অপরাধী সঞ্জয় রায় কি
ঘোলাজলে সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে?
মালবিকা মিত্র
২০ জানুয়ারি ভরা এজলাসে সিবিআই ও নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীদের ফাঁসির দাবিকে অগ্রাহ্য করে শিয়ালদহ আদালতের বিচারপতি দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দিয়েছেন। বিচারপতি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে সঞ্জয় রায়ের অপরাধ 'বিরলের মধ্যে বিরলতম' বলে মনে হয়নি। কেন? এই প্রশ্ন উঠবে। বলাই বাহুল্য, তিলোত্তমার ধর্ষণ ও খুনের তদন্ত, তার বিচার প্রক্রিয়া এবং অবশেষে শাস্তি প্রদান নিয়ে কেউ কেউ সন্দিহান ও ক্ষুব্ধ। খবরে প্রকাশ, এইসব বিষয়ে ২২ জানুয়ারি ও ৫ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টে শুনানিরও সম্ভাবনা আছে। খুব স্বাভাবিক যে, নানাজনের নানা মতের মতোই এই নৃশংস ঘটনাটির ক্ষেত্রেও লোকজনের নানারকম পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও বোধ ভিত্তিক মতামত সমাজ পরিসরে গত ৫-৬ মাস ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যে যেমন বড় বড় সব মিথ্যাচার ও গুজব আছে, আবার কিছু কিছু প্রশ্নের যাথার্থ্যও আছে।
গত ১৮ জানুয়ারি শিয়ালদহ আদালতে সঞ্জয় রায়কে দোষী হিসেবে সাব্যস্ত করার পর পরিচিতজনদের কাছ থেকে কয়েকটা মেসেজ পেলাম। সেগুলো উল্লেখ করেই কথা শুরু করি--
১) বিচার আমাদের দেশে হতে দেখেছেন? বিজেপি তো বলেই দিয়েছিল এজেন্ডা রামমন্দির বানানো। পাবলিক তো তাতেই ভোট দিল। আর টিএমসি? টিএমসি বিজেপির ভালবাসা (সেটিং)? মোদী হচ্ছে মমতার রক্ষক। দুটোই বজ্জাত। তাই এসব আদালতের রায়ে কোনও ভরসা নেই;
২) বিচার আর বিশেষ কী হবে? মোদি-মমতা সেটিং। সিবিআই কলকাতা পুলিশের ঢেকুর তুলছে। অধিকাংশ তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়ে গেছে। দায়িত্ব নেওয়ার আগে কলকাতা পুলিশ পাঁচদিন সময় পেয়েছে। কলকাতা পুলিশ তার ভেতরে সব সেরে ফেলেছে। এখন সঞ্জয় বলির পাঁঠা। ও আর একটা ধনঞ্জয়। পেছনের পর্দার আড়ালের কারিগররা অধরাই থেকে যাবে। হাওয়াই চটি আর সাদা শাড়ির আড়ালে সবাই সাদা;
৩) ভদ্রলোকের এক কথা। একবার বলে দিয়েছি, সঞ্জয় রায়কে আরজিকর কাণ্ডে দোষী মানি না। ব্যাস। এক কথা। বলে দিয়েছি গণধর্ষণ। ব্যাস। যা বলেছি, বলে দিয়েছি। এখন সুপ্রিম কোর্ট বললেও মানবো না। অপরাধী একমাত্র বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার, নিতান্ত কোনও মন্ত্রীর ঘর থেকেই বেরতে হবে।
প্রতিক্রিয়াগুলো প্রাপ্তির অপেক্ষা করছিলাম। প্রথম দুটি প্রতিক্রিয়া আমার একদা ট্রেন পথের সহযাত্রী একজন শিক্ষিকা এবং আর একজন সরকারি কর্মচারী আর তৃতীয় প্রতিক্রিয়াটি আমার ছাত্রের। ও সাংবাদিক হিসেবে বেশ সুনাম করেছে।
সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় দেখলাম, আগের দিনও সমাজ মাধ্যমে দেখেছিলাম, অভয়ার বাবার উক্তি, 'ভরসা রেখেছিলাম, পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন', তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে ১৮ জানুয়ারি বিচারপতিকে বলেছেন। অবশ্য ইনি আগে একাধিকবার সিবিআই'এর তদন্ত প্রক্রিয়ায় আস্থা রাখতে পারেননি বলে জানিয়েছিলেন। অমিত শাহ'র সঙ্গেও দেখা করতে চেয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে ভরসা রাখতে পারেননি।
প্রসঙ্গত বলে রাখি, সিবিআই'এর প্রথম চার্জশিটের প্রেক্ষিতেই ১৮ই জানুয়ারির এই রায়দান। সিবিআই তার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট এখন পর্যন্ত দেয়নি। জানি না এর পরেও তা দেওয়ার সুযোগ আইনে থাকে কিনা। সিবিআই নিজে কিন্তু জানিয়েছে তথ্য প্রমাণ লোপাটের কথা। অতএব, এই মামলায় রায় হলেও উচ্চ আদালতে গিয়ে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায় কিন্তু শুরু থেকেই একটি মোক্ষম অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করবে। তা হল, তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে। তাহলে সে ক্ষেত্রে সত্যতা, যথার্থতা যাচাই হবে কীভাবে? অতএব উচ্চ আদালতে সঞ্জয়ের শাস্তি লঘু হবার সম্ভাবনা সিবিআই করে রেখেছে।
আমার প্রশ্নটা অন্যত্র। বহুদিন যাবৎ শুনে এসেছিলাম, 'তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা' শব্দটি। এই চেষ্টার কারণে সাজার কথাও শুনেছি। অর্থাৎ, তথ্য প্রমাণ আছে, পাওয়া গেছে। সেগুলো লোপাট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন অভয়া মামলায় নতুন শব্দটা শুনলাম 'তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছে'। কী তথ্য প্রমাণ? সেটা কারও জানা নেই, কারণ সেটা তো লোপাট। এই যে একটা ধরে নেওয়া তথ্য প্রমাণ, যা কারও জানা নেই এবং সেটা লোপাট হয়ে গেছে, এটা শুনে আমার কাছে ছেলেমানুষী যুক্তি মনে হয়েছে।
ঘুম ভেঙ্গে বাচ্চার বায়না, আমার পাতাতি'টা কোথায় গেল? বাড়ির লোক বোঝে না, পাতাতি, সেটা কী? বাচ্চা কী বলে? ওই যে সেই তা। আমার ছিল পাতাতিটা কোথায় গেল? বড়রা এটা সেটা এনে দেখায়, এইটা? ওইটা? কোনটা? আমার পাতাতিটা। কথা হল, পাতাতি বস্তুটা কী? এটা তো আগে জানতে হবে। যদি সেটাই জানা না থাকে, তাহলে কোথায় গেল, লোপাট হল কীভাবে, কে লোপাট করল জানব কীভাবে? তথ্য প্রমাণ যেহেতু লোপাট হয়ে গেছে, অতএব ওটা আর জানা সম্ভব না। এ যেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। এত নিপুণ নিখুঁত যে শত্রুপক্ষ টের পায়নি, গাছপালা পাহাড় নদী পশুপাখি কেউ টের পায়নি, অপারেশন হয়ে গেছে। কেউ জানে না শুধু কর্তামশাই জানেন, হইছে হইছে জানতি পারো নাই। তার কোনও চিহ্ন কোথাও পড়ে নেই।
সিবিআই'এর বিরুদ্ধে অভিযোগ! সেটার মানে বুঝতে পারি। সেই যদি কলকাতা পুলিশের তদন্তের ন্যায্যতাই স্বীকৃত হয়, তাহলে সিবিআই চেয়ে লাভ কী হল? লক্ষ্যটা ছিল কলকাতা পুলিশ দোষীদের আড়াল করছে, এটা প্রতিষ্ঠা করা। তাই সিবিআই। সেই সিবিআই বিস্তর ক্রস-চেকিং করে এখন কলকাতা পুলিশের তদন্তকেই যথার্থ বলে গ্রহণ করেছে। সমস্যা হল, অভয়ার বিচারের নামে যারা হইচই চেয়েছেন তাদের কাছে এটা মেনে নেওয়া খুবই অসুবিধাজনক। কতবার কত ভাগে লালবাজার অভিযান হল। বিনীত গোয়েলকে শিরদাঁড়া উপহার দেওয়া হল। এখন সিবিআই তদন্তকে মেনে নেওয়া হলে কলকাতা পুলিশকেই মেনে নেওয়া হয়। মানে হাওয়াই চটিকে মেনে নেওয়া হয়। তাহলে 'চটিচাটা' শব্দটা বসবে কোথায়? নতুন শব্দ আসবে 'থুতুচাটা'।
আমার বেশ মজাই লেগেছে। ধরুন, ডাক্তারবাবু ফুসফুসের সংক্রমণ দেখেছেন এবং কিছুটা ফ্লুইড জমেছে; সেই ফ্লুইড বিপজ্জনক কিনা পরীক্ষা করানোর জন্য দুটি ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হল। দুটি ল্যাবের রিপোর্টই নির্দোষ বলে ঘোষণা করল। রোগীর বাড়ির লোকেদের প্রতিক্রিয়া, তাহলে এসব পরীক্ষা করে কী লাভ হল, খালি খালি দু' জায়গায় পয়সা খরচ। ব্যাপারটা যেন, একটা জটিল প্রাণঘাতী রোগের তথ্য ধরা পড়লে পয়সাটা সার্থক হত। ক্রস-চেক তো পরীক্ষার রিপোর্ট নির্ভুল করার জন্য করা হয়। যদি ক্রস-চেকের উদ্দেশ্যই হয় ক্যানসার ধরা, তাহলেই সমস্যা।
পাঁচ দিন বাদে সিবিআইকে হস্তান্তর, এটা নাকি খুব বিলম্বিত। ততদিনে কলকাতা পুলিশ তথ্য প্রমাণ লোপাট করে ফেলেছে। তা আমার প্রশ্ন, কবে কোথায় ঘটনার প্রথম দিনে প্রথম ঘণ্টায় সিবিআই দায়িত্ব নিয়েছে? যে কোনও ঘটনায় ফার্স্ট ইনফরমেশন রেকর্ডেড হয় তো লোকাল থানায়। তাহলে তো রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থাটা তুলে দেওয়া উচিত। কারণ, সিবিআই'কে প্রথম ঘন্টায় প্রথম মিনিটেই দায়িত্ব দিতে হবে। সিবিআই নিজের দুর্বলতা ও অপদার্থতা ঢাকতে এই সূত্রটিকে কাজে লাগায়, তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়ে গেছে। তাই যদি হয়, দায়িত্ব না নিলেই পারেন। এ তো সেই ডাক্তার, আগেই বলে রাখেন, বড় দেরি করে এনেছেন, রোগীকে প্রায় মেরে এনেছেন। এসব বলে নিজের সম্ভাব্য ব্যর্থতাকে আগেই সেফগার্ড দেওয়া।
এর সঙ্গে বলতে হয় সেটিং তত্ত্ব। ধরেই নিলাম, যারা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তাদের সেটিং তত্ত্ব সঠিক। এই তত্ত্বটা ২০১৪ নির্বাচন থেকেই শুরু হয়েছিল। আর প্রবলভাবে দেখা দিয়েছিল ২০১৯, ২০২১, ২০২৪ সালে। সেটিং তত্ত্বের প্রবক্তাদের বলি, পশ্চিমবাংলায় ধরে নিলাম বিজেপি এবং তৃণমূলের সেটিং আছে। তাহলে তো এ কথাও মানতে হয়, পশ্চিমবাংলার ৮০/ ৯০ শতাংশ জনমত এই সেটিং'এ প্রভাবিত। বিরোধী কংগ্রেস, বাম ও অতি বামদের সম্মিলিত জনসমর্থন ১০ শতাংশেরও কম। ১০ শতাংশের বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশের সেটিং? একবার ভেবে বলবেন। ২০১৬ সালেও কংগ্রেস ও বামেরা প্রায় ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। সেই ভোটটা নেমে ৪ থেকে ৬ শতাংশ হল কীভাবে? আর বিজেপির ভোটটা ১০/১২ শতাংশ থেকে ৩৬/৩৮ শতাংশ বাড়ল কী করে? কার সাথে কার সেটিং হল?
নির্বাচনের ফলাফল থেকে শুরু করে আরজিকর কাণ্ড, আনিস থেকে সন্দেশখালি-- সর্বত্র কল্পনার পোলাওয়ে ঘি ঢেলেছেন। ঘি'এর কোনও মাপ থাকেনি। এখন বাস্তবে পোলাওয়ের অস্তিত্ব না দেখে সেটিং বলা ছাড়া আর কী উপায় থাকতে পারে। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে ভাবের ঘরে এত কাহিনির জন্ম হয়ে গেছে যে সেই ভাব বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে, এক বিরাট স্বপ্নভঙ্গ ও হতাশা। এই স্বপ্নভঙ্গ-হতাশার ব্যাখ্যা একমাত্র সেটিং ও তথ্য প্রমাণ লোপাট তত্ত্বের মধ্যেই আশ্রয় খুঁজবে, এটাই স্বাভাবিক।
সঞ্জয় রায়কে যে ১১টি অকাট্য প্রমাণ হাজির করে সিবিআই অভিযুক্ত সাব্যস্ত করে চার্জশিট দিয়েছে, সেগুলো এখন পর্যন্ত কেউ খণ্ডন করেননি। এবার অভয়া মঞ্চের দাবি হিসেবে আমি মেনে নিচ্ছি যে, নেপথ্যে আরও অনেকের হাত আছে এবং তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছে। কিন্তু হাওয়ায় ভাসানো এই কথা পথসভায় দাঁড়িয়ে মাইক্রোফোন হাতে বলা যায়, আদালতে বলতে গেলে, কারা এর পেছনে আছে, কারা লোপাট করেছে, কীভাবে করেছে, হলফনামা দিয়ে বলতে হবে। তা না হলে সংবাদ মাধ্যমের সান্ধ্য মজলিসে বাজার গরম করা ছাড়া কাজের কাজ কিছুই এগোবে না। যারা এত জোর দিয়ে বলছেন আরও অনেকে যুক্ত আছে, তারা একবার নামগুলো বলছেন না কেন সিবিআই'এর কাছে বা আদালতে দাঁড়িয়ে!
এখনও যুক্তি হিসেবে সেই সুবর্ণ গোস্বামীর 'দেড়শো গ্রাম বীর্য' কখনও একজন ধর্ষকের উপস্থিতি প্রমাণ করে না। কিন্তু কথা হল, দেড়শো গ্রামের তত্ত্বটাই তো ভুয়ো। এর ফলে অভয়ার বিচার প্রক্রিয়া মসৃণ ভাবে অগ্রসর তো হবেই না বরং অপ্রমাণযোগ্য কিছু যুক্তি এনে বিচার প্রক্রিয়াকে ধোঁয়াটে করে দেওয়া হবে। অভয়া মঞ্চের জাস্টিস'এর দাবিদারদের কাছে তাই সবিনয় নিবেদন, আপনাদের কাছে যা তথ্য আছে সেগুলি অনুগ্রহপূর্বক আদালতে পেশ করুন। ডোরিনা ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে সেগুলো তথ্য যুক্তি প্রমাণ ছাড়া পেশ করবেন না। এর ফলে অভয়া মঞ্চ সম্পর্কে সাধারণ মানসে সন্দেহের বাতাবরণ সৃষ্টি হচ্ছে।
এমনিতেই জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির সময়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রদত্ত তালিকা অনুযায়ী এক বিরাট সংখ্যক ডাক্তার স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে বাইরে বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা করেছেন, অভয়ার জাস্টিসের দাবিতে কোটি কোটি টাকা তহবিল সংগ্রহ হয়েছে, এমনকি কোনও কোনও জুনিয়র ডাক্তার নেতার অনৈতিক ভুয়ো ডিগ্রি ভাঁড়িয়ে বেআইনি প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অভিযোগ উঠেছে, ধর্না মঞ্চে কর্পোরেট হাসপাতাল ও ওষুধ কোম্পানির ঢালাও অর্থ ব্যয় হয়েছে-- এসবই জনমানসে অস্পষ্টতা তৈরি করেছে। 'এর মধ্যে আরও অপরাধী আছে' এই প্রমাণবর্জিত কথা, 'তথ্য প্রমাণ লোপাট' প্রসঙ্গ অভয়ার সুবিচার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করেছে বলেই আমার বিশ্বাস।
তবুও তিলোত্তমার বিচারে অপরাধী শাস্তি পেয়েছে। সিবিআই'এর যদি 'সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট' বলে কিছু থেকে থাকে তা তারা আদালতে পেশ করুক। আরও কেউ অপরাধী থাকলে তারাও তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় উন্মোচিত হোক। কিন্তু তা ন্যায়বিচারের পদ্ধতি মেনেই; ক্যাঙারু কোর্ট বা গোদি মিডিয়ার যুক্তিহীন সান্ধ্য জলসায় নয়।