এই বিপন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ান
কলকাতায় একাদেমি অফ ফাইন আর্টস'এর সামনে ধর্ণায় বসা ছাত্র-ছাত্রীরা
আমরা কারা -
আমরা মালদা জেলার কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান GKCIET'র সাধারণ ছাত্রছাত্রী।
★ আমাদের সাথে কী হয়েছে -
(২+২+২) মডিউলার প্যাটার্নে ৬ বছর পড়বার পর জানতে পারলাম আমাদেরকে দেওয়া সার্টিফিকেটটি চাকরি ক্ষেত্রে বা উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার যোগ্যই নয়, অর্থাৎ অবৈধ।
★ তাহলে আমরা এখন কোন জায়গায়?? -
৬টি বছর, অগুন্তি টাকা ও ঘামঝরানো পরিশ্রম নষ্ট করে আমরা এখন কার্যত মাধ্যমিক পাশ করা ৮০০ জন ছাত্র-ছাত্রী, যাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
★ আমাদের কী দোষ?? -
আমরা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর ওপর অন্ধ বিশ্বাস রেখেছিলাম। উল্লেখ্য, GKCIET'র উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী।
★ আমাদের মূল দাবী কী কী?? -
১) ন্যায্য বৈধ সার্টিফিকেট চাই।
২) বিটেক'এর দ্বিতীয় বর্ষে কলেজেই ল্যাটেরাল এন্ট্রির মাধ্যমে যোগ্য ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি নিতে হবে।
★ আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি -
আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য GKCIET কর্তৃপক্ষ, MHRD, NIT দুর্গাপূর কর্তৃপক্ষ, MAKAUT কর্তৃপক্ষ, UGC'র আঞ্চলিক কার্যালয় (কলকাতা) ও শেষত রাজ্যপালের দোরে ঘুরেছি। শুধু তাইই নয়, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছেও গেছি।
★ আমরা কীভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি?? -
চিঠি পাঠানো, অবস্থান, অনশন, মিছিল, প্রতীকী রেল ও পথ অবরোধ ইত্যাদি আমাদের করতে হয়েছে।
★ আমরা কী পেয়েছি?? -
শুধু আশ্বাস আর আশ্বাস। আর, পুলিশের লাঠি, কর্তৃপক্ষের চোখ রাঙানি উপেক্ষা ও অমানবিক আচরণ এবং জেলা প্রশাসনের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি। আন্দোলন করার কারণে কতবার যে হসপিটালে ভর্তি হতে হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। এত কিছু সত্ত্বেও আমাদের সাহস যুগিয়েছে সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন।
★ আমরা এখন কোথায়?? -
আমাদের কিছু বন্ধু মালদাতেই এখন অনশন-অবস্থান করছে এবং অন্যদিকে কিছু বন্ধু কলকাতায় এসেছে দাবি ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াই লড়তে।
★ আমাদের এই মুহূর্তের স্লোগান -
হয় বৈধ সার্টিফিকেট নিয়ে বাড়ি ফিরব, নয় আমাদের লাশ ফিরবে
---------------------------
সরকার, প্রশাসন, আইনের প্রতি আমাদের আর আস্থা নেই। আমরা আমাদের ন্যায্য লড়াই লড়ে যেতে চাই আপনার সক্রিয় সমর্থনের ওপর দাঁড়িয়ে। ছেলে-মেয়ে বা ভাই-বোনের মত এই ৮০০ ছাত্রছাত্রীর পাশে সমাজের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আপনাকে পাশে চাই।
সৌজন্যঃ অর্ণব ঘোষ।
No comments:
Post a Comment