Monday, 13 August 2018

GKCEIT ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদন

এই বিপন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ান
কলকাতায় একাদেমি অফ ফাইন আর্টস'এর সামনে ধর্ণায় বসা ছাত্র-ছাত্রীরা


আমরা কারা -
আমরা মালদা জেলার কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান GKCIET'র সাধারণ ছাত্রছাত্রী।
আমাদের সাথে কী হয়েছে -
(২+২+২) মডিউলার প্যাটার্নে ৬ বছর পড়বার পর জানতে পারলাম আমাদেরকে দেওয়া সার্টিফিকেটটি চাকরি ক্ষেত্রে বা উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার যোগ্যই নয়, অর্থাৎ অবৈধ।
তাহলে আমরা এখন কোন জায়গায়?? -
৬টি বছর, অগুন্তি টাকা ও ঘামঝরানো পরিশ্রম নষ্ট করে আমরা এখন কার্যত মাধ্যমিক পাশ করা ৮০০ জন ছাত্র-ছাত্রী, যাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
আমাদের কী দোষ?? -
আমরা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর ওপর অন্ধ বিশ্বাস রেখেছিলাম। উল্লেখ্য, GKCIET'র উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী।
আমাদের মূল দাবী কী কী?? -
১) ন্যায্য বৈধ সার্টিফিকেট চাই।
২) বিটেক'এর দ্বিতীয় বর্ষে কলেজেই ল্যাটেরাল এন্ট্রির মাধ্যমে যোগ্য ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি নিতে হবে।
আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি -
আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য GKCIET কর্তৃপক্ষ, MHRD, NIT দুর্গাপূর কর্তৃপক্ষ, MAKAUT কর্তৃপক্ষ, UGC'র আঞ্চলিক কার্যালয় (কলকাতা) ও শেষত রাজ্যপালের দোরে ঘুরেছি। শুধু তাইই নয়, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছেও গেছি।
আমরা কীভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি?? -
চিঠি পাঠানো, অবস্থান, অনশন, মিছিল, প্রতীকী রেল ও পথ অবরোধ ইত্যাদি আমাদের করতে হয়েছে।
আমরা কী পেয়েছি?? -
শুধু আশ্বাস আর আশ্বাস। আর, পুলিশের লাঠি, কর্তৃপক্ষের চোখ রাঙানি উপেক্ষা ও অমানবিক আচরণ এবং জেলা প্রশাসনের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি। আন্দোলন করার কারণে কতবার যে হসপিটালে ভর্তি হতে হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। এত কিছু সত্ত্বেও আমাদের সাহস যুগিয়েছে সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন।
আমরা এখন কোথায়?? -
আমাদের কিছু বন্ধু মালদাতেই এখন অনশন-অবস্থান করছে এবং অন্যদিকে কিছু বন্ধু কলকাতায় এসেছে দাবি ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াই লড়তে।
আমাদের এই মুহূর্তের স্লোগান -
হয় বৈধ সার্টিফিকেট নিয়ে বাড়ি ফিরব, নয় আমাদের লাশ ফিরবে
---------------------------
সরকার, প্রশাসন, আইনের প্রতি আমাদের আর আস্থা নেই। আমরা আমাদের ন্যায্য লড়াই লড়ে যেতে চাই আপনার সক্রিয় সমর্থনের ওপর দাঁড়িয়ে। ছেলে-মেয়ে বা ভাই-বোনের মত এই ৮০০ ছাত্রছাত্রীর পাশে সমাজের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আপনাকে পাশে চাই।

সৌজন্যঃ অর্ণব ঘোষ।

No comments:

Post a Comment