারখানা খোলার আন্দোলন শুধু সেই কারখানার শ্রমিকদের ও তাঁর পরিবারের আন্দোলন নয়। এর সাথে জড়িয়ে আছে গোটা সমাজের ভালো মন্দ, বেঁচে থাকার অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক পরম্পরা।
বিগত বামফ্রন্ট সরকার ও আজকের সরকারকে বহুবার শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা খোলা সহ বিভিন্ন দাবি পেশ করেছেন। অথচ সরকার ন্যূনতম দাবি পূরণে সচেষ্ট নয়। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যবাসীকে সমস্যা জানাতে এবং তাঁদের সমর্থন পেতে ৮ সেপ্টেম্বর কলকাতায় নাগরিক কনভেনশন সংগঠিত হল। দুটি দাবি তোলা হয়েছেঃ ১) বন্ধ কারখানা শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রশ্নে সরকার সুনির্দিষ্টভাবে নীতি ঘোষণা করুক ২) বন্ধ কারখানা খোলা এবং বন্ধ কারখানার জমি প্রসঙ্গে সরকার সুস্পষ্ট নীতি প্রণয়ন করুক।
আগামী নভেম্বর মাসে বৃহত্তর সমাজের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আরও জোরালো লড়াইয়ের কর্মসূচি গ্রহণ করবেন শ্রমিক সহ সমাজের নাগরিকরা। কনভেনশনে বক্তব্য রেখেছেন অর্থনীতিবিদ অঞ্জন চক্রবর্তী, আইনজীবী মুখার্জী, আশিষ কুসুম ঘোষ, অধ্যাপক শুভনীল চৌধুরী, বিজ্ঞানী তুষার চক্রবর্তী, মিরাতুন নাহার, অলিক চক্রবর্তী, আভাষ মুন্সী, তপতী চ্যাটার্জী, নব দত্ত , কুশল দেবনাথ এবং সংগ্রামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিপুল চক্রবর্তী।
সঞ্জয় পাঠক
বেঙ্গল ল্যাম্প ১৯৮৯-এ বন্ধ হওয়ার পর যাদবপুর কফি হাউসের পাশে কান্তিদার চায়ের দোকানের পত্তন। আমৃত্যু তিনি বকেয়া বেতন, পিএফ কিছুই পাননি। বেণী ইন্জিনিয়ারিং-র মানু এলাকার বামপন্থী আন্দোলনের কর্মী। কারখানা বন্ধের পর তেমন কোন কাজ জোটেনি। মেয়ের অ্যানিমিয়া, পয়সার অভাবে লেখাপড়া বন্ধ। এরকম হাজার হাজার মর্মান্তিক চিত্র এই বঙ্গে ছড়িয়ে আছে সর্বত্র। হাইড রোড, গার্ডেনরীচ, তারাতলা রোডের মেটাল বক্স, পোদ্দার প্রজেক্টস, বেঙ্গল ইনগট, কার্ড বোর্ড, দেবিকে, আরকো, সিদ্ধার্থ অ্যাপারেলস্, কেশোরাম কটন। হাওড়া-উলুবেড়িয়ায় বাউড়িয়া কটন, ফুলেশ্বর কটন, গেস্টকিন উইলিয়াম। ব্যারাকপুর বঙ্গদয় কটন মিল, ডানলপ সহ বিটি রোডের দু'পাশের বন্ধ কারখানার কবর। প:বঙ্গে বন্ধ কারখানা ২৫,০৮০, রুগ্ন শিল্প ৫০,৫৯৭টি। সরকারি খাতায় ভাতাপ্রাপ্ত শ্রমিক সংখ্যা কমছে প্রতি বছর, সংস্থা কমছে, অথচ বন্ধ কারখানা খুলছেনা। গত কয়েক মাসে ২০-২২টি জুটমিল বন্ধ হয়ে আছে। বন্ধ হয়েছে হিন্দমোটরের মতো ঐতিহ্যশালী কারখানা। শ্রমিকদের দুর্দশার সুযোগ নিয়ে কারখানায় কারখানায় চলছে চরম নৈরাজ্য। চলো পাল্টাই বলে নির্বাচন হয়েছে, শাসক বদলেছে, শ্রমিকদের জীবনের বদল ঘটেনি। শ্রমিকদেরকে বাঁচাবার যে ন্যূনতম আইন আছে, রাজ্য সরকার কার্যত তাকে লাগু করছে না। আজ বন্ধ কারখানা খোলার আন্দোলন শুধু সেই কারখানার শ্রমিকদের ও তাঁর পরিবারের আন্দোলন নয়। এর সাথে জড়িয়ে আছে গোটা সমাজের ভালো মন্দ, বেঁচে থাকার অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক পরম্পরা।
বিগত বামফ্রন্ট সরকার ও আজকের সরকারকে বহুবার শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা খোলা সহ বিভিন্ন দাবি পেশ করেছেন। অথচ সরকার ন্যূনতম দাবি পূরণে সচেষ্ট নয়। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যবাসীকে সমস্যা জানাতে এবং তাঁদের সমর্থন পেতে ৮ সেপ্টেম্বর কলকাতায় নাগরিক কনভেনশন সংগঠিত হল। দুটি দাবি তোলা হয়েছেঃ ১) বন্ধ কারখানা শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রশ্নে সরকার সুনির্দিষ্টভাবে নীতি ঘোষণা করুক ২) বন্ধ কারখানা খোলা এবং বন্ধ কারখানার জমি প্রসঙ্গে সরকার সুস্পষ্ট নীতি প্রণয়ন করুক।
আগামী নভেম্বর মাসে বৃহত্তর সমাজের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আরও জোরালো লড়াইয়ের কর্মসূচি গ্রহণ করবেন শ্রমিক সহ সমাজের নাগরিকরা। কনভেনশনে বক্তব্য রেখেছেন অর্থনীতিবিদ অঞ্জন চক্রবর্তী, আইনজীবী মুখার্জী, আশিষ কুসুম ঘোষ, অধ্যাপক শুভনীল চৌধুরী, বিজ্ঞানী তুষার চক্রবর্তী, মিরাতুন নাহার, অলিক চক্রবর্তী, আভাষ মুন্সী, তপতী চ্যাটার্জী, নব দত্ত , কুশল দেবনাথ এবং সংগ্রামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিপুল চক্রবর্তী।
No comments:
Post a Comment