Wednesday, 18 December 2024

অমৃতলোকে সংশপ্তক সাধক

স্বয়ং প্রজাপতির তুল্য

অমৃতা ঘোষাল


(৯ মার্চ ১৯৫১ - ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪)

'তুই হাততালি দিলে জ়াকির হোসেন

তবলা বাজানো ছেড়ে পায়রা পোষেন...'

(কবীর সুমন)

গায়কের এই অহেতুক স্বপ্ন গেল অস্তাচলে! অজস্ৰ শিল্পবেত্তার হৃৎস্পন্দনকে তীব্রভাবে আন্দোলিত করা সেই তবলার বোল আর বাজবে না। 'ওয়াহ তাজ' বলে চায়ের কাপে চুমুক দেওয়ার ভঙ্গিটিও আর তিনি বিনির্মিত করবেন না! তবলা বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কোঁকড়া কেশগুচ্ছের হিল্লোল পুরুষ-সৌন্দর্যের গতানুগতিক মাপকাঠিতে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছিল। 

ওস্তাদ আল্লাহ রাখা'র (২৯ এপ্রিল, ১৯১৯ - ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০০) সুপুত্র জ়াকির ধ্রুপদী শিল্প-সংস্কৃতির পরিসরে বেড়ে উঠেছিলেন। তবলাকে চিনেছিলেন সরস্বতীর রূপান্তর হিসেবেই। দৈনন্দিন জীবনচর্যার স্রোতের সঙ্গে গেঁথে নিয়েছিলেন তবলা-সাধনার অনুষঙ্গ। পিতা আল্লাহ রাখা'র শিক্ষা আর সহজাত অনুশীলন-ক্ষমতার প্রভাবে দক্ষ থেকে দক্ষতর হয়ে উঠেছিলেন। মাত্র সাত বছর বয়সেই পরিণত শিল্পীর মতো তবলা বাজাতে পারতেন; আর মাত্র বারো বছর বয়সেই জীবনের প্রথম কনসার্টটি যথেষ্ট সাফল্যের সঙ্গে করেন। বাবার সহযোগে এই উপস্থাপনাটি করে তিনি অর্জন করেন পাঁচ টাকা। মুম্বাইয়ে বেড়ে ওঠা জ়াকিরের স্কুল-জীবন কাটে সেন্ট মাইকেলস হাই স্কুলে। এরপর মুম্বাইয়েরই সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে অর্জন করেন স্নাতক ডিগ্রি। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে সঙ্গীতের ওপর ডক্টরেট উপাধিও পেয়েছিলেন। 

পিতা আল্লা রাখা তাঁকে শিখিয়েছিলেন ভোরের সৌকুমার্য কীভাবে তবলার তানকে প্রভাবিত করে। তাই খুব ভোরেই তবলার সাধনা আরম্ভ হয়-- এমনটাই ছিল তাঁর অন্তরের বিশ্বাস। জ়াকিরের দুই ভাই তৌফিক কুরেশি ও ফজ়ল কুরেশিও ছিলেন তবলাবাদক। ষাটের দশকেই রীতিমতো খ্যাতির শিখরে পৌঁছতে থাকেন জ়াকির। তাঁর তবলার ভাষা শুধু সনাতন শিল্পের দর্পণ হয়ে ওঠে না, যেন বিশ্বজগতের সমস্ত ধ্বনিই ভর করে সেই ছান্দসিকের গতিময় আঙুলে। বায়া আর ডানের দ্বিরালাপে তিনতাল থেকে দাদরা কিংবা একতাল থেকে ঝাঁপতাল-- সর্বত্র ছিল সেই মায়াবী আঙুলের অবাধ গতি। তবলার ত্বকে মৃদু আঘাত করে আনতে পারেন ধাবমান অশ্বখুরের ধ্বনি, কখনও দ্রুতবেগে, কখনও বা মৃদু। রেলের  একঘেয়ে কু-ঝিকঝিক শব্দও তবলায় বিম্বিত করার ক্ষমতা রাখতেন জ়াকির। আবার সংক্ষিপ্ত মানবিক কথোপকথনকেও ফুটিয়ে তুলতেন চক্র-গৎ-বোলের বৈচিত্রে। তাঁর বাজানোর পদ্ধতিতে সম থেকে খালির মধ্যে ক্রিয়াশীল ছিল অজস্ৰ রেলা আর ফরমান। শুধুমাত্র বায়া বা ডুগির সাহায্যে গম্ভীর নাদ উৎপন্ন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছিলেন। তাঁর বাম হাতের আঙুলের খেলায়, ধাতব আধারযুক্ত বায়ার চর্ম-পৃষ্ঠ থেকে জলদমন্দ্র ডম্বরুধ্বনি নির্গত হতে আরম্ভ করল। বিস্মিত-মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতারা অবিশ্বাস্য আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠল যখন ডমরুর সঙ্গে সঙ্গে ধ্বনিত হল শঙ্খনাদ। ডায়ার কৃষ্ণ-চক্রে অঙ্গুলি হেলিয়ে একেবারে সমুদ্র-শঙ্খকে বাজিয়ে তুলতে সমর্থ হলেন। সৃষ্ট হল এক ঐশ্বরিক মুহূর্ত! এ তো কোনও পুরাণ-ধর্মের খেলা নয়। জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে প্রকৃত শ্রোতারা অনুভব করলেন এ শিল্পী স্বয়ং প্রজাপতির তুল্য, কারণ ব্রহ্মাস্বাদ-সহোদর প্রীতি উৎপন্ন করার ক্ষমতা তাঁর ছিল। ষড়জ থেকে নিষাদের সুর সৃষ্টি করে এক বৈশ্বিক ঐকতান রচনা করতেন জ়াকির। পণ্ডিত রবিশঙ্কর আর ওস্তাদ আলী আকবর খানের সঙ্গে তিনি তবলার উপস্থাপনা করেছেন প্রায় প্রথম যৌবনকাল থেকেই। 

আসলে ছন্দকেও একটি বিশিষ্ট ভাষার গুরুত্ব দিতেন জ়াকির। তাই ধ্রুপদী সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত যাবতীয় বাদ্যের স্পন্দনকে পর্যবেক্ষণ-বিশ্লেষণ আর অনুভব করতেন সম্যক নিষ্ঠার সঙ্গে। মৃদঙ্গ, পাখোয়াজ কিংবা কাঞ্জিরার সঙ্গে তবলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছেন সৎ শিল্পী হওয়ার অঙ্গীকারেই। পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার সন্তুরের ঊর্মিমুখরতাকে তুলে ধরেছিলেন তাঁর তবলা-নিঃসৃত স্রোতে। পত্রী সতীশ কুমারের মৃদঙ্গ আর জ়াকিরের তবলার বোল যেন এক শাশ্বত গীতিকাব্য গড়ে তুলেছিল। হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া থেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাকেশ চৌরাসিয়ার বাঁশি উদ্দীপিত হয়ে উঠেছিল জ়াকিরের তবলার আলিঙ্গনে। ওস্তাদ আমজাদ আলী খানের সরোদের প্রতিটি তারে গেঁথে গিয়েছিল জ়াকিরের তবলার অভিঘাত। প্রণম্য কত্থকশিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজের পদবিভঙ্গ আর নৃত্যমুদ্রা আরও প্রকট হয়ে উঠেছিল জ়াকিরেরই তবলার ঝঙ্কারে। রাধা-কৃষ্ণের প্রেমালাপসিক্ত সংক্ষিপ্ত আখ্যানকেও বোল-মাধুর্যে আভাসিত করার প্রত্যয় ছিল তাঁর। মটকা বা হাঁড়ি, শ্রীখোল কিংবা ডাফলির ছন্দযতিকেও আয়ত্ত করে তবলার অনিবার্যতাকে দুনিয়ার খাস-দরবারে তুলে ধরেছিলেন জ়াকির। ওস্তাদ রশিদ খান থেকে গজ়ল-শিল্পী অনুপ জলোটার সঙ্গে দুর্দান্ত যুগলবন্দী রচনা করেছেন। সানাই-বীণার মতো অভিজাত বাদ্যের সমান্তরালে লোকায়ত বাদ্যের চলিষ্ণুতাকেও তিনি উপলব্ধি করেছিলেন।

১৯৭০'এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেন জ়াকির। ১৯৭৯ সালে প্রায় সাত বছরেরও বেশি তাঁরই ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকা কত্থক নৃত্যশিল্পী ও শিক্ষক আনতোনিয়া মিনেকোলাকে বিয়ে করেছিলেন। এই প্রতিভায় দীপ্যমান দম্পতির দুই কন্যা-- আনিসা কুরেশি ও ইসাবেলা কুরেশি। তাঁরা যথাক্রমে চলচ্চিত্র নির্মাতা-প্রযোজক এবং নৃত্যশিল্পী। সম্ভবত জ়াকির-আনতোনিয়ার প্রেমবিবাহ ঘটার পথটি জাতিগত আর সামাজিক কারণে বিশেষ সুগম ছিল না বলেই গোপনে পরিণয়-পর্বটি মিটেছিল। 

নিউ ইয়র্কে থাকাকালীন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই তবলাবাদক ১৯৭৩ সালে বিখ্যাত ব্রিটিশ গিটারিস্ট জন ম্যাকলফ্লিন-এর সঙ্গে মিলে 'শক্তি' ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠা করেন। এই ব্যান্ডটি ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের দুরূহ তাল ও জ্যাজ়-সঙ্গীতের ইম্প্রোভাইজেশনের এক অভিনব সংমিশ্রণ তৈরি করেছিল। তাঁর সঙ্গে ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্য, যেমন, বিখ্যাত বেহালাবাদক এল শঙ্কর এবং ঘটম-শিল্পী টিএইচ 'ভিক্কু' বিনায়করাম লয় আর সুরের এক অপূর্ব সমন্বয় তৈরি করেন। সত্তরের দশকে 'শক্তি' ব্যান্ডের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- 'Shakti with John McLaughlin' (১৯৭৬), 'A Handful of Beauty' (১৯৭৬), 'Natural Elements' (১৯৭৭)। এক দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৭ সালে 'শক্তি' পুনরায় গঠিত হয় 'Remember Shakti' নামে। এই নতুনভাবে সেজে ওঠা ব্যান্ডের সঙ্গে যোগ দেন ম্যান্ডোলিন শিল্পী শ্রীনিবাস এবং কাঞ্জিরা-শিল্পী ভি সেলভগণেশ। ব্যান্ডের এই নতুন পর্বেও জ়াকির হুসেন সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং নতুন প্রজন্মের শ্রোতাদের মধ্যে ফিউশন সঙ্গীতের আবেদন বৃদ্ধি করেন। ২০২৩ সালে 'শক্তি' ৪৬ বছর পর তাদের প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম 'This Moment' প্রকাশ করে। ব্যাপকভাবে প্রশংসিত এই অ্যালবামটি ২০২৪ সালের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে Best Global Music Album বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে। বর্তমানে এই ‘শক্তি’ ব্যান্ডের প্রধান কণ্ঠশিল্পী শঙ্কর মহাদেবন। 

পুরস্কার-প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও জ়াকিরের প্রাপ্তিযোগ শিখরস্পর্শী। ১৯৮৮, ২০০২ ও ২০২৩ সালে যথাক্রমে পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ আর পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন। একাধিকবার গ্র্যামি-পুরস্কার অর্জন করেছেন:

• ১৯৯২: 'Planet Drum' অ্যালবামের জন্য,  মিকি হার্টের সঙ্গে;

• ২০০৯: 'Global Drum Project' অ্যালবামের জন্য, যেখানে তিনি মিকি হার্ট, সিকিরু আদিপোজু এবং জিওভানি হিদালগোর সঙ্গে কাজ করেছিলেন;

• ২০২৪: ৬৬তম বার্ষিক গ্র্যামি পুরস্কারে তিনি তিনটি পুরস্কার লাভ করেন তাঁর 'Pashto' (বেলা ফ্লেক, এডগার মেয়ার এবং রাকেশ চৌরাসিয়া সহ), 'As We Speak' এবং 'This Moment' ('শক্তি' ব্যান্ডের সঙ্গে)-এর জন্য।

এছাড়াও ১৯৯৯ সালে পেয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল এন্ডোউমেন্ট ফর দ্য আর্টস (NEA) দ্বারা প্রদত্ত ন্যাশনাল হেরিটেজ ফেলোশিপ। ২০২২'এ তাঁর প্রাপ্তি জাপানের ইনামোরি ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রদত্ত কিওটো পুরস্কার। এছাড়াও তাঁর সম্মাননার ঝুলিতে রয়েছে সঙ্গীত নাটক একাডেমি পুরস্কার (১৯৯০), কালিদাস সম্মান (২০০৬), মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত এলএলডি ডিগ্রি (২০২২), সান ফ্রান্সিসকো জ্যাজ় সেন্টার কর্তৃক প্রদত্ত লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (২০১৭) প্রভৃতি। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁকে হোয়াইট হাউসে আন্তর্জাতিক জ্যাজ় দিবসের গ্লোবাল কনসার্টে পারফর্ম করতে আমন্ত্রণ জানান। এই অনুষ্ঠানটি ৩০ এপ্রিল ২০১৬-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং বিশ্বব্যাপী সুরসাধক মানুষ জ্যাজ় সঙ্গীতের প্রভাব আত্মস্থ করে আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠেছিল। সেখানে ওস্তাদ জ়াকির হুসেনের অংশগ্রহণ ছিল একটি বিশেষ পাওনা, কারণ প্রথমবারের মতো কোনও ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী হোয়াইট হাউসে পারফর্ম করলেন, যা ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধনকেও কূটনৈতিকভাবে দৃঢ় করেছিল। এই অনুষ্ঠানে বিশ্বের তাবড়-তাবড় সঙ্গীতশিল্পীরা অংশ নেন এবং জ়াকির হুসেনের উপস্থাপনা আন্তর্জাতিক সঙ্গীত পরিবেশনায় এক অনন্য ও চিরন্তন স্থান তৈরি করে। 

অভিনয়ের ক্ষেত্রেও চমকপ্রদভাবে কিছুটা পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন জ়াকির হুসেন। ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'সাজ' (SAAZ) চলচ্চিত্রে শাবানা আজমির প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছিলেন। তাঁর ফিল্ম-কেরিয়ারে মোট ১২টি ছবি চোখে পড়ে। এর মধ্যে ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শশী কাপুরের 'হিট অ্যান্ড ডাস্ট' ছিল অন্যতম। এছাড়াও তিনি 'দ্য পারফেক্ট মার্ডার' (১৯৮৮), 'থান্ডুভিটেন এনাই' (১৯৯১, তামিল), 'মিস বিটিস চিলড্রেন' (১৯৯২), 'জ়াকির অ্যান্ড হিজ় ফ্রেন্ডস' (১৯৯৮) এবং 'টর' (২০১৮) চলচ্চিত্রে তাঁর মনকাড়া উপস্থিতি ছিল। চলচ্চিত্র-নির্মাতা দেব প্যাটেলও তাঁর সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত 'মাঙ্কি-ম্যান' (২০২৪) সিনেমায় জ়াকির হুসেনের তবলা বাজানোর দৃশ্য তুলে ধরেন। স্মর্তব্য যে, ১৯৯৪-এ ভারতীয় পত্রিকা 'জেন্টলম্যান'-এ 'সেক্সিয়েস্ট ম্যান' হিসেবে বিপুল ভোট পেয়ে অমিতাভ বচ্চনকেও হারিয়ে দেন জ়াকির।

সাঙ্গীতিক দুনিয়ার সংশপ্তক এই কালজয়ী শিল্প-অধীশ্বর ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হয়ে সান ফ্রান্সিসকোয় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। সেই অপূরণীয় বেদনা সর্বজনীন হয়ে ছড়িয়ে গেল দেশ-দেশান্তরে, তবলার বোলে যেন বেজে উঠল বিশ্বনাথ কবিরাজের 'সাহিত্যদর্পণ'এর অমোঘ সেই পঙক্তিটি: 'পরস্য ন পরস্যেতি, মমেতি ন মমেতি চ'...।


3 comments:

  1. তুই হেসে উঠলেই গানটিতে মূল কথাটি আছে তুই হাততালি দিলে সাগির হোসেন তবলা বাজানো ছেড়ে পায়রা পোষেন

    ReplyDelete
    Replies
    1. সাগির নয়, জ়াকির (z)

      Delete
  2. Very Informative..লেখাটি বেশ ভালো লাগলো

    ReplyDelete