আত্মহত্যার মিছিল
রানা আলম
রানা আলম
মহারাষ্ট্রের
বিদর্ভে গত ৫০ দিনে ৪২ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার,
ভারতের রক্ষাকর্তা মোদীজী আর মহান মিডিয়া'র কারুর কোনো হেলদোল চোখে পড়ছে না।
শুয়োরের পালেরা হিন্দু-মুসলমান নিয়ে কাটাকাটি করছে। অবশ্যি এটা
মিডিয়ার হেডলাইন হওয়ার মত খবর নয়। আড়াই হাজার কোটি টাকার স্ট্যাচু নয়, সব
ভারতীয় রামের সন্তান গোছের তত্ত্ব কি মোদীজী'র আচ্ছে দিন মার্কা অমৃতবাণীও
নয়, একদম পাতি প্রান্তিক কতকগুলো গরিব মানুষের চাষের খরচ না ওঠায়
সর্বস্বান্ত হয়ে আত্মহত্যার ঘটনামাত্র। এরা উজ্জ্বল ভারতের 'মেক ইন ইন্ডিয়া'র বিজ্ঞাপন হতে পারে না। অতএব, কেস ক্লোজড।
সেবাগ্রামের কস্তুরবা হাসপাতালের চিকিৎসক রাজদীপ নাথ জানালেন যে তার হাসপাতালেই রোজ গড়ে দুজন চাষী আত্মহত্যার চেষ্টা করে আইসিইউ'তে ভর্তি হচ্ছেন। কাজেই সরকারি তথ্য আর বাস্তবে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা পার্থক্য প্রচুর হতে বাধ্য।
রাজদীপের বয়ানটাই হুবহু তুলে দিচ্ছিঃ
'গত জানুয়ারিতে একদিন বৃষ্টি হয়ে চানার ক্ষেত লাটে উঠে। এইবার জুন-জুলাইয়ে বৃষ্টি না হয়ে সবজি আর আখ ভাল হয়নি। তুলার অবস্থাও ভাল নয়। এসব কৃষকদের মুখেই শোনা। যাদের পয়সা আছে তারা ডিপ টিউবওয়েল কিনে আনে, প্রাইভেট সেচের ব্যাবস্থা করে। তবে জলের লেভেল নীচে নেমে যাওয়ায় তাদেরও অনেক অসুবিধা হচ্ছে।
হাসপাতালে কোন কৃষকেরই বিল মাফ হতে দেখিনি, বা এমন কোন স্কিমও নেই। রাজীব গান্ধী বিমা আছে বটে তবে সেটা ৯৯ শতাংশ লোকেই পায় না। অতিরিক্ত বিল আসায় (১০-১৫০০০ এক সপ্তাহ পর, যেটা কিনা খুবই সামান্য বিল মেট্রো সিটির কর্পোরেট আইসিইউর খরচা দেখলে) পেশেন্টকে বাড়ি নিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ফেরার পথেই অনেকে মারা যান। কেউ কোন স্কিমের জন্য আজ পর্যন্ত ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে আসেননি।
আমি কোথাও কোন সেচ খাল নির্মাণ হতে দেখিনি। বর্ষার জল ধরে রাখার জন্যও কোন ব্যবস্থা দেখিনি। যাবতমাল আর চন্দ্রপুর জেলার অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। সেখানে আনড়ি/নকল ডাক্তারদের হাতে পড়েই অনেকে সর্বস্বান্ত হোন।'
সরকার যদি এই আত্মহত্যা বা আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত করে তাহলে দামী কাগজে ছাপা রিপোর্টে পারিবারিক কলহের ফলেই এই আত্মহত্যাগুলো ঘটেছে বলে প্রমাণিত হবে। তদ্দিনে শেয়ার সূচক আরো উপরে উঠবে এবং জিডিপি টিটোয়েন্টিতে ধোনি'র স্ট্রাইক রেটের সাথে পাল্লা দেবে।
মিডিয়া নিউজে সর্বশেষ যে আত্মহত্যাকারী কৃষকের নাম এসেছে তিনি নিজের জমিতে চিতা সাজিয়ে জ্বলন্ত চিতায় উঠে আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম 'কাশীরাম ভগবান ইনদারে'।
'ভগবান' তাহলে চিতায় উঠেছেন। আর ভারতবর্ষ ??
সেবাগ্রামের কস্তুরবা হাসপাতালের চিকিৎসক রাজদীপ নাথ জানালেন যে তার হাসপাতালেই রোজ গড়ে দুজন চাষী আত্মহত্যার চেষ্টা করে আইসিইউ'তে ভর্তি হচ্ছেন। কাজেই সরকারি তথ্য আর বাস্তবে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা পার্থক্য প্রচুর হতে বাধ্য।
রাজদীপের বয়ানটাই হুবহু তুলে দিচ্ছিঃ
'গত জানুয়ারিতে একদিন বৃষ্টি হয়ে চানার ক্ষেত লাটে উঠে। এইবার জুন-জুলাইয়ে বৃষ্টি না হয়ে সবজি আর আখ ভাল হয়নি। তুলার অবস্থাও ভাল নয়। এসব কৃষকদের মুখেই শোনা। যাদের পয়সা আছে তারা ডিপ টিউবওয়েল কিনে আনে, প্রাইভেট সেচের ব্যাবস্থা করে। তবে জলের লেভেল নীচে নেমে যাওয়ায় তাদেরও অনেক অসুবিধা হচ্ছে।
হাসপাতালে কোন কৃষকেরই বিল মাফ হতে দেখিনি, বা এমন কোন স্কিমও নেই। রাজীব গান্ধী বিমা আছে বটে তবে সেটা ৯৯ শতাংশ লোকেই পায় না। অতিরিক্ত বিল আসায় (১০-১৫০০০ এক সপ্তাহ পর, যেটা কিনা খুবই সামান্য বিল মেট্রো সিটির কর্পোরেট আইসিইউর খরচা দেখলে) পেশেন্টকে বাড়ি নিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ফেরার পথেই অনেকে মারা যান। কেউ কোন স্কিমের জন্য আজ পর্যন্ত ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে আসেননি।
আমি কোথাও কোন সেচ খাল নির্মাণ হতে দেখিনি। বর্ষার জল ধরে রাখার জন্যও কোন ব্যবস্থা দেখিনি। যাবতমাল আর চন্দ্রপুর জেলার অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। সেখানে আনড়ি/নকল ডাক্তারদের হাতে পড়েই অনেকে সর্বস্বান্ত হোন।'
সরকার যদি এই আত্মহত্যা বা আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত করে তাহলে দামী কাগজে ছাপা রিপোর্টে পারিবারিক কলহের ফলেই এই আত্মহত্যাগুলো ঘটেছে বলে প্রমাণিত হবে। তদ্দিনে শেয়ার সূচক আরো উপরে উঠবে এবং জিডিপি টিটোয়েন্টিতে ধোনি'র স্ট্রাইক রেটের সাথে পাল্লা দেবে।
মিডিয়া নিউজে সর্বশেষ যে আত্মহত্যাকারী কৃষকের নাম এসেছে তিনি নিজের জমিতে চিতা সাজিয়ে জ্বলন্ত চিতায় উঠে আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম 'কাশীরাম ভগবান ইনদারে'।
'ভগবান' তাহলে চিতায় উঠেছেন। আর ভারতবর্ষ ??
No comments:
Post a Comment