Friday, 27 February 2015

আমরা সকলে অভিজিৎ রায়

বাংলাদেশের বিজ্ঞান সৈনিক অভিজিৎ রায়ের ঘাতকদের শাস্তি চাই
অর্ণব ঘোষ



মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিতের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় হামলায় আহত হয়েছেন তার স্ত্রী ব্লগার রাফিদা আহমেদ বন্যাও। লেখালেখি নিয়ে অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল জঙ্গিবাদীরা। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রকৌশলী অভিজিৎ বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে নিয়মিত লিখতেন। এবার একুশের বইমেলায় দুটি বই প্রকাশ পেয়েছে অভিজিতের, সে কারণেই গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অজয় রায়ের এই ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় হামলার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় দুজনকে। তারা বইমেলা থেকে বেরিয়েছিলেন। মাথায় গুরুতর জখম নিয়ে সঙ্কটাপন্ন অভিজিৎকে সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন। হাসপাতালে উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলীও বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে অভিজিৎ মারা গেছেন।” রাফিদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
অভিজিতের ওপর কারা হামলা চালিয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি কোনো সূত্রে। তবে ঘটনাস্থলে দুটি চাপাতি পাওয়া গেছে। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে একইভাবে চাপাতি দিয়ে লেখক হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলা হয়েছিল। ওই হামলায় জঙ্গিরা জড়িত ছিল বলে পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকেও রাজধানীর মিরপুরে তার বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ওই হত্যাকাণ্ডেও জঙ্গিবাদীদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাত সাড়ে ৯টায় টিএসটি মোড়ে কয়েকজন যুবক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অভিজিৎ ও রাফিদাকে কুপিয়ে আহত করে।
শাহবাগ থানার এসআই সোহেল রানা বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানার চেষ্টা করছে, বিষয়টি কেন ঘটেছে।”
ড. অভিজিৎ রায়ের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'অবিশ্বাসের দর্শন', ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’, ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে’, ‘ভালবাসা কারে কয়’, স্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তি, সমকামিতা : বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান।

Wednesday, 25 February 2015

বাজেট ম্যানিয়া

হওয়া না হওয়া বিষয়ে দুটি-একটি কথা
অনিন্দ্য ভট্টাচার্য


আবার বাজেট। প্রতি বছরের মতো। আর এই বাজেটকে কেন্দ্র করে মিডিয়া ও রাজনৈতিক মহলে সেই তুমুল হৈ-হট্টগোল। সাধারণ মানুষও জুটে যান এইসব আলোচনা তর্কবিতর্কে। অথচ এ যে ভূতের কেত্তন তা যারা বুঝতে পারেন, তাঁরা বেঁচে যান বাড়তি সময়-খরচ থেকে। তবুও দুটো কৌতূহল থাকে সকলেরই মনে-প্রান্তরে, বিশেষত মধ্যবিত্ত সমাজের – এক, আয়কর কতটা বাঁচানো যাবে আর তার জন্য এবারের বাজেটে কী কী দাওয়াই দেওয়া হল; দুই, কোন কোন ভোগ্যপণ্যের ওপর কর চাপল বা কমল, তাতে করে কী কী কেনার সুবিধা বা অসুবিধা হল। এছাড়া বাদবাকী বিষয়ে কী থাকল না থাকল তাতে আমজনতার কিছু আসে যায় না। কারণ, বাজেট নিছক একটি আয়ব্যয়ের হিসেব, যা বছর চলতে চলতে পালটাতে থাকে নিত্য।
এবারের বাজেটে তেমনি হুল্লোড় শুরু হয়েছে। বিশেষত টেলিভিশন আসাতে এ বেশ এক মজার ব্যাপার হয়েছে। ১৯৯২ সালে মনমোহন সিংহ যেবার বাজেট পড়লেন সেবার মিডিয়ার একটা বাড়তি উৎসাহ ছিল। ওইবার প্রথম ভারতীয় অর্থনীতি এক বাঁক পরিবর্তন করে। বিশেষ করে শিল্পপতি ও ধনী ব্যবসায়ীরা খুব উল্লাসে মেতেছিল। তারপর থেকে বাজেট ভাষণ শোনা ও তা নিয়ে কূটকচালি বেশ রেওয়াজ হয়ে দাঁড়াল।
এবারের বাজেট অধিবেশন শুরুই হল জমি বিল নিয়েসরকারের মনোভাবে পরিষ্কার, তারা যে ভাবে হোক জমির ওপর কর্পোরেট দখলদারিকে নিশ্চিত করবে। প্রধানমন্ত্রীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র আওয়াজের পেছনে এই যুক্তিটাই প্রবলভাবে ছিল। সারা পৃথিবী জুড়ে ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পে যখন মন্দা ও কোনোভাবেই তার উজ্জীবনের সম্ভাবনা নেই তখন আগ বাড়িয়ে মোদী মশাই যে দুম করে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ বলে দিলেন তার পেছনে অন্য গভীর রহস্য আছে। তারই কিছু আভাস এবারের প্রাক-বাজেট প্রস্তুতিতে পাওয়া যাচ্ছে।
জমি নিয়ে এত তড়িঘড়ি কীসের? ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পে যখন মন্দা, স্বাভাবিক, তাকে কেন্দ্র করে কর্পোরেট দানবেরা তেমন উৎসাহী হবে না। কিন্তু তার নাম করে যদি জমি হাতানো যায় তবে সে তো সোনায় সোহাগা। আর এই চালটিই চেলেছেন মোদী সাহেব- শিল্প করার নাম করে হাজার হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করে কার্যত কর্পোরেট বন্ধুদের হাতে তুলে দেওয়া। সর্বত্র পড়তি মুনাফার হারের কারণে তথাকথিত পরিকাঠামো গঠনই এখন সাব্যস্ত হচ্ছে বেশি হারে আর্থিক লাভালাভের উপায় হিসেবে, আর তাই জমিই দিতে পারে এ মোক্ষম রস। চুলোয় যাক কৃষির ভবিষ্যৎ ও খাদ্য নিরাপত্তার হাবিজাবি। তাই এবারের বাজেটে মালুম হচ্ছে, পরিকাঠামো গঠন ও তার উন্নয়নের জন্য প্রভূত অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত হবে। আর এই পরিকাঠামো গপ্পের সাবেকি তালিকাটি হল – ৬ কি ৮ লেনের রাস্তা, আধুনিক বিমানবন্দর, পরমাণু কেন্দ্র, শপিং মল, আধুনিকতম আবাসন প্রকল্প, আন্তর্জাতিক মানের হোটেল, স্মার্ট সিটি ইত্যাদি ইত্যাদি – যা বিপুলাকার সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের ভারে জমি লুঠ ব্যতিরেকে গড়ে তোলা সম্ভবই নয়। কেন এই নিদান? কারণ, জমি ও পরিকাঠামো হল এমন এক স্থায়ী চরিত্রের সম্পদ যা বহু বহুদিন পর্যন্ত উঁচু হারে আর্থিক লাভকে সুনিশ্চিত করতে পারে। তাই, আজকের সার্বিক মন্দার মুখে দাঁড়িয়ে কর্পোরেট লাভালাভের এই সুনিশ্চিতি একমাত্র জমি থেকেই সম্ভব। যে পরিকাঠামোর কথা পরিকল্পকেরা মাথায় রাখেন (যেমনটি ওপরে বলা হল) তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের কোনও সম্পর্ক নেই। সাধারণ মানুষের যাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত যে পরিকাঠামো তা বরাবর উপেক্ষিত ও অবহেলিত। সে কথা অন্যত্র আলোচনা করা যাবে।
আরেকটি বিষয় নিয়ে বেশ গরম নরম আলোচনা হচ্ছে – অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার। হঠাৎ করে গত এক-দু’ মাস অর্থমন্ত্রকের তরফে বলা হচ্ছে আমাদের বৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশে পৌঁছে গেছে। এই তো সেদিনও ৫ শতাংশের নিচে ছিল। এই সংখ্যা নিয়ে জাগলারির অনেক কেচ্ছা আছে। চীনকে তো এ ব্যাপারে ওস্তাদ বলা হয়ে থাকে। এইসব সংখ্যাতত্ত্ব যে বেশ হাস্যরসের কারণ হয়ে উঠেছে তা এদিক ওদিক কান পাতলেই মালুম হচ্ছে। এইসব তালেগোলে হারিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতির মোদ্দা সমস্যাটি – কর্মসংস্থান। এ ব্যাপারে গোল গোল কিছু কথা ছাড়া মৌলিক কার্যক্রমটি তো নেওয়াই হল না।
  
বিশ্বব্যাপী ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের পতনের কারণে আজকের সময়ে যে কার্যক্রমটি নেওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল তা কর্পোরেট অনুগামী এনডিএ সরকারের পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। তা অবশ্যই ছোট ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশ। আর শিল্প বলতে এখানে ছোট ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প নয়, বুঝতে হবে পরিষেবা শিল্প। পশ্চিমি শিক্ষায় আলোকিত সাহেব মন এই ছোট শিল্পের কথা শুনলে কেমন জানি এক তাচ্ছিল্য ও করুণার রস জারিত করে। এ যেন অক্ষমের আর্তনাদ। অথচ আমূল পরিবর্তিত অর্থনীতির ধমনী দিয়ে বয়ে চলেছে এক অন্য স্রোত। বৃহৎ ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের যুগ মূলত শেষ হয়েছে তা স্বীকার করে নেওয়াটাই দস্তুর। পরিষেবা-ভিত্তিক শিল্পই এখন অর্থনীতির নিয়ন্তা। আর তা প্রযুক্তিগত কারণে দিনে দিনে আরও ছোট ছোট অবয়ব নেবে যদিও পুঁজির মূল নিয়ন্ত্রণটা থেকে যেতে পারে বড় কর্পোরেটের হাতে। কিন্তু এ এক অনিশ্চিতির পরিসর – কে কখন থাকবে আর ডুববে তার নাগাল পাওয়া আজকের সময়রেখায় আন্দাজ পাওয়া একেবারেই দুরূহ। এই আবহে জমিকে আঁকড়ে অর্থনীতিকে গতি দেওয়ার পরিকল্পনা মাঠেই মারা যাবে নির্ঘাত। মোদী সরকারের ন’ মাসের মেয়াদে শুরুর সেই পুরনো দম ফুরিয়েছে বোঝাই যাচ্ছে। এবারের বাজেট যদি তার এই ক’ মাসের কাজের অনুসারী হয় তবে অর্থনীতির আরও এক দফা নাভিশ্বাস উঠল বলে।      

'একক মাত্রা' মার্চ ২০১৫

প্রকাশ পেল 'একক মাত্রা'র মার্চ ২০১৫ সংখ্যা ..
এবারের প্রচ্ছদ বিষয় - 'বামপন্থার আজ কাল'
মূল প্রাপ্তিস্থানঃ The Earth, ৩০ সূর্য সেন স্ট্রিট, কলকাতা- ৯। দূরভাষঃ ৯৮৩০২ ৪১৮৫৭।
এছাড়াও বহু স্টল ও দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ..


Friday, 20 February 2015

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে লিটল ম্যাগাজিন মেলার উদ্যোগ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা সপ্তাহ পালিত হবে ২৩ ফেব্রুয়ারী থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং,কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা সম্মিলিত ভাবে এই উদ্যোগটি নিয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ভাষা সপ্তাহ উদযাপনের একটি উদ্যোগ হিসেবে লিটল ম্যাগাজিন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
মেলাতে যোগদানে আগ্রহী পত্রপত্রিকাগুলোর কাছে অনুরোধ করছি - অমর্ত্য (৭৫৮৪৮১১৩২৩) স্বর্ণেন্দু (৮৯৮১৫৬৩২৪৯ ) ঈশান ( ৯০০৭৮৬৭৩১২ ) সৌণক - ( ৯০৫১৭০১৩২০) এর সাথে যোগাযোগ করে নিতে।
আশা রাখি আপনাদের যোগদান আমাদের উদ্যোগকে আরও রঙিন করে তুলবে।

Friday, 13 February 2015

When Power Rests with Real Aam Admi

When Kejriwal Defeated the Media

Rajdeep Sardesai

http://www.rajdeepsardesai.net/blog-views/53730194/when-kejriwal-defeated-media

In the 2015 Delhi elections, Arvind Kejriwal didn't just demolish his opposition; he also defeated the media. That might seem a strange thing to say since the general impression for a long time has been that Kejriwal and his AAP party are a creation of the media, and television news in particular. The fact is, February 2015 is not December 2013. Then, we couldn't get enough of Kejriwal:  he was popping in and out of tv studios and every move, every soundbite of his, was tracked with relentless energy. 'Would you do it with any other chief minister?' I recall Narendra Modi asking me once in a phone conversation. His concern was not unjustified. The so-called 'national' television media essentially operates out of a small corner of Noida. So much easier  to have OB vans parked outside Kejriwal's residence in the vicinity than, let's say, in distant Panaji. 'I am also an aam admi chief minister,' Manohar Parikkar told me in 2013, 'but you won't highlight that I also live a simple life because I am not in Delhi.' I have no doubt that Manik Sarkar living in distant Agartala would have had a similar grouse.

Yes, Kejriwal received disproportionate coverage in the build up to the 2013 elections. He was the new start up, there was a buzz and excitement around him. He also had an astute media strategy and understood prime time television (his party has an unusually high proportion of journalists too in its ranks!) And then, there was the ill fated dharna in January 2014 and suddenly the bubble was burst. 'Anarchist' Kejriwal became the most common epithet we used to describe the man and AAP now became bad news. This was also around the time that Modi mania was beginning to peak. Television news couldn't have enough of the BJP's prime ministerial candidate in the run up to the 2014 general elections: every speech of his was covered live, often two and three a day. A Centre for Media Studies survey suggested that in this key election period around 70 per cent of air time was hogged by Mr Modi. The others, including Kejriwal and Rahul Gandhi, languished in single digits. The same media which had cheered the rise of Kejriwal towards the end of 2013 was now cheerleading the BJP's mascot in his unstoppable ascent to 7 Race Course road.

But in the run up to the 2015 elections, there was another twist. A large section of the media actually turned either openly hostile, or else totally ignored Kejriwal. The AAP leader began his comeback bid in October 2014 in near-anonymity: his initial Delhi dialogue had no live coverage, didn't make page one headlines. As he travelled across Delhi's constituencies, there was no large media entourage tracking him. None of his speeches or press conferences got live coverage. Most were barely mentioned. Some channels took the extreme step of  blanking him and his party out of their channels: AAP leaders were not to be called for studio discussions. This was 'supari' journalism at its worst. By contrast, when Modi entered the Delhi campaign fray with a rally at Ram Lila maidan in January, most channels devoted 24 x 7 coverage to the 'event'.
Modi was clearly still box office; Kejriwal was not. It changed a little bit in the last fortnight of the campaign as we  began to sniff the changing air. The political 'hawa' was changing and, typically, the media was beginning to feel the shifting mood. Suddenly, Kejriwal interviews were back on prime time and on the front page. And yet, the fact is, right till the end of the campaign, every prime minister rally was live but no Kejriwal speech was given similar prominence. Most exit pollsters were cautious in predicting a Kejriwal win. Some fly by night operators even suggested that the BJP was level pegging and in some cases even in the lead (I do hope these truly 'bazaroo' pollsters are held accountable)

In the end, none of it mattered. AAP won an astounding 67 of 70 seats, one of the biggest victories in the history of Indian elections. The mainstream media's ambivalence to Kejriwal didn't matter. The AAP leader had gone over our heads, effectively used social media, but most importantly, gone directly to those who really mattered: the voter! Pompous editors, noisy anchors and a corporatised media ownership had all been defeated. In a democracy, we in the media are only the surround sound: the actual power in the end rests with the real aam admi. As they would tell you on the streets of Delhi, Janata janardhan!



Tuesday, 10 February 2015

Delhi Shows the Way



Poor Reinvent Identity through AAP Resurgence in Delhi

Somen Chakraborty

The results of Delhi Assembly election have reached a happy ending for the moment with AAP winning 67 out of 70 seats. Such an outcome was appearing almost impossible a couple of months before. AAP victory has not been driven essentially by, what is understood by its ordinary meaning, well-guarded ideology. Primarily, it is an expression of dissent against the members of the dominant groups who systematically deprived the weak and the vulnerable groups of Delhi. The election outcomes bear the evidence that an electoral battle can be won against mighty opposition with determination, will power, voluntarism, honesty and unambiguous commitments. Aam Aadmi Party combined well the micro issues with macro concerns and aroused people with hope and belief that good days would usher in if Kejriwal is in power.

Cutting across the caste and class barriers 54% of the voters in Delhi, lower (30 seats), middle class (28 seats) and rich (9 seats) have voted for AAP.  The underlying factor behind this convergence was people’s quest for recognition, security, development and legitimacy of existence. These people were predominantly migrants, minorities, dalits, purvanchalis, deprived, jhuggi-jhopri dwellers, women, youth, LGBT, sex workers and so on.  The residents of the unauthorised and resettlement colonies mobilised huge followers for the party. A section of rich (only 1% decline in BJP’s vote share than the last assembly election but 14% fall than the last Lok Sabha) also supported AAP’s clarion call against corruption and VIP culture. Henceforth, Delhi will never be known by its middle class and rich concentrated localities only, but also by its periphery, its underprivileged communities and the underdeveloped areas.   

Landslide Victory
This political upsurge is not identical to ordinary dissident movements of social groups though it expresses many of their characteristics. In this electoral struggle, classes and communities became conscious of their common deprivations and woes through the campaigns and struggles of AAP. Majority of the Delhi voters rejected the paradox of services and facilities inspite of enticing electoral promises and flamboyant speeches favouring ‘Achha din’ by the BJP leaders. AAP in contrast, pushed a new kind of politics that declined to recognise the old premises of caste and class propaganda.

However, it was never a smooth journey for AAP. Their actions were often termed as anarchism and seamless emotional outburst. They were labelled as untenable and hugely destructive to the planned and scientific nation building process. In that construction AAP was viewed as outsider and an anomaly to the prevalent norms of suave political debates and contestation.  AAP and more specifically its leaders like Arvind Kejriwal was virtually ostracised by BJP and Congress. He was abused routinely by common slangs like ‘haramkhor’, ‘bhagore’, ‘nirashabadi’, ‘dharnabaaj’ so on and so forth.    

Resurgence
Humiliating defeat of the AAP candidates across the states in 2014 Lok Sabha elections reduced the party almost to irrelevance. Middle class withdrew support. Funds got exhausted. Several among the frontline comrades left vilifying the party to its worst. Volunteers were drooped and demoralised. AAP had to start almost from the scratches and ashes. Recreating the party was more than a critical challenge. The people who supported AAP earlier did not readily welcome them in this round. On top of it negative canvassing through an orchestrated campaign tools, abusive comments and personal attacks tried to block its comeback effort and create a space for itself.

The major task before the AAP was to re-establish its credentials and seriousness to governance. They had to reawaken the people and old associates to share responsibility with the party to make Delhi a better place to live in. The AAP teams, called Delhi Dialogue, worked on a wide range of thematic concerns that had been bothering Delhi denizens and produced detailed blue prints on each issue. AAP thus made an uprise and protest against the degree of exclusion that the people of Delhi have experienced through decades.

AAP goes global
AAP’s uprise is not an isolated Delhi-centric phenomenon. Attempt to mobilise poor, marginalised and deprived sections into a cultural homogeneousness through subsistence-based services were challenged by increasing sense of rights and entitlements across the world. AAP is the part of the changing pattern of activism that has swept many parts of the globe challenging the existing power and authority for a humane, compassionate and inclusive governance. People are reclaiming the recognition for the community contributions to societal formation and nation building. Creation of this common category of people is based on common origin and sameness in their experience. New information technology has again facilitated this upsurge by instantaneously spreading knowledge and ideas across a larger community. People today learn from globalised understanding of nationalism and create pressure for resource extraction that was so far a service of bureaucracy under the protective shield of law and system.  AAP has transformed individual perceptions into group based political triumph. AAP has championed an ethos that is evidently visible in global society today.

Kejriwal - The Messiah
Arvind Kejriwal as leader projected himself as a person exactly what people were looking for. He was as simple and non-glamorous as majority of his target voters yet highly educated and capable. He was somebody who could understand their political values and financial hardships. Ordinary people recognised him as the messiah who was capable of transforming their claims into justice.

Commitments
AAP has committed and offered a political prescription of the best possible services within the existing legal, structural, systemic, financial and jurisdictional limitations. The party is symbolised by simplicity of its leaders hailing from the same modest and humble background. It has committed to contemplate the experiences of the oppressed.  The party prescribes for a shared and self-determined alternative. This premise rests on leveraging on the politically laden experiences of individuals with diverse background.  It has recognised the wisdom of the people and has promised to demonstrate how government can be run by people along with their elected representatives.

Though Aam Aadmi Party has never committed for ‘Everything Free’, but the campaign modes have somehow established such a notion very deeply in the mind of the poor. People are likely to become impatient to see that this happen as quickly as possible. Majority of the people may expect miracle to occur.

Challenges ahead
What will be a challenge before the AAP government of Delhi is to craft meticulously a viable revenue generation and service delivery system. It will be an arduous task because everything has to be done within the existing normative structure, systemic boundaries and the jurisdictions of authority when, in reality, Delhi is only partial state with limited power and authority. 

AAP government’s capability will be tested not by pre-election rhetoric but by its administrative acumen, efficiency in governance and skill to negotiate effectively the critical and emergency situations. People would watch closely how the government is balancing cultural rights of diverse communities. Corruption in daily life, display of power and influence do have potentials to challenge the new government from within the very people who had supported it all through the process. And AAP will have to prove that they can strike a balance by effectively closing the genesis of corruption.

At times excessive identity of the people may go against the politics of equality and justice. Negotiation with capitalism is a complex task as it holds capacity to impose necessary embargo to dislodge a government from power that works against its interests. It is to see in which way and how long one corruption free island functions and survives in the midst of sea of corruption around.

This is also fact that not all in Kejriwal team is equally dedicated nor does everyone show high level of commitment. Many of them are coming from the citadel of traditional, cultural wrong-beliefs and conservative background. AAP is still a male dominated political force and gender justice may become a strong challenge within the government and the party. 

Optimism
But the Magna Carta (1215), the American Independence (1776) and the French Revolution (1789) were never merely individual success stories. They showed the world civilisation way to progress towards emancipation and new identity formation. Instead of borrowing from the existing ideological premises they rather constructed new ideology and pathway for recovering the lost rights, self-esteem and identity of the common people. AAP is not the end or final word of people’s liberation movement in India. It is an experiment. It creates hope and optimism for liberation of the oppressed from the century old deprivation and violation of their self-esteem. In such a great upheaval and people’s verdict all democracy-loving people owe a responsibility too to ensure that this change sustains and the government of Kejriwal triumphs in establishing good governance in NCT of Delhi.

Monday, 9 February 2015

More on the Debate on Cancer

Oncologists Lament!

Abhijit Mukherjee

Your blog had highlighted through couple of posts, the report of Science on this New Year’s Day which took the cancer establishments by surprise that Most cancers are caused by bad luck not genes or lifestyle. Your bloggers also added a similar thought process was pioneered by two Indian doctors in 1969 viz. Dr. Manu Kothari and Dr. Lopa Mehta. Such revelations by Science was bound to create great amount of anxiety for the cancer establishments, as for decades they had tried to assign a cause to the causeless-ness of the cancer and continued to witch-hunt it. So we are not at all surprised when we saw in Times of India (1/2/2015) a report by Malathy Iyer “Not bad luck, pollutants & lifestyle cause most cancers”. However, if one starts reading between the lines one notices dilemma and sweeping remarks like Tobacco is the cause for 40% to 50% of cancers in India as it increases the risk of cancers of the oral cavity, lungs, gastrointestinal tract and urinary bladder” (Dr. S D Banavali head of medicinal Oncology TMCH). Now if it is the cause for 40% to 50% of cancer of lungs or oral cavity, then why for the balance 50% it remains just a “risk factor”? On what basis this 50% figure is arrived at - no one knows. However Dr. Badwe the director of TMCH says “Every smoker doesn't get cancer, but there is a matter of luck in who among the smokers will get cancer” and the report laments “There seems to be no common thread linking all cancers”Dr. Manu Kothari and Dr. Lopa Mehta explained about this 'Common Thread' in their Nature of Cancer “The  enormous  hue  and  cry  over  the production  of  cancerogens  by  industrial growth,  and  such magisterial  statements that  ‘cancer  is a  disease  of  civilization’  do  not  take  into  account  the  fact that Cancer  is  an integral factor  in  the  evolutionary  process  and  has  a  history  as  long as  the  type  of  life  it  affects.” As a matter of fact representatives of cancer establishment like Siddhartha Mukherjee concedes “Nineteenth-century doctors often linked cancer to civilization:....The link was correct but causality was not: civilization did not cause cancer, but by extending human life spans - civilization unveiled it."[The Emperor of All Maladies] It appears that the medicos of TMCH continue to coincide correlation with causation.

I was so delighted to see a fantastic piece in the Bengali Daily – Ei Samay - by Dr. Sthabir Dasgupta on 31/1/2015। I wondered what the super-specialists of TMCH would have had to say if they read that piece because with his sharp reasoning Dr. Dasgupta floored the theories of environment and genes. However, a sense of melancholy prevailed in my mind after I concluded reading the article of Dr. Dasgupta as I recollected his superb obituary on Dr. Manu Kothari in EPW (8/11/2014) where he wrote, “We are more amused to see that the so-called Indian experts are still keeping themselves ignorant with contemptuous silence. However, we also know that they are destined to accept him, in time, because for them whatever emanates from the West is the best.”, the Ei Samay article was indeed an opportune space for Dr. Dasgupta to break the silence of 'Indian Experts'.